( 'মা ' এক অনুভূতি )
--পলাশ মন্ডল ।
আচ্ছা, এমন যদি হত ?
সবার মা'কেই দেখতে হত আমার মায়ের মত ?
একই শাড়ি, একই চুড়ি, একই চোখের চাওয়া !
একই সুরে ঘুম পাড়ানির একই সে গান গাওয়া !
কেমন মজা হত বল, হাজার বাড়ির দাওয়ায়
আমার মায়ের উড়ত শাড়ি হাজার বাড়ির হাওয়ায় !
সন্ধ্যেবেলা ঠাকুরঘরে প্রদীপদানীর পরে,
আমার মায়ের জ্বলত প্রদীপ সবার মায়ের ঘরে !
সবার মায়ের দুলত কানে আমার মায়ের দুল,
খোঁপায় তাদের উঠত ফুটে কনকচাঁপার ফুল !
কিন্তু কোনো দিনে ধরো উল্টো রথের মেলায়
মা যদি মোর হারিয়ে যায় ঝড় বাদলের বেলায় ?
কেমন করে খুঁজবো বল সবার মায়ের মাঝে ?
আমার মা যে ছড়িয়ে আছে হাজার মায়ের সাজে ।
তখন আমার কান্না দেখে আসল মায়ের ছলে
নকল মা'রাই আসতো বুঝি আমায় নিতে কোলে ।
আঁচল দিয়ে মুছিয়ে দিত আমার চোখের জল ।
কান্না কি মোর মুছতো তাতে, বল দেখি কেউ বল ?
এত মায়ের মাঝেও আমার মুখটি দেখে ভার
আসল মা মোর লুকিয়ে তখন থাকত কি গো আর ?
বলতো এসে মধুর হেসে আমায় নিয়ে কোলে,
"হারিয়ে শুধুই গেছি আমি, গেছি কি আর চলে ?"
আমি বলতাম, "হারিও তবে আমায় নিয়ে সাথে,
তোমার আঁচল রইল বাঁধা তোমার খোকার হাতে ।"
মা বলতো, "পাগল ছেলে, তাই কখনো হয় ?
হাজার মায়ের হাজার আঁচল তোমার জীবনময় ।
কারও আঁচল অনেক দামী সোনার সুতোয় মোড়া,
কারও হয়তো একটু মলিন, একটুখানি ছেঁড়া ।
কিন্তু জেনো, সব আঁচলই সমান স্নেহ মাখা,
তোমার মায়ের আঁচল থাকুক তাঁদের কাছেও রাখা ।
ঝড়বাদলের জীবনটা এক উল্টো রথের মেলা,
সেথায় আছে কান্না হাসি, লুকোচুরির খেলা,
সেথায় আছে হারিয়ে ফেলেও ফিরে পাওয়ার মজা,
সেথায় আছে পেয়েও আবার নতুন করে খোঁজা ।
মায়ের সাথে এমন খেলায় নেই যে কারও হার,
মধ্যে আছে অনুভবের সহজ পারাপার ।
মা শুধু নয় স্নেহের মায়ায় ভুলিয়ে রাখার সাথী,
জীবন মরণ সব ছাড়িয়ে 'মা' এক অনুভূতি।"
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
বাংলা ম্যাগাজিন ব্লগ। আপনার লেখা গল্প কিংবা কবিতাটি পোস্ট করুন এখানে। ●Name চিহ্নিত বক্সে আপনার সম্পূর্ণ নাম দিন । ● Email চিহ্নিত বক্সে আপনার ইমেইল এড্রেস দিন । ●মেসেজ বক্সে লেখার শিরোনাম, লেখকের নামসহ আপনার লিখাটি দিন । Send বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথেই পোস্টটি ওয়েবসাইট এ পাবলিশ হয়ে যাবে।
আপনার লেখা গল্প কিংবা কবিতাটি পোস্ট করুন এখানে। মেসেজ বক্সে লেখার শিরোনাম, লেখকের নামসহ লিখা দিন।
কিছু একই থাকে
( কিছু একই থাকে )
--পলাশ মন্ডল ।
কিছু রাত চোখে কান্না ভরায়,
কিছু রাত চোখে স্বপ্ন আঁকে,
কিছু রাত চোখে অশ্রু ঝরায়,
কিছু রাত চোখে কুয়াশা মাখে ।
রাতগুলি শুধু পাল্টায়, আর
চোখদুটি সেই একই থাকে ।
কিছু ফুল ফোটে ফুল বাগিচায়,
স্নিগ্ধ সবুজ পাতার ফাঁকে ।
কিছু ফুল ফোটে রাতের তারায়,
কিছু ফুল ফোটে মনের শাখে ।
ফুলগুলি শুধু রং বদলায়,
সুগন্ধ তার একই থাকে ।
কিছু মুখে থাকে সুখের আদর,
কিছু মুখ থাকে মায়ায় গড়া ।
কিছু মুখে ঝরে জ্যোৎস্না অঝোর,
কিছু মুখে থাকে ছলনা ভরা ।
কিছু মুখ এসে সামনে দাঁড়ায়,
কিছু মুখ শুধু আড়ালে থাকে ।
বেদনা লুকাতে কিছু মুখ তাই
রঙিন মুখোশ সাজিয়ে রাখে ।
মুখের মুখোশ আলাদা হলেও
মুখগুলি সেই একই থাকে ।
কিছু পথ চলে দূর অজানায়,
কিছু পথ মেশে পথের বাকে ।
কিছু পথ শুধু পাশে থেকে যায়,
ব্যবধানটুকু আলাদা রাখে ।
পথগুলি শুধু ভিন্ন, যদিও
পথের নিশানা একই থাকে ।
কিছু সুখ ভাসে মনের আকাশে,
কিছু সুখে মন ভেসে চলে যায় ।
দুঃখের রাতেও বাতায়ন পাশে
কিছু সুখ এসে হাতটি বাড়ায় ।
সুখের ঠিকানা ভিন্ন হলেও
অনুভবটুকু একই থাকে ।
কিছু প্রেম বোঝে মনের ভাষা,
কিছু প্রেম শুধু স্বার্থ বোঝে,
কিছু প্রেম মনে জাগায় আশা,
কিছু প্রেমে মন মৃত্যু খোঁজে ।
প্রেমগুলি শুধু ভিন্ন, যদিও
মনগুলি সেই একই থাকে ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
--পলাশ মন্ডল ।
কিছু রাত চোখে কান্না ভরায়,
কিছু রাত চোখে স্বপ্ন আঁকে,
কিছু রাত চোখে অশ্রু ঝরায়,
কিছু রাত চোখে কুয়াশা মাখে ।
রাতগুলি শুধু পাল্টায়, আর
চোখদুটি সেই একই থাকে ।
কিছু ফুল ফোটে ফুল বাগিচায়,
স্নিগ্ধ সবুজ পাতার ফাঁকে ।
কিছু ফুল ফোটে রাতের তারায়,
কিছু ফুল ফোটে মনের শাখে ।
ফুলগুলি শুধু রং বদলায়,
সুগন্ধ তার একই থাকে ।
কিছু মুখে থাকে সুখের আদর,
কিছু মুখ থাকে মায়ায় গড়া ।
কিছু মুখে ঝরে জ্যোৎস্না অঝোর,
কিছু মুখে থাকে ছলনা ভরা ।
কিছু মুখ এসে সামনে দাঁড়ায়,
কিছু মুখ শুধু আড়ালে থাকে ।
বেদনা লুকাতে কিছু মুখ তাই
রঙিন মুখোশ সাজিয়ে রাখে ।
মুখের মুখোশ আলাদা হলেও
মুখগুলি সেই একই থাকে ।
কিছু পথ চলে দূর অজানায়,
কিছু পথ মেশে পথের বাকে ।
কিছু পথ শুধু পাশে থেকে যায়,
ব্যবধানটুকু আলাদা রাখে ।
পথগুলি শুধু ভিন্ন, যদিও
পথের নিশানা একই থাকে ।
কিছু সুখ ভাসে মনের আকাশে,
কিছু সুখে মন ভেসে চলে যায় ।
দুঃখের রাতেও বাতায়ন পাশে
কিছু সুখ এসে হাতটি বাড়ায় ।
সুখের ঠিকানা ভিন্ন হলেও
অনুভবটুকু একই থাকে ।
কিছু প্রেম বোঝে মনের ভাষা,
কিছু প্রেম শুধু স্বার্থ বোঝে,
কিছু প্রেম মনে জাগায় আশা,
কিছু প্রেমে মন মৃত্যু খোঁজে ।
প্রেমগুলি শুধু ভিন্ন, যদিও
মনগুলি সেই একই থাকে ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
দারুন ছেলে
( দারুন ছেলে )
--পলাশ মন্ডল ।
২৬/২/২০২০
সেদিন দেখি পুবের পাড়ার
ষষ্ঠীচরণ রায়
গাঁয়ের পথে কোথায় যেন
ছুটছে খালি পায়ে ।
"যাচ্ছো কোথায় হনহনিয়ে ?
দিচ্ছো নাকি মেয়ের বিয়ে ?
মেয়েটি তোমার মিষ্টি অতি ;
দেখতে শুনতে লক্ষীমতি ;
বিদ্যে গুনেও সরস্বতী ।
মেয়ের যেমন তুলনা নাই,
তেমন কিন্তু ছেলেটি চাই ।
মদ, জুয়ো, ভাং, গাঁজাখোরে
সমাজ এখন গেছে ভরে ।
চোর, লম্পট, দামড়া, গোঁয়ার -
দেশটি যেন ষাঁড়ের খোয়াড় ।
তা , বলো না , ছেলে কেমন ?
উঁহু , চলবেনাকো যেমন তেমন ।
হোক না বাঙাল , হোক না ঘটি ,
বাজিয়ে নিয়ো চরিত্রটি ।
চুপটি করে বলছি শোনো ,
খোঁজ নিতে নেই লজ্জা কোনো ;
দু'চার খানা লোক লাগিও ,
একান ওকান খবর নিও ।"
ষষ্ঠীচরণ বললো ক্ষেপে ,
"যাও তো নিজের পথটি মেপে ।
গায়ে পড়ে জ্ঞান দিও না ।
ছেলে তো নয়, কাঁচা সোনা ।
এমন জবর খাসা ছেলে
হাজারটিতে একটি মেলে ।
নয় সে বলদ , নয় সে বেকার ;
লোকাল ট্রেনের টিকিট চেকার ।
ঊনিশ হাজার মাসিক বেতন ;
থাকবে মেয়ে রানীর মতন ।
চাগরি করে পূর্ব রেলে ।
দারুন ছেলে , দারুন ছেলে !"
"তাই নাকি ? তা , দিচ্ছো কি কি ?
ষোলো আনায় আঠারো সিকি ?"
চোখ নাচিয়ে একটু কেশে,
ষষ্ঠীচরণ বললে এসে
ফিসফিসিয়ে কানের কাছে,
"দেখলে হবে ? খচ্চা আছে ।
গয়না, টিভি, ফ্রিজ, ঘড়ি,
ফার্নিচারও কয়েক লরি ।
ক্যাশের কথাও পাকাপাকি ;
দু'লাখ নগদ, দু'লাখ বাকি ।
কি করবো ভাই, এমন ছেলে,
হাতের থেকে ফসকে গেলে ?
আগুন এখন ছেলের বাজার ।
গাঁটের দিকে তাকাইনি আর ।
চাগরি করে পূর্ব রেলে,
আহা, দারুন ছেলে, দারুন ছেলে !"
দিন, মাস যায়, বছর গড়ায় ;
মেয়েটি এখন উনুন ধরায়
শুকনো পাতায়, ভেজা কাঠে ;
বাসন মাজে, বাটনা বাটে ।
পান থেকে চুন খসলে পরে
শাশুড়ি ননদ খামচে ধরে ।
আর এক আছে ঢ্যামনা শশুর ;
পাকনা চুলে জ্যান্ত অসুর ।
চানের ঘরের বেড়ার ফাঁকে
কুতকুতিয়ে তাকিয়ে থাকে ।
একটু কিছু বললে তারে
নোংরা কাঁচা খিস্তি মারে ।
চেকার বাবু ব্যস্ত বেজায় ;
সাড়ে দশটায় ডিউটিতে যায় ।
সন্ধ্যেবেলা ডিউটি সেরে
ছ'টার ট্রেনে বাড়ি ফেরে ।
নাকে মুখে চারটি গুঁজে
বেরিয়ে পরে সুযোগ বুঝে ।
চাঁদবাজারের রাস্তা ধরে
ভ্যাঁপসা গলির অন্ধকারে
আস্তে ধীরে পা বাড়িয়ে
কোথায় যেন যায় হারিয়ে ।
ময়লা কি যায় কয়লা ঘষে ?
নোংরামি আর আলুর দোষে
পরকীয়ায় দু'বার ফেঁসে
টাকার জোরে গেছে বেঁচে ।
ভাগ্য ভালো দেয়নি জেলে ;
কারণ সে যে দারুন ছেলে ।
বাড়ি ফেরে রাত্রি ন'টায় ;
দু'চারখানা সঙ্গী জোটায় ;
তাস পিটিয়ে জুয়ো খেলে ;
ঢুকুর ঢুকুর বাংলা গেলে ।
জমিয়ে বসে মদের আসর ।
মেয়েটি সাজায় দুঃখের বাসর ।
অশ্রুচোখে একলা ঘরে
কখন যেন ঘুমিয়ে পরে ।
মাতাল বরের লাথির চোটে
রাত দুপুরে চেঁচিয়ে ওঠে ।
তিরিশ হাজার জুয়োয় হেরে
ঝালটি মেটায় বৌকে মেরে ।
ধাক্কা মেরে জাগায় ঠেলে ;
লাগায় ঝাঁটা মেঝেয় ফেলে ।
"লক্ষীছাড়ি, বদের হাড়ি -
খবর দিবি বাপের বাড়ি ।
বাকির দু'লাখ কাল না পেলে
ভাজবো তোকে গরম তেলে ।"
কাল চলে যায়, পরশু আসে ।
বাপ আসে না, খবর আসে ।
লক্ষ পাঁচেক দেনার চাপে
গলায় দড়ি দিয়েছে বাপে।
এমন সুখের খবর পেয়ে
ষষ্ঠী রায়ের সোনার মেয়ে
কেরোসিনের বোতল ঢেলে
সারা গায়ে আগুন জ্বেলে
চললো তখন বাপের কাছে ।
যেথায় অনেক শান্তি আছে ।
যেথায় অনেক শান্তি আছে ।
বাপ মেয়ে তো বাঁচলো মরে ;
চেকার বাবু কি আর করে ;
হাজার দশেক টাকা দিয়ে
গাঁয়ের লোকের মুখ বুজিয়ে
কায়দা করে গল্প সাজায় -
বৌ মরেছে দুর্ঘটনায় ।
পুরুত আসে, মন্ত্র পড়ে,
ঘটা করে শ্রাদ্ধ করে ।
গলদা চিংড়ি, কাতলা কষা,
দই ইলিশ আর পাবদা রসা ।
মন্ডা মিঠাই থরে থরে,
সবাই খেলো তৃপ্তি ভরে ।
বললো সবাই, এমন ছেলে
লক্ষটিতে একটি মেলে ।
সমাজ তখন চেঁচিয়ে বলে,
"দারুন ছেলে, দারুন ছেলে ।"
অন্ধ সমাজ চেঁচিয়ে বলে,
"দারুন ছেলে, দারুন ছেলে ।"
ভন্ড সমাজ চেঁচিয়ে বলে,
"দারুন ছেলে, দারুন ছেলে ।"
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
--পলাশ মন্ডল ।
২৬/২/২০২০
সেদিন দেখি পুবের পাড়ার
ষষ্ঠীচরণ রায়
গাঁয়ের পথে কোথায় যেন
ছুটছে খালি পায়ে ।
"যাচ্ছো কোথায় হনহনিয়ে ?
দিচ্ছো নাকি মেয়ের বিয়ে ?
মেয়েটি তোমার মিষ্টি অতি ;
দেখতে শুনতে লক্ষীমতি ;
বিদ্যে গুনেও সরস্বতী ।
মেয়ের যেমন তুলনা নাই,
তেমন কিন্তু ছেলেটি চাই ।
মদ, জুয়ো, ভাং, গাঁজাখোরে
সমাজ এখন গেছে ভরে ।
চোর, লম্পট, দামড়া, গোঁয়ার -
দেশটি যেন ষাঁড়ের খোয়াড় ।
তা , বলো না , ছেলে কেমন ?
উঁহু , চলবেনাকো যেমন তেমন ।
হোক না বাঙাল , হোক না ঘটি ,
বাজিয়ে নিয়ো চরিত্রটি ।
চুপটি করে বলছি শোনো ,
খোঁজ নিতে নেই লজ্জা কোনো ;
দু'চার খানা লোক লাগিও ,
একান ওকান খবর নিও ।"
ষষ্ঠীচরণ বললো ক্ষেপে ,
"যাও তো নিজের পথটি মেপে ।
গায়ে পড়ে জ্ঞান দিও না ।
ছেলে তো নয়, কাঁচা সোনা ।
এমন জবর খাসা ছেলে
হাজারটিতে একটি মেলে ।
নয় সে বলদ , নয় সে বেকার ;
লোকাল ট্রেনের টিকিট চেকার ।
ঊনিশ হাজার মাসিক বেতন ;
থাকবে মেয়ে রানীর মতন ।
চাগরি করে পূর্ব রেলে ।
দারুন ছেলে , দারুন ছেলে !"
"তাই নাকি ? তা , দিচ্ছো কি কি ?
ষোলো আনায় আঠারো সিকি ?"
চোখ নাচিয়ে একটু কেশে,
ষষ্ঠীচরণ বললে এসে
ফিসফিসিয়ে কানের কাছে,
"দেখলে হবে ? খচ্চা আছে ।
গয়না, টিভি, ফ্রিজ, ঘড়ি,
ফার্নিচারও কয়েক লরি ।
ক্যাশের কথাও পাকাপাকি ;
দু'লাখ নগদ, দু'লাখ বাকি ।
কি করবো ভাই, এমন ছেলে,
হাতের থেকে ফসকে গেলে ?
আগুন এখন ছেলের বাজার ।
গাঁটের দিকে তাকাইনি আর ।
চাগরি করে পূর্ব রেলে,
আহা, দারুন ছেলে, দারুন ছেলে !"
দিন, মাস যায়, বছর গড়ায় ;
মেয়েটি এখন উনুন ধরায়
শুকনো পাতায়, ভেজা কাঠে ;
বাসন মাজে, বাটনা বাটে ।
পান থেকে চুন খসলে পরে
শাশুড়ি ননদ খামচে ধরে ।
আর এক আছে ঢ্যামনা শশুর ;
পাকনা চুলে জ্যান্ত অসুর ।
চানের ঘরের বেড়ার ফাঁকে
কুতকুতিয়ে তাকিয়ে থাকে ।
একটু কিছু বললে তারে
নোংরা কাঁচা খিস্তি মারে ।
চেকার বাবু ব্যস্ত বেজায় ;
সাড়ে দশটায় ডিউটিতে যায় ।
সন্ধ্যেবেলা ডিউটি সেরে
ছ'টার ট্রেনে বাড়ি ফেরে ।
নাকে মুখে চারটি গুঁজে
বেরিয়ে পরে সুযোগ বুঝে ।
চাঁদবাজারের রাস্তা ধরে
ভ্যাঁপসা গলির অন্ধকারে
আস্তে ধীরে পা বাড়িয়ে
কোথায় যেন যায় হারিয়ে ।
ময়লা কি যায় কয়লা ঘষে ?
নোংরামি আর আলুর দোষে
পরকীয়ায় দু'বার ফেঁসে
টাকার জোরে গেছে বেঁচে ।
ভাগ্য ভালো দেয়নি জেলে ;
কারণ সে যে দারুন ছেলে ।
বাড়ি ফেরে রাত্রি ন'টায় ;
দু'চারখানা সঙ্গী জোটায় ;
তাস পিটিয়ে জুয়ো খেলে ;
ঢুকুর ঢুকুর বাংলা গেলে ।
জমিয়ে বসে মদের আসর ।
মেয়েটি সাজায় দুঃখের বাসর ।
অশ্রুচোখে একলা ঘরে
কখন যেন ঘুমিয়ে পরে ।
মাতাল বরের লাথির চোটে
রাত দুপুরে চেঁচিয়ে ওঠে ।
তিরিশ হাজার জুয়োয় হেরে
ঝালটি মেটায় বৌকে মেরে ।
ধাক্কা মেরে জাগায় ঠেলে ;
লাগায় ঝাঁটা মেঝেয় ফেলে ।
"লক্ষীছাড়ি, বদের হাড়ি -
খবর দিবি বাপের বাড়ি ।
বাকির দু'লাখ কাল না পেলে
ভাজবো তোকে গরম তেলে ।"
কাল চলে যায়, পরশু আসে ।
বাপ আসে না, খবর আসে ।
লক্ষ পাঁচেক দেনার চাপে
গলায় দড়ি দিয়েছে বাপে।
এমন সুখের খবর পেয়ে
ষষ্ঠী রায়ের সোনার মেয়ে
কেরোসিনের বোতল ঢেলে
সারা গায়ে আগুন জ্বেলে
চললো তখন বাপের কাছে ।
যেথায় অনেক শান্তি আছে ।
যেথায় অনেক শান্তি আছে ।
বাপ মেয়ে তো বাঁচলো মরে ;
চেকার বাবু কি আর করে ;
হাজার দশেক টাকা দিয়ে
গাঁয়ের লোকের মুখ বুজিয়ে
কায়দা করে গল্প সাজায় -
বৌ মরেছে দুর্ঘটনায় ।
পুরুত আসে, মন্ত্র পড়ে,
ঘটা করে শ্রাদ্ধ করে ।
গলদা চিংড়ি, কাতলা কষা,
দই ইলিশ আর পাবদা রসা ।
মন্ডা মিঠাই থরে থরে,
সবাই খেলো তৃপ্তি ভরে ।
বললো সবাই, এমন ছেলে
লক্ষটিতে একটি মেলে ।
সমাজ তখন চেঁচিয়ে বলে,
"দারুন ছেলে, দারুন ছেলে ।"
অন্ধ সমাজ চেঁচিয়ে বলে,
"দারুন ছেলে, দারুন ছেলে ।"
ভন্ড সমাজ চেঁচিয়ে বলে,
"দারুন ছেলে, দারুন ছেলে ।"
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
ভালোবাসা এক সীমাহীন মহাকাশ
( ভালোবাসা এক সীমাহীন মহাকাশ )
--পলাশ মন্ডল ।
২৫/২/২০২০
কেউ যদি হয় অধরা অচিন মায়া,
হোক সে পাষান, হোক সে হৃদয়হীন ।
দাও যদি কিছু হৃদয় উজাড় করে,
সে দান তোমার রবে জেনো চিরদিন ।
যে ফুল তোমার ফিরায় সে ঘৃণাছলে,
ব্যাথার রক্তে করো'না হৃদয় রাঙা ।
তোমার সে ফুল ঘৃণার ছিলনা জেনো,
শুধু ছিল তার ফুলদানিটাই ভাঙ্গা ।
যার তরে তুমি পথপানে চেয়ে কাঁদো,
তার পথ বাঁধা অন্য পথের বাকে ।
হৃদয়ের পথে প্রেমটুকু শুধু বাঁধো,
জীবনের পথে কখনো বেঁধো না তাকে ।
ভালোবাসা এক সীমাহীন মহাকাশ,
জীবনের পথ তারও চেয়ে নয় বড় ।
জীবনের পথে হোক সে অচেনা পর,
ভালবেসে তারে হৃদয়ে আপন করো ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
--পলাশ মন্ডল ।
২৫/২/২০২০
কেউ যদি হয় অধরা অচিন মায়া,
হোক সে পাষান, হোক সে হৃদয়হীন ।
দাও যদি কিছু হৃদয় উজাড় করে,
সে দান তোমার রবে জেনো চিরদিন ।
যে ফুল তোমার ফিরায় সে ঘৃণাছলে,
ব্যাথার রক্তে করো'না হৃদয় রাঙা ।
তোমার সে ফুল ঘৃণার ছিলনা জেনো,
শুধু ছিল তার ফুলদানিটাই ভাঙ্গা ।
যার তরে তুমি পথপানে চেয়ে কাঁদো,
তার পথ বাঁধা অন্য পথের বাকে ।
হৃদয়ের পথে প্রেমটুকু শুধু বাঁধো,
জীবনের পথে কখনো বেঁধো না তাকে ।
ভালোবাসা এক সীমাহীন মহাকাশ,
জীবনের পথ তারও চেয়ে নয় বড় ।
জীবনের পথে হোক সে অচেনা পর,
ভালবেসে তারে হৃদয়ে আপন করো ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
ইচ্ছে ডানা
( ইচ্ছে ডানা )
--পলাশ মন্ডল ।
২৩/২/২০২০
মা যদি হও আমার সকালবেলা,
তোমার সকাল সাজিয়ে দেব ফুলে ।
সোনার আলোয় ভাসিয়ে মেঘের ভেলা,
ভিড়বো তোমার স্নেহনদীর কূলে ।
মা যদি হও শঙ্খবালুর চর,
সারস হয়ে উড়ব তোমার বুকে ।
ঝিনুক নুড়ির গড়ব খেলাঘর,
সারাটি দিন থাকব সেথায় সুখে ।
মা যদি হও দীঘির কালো জল,
রোজ সকালে ফুটব হয়ে-
রঙিন শতদল ।
মা যদি দাও আশা,
তোমার প্রথম পাঠশালাতে
শিখব তোমার ভাষা ।
মা যদি হও শ্রোতা,
সারাটিক্ষণ তোমার কাছে
কইবো মনের কথা ।
মা যদি হও আমার পূজার ঘর,
প্রদীপ হয়ে জ্বলব সেথায়
সারা জনমভর ।
মা যদি হও আমার পূজার ফুল,
আশীর্বাদের পাপড়ি নিয়ে
পরব কানের দুল ।
মা যদি হও স্নিগ্ধ বটের ছায়া,
রাখাল হয়ে থাকব, মনে
মাখবো তোমার মায়া ।
মা যদি হও সুর,
রাখালরাজের বাঁশি হয়ে বাজব সুমধুর ।
মা যদি হও দূর আকাশের নীল,
আমি হবো শঙ্খডানা চিল ।
তোমার আশীর্বাদের আলোয়
উড়বো অনাবিল ।
দাও মা যদি আড়ি,
অনুভবের গোপন ঘরে
লুকিয়ে দেব পারি ।
মা যদি দাও ব্যথা,
ভাবছ কি মা, বলবো না আর কথা?
মান ভাঙানির গান শুনিয়ে
ভাঙব নীরবতা ।
মা যদি হও চাঁদ,
জ্যোৎস্না হয়ে থাকবো সাথে,
জাগব সারারাত ।
মা যদি গাও ঘুম পাড়ানির গান,
আধেক ঘুমেও থাকব পেতে কান ।
হও যদি মা ঘুমের দেশের পরী,
দিনের শেষে স্বপন দেশে
ভিড়াবো মোর তরী ।
খুশির রঙে সাজিয়ে দেব
তোমার স্বপ্নলোক ।
মা-ছেলের এই ভালবাসা
স্বপ্নে সফল হোক ।।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
--পলাশ মন্ডল ।
২৩/২/২০২০
মা যদি হও আমার সকালবেলা,
তোমার সকাল সাজিয়ে দেব ফুলে ।
সোনার আলোয় ভাসিয়ে মেঘের ভেলা,
ভিড়বো তোমার স্নেহনদীর কূলে ।
মা যদি হও শঙ্খবালুর চর,
সারস হয়ে উড়ব তোমার বুকে ।
ঝিনুক নুড়ির গড়ব খেলাঘর,
সারাটি দিন থাকব সেথায় সুখে ।
মা যদি হও দীঘির কালো জল,
রোজ সকালে ফুটব হয়ে-
রঙিন শতদল ।
মা যদি দাও আশা,
তোমার প্রথম পাঠশালাতে
শিখব তোমার ভাষা ।
মা যদি হও শ্রোতা,
সারাটিক্ষণ তোমার কাছে
কইবো মনের কথা ।
মা যদি হও আমার পূজার ঘর,
প্রদীপ হয়ে জ্বলব সেথায়
সারা জনমভর ।
মা যদি হও আমার পূজার ফুল,
আশীর্বাদের পাপড়ি নিয়ে
পরব কানের দুল ।
মা যদি হও স্নিগ্ধ বটের ছায়া,
রাখাল হয়ে থাকব, মনে
মাখবো তোমার মায়া ।
মা যদি হও সুর,
রাখালরাজের বাঁশি হয়ে বাজব সুমধুর ।
মা যদি হও দূর আকাশের নীল,
আমি হবো শঙ্খডানা চিল ।
তোমার আশীর্বাদের আলোয়
উড়বো অনাবিল ।
দাও মা যদি আড়ি,
অনুভবের গোপন ঘরে
লুকিয়ে দেব পারি ।
মা যদি দাও ব্যথা,
ভাবছ কি মা, বলবো না আর কথা?
মান ভাঙানির গান শুনিয়ে
ভাঙব নীরবতা ।
মা যদি হও চাঁদ,
জ্যোৎস্না হয়ে থাকবো সাথে,
জাগব সারারাত ।
মা যদি গাও ঘুম পাড়ানির গান,
আধেক ঘুমেও থাকব পেতে কান ।
হও যদি মা ঘুমের দেশের পরী,
দিনের শেষে স্বপন দেশে
ভিড়াবো মোর তরী ।
খুশির রঙে সাজিয়ে দেব
তোমার স্বপ্নলোক ।
মা-ছেলের এই ভালবাসা
স্বপ্নে সফল হোক ।।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
( নদীটি অনেক সুন্দর ) -- পলাশ মন্ডল ।
( নদীটি অনেক সুন্দর )
-- পলাশ মন্ডল ।
১৭/২/২০
নদীটি অনেক সুন্দর,
মাঝে বালুচর ঝিকমিক,
দুকূলে সবুজ প্রান্তর,
মেঘনীলে ঘেরা চারিদিক ।
নদীটি অনেক সুন্দর,
জলরঙে আঁকা দূরগ্রাম,
সকাল রাত্রি দিনভর,
বয়ে চলে নদী অবিরাম ।
কত ঝাউবন, তালগাছ সারি
দুই দিকে সরে সরে যায় ।
কলসিতে লয়ে তৃষ্ণার বারি
কত নারী কত ঘরে যায় !
ডান পাড়ে রেখে ডাহুকের মাঠ,
ভুতুম চরের বাঁশঝাড় ।
বাঁয়ে ফেলে বুড়োশিবতলা ঘাট
বয়ে যায় নদী অনিবার ।
চাষী কাটে ধান, জেলে জাল পাতে
মাঝি গান গায় ভাটিয়াল ।
ঘরছাড়া উড়োমেঘেদের সাথে
নদী বয়ে চলে উত্তাল ।
সারাটি সকাল, সন্ধ্যা, দুপুর
খেয়া বেয়ে মাঝি ক্লান্ত ।
নদীর জীবনে ক্লান্তি যে নেই,
চলে সে অবিশ্রান্ত ।
আঁধার ঘনায়, ক্লান্ত ডানায়
সাঁঝের পাখিরা খোঁজে নীড় ।
মাঠের রাখাল ঘরে ফিরে যায়
সুনসান হয় নদীতীর ।
আকাশের কোলে বাঁকা চাঁদ ওঠে,
জোছনা আলোয় দোলে দুল ।
জোয়ার জলের আরশিতে ফোটে
হাজার তারার নাকফুল ।
এরপর আরও রাত হয়,
পৃথিবী ঘুমায় নিঃসাড় ।
এ নদী তখনও জেগে রয়,
ঘুম যে দুচোখে নেই তার ।
ওগো নদী তুমি কোথা যাও ?
ঠিকানা তোমার কোন গাঁও ?
কোন রমণীর হৃদয় বারতা
কোন পরদেশে কারে দাও ?
কোন সে নারীর দুঃখের রোদন
তোমার দুচোখে উছলায় ?
কার জীবনের না বলা বেদন
তোমার হৃদয়ে ভেসে যায় ?
ক্ষনিক দাঁড়ায়ে বলে যাও নদী
সুখের ঠিকানা কতদূর ?
প্রেমসুধা যেথা বহে নিরবধি,
কোথা সে জীবন মধুপুর ?
নদী বয়ে যায় , পিছনে না চায়,
আকাশে ঘনায় কালো মেঘ ।
দুকূল ভাসায় ঘন বরষায়,
নিশুতি ঝড়ের বাড়ে বেগ ।
কখন যে হয় রাত ভোর !
কাটে সে নিশার ঘনঘোর ।
হৃদয় আকাশে শুকতারা হয়ে
কে যে পিছু ডাকে মনচোর !
নদী যেন বলে, "আমায় ডেকোনা,
চেয়োনা আমায় জানতে ।
আমার ঠিকানা লেখা আছে জানা-
অজানার শেষ প্রান্তে ।
চলার কাব্যে লিখেছি জীবন,
চলারই সুরটি রেখে যাই ।
চলার ছন্দে গেঁথেছি এ মন,
চলারই স্বপ্ন দেখে যাই ।
চলাই দুঃখসুখের বাজারে
শান্তি নামের পণ্য ।
এ জগতে মোরা তাই বারেবারে
আসি যে চলারই জন্য ।
সুধা সাগরের মধুমোহনায়
যে জন যে পথে পথ পাই,
প্রেমের অরূপ অমৃত ধারায়
সে জন সে পথে চলে যাই ।
আপন ছন্দে চলে যাই ।
চলে যাই , শুধু চলে যাই "।।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
-- পলাশ মন্ডল ।
১৭/২/২০
নদীটি অনেক সুন্দর,
মাঝে বালুচর ঝিকমিক,
দুকূলে সবুজ প্রান্তর,
মেঘনীলে ঘেরা চারিদিক ।
নদীটি অনেক সুন্দর,
জলরঙে আঁকা দূরগ্রাম,
সকাল রাত্রি দিনভর,
বয়ে চলে নদী অবিরাম ।
কত ঝাউবন, তালগাছ সারি
দুই দিকে সরে সরে যায় ।
কলসিতে লয়ে তৃষ্ণার বারি
কত নারী কত ঘরে যায় !
ডান পাড়ে রেখে ডাহুকের মাঠ,
ভুতুম চরের বাঁশঝাড় ।
বাঁয়ে ফেলে বুড়োশিবতলা ঘাট
বয়ে যায় নদী অনিবার ।
চাষী কাটে ধান, জেলে জাল পাতে
মাঝি গান গায় ভাটিয়াল ।
ঘরছাড়া উড়োমেঘেদের সাথে
নদী বয়ে চলে উত্তাল ।
সারাটি সকাল, সন্ধ্যা, দুপুর
খেয়া বেয়ে মাঝি ক্লান্ত ।
নদীর জীবনে ক্লান্তি যে নেই,
চলে সে অবিশ্রান্ত ।
আঁধার ঘনায়, ক্লান্ত ডানায়
সাঁঝের পাখিরা খোঁজে নীড় ।
মাঠের রাখাল ঘরে ফিরে যায়
সুনসান হয় নদীতীর ।
আকাশের কোলে বাঁকা চাঁদ ওঠে,
জোছনা আলোয় দোলে দুল ।
জোয়ার জলের আরশিতে ফোটে
হাজার তারার নাকফুল ।
এরপর আরও রাত হয়,
পৃথিবী ঘুমায় নিঃসাড় ।
এ নদী তখনও জেগে রয়,
ঘুম যে দুচোখে নেই তার ।
ওগো নদী তুমি কোথা যাও ?
ঠিকানা তোমার কোন গাঁও ?
কোন রমণীর হৃদয় বারতা
কোন পরদেশে কারে দাও ?
কোন সে নারীর দুঃখের রোদন
তোমার দুচোখে উছলায় ?
কার জীবনের না বলা বেদন
তোমার হৃদয়ে ভেসে যায় ?
ক্ষনিক দাঁড়ায়ে বলে যাও নদী
সুখের ঠিকানা কতদূর ?
প্রেমসুধা যেথা বহে নিরবধি,
কোথা সে জীবন মধুপুর ?
নদী বয়ে যায় , পিছনে না চায়,
আকাশে ঘনায় কালো মেঘ ।
দুকূল ভাসায় ঘন বরষায়,
নিশুতি ঝড়ের বাড়ে বেগ ।
কখন যে হয় রাত ভোর !
কাটে সে নিশার ঘনঘোর ।
হৃদয় আকাশে শুকতারা হয়ে
কে যে পিছু ডাকে মনচোর !
নদী যেন বলে, "আমায় ডেকোনা,
চেয়োনা আমায় জানতে ।
আমার ঠিকানা লেখা আছে জানা-
অজানার শেষ প্রান্তে ।
চলার কাব্যে লিখেছি জীবন,
চলারই সুরটি রেখে যাই ।
চলার ছন্দে গেঁথেছি এ মন,
চলারই স্বপ্ন দেখে যাই ।
চলাই দুঃখসুখের বাজারে
শান্তি নামের পণ্য ।
এ জগতে মোরা তাই বারেবারে
আসি যে চলারই জন্য ।
সুধা সাগরের মধুমোহনায়
যে জন যে পথে পথ পাই,
প্রেমের অরূপ অমৃত ধারায়
সে জন সে পথে চলে যাই ।
আপন ছন্দে চলে যাই ।
চলে যাই , শুধু চলে যাই "।।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
গল্পের সাথে অল্প - সুমন সরকার
গল্পের সাথে অল্প
সুমন সরকার
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
গল্পের সাথে অল্প সখ্যতা আমার
সেখানে আবার সখ্যতা তোমার।
লেখার প্রতি আছে দূর্বলতা আমার
সেখানে খোঁজ খবর নেই তোমার।
কবিতা লেখার সঙ্গী কলম আমার
সেখানে কবিতা পাঠে মন তোমার।
লেখার প্রাপ্তিতে আশা নেই আমার
সেখানে উৎসাহ প্রদানে মন তোমার।
আলো আধার পথে চলাচল আমার
সেখানে সঙ্গী হওয়ার ইচ্ছা তোমার।
জীবন গল্পের সাথে বিচরণ আমার
সেখানে চলতে ফিরতে সাধ তোমার।
গল্পের মাঝে থাকো পাশে আমার
যাবে সময় হয়তো ভালো তোমা।
Regards,
M A kabir sumon | anamulkabirsumon06@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
সুমন সরকার
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
গল্পের সাথে অল্প সখ্যতা আমার
সেখানে আবার সখ্যতা তোমার।
লেখার প্রতি আছে দূর্বলতা আমার
সেখানে খোঁজ খবর নেই তোমার।
কবিতা লেখার সঙ্গী কলম আমার
সেখানে কবিতা পাঠে মন তোমার।
লেখার প্রাপ্তিতে আশা নেই আমার
সেখানে উৎসাহ প্রদানে মন তোমার।
আলো আধার পথে চলাচল আমার
সেখানে সঙ্গী হওয়ার ইচ্ছা তোমার।
জীবন গল্পের সাথে বিচরণ আমার
সেখানে চলতে ফিরতে সাধ তোমার।
গল্পের মাঝে থাকো পাশে আমার
যাবে সময় হয়তো ভালো তোমা।
Regards,
M A kabir sumon | anamulkabirsumon06@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
( চৌকাঠেতেই ফাঁক ছিল ) --পলাশ মন্ডল ।
বিভাগ - কবিতা
( চৌকাঠেতেই ফাঁক ছিল )
--পলাশ মন্ডল ।
১৬/২/২০২০
চিলেকোঠার চৌকাঠে এক
মস্তবড় ফাঁক ছিল ।
সেই ফাঁকেতে লেজ বাঁকা এক
কাক ছিল ।
বানিয়ে বাসা কে জানে সে
কবে থেকেই থাকছিল !
হালিখানেক ডিম নিয়ে তা
হুলোর ভয়ে ঢাকছিল ।
দুদিন পরেই মা হবে, তার
স্বপ্ন মনে আঁকছিলো ।
চাতাল তলার পেঁপেগাছে
তিন টি পেঁপে পাকছিলো ।
শালিক-চড়াই না দেখে, তাই
চোখে চোখে রাখছিলো ।
গেট পেরিয়ে একটু দূরেই
চৌরাস্তার বাক ছিল ।
সেখান দিয়ে মিঠাই নিয়ে
ময়রা কাকু হাঁকছিলো ।
কাকুর মাথায় টাক ছিল ।
হলোই বা টাক, বুদ্ধিতে সে
একটু ছেঁড়া-তার ছিল ।
ঝুড়িতে তার মিষ্টি দইয়ের
হরেক রকম ভার ছিল ।
পেছন থেকে ছোকরারা সব
যে যার মতো ঝাড়ছিলো ।
এসব দেখে কাকের মনেও
আশার পারদ চড়ছিলো ।
চার চারটে বাচ্চা পোষার
প্রস্তূতিটা সারছিলো ।
ক'দিন পরেই মা হলো কাক,
বাচ্চা গুলো বাড়ছিল ।
চিলেকোঠার আড়ালটা তে
এক পা, দু'পা হাটছিলো ।
দিনগুলি বেশ কাটছিলো ।
সব কিছু ঠিকঠাক ছিল ।
হঠাৎ সেদিন কি যে হলো,
কাক টা ভীষণ ডাকছিলো ।
পালিয়ে গেছে বাচ্চারা, তাই
মন টা যে খুব ভার ছিল ।
এতক্ষনে হুশ হলো তার,
বাচ্চাগুলো কার ছিল ।
হোকনা ওরা কোকিল, তবু
বুকটা কাকের ফাটছিলো ।
ছাদটা তখন কাকের কাছে
ব্যাথার ধু ধু মাঠ ছিল ।
কাকের মনের চিলেকোঠায়
গভীর শোকের দাগ ছিলো ।
অবশেষে বুঝলো যে, তার
চৌকাঠেতেই ফাঁক ছিল ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
( চৌকাঠেতেই ফাঁক ছিল )
--পলাশ মন্ডল ।
১৬/২/২০২০
চিলেকোঠার চৌকাঠে এক
মস্তবড় ফাঁক ছিল ।
সেই ফাঁকেতে লেজ বাঁকা এক
কাক ছিল ।
বানিয়ে বাসা কে জানে সে
কবে থেকেই থাকছিল !
হালিখানেক ডিম নিয়ে তা
হুলোর ভয়ে ঢাকছিল ।
দুদিন পরেই মা হবে, তার
স্বপ্ন মনে আঁকছিলো ।
চাতাল তলার পেঁপেগাছে
তিন টি পেঁপে পাকছিলো ।
শালিক-চড়াই না দেখে, তাই
চোখে চোখে রাখছিলো ।
গেট পেরিয়ে একটু দূরেই
চৌরাস্তার বাক ছিল ।
সেখান দিয়ে মিঠাই নিয়ে
ময়রা কাকু হাঁকছিলো ।
কাকুর মাথায় টাক ছিল ।
হলোই বা টাক, বুদ্ধিতে সে
একটু ছেঁড়া-তার ছিল ।
ঝুড়িতে তার মিষ্টি দইয়ের
হরেক রকম ভার ছিল ।
পেছন থেকে ছোকরারা সব
যে যার মতো ঝাড়ছিলো ।
এসব দেখে কাকের মনেও
আশার পারদ চড়ছিলো ।
চার চারটে বাচ্চা পোষার
প্রস্তূতিটা সারছিলো ।
ক'দিন পরেই মা হলো কাক,
বাচ্চা গুলো বাড়ছিল ।
চিলেকোঠার আড়ালটা তে
এক পা, দু'পা হাটছিলো ।
দিনগুলি বেশ কাটছিলো ।
সব কিছু ঠিকঠাক ছিল ।
হঠাৎ সেদিন কি যে হলো,
কাক টা ভীষণ ডাকছিলো ।
পালিয়ে গেছে বাচ্চারা, তাই
মন টা যে খুব ভার ছিল ।
এতক্ষনে হুশ হলো তার,
বাচ্চাগুলো কার ছিল ।
হোকনা ওরা কোকিল, তবু
বুকটা কাকের ফাটছিলো ।
ছাদটা তখন কাকের কাছে
ব্যাথার ধু ধু মাঠ ছিল ।
কাকের মনের চিলেকোঠায়
গভীর শোকের দাগ ছিলো ।
অবশেষে বুঝলো যে, তার
চৌকাঠেতেই ফাঁক ছিল ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
ধর্ম গুণে গুণান্বিত - রাকিবুল হাসান নয়ন
ধর্ম গুণে গুণান্বিত
রাকিবুল হাসান নয়ন
ধর্ম শিক্ষা বড় শিক্ষা
আলোর বিকিরণ
সদা সত্য পথে ভিক্ষা
প্রভুর সমর্পণ।
ধর্ম গুণে বাড়ে ভক্তি
বিধাতার সমীপে-
এক স্রষ্টা এক শক্তি
কোরআন জরিপে।
কেউ যদি সীমা ছাড়ি
কোরআন বিপক্ষে-
নাহি শান্তি শোভা তারি
যেনো-আসে স্বপক্ষে।
বিধি ধর্মে অবহেলা
আসবে কেয়ামত-
ধ্বংস হবে রঙ্গমেলা
অবৈধ সব পথ।
পৃথিবীতে বিধি মেনে
পরম করুণায়-
সদা সত্য পথ চেনে
প্রভুর দয়া পায়।
আশে-পাশে নবী গুণে
গুণান্বিত যেজন-
আল্লার রহম পুণ্যে
আউলিয়া সেজন।
Regards,
মোঃ রাকিবুল হাসান নয়ন | nayan441066@mail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
রাকিবুল হাসান নয়ন
ধর্ম শিক্ষা বড় শিক্ষা
আলোর বিকিরণ
সদা সত্য পথে ভিক্ষা
প্রভুর সমর্পণ।
ধর্ম গুণে বাড়ে ভক্তি
বিধাতার সমীপে-
এক স্রষ্টা এক শক্তি
কোরআন জরিপে।
কেউ যদি সীমা ছাড়ি
কোরআন বিপক্ষে-
নাহি শান্তি শোভা তারি
যেনো-আসে স্বপক্ষে।
বিধি ধর্মে অবহেলা
আসবে কেয়ামত-
ধ্বংস হবে রঙ্গমেলা
অবৈধ সব পথ।
পৃথিবীতে বিধি মেনে
পরম করুণায়-
সদা সত্য পথ চেনে
প্রভুর দয়া পায়।
আশে-পাশে নবী গুণে
গুণান্বিত যেজন-
আল্লার রহম পুণ্যে
আউলিয়া সেজন।
Regards,
মোঃ রাকিবুল হাসান নয়ন | nayan441066@mail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
( প্রতিবাদী কবি ও লেখক নবারুণ ভট্টাচার্যের স্মৃতির স্মরণে লেখা একটি শ্রদ্ধার্ঘ্য ) :- ( এসো নবারুণ ) --পলাশ মন্ডল ।
( প্রতিবাদী কবি ও লেখক নবারুণ ভট্টাচার্যের
স্মৃতির স্মরণে লেখা একটি শ্রদ্ধার্ঘ্য ) :-
( এসো নবারুণ )
--পলাশ মন্ডল ।
ঊষার আকাশে আবির ছড়ায়ে
প্রতিদিন ওঠে রবি ।
আধো ঘুমচোখে চেয়ে দেখি তার
শান্ত মুখচ্ছবি ।
যে রবি ওঠেনা প্রতিদিন , ওঠে -
শত বছরের পরে ,
ওঠে কৃষক , মজুর , কুলি , ডোম আর
মুচি , মেথরের তরে ।
ওঠে সোনালী দিনের স্বপ্ন সাজায়ে
নির্যাতিতের তরে ।
ওঠে ক্ষুধার্ত আর রুগ্ন, পীড়িত
পথশিশুদের তরে ।
স্মরণ করি সে নবারুনে আজ
পরম শ্রদ্ধাভরে ।
এসো মহীরুহ, এসো মহাপ্রাণ ,
বারবার এসো ফিরে ;
কান্ডারী হতে এই পৃথিবীর
রক্তনদীর তীরে ।
এসো নবারুণ , জ্বালাও তোমার
আধপোড়া সিগারেট ।
দেশলাই হাতে রয়েছে দাঁড়ায়ে
ক্ষুধার্ত শত পেট ।
রাতের মোটরগাড়ি'রা এখনো
এই রাস্তায় ছোটে ।
থকথকে ঘিলুমাখা পথে আজও
রক্তগোলাপ ফোটে ।
তোমার বৃদ্ধ ভিখিরি এখনো
কাঁপে অভিমানে শীতে ।
কম্বল আর দয়ার চাদর
কেউ যে আসেনা দিতে ।
এই মৃত্যুর উপত্যকা যে
তোমারি আপন দেশ ।
ফিরে এসো তার প্রতি ঘরে ঘরে,
হয়নি যে কাজ শেষ ।
ম্যাচ-বাক্সের মানুষেরা আজও
মাথা ঠুকে মরে হায় ।
নিজেদেরই জ্বালা আগুনে এখনো
নিজেরাই জ্বলে যায় ।
পারো যদি কিছু পেট্রোল এনে
ঢালো সে চিতার কাঠে ।
পেট্রোল দিয়ে নেভানো আগুনে
যদি কেউ জেগে ওঠে ?!
তোমার শীর্ণ কাঁধে তুলে নাও
অর্ধমৃতের লাশ ।
দেখো দেখো , কাঁধে না ডোবে সূর্য
না থামে দীর্ঘশ্বাস ।
জীবনে যাদের নিত্য উপোস,
পেটেতে ক্ষুধার বোঝা ।
বারুদ কিছুটা পুরে দিও মুখে,
হররোজ যার রোজা ।
পাঁচতারা যত হোটেলে, কাফেতে
খাদ্যতালিকা ঘেটে
কুকুরেরা খায় আজও গরিবের
রক্ত মাংস চেটে ।
তার সাথে খায় এইড্স চুম্বন
ঘেয়ো কুকুরেরা রোজ ।
গরিবের গড়া ইমারতে বসে
কুকুরের মহাভোজ ।
শূন্য দুধের বোতলে যে আজ,
ভরে গেছে সারাদেশ ।
দোলনা এখনো দুলে চলে একা,
কোথা এ দোলার শেষ ?
লক্ষ শিশুর মৃত্যু দোলনা
দোলে আকাশের গায় ।
এ কোন সুখের মৃত্যু ? শিশুরা -
মরতেই শুধু চায় ?!
তোমার প্রাণের প্রেয়সী এখনো
আত্মহত্যা করে ।
বারে বারে এসে জীবন-বাঁশরী
শোনাও তাহারও তরে ।
ওগো নবারুণ, এসো যুগে যুগে,
এসো ঘরে ঘরে তুমি ।
এ মহাশ্মশান তোমা-ছাড়া আজও
প্রাণহীন প্রেতভূমি ।।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
স্মৃতির স্মরণে লেখা একটি শ্রদ্ধার্ঘ্য ) :-
( এসো নবারুণ )
--পলাশ মন্ডল ।
ঊষার আকাশে আবির ছড়ায়ে
প্রতিদিন ওঠে রবি ।
আধো ঘুমচোখে চেয়ে দেখি তার
শান্ত মুখচ্ছবি ।
যে রবি ওঠেনা প্রতিদিন , ওঠে -
শত বছরের পরে ,
ওঠে কৃষক , মজুর , কুলি , ডোম আর
মুচি , মেথরের তরে ।
ওঠে সোনালী দিনের স্বপ্ন সাজায়ে
নির্যাতিতের তরে ।
ওঠে ক্ষুধার্ত আর রুগ্ন, পীড়িত
পথশিশুদের তরে ।
স্মরণ করি সে নবারুনে আজ
পরম শ্রদ্ধাভরে ।
এসো মহীরুহ, এসো মহাপ্রাণ ,
বারবার এসো ফিরে ;
কান্ডারী হতে এই পৃথিবীর
রক্তনদীর তীরে ।
এসো নবারুণ , জ্বালাও তোমার
আধপোড়া সিগারেট ।
দেশলাই হাতে রয়েছে দাঁড়ায়ে
ক্ষুধার্ত শত পেট ।
রাতের মোটরগাড়ি'রা এখনো
এই রাস্তায় ছোটে ।
থকথকে ঘিলুমাখা পথে আজও
রক্তগোলাপ ফোটে ।
তোমার বৃদ্ধ ভিখিরি এখনো
কাঁপে অভিমানে শীতে ।
কম্বল আর দয়ার চাদর
কেউ যে আসেনা দিতে ।
এই মৃত্যুর উপত্যকা যে
তোমারি আপন দেশ ।
ফিরে এসো তার প্রতি ঘরে ঘরে,
হয়নি যে কাজ শেষ ।
ম্যাচ-বাক্সের মানুষেরা আজও
মাথা ঠুকে মরে হায় ।
নিজেদেরই জ্বালা আগুনে এখনো
নিজেরাই জ্বলে যায় ।
পারো যদি কিছু পেট্রোল এনে
ঢালো সে চিতার কাঠে ।
পেট্রোল দিয়ে নেভানো আগুনে
যদি কেউ জেগে ওঠে ?!
তোমার শীর্ণ কাঁধে তুলে নাও
অর্ধমৃতের লাশ ।
দেখো দেখো , কাঁধে না ডোবে সূর্য
না থামে দীর্ঘশ্বাস ।
জীবনে যাদের নিত্য উপোস,
পেটেতে ক্ষুধার বোঝা ।
বারুদ কিছুটা পুরে দিও মুখে,
হররোজ যার রোজা ।
পাঁচতারা যত হোটেলে, কাফেতে
খাদ্যতালিকা ঘেটে
কুকুরেরা খায় আজও গরিবের
রক্ত মাংস চেটে ।
তার সাথে খায় এইড্স চুম্বন
ঘেয়ো কুকুরেরা রোজ ।
গরিবের গড়া ইমারতে বসে
কুকুরের মহাভোজ ।
শূন্য দুধের বোতলে যে আজ,
ভরে গেছে সারাদেশ ।
দোলনা এখনো দুলে চলে একা,
কোথা এ দোলার শেষ ?
লক্ষ শিশুর মৃত্যু দোলনা
দোলে আকাশের গায় ।
এ কোন সুখের মৃত্যু ? শিশুরা -
মরতেই শুধু চায় ?!
তোমার প্রাণের প্রেয়সী এখনো
আত্মহত্যা করে ।
বারে বারে এসে জীবন-বাঁশরী
শোনাও তাহারও তরে ।
ওগো নবারুণ, এসো যুগে যুগে,
এসো ঘরে ঘরে তুমি ।
এ মহাশ্মশান তোমা-ছাড়া আজও
প্রাণহীন প্রেতভূমি ।।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
স্বাধীনতা তুমি হারালে। সুজন মাহমুদ
স্বাধীনতা তুমি হারালে।
সুজন মাহমুদ
স্কুল কলেজ গার্মেন্টস থেকে নারী হবে বস্রহারা।
এসিড দিবো ছুড়ে শ্রমিকের থালাভরা ভাতে।
কেড়ে নিবো তোমার,
গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা।
রাজনীতিবিদ বুদ্ধিজীবীরা হবে দেশদ্রোহী, ফাঁসির মঞ্চে এনে বিষ প্রয়োগে করিবো
হত্যা।
কবি সাহিত্যিক দার্শনিক সকলেই হবে রাজবন্দী।
সংসদ, অট্টালিকা, মেট্টরেল,
হাতিঝিল একনিমিষে দিবো গুড়িয়ে।
রাজপথ ভাসিয়ে দিবো রক্ত স্রোতে,
সাইক্লোন দিয়ে উড়িয়ে দিবো সুন্দরবন।
দাবানলে দিবো ছাই করে ফসলি মাঠ।
কেড়ে নিবো কৃষকের হাত, ফসল যেনো না ফলে এই মাঠে।
সকলে যেনো অনাহারে আমার চরণ তলে মাথা ঠুকে।
তোমার বায়ান্ন একাত্তরের ইতিহাস দিবো মুছে।
এই মৃত্তিকায় থাকবে না কোন শহীদের রক্তচিহ্ন।
থাকবে না কোন ইতিহাস।
আমি লেখে দিবো তিনকালের ইতিহাস।
আমি শোষক
তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ একশো চুয়াল্লিশ দারা থাকবে অনন্তকাল।
সশস্ত্র বাহিনী আমার একান্ত অনুগত।
কেও আমার বিরুদ্ধে গেলে তারা হবে নির্বাসিত।
আমি হবো একনায়তন্ত্র
তোমার তিন কালের ইতিহাস।
স্বাধীনতা তুমি যদি চলে যাও, রক্ত হাতে করিবো শরাপ পান।
আমার জন্মভূমি আমাকে দিয়ো সাড়ে তিন হাত ভূমি।
না হয় কেড়ে নিবো তোমার সার্বভৌমত্ব।
ছিঁড়ে নিবো মানচিত্র।
Regards,
সুজন মাহমুদ | Sujanmahmud1@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
সুজন মাহমুদ
স্কুল কলেজ গার্মেন্টস থেকে নারী হবে বস্রহারা।
এসিড দিবো ছুড়ে শ্রমিকের থালাভরা ভাতে।
কেড়ে নিবো তোমার,
গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা।
রাজনীতিবিদ বুদ্ধিজীবীরা হবে দেশদ্রোহী, ফাঁসির মঞ্চে এনে বিষ প্রয়োগে করিবো
হত্যা।
কবি সাহিত্যিক দার্শনিক সকলেই হবে রাজবন্দী।
সংসদ, অট্টালিকা, মেট্টরেল,
হাতিঝিল একনিমিষে দিবো গুড়িয়ে।
রাজপথ ভাসিয়ে দিবো রক্ত স্রোতে,
সাইক্লোন দিয়ে উড়িয়ে দিবো সুন্দরবন।
দাবানলে দিবো ছাই করে ফসলি মাঠ।
কেড়ে নিবো কৃষকের হাত, ফসল যেনো না ফলে এই মাঠে।
সকলে যেনো অনাহারে আমার চরণ তলে মাথা ঠুকে।
তোমার বায়ান্ন একাত্তরের ইতিহাস দিবো মুছে।
এই মৃত্তিকায় থাকবে না কোন শহীদের রক্তচিহ্ন।
থাকবে না কোন ইতিহাস।
আমি লেখে দিবো তিনকালের ইতিহাস।
আমি শোষক
তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ একশো চুয়াল্লিশ দারা থাকবে অনন্তকাল।
সশস্ত্র বাহিনী আমার একান্ত অনুগত।
কেও আমার বিরুদ্ধে গেলে তারা হবে নির্বাসিত।
আমি হবো একনায়তন্ত্র
তোমার তিন কালের ইতিহাস।
স্বাধীনতা তুমি যদি চলে যাও, রক্ত হাতে করিবো শরাপ পান।
আমার জন্মভূমি আমাকে দিয়ো সাড়ে তিন হাত ভূমি।
না হয় কেড়ে নিবো তোমার সার্বভৌমত্ব।
ছিঁড়ে নিবো মানচিত্র।
Regards,
সুজন মাহমুদ | Sujanmahmud1@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
পল্লির কাজ || কবি আমিনুল হক
![]() |
কৃষকদের এত কষ্ট
আগে জানি নে,
রাত দিন পরিশ্রম করে
কষ্টে কাটায় সে।
জেলেরা মাছ ধরে
নদীর তীরে গিয়ে
তখন জেলে খুশি হয়
বড় মাছ উঠলে।
পল্লি গায়ের নৌকার মাঝি
গায় যে দেশের গান,
এমন গানে এমন সুরে
জুরায় সবার প্রাণ।
কুমার বানায় মাটির হাড়ি
করে কত সাজ,
মুচি করে জুতা সেলাই
নেই তো কোন লাজ।
কামার করে লোহার কাজ
বানায় কত কি,
নাপিত বলে আমরাই তো
সম্মানে থাকি।
পল্লি গায়ের মানবগুলি
করে নানান কাজ,
উৎসবে মেতে উঠে
করে সবাই সাজ।
"একাঙ্ক নাটক " অন্তরাত্মা - বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত
"একাঙ্ক নাটক "
অন্তরাত্মা
বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত
[ দীপ্ত,তনু,অর্ক,শুভ্র, অঙ্কিত নিজেদের মধ্যে কথা বলছে,এমনসময় ব্যাকগ্রাউন্ডে
এক মহিলা কন্ঠস্বর ধ্বণিত হতে থাকেঃ
" মা তোমার গর্ভে দশমাস দশদিন পূরণের আগেই, এক উথাল-পাতাল আলোড়ন উঁকি মারে
তোমার জঠরের চারপাশে
খানিক বাদেই মাংস পিন্ডের ডেলাটা ঝুপ করে যখন পড়ল ডাক্তারের হাতে, তখনও বুঝিনি
আমার মৃত্যু হল, মৃত্যু হলো তোমারই মতে!
মা,আমিও তো তুমি হয়ে উঠতে পারতাম কিম্বা দিদির বোন হয়ে একসাথে হাসতে পারতাম,
গাইতে পারতাম।
মা,মাগো বলো না গো-এ লজ্জা কার???
বর্তমানের আগেই,আজ আমি এক পাতাহীন ইতিহাস।"
সূত্রধর-ইতিহাস!ইতিহাস! চলুন না আমরা সবাই না হয় ফিরে তাকাই, তেমনই কিছু
ইতিহাসের দিকে... ]
অর্ক-হ্যাঁ রে দীপ্ত, কী শুনছি! আজও কী ভ্রূণ হত্যা হয়!!
দীপ্ত - নাহলে কী এ কবিতা লেখা হতো?
অঙ্কিত - দীপ্ত ঠিকই বলেছে।
শুভ্র-হবে না কেন? এমন সব কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াবার মত মানুষ আজ আর
কোথায়?সমাজটা পুরোপুরি বদলের আগেই,তারা তো চলে গেছেন।
তনু-কাদের কথা বলছিস শুভ্র?
শুভ্র - যেমন ধর না, বিদ্যাসাগরের মত মানুষ! এঁদের কথা ভুলি কেমন করে!
অর্ক-ভুলব কেন? নারী মুক্তির লক্ষ্যে, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধাচারণ, নারী শিক্ষা
বিস্তার ,বিধবা বিবাহের প্রচলন ইত্যাদি সংস্কারমূলক কাজে বিদ্যাসাগরের কথা
আমরা তো বইতেই পড়েছি।
অঙ্কিত - শুধু কী তাই?আরও আছে।
তনু- হ্যাঁ আছে তো।আরে পড়িস নি,বাংলা গদ্যে প্রাণসঞ্চার করে, তিনিই তো গদ্যে
নতুন দিশা দেখিয়ে গেছেন।
দীপ্ত-আরে ওটা ভুলে গেলি?
অর্ক- কী? সেটা তুই-ই বল।
দীপ্ত-বাংলাভাষায় পাংচুয়েশন-এর পথিকৃৎ তো তিনিই।
তনু- তাহলে ভাব, তার আগে বাক্যের ভেতরে কোনো দাড়ি,কমা থাকত না।একবার শুরু হলে,
বাক্য চলছে তো চলছে, চলছে তো চলছেই...
অঙ্কিত - বর্ণপরিচয়ের কথা সবাই ভুলে গেলি কীকরে!
দীপ্ত,অর্ক, শুভ্র - ভুলবো কেনো?
তনু- ওটাই তো আমাদের লিখতে শিখিয়েছে।
অঙ্কিত -একদম তাই।সত্যি ভাবলে অবাক হতে হয়।আমাদের যাবতীয় কুসংস্কারও তাঁর চোখ
এড়ায় নি।
অর্ক- সে তো বটেই। কুসংস্কার দূরীকরণে অবশ্যই তাঁর ভূমিকা ছিল।তাঁদের মত
মানুষেরা, এতসব করে গেলেও, আমরা সবাই আজও কী সেভাবে বদলাতে পেরেছি!
তনু- প্রকৃত অর্থে আমরা আর পাল্টালাম কই? আজও দেখ, কন্যা ভ্রূণ হত্যা
হচ্ছে,আজও কোথাও না কোথাও, বাল্যবিবাহ ঘটে চলেছে! বলুন না, আপনারাই বলুন।ভুল
কিছু বলছি কী?
শুভ্র - ঠিকই বলেছিস তনু। তুই তো ভুল কিছু বলিস নি।
অর্ক,অঙ্কিত, দীপ্ত (একসাথে)-হ্যাঁ ঠিক-ই বলেছিস।
শুভ্র-আমরা না আধুনিক, না পুরোনো গোছের এক কিম্ভুতকিমাকার হয়ে রইলাম।
অঙ্কিত - হ্যাঁ রে বিদ্যাসাগর বা তাঁর মত মানুষের আজও আমাদের দরকার।অথচ...
[ স্বপ্নময় আলোয় ব্যাকগ্রাউন্ডে এক দীপ্তময় কন্ঠস্বরঃ ]
বারবার আঁধার ঘিরে ধরে
বারবার না কর্মের চাষ-
ভাষাহীন লজ্জার মূলে
কে ছড়াবে পবিত্র সুবাস??
আমি ঈশ্বর দেখিনি,পেয়েছি তোমায়
অবশেষে, তুমিও আজ ভূপতিত-
পড়ে থাকা গুঁড়ো গুঁড়ো কণা!
সে কণায় আমি দেখি বর্ণমালা।
তুমি বলো না সাগর
আমার ঈশ্বর-
আর কত লজ্জা লুকাবো
আর কত ক্ষত-জ্বালা শেষে
আর কত রজনীর পরে
কোনো এক কাক ভোরে
ফের ব'য়ে যাবে শুদ্ধ বাতাস???
বন্ধ হোক সেইদিন চিরতরে বিষাক্ত নিঃশ্বাস।]
অর্ক- গলাটা খুব চেনা মনে হচ্ছে না?
দীপ্ত - কার? কার কন্ঠ এটা ?
তনু - চিনলি না!ওটা আমাদের অন্তরাত্মা।চল না, তাঁকে স্মরণ করে, সত্যিকারের
একটা নতুন সকালের কাছে পৌঁছাতে একটা চেষ্টা অন্তত আমরা করি।
[স্বপ্নময় আলো ধীরেধীরে উজ্জ্বল হতে থাকে আর ওরা এগোতে থাকে সামনের দিকে।ঠিক
তখনই একটা কন্ঠস্বর ভেসে আসে]
-তোমরা বেশ ঘটা করে স্মরণ করছ দেখছি।
অর্ক-কে তুমি?
-ধরে নাও না,আমি-ই) তাঁর ছায়া।
দীপ্ত, তনু, অর্ক(সকলে সমস্বরে) - বিদ্যাসাগর!!!
- না।বললাম তো, তাঁর ছায়া।
দীপ্ত, তনু, অর্ক (সকলে একসাথে )-আমরা তোমার আশীষ চাই। অভয় দাও। সমাজটাকে
সত্যি যেন আমরা বদলাতে পারি।
- শোনো আমাকে স্মরণ করার চাইতে, সে কাজেই তোমরা মন দাও।তোমাদের এই হুঁশ ফেরাই
হয়ত আগামীর আলোর ইশারা।যাও এগিয়ে যাও...
দীপ্ত, তনু, অর্ক (সকলে সমস্বরে )-আমরা এগোচ্ছি ঈশ্বর।আমরা এগোচ্ছি...
[" চল চল চল ঊর্ধগগনে বাজে মাদল "- এর তালে তালে, ওরা এগোতে থাকে সামনের
দিকে...]
(সমাপ্ত)
Regards,
বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত(শ্রীসেন) | biswajit.sengupta40a@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
অন্তরাত্মা
বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত
[ দীপ্ত,তনু,অর্ক,শুভ্র, অঙ্কিত নিজেদের মধ্যে কথা বলছে,এমনসময় ব্যাকগ্রাউন্ডে
এক মহিলা কন্ঠস্বর ধ্বণিত হতে থাকেঃ
" মা তোমার গর্ভে দশমাস দশদিন পূরণের আগেই, এক উথাল-পাতাল আলোড়ন উঁকি মারে
তোমার জঠরের চারপাশে
খানিক বাদেই মাংস পিন্ডের ডেলাটা ঝুপ করে যখন পড়ল ডাক্তারের হাতে, তখনও বুঝিনি
আমার মৃত্যু হল, মৃত্যু হলো তোমারই মতে!
মা,আমিও তো তুমি হয়ে উঠতে পারতাম কিম্বা দিদির বোন হয়ে একসাথে হাসতে পারতাম,
গাইতে পারতাম।
মা,মাগো বলো না গো-এ লজ্জা কার???
বর্তমানের আগেই,আজ আমি এক পাতাহীন ইতিহাস।"
সূত্রধর-ইতিহাস!ইতিহাস! চলুন না আমরা সবাই না হয় ফিরে তাকাই, তেমনই কিছু
ইতিহাসের দিকে... ]
অর্ক-হ্যাঁ রে দীপ্ত, কী শুনছি! আজও কী ভ্রূণ হত্যা হয়!!
দীপ্ত - নাহলে কী এ কবিতা লেখা হতো?
অঙ্কিত - দীপ্ত ঠিকই বলেছে।
শুভ্র-হবে না কেন? এমন সব কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াবার মত মানুষ আজ আর
কোথায়?সমাজটা পুরোপুরি বদলের আগেই,তারা তো চলে গেছেন।
তনু-কাদের কথা বলছিস শুভ্র?
শুভ্র - যেমন ধর না, বিদ্যাসাগরের মত মানুষ! এঁদের কথা ভুলি কেমন করে!
অর্ক-ভুলব কেন? নারী মুক্তির লক্ষ্যে, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধাচারণ, নারী শিক্ষা
বিস্তার ,বিধবা বিবাহের প্রচলন ইত্যাদি সংস্কারমূলক কাজে বিদ্যাসাগরের কথা
আমরা তো বইতেই পড়েছি।
অঙ্কিত - শুধু কী তাই?আরও আছে।
তনু- হ্যাঁ আছে তো।আরে পড়িস নি,বাংলা গদ্যে প্রাণসঞ্চার করে, তিনিই তো গদ্যে
নতুন দিশা দেখিয়ে গেছেন।
দীপ্ত-আরে ওটা ভুলে গেলি?
অর্ক- কী? সেটা তুই-ই বল।
দীপ্ত-বাংলাভাষায় পাংচুয়েশন-এর পথিকৃৎ তো তিনিই।
তনু- তাহলে ভাব, তার আগে বাক্যের ভেতরে কোনো দাড়ি,কমা থাকত না।একবার শুরু হলে,
বাক্য চলছে তো চলছে, চলছে তো চলছেই...
অঙ্কিত - বর্ণপরিচয়ের কথা সবাই ভুলে গেলি কীকরে!
দীপ্ত,অর্ক, শুভ্র - ভুলবো কেনো?
তনু- ওটাই তো আমাদের লিখতে শিখিয়েছে।
অঙ্কিত -একদম তাই।সত্যি ভাবলে অবাক হতে হয়।আমাদের যাবতীয় কুসংস্কারও তাঁর চোখ
এড়ায় নি।
অর্ক- সে তো বটেই। কুসংস্কার দূরীকরণে অবশ্যই তাঁর ভূমিকা ছিল।তাঁদের মত
মানুষেরা, এতসব করে গেলেও, আমরা সবাই আজও কী সেভাবে বদলাতে পেরেছি!
তনু- প্রকৃত অর্থে আমরা আর পাল্টালাম কই? আজও দেখ, কন্যা ভ্রূণ হত্যা
হচ্ছে,আজও কোথাও না কোথাও, বাল্যবিবাহ ঘটে চলেছে! বলুন না, আপনারাই বলুন।ভুল
কিছু বলছি কী?
শুভ্র - ঠিকই বলেছিস তনু। তুই তো ভুল কিছু বলিস নি।
অর্ক,অঙ্কিত, দীপ্ত (একসাথে)-হ্যাঁ ঠিক-ই বলেছিস।
শুভ্র-আমরা না আধুনিক, না পুরোনো গোছের এক কিম্ভুতকিমাকার হয়ে রইলাম।
অঙ্কিত - হ্যাঁ রে বিদ্যাসাগর বা তাঁর মত মানুষের আজও আমাদের দরকার।অথচ...
[ স্বপ্নময় আলোয় ব্যাকগ্রাউন্ডে এক দীপ্তময় কন্ঠস্বরঃ ]
বারবার আঁধার ঘিরে ধরে
বারবার না কর্মের চাষ-
ভাষাহীন লজ্জার মূলে
কে ছড়াবে পবিত্র সুবাস??
আমি ঈশ্বর দেখিনি,পেয়েছি তোমায়
অবশেষে, তুমিও আজ ভূপতিত-
পড়ে থাকা গুঁড়ো গুঁড়ো কণা!
সে কণায় আমি দেখি বর্ণমালা।
তুমি বলো না সাগর
আমার ঈশ্বর-
আর কত লজ্জা লুকাবো
আর কত ক্ষত-জ্বালা শেষে
আর কত রজনীর পরে
কোনো এক কাক ভোরে
ফের ব'য়ে যাবে শুদ্ধ বাতাস???
বন্ধ হোক সেইদিন চিরতরে বিষাক্ত নিঃশ্বাস।]
অর্ক- গলাটা খুব চেনা মনে হচ্ছে না?
দীপ্ত - কার? কার কন্ঠ এটা ?
তনু - চিনলি না!ওটা আমাদের অন্তরাত্মা।চল না, তাঁকে স্মরণ করে, সত্যিকারের
একটা নতুন সকালের কাছে পৌঁছাতে একটা চেষ্টা অন্তত আমরা করি।
[স্বপ্নময় আলো ধীরেধীরে উজ্জ্বল হতে থাকে আর ওরা এগোতে থাকে সামনের দিকে।ঠিক
তখনই একটা কন্ঠস্বর ভেসে আসে]
-তোমরা বেশ ঘটা করে স্মরণ করছ দেখছি।
অর্ক-কে তুমি?
-ধরে নাও না,আমি-ই) তাঁর ছায়া।
দীপ্ত, তনু, অর্ক(সকলে সমস্বরে) - বিদ্যাসাগর!!!
- না।বললাম তো, তাঁর ছায়া।
দীপ্ত, তনু, অর্ক (সকলে একসাথে )-আমরা তোমার আশীষ চাই। অভয় দাও। সমাজটাকে
সত্যি যেন আমরা বদলাতে পারি।
- শোনো আমাকে স্মরণ করার চাইতে, সে কাজেই তোমরা মন দাও।তোমাদের এই হুঁশ ফেরাই
হয়ত আগামীর আলোর ইশারা।যাও এগিয়ে যাও...
দীপ্ত, তনু, অর্ক (সকলে সমস্বরে )-আমরা এগোচ্ছি ঈশ্বর।আমরা এগোচ্ছি...
[" চল চল চল ঊর্ধগগনে বাজে মাদল "- এর তালে তালে, ওরা এগোতে থাকে সামনের
দিকে...]
(সমাপ্ত)
Regards,
বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত(শ্রীসেন) | biswajit.sengupta40a@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
স্বপ্ন - মহব্বত হোসেন সরদার
স্বপ্ন
মহব্বত হোসেন সরদার
স্বপ্ন তুমি যুগে যুগে ঘুরে ঘুরে
মানবের কানে কানে আর মুদিত চোখে
তোমার যন্ত্রের মাধ্যমে দেখায়ে যেতেছো
কাউকে আশাতে ভাসাছো
কাউকে ভাষাতে ভাসাায়েছো
কাউকে অবিরাম কাদাঁয়েছো
মৃত্যুর মাঝে নিয়ে গেছো জনমেরে
তোমার মাঝে সাধনায় পড়ে কতো মানুষ পেলো তাদের সাধনার ধন
তোমার মাঝে সাধনার আসন গেড়ে
কেউ হারালো তার সমস্ত জীবন
সে বুঝতেেই পারলো না
কখন চলে গেলো তার সাধের যৌবন ।স্বপ্ন আজো তোমার মাঝে বাস করে
পৃথিবীর আটশত কোটি মানুষ
কেউ তাড়া তাড়ি বড় হতে
কেউ তাড়াতাড়ি মরে যেতে
কেউ দুমুঠো ভাত খেতে
কেউ পরকালে জান্নাত পেতে
স্বপ্ন তোমার মাঝে পড়ে আছে
সমস্ত পৃথিবী
আসলে তোমার সাধনায়
তোমার কামনায়
তোমার প্রার্থনায়
জীবনের সমস্ত স্রোত চলছে ভাটার দিকে ।
Regards,
Mohabbat Hossain Sardar | mohabbathossain00@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
মহব্বত হোসেন সরদার
স্বপ্ন তুমি যুগে যুগে ঘুরে ঘুরে
মানবের কানে কানে আর মুদিত চোখে
তোমার যন্ত্রের মাধ্যমে দেখায়ে যেতেছো
কাউকে আশাতে ভাসাছো
কাউকে ভাষাতে ভাসাায়েছো
কাউকে অবিরাম কাদাঁয়েছো
মৃত্যুর মাঝে নিয়ে গেছো জনমেরে
তোমার মাঝে সাধনায় পড়ে কতো মানুষ পেলো তাদের সাধনার ধন
তোমার মাঝে সাধনার আসন গেড়ে
কেউ হারালো তার সমস্ত জীবন
সে বুঝতেেই পারলো না
কখন চলে গেলো তার সাধের যৌবন ।স্বপ্ন আজো তোমার মাঝে বাস করে
পৃথিবীর আটশত কোটি মানুষ
কেউ তাড়া তাড়ি বড় হতে
কেউ তাড়াতাড়ি মরে যেতে
কেউ দুমুঠো ভাত খেতে
কেউ পরকালে জান্নাত পেতে
স্বপ্ন তোমার মাঝে পড়ে আছে
সমস্ত পৃথিবী
আসলে তোমার সাধনায়
তোমার কামনায়
তোমার প্রার্থনায়
জীবনের সমস্ত স্রোত চলছে ভাটার দিকে ।
Regards,
Mohabbat Hossain Sardar | mohabbathossain00@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
সেদিন ও আমি - মহব্বত এইচ সরদার
সেদিন ও আমি
মহব্বত এইচ সরদার
সেদিন ও আমি
তোমার পাশে
শরীরের পোশাকের মতন
তোমারে ঝাপটে ধরে
সময়েরে স্রোতে ভেসে যেতে যেতে
তোমারে ডেকে ডেকে বললো ,
প্রিয়া আমার ,আমি তো আজো আছি তোমারই
এই দেখো আমিই সেই তোমার ।
আজ,
আকাশের মাঝেখানটা চিরে গেছে
কোন সে ঠাটা পড়ে
আজ তোমার আমার দেখার আলোক কণা
নিভে নিভে হয়েছে অন্ধকার
এই দিন ও শেষ হয়ে যাবে
এই দিনও তো সেদিনের কাছে বলে দিবে
আমি তো সেই তার কাছে থেকেই এসেছি ।
আমি তো তোমারেই ভালোবেসেছি
আমি তো তোমারই হাসিতে হেসেছি
আমি তো তোমারই কাদঁনে কেদেঁছি
তুমি তো তা দেখনি
দেখবে নাও আর কোন দিন
কেননা সে দৃষ্টি তো তোমার আর নেই ।
যখন সমস্ত শেষ হয়ে যাবে
যখন শেষ হওয়ার পর আবার শুরু হবে
তখন দেখবে তোমার প্রেমটিও আমার প্রতি সেরকমই জন্মায়েছে ।
তখন তুমিও তো বলবে আমাকে ডেকে ডেকে ----
আমিও তো তোমারেই ভালোবেসেছিলাম ।
Regards,
মহব্বত হোসেন সরদার | mohabbathossain00@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
মহব্বত এইচ সরদার
সেদিন ও আমি
তোমার পাশে
শরীরের পোশাকের মতন
তোমারে ঝাপটে ধরে
সময়েরে স্রোতে ভেসে যেতে যেতে
তোমারে ডেকে ডেকে বললো ,
প্রিয়া আমার ,আমি তো আজো আছি তোমারই
এই দেখো আমিই সেই তোমার ।
আজ,
আকাশের মাঝেখানটা চিরে গেছে
কোন সে ঠাটা পড়ে
আজ তোমার আমার দেখার আলোক কণা
নিভে নিভে হয়েছে অন্ধকার
এই দিন ও শেষ হয়ে যাবে
এই দিনও তো সেদিনের কাছে বলে দিবে
আমি তো সেই তার কাছে থেকেই এসেছি ।
আমি তো তোমারেই ভালোবেসেছি
আমি তো তোমারই হাসিতে হেসেছি
আমি তো তোমারই কাদঁনে কেদেঁছি
তুমি তো তা দেখনি
দেখবে নাও আর কোন দিন
কেননা সে দৃষ্টি তো তোমার আর নেই ।
যখন সমস্ত শেষ হয়ে যাবে
যখন শেষ হওয়ার পর আবার শুরু হবে
তখন দেখবে তোমার প্রেমটিও আমার প্রতি সেরকমই জন্মায়েছে ।
তখন তুমিও তো বলবে আমাকে ডেকে ডেকে ----
আমিও তো তোমারেই ভালোবেসেছিলাম ।
Regards,
মহব্বত হোসেন সরদার | mohabbathossain00@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
একান্যের
"একান্যের"
শামীম আহমেদ
************
মনে কর তুমি ফুল আমি তোমার ভ্রমর,
আমি নিত্য তোমার মধু নিতে আসব!
তোমায় আদর দেব এবং ভালবাসা।
মনে কর তুমি আকাশ আমি সেই নীলাকাশের তারা! তোমার গায়ে ঘেষে মিলেমিশে তোমার
ছোয়ায় হয়ে গেছি দিশেহারা দিশেহারা!*********
মনেকর আমি তোমার হাতের একটা পুতুল
ভেঙেও তুমি ফেলতে পার আবার ভালোও তুমি বাসতে পার**********
মনেকর তুমি গান আমি তোমার গানের সুর!
আমি যদি নাইবা থাকি তোমার দাম আছেই বা কী ?
মনেকর আমি কবি তুমি আমার কবিতা তুমি যদি নাইবা থাক আমায় কি কেউ কবি বলবে নাকি?
************
আমরা একে অপরের
আমরা দুজন দুজনের!মনেকর তুমি নদী আমিসে নদীর জল
একই স্রোতে চলি পাশাপাশি দুটি ঢেউ ব্যাথা দিলে কেউ কাউকে আখিজলে টলোমল টলোমল।
আমরা কালো করি সবি আবার আমাদের কারনেই এতো সুন্দর পৃথিবী।
Regards,
Sammim ahmed | ahmedsammim@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
শামীম আহমেদ
************
মনে কর তুমি ফুল আমি তোমার ভ্রমর,
আমি নিত্য তোমার মধু নিতে আসব!
তোমায় আদর দেব এবং ভালবাসা।
মনে কর তুমি আকাশ আমি সেই নীলাকাশের তারা! তোমার গায়ে ঘেষে মিলেমিশে তোমার
ছোয়ায় হয়ে গেছি দিশেহারা দিশেহারা!*********
মনেকর আমি তোমার হাতের একটা পুতুল
ভেঙেও তুমি ফেলতে পার আবার ভালোও তুমি বাসতে পার**********
মনেকর তুমি গান আমি তোমার গানের সুর!
আমি যদি নাইবা থাকি তোমার দাম আছেই বা কী ?
মনেকর আমি কবি তুমি আমার কবিতা তুমি যদি নাইবা থাক আমায় কি কেউ কবি বলবে নাকি?
************
আমরা একে অপরের
আমরা দুজন দুজনের!মনেকর তুমি নদী আমিসে নদীর জল
একই স্রোতে চলি পাশাপাশি দুটি ঢেউ ব্যাথা দিলে কেউ কাউকে আখিজলে টলোমল টলোমল।
আমরা কালো করি সবি আবার আমাদের কারনেই এতো সুন্দর পৃথিবী।
Regards,
Sammim ahmed | ahmedsammim@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
জন্মভূমি
"জন্মভুমি"
শামীম আহমেদ
***********
অনবরত তব শ্রীবাণী মম মর্মে জাগে!
হৃদয় আকুল কর,নিশিতে জাগরণ তব কারনে!
উত্তপ্ত ভাবনা,স্বর্বস্ব পাবার সাধনা সঞ্চার মর্মবাগে~
তপ্তে সুপ্তি নাই তব সুদৃশ্য দর্শাতে যাই ফুল বাগানে উদার ময়দানে গগনচুম্মি
উড়াল পংখি আসে মধুহরনে***********জুড়ায় মন প্রভাতের নিশির-শিশির তাই ছুটি
কুসুমবাগে!.
নব সফরে,জনদশ৲কে জটলাবেঁধে গেছিলাম কুয়াকাটায় ব্যাড়াতে;
মরিচিকার মত মরূতে হরদম দার্শনিক কত সুধা সেখানে!!!
**************************************তোমায় ছেড়ে এতো মায়া কোথায় রেখে কার
মনচায়প্রবাসি হইতে! তবে কি পাব যা পাই তোমার গহিনতলে ডুবে
নাইতে?************ ঊষার সুবভীশ্বাস,জীবনের সম্ভাষণে যাবনা তোমায় ছেরে!
নীলা দরিয়ার স্রোতে ভেসে যাবারক্ষণে আমায় রেকখেছো ধরে!*****
তূমি গর্ভধারিনী নাহলেও দুখিনী মম পোষমানাইতে!
তোর চরণতলে ঠাই দে,মোর লাগি না কার লাগি তোর অশ্রুঝরে!!
Regards,
Sammim ahmed | ahmedsammim@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
শামীম আহমেদ
***********
অনবরত তব শ্রীবাণী মম মর্মে জাগে!
হৃদয় আকুল কর,নিশিতে জাগরণ তব কারনে!
উত্তপ্ত ভাবনা,স্বর্বস্ব পাবার সাধনা সঞ্চার মর্মবাগে~
তপ্তে সুপ্তি নাই তব সুদৃশ্য দর্শাতে যাই ফুল বাগানে উদার ময়দানে গগনচুম্মি
উড়াল পংখি আসে মধুহরনে***********জুড়ায় মন প্রভাতের নিশির-শিশির তাই ছুটি
কুসুমবাগে!.
নব সফরে,জনদশ৲কে জটলাবেঁধে গেছিলাম কুয়াকাটায় ব্যাড়াতে;
মরিচিকার মত মরূতে হরদম দার্শনিক কত সুধা সেখানে!!!
**************************************তোমায় ছেড়ে এতো মায়া কোথায় রেখে কার
মনচায়প্রবাসি হইতে! তবে কি পাব যা পাই তোমার গহিনতলে ডুবে
নাইতে?************ ঊষার সুবভীশ্বাস,জীবনের সম্ভাষণে যাবনা তোমায় ছেরে!
নীলা দরিয়ার স্রোতে ভেসে যাবারক্ষণে আমায় রেকখেছো ধরে!*****
তূমি গর্ভধারিনী নাহলেও দুখিনী মম পোষমানাইতে!
তোর চরণতলে ঠাই দে,মোর লাগি না কার লাগি তোর অশ্রুঝরে!!
Regards,
Sammim ahmed | ahmedsammim@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
অধিকার চাই - আল মামুন বিল্লাহ
অধিকার চাই
আল মামুন বিল্লাহ
ফুটেছে অগ্নিঝড়া ফুল
বিষাক্ত পাপড়ি নিয়ে।
শত লাথির আঘাতের পর
বেধ করা দুর্ভেদ্য ঝোপঝাড়
শত শত চেষ্টায়
পেয়েছে সূর্য মায়ের হাসি ।
হোম করা হুঙ্কার
আজ দেখিবে শতবার।
বহু যাতনায় লিখেছিল আমার নাম।
আজ বলিব বার। কিরূপে হয়েছিলে অনাথের কান্ডারি ।ছিল না যেখানে নিম্নস্হ আকুতি।
তুমি ছিলে গোলাভরা মালে পাপে ছিল ঘর ভরা জোটা। যেখানে ফুটপাতে এখনো শুয়ে থাকে
কৃষ্ট পাজর গুলি ।তাই তো ফুটেছে অগ্নিঝড়া ফুল। তোমারি পায়ের তলায় ওঠিবে
তোমারি শির পৃষ্ঠে শত লাঞ্চনায়।।
Regards,
Al Mamun billah | Almamunbillah22@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
আল মামুন বিল্লাহ
ফুটেছে অগ্নিঝড়া ফুল
বিষাক্ত পাপড়ি নিয়ে।
শত লাথির আঘাতের পর
বেধ করা দুর্ভেদ্য ঝোপঝাড়
শত শত চেষ্টায়
পেয়েছে সূর্য মায়ের হাসি ।
হোম করা হুঙ্কার
আজ দেখিবে শতবার।
বহু যাতনায় লিখেছিল আমার নাম।
আজ বলিব বার। কিরূপে হয়েছিলে অনাথের কান্ডারি ।ছিল না যেখানে নিম্নস্হ আকুতি।
তুমি ছিলে গোলাভরা মালে পাপে ছিল ঘর ভরা জোটা। যেখানে ফুটপাতে এখনো শুয়ে থাকে
কৃষ্ট পাজর গুলি ।তাই তো ফুটেছে অগ্নিঝড়া ফুল। তোমারি পায়ের তলায় ওঠিবে
তোমারি শির পৃষ্ঠে শত লাঞ্চনায়।।
Regards,
Al Mamun billah | Almamunbillah22@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
সাহিত্য কণিকাকে জানাই আন্তরিক সুভেচ্ছা ও অভিন্দন!এটা খুব যুগোপযোগী একটি
অনলাইন ম্যাগাজিন!আমি সাহিত্য কণিকার সুভকামনা করছি*
Regards,
Sammim ahmed | ahmedsammim@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
অনলাইন ম্যাগাজিন!আমি সাহিত্য কণিকার সুভকামনা করছি*
Regards,
Sammim ahmed | ahmedsammim@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
শ্রাবণের কুয়াশায়
শ্রাবণের কুয়াশায়
শরীফ আহমেদ
আমি বৃষ্টি দেখেছি তোমার সাথে
আমি মেঘ ছুঁয়েছি তোমার সাথে
আমি শ্রাবণের কুয়াশার মতো আবছা আঁধারে ঢাকা
আজব মেঘের জগৎ দেখেছি তোমার সাথে
এখানে মেঘেরা ছুটে আসে আমাদের ঘরে
ভিজিয়ে দেয় আমাদের বিছানা
তুষারের মতো মেঘের ছোঁয়ায়
ভরেছে বিকেলের আলতো সময়গুলো...
এখানে বর্ষার জল জমে আছে
পাহাড়ের অনেক ওপরে
পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে বয়ে যায় ভালোবাসার নদী,
দিগন্তে জুড়ে মেঘের কাজল রেখার সাথে
ধূসর মায়ার আশ্চর্য আলো রয়েছে এক হয়ে মিশে
কামিনী ফুলের আশ্চর্য সুগন্ধি ভরা
তোমার ভালোবাসা ছুঁয়েছিলো
নগ্ন চোখের আজব ছোঁয়ার সাথে,
আমি অনেক সময়ের মালা পরিয়েছি তোমার গলায়
আর-
তৃপ্তির নুপুর পরিয়েছি তোমার পায়ে।
Regards,
শরীফ আহমেদ | sharif.geo.2006@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
শরীফ আহমেদ
আমি বৃষ্টি দেখেছি তোমার সাথে
আমি মেঘ ছুঁয়েছি তোমার সাথে
আমি শ্রাবণের কুয়াশার মতো আবছা আঁধারে ঢাকা
আজব মেঘের জগৎ দেখেছি তোমার সাথে
এখানে মেঘেরা ছুটে আসে আমাদের ঘরে
ভিজিয়ে দেয় আমাদের বিছানা
তুষারের মতো মেঘের ছোঁয়ায়
ভরেছে বিকেলের আলতো সময়গুলো...
এখানে বর্ষার জল জমে আছে
পাহাড়ের অনেক ওপরে
পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে বয়ে যায় ভালোবাসার নদী,
দিগন্তে জুড়ে মেঘের কাজল রেখার সাথে
ধূসর মায়ার আশ্চর্য আলো রয়েছে এক হয়ে মিশে
কামিনী ফুলের আশ্চর্য সুগন্ধি ভরা
তোমার ভালোবাসা ছুঁয়েছিলো
নগ্ন চোখের আজব ছোঁয়ার সাথে,
আমি অনেক সময়ের মালা পরিয়েছি তোমার গলায়
আর-
তৃপ্তির নুপুর পরিয়েছি তোমার পায়ে।
Regards,
শরীফ আহমেদ | sharif.geo.2006@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
চিঠি-১১
মিন্টুসারেং।
তুমি আমাকে নাকি ভালবাসতে, আজ অনেকদিন পর
লিখলে, আমি নাকি বুঝিনি,
আচ্ছা তুমিই
বলো, কি এমন
বাসলে ভাল, আমি বুঝতেই
পারিনি!!!
৩১ঃ০৮ঃ২০১৯
সারেংবাড়ি,মধুপুর।
Regards,
MINTU SHARENG. | mintushareng@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
মিন্টুসারেং।
তুমি আমাকে নাকি ভালবাসতে, আজ অনেকদিন পর
লিখলে, আমি নাকি বুঝিনি,
আচ্ছা তুমিই
বলো, কি এমন
বাসলে ভাল, আমি বুঝতেই
পারিনি!!!
৩১ঃ০৮ঃ২০১৯
সারেংবাড়ি,মধুপুর।
Regards,
MINTU SHARENG. | mintushareng@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
"কাটে আমার বেলা"
নিলুফার জাহান
৩০;০৮;২০১৯
নদীর ধারে রাখাল ছেলে
বাজায় বসে বাঁশি
ঝিলের জলে পদ্ম ফুলে
হাঁসে মধুর হাসি।
সাদা বকেরা আসে উভে
মাছ ধরবে বলে
মায়ার নদী কুলু কুলু
তানে বয়ে চলে।
নানা রঙের ফুলে দেখো
মৌমাছি ঐ উড়ে
ডুমুর গাছে পাতার নীচে
দোয়েল বসে ভোরে।
নদীর বুকে বৈঠা হাতে
মাঝি নৌকা টানে
রিম ঝিম ঝিম বৃষ্টিটা
শান্তি আনে প্রাণে।
দীঘির জলে পাতি হাঁসে
সুখে করে খেলা
শরতের ওই রূপটা দেখে
কাটে আমার বেলা।
Regards,
নিলুফার জাহান | nilufarjahan.64@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
নিলুফার জাহান
৩০;০৮;২০১৯
নদীর ধারে রাখাল ছেলে
বাজায় বসে বাঁশি
ঝিলের জলে পদ্ম ফুলে
হাঁসে মধুর হাসি।
সাদা বকেরা আসে উভে
মাছ ধরবে বলে
মায়ার নদী কুলু কুলু
তানে বয়ে চলে।
নানা রঙের ফুলে দেখো
মৌমাছি ঐ উড়ে
ডুমুর গাছে পাতার নীচে
দোয়েল বসে ভোরে।
নদীর বুকে বৈঠা হাতে
মাঝি নৌকা টানে
রিম ঝিম ঝিম বৃষ্টিটা
শান্তি আনে প্রাণে।
দীঘির জলে পাতি হাঁসে
সুখে করে খেলা
শরতের ওই রূপটা দেখে
কাটে আমার বেলা।
Regards,
নিলুফার জাহান | nilufarjahan.64@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
*** পরিহাস ***
*** সুজিত চ্যাটার্জি ***
যার ওপর মায়া সমুদ্র সমান
স্নেহ পাহাড় প্রমাণ ,
যার জন্যে উজাড় করে দিতে পারো
সবটুকু একেবারে,
চেয়ে দ্যাখো ,,,,,,,
তার কাছেই ভালবাসার
ভিখারি তুমি আজ
দিনান্ত বেলায়।
নগ্ন পায়ে যে মন্দিরে মানত মেঙ্গে ছিলে,
সে মন্দির তেমনই আছে
পাষাণ বিগ্রহ বুকে নিয়ে,
তোমার বুকে পাষাণ নিগ্রহ।
সদাহাস্য দেবতার মুখে অলৌকিক হাসি।
কান পেতে শোনো, শুনছ,??
অলক্ষে ফিসফিস দৈববাণী,,,,,
কেঁদো না সখা, খবর আছে,,,,,,
তোমার স্নেহ, বাবা হতে চলেছে।
হ্যাঁ বাবা ।।
copyright @ সুজিত চ্যাটার্জি ১৯৬০
Regards,
সুজিত চ্যাটার্জি | sujitchatterjee@1960.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
*** সুজিত চ্যাটার্জি ***
যার ওপর মায়া সমুদ্র সমান
স্নেহ পাহাড় প্রমাণ ,
যার জন্যে উজাড় করে দিতে পারো
সবটুকু একেবারে,
চেয়ে দ্যাখো ,,,,,,,
তার কাছেই ভালবাসার
ভিখারি তুমি আজ
দিনান্ত বেলায়।
নগ্ন পায়ে যে মন্দিরে মানত মেঙ্গে ছিলে,
সে মন্দির তেমনই আছে
পাষাণ বিগ্রহ বুকে নিয়ে,
তোমার বুকে পাষাণ নিগ্রহ।
সদাহাস্য দেবতার মুখে অলৌকিক হাসি।
কান পেতে শোনো, শুনছ,??
অলক্ষে ফিসফিস দৈববাণী,,,,,
কেঁদো না সখা, খবর আছে,,,,,,
তোমার স্নেহ, বাবা হতে চলেছে।
হ্যাঁ বাবা ।।
copyright @ সুজিত চ্যাটার্জি ১৯৬০
Regards,
সুজিত চ্যাটার্জি | sujitchatterjee@1960.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
কবিতাঃ তুই কি আমার বন্ধু হবি?
কবিঃ মুহাম্মদ ইয়াসিন।
তুই কি আমার বন্ধু হবি?
রাত-বিরাতে একলা চলার সঙ্গী হবি?
সাঝ সকালে ঘুম বাড়িতে
ঝাঁকুনি মেরে ঘুম তাড়াবি?
তুই কি আমার বন্ধু হবি?
একলা রাতে আকাশ দেখার সঙ্গী হবি?
দুঃখ রাতে পাশে থেকে
দুঃখগুলোয় ভাগ বসাবি?
সুখের সময় দুঃখের সময়
সব বেলাতে আমার হবি?
তুই কি আমার বন্ধু হবি?
শিশির ভেজা ঘাসের উপর
হাঁটতে গিয়ে আমায় নিবি?
মিষ্টি রোদের শেষ বেলাতে
মন খারাপের সব বেলাতে
কাছে থেকে মন রাঙ্গাবি?
তুই কি আমার বন্ধু হবি?
বৃষ্টি ভেজা রৌদ্র ছায়ায়
একলা যখন ভিজবে কায়া
কলা পাতার ছাতা নিয়ে
তুই কি আমার পথ শুকাবি?
তুই কি আমার বন্ধু হবি?
আঁধার রাতে একলা হলে
দুঃসময়ে পথ হারালে
তুই কি চেনা পথিক হবি?
আলো হয়ে পথ দেখাবি?
তুই কি আমার বন্ধু হবি?
Regards,
মুহাম্মদ ইয়াসিন। | mdyeasin.sir2283@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
কবিঃ মুহাম্মদ ইয়াসিন।
তুই কি আমার বন্ধু হবি?
রাত-বিরাতে একলা চলার সঙ্গী হবি?
সাঝ সকালে ঘুম বাড়িতে
ঝাঁকুনি মেরে ঘুম তাড়াবি?
তুই কি আমার বন্ধু হবি?
একলা রাতে আকাশ দেখার সঙ্গী হবি?
দুঃখ রাতে পাশে থেকে
দুঃখগুলোয় ভাগ বসাবি?
সুখের সময় দুঃখের সময়
সব বেলাতে আমার হবি?
তুই কি আমার বন্ধু হবি?
শিশির ভেজা ঘাসের উপর
হাঁটতে গিয়ে আমায় নিবি?
মিষ্টি রোদের শেষ বেলাতে
মন খারাপের সব বেলাতে
কাছে থেকে মন রাঙ্গাবি?
তুই কি আমার বন্ধু হবি?
বৃষ্টি ভেজা রৌদ্র ছায়ায়
একলা যখন ভিজবে কায়া
কলা পাতার ছাতা নিয়ে
তুই কি আমার পথ শুকাবি?
তুই কি আমার বন্ধু হবি?
আঁধার রাতে একলা হলে
দুঃসময়ে পথ হারালে
তুই কি চেনা পথিক হবি?
আলো হয়ে পথ দেখাবি?
তুই কি আমার বন্ধু হবি?
Regards,
মুহাম্মদ ইয়াসিন। | mdyeasin.sir2283@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
খানিক আশা
নুরজাহান আখতার
হতেও পারে শত নিরাশার ভিড়ে
এক চিলতে আশা সব
হতেও পারে মুহূর্তের মাঝে
বন্ধ কলরব
Regards,
Nurjahan Akhter | niraakter25533@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
নুরজাহান আখতার
হতেও পারে শত নিরাশার ভিড়ে
এক চিলতে আশা সব
হতেও পারে মুহূর্তের মাঝে
বন্ধ কলরব
Regards,
Nurjahan Akhter | niraakter25533@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
Subscribe to:
Posts (Atom)