কবিতা- করোনা
কবি- তাপস কুমার বর
জনকোলাহলের রব গেছে থমকে ,
সারা বিশ্ব আজ?
করোনা আতঙ্কে!
মারণ ভাইরাস অঙ্কুরিত হয়ে বাড়ছে,
সারা জগৎ সচেতন বার্তা দিচ্ছে বারে বারে।
লক ডাউন জারি করে,
আটকাতে হবে করোনাকে ।
আজও বের হয়নি এর প্রতিষেধক যে,
জাগো হে জনগণ সচেতন চিত্তে।
বারে বারে হাত ধোঁয়া অভ্যাস করো,
সাবান বা অ্যালকোহলে।
করোনাতে মানুষ বাঁচে,
যদি জনগণ থাকো একটু দূরত্ব রেখে।
ছোঁয়াচে মারণ ভাইরাস,
ছড়ায় এরা খুব দ্রুতগতিতে।
জাগো হে জনগণ একটু সচেতন চিত্তে,
বাঁচবে সকলে-
যদি থাকো লক্ষণ রেখায় আটকে।
যেখানে যাও তোমরা,
মাস্ক পরো নিয়ম মেনে।
Regards,
Tapas Kumar bar | tapasbar195@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
বাংলা ম্যাগাজিন ব্লগ। আপনার লেখা গল্প কিংবা কবিতাটি পোস্ট করুন এখানে। ●Name চিহ্নিত বক্সে আপনার সম্পূর্ণ নাম দিন । ● Email চিহ্নিত বক্সে আপনার ইমেইল এড্রেস দিন । ●মেসেজ বক্সে লেখার শিরোনাম, লেখকের নামসহ আপনার লিখাটি দিন । Send বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথেই পোস্টটি ওয়েবসাইট এ পাবলিশ হয়ে যাবে।
আপনার লেখা গল্প কিংবা কবিতাটি পোস্ট করুন এখানে। মেসেজ বক্সে লেখার শিরোনাম, লেখকের নামসহ লিখা দিন।
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
যুদ্ধ
শ্রীসেন
যুদ্ধ,সেই জন্মতক
যুদ্ধ চলেছে আজও
সৈনিক আমি, তুমি কিম্বা বিগত যারা
যুদ্ধ,সেই জন্মতক
যুদ্ধ চলেছে আজও-
পরাধীনতার শেকল ভাঙা যুদ্ধ
যুদ্ধ চিন্তার স্বাধীনতার
আজও অন্ন হলো না সবার!
যুদ্ধে যুদ্ধেই ঘায়েল হবে তুমি সাবধান মজুতদার
একটা যুদ্ধ জেতা হলে আরেকটা এসে যায়...
এক অন্য যুদ্ধের ইশারায় এখন এক মহাকালের সাক্ষী আমরা
'কোভিড-নাইন্টিন'-
সে কী ছিন্ন করে দেবে যাবতীয় বন্ধন,কেড়ে নেবে বাঁচার অধিকার
নাকি আরও বেশি কাছাকাছি করে দিতে বিধাতার এও এক অপূর্ব খেয়াল!
যুদ্ধ, সেই জন্মতক
যুদ্ধ চলেছে আজও
জিতব তো আমরাই এবারও, আজও
ঘুম ছেড়ে এসো সব্বাই-চলো জাগি,তুমিও জাগো
যুদ্ধ, সেই জন্মতক,যুদ্ধ চলবে আজও...
@বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত
Regards,
Biswajit Sengupta | biswajit.sengupta40a@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
শ্রীসেন
যুদ্ধ,সেই জন্মতক
যুদ্ধ চলেছে আজও
সৈনিক আমি, তুমি কিম্বা বিগত যারা
যুদ্ধ,সেই জন্মতক
যুদ্ধ চলেছে আজও-
পরাধীনতার শেকল ভাঙা যুদ্ধ
যুদ্ধ চিন্তার স্বাধীনতার
আজও অন্ন হলো না সবার!
যুদ্ধে যুদ্ধেই ঘায়েল হবে তুমি সাবধান মজুতদার
একটা যুদ্ধ জেতা হলে আরেকটা এসে যায়...
এক অন্য যুদ্ধের ইশারায় এখন এক মহাকালের সাক্ষী আমরা
'কোভিড-নাইন্টিন'-
সে কী ছিন্ন করে দেবে যাবতীয় বন্ধন,কেড়ে নেবে বাঁচার অধিকার
নাকি আরও বেশি কাছাকাছি করে দিতে বিধাতার এও এক অপূর্ব খেয়াল!
যুদ্ধ, সেই জন্মতক
যুদ্ধ চলেছে আজও
জিতব তো আমরাই এবারও, আজও
ঘুম ছেড়ে এসো সব্বাই-চলো জাগি,তুমিও জাগো
যুদ্ধ, সেই জন্মতক,যুদ্ধ চলবে আজও...
@বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত
Regards,
Biswajit Sengupta | biswajit.sengupta40a@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
🇧🇩 কালো রাত 🇧🇩
🏴মোল্লা মোহাম্মদ আলী ক্লে 🏴
প্রতিবছর একটি করে
আসে এমন রাত,
দাদু আমার কাঁন্দে শুধু
খায় না কোন ভাত।
জিগাই আমি দাদু তুমি
কাঁন্দো কেন বলো,
শরির খারাপ নিচ্ছি আমি
ডাক্তারের কাছ চলো।
দাদু আমার কেঁন্দে বলে
নারে দাদু না,
অসুখ আমার মনের ভীতর
ডাক্তার পাবে না।
জানিস নারে দাদু তোরা
এমন রাতের কথা,
কি ভয়ানক দৃশ্য সে যে
ভাবতে লাগে ব্যাথা।
মানুষ রুপি জানোয়ার সব
আমার দেশে এসে
ঘুমন্ত সব মানুষ মারে
বন্যশুয়োর বেশে।
মেরেছিলো অবুঝ শিশু
নারী, যুবক,বুড়া,
মানুষ নারে বন্য শেয়োর
পাকিস্তানি ওরা।
কি বলিবো দাদু তোরে
তোর যে বড় কাকা
আমায় রেখে কবর দেশে
চলে গেলো একা।
বাংলা নেতা বঙ্গবন্ধু
সেও পায়নি ছাড়,
বুকে তারা বরফ চেপে
রেখে ছিলো তাঁর।
২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহর
নামলো কালো ছায়া
বুকের রক্তে লাল জমিনের
বারলো আরো মায়া।
কৃষক শ্রমিক ছাত্র সবাই
অস্ত্র নিলো হাতে,
ত্রিশ লক্ষ জীবন দিয়ে
স্বাধীন পেলাম তাতে।
Regards,
মোল্লা মোহাম্মদ আলী ক্ল | clay1186@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
🏴মোল্লা মোহাম্মদ আলী ক্লে 🏴
প্রতিবছর একটি করে
আসে এমন রাত,
দাদু আমার কাঁন্দে শুধু
খায় না কোন ভাত।
জিগাই আমি দাদু তুমি
কাঁন্দো কেন বলো,
শরির খারাপ নিচ্ছি আমি
ডাক্তারের কাছ চলো।
দাদু আমার কেঁন্দে বলে
নারে দাদু না,
অসুখ আমার মনের ভীতর
ডাক্তার পাবে না।
জানিস নারে দাদু তোরা
এমন রাতের কথা,
কি ভয়ানক দৃশ্য সে যে
ভাবতে লাগে ব্যাথা।
মানুষ রুপি জানোয়ার সব
আমার দেশে এসে
ঘুমন্ত সব মানুষ মারে
বন্যশুয়োর বেশে।
মেরেছিলো অবুঝ শিশু
নারী, যুবক,বুড়া,
মানুষ নারে বন্য শেয়োর
পাকিস্তানি ওরা।
কি বলিবো দাদু তোরে
তোর যে বড় কাকা
আমায় রেখে কবর দেশে
চলে গেলো একা।
বাংলা নেতা বঙ্গবন্ধু
সেও পায়নি ছাড়,
বুকে তারা বরফ চেপে
রেখে ছিলো তাঁর।
২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহর
নামলো কালো ছায়া
বুকের রক্তে লাল জমিনের
বারলো আরো মায়া।
কৃষক শ্রমিক ছাত্র সবাই
অস্ত্র নিলো হাতে,
ত্রিশ লক্ষ জীবন দিয়ে
স্বাধীন পেলাম তাতে।
Regards,
মোল্লা মোহাম্মদ আলী ক্ল | clay1186@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান।
লিখেছেন: মাহমুদ হাসান
১৭-০৩-২০২০ইং মঙ্গলবার।
জা. জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান।
তি. তিনি হলেন এই বাংলাদেশের সম্মান।
র. রক্ত দিয়েছে বাঙালী জাতি স্বাধীনতার তরে।
জ. জয় করতে বাঙালী মুক্তির অস্ত্র তুলে ধরে।
ন. নয় মাস চলে তোমার নেতৃত্বে এই স্বাধীনতার যুদ্ধ।
ক. করেছো তুমি বাঙালিকে মুক্তির জন্য একতাবদ্ধ।
শে. শেষ রক্ষা হয়নি তাই হানাদার পাক বাহিনীর।
খ. খণ্ডিত হলো পাকিস্তান বিজয় যে স্বাধীন বাংলার।
মু. মুজিব বর্ষ আমাদের গর্ব! আমাদের অহংকার তুমি।
জি. জিদ ছিল তোমার, বাংলা কেন থাকবে পরাধীন ভূমি?
বু. বুক পেতে তাই বাঙালী জাতি নিয়েছে অজস্র গুলি!
র. রণাঙ্গনের আত্মত্যাগে আমরা আজ বাংলায় কথা বলি।
র. রচনা করলে তুমি একটি স্বাধীন ভূমি; বাংলাদেশ।
হ. হত্যা করেছে তারা নির্বিচারে এই নিরীহ বাঙালী বেশ।
মা. মা-বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে পেলাম স্বাধীনতা।
ন. নতশিরে আত্মসমর্পণ করল পাক-হানাদার হোতা।
Regards,
মাহমুদ হাসান | Sheikhmahmud77@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
লিখেছেন: মাহমুদ হাসান
১৭-০৩-২০২০ইং মঙ্গলবার।
জা. জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান।
তি. তিনি হলেন এই বাংলাদেশের সম্মান।
র. রক্ত দিয়েছে বাঙালী জাতি স্বাধীনতার তরে।
জ. জয় করতে বাঙালী মুক্তির অস্ত্র তুলে ধরে।
ন. নয় মাস চলে তোমার নেতৃত্বে এই স্বাধীনতার যুদ্ধ।
ক. করেছো তুমি বাঙালিকে মুক্তির জন্য একতাবদ্ধ।
শে. শেষ রক্ষা হয়নি তাই হানাদার পাক বাহিনীর।
খ. খণ্ডিত হলো পাকিস্তান বিজয় যে স্বাধীন বাংলার।
মু. মুজিব বর্ষ আমাদের গর্ব! আমাদের অহংকার তুমি।
জি. জিদ ছিল তোমার, বাংলা কেন থাকবে পরাধীন ভূমি?
বু. বুক পেতে তাই বাঙালী জাতি নিয়েছে অজস্র গুলি!
র. রণাঙ্গনের আত্মত্যাগে আমরা আজ বাংলায় কথা বলি।
র. রচনা করলে তুমি একটি স্বাধীন ভূমি; বাংলাদেশ।
হ. হত্যা করেছে তারা নির্বিচারে এই নিরীহ বাঙালী বেশ।
মা. মা-বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে পেলাম স্বাধীনতা।
ন. নতশিরে আত্মসমর্পণ করল পাক-হানাদার হোতা।
Regards,
মাহমুদ হাসান | Sheikhmahmud77@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
ধোঁকা!
লিখেছেন : মাহমুদ হাসান (নারায়ণগঞ্জ)
তারিখ : ২০-০৩ -২০২০ইং শুক্রবার
কখনো ভাবিনি আমি, তোমার কাছে পাবো এমন করে আঘাত।
কিভাবে বুঝবে তুমি, তোমার মনোবাসনায় দেইনি ব্যাঘাত!
আমাদের ভালোলাগার পথ অনেক আগেই হয়েছে ভিন্ন।
তোমার স্বপ্নপূরণের বাসনায় আমার সম্পর্ক করেছো ছিন্ন!
কষ্টে মূর্ছিত হইনি তখন, বুঝেছিলাম নিয়তি আমার হয়তো-বা এমনি।
দুঃখ ঘুচাতে কবিতা লেখন, চেয়েছিলাম থাকতে বিস্মৃত তেমনি।
আমি ছিলাম তোমার প্রতি প্রচন্ড দুর্বল; তোমার অনিন্দ্য রূপে কি গুণে!
তাই তো হৃদয়ে আমার হলো বদ্ধমূল, আমার জীবন রঙিন হবে কী খুনে?
ভালোবাসার জন্য পাগল আমরা, তাই প্রিয়জনের নির্মম পরিহাসে হই বোকা।
অগাধ বিশ্বাসের প্রতিফলে, প্রতিনিয়ত আশাভঙ্গে পাচ্ছি অব্যক্ত ছলনায় ধোঁকা!
Regards,
মাহমুদ হাসান | Sheikhmahmud77@gmai.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
লিখেছেন : মাহমুদ হাসান (নারায়ণগঞ্জ)
তারিখ : ২০-০৩ -২০২০ইং শুক্রবার
কখনো ভাবিনি আমি, তোমার কাছে পাবো এমন করে আঘাত।
কিভাবে বুঝবে তুমি, তোমার মনোবাসনায় দেইনি ব্যাঘাত!
আমাদের ভালোলাগার পথ অনেক আগেই হয়েছে ভিন্ন।
তোমার স্বপ্নপূরণের বাসনায় আমার সম্পর্ক করেছো ছিন্ন!
কষ্টে মূর্ছিত হইনি তখন, বুঝেছিলাম নিয়তি আমার হয়তো-বা এমনি।
দুঃখ ঘুচাতে কবিতা লেখন, চেয়েছিলাম থাকতে বিস্মৃত তেমনি।
আমি ছিলাম তোমার প্রতি প্রচন্ড দুর্বল; তোমার অনিন্দ্য রূপে কি গুণে!
তাই তো হৃদয়ে আমার হলো বদ্ধমূল, আমার জীবন রঙিন হবে কী খুনে?
ভালোবাসার জন্য পাগল আমরা, তাই প্রিয়জনের নির্মম পরিহাসে হই বোকা।
অগাধ বিশ্বাসের প্রতিফলে, প্রতিনিয়ত আশাভঙ্গে পাচ্ছি অব্যক্ত ছলনায় ধোঁকা!
Regards,
মাহমুদ হাসান | Sheikhmahmud77@gmai.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
( যে হাসির ঝিলিক দেখে )
--পলাশ মন্ডল ।
যে হাসির ঝিলিক দেখে
কুয়াশায় সূর্য ওঠে,
যে হাসির আবির মেখে
পৌষেও পলাশ ফোটে,
যে হাসির ফল্গুধারায়
ভেসে যায় জীবনতরী,
যে হাসি রাতের তারায়
দিয়ে যায় স্বপ্ন ভরি,
জীবনের গল্পগুলি
যে হাসির আশীষ-ছোঁয়ায়
সুর তাল ছন্দ তুলি
হৃদয়ের গান হয়ে যায়,
যে হাসি তীব্র ক্ষুধায়
জননীর শীর্ণ বুকে
ভরিয়ে জীবন শুধায়
তুলে দেয় শিশুর মুখে,
যে হাসি ব্যাথার রাতে
শিয়রে প্রদীপ জ্বালে,
সুশীতল স্নিগ্ধ হাতে
সুনিবিড় শান্তি ঢালে,
যে হাসির নরম স্নেহ
মরমে পড়ল ঝরে,
সে হাসির নীরব মোহে
এ জীবন উঠুক ভ'রে ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
--পলাশ মন্ডল ।
যে হাসির ঝিলিক দেখে
কুয়াশায় সূর্য ওঠে,
যে হাসির আবির মেখে
পৌষেও পলাশ ফোটে,
যে হাসির ফল্গুধারায়
ভেসে যায় জীবনতরী,
যে হাসি রাতের তারায়
দিয়ে যায় স্বপ্ন ভরি,
জীবনের গল্পগুলি
যে হাসির আশীষ-ছোঁয়ায়
সুর তাল ছন্দ তুলি
হৃদয়ের গান হয়ে যায়,
যে হাসি তীব্র ক্ষুধায়
জননীর শীর্ণ বুকে
ভরিয়ে জীবন শুধায়
তুলে দেয় শিশুর মুখে,
যে হাসি ব্যাথার রাতে
শিয়রে প্রদীপ জ্বালে,
সুশীতল স্নিগ্ধ হাতে
সুনিবিড় শান্তি ঢালে,
যে হাসির নরম স্নেহ
মরমে পড়ল ঝরে,
সে হাসির নীরব মোহে
এ জীবন উঠুক ভ'রে ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
ঐ দেখা যায় রূপ নগর
শিমুল ভূঁইয়া
তারিখ-১২/০৩/২০২০
------------------------------
ঐ দেখা যায় রূপ নগর
জ্বলে পুড়ে স্তূপ
আগুন নেভানোর দৃশ্যটা
দেশ জনতা দেখছে খুব?
বস্তিতে ঐ বাস করে যারা
তাঁরা ও মা মাটি দেশকে ভালোবাসে
বিচিত্র এই শহরে তাদের ঘরে আগুন দেখে
উপর তলার মানুষ গুলো নাচে?
মানবতা আছে কি তাদের পাশে?
আর কিছুদিন পরে এই জমিনে
আগুনের স্তূপ সরিয়ে অট্টালিকা হবে
মাথার উপর সাদা আকাশ জুড়ে
ছাউনী আসবে কবে?
শান্তনা এই টুকুই হয়তো একদিন হবে?
Regards,
Shimul Bhuiyan | mlinkbd13@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
শিমুল ভূঁইয়া
তারিখ-১২/০৩/২০২০
------------------------------
ঐ দেখা যায় রূপ নগর
জ্বলে পুড়ে স্তূপ
আগুন নেভানোর দৃশ্যটা
দেশ জনতা দেখছে খুব?
বস্তিতে ঐ বাস করে যারা
তাঁরা ও মা মাটি দেশকে ভালোবাসে
বিচিত্র এই শহরে তাদের ঘরে আগুন দেখে
উপর তলার মানুষ গুলো নাচে?
মানবতা আছে কি তাদের পাশে?
আর কিছুদিন পরে এই জমিনে
আগুনের স্তূপ সরিয়ে অট্টালিকা হবে
মাথার উপর সাদা আকাশ জুড়ে
ছাউনী আসবে কবে?
শান্তনা এই টুকুই হয়তো একদিন হবে?
Regards,
Shimul Bhuiyan | mlinkbd13@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
ঐ দেখা যায় রূপ নগর
শিমুল ভূঁইয়া
তারিখ-১২/০৩/২০২০
------------------------------
ঐ দেখা যায় রূপ নগর
জ্বলে পুড়ে স্তূপ
আগুন নেভানোর দৃশ্যটা
দেশ জনতা দেখছে খুব?
বস্তিতে ঐ বাস করে যারা
তাঁরা ও মা মাটি দেশকে ভালোবাসে
বিচিত্র এই শহরে তাদের ঘরে আগুন দেখে
উপর তলার মানুষ গুলো নাচে?
মানবতা আছে কি তাদের পাশে?
আর কিছুদিন পরে এই জমিনে
আগুনের স্তূপ সরিয়ে অট্টালিকা হবে
মাথার উপর সাদা আকাশ জুড়ে
ছাউনী আসবে কবে?
শান্তনা এই টুকুই হয়তো একদিন হবে?
Regards,
Shimul Bhuiyan | mlinkbd13@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
শিমুল ভূঁইয়া
তারিখ-১২/০৩/২০২০
------------------------------
ঐ দেখা যায় রূপ নগর
জ্বলে পুড়ে স্তূপ
আগুন নেভানোর দৃশ্যটা
দেশ জনতা দেখছে খুব?
বস্তিতে ঐ বাস করে যারা
তাঁরা ও মা মাটি দেশকে ভালোবাসে
বিচিত্র এই শহরে তাদের ঘরে আগুন দেখে
উপর তলার মানুষ গুলো নাচে?
মানবতা আছে কি তাদের পাশে?
আর কিছুদিন পরে এই জমিনে
আগুনের স্তূপ সরিয়ে অট্টালিকা হবে
মাথার উপর সাদা আকাশ জুড়ে
ছাউনী আসবে কবে?
শান্তনা এই টুকুই হয়তো একদিন হবে?
Regards,
Shimul Bhuiyan | mlinkbd13@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
#কবিতা
লক্ষ্মীছাড়া
শংকর ব্রহ্ম
-----------------
তুমি নেই ভাবতেই বুকের ভিতর খালি,
একেবারে শূন্য,
নির্ভেজাল নিঃস্ব, যেন খাঁ খাঁ মরুভূমি,
বুক জুড়ে এতখানি ছিলে বুঝি তুমি?
ভুলেও কখনও যে কেন, আগে তা ভাবিনি,
এখন আর ভেবে কোন লাভ নেই জানি।
এখন শূন্যতা শুধু,আমাকেই গিলে খায়
নিদারুণ কষ্টের মোচড়ে
একান্তে বুঝিয়ে দেয়
কিভাবে যে দশভূজা হয়ে,
তুমি সুনিপুন ঠেকিয়েছ দশদিক
এখন দিশেহারা হয়ে ভাবি সব
মনে মনে তোমার অভাব খুব করি অনুভব।
লক্ষ্মী শূন্য ঘরে আজ লক্ষ্মীছাড়া হয়ে,
তবু বেঁচে আছি আর অন্য কিছু নয়,
মরতে পারি না বলে,মনে নিয়ে ভয়
শুধু আজ বেঁচে থাকতে হয়।
Regards,
শংকর ব্রহ্ম | sb.march51@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
লক্ষ্মীছাড়া
শংকর ব্রহ্ম
-----------------
তুমি নেই ভাবতেই বুকের ভিতর খালি,
একেবারে শূন্য,
নির্ভেজাল নিঃস্ব, যেন খাঁ খাঁ মরুভূমি,
বুক জুড়ে এতখানি ছিলে বুঝি তুমি?
ভুলেও কখনও যে কেন, আগে তা ভাবিনি,
এখন আর ভেবে কোন লাভ নেই জানি।
এখন শূন্যতা শুধু,আমাকেই গিলে খায়
নিদারুণ কষ্টের মোচড়ে
একান্তে বুঝিয়ে দেয়
কিভাবে যে দশভূজা হয়ে,
তুমি সুনিপুন ঠেকিয়েছ দশদিক
এখন দিশেহারা হয়ে ভাবি সব
মনে মনে তোমার অভাব খুব করি অনুভব।
লক্ষ্মী শূন্য ঘরে আজ লক্ষ্মীছাড়া হয়ে,
তবু বেঁচে আছি আর অন্য কিছু নয়,
মরতে পারি না বলে,মনে নিয়ে ভয়
শুধু আজ বেঁচে থাকতে হয়।
Regards,
শংকর ব্রহ্ম | sb.march51@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
কঠিন সহজ - পলাশ মন্ডল
( কঠিন সহজ )
--পলাশ মন্ডল ।
সহজ কথা
নয় যে সহজ বলা ।
সহজ পথে
নয় রে সহজ চলা ।
সহজ ভাবে
ভাবতে গেলে কিছু,
কঠিন এসে
আলগোছে নেয় পিছু ।
সহজ কথায়
লিখবো যখন ভাবি,
লিখতে গেলে
কঠিন লাগে সবই ।
সহজ ছবি
নয় যে আঁকা সোজা ।
সহজ স্মৃতি,
হয়না মনে খোঁজা ।
সহজ ভাবে
বাঁচতে গেলে, হায় !
জীবন আরও
কঠিন হয়ে যায় !
পাওনা সহজ,
হয়না শুধু নেয়া ।
সহজ দেনা,
যায়না তবু দেয়া ।
সহজ কথাও
অশ্রু চোখে ঝরায় ।
কঠিন ব্যথাও
প্রেমে জীবন ভরায় ।
সহজ হলেও
ঠেলোনা ভুলে দূরে ।
কঠিন হলেও
রাখো হৃদয় জুড়ে ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
--পলাশ মন্ডল ।
সহজ কথা
নয় যে সহজ বলা ।
সহজ পথে
নয় রে সহজ চলা ।
সহজ ভাবে
ভাবতে গেলে কিছু,
কঠিন এসে
আলগোছে নেয় পিছু ।
সহজ কথায়
লিখবো যখন ভাবি,
লিখতে গেলে
কঠিন লাগে সবই ।
সহজ ছবি
নয় যে আঁকা সোজা ।
সহজ স্মৃতি,
হয়না মনে খোঁজা ।
সহজ ভাবে
বাঁচতে গেলে, হায় !
জীবন আরও
কঠিন হয়ে যায় !
পাওনা সহজ,
হয়না শুধু নেয়া ।
সহজ দেনা,
যায়না তবু দেয়া ।
সহজ কথাও
অশ্রু চোখে ঝরায় ।
কঠিন ব্যথাও
প্রেমে জীবন ভরায় ।
সহজ হলেও
ঠেলোনা ভুলে দূরে ।
কঠিন হলেও
রাখো হৃদয় জুড়ে ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
কঠিন সহজ
( কঠিন সহজ )
--পলাশ মন্ডল ।
সহজ কথা
নয় যে সহজ বলা ।
সহজ পথে
নয় রে সহজ চলা ।
সহজ ভাবে
ভাবতে গেলে কিছু,
কঠিন এসে
আলগোছে নেয় পিছু ।
সহজ কথায়
লিখবো যখন ভাবি,
লিখতে গেলে
কঠিন লাগে সবই ।
সহজ ছবি
নয় যে আঁকা সোজা ।
সহজ স্মৃতি,
হয়না মনে খোঁজা ।
সহজ ভাবে
বাঁচতে গেলে, হায় !
জীবন আরও
কঠিন হয়ে যায় !
পাওনা সহজ,
হয়না শুধু নেয়া ।
সহজ দেনা,
যায়না তবু দেয়া ।
সহজ কথাও
অশ্রু চোখে ঝরায় ।
কঠিন ব্যথাও
প্রেমে জীবন ভরায় ।
সহজ হলেও
ঠেলোনা ভুলে দূরে ।
কঠিন হলেও
রাখো হৃদয় জুড়ে ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
--পলাশ মন্ডল ।
সহজ কথা
নয় যে সহজ বলা ।
সহজ পথে
নয় রে সহজ চলা ।
সহজ ভাবে
ভাবতে গেলে কিছু,
কঠিন এসে
আলগোছে নেয় পিছু ।
সহজ কথায়
লিখবো যখন ভাবি,
লিখতে গেলে
কঠিন লাগে সবই ।
সহজ ছবি
নয় যে আঁকা সোজা ।
সহজ স্মৃতি,
হয়না মনে খোঁজা ।
সহজ ভাবে
বাঁচতে গেলে, হায় !
জীবন আরও
কঠিন হয়ে যায় !
পাওনা সহজ,
হয়না শুধু নেয়া ।
সহজ দেনা,
যায়না তবু দেয়া ।
সহজ কথাও
অশ্রু চোখে ঝরায় ।
কঠিন ব্যথাও
প্রেমে জীবন ভরায় ।
সহজ হলেও
ঠেলোনা ভুলে দূরে ।
কঠিন হলেও
রাখো হৃদয় জুড়ে ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
একটি দেয়া একটু কঠিন
( একটি দেয়া একটু কঠিন )
--পলাশ মন্ডল ।
অনেক দেয়া অনেক সহজ,
একটি দেয়াই একটু কঠিন ।
অনেক ফুলের ফুলদানিতে
একটি ফুলই স্বপ্ন রঙিন ।
অনেক রঙের রংধনু , তার
একটি রঙই যায়না চেনা ।
অনেক আলোর অনেক সকাল,
একটি শুধু ছড়ায় সোনা ।
অনেক সুখের অনেক হাসি,
একটি শুধু অশ্রু ঝরায় ।
অনেক ব্যাথার দুঃখ অনেক,
একটি প্রেমে জীবন ভরায় ।
অনেক আপনজনের ভিড়ে
একজনই হয় অনেক আপন ।
অনেক কথাই হয় যে বলা,
একটি থাকে না বলা গোপন ।
অনেক মুখই দেখা হয়ে যায়,
একটি থাকে অদেখা, অচিন ।
অনেক দেয়া তাইতো সহজ,
একটি দেয়াই একটু কঠিন ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
--পলাশ মন্ডল ।
অনেক দেয়া অনেক সহজ,
একটি দেয়াই একটু কঠিন ।
অনেক ফুলের ফুলদানিতে
একটি ফুলই স্বপ্ন রঙিন ।
অনেক রঙের রংধনু , তার
একটি রঙই যায়না চেনা ।
অনেক আলোর অনেক সকাল,
একটি শুধু ছড়ায় সোনা ।
অনেক সুখের অনেক হাসি,
একটি শুধু অশ্রু ঝরায় ।
অনেক ব্যাথার দুঃখ অনেক,
একটি প্রেমে জীবন ভরায় ।
অনেক আপনজনের ভিড়ে
একজনই হয় অনেক আপন ।
অনেক কথাই হয় যে বলা,
একটি থাকে না বলা গোপন ।
অনেক মুখই দেখা হয়ে যায়,
একটি থাকে অদেখা, অচিন ।
অনেক দেয়া তাইতো সহজ,
একটি দেয়াই একটু কঠিন ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
মা এক অনুভূতি
( 'মা ' এক অনুভূতি )
--পলাশ মন্ডল ।
আচ্ছা, এমন যদি হত ?
সবার মা'কেই দেখতে হত আমার মায়ের মত ?
একই শাড়ি, একই চুড়ি, একই চোখের চাওয়া !
একই সুরে ঘুম পাড়ানির একই সে গান গাওয়া !
কেমন মজা হত বল, হাজার বাড়ির দাওয়ায়
আমার মায়ের উড়ত শাড়ি হাজার বাড়ির হাওয়ায় !
সন্ধ্যেবেলা ঠাকুরঘরে প্রদীপদানীর পরে,
আমার মায়ের জ্বলত প্রদীপ সবার মায়ের ঘরে !
সবার মায়ের দুলত কানে আমার মায়ের দুল,
খোঁপায় তাদের উঠত ফুটে কনকচাঁপার ফুল !
কিন্তু কোনো দিনে ধরো উল্টো রথের মেলায়
মা যদি মোর হারিয়ে যায় ঝড় বাদলের বেলায় ?
কেমন করে খুঁজবো বল সবার মায়ের মাঝে ?
আমার মা যে ছড়িয়ে আছে হাজার মায়ের সাজে ।
তখন আমার কান্না দেখে আসল মায়ের ছলে
নকল মা'রাই আসতো বুঝি আমায় নিতে কোলে ।
আঁচল দিয়ে মুছিয়ে দিত আমার চোখের জল ।
কান্না কি মোর মুছতো তাতে, বল দেখি কেউ বল ?
এত মায়ের মাঝেও আমার মুখটি দেখে ভার
আসল মা মোর লুকিয়ে তখন থাকত কি গো আর ?
বলতো এসে মধুর হেসে আমায় নিয়ে কোলে,
"হারিয়ে শুধুই গেছি আমি, গেছি কি আর চলে ?"
আমি বলতাম, "হারিও তবে আমায় নিয়ে সাথে,
তোমার আঁচল রইল বাঁধা তোমার খোকার হাতে ।"
মা বলতো, "পাগল ছেলে, তাই কখনো হয় ?
হাজার মায়ের হাজার আঁচল তোমার জীবনময় ।
কারও আঁচল অনেক দামী সোনার সুতোয় মোড়া,
কারও হয়তো একটু মলিন, একটুখানি ছেঁড়া ।
কিন্তু জেনো, সব আঁচলই সমান স্নেহ মাখা,
তোমার মায়ের আঁচল থাকুক তাঁদের কাছেও রাখা ।
ঝড়বাদলের জীবনটা এক উল্টো রথের মেলা,
সেথায় আছে কান্না হাসি, লুকোচুরির খেলা,
সেথায় আছে হারিয়ে ফেলেও ফিরে পাওয়ার মজা,
সেথায় আছে পেয়েও আবার নতুন করে খোঁজা ।
মায়ের সাথে এমন খেলায় নেই যে কারও হার,
মধ্যে আছে অনুভবের সহজ পারাপার ।
মা শুধু নয় স্নেহের মায়ায় ভুলিয়ে রাখার সাথী,
জীবন মরণ সব ছাড়িয়ে 'মা' এক অনুভূতি।"
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
--পলাশ মন্ডল ।
আচ্ছা, এমন যদি হত ?
সবার মা'কেই দেখতে হত আমার মায়ের মত ?
একই শাড়ি, একই চুড়ি, একই চোখের চাওয়া !
একই সুরে ঘুম পাড়ানির একই সে গান গাওয়া !
কেমন মজা হত বল, হাজার বাড়ির দাওয়ায়
আমার মায়ের উড়ত শাড়ি হাজার বাড়ির হাওয়ায় !
সন্ধ্যেবেলা ঠাকুরঘরে প্রদীপদানীর পরে,
আমার মায়ের জ্বলত প্রদীপ সবার মায়ের ঘরে !
সবার মায়ের দুলত কানে আমার মায়ের দুল,
খোঁপায় তাদের উঠত ফুটে কনকচাঁপার ফুল !
কিন্তু কোনো দিনে ধরো উল্টো রথের মেলায়
মা যদি মোর হারিয়ে যায় ঝড় বাদলের বেলায় ?
কেমন করে খুঁজবো বল সবার মায়ের মাঝে ?
আমার মা যে ছড়িয়ে আছে হাজার মায়ের সাজে ।
তখন আমার কান্না দেখে আসল মায়ের ছলে
নকল মা'রাই আসতো বুঝি আমায় নিতে কোলে ।
আঁচল দিয়ে মুছিয়ে দিত আমার চোখের জল ।
কান্না কি মোর মুছতো তাতে, বল দেখি কেউ বল ?
এত মায়ের মাঝেও আমার মুখটি দেখে ভার
আসল মা মোর লুকিয়ে তখন থাকত কি গো আর ?
বলতো এসে মধুর হেসে আমায় নিয়ে কোলে,
"হারিয়ে শুধুই গেছি আমি, গেছি কি আর চলে ?"
আমি বলতাম, "হারিও তবে আমায় নিয়ে সাথে,
তোমার আঁচল রইল বাঁধা তোমার খোকার হাতে ।"
মা বলতো, "পাগল ছেলে, তাই কখনো হয় ?
হাজার মায়ের হাজার আঁচল তোমার জীবনময় ।
কারও আঁচল অনেক দামী সোনার সুতোয় মোড়া,
কারও হয়তো একটু মলিন, একটুখানি ছেঁড়া ।
কিন্তু জেনো, সব আঁচলই সমান স্নেহ মাখা,
তোমার মায়ের আঁচল থাকুক তাঁদের কাছেও রাখা ।
ঝড়বাদলের জীবনটা এক উল্টো রথের মেলা,
সেথায় আছে কান্না হাসি, লুকোচুরির খেলা,
সেথায় আছে হারিয়ে ফেলেও ফিরে পাওয়ার মজা,
সেথায় আছে পেয়েও আবার নতুন করে খোঁজা ।
মায়ের সাথে এমন খেলায় নেই যে কারও হার,
মধ্যে আছে অনুভবের সহজ পারাপার ।
মা শুধু নয় স্নেহের মায়ায় ভুলিয়ে রাখার সাথী,
জীবন মরণ সব ছাড়িয়ে 'মা' এক অনুভূতি।"
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
কিছু একই থাকে
( কিছু একই থাকে )
--পলাশ মন্ডল ।
কিছু রাত চোখে কান্না ভরায়,
কিছু রাত চোখে স্বপ্ন আঁকে,
কিছু রাত চোখে অশ্রু ঝরায়,
কিছু রাত চোখে কুয়াশা মাখে ।
রাতগুলি শুধু পাল্টায়, আর
চোখদুটি সেই একই থাকে ।
কিছু ফুল ফোটে ফুল বাগিচায়,
স্নিগ্ধ সবুজ পাতার ফাঁকে ।
কিছু ফুল ফোটে রাতের তারায়,
কিছু ফুল ফোটে মনের শাখে ।
ফুলগুলি শুধু রং বদলায়,
সুগন্ধ তার একই থাকে ।
কিছু মুখে থাকে সুখের আদর,
কিছু মুখ থাকে মায়ায় গড়া ।
কিছু মুখে ঝরে জ্যোৎস্না অঝোর,
কিছু মুখে থাকে ছলনা ভরা ।
কিছু মুখ এসে সামনে দাঁড়ায়,
কিছু মুখ শুধু আড়ালে থাকে ।
বেদনা লুকাতে কিছু মুখ তাই
রঙিন মুখোশ সাজিয়ে রাখে ।
মুখের মুখোশ আলাদা হলেও
মুখগুলি সেই একই থাকে ।
কিছু পথ চলে দূর অজানায়,
কিছু পথ মেশে পথের বাকে ।
কিছু পথ শুধু পাশে থেকে যায়,
ব্যবধানটুকু আলাদা রাখে ।
পথগুলি শুধু ভিন্ন, যদিও
পথের নিশানা একই থাকে ।
কিছু সুখ ভাসে মনের আকাশে,
কিছু সুখে মন ভেসে চলে যায় ।
দুঃখের রাতেও বাতায়ন পাশে
কিছু সুখ এসে হাতটি বাড়ায় ।
সুখের ঠিকানা ভিন্ন হলেও
অনুভবটুকু একই থাকে ।
কিছু প্রেম বোঝে মনের ভাষা,
কিছু প্রেম শুধু স্বার্থ বোঝে,
কিছু প্রেম মনে জাগায় আশা,
কিছু প্রেমে মন মৃত্যু খোঁজে ।
প্রেমগুলি শুধু ভিন্ন, যদিও
মনগুলি সেই একই থাকে ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
--পলাশ মন্ডল ।
কিছু রাত চোখে কান্না ভরায়,
কিছু রাত চোখে স্বপ্ন আঁকে,
কিছু রাত চোখে অশ্রু ঝরায়,
কিছু রাত চোখে কুয়াশা মাখে ।
রাতগুলি শুধু পাল্টায়, আর
চোখদুটি সেই একই থাকে ।
কিছু ফুল ফোটে ফুল বাগিচায়,
স্নিগ্ধ সবুজ পাতার ফাঁকে ।
কিছু ফুল ফোটে রাতের তারায়,
কিছু ফুল ফোটে মনের শাখে ।
ফুলগুলি শুধু রং বদলায়,
সুগন্ধ তার একই থাকে ।
কিছু মুখে থাকে সুখের আদর,
কিছু মুখ থাকে মায়ায় গড়া ।
কিছু মুখে ঝরে জ্যোৎস্না অঝোর,
কিছু মুখে থাকে ছলনা ভরা ।
কিছু মুখ এসে সামনে দাঁড়ায়,
কিছু মুখ শুধু আড়ালে থাকে ।
বেদনা লুকাতে কিছু মুখ তাই
রঙিন মুখোশ সাজিয়ে রাখে ।
মুখের মুখোশ আলাদা হলেও
মুখগুলি সেই একই থাকে ।
কিছু পথ চলে দূর অজানায়,
কিছু পথ মেশে পথের বাকে ।
কিছু পথ শুধু পাশে থেকে যায়,
ব্যবধানটুকু আলাদা রাখে ।
পথগুলি শুধু ভিন্ন, যদিও
পথের নিশানা একই থাকে ।
কিছু সুখ ভাসে মনের আকাশে,
কিছু সুখে মন ভেসে চলে যায় ।
দুঃখের রাতেও বাতায়ন পাশে
কিছু সুখ এসে হাতটি বাড়ায় ।
সুখের ঠিকানা ভিন্ন হলেও
অনুভবটুকু একই থাকে ।
কিছু প্রেম বোঝে মনের ভাষা,
কিছু প্রেম শুধু স্বার্থ বোঝে,
কিছু প্রেম মনে জাগায় আশা,
কিছু প্রেমে মন মৃত্যু খোঁজে ।
প্রেমগুলি শুধু ভিন্ন, যদিও
মনগুলি সেই একই থাকে ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
দারুন ছেলে
( দারুন ছেলে )
--পলাশ মন্ডল ।
২৬/২/২০২০
সেদিন দেখি পুবের পাড়ার
ষষ্ঠীচরণ রায়
গাঁয়ের পথে কোথায় যেন
ছুটছে খালি পায়ে ।
"যাচ্ছো কোথায় হনহনিয়ে ?
দিচ্ছো নাকি মেয়ের বিয়ে ?
মেয়েটি তোমার মিষ্টি অতি ;
দেখতে শুনতে লক্ষীমতি ;
বিদ্যে গুনেও সরস্বতী ।
মেয়ের যেমন তুলনা নাই,
তেমন কিন্তু ছেলেটি চাই ।
মদ, জুয়ো, ভাং, গাঁজাখোরে
সমাজ এখন গেছে ভরে ।
চোর, লম্পট, দামড়া, গোঁয়ার -
দেশটি যেন ষাঁড়ের খোয়াড় ।
তা , বলো না , ছেলে কেমন ?
উঁহু , চলবেনাকো যেমন তেমন ।
হোক না বাঙাল , হোক না ঘটি ,
বাজিয়ে নিয়ো চরিত্রটি ।
চুপটি করে বলছি শোনো ,
খোঁজ নিতে নেই লজ্জা কোনো ;
দু'চার খানা লোক লাগিও ,
একান ওকান খবর নিও ।"
ষষ্ঠীচরণ বললো ক্ষেপে ,
"যাও তো নিজের পথটি মেপে ।
গায়ে পড়ে জ্ঞান দিও না ।
ছেলে তো নয়, কাঁচা সোনা ।
এমন জবর খাসা ছেলে
হাজারটিতে একটি মেলে ।
নয় সে বলদ , নয় সে বেকার ;
লোকাল ট্রেনের টিকিট চেকার ।
ঊনিশ হাজার মাসিক বেতন ;
থাকবে মেয়ে রানীর মতন ।
চাগরি করে পূর্ব রেলে ।
দারুন ছেলে , দারুন ছেলে !"
"তাই নাকি ? তা , দিচ্ছো কি কি ?
ষোলো আনায় আঠারো সিকি ?"
চোখ নাচিয়ে একটু কেশে,
ষষ্ঠীচরণ বললে এসে
ফিসফিসিয়ে কানের কাছে,
"দেখলে হবে ? খচ্চা আছে ।
গয়না, টিভি, ফ্রিজ, ঘড়ি,
ফার্নিচারও কয়েক লরি ।
ক্যাশের কথাও পাকাপাকি ;
দু'লাখ নগদ, দু'লাখ বাকি ।
কি করবো ভাই, এমন ছেলে,
হাতের থেকে ফসকে গেলে ?
আগুন এখন ছেলের বাজার ।
গাঁটের দিকে তাকাইনি আর ।
চাগরি করে পূর্ব রেলে,
আহা, দারুন ছেলে, দারুন ছেলে !"
দিন, মাস যায়, বছর গড়ায় ;
মেয়েটি এখন উনুন ধরায়
শুকনো পাতায়, ভেজা কাঠে ;
বাসন মাজে, বাটনা বাটে ।
পান থেকে চুন খসলে পরে
শাশুড়ি ননদ খামচে ধরে ।
আর এক আছে ঢ্যামনা শশুর ;
পাকনা চুলে জ্যান্ত অসুর ।
চানের ঘরের বেড়ার ফাঁকে
কুতকুতিয়ে তাকিয়ে থাকে ।
একটু কিছু বললে তারে
নোংরা কাঁচা খিস্তি মারে ।
চেকার বাবু ব্যস্ত বেজায় ;
সাড়ে দশটায় ডিউটিতে যায় ।
সন্ধ্যেবেলা ডিউটি সেরে
ছ'টার ট্রেনে বাড়ি ফেরে ।
নাকে মুখে চারটি গুঁজে
বেরিয়ে পরে সুযোগ বুঝে ।
চাঁদবাজারের রাস্তা ধরে
ভ্যাঁপসা গলির অন্ধকারে
আস্তে ধীরে পা বাড়িয়ে
কোথায় যেন যায় হারিয়ে ।
ময়লা কি যায় কয়লা ঘষে ?
নোংরামি আর আলুর দোষে
পরকীয়ায় দু'বার ফেঁসে
টাকার জোরে গেছে বেঁচে ।
ভাগ্য ভালো দেয়নি জেলে ;
কারণ সে যে দারুন ছেলে ।
বাড়ি ফেরে রাত্রি ন'টায় ;
দু'চারখানা সঙ্গী জোটায় ;
তাস পিটিয়ে জুয়ো খেলে ;
ঢুকুর ঢুকুর বাংলা গেলে ।
জমিয়ে বসে মদের আসর ।
মেয়েটি সাজায় দুঃখের বাসর ।
অশ্রুচোখে একলা ঘরে
কখন যেন ঘুমিয়ে পরে ।
মাতাল বরের লাথির চোটে
রাত দুপুরে চেঁচিয়ে ওঠে ।
তিরিশ হাজার জুয়োয় হেরে
ঝালটি মেটায় বৌকে মেরে ।
ধাক্কা মেরে জাগায় ঠেলে ;
লাগায় ঝাঁটা মেঝেয় ফেলে ।
"লক্ষীছাড়ি, বদের হাড়ি -
খবর দিবি বাপের বাড়ি ।
বাকির দু'লাখ কাল না পেলে
ভাজবো তোকে গরম তেলে ।"
কাল চলে যায়, পরশু আসে ।
বাপ আসে না, খবর আসে ।
লক্ষ পাঁচেক দেনার চাপে
গলায় দড়ি দিয়েছে বাপে।
এমন সুখের খবর পেয়ে
ষষ্ঠী রায়ের সোনার মেয়ে
কেরোসিনের বোতল ঢেলে
সারা গায়ে আগুন জ্বেলে
চললো তখন বাপের কাছে ।
যেথায় অনেক শান্তি আছে ।
যেথায় অনেক শান্তি আছে ।
বাপ মেয়ে তো বাঁচলো মরে ;
চেকার বাবু কি আর করে ;
হাজার দশেক টাকা দিয়ে
গাঁয়ের লোকের মুখ বুজিয়ে
কায়দা করে গল্প সাজায় -
বৌ মরেছে দুর্ঘটনায় ।
পুরুত আসে, মন্ত্র পড়ে,
ঘটা করে শ্রাদ্ধ করে ।
গলদা চিংড়ি, কাতলা কষা,
দই ইলিশ আর পাবদা রসা ।
মন্ডা মিঠাই থরে থরে,
সবাই খেলো তৃপ্তি ভরে ।
বললো সবাই, এমন ছেলে
লক্ষটিতে একটি মেলে ।
সমাজ তখন চেঁচিয়ে বলে,
"দারুন ছেলে, দারুন ছেলে ।"
অন্ধ সমাজ চেঁচিয়ে বলে,
"দারুন ছেলে, দারুন ছেলে ।"
ভন্ড সমাজ চেঁচিয়ে বলে,
"দারুন ছেলে, দারুন ছেলে ।"
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
--পলাশ মন্ডল ।
২৬/২/২০২০
সেদিন দেখি পুবের পাড়ার
ষষ্ঠীচরণ রায়
গাঁয়ের পথে কোথায় যেন
ছুটছে খালি পায়ে ।
"যাচ্ছো কোথায় হনহনিয়ে ?
দিচ্ছো নাকি মেয়ের বিয়ে ?
মেয়েটি তোমার মিষ্টি অতি ;
দেখতে শুনতে লক্ষীমতি ;
বিদ্যে গুনেও সরস্বতী ।
মেয়ের যেমন তুলনা নাই,
তেমন কিন্তু ছেলেটি চাই ।
মদ, জুয়ো, ভাং, গাঁজাখোরে
সমাজ এখন গেছে ভরে ।
চোর, লম্পট, দামড়া, গোঁয়ার -
দেশটি যেন ষাঁড়ের খোয়াড় ।
তা , বলো না , ছেলে কেমন ?
উঁহু , চলবেনাকো যেমন তেমন ।
হোক না বাঙাল , হোক না ঘটি ,
বাজিয়ে নিয়ো চরিত্রটি ।
চুপটি করে বলছি শোনো ,
খোঁজ নিতে নেই লজ্জা কোনো ;
দু'চার খানা লোক লাগিও ,
একান ওকান খবর নিও ।"
ষষ্ঠীচরণ বললো ক্ষেপে ,
"যাও তো নিজের পথটি মেপে ।
গায়ে পড়ে জ্ঞান দিও না ।
ছেলে তো নয়, কাঁচা সোনা ।
এমন জবর খাসা ছেলে
হাজারটিতে একটি মেলে ।
নয় সে বলদ , নয় সে বেকার ;
লোকাল ট্রেনের টিকিট চেকার ।
ঊনিশ হাজার মাসিক বেতন ;
থাকবে মেয়ে রানীর মতন ।
চাগরি করে পূর্ব রেলে ।
দারুন ছেলে , দারুন ছেলে !"
"তাই নাকি ? তা , দিচ্ছো কি কি ?
ষোলো আনায় আঠারো সিকি ?"
চোখ নাচিয়ে একটু কেশে,
ষষ্ঠীচরণ বললে এসে
ফিসফিসিয়ে কানের কাছে,
"দেখলে হবে ? খচ্চা আছে ।
গয়না, টিভি, ফ্রিজ, ঘড়ি,
ফার্নিচারও কয়েক লরি ।
ক্যাশের কথাও পাকাপাকি ;
দু'লাখ নগদ, দু'লাখ বাকি ।
কি করবো ভাই, এমন ছেলে,
হাতের থেকে ফসকে গেলে ?
আগুন এখন ছেলের বাজার ।
গাঁটের দিকে তাকাইনি আর ।
চাগরি করে পূর্ব রেলে,
আহা, দারুন ছেলে, দারুন ছেলে !"
দিন, মাস যায়, বছর গড়ায় ;
মেয়েটি এখন উনুন ধরায়
শুকনো পাতায়, ভেজা কাঠে ;
বাসন মাজে, বাটনা বাটে ।
পান থেকে চুন খসলে পরে
শাশুড়ি ননদ খামচে ধরে ।
আর এক আছে ঢ্যামনা শশুর ;
পাকনা চুলে জ্যান্ত অসুর ।
চানের ঘরের বেড়ার ফাঁকে
কুতকুতিয়ে তাকিয়ে থাকে ।
একটু কিছু বললে তারে
নোংরা কাঁচা খিস্তি মারে ।
চেকার বাবু ব্যস্ত বেজায় ;
সাড়ে দশটায় ডিউটিতে যায় ।
সন্ধ্যেবেলা ডিউটি সেরে
ছ'টার ট্রেনে বাড়ি ফেরে ।
নাকে মুখে চারটি গুঁজে
বেরিয়ে পরে সুযোগ বুঝে ।
চাঁদবাজারের রাস্তা ধরে
ভ্যাঁপসা গলির অন্ধকারে
আস্তে ধীরে পা বাড়িয়ে
কোথায় যেন যায় হারিয়ে ।
ময়লা কি যায় কয়লা ঘষে ?
নোংরামি আর আলুর দোষে
পরকীয়ায় দু'বার ফেঁসে
টাকার জোরে গেছে বেঁচে ।
ভাগ্য ভালো দেয়নি জেলে ;
কারণ সে যে দারুন ছেলে ।
বাড়ি ফেরে রাত্রি ন'টায় ;
দু'চারখানা সঙ্গী জোটায় ;
তাস পিটিয়ে জুয়ো খেলে ;
ঢুকুর ঢুকুর বাংলা গেলে ।
জমিয়ে বসে মদের আসর ।
মেয়েটি সাজায় দুঃখের বাসর ।
অশ্রুচোখে একলা ঘরে
কখন যেন ঘুমিয়ে পরে ।
মাতাল বরের লাথির চোটে
রাত দুপুরে চেঁচিয়ে ওঠে ।
তিরিশ হাজার জুয়োয় হেরে
ঝালটি মেটায় বৌকে মেরে ।
ধাক্কা মেরে জাগায় ঠেলে ;
লাগায় ঝাঁটা মেঝেয় ফেলে ।
"লক্ষীছাড়ি, বদের হাড়ি -
খবর দিবি বাপের বাড়ি ।
বাকির দু'লাখ কাল না পেলে
ভাজবো তোকে গরম তেলে ।"
কাল চলে যায়, পরশু আসে ।
বাপ আসে না, খবর আসে ।
লক্ষ পাঁচেক দেনার চাপে
গলায় দড়ি দিয়েছে বাপে।
এমন সুখের খবর পেয়ে
ষষ্ঠী রায়ের সোনার মেয়ে
কেরোসিনের বোতল ঢেলে
সারা গায়ে আগুন জ্বেলে
চললো তখন বাপের কাছে ।
যেথায় অনেক শান্তি আছে ।
যেথায় অনেক শান্তি আছে ।
বাপ মেয়ে তো বাঁচলো মরে ;
চেকার বাবু কি আর করে ;
হাজার দশেক টাকা দিয়ে
গাঁয়ের লোকের মুখ বুজিয়ে
কায়দা করে গল্প সাজায় -
বৌ মরেছে দুর্ঘটনায় ।
পুরুত আসে, মন্ত্র পড়ে,
ঘটা করে শ্রাদ্ধ করে ।
গলদা চিংড়ি, কাতলা কষা,
দই ইলিশ আর পাবদা রসা ।
মন্ডা মিঠাই থরে থরে,
সবাই খেলো তৃপ্তি ভরে ।
বললো সবাই, এমন ছেলে
লক্ষটিতে একটি মেলে ।
সমাজ তখন চেঁচিয়ে বলে,
"দারুন ছেলে, দারুন ছেলে ।"
অন্ধ সমাজ চেঁচিয়ে বলে,
"দারুন ছেলে, দারুন ছেলে ।"
ভন্ড সমাজ চেঁচিয়ে বলে,
"দারুন ছেলে, দারুন ছেলে ।"
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
ভালোবাসা এক সীমাহীন মহাকাশ
( ভালোবাসা এক সীমাহীন মহাকাশ )
--পলাশ মন্ডল ।
২৫/২/২০২০
কেউ যদি হয় অধরা অচিন মায়া,
হোক সে পাষান, হোক সে হৃদয়হীন ।
দাও যদি কিছু হৃদয় উজাড় করে,
সে দান তোমার রবে জেনো চিরদিন ।
যে ফুল তোমার ফিরায় সে ঘৃণাছলে,
ব্যাথার রক্তে করো'না হৃদয় রাঙা ।
তোমার সে ফুল ঘৃণার ছিলনা জেনো,
শুধু ছিল তার ফুলদানিটাই ভাঙ্গা ।
যার তরে তুমি পথপানে চেয়ে কাঁদো,
তার পথ বাঁধা অন্য পথের বাকে ।
হৃদয়ের পথে প্রেমটুকু শুধু বাঁধো,
জীবনের পথে কখনো বেঁধো না তাকে ।
ভালোবাসা এক সীমাহীন মহাকাশ,
জীবনের পথ তারও চেয়ে নয় বড় ।
জীবনের পথে হোক সে অচেনা পর,
ভালবেসে তারে হৃদয়ে আপন করো ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
--পলাশ মন্ডল ।
২৫/২/২০২০
কেউ যদি হয় অধরা অচিন মায়া,
হোক সে পাষান, হোক সে হৃদয়হীন ।
দাও যদি কিছু হৃদয় উজাড় করে,
সে দান তোমার রবে জেনো চিরদিন ।
যে ফুল তোমার ফিরায় সে ঘৃণাছলে,
ব্যাথার রক্তে করো'না হৃদয় রাঙা ।
তোমার সে ফুল ঘৃণার ছিলনা জেনো,
শুধু ছিল তার ফুলদানিটাই ভাঙ্গা ।
যার তরে তুমি পথপানে চেয়ে কাঁদো,
তার পথ বাঁধা অন্য পথের বাকে ।
হৃদয়ের পথে প্রেমটুকু শুধু বাঁধো,
জীবনের পথে কখনো বেঁধো না তাকে ।
ভালোবাসা এক সীমাহীন মহাকাশ,
জীবনের পথ তারও চেয়ে নয় বড় ।
জীবনের পথে হোক সে অচেনা পর,
ভালবেসে তারে হৃদয়ে আপন করো ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
ইচ্ছে ডানা
( ইচ্ছে ডানা )
--পলাশ মন্ডল ।
২৩/২/২০২০
মা যদি হও আমার সকালবেলা,
তোমার সকাল সাজিয়ে দেব ফুলে ।
সোনার আলোয় ভাসিয়ে মেঘের ভেলা,
ভিড়বো তোমার স্নেহনদীর কূলে ।
মা যদি হও শঙ্খবালুর চর,
সারস হয়ে উড়ব তোমার বুকে ।
ঝিনুক নুড়ির গড়ব খেলাঘর,
সারাটি দিন থাকব সেথায় সুখে ।
মা যদি হও দীঘির কালো জল,
রোজ সকালে ফুটব হয়ে-
রঙিন শতদল ।
মা যদি দাও আশা,
তোমার প্রথম পাঠশালাতে
শিখব তোমার ভাষা ।
মা যদি হও শ্রোতা,
সারাটিক্ষণ তোমার কাছে
কইবো মনের কথা ।
মা যদি হও আমার পূজার ঘর,
প্রদীপ হয়ে জ্বলব সেথায়
সারা জনমভর ।
মা যদি হও আমার পূজার ফুল,
আশীর্বাদের পাপড়ি নিয়ে
পরব কানের দুল ।
মা যদি হও স্নিগ্ধ বটের ছায়া,
রাখাল হয়ে থাকব, মনে
মাখবো তোমার মায়া ।
মা যদি হও সুর,
রাখালরাজের বাঁশি হয়ে বাজব সুমধুর ।
মা যদি হও দূর আকাশের নীল,
আমি হবো শঙ্খডানা চিল ।
তোমার আশীর্বাদের আলোয়
উড়বো অনাবিল ।
দাও মা যদি আড়ি,
অনুভবের গোপন ঘরে
লুকিয়ে দেব পারি ।
মা যদি দাও ব্যথা,
ভাবছ কি মা, বলবো না আর কথা?
মান ভাঙানির গান শুনিয়ে
ভাঙব নীরবতা ।
মা যদি হও চাঁদ,
জ্যোৎস্না হয়ে থাকবো সাথে,
জাগব সারারাত ।
মা যদি গাও ঘুম পাড়ানির গান,
আধেক ঘুমেও থাকব পেতে কান ।
হও যদি মা ঘুমের দেশের পরী,
দিনের শেষে স্বপন দেশে
ভিড়াবো মোর তরী ।
খুশির রঙে সাজিয়ে দেব
তোমার স্বপ্নলোক ।
মা-ছেলের এই ভালবাসা
স্বপ্নে সফল হোক ।।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
--পলাশ মন্ডল ।
২৩/২/২০২০
মা যদি হও আমার সকালবেলা,
তোমার সকাল সাজিয়ে দেব ফুলে ।
সোনার আলোয় ভাসিয়ে মেঘের ভেলা,
ভিড়বো তোমার স্নেহনদীর কূলে ।
মা যদি হও শঙ্খবালুর চর,
সারস হয়ে উড়ব তোমার বুকে ।
ঝিনুক নুড়ির গড়ব খেলাঘর,
সারাটি দিন থাকব সেথায় সুখে ।
মা যদি হও দীঘির কালো জল,
রোজ সকালে ফুটব হয়ে-
রঙিন শতদল ।
মা যদি দাও আশা,
তোমার প্রথম পাঠশালাতে
শিখব তোমার ভাষা ।
মা যদি হও শ্রোতা,
সারাটিক্ষণ তোমার কাছে
কইবো মনের কথা ।
মা যদি হও আমার পূজার ঘর,
প্রদীপ হয়ে জ্বলব সেথায়
সারা জনমভর ।
মা যদি হও আমার পূজার ফুল,
আশীর্বাদের পাপড়ি নিয়ে
পরব কানের দুল ।
মা যদি হও স্নিগ্ধ বটের ছায়া,
রাখাল হয়ে থাকব, মনে
মাখবো তোমার মায়া ।
মা যদি হও সুর,
রাখালরাজের বাঁশি হয়ে বাজব সুমধুর ।
মা যদি হও দূর আকাশের নীল,
আমি হবো শঙ্খডানা চিল ।
তোমার আশীর্বাদের আলোয়
উড়বো অনাবিল ।
দাও মা যদি আড়ি,
অনুভবের গোপন ঘরে
লুকিয়ে দেব পারি ।
মা যদি দাও ব্যথা,
ভাবছ কি মা, বলবো না আর কথা?
মান ভাঙানির গান শুনিয়ে
ভাঙব নীরবতা ।
মা যদি হও চাঁদ,
জ্যোৎস্না হয়ে থাকবো সাথে,
জাগব সারারাত ।
মা যদি গাও ঘুম পাড়ানির গান,
আধেক ঘুমেও থাকব পেতে কান ।
হও যদি মা ঘুমের দেশের পরী,
দিনের শেষে স্বপন দেশে
ভিড়াবো মোর তরী ।
খুশির রঙে সাজিয়ে দেব
তোমার স্বপ্নলোক ।
মা-ছেলের এই ভালবাসা
স্বপ্নে সফল হোক ।।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
( নদীটি অনেক সুন্দর ) -- পলাশ মন্ডল ।
( নদীটি অনেক সুন্দর )
-- পলাশ মন্ডল ।
১৭/২/২০
নদীটি অনেক সুন্দর,
মাঝে বালুচর ঝিকমিক,
দুকূলে সবুজ প্রান্তর,
মেঘনীলে ঘেরা চারিদিক ।
নদীটি অনেক সুন্দর,
জলরঙে আঁকা দূরগ্রাম,
সকাল রাত্রি দিনভর,
বয়ে চলে নদী অবিরাম ।
কত ঝাউবন, তালগাছ সারি
দুই দিকে সরে সরে যায় ।
কলসিতে লয়ে তৃষ্ণার বারি
কত নারী কত ঘরে যায় !
ডান পাড়ে রেখে ডাহুকের মাঠ,
ভুতুম চরের বাঁশঝাড় ।
বাঁয়ে ফেলে বুড়োশিবতলা ঘাট
বয়ে যায় নদী অনিবার ।
চাষী কাটে ধান, জেলে জাল পাতে
মাঝি গান গায় ভাটিয়াল ।
ঘরছাড়া উড়োমেঘেদের সাথে
নদী বয়ে চলে উত্তাল ।
সারাটি সকাল, সন্ধ্যা, দুপুর
খেয়া বেয়ে মাঝি ক্লান্ত ।
নদীর জীবনে ক্লান্তি যে নেই,
চলে সে অবিশ্রান্ত ।
আঁধার ঘনায়, ক্লান্ত ডানায়
সাঁঝের পাখিরা খোঁজে নীড় ।
মাঠের রাখাল ঘরে ফিরে যায়
সুনসান হয় নদীতীর ।
আকাশের কোলে বাঁকা চাঁদ ওঠে,
জোছনা আলোয় দোলে দুল ।
জোয়ার জলের আরশিতে ফোটে
হাজার তারার নাকফুল ।
এরপর আরও রাত হয়,
পৃথিবী ঘুমায় নিঃসাড় ।
এ নদী তখনও জেগে রয়,
ঘুম যে দুচোখে নেই তার ।
ওগো নদী তুমি কোথা যাও ?
ঠিকানা তোমার কোন গাঁও ?
কোন রমণীর হৃদয় বারতা
কোন পরদেশে কারে দাও ?
কোন সে নারীর দুঃখের রোদন
তোমার দুচোখে উছলায় ?
কার জীবনের না বলা বেদন
তোমার হৃদয়ে ভেসে যায় ?
ক্ষনিক দাঁড়ায়ে বলে যাও নদী
সুখের ঠিকানা কতদূর ?
প্রেমসুধা যেথা বহে নিরবধি,
কোথা সে জীবন মধুপুর ?
নদী বয়ে যায় , পিছনে না চায়,
আকাশে ঘনায় কালো মেঘ ।
দুকূল ভাসায় ঘন বরষায়,
নিশুতি ঝড়ের বাড়ে বেগ ।
কখন যে হয় রাত ভোর !
কাটে সে নিশার ঘনঘোর ।
হৃদয় আকাশে শুকতারা হয়ে
কে যে পিছু ডাকে মনচোর !
নদী যেন বলে, "আমায় ডেকোনা,
চেয়োনা আমায় জানতে ।
আমার ঠিকানা লেখা আছে জানা-
অজানার শেষ প্রান্তে ।
চলার কাব্যে লিখেছি জীবন,
চলারই সুরটি রেখে যাই ।
চলার ছন্দে গেঁথেছি এ মন,
চলারই স্বপ্ন দেখে যাই ।
চলাই দুঃখসুখের বাজারে
শান্তি নামের পণ্য ।
এ জগতে মোরা তাই বারেবারে
আসি যে চলারই জন্য ।
সুধা সাগরের মধুমোহনায়
যে জন যে পথে পথ পাই,
প্রেমের অরূপ অমৃত ধারায়
সে জন সে পথে চলে যাই ।
আপন ছন্দে চলে যাই ।
চলে যাই , শুধু চলে যাই "।।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
-- পলাশ মন্ডল ।
১৭/২/২০
নদীটি অনেক সুন্দর,
মাঝে বালুচর ঝিকমিক,
দুকূলে সবুজ প্রান্তর,
মেঘনীলে ঘেরা চারিদিক ।
নদীটি অনেক সুন্দর,
জলরঙে আঁকা দূরগ্রাম,
সকাল রাত্রি দিনভর,
বয়ে চলে নদী অবিরাম ।
কত ঝাউবন, তালগাছ সারি
দুই দিকে সরে সরে যায় ।
কলসিতে লয়ে তৃষ্ণার বারি
কত নারী কত ঘরে যায় !
ডান পাড়ে রেখে ডাহুকের মাঠ,
ভুতুম চরের বাঁশঝাড় ।
বাঁয়ে ফেলে বুড়োশিবতলা ঘাট
বয়ে যায় নদী অনিবার ।
চাষী কাটে ধান, জেলে জাল পাতে
মাঝি গান গায় ভাটিয়াল ।
ঘরছাড়া উড়োমেঘেদের সাথে
নদী বয়ে চলে উত্তাল ।
সারাটি সকাল, সন্ধ্যা, দুপুর
খেয়া বেয়ে মাঝি ক্লান্ত ।
নদীর জীবনে ক্লান্তি যে নেই,
চলে সে অবিশ্রান্ত ।
আঁধার ঘনায়, ক্লান্ত ডানায়
সাঁঝের পাখিরা খোঁজে নীড় ।
মাঠের রাখাল ঘরে ফিরে যায়
সুনসান হয় নদীতীর ।
আকাশের কোলে বাঁকা চাঁদ ওঠে,
জোছনা আলোয় দোলে দুল ।
জোয়ার জলের আরশিতে ফোটে
হাজার তারার নাকফুল ।
এরপর আরও রাত হয়,
পৃথিবী ঘুমায় নিঃসাড় ।
এ নদী তখনও জেগে রয়,
ঘুম যে দুচোখে নেই তার ।
ওগো নদী তুমি কোথা যাও ?
ঠিকানা তোমার কোন গাঁও ?
কোন রমণীর হৃদয় বারতা
কোন পরদেশে কারে দাও ?
কোন সে নারীর দুঃখের রোদন
তোমার দুচোখে উছলায় ?
কার জীবনের না বলা বেদন
তোমার হৃদয়ে ভেসে যায় ?
ক্ষনিক দাঁড়ায়ে বলে যাও নদী
সুখের ঠিকানা কতদূর ?
প্রেমসুধা যেথা বহে নিরবধি,
কোথা সে জীবন মধুপুর ?
নদী বয়ে যায় , পিছনে না চায়,
আকাশে ঘনায় কালো মেঘ ।
দুকূল ভাসায় ঘন বরষায়,
নিশুতি ঝড়ের বাড়ে বেগ ।
কখন যে হয় রাত ভোর !
কাটে সে নিশার ঘনঘোর ।
হৃদয় আকাশে শুকতারা হয়ে
কে যে পিছু ডাকে মনচোর !
নদী যেন বলে, "আমায় ডেকোনা,
চেয়োনা আমায় জানতে ।
আমার ঠিকানা লেখা আছে জানা-
অজানার শেষ প্রান্তে ।
চলার কাব্যে লিখেছি জীবন,
চলারই সুরটি রেখে যাই ।
চলার ছন্দে গেঁথেছি এ মন,
চলারই স্বপ্ন দেখে যাই ।
চলাই দুঃখসুখের বাজারে
শান্তি নামের পণ্য ।
এ জগতে মোরা তাই বারেবারে
আসি যে চলারই জন্য ।
সুধা সাগরের মধুমোহনায়
যে জন যে পথে পথ পাই,
প্রেমের অরূপ অমৃত ধারায়
সে জন সে পথে চলে যাই ।
আপন ছন্দে চলে যাই ।
চলে যাই , শুধু চলে যাই "।।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
গল্পের সাথে অল্প - সুমন সরকার
গল্পের সাথে অল্প
সুমন সরকার
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
গল্পের সাথে অল্প সখ্যতা আমার
সেখানে আবার সখ্যতা তোমার।
লেখার প্রতি আছে দূর্বলতা আমার
সেখানে খোঁজ খবর নেই তোমার।
কবিতা লেখার সঙ্গী কলম আমার
সেখানে কবিতা পাঠে মন তোমার।
লেখার প্রাপ্তিতে আশা নেই আমার
সেখানে উৎসাহ প্রদানে মন তোমার।
আলো আধার পথে চলাচল আমার
সেখানে সঙ্গী হওয়ার ইচ্ছা তোমার।
জীবন গল্পের সাথে বিচরণ আমার
সেখানে চলতে ফিরতে সাধ তোমার।
গল্পের মাঝে থাকো পাশে আমার
যাবে সময় হয়তো ভালো তোমা।
Regards,
M A kabir sumon | anamulkabirsumon06@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
সুমন সরকার
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
গল্পের সাথে অল্প সখ্যতা আমার
সেখানে আবার সখ্যতা তোমার।
লেখার প্রতি আছে দূর্বলতা আমার
সেখানে খোঁজ খবর নেই তোমার।
কবিতা লেখার সঙ্গী কলম আমার
সেখানে কবিতা পাঠে মন তোমার।
লেখার প্রাপ্তিতে আশা নেই আমার
সেখানে উৎসাহ প্রদানে মন তোমার।
আলো আধার পথে চলাচল আমার
সেখানে সঙ্গী হওয়ার ইচ্ছা তোমার।
জীবন গল্পের সাথে বিচরণ আমার
সেখানে চলতে ফিরতে সাধ তোমার।
গল্পের মাঝে থাকো পাশে আমার
যাবে সময় হয়তো ভালো তোমা।
Regards,
M A kabir sumon | anamulkabirsumon06@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
( চৌকাঠেতেই ফাঁক ছিল ) --পলাশ মন্ডল ।
বিভাগ - কবিতা
( চৌকাঠেতেই ফাঁক ছিল )
--পলাশ মন্ডল ।
১৬/২/২০২০
চিলেকোঠার চৌকাঠে এক
মস্তবড় ফাঁক ছিল ।
সেই ফাঁকেতে লেজ বাঁকা এক
কাক ছিল ।
বানিয়ে বাসা কে জানে সে
কবে থেকেই থাকছিল !
হালিখানেক ডিম নিয়ে তা
হুলোর ভয়ে ঢাকছিল ।
দুদিন পরেই মা হবে, তার
স্বপ্ন মনে আঁকছিলো ।
চাতাল তলার পেঁপেগাছে
তিন টি পেঁপে পাকছিলো ।
শালিক-চড়াই না দেখে, তাই
চোখে চোখে রাখছিলো ।
গেট পেরিয়ে একটু দূরেই
চৌরাস্তার বাক ছিল ।
সেখান দিয়ে মিঠাই নিয়ে
ময়রা কাকু হাঁকছিলো ।
কাকুর মাথায় টাক ছিল ।
হলোই বা টাক, বুদ্ধিতে সে
একটু ছেঁড়া-তার ছিল ।
ঝুড়িতে তার মিষ্টি দইয়ের
হরেক রকম ভার ছিল ।
পেছন থেকে ছোকরারা সব
যে যার মতো ঝাড়ছিলো ।
এসব দেখে কাকের মনেও
আশার পারদ চড়ছিলো ।
চার চারটে বাচ্চা পোষার
প্রস্তূতিটা সারছিলো ।
ক'দিন পরেই মা হলো কাক,
বাচ্চা গুলো বাড়ছিল ।
চিলেকোঠার আড়ালটা তে
এক পা, দু'পা হাটছিলো ।
দিনগুলি বেশ কাটছিলো ।
সব কিছু ঠিকঠাক ছিল ।
হঠাৎ সেদিন কি যে হলো,
কাক টা ভীষণ ডাকছিলো ।
পালিয়ে গেছে বাচ্চারা, তাই
মন টা যে খুব ভার ছিল ।
এতক্ষনে হুশ হলো তার,
বাচ্চাগুলো কার ছিল ।
হোকনা ওরা কোকিল, তবু
বুকটা কাকের ফাটছিলো ।
ছাদটা তখন কাকের কাছে
ব্যাথার ধু ধু মাঠ ছিল ।
কাকের মনের চিলেকোঠায়
গভীর শোকের দাগ ছিলো ।
অবশেষে বুঝলো যে, তার
চৌকাঠেতেই ফাঁক ছিল ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
( চৌকাঠেতেই ফাঁক ছিল )
--পলাশ মন্ডল ।
১৬/২/২০২০
চিলেকোঠার চৌকাঠে এক
মস্তবড় ফাঁক ছিল ।
সেই ফাঁকেতে লেজ বাঁকা এক
কাক ছিল ।
বানিয়ে বাসা কে জানে সে
কবে থেকেই থাকছিল !
হালিখানেক ডিম নিয়ে তা
হুলোর ভয়ে ঢাকছিল ।
দুদিন পরেই মা হবে, তার
স্বপ্ন মনে আঁকছিলো ।
চাতাল তলার পেঁপেগাছে
তিন টি পেঁপে পাকছিলো ।
শালিক-চড়াই না দেখে, তাই
চোখে চোখে রাখছিলো ।
গেট পেরিয়ে একটু দূরেই
চৌরাস্তার বাক ছিল ।
সেখান দিয়ে মিঠাই নিয়ে
ময়রা কাকু হাঁকছিলো ।
কাকুর মাথায় টাক ছিল ।
হলোই বা টাক, বুদ্ধিতে সে
একটু ছেঁড়া-তার ছিল ।
ঝুড়িতে তার মিষ্টি দইয়ের
হরেক রকম ভার ছিল ।
পেছন থেকে ছোকরারা সব
যে যার মতো ঝাড়ছিলো ।
এসব দেখে কাকের মনেও
আশার পারদ চড়ছিলো ।
চার চারটে বাচ্চা পোষার
প্রস্তূতিটা সারছিলো ।
ক'দিন পরেই মা হলো কাক,
বাচ্চা গুলো বাড়ছিল ।
চিলেকোঠার আড়ালটা তে
এক পা, দু'পা হাটছিলো ।
দিনগুলি বেশ কাটছিলো ।
সব কিছু ঠিকঠাক ছিল ।
হঠাৎ সেদিন কি যে হলো,
কাক টা ভীষণ ডাকছিলো ।
পালিয়ে গেছে বাচ্চারা, তাই
মন টা যে খুব ভার ছিল ।
এতক্ষনে হুশ হলো তার,
বাচ্চাগুলো কার ছিল ।
হোকনা ওরা কোকিল, তবু
বুকটা কাকের ফাটছিলো ।
ছাদটা তখন কাকের কাছে
ব্যাথার ধু ধু মাঠ ছিল ।
কাকের মনের চিলেকোঠায়
গভীর শোকের দাগ ছিলো ।
অবশেষে বুঝলো যে, তার
চৌকাঠেতেই ফাঁক ছিল ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
ধর্ম গুণে গুণান্বিত - রাকিবুল হাসান নয়ন
ধর্ম গুণে গুণান্বিত
রাকিবুল হাসান নয়ন
ধর্ম শিক্ষা বড় শিক্ষা
আলোর বিকিরণ
সদা সত্য পথে ভিক্ষা
প্রভুর সমর্পণ।
ধর্ম গুণে বাড়ে ভক্তি
বিধাতার সমীপে-
এক স্রষ্টা এক শক্তি
কোরআন জরিপে।
কেউ যদি সীমা ছাড়ি
কোরআন বিপক্ষে-
নাহি শান্তি শোভা তারি
যেনো-আসে স্বপক্ষে।
বিধি ধর্মে অবহেলা
আসবে কেয়ামত-
ধ্বংস হবে রঙ্গমেলা
অবৈধ সব পথ।
পৃথিবীতে বিধি মেনে
পরম করুণায়-
সদা সত্য পথ চেনে
প্রভুর দয়া পায়।
আশে-পাশে নবী গুণে
গুণান্বিত যেজন-
আল্লার রহম পুণ্যে
আউলিয়া সেজন।
Regards,
মোঃ রাকিবুল হাসান নয়ন | nayan441066@mail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
রাকিবুল হাসান নয়ন
ধর্ম শিক্ষা বড় শিক্ষা
আলোর বিকিরণ
সদা সত্য পথে ভিক্ষা
প্রভুর সমর্পণ।
ধর্ম গুণে বাড়ে ভক্তি
বিধাতার সমীপে-
এক স্রষ্টা এক শক্তি
কোরআন জরিপে।
কেউ যদি সীমা ছাড়ি
কোরআন বিপক্ষে-
নাহি শান্তি শোভা তারি
যেনো-আসে স্বপক্ষে।
বিধি ধর্মে অবহেলা
আসবে কেয়ামত-
ধ্বংস হবে রঙ্গমেলা
অবৈধ সব পথ।
পৃথিবীতে বিধি মেনে
পরম করুণায়-
সদা সত্য পথ চেনে
প্রভুর দয়া পায়।
আশে-পাশে নবী গুণে
গুণান্বিত যেজন-
আল্লার রহম পুণ্যে
আউলিয়া সেজন।
Regards,
মোঃ রাকিবুল হাসান নয়ন | nayan441066@mail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
( প্রতিবাদী কবি ও লেখক নবারুণ ভট্টাচার্যের স্মৃতির স্মরণে লেখা একটি শ্রদ্ধার্ঘ্য ) :- ( এসো নবারুণ ) --পলাশ মন্ডল ।
( প্রতিবাদী কবি ও লেখক নবারুণ ভট্টাচার্যের
স্মৃতির স্মরণে লেখা একটি শ্রদ্ধার্ঘ্য ) :-
( এসো নবারুণ )
--পলাশ মন্ডল ।
ঊষার আকাশে আবির ছড়ায়ে
প্রতিদিন ওঠে রবি ।
আধো ঘুমচোখে চেয়ে দেখি তার
শান্ত মুখচ্ছবি ।
যে রবি ওঠেনা প্রতিদিন , ওঠে -
শত বছরের পরে ,
ওঠে কৃষক , মজুর , কুলি , ডোম আর
মুচি , মেথরের তরে ।
ওঠে সোনালী দিনের স্বপ্ন সাজায়ে
নির্যাতিতের তরে ।
ওঠে ক্ষুধার্ত আর রুগ্ন, পীড়িত
পথশিশুদের তরে ।
স্মরণ করি সে নবারুনে আজ
পরম শ্রদ্ধাভরে ।
এসো মহীরুহ, এসো মহাপ্রাণ ,
বারবার এসো ফিরে ;
কান্ডারী হতে এই পৃথিবীর
রক্তনদীর তীরে ।
এসো নবারুণ , জ্বালাও তোমার
আধপোড়া সিগারেট ।
দেশলাই হাতে রয়েছে দাঁড়ায়ে
ক্ষুধার্ত শত পেট ।
রাতের মোটরগাড়ি'রা এখনো
এই রাস্তায় ছোটে ।
থকথকে ঘিলুমাখা পথে আজও
রক্তগোলাপ ফোটে ।
তোমার বৃদ্ধ ভিখিরি এখনো
কাঁপে অভিমানে শীতে ।
কম্বল আর দয়ার চাদর
কেউ যে আসেনা দিতে ।
এই মৃত্যুর উপত্যকা যে
তোমারি আপন দেশ ।
ফিরে এসো তার প্রতি ঘরে ঘরে,
হয়নি যে কাজ শেষ ।
ম্যাচ-বাক্সের মানুষেরা আজও
মাথা ঠুকে মরে হায় ।
নিজেদেরই জ্বালা আগুনে এখনো
নিজেরাই জ্বলে যায় ।
পারো যদি কিছু পেট্রোল এনে
ঢালো সে চিতার কাঠে ।
পেট্রোল দিয়ে নেভানো আগুনে
যদি কেউ জেগে ওঠে ?!
তোমার শীর্ণ কাঁধে তুলে নাও
অর্ধমৃতের লাশ ।
দেখো দেখো , কাঁধে না ডোবে সূর্য
না থামে দীর্ঘশ্বাস ।
জীবনে যাদের নিত্য উপোস,
পেটেতে ক্ষুধার বোঝা ।
বারুদ কিছুটা পুরে দিও মুখে,
হররোজ যার রোজা ।
পাঁচতারা যত হোটেলে, কাফেতে
খাদ্যতালিকা ঘেটে
কুকুরেরা খায় আজও গরিবের
রক্ত মাংস চেটে ।
তার সাথে খায় এইড্স চুম্বন
ঘেয়ো কুকুরেরা রোজ ।
গরিবের গড়া ইমারতে বসে
কুকুরের মহাভোজ ।
শূন্য দুধের বোতলে যে আজ,
ভরে গেছে সারাদেশ ।
দোলনা এখনো দুলে চলে একা,
কোথা এ দোলার শেষ ?
লক্ষ শিশুর মৃত্যু দোলনা
দোলে আকাশের গায় ।
এ কোন সুখের মৃত্যু ? শিশুরা -
মরতেই শুধু চায় ?!
তোমার প্রাণের প্রেয়সী এখনো
আত্মহত্যা করে ।
বারে বারে এসে জীবন-বাঁশরী
শোনাও তাহারও তরে ।
ওগো নবারুণ, এসো যুগে যুগে,
এসো ঘরে ঘরে তুমি ।
এ মহাশ্মশান তোমা-ছাড়া আজও
প্রাণহীন প্রেতভূমি ।।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
স্মৃতির স্মরণে লেখা একটি শ্রদ্ধার্ঘ্য ) :-
( এসো নবারুণ )
--পলাশ মন্ডল ।
ঊষার আকাশে আবির ছড়ায়ে
প্রতিদিন ওঠে রবি ।
আধো ঘুমচোখে চেয়ে দেখি তার
শান্ত মুখচ্ছবি ।
যে রবি ওঠেনা প্রতিদিন , ওঠে -
শত বছরের পরে ,
ওঠে কৃষক , মজুর , কুলি , ডোম আর
মুচি , মেথরের তরে ।
ওঠে সোনালী দিনের স্বপ্ন সাজায়ে
নির্যাতিতের তরে ।
ওঠে ক্ষুধার্ত আর রুগ্ন, পীড়িত
পথশিশুদের তরে ।
স্মরণ করি সে নবারুনে আজ
পরম শ্রদ্ধাভরে ।
এসো মহীরুহ, এসো মহাপ্রাণ ,
বারবার এসো ফিরে ;
কান্ডারী হতে এই পৃথিবীর
রক্তনদীর তীরে ।
এসো নবারুণ , জ্বালাও তোমার
আধপোড়া সিগারেট ।
দেশলাই হাতে রয়েছে দাঁড়ায়ে
ক্ষুধার্ত শত পেট ।
রাতের মোটরগাড়ি'রা এখনো
এই রাস্তায় ছোটে ।
থকথকে ঘিলুমাখা পথে আজও
রক্তগোলাপ ফোটে ।
তোমার বৃদ্ধ ভিখিরি এখনো
কাঁপে অভিমানে শীতে ।
কম্বল আর দয়ার চাদর
কেউ যে আসেনা দিতে ।
এই মৃত্যুর উপত্যকা যে
তোমারি আপন দেশ ।
ফিরে এসো তার প্রতি ঘরে ঘরে,
হয়নি যে কাজ শেষ ।
ম্যাচ-বাক্সের মানুষেরা আজও
মাথা ঠুকে মরে হায় ।
নিজেদেরই জ্বালা আগুনে এখনো
নিজেরাই জ্বলে যায় ।
পারো যদি কিছু পেট্রোল এনে
ঢালো সে চিতার কাঠে ।
পেট্রোল দিয়ে নেভানো আগুনে
যদি কেউ জেগে ওঠে ?!
তোমার শীর্ণ কাঁধে তুলে নাও
অর্ধমৃতের লাশ ।
দেখো দেখো , কাঁধে না ডোবে সূর্য
না থামে দীর্ঘশ্বাস ।
জীবনে যাদের নিত্য উপোস,
পেটেতে ক্ষুধার বোঝা ।
বারুদ কিছুটা পুরে দিও মুখে,
হররোজ যার রোজা ।
পাঁচতারা যত হোটেলে, কাফেতে
খাদ্যতালিকা ঘেটে
কুকুরেরা খায় আজও গরিবের
রক্ত মাংস চেটে ।
তার সাথে খায় এইড্স চুম্বন
ঘেয়ো কুকুরেরা রোজ ।
গরিবের গড়া ইমারতে বসে
কুকুরের মহাভোজ ।
শূন্য দুধের বোতলে যে আজ,
ভরে গেছে সারাদেশ ।
দোলনা এখনো দুলে চলে একা,
কোথা এ দোলার শেষ ?
লক্ষ শিশুর মৃত্যু দোলনা
দোলে আকাশের গায় ।
এ কোন সুখের মৃত্যু ? শিশুরা -
মরতেই শুধু চায় ?!
তোমার প্রাণের প্রেয়সী এখনো
আত্মহত্যা করে ।
বারে বারে এসে জীবন-বাঁশরী
শোনাও তাহারও তরে ।
ওগো নবারুণ, এসো যুগে যুগে,
এসো ঘরে ঘরে তুমি ।
এ মহাশ্মশান তোমা-ছাড়া আজও
প্রাণহীন প্রেতভূমি ।।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
স্বাধীনতা তুমি হারালে। সুজন মাহমুদ
স্বাধীনতা তুমি হারালে।
সুজন মাহমুদ
স্কুল কলেজ গার্মেন্টস থেকে নারী হবে বস্রহারা।
এসিড দিবো ছুড়ে শ্রমিকের থালাভরা ভাতে।
কেড়ে নিবো তোমার,
গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা।
রাজনীতিবিদ বুদ্ধিজীবীরা হবে দেশদ্রোহী, ফাঁসির মঞ্চে এনে বিষ প্রয়োগে করিবো
হত্যা।
কবি সাহিত্যিক দার্শনিক সকলেই হবে রাজবন্দী।
সংসদ, অট্টালিকা, মেট্টরেল,
হাতিঝিল একনিমিষে দিবো গুড়িয়ে।
রাজপথ ভাসিয়ে দিবো রক্ত স্রোতে,
সাইক্লোন দিয়ে উড়িয়ে দিবো সুন্দরবন।
দাবানলে দিবো ছাই করে ফসলি মাঠ।
কেড়ে নিবো কৃষকের হাত, ফসল যেনো না ফলে এই মাঠে।
সকলে যেনো অনাহারে আমার চরণ তলে মাথা ঠুকে।
তোমার বায়ান্ন একাত্তরের ইতিহাস দিবো মুছে।
এই মৃত্তিকায় থাকবে না কোন শহীদের রক্তচিহ্ন।
থাকবে না কোন ইতিহাস।
আমি লেখে দিবো তিনকালের ইতিহাস।
আমি শোষক
তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ একশো চুয়াল্লিশ দারা থাকবে অনন্তকাল।
সশস্ত্র বাহিনী আমার একান্ত অনুগত।
কেও আমার বিরুদ্ধে গেলে তারা হবে নির্বাসিত।
আমি হবো একনায়তন্ত্র
তোমার তিন কালের ইতিহাস।
স্বাধীনতা তুমি যদি চলে যাও, রক্ত হাতে করিবো শরাপ পান।
আমার জন্মভূমি আমাকে দিয়ো সাড়ে তিন হাত ভূমি।
না হয় কেড়ে নিবো তোমার সার্বভৌমত্ব।
ছিঁড়ে নিবো মানচিত্র।
Regards,
সুজন মাহমুদ | Sujanmahmud1@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
সুজন মাহমুদ
স্কুল কলেজ গার্মেন্টস থেকে নারী হবে বস্রহারা।
এসিড দিবো ছুড়ে শ্রমিকের থালাভরা ভাতে।
কেড়ে নিবো তোমার,
গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা।
রাজনীতিবিদ বুদ্ধিজীবীরা হবে দেশদ্রোহী, ফাঁসির মঞ্চে এনে বিষ প্রয়োগে করিবো
হত্যা।
কবি সাহিত্যিক দার্শনিক সকলেই হবে রাজবন্দী।
সংসদ, অট্টালিকা, মেট্টরেল,
হাতিঝিল একনিমিষে দিবো গুড়িয়ে।
রাজপথ ভাসিয়ে দিবো রক্ত স্রোতে,
সাইক্লোন দিয়ে উড়িয়ে দিবো সুন্দরবন।
দাবানলে দিবো ছাই করে ফসলি মাঠ।
কেড়ে নিবো কৃষকের হাত, ফসল যেনো না ফলে এই মাঠে।
সকলে যেনো অনাহারে আমার চরণ তলে মাথা ঠুকে।
তোমার বায়ান্ন একাত্তরের ইতিহাস দিবো মুছে।
এই মৃত্তিকায় থাকবে না কোন শহীদের রক্তচিহ্ন।
থাকবে না কোন ইতিহাস।
আমি লেখে দিবো তিনকালের ইতিহাস।
আমি শোষক
তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ একশো চুয়াল্লিশ দারা থাকবে অনন্তকাল।
সশস্ত্র বাহিনী আমার একান্ত অনুগত।
কেও আমার বিরুদ্ধে গেলে তারা হবে নির্বাসিত।
আমি হবো একনায়তন্ত্র
তোমার তিন কালের ইতিহাস।
স্বাধীনতা তুমি যদি চলে যাও, রক্ত হাতে করিবো শরাপ পান।
আমার জন্মভূমি আমাকে দিয়ো সাড়ে তিন হাত ভূমি।
না হয় কেড়ে নিবো তোমার সার্বভৌমত্ব।
ছিঁড়ে নিবো মানচিত্র।
Regards,
সুজন মাহমুদ | Sujanmahmud1@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
পল্লির কাজ || কবি আমিনুল হক
![]() |
কৃষকদের এত কষ্ট
আগে জানি নে,
রাত দিন পরিশ্রম করে
কষ্টে কাটায় সে।
জেলেরা মাছ ধরে
নদীর তীরে গিয়ে
তখন জেলে খুশি হয়
বড় মাছ উঠলে।
পল্লি গায়ের নৌকার মাঝি
গায় যে দেশের গান,
এমন গানে এমন সুরে
জুরায় সবার প্রাণ।
কুমার বানায় মাটির হাড়ি
করে কত সাজ,
মুচি করে জুতা সেলাই
নেই তো কোন লাজ।
কামার করে লোহার কাজ
বানায় কত কি,
নাপিত বলে আমরাই তো
সম্মানে থাকি।
পল্লি গায়ের মানবগুলি
করে নানান কাজ,
উৎসবে মেতে উঠে
করে সবাই সাজ।
"একাঙ্ক নাটক " অন্তরাত্মা - বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত
"একাঙ্ক নাটক "
অন্তরাত্মা
বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত
[ দীপ্ত,তনু,অর্ক,শুভ্র, অঙ্কিত নিজেদের মধ্যে কথা বলছে,এমনসময় ব্যাকগ্রাউন্ডে
এক মহিলা কন্ঠস্বর ধ্বণিত হতে থাকেঃ
" মা তোমার গর্ভে দশমাস দশদিন পূরণের আগেই, এক উথাল-পাতাল আলোড়ন উঁকি মারে
তোমার জঠরের চারপাশে
খানিক বাদেই মাংস পিন্ডের ডেলাটা ঝুপ করে যখন পড়ল ডাক্তারের হাতে, তখনও বুঝিনি
আমার মৃত্যু হল, মৃত্যু হলো তোমারই মতে!
মা,আমিও তো তুমি হয়ে উঠতে পারতাম কিম্বা দিদির বোন হয়ে একসাথে হাসতে পারতাম,
গাইতে পারতাম।
মা,মাগো বলো না গো-এ লজ্জা কার???
বর্তমানের আগেই,আজ আমি এক পাতাহীন ইতিহাস।"
সূত্রধর-ইতিহাস!ইতিহাস! চলুন না আমরা সবাই না হয় ফিরে তাকাই, তেমনই কিছু
ইতিহাসের দিকে... ]
অর্ক-হ্যাঁ রে দীপ্ত, কী শুনছি! আজও কী ভ্রূণ হত্যা হয়!!
দীপ্ত - নাহলে কী এ কবিতা লেখা হতো?
অঙ্কিত - দীপ্ত ঠিকই বলেছে।
শুভ্র-হবে না কেন? এমন সব কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াবার মত মানুষ আজ আর
কোথায়?সমাজটা পুরোপুরি বদলের আগেই,তারা তো চলে গেছেন।
তনু-কাদের কথা বলছিস শুভ্র?
শুভ্র - যেমন ধর না, বিদ্যাসাগরের মত মানুষ! এঁদের কথা ভুলি কেমন করে!
অর্ক-ভুলব কেন? নারী মুক্তির লক্ষ্যে, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধাচারণ, নারী শিক্ষা
বিস্তার ,বিধবা বিবাহের প্রচলন ইত্যাদি সংস্কারমূলক কাজে বিদ্যাসাগরের কথা
আমরা তো বইতেই পড়েছি।
অঙ্কিত - শুধু কী তাই?আরও আছে।
তনু- হ্যাঁ আছে তো।আরে পড়িস নি,বাংলা গদ্যে প্রাণসঞ্চার করে, তিনিই তো গদ্যে
নতুন দিশা দেখিয়ে গেছেন।
দীপ্ত-আরে ওটা ভুলে গেলি?
অর্ক- কী? সেটা তুই-ই বল।
দীপ্ত-বাংলাভাষায় পাংচুয়েশন-এর পথিকৃৎ তো তিনিই।
তনু- তাহলে ভাব, তার আগে বাক্যের ভেতরে কোনো দাড়ি,কমা থাকত না।একবার শুরু হলে,
বাক্য চলছে তো চলছে, চলছে তো চলছেই...
অঙ্কিত - বর্ণপরিচয়ের কথা সবাই ভুলে গেলি কীকরে!
দীপ্ত,অর্ক, শুভ্র - ভুলবো কেনো?
তনু- ওটাই তো আমাদের লিখতে শিখিয়েছে।
অঙ্কিত -একদম তাই।সত্যি ভাবলে অবাক হতে হয়।আমাদের যাবতীয় কুসংস্কারও তাঁর চোখ
এড়ায় নি।
অর্ক- সে তো বটেই। কুসংস্কার দূরীকরণে অবশ্যই তাঁর ভূমিকা ছিল।তাঁদের মত
মানুষেরা, এতসব করে গেলেও, আমরা সবাই আজও কী সেভাবে বদলাতে পেরেছি!
তনু- প্রকৃত অর্থে আমরা আর পাল্টালাম কই? আজও দেখ, কন্যা ভ্রূণ হত্যা
হচ্ছে,আজও কোথাও না কোথাও, বাল্যবিবাহ ঘটে চলেছে! বলুন না, আপনারাই বলুন।ভুল
কিছু বলছি কী?
শুভ্র - ঠিকই বলেছিস তনু। তুই তো ভুল কিছু বলিস নি।
অর্ক,অঙ্কিত, দীপ্ত (একসাথে)-হ্যাঁ ঠিক-ই বলেছিস।
শুভ্র-আমরা না আধুনিক, না পুরোনো গোছের এক কিম্ভুতকিমাকার হয়ে রইলাম।
অঙ্কিত - হ্যাঁ রে বিদ্যাসাগর বা তাঁর মত মানুষের আজও আমাদের দরকার।অথচ...
[ স্বপ্নময় আলোয় ব্যাকগ্রাউন্ডে এক দীপ্তময় কন্ঠস্বরঃ ]
বারবার আঁধার ঘিরে ধরে
বারবার না কর্মের চাষ-
ভাষাহীন লজ্জার মূলে
কে ছড়াবে পবিত্র সুবাস??
আমি ঈশ্বর দেখিনি,পেয়েছি তোমায়
অবশেষে, তুমিও আজ ভূপতিত-
পড়ে থাকা গুঁড়ো গুঁড়ো কণা!
সে কণায় আমি দেখি বর্ণমালা।
তুমি বলো না সাগর
আমার ঈশ্বর-
আর কত লজ্জা লুকাবো
আর কত ক্ষত-জ্বালা শেষে
আর কত রজনীর পরে
কোনো এক কাক ভোরে
ফের ব'য়ে যাবে শুদ্ধ বাতাস???
বন্ধ হোক সেইদিন চিরতরে বিষাক্ত নিঃশ্বাস।]
অর্ক- গলাটা খুব চেনা মনে হচ্ছে না?
দীপ্ত - কার? কার কন্ঠ এটা ?
তনু - চিনলি না!ওটা আমাদের অন্তরাত্মা।চল না, তাঁকে স্মরণ করে, সত্যিকারের
একটা নতুন সকালের কাছে পৌঁছাতে একটা চেষ্টা অন্তত আমরা করি।
[স্বপ্নময় আলো ধীরেধীরে উজ্জ্বল হতে থাকে আর ওরা এগোতে থাকে সামনের দিকে।ঠিক
তখনই একটা কন্ঠস্বর ভেসে আসে]
-তোমরা বেশ ঘটা করে স্মরণ করছ দেখছি।
অর্ক-কে তুমি?
-ধরে নাও না,আমি-ই) তাঁর ছায়া।
দীপ্ত, তনু, অর্ক(সকলে সমস্বরে) - বিদ্যাসাগর!!!
- না।বললাম তো, তাঁর ছায়া।
দীপ্ত, তনু, অর্ক (সকলে একসাথে )-আমরা তোমার আশীষ চাই। অভয় দাও। সমাজটাকে
সত্যি যেন আমরা বদলাতে পারি।
- শোনো আমাকে স্মরণ করার চাইতে, সে কাজেই তোমরা মন দাও।তোমাদের এই হুঁশ ফেরাই
হয়ত আগামীর আলোর ইশারা।যাও এগিয়ে যাও...
দীপ্ত, তনু, অর্ক (সকলে সমস্বরে )-আমরা এগোচ্ছি ঈশ্বর।আমরা এগোচ্ছি...
[" চল চল চল ঊর্ধগগনে বাজে মাদল "- এর তালে তালে, ওরা এগোতে থাকে সামনের
দিকে...]
(সমাপ্ত)
Regards,
বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত(শ্রীসেন) | biswajit.sengupta40a@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
অন্তরাত্মা
বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত
[ দীপ্ত,তনু,অর্ক,শুভ্র, অঙ্কিত নিজেদের মধ্যে কথা বলছে,এমনসময় ব্যাকগ্রাউন্ডে
এক মহিলা কন্ঠস্বর ধ্বণিত হতে থাকেঃ
" মা তোমার গর্ভে দশমাস দশদিন পূরণের আগেই, এক উথাল-পাতাল আলোড়ন উঁকি মারে
তোমার জঠরের চারপাশে
খানিক বাদেই মাংস পিন্ডের ডেলাটা ঝুপ করে যখন পড়ল ডাক্তারের হাতে, তখনও বুঝিনি
আমার মৃত্যু হল, মৃত্যু হলো তোমারই মতে!
মা,আমিও তো তুমি হয়ে উঠতে পারতাম কিম্বা দিদির বোন হয়ে একসাথে হাসতে পারতাম,
গাইতে পারতাম।
মা,মাগো বলো না গো-এ লজ্জা কার???
বর্তমানের আগেই,আজ আমি এক পাতাহীন ইতিহাস।"
সূত্রধর-ইতিহাস!ইতিহাস! চলুন না আমরা সবাই না হয় ফিরে তাকাই, তেমনই কিছু
ইতিহাসের দিকে... ]
অর্ক-হ্যাঁ রে দীপ্ত, কী শুনছি! আজও কী ভ্রূণ হত্যা হয়!!
দীপ্ত - নাহলে কী এ কবিতা লেখা হতো?
অঙ্কিত - দীপ্ত ঠিকই বলেছে।
শুভ্র-হবে না কেন? এমন সব কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াবার মত মানুষ আজ আর
কোথায়?সমাজটা পুরোপুরি বদলের আগেই,তারা তো চলে গেছেন।
তনু-কাদের কথা বলছিস শুভ্র?
শুভ্র - যেমন ধর না, বিদ্যাসাগরের মত মানুষ! এঁদের কথা ভুলি কেমন করে!
অর্ক-ভুলব কেন? নারী মুক্তির লক্ষ্যে, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধাচারণ, নারী শিক্ষা
বিস্তার ,বিধবা বিবাহের প্রচলন ইত্যাদি সংস্কারমূলক কাজে বিদ্যাসাগরের কথা
আমরা তো বইতেই পড়েছি।
অঙ্কিত - শুধু কী তাই?আরও আছে।
তনু- হ্যাঁ আছে তো।আরে পড়িস নি,বাংলা গদ্যে প্রাণসঞ্চার করে, তিনিই তো গদ্যে
নতুন দিশা দেখিয়ে গেছেন।
দীপ্ত-আরে ওটা ভুলে গেলি?
অর্ক- কী? সেটা তুই-ই বল।
দীপ্ত-বাংলাভাষায় পাংচুয়েশন-এর পথিকৃৎ তো তিনিই।
তনু- তাহলে ভাব, তার আগে বাক্যের ভেতরে কোনো দাড়ি,কমা থাকত না।একবার শুরু হলে,
বাক্য চলছে তো চলছে, চলছে তো চলছেই...
অঙ্কিত - বর্ণপরিচয়ের কথা সবাই ভুলে গেলি কীকরে!
দীপ্ত,অর্ক, শুভ্র - ভুলবো কেনো?
তনু- ওটাই তো আমাদের লিখতে শিখিয়েছে।
অঙ্কিত -একদম তাই।সত্যি ভাবলে অবাক হতে হয়।আমাদের যাবতীয় কুসংস্কারও তাঁর চোখ
এড়ায় নি।
অর্ক- সে তো বটেই। কুসংস্কার দূরীকরণে অবশ্যই তাঁর ভূমিকা ছিল।তাঁদের মত
মানুষেরা, এতসব করে গেলেও, আমরা সবাই আজও কী সেভাবে বদলাতে পেরেছি!
তনু- প্রকৃত অর্থে আমরা আর পাল্টালাম কই? আজও দেখ, কন্যা ভ্রূণ হত্যা
হচ্ছে,আজও কোথাও না কোথাও, বাল্যবিবাহ ঘটে চলেছে! বলুন না, আপনারাই বলুন।ভুল
কিছু বলছি কী?
শুভ্র - ঠিকই বলেছিস তনু। তুই তো ভুল কিছু বলিস নি।
অর্ক,অঙ্কিত, দীপ্ত (একসাথে)-হ্যাঁ ঠিক-ই বলেছিস।
শুভ্র-আমরা না আধুনিক, না পুরোনো গোছের এক কিম্ভুতকিমাকার হয়ে রইলাম।
অঙ্কিত - হ্যাঁ রে বিদ্যাসাগর বা তাঁর মত মানুষের আজও আমাদের দরকার।অথচ...
[ স্বপ্নময় আলোয় ব্যাকগ্রাউন্ডে এক দীপ্তময় কন্ঠস্বরঃ ]
বারবার আঁধার ঘিরে ধরে
বারবার না কর্মের চাষ-
ভাষাহীন লজ্জার মূলে
কে ছড়াবে পবিত্র সুবাস??
আমি ঈশ্বর দেখিনি,পেয়েছি তোমায়
অবশেষে, তুমিও আজ ভূপতিত-
পড়ে থাকা গুঁড়ো গুঁড়ো কণা!
সে কণায় আমি দেখি বর্ণমালা।
তুমি বলো না সাগর
আমার ঈশ্বর-
আর কত লজ্জা লুকাবো
আর কত ক্ষত-জ্বালা শেষে
আর কত রজনীর পরে
কোনো এক কাক ভোরে
ফের ব'য়ে যাবে শুদ্ধ বাতাস???
বন্ধ হোক সেইদিন চিরতরে বিষাক্ত নিঃশ্বাস।]
অর্ক- গলাটা খুব চেনা মনে হচ্ছে না?
দীপ্ত - কার? কার কন্ঠ এটা ?
তনু - চিনলি না!ওটা আমাদের অন্তরাত্মা।চল না, তাঁকে স্মরণ করে, সত্যিকারের
একটা নতুন সকালের কাছে পৌঁছাতে একটা চেষ্টা অন্তত আমরা করি।
[স্বপ্নময় আলো ধীরেধীরে উজ্জ্বল হতে থাকে আর ওরা এগোতে থাকে সামনের দিকে।ঠিক
তখনই একটা কন্ঠস্বর ভেসে আসে]
-তোমরা বেশ ঘটা করে স্মরণ করছ দেখছি।
অর্ক-কে তুমি?
-ধরে নাও না,আমি-ই) তাঁর ছায়া।
দীপ্ত, তনু, অর্ক(সকলে সমস্বরে) - বিদ্যাসাগর!!!
- না।বললাম তো, তাঁর ছায়া।
দীপ্ত, তনু, অর্ক (সকলে একসাথে )-আমরা তোমার আশীষ চাই। অভয় দাও। সমাজটাকে
সত্যি যেন আমরা বদলাতে পারি।
- শোনো আমাকে স্মরণ করার চাইতে, সে কাজেই তোমরা মন দাও।তোমাদের এই হুঁশ ফেরাই
হয়ত আগামীর আলোর ইশারা।যাও এগিয়ে যাও...
দীপ্ত, তনু, অর্ক (সকলে সমস্বরে )-আমরা এগোচ্ছি ঈশ্বর।আমরা এগোচ্ছি...
[" চল চল চল ঊর্ধগগনে বাজে মাদল "- এর তালে তালে, ওরা এগোতে থাকে সামনের
দিকে...]
(সমাপ্ত)
Regards,
বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত(শ্রীসেন) | biswajit.sengupta40a@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
Subscribe to:
Posts (Atom)