বাংলা ম্যাগাজিন ব্লগ। আপনার লেখা গল্প কিংবা কবিতাটি পোস্ট করুন এখানে। ●Name চিহ্নিত বক্সে আপনার সম্পূর্ণ নাম দিন । ● Email চিহ্নিত বক্সে আপনার ইমেইল এড্রেস দিন । ●মেসেজ বক্সে লেখার শিরোনাম, লেখকের নামসহ আপনার লিখাটি দিন । Send বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথেই পোস্টটি ওয়েবসাইট এ পাবলিশ হয়ে যাবে।
আপনার লেখা গল্প কিংবা কবিতাটি পোস্ট করুন এখানে। মেসেজ বক্সে লেখার শিরোনাম, লেখকের নামসহ লিখা দিন।
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
গল্পকার : সৈয়দ জালাল আহমেদ চৌধুরী
''বড়লোকদের মধ্যে যারা সভ্য এদের উপরে আর কেউ যেতে পারেনা আর ছোট লোকদের মধ্যে
যারা অসভ্য ওদের নীচে আর কেউ নামতে পারেনা।''
বড়সাহেবের মুখে এতবড় কথা শুনে এলাকার মেম্বার থ হয়ে গেলো। আমতা আমতা করে বললো,
বড় সাহেব তার মানে আপনি আমাকে অপমান করছেন।
-না। অপমানবোধ যার অধিকারেই পড়েনা তার আবার কিসের অপমান! আরে, তুমিতো এলাকার
কিছু মুর্খলোকের মেম্বার। তবুও ভাল জানতাম, যদি আমার সামনে ধরা না পড়তে। আর
কখনও আমার সামনে সোজা হয়ে দাঁড়াবার নিষ্ফল আবেদন করোনা।
-শুধু শুধু আমায় কেন অপবাদ দিচ্ছেন। আপনার গোয়ালের গরু আমার লোক চুরি করেনি।
তবে যারা চুরি করেছে, তাদের নাম আমি জানি। তাদের আমি খুব ভাল করে চিনি। কিন্তু
দু:খিত, তাদের নাম কখনও আপনাকে জানাতে আমি বাধ্য নই।
-তার মানে চোরের মায়ের বড় গলা। তোমার মতো লম্পটদের মূর্খরা কেন যে ভোট দেয়,
আমার মাথায় ঢুকেনা। মানুষ সবগুলো কেন যে এতমূর্খ হয় ভেড়ার দলের মতো, আমার বোধে
কাজ করেনা।
-ভুল করছেন বড়সাহেব। বিদেশে থাকেন। বড় চাকুরী করেন। বাণিজ্যও করেন। সত্য। দেশে
জমিদারী আছে সত্য। মানি। কিন্তু মানুষ চিনতে আপনারা ভুল করেন।
-আচ্ছা, হা-হা-হা। অনেকদিন হাসিনি । তো তোমার যোগ্যতা আছে বটে। কারণ আমাকে
হাসাতে পেরেছো। হাসাতে পারার যোগ্যতা অর্জন করেছো।
-আমি আপনাকে হাসাইনি। আপনি এলাকায় যখন হাঁটেন হাতে থাকে আপনার একটি লাঠি। লাঠি
দিযে সব নাড়াচাড়া করেন, লাঠির উপরই আপনার আক্কেল আর সব বিশ্বাস। আর আমার হাতে
কোন লাঠি থাকেনা। ধূলি-বালির উপর আমার পা পড়ে। মাটির উপর আমার সমস্থ ভর ও
বিশ্বাস। ধূলোবালিতে মাখা মাটির মানুষের সাথে আমি একত্রে বাস করি।
-আচ্ছা। আর আমি বাতাসের উপর হাঁটি। ও, আমাকে জ্ঞান দেয়া হচ্ছে, তাইনা?
-না আমি আপনাকে অপমান করার জন্য বলিনি। আমাকে এবং দেশের মাটিতে মাখা
মানুষগুলোকে দয়া করে মূর্খ বলবেন না। আমার ইগোতে লাগে। কারণ ওরা নীরিহ হতে
পারে, ওরাও আমাদের মতো মানুষ। মূর্খ নয়।এটা আমাদের ভুল ধারণা। দয়া করে একথাটি
উইথড্র করুন।
-আচ্ছা। চুরি করেছোতো সকলে মিলে। এবার দয়া করে গরুগুলো ফেরত দাও।তারপর না হয়
উইথড্র করবো।
-ভুল করছেন। আপনি যেমনি সন্মানিত জমিদার, আমিও তেমনি গরীব মেম্বার। আপনি
জমিদারী হাওলাতে থাকেন আর আমি এলাকার লোকের সাথে মিলেমিশে গরীবি হাওলাতে থাকি।
রেসিও হিসাব করলে আমরা দুজন সমানভাবে যার যার অবস্থানে সন্মানিত।
- তা ঠিক বলেছো। তুমি যেহেতু এলাকার মেম্বার। আমার কাছে না হও, মূর্খগুলোর
কাছেতো তুমি বেশ সন্মানিত। সেইদৃষ্টিকোন থেকে তোমাকে জানাই একটি মূর্খ ধন্যবাদ
।
- বড়সাহেব, ধন্যবাদ দেয়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করছি। শুনুন বড়সাহেব,
আপনাকে ইচ্ছে করলে ফেরত দিতে পারতাম মূর্খ শব্দটা - মূর্খ জমিদার বলে। ছোটবেলা
থেকে টাকাপয়সার ভিতরে মানুষ হওয়ার সুযোগ পাইনি বটে, তবে মসজিদে মক্তবে স্কুলে
ভার্সিটিতে গিয়েছি, আদর্শের ভিতরে মানুষ হয়েছি। তাই শুনে রাখুন, আপনার মুখে যা
সভ্যতা, আমার মুখদিযে বের হলে লোকে বলবে অসভ্যতা।
-যার মুখে যেটা বেমানান সে বলবে কেমন করে?
-না বড়সাহেব, আদর্শ দিয়ে মানুষ হয়েছি, আদর্শের আয়নায় আমি সব দেখতে পাই যা আপনি
অন্ধকারে কিছুই দেখতে পান না।
-তোমার মুন্ডুপাত করে দিলে আমি শান্তি পেতাম। কিন্তু মূর্খের দল তোমার সাথে
দলবদ্ধ বলে কিছুই করলাম না।
-হা-হা-হা, আমি তো আপনার শত্র নই। আপনার দুই-চারটা গরু এনে দিতে পারি। তবে
ডাকাতের দলে আমি নিহত হবো। আপনি যদি চান আমি অপারেশন শুরু করে দিতে পারি। কারণ
আপনি জমিদার হলেও আমার এলাকার একজন নিরীহ সন্মানিত বাসিন্দা।
বড়সাহেব চিন্তিতে হয়ে পড়লেন। একজন সৎ মেম্বার এর সাথে মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার
কারণে রাগের বশবর্তী হয়ে অনেক বাক্য বিনিময় করলেন। এখন কি করবেন ঠিক বুঝে উঠতে
পারছেন না। ডাকাতের দল এর কোন বিশ্বাস নেই। কোথাকার পানি কোথা গিয়ে গড়ায়? তিনি
কপাল থেকে দু'চার ফোঁটা ঘাম ঝাড়লেন।
আকাশের কোণ থেকে কালো মেঘের ভেলা তেড়িয়ে ছুটে আসছে। বাতাসের স্বাভাবিকতা নষ্ট
হয়ে অস্বাভাবিক দূরন্ত হযে উঠেছে। স্যোঁ স্যোঁ শব্দে ঘরের প্রতিটি দরজা-জানালা
নড়ছে, বাড়ি খাচ্ছে আর চিৎকার করছে – জমিদার এর মাথার উপর যেন আজ আকাশটা ভেঙ্গে
পড়বে। তাড়াতাড়ি বাসায় ঢুকে দরজা-জানালা বন্ধ করলেই যেন বাঁচে।
বিপদে পেলে জমিদার এর আল্লাহভীতি বেড়ে যায়। বিপদ কেটে গেলে মানুষের সাথে অহরহ
গন্ডগোল পাঁকাতে মজা পায়। জামিদার এখন তা হাড়ে হাড়ে উপলদ্ধি করছে। কারণ বয়স
হয়েছে। শোধরানো দরকার।
বাপরে, আকাশের যে কি অবস্থা! আর দেরী না করে জমিদার মেম্বারের মুখের পানে
তাকালো। মেম্বারের মুখে ভয়ের কোন ছাপ দেখতে পেলনা। জমিদারের মনে আরও ভয় বেড়ে
গেলো। আকাশ থেকে ঠাডা যে ভাবে পড়ছে, যেন তার মাথার উপর পড়বে – মাথা ও দেহটা
যেন এক্ষুণি খন্ড-বিখন্ড হয়ে যাবে। তারপর তার কঠিন মৃত্যু হবে।
আফসোস! কবরের প্রস্তুতি ভাল করে নেয়া হয়নি। জমিদার হুতাশ মনে পকেটে তবছি আছে
কিনা হাতদিয়ে নেড়ে দেখে নিল – তারপর মাথার টুপি ঘুরিয়ে ঠিকঠাক করলো - তারপর
একহাতে চাবির তোড়া ধরে আর অন্যহাতে শক্ত করে লাঠির উপর ভরদিয়ে দাঁড়িয়ে বললো,
মেম্বার আমি জানি তুমি এইকাজ করতে পারনা। আমার সন্দেহটা আসলে তোমার উপর না।
তোমার এলাকার উপর। আমার অনেক আছে।আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছে। দুইচারটা গরুর
জন্য তুমি প্রাণ দেবে এ আমি চাইনা। তোমার বউবাচ্চা আছে, যাও তাদের কোলে ফিরে
যাও।আল্লাহাফেজ।
মেম্বারও ব্যাপারটি বুঝতে পারলো। তারপর মনে মনে পরিস্থিতির কথা ভাবতে ভাবতে
হাঁটা শুরু করে দিল। ঝড়-বৃষ্টির বাড়ন্ত গতি দেখে বাতাসের গতিতে ভিজে ভিজে
বাড়ির দিকে ছুটতে লাগলো।
--সমাপ্ত--
Regards,
Syed Jalal Ahmed Chy | chowdhurysyedjalalahmed@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
আশরাফুল মুহাম্মদ
"এই তুমি ! পড়ছো কী বসে আমার কবিতা ?
লাগছে বলো কতটুকু ভালো পড়তে তোমার কথা । "
মুখেই তার জ্বলছে হাসি
সে আবডালে বলছে মোরে ভালোবাসি ।
বুঝেছি তার মনের ভাষা
ভালোবাসা ।
একটু পরে কবিতাটি স্পর্শ করে
বলে দিলো তার উত্তরে
" পড়ছি তোমার কলমের যাদু
লাগছে যে তা ভীষণ মধু,
কোন ভাষায় বলবো তোমায়
শব্দগুলো বারবার হারায় । "
অদৃষ্টিতে দেখি তাকে শুনি কথা চারদিকে তার
দেখা হয়না আগের মতো প্রতিবার
যখন পড়ে,
প্রশ্ন করি কবিতায় তারে
" আজো তোমার মনে পড়ে
তোমার মন কি এখনও খুঁজে মোরে । "
অশ্রুভেজা চোখে বলে কবিতার-ই সাথে কথা
" আমার বুকে বইছে একটু আলো স্নিগ্ধতা
সেই আলোর মাঝে তুমি আর তোমার কবিতা
বাকিটাতে মিশে গেছে কালো ব্যর্থতা । "
আকাশ দেশে হারাই আমি
কবিতায় করি যত শত পাগলামি ।
লিখি শুধু
কিন্তু লেখায় থাকে না সেই মিষ্টি মধু ।
মনটা ভরে নিয়ে আছে একগাদা জ্বালা
সাদা নয় সে ভীষণ কালা ।
কালো মনে লিখি তাকে
" কী করে তুমি ভুলে গেলে এই আমাকে ? "
পড়ে পড়ে করে পড়ে না
এই কবিতা,
দেখতে নারি তার কান্না আর চোখের জল
বুঝে গেছি ছিলাম না তার সম্বল ।
Regards,
আশরাফুল মুহাম্মদ | ashrafulmd20020402@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
নির্যাতিত
নির্যাতিত হচ্ছে নারী,নির্যাতিত মন
নির্যাতনের কবলে শিশু,কিশোর- কিশোরী
সমাজ পুরোটা এখন !
ঘুমিয়ে আছে বিবেক,বুদ্ধি
আইন-আদালত ,
ঘুমিয়ে আছে সুশীল সমাজ,
জাগ্রত রং মহল ।
বিবেক কাউকে দেয় না হানা,
নিরীহ মানুষের জীবন দোটানা ।
চাইলেও অনেকে করতে পারে না,
জীবন যুদ্ধে লড়তে পারে না ।
মুখ বুজে সইতে হয় কত না জখম,
স্তব্ধতায় লুটিয়ে পড়ে মানুষের সদ্-গুণ !
Regards,
রোজিনা রোজি | rojinaroji217@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
কথা
-মেহেদী সুমন
সব কথা ফুরিয়ে গেলে
আমরা আবার নতুন টানি,
কথার মাঝে হাসি
তবে কথার মাঝেই কাঁদি।
কথার মাঝে হারায় যা
মন দিয়ে তা খুঁজি।
Regards,
মেহেদী সুমন | mehedisumon20bd@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
চিরদিনের
ড.মহীতোষ গায়েন
--------------
একদিন সব বিবাদের মীমাংসা হবে,
সব রাগ জল হবে একদিন-
জলপরী এসে বলবে:'বেহেস্তে যাবে?'
একদিন জিন্দাপির এসে বলবে:
যত পার পাপ করে নাও
আমিতো আছি।
আমি তো আছি,সব বাহাদুর বলে
আমিই সব,আমিতো আছি,
আমি মানে তো সর্বনাশা ঘূর্ণিপাক।
তমসাবৃত বেহেস্তে সব চালবাজরা
ফূর্তি করে,রাজা এবং প্রজার টাকায়
রাজা মানে তো প্রজার শুধু রক্তশোষা
শোষণ! দেখ চারিদিকে হচ্ছে অবিরত
এক শিয়াল ডাকলে পরে
সব শিয়ালের হুঙ্কখ হুয়া।
হুঙ্কাহুয়া ডাকা মানেই বেজায় বিপাক
বেজায় বিপাক হচ্ছে বলেই
ছল চাতুরী, বিচ্ছিরি সব।
----------------------
ড.মহীতোষ গায়েন, অধ্যাপক, সিটি কলেজ,১০২/১রাজা রাম মোহন সরণি,কলকাতা-৯
৯০ দশকের কবি।৪টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত।চান্দ্রভাষ ও নতুন বাংলা পুরষ্কার
প্রাপ্ত। এছাড়া কবিতার জন্যে বহু সম্মাননা লাভ। গবেষক ও প্রাবন্ধিক।
ইমেল-g.mahitosh@yahoo.com
ফোন-০৭৭৯৭৫৫১৪০৫
Regards,
ড.মহীতোষ গায়েন | g.mahitosh68@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
কবি :: রঞ্জন ভট্টাচার্য
স্মরণ
রঞ্জন ভট্টাচার্য, ব্যারাকপুর।
তারিখ :: ২২শে শ্রাবন
তোমার চরণে আশ্রিত আমি
হে মহাপ্রাণ অন্তর্যামী
বিধির লেখায়
শ্রাবণ ধারায়
বারে বারে এসো তুমি ।
মহীরুহ তুমি এ পীঠভূমে
তোমার চরণ দিকে-দিকে চুমে
তোমার স্পর্শে
মনের হর্ষে
নিশিদিন তব নমি
*"*""""""""""""""""""""""""""""""""*"*
Regards,
রঞ্জন ভট্টাচার্য, ব্যারাকপুর | bhattacharya.ranjan@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
বিষয় - পত্রসাহিত্য
পত্র নং - এক
শিরোনাম - বিষাদে সুখানুভব
লেখায় - প্রভাত মণ্ডল
[ইংরেজি ২০২০ সালে এসেও মানুষ জাত-পাত ধর্মের বেড়াজালে আবদ্ধ।ব্যস্ত পৃথিবী
জুড়ে ভালোবাসা নামক অকৃত্রিম অনুভূতি লুপ্ত হতে বসেছে।এখন ভালোবাসা শুধু যেন
পন্য, শারীরিক সৌন্দর্যের বিলাস আর যৌনতায় পরিপূর্ণ।তবুও কিছু ভালোবাসা আছে
যা আজও অমলিন, নিষ্পাপ।তবুও সমাজ আর পরিবারের চাপে পড়ে এই ভালোবাসা পূর্ণতা
পায় না।বড় হয়ে ওঠে জাত,ধর্ম,শারীরিক গঠন,রঙ,সৌন্দর্যবোধ সর্বপরি অর্থ।এ
পত্রখানি সেই অপূর্ণ থেকে যাওয়া এক প্রেমিক-প্রেমিকার জীবনের শেষ পর্যায়ের
ব্যাথাতুর সুখানুভূতি।পত্রটি এমনভাবে লিখলাম যা প্রেমিক কিংবা প্রমিকা উভয়ের
ক্ষেত্রেই বাস্তবে ঘটে থাকে।]
প্রিয় প্রভাত/প্রভাতী,
অনেকটা দিন পেরিয়ে এসেছি,অনেকটা পথ,কয়েকটা বছর।তুমি আজ লক্ষ
আলোকবর্ষ দূরে।কোন অভিযোগ নেই আমার তোমাকে ঘিরে।তবু এই চিঠি লেখা।নাইবা
পৌঁছালো তোমার কাছে।এ চিঠি লেখা শেষ হলে কাগজের নৌকা বানিয়ে বৃষ্টির জলে
ভাসিয়ে দেব।হ্যাঁ সেই বৃষ্টি, যা রোজ আমার দু-চোখ থেকে ঝরে পড়ে চোখের কোন
বেয়ে,বুক ভাসিয়ে দেয়।তবুও কোন অভিযোগ নেই, কেন জান?আমি তো অচেনা পথিক তোমার
চলার পথে,আমি তো দুদিনের অতিথি তোমার হৃদয় সংসারে, আমি তো ভেসে যাওয়া খড়কুটো
তোমার বিস্তীর্ণ নদীবক্ষে।
জান!প্রতিটা দিন সেই কাকভোরে উঠে শিউলি তলায় দাঁড়িয়ে পূবাকাশে তাকিয়ে
থাকি।ঝরে যাওয়া শিউলির গন্ধ হৃদয়ে প্রশান্তি আনে।মাধবীলতার মালা গাঁথি
রোজ,তুমি আসবে বলে।এখানেই তো দাঁড়িয়ে চোখে চোখ আর হাতে হাত রেখে শেষ দেখার
দিনে তুমি বলেছিলে -
চলোনা হারিয়ে যায় ওই সূর্যের দেশে,জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
যেখানে সমাজ আমাদের পোড়াবে না,বলবেনা নির্লজ্জ বেহায়া; তোমার পরিবারও করবেনা
জাত বিচার।শুধু!শুধু ছুঁয়ে যাব মন দুজনে দুজনার।একটা পবিত্র ভালোবাসা।নিখিল
বিশ্ব জুড়ে লেখা হবে নাম,হবে ভালোবাসারই জয়গান।
আজও নিস্তব্ধ দুপুরে কিংবা মন খারাপের গোধূলি বেলায়, শুধু কানে
বাজে তোমার ঝংকার তোলা হাসি।যেন পাহাড় থেকে ঝরনার জল কলকল তানে প্রবাহিত হচ্ছে।
যেন কোন কিশোরীর পায়ের নুপুর রিনিঝিনি শব্দ তুলছে বাতাসে।অসীম দিগন্ত জুড়ে সে
কি আলোক উদ্ভাস চারিদিকে!চোখ জুড়িয়ে যায়।ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নামে।
হ্যাঁ, আজ জীবন সন্ধ্যা নেমেছে।সকাল পেরিয়ে দুপুর,দুপুর পেরিয়ে
বিকাল,আজ বিকাল পেরিয়ে সন্ধ্যা।মাধবীলতার সেই মালাটাও শুকিয়ে গেছে,ঝরা শিউলি
বাতাসে উড়ে গেছে বহুদূর।সুদীর্ঘ পথ পেরিয়েও আজ শুধু তোমার জন্য অপেক্ষা।যদি
একবার দেখা হত,তোমার হাতে হাত আর চোখে চোখ রেখে বলতাম - সূর্য নয় চলো চিতার
আগুনে পুড়ি একসাথে।আমাদের ছাই উড়ে যাক সমগ্ৰ পৃথিবীর বুকে।লেখা হোক নাম এক
অদৃশ্য অক্ষরে।শুধু একসাথে বলি ---
আমাদের দেখা হবে পৃথিবীর ওই পারে
আমাদের দেখা হবে জাত পাত শেষে,
আমাদের কথা হবে চুপিচুপি কানে কানে
আমাদের ভালোবাসা অক্ষয় হবে।
ইতি,
প্রভাত মণ্ডল
আংরাইল,উত্তর ২৪
পরগনা
তারিখ -- ২৮/০৭/২০২০
____________________________
Regards,
প্রভাত মণ্ডল (Probhat Mondal) | probhatmondal00@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
সান্ত্বনা
চিত্ত-কুঁড়ি-হাসনাহেনা মৃত্যু-সাঁঝে ফুটল গো!
জীবন-বেড়ার আড়াল ছাপি বুকের সুবাস টুটল গো!
এই তো কারার প্রাকার টুটে
বন্দি এল বাইরে ছুটে,
তাই তো নিখিল আকুল-হৃদয় শ্মশান-মাঝে জুটল গো!
ভবন-ভাঙা আলোর শিখায় ভুবন রেঙে উঠল গো।
২
স্ব-রাজ দলের চিত্তকমল লুটল বিশ্বরাজের পায়,
দলের চিত্ত উঠল ফুটে শতদলের শ্বেত আভায়।
রূপের কুমার আজকে দোলে
অপরূপের শিশ-মহলে,
মৃত্যু-বাসুদেবের কোলে কারার কেশব ওই গো যায়,
অনাগত বৃন্দাবনে মা যশোদা শাঁখ বাজায়!
৩
আজকে রাতে যে ঘুমুল, কালকে প্রাতে জাগবে সে।
এই বিদায়ের অস্ত-আঁধার উদয়-উষায় রাঙবে রে!
শোকের নিশির শিশির ঝরে,
ফলবে ফসল ঘরে-ঘরে,
আবার শীতের রিক্ত শাখায় লাগবে ফুলেল রাগ এসে।
যে মা সাঁঝে ঘুম পাড়াল, চুম দিয়ে ঘুম ভাঙবে সে।
৪
না ঝরলে তাঁর প্রাণ-সাগরে মৃত্যু-রাতের হিম-কণা
জীবন-শুক্তি ব্যর্থ হত, মুক্তি-মুক্তা ফলত না।
নিখিল-আঁখির ঝিনুক-মাঝে
অশ্রু-মানিক ঝলত না যে!
রোদের উনুন না নিবিলে চাঁদের সুধা গলত না।
গগন-লোকে আকাশ-বধূর সন্ধ্যা-প্রদীপ জ্বলত না।
৫
মরা বাঁশে বাজবে বাঁশি, কাটুক না আজ কুঠার তায়,
এই বেণুতেই ব্রজের বাঁশি হয়তো বাজবে এই হেথায়।
হয়তো এবার মিলন-রাসে
বংশীধারী আসবে পাশে
চিত্ত-চিতার ছাই মেখে শিব সৃষ্টি-বিষাণ ওই বাজায়।
জন্ম নেবে মেহেদি-ঈশা ধরার বিপুল এই ব্যথায়।
৬
কর্মে যদি বিরাম না রয়, শান্তি তবে আসত না!
ফলবে ফসল – নইলে নিখিল নয়ন-নীরে ভাসত না।
নেইকো দেহের খোসার মায়া,
বীজ আনে তাই তরুর ছায়া,
আবার যদি না জন্মাত, মৃত্যুতে সে হাসত না।
আসবে আবার – নইলে ধরায় এমন ভালো বাসত না!
হুগলি
১৬ই আষাঢ় ১৩৩২
Regards,
Publisher@alibaba.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
কাজী নজরুল ইসলাম
আমি যুগে যুগে আসি, আসিয়াছি পুন মহাবিপ্লব হেতু এই স্রষ্টার শনি মহাকাল
ধূমকেতু! সাত সাতশো নরক-জ্বালা জলে মম ললাটে, মম ধূম-কুণ্ডুলি করেছে শিবের
ত্রিনয়ন ঘর ঘোলাটে! আমি অশিব তিক্ত অভিশাপ, আমি স্রষ্টার বুকে সৃষ্টি-পাপের
অনুতাপ-তাপ-হাহাকার– আর মর্তে সাহারা-গোবি-ছাপ, আমি অশিব তিক্ত অভিশাপ! আমি
সর্বনাশের ঝাণ্ডা উড়ায়ে বোঁও বোঁও ঘুরি শূন্যে, আমি বিষ-ধূম-বাণ হানি একা ঘিরে
ভগবান-অভিমুন্যে। শোঁও শন-নন-নন-শন-নন-নন শাঁই শাঁই, ঘুর্ পাক্ খাই, ধাই পাঁই
পাঁই মম পুচ্ছে জড়ায়ে সৃষ্টি; করি উল্কা-অশনি-বৃষ্টি,– আমি একটা বিশ্ব
গ্রাসিয়াছি, পারি গ্রাসিতে এখনো ত্রিশটি। আমি অপঘাত দুর্দৈব রে আমি সৃষ্টির
অনাসৃষ্টি! আমি আপনার বিষ-জ্বালা-মদ-পিয়া মোচড় খাইয়া খাইয়া জোর বুঁদ হয়ে আমি
চলেছি ধাইয়া ভাইয়া! শুনি মম বিষাক্ত 'রিরিরিরি'-নাদ শোনায় দ্বিরেফ-গুঞ্জন সম
বিশ্ব-ঘোরার প্রণব-নিনাদ! ধূর্জটি-শিখ করাল পুচ্ছে দশ অবতারে বেঁধে ঝ্যাঁটা
করে ঘুরাই উচ্চে, ঘুরাই– আমি অগ্নি-কেতন উড়াই!– আমি যুগে যুগে আসি, আসিয়াছি
পুন মহাবিপ্লব হেতু এই স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু! ঐ বামন বিধি সে আমারে
ধরিতে বাড়ায়েছিল রে হাত মম অগ্নি-দাহনে জ্বলে পুড়ে তাই ঠুঁটো সে জগন্নাথ! আমি
জানি জানি ঐ স্রষ্টার ফাঁকি, সৃষ্টির ঐ চাতুরী, তাই বিধি ও নিয়মে লাথি মেরে,
ঠুকি বিধাতার বুকে হাতুড়ি। আমি জানি জানি ঐ ভুয়ো ঈশ্বর দিয়ে যা হয়নি হবে তাও!
তাই বিপ্লব আনি বিদ্রোহ করি, নেচে নেচে দিই গোঁফে তাও! তোর নিযুত নরকে ফুঁ
দিয়ে নিবাই, মৃত্যুর মুখে থুথু দি! আর যে যত রাগে রে তারে তত কাল্-আগুনের
কাতুকুতু দি। মম তূরীয় লোকের তির্যক্ গতি তূর্য গাজন বাজায় মম বিষ নিশ্বাসে
মারীভয় হানে অরাজক যত রাজায়! কচি শিশু-রসনায় ধানি-লঙ্কার পোড়া ঝাল আর বন্ধ
কারায় গন্ধক ধোঁয়া, এসিড, পটাশ, মোন্ছাল, আর কাঁচা কলিজায় পচা ঘা'র সম
সৃষ্টিরে আমি দাহ করি আর স্রষ্টারে আমি চুষে খাই! পেলে বাহান্ন-শও জাহান্নমেও
আধা চুমুকে সে শুষে যাই! আমি যুগে যুগে আসি আসিয়াছি পুন মহাবিপ্লব হেতু– এই
স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু! আমি শি শি শি প্রলয়-শিশ্ দিয়ে ঘুরি কৃতঘ্নী ঐ
বিশ্বমাতার শোকাগ্নি, আমি ত্রিভুবন তার পোড়ায়ে মারিয়া আমিই করিব মুখাগ্নি! তাই
আমি ঘোর তিক্ত সুখে রে, একপাক ঘুরে বোঁও করে ফের দু'পাক নি! কৃতঘ্নী আমি
কৃতঘ্নী ঐ বিশ্বমাতার শোকাগ্নি! পঞ্জর মম খর্পরে জ্বলে নিদারুণ যেই বৈশ্বানর–
শোন্ রে মর, শোন্ অমর!– সে যে তোদের ঐ বিশ্বপিতার চিতা! এ চিতাগ্নিতে জগদীশ্বর
পুড়ে ছাই হবে, হে সৃষ্টি জানো কি তা? কি বলো? কি বলো? ফের বলো ভাই আমি
শয়তান-মিতা! হো হো ভগবানে আমি পোড়াব বলিয়া জ্বালায়েছি বুকে চিতা! ছোট শন শন শন
ঘর ঘর সাঁই সাঁই! ছোট পাঁই পাঁই! তুই অভিশাপ তুই শয়তান তোর অনন্তকাল পরমাই!
ওরে ভয় নাই তোর মার নাই!! তুই প্রলয়ঙ্কর ধূমকেতু, তুই উগ্র ক্ষিপ্ত
তেজ-মরীচিকা ন'স্ অমরার ঘুম-সেতু তুই ভৈরব ভয় ধূমকেতু! আমি যুগে যুগে আসি
আসিয়াছি পুন মহাবিপ্লব হেতু এই স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু ! ঐ ঈশ্বর-শির
উল্লজ্ঘিতে আমি আগুনের সিঁড়ি, আমি বসিব বলিয়া পেতেছে ভবানী ব্রহ্মার বুকে
পিঁড়ি ! খ্যাপা মহেশের বিক্ষিপ্ত পিনাক, দেবরাজ-দম্ভোলি লোকে বলে মোরে, শুনে
হাসি আমি আর নাচি বব-বম্ বলি ! এই শিখায় আমার নিযুত ত্রিশূল বাশুলি বজ্র-ছড়ি
ওরে ছড়ানো রয়েছে, কত যায় গড়াগড়ি ! মহা সিংহাসনে সে কাঁপিছে বিশ্ব-সম্রাট
নিরবধি, তার ললাট তপ্ত অভিশাপ-ছাপ এঁকে দিই আমি যদি ! তাই টিটকিরি দিয়ে হাহা
হেসে উঠি, আমি বাজাই আকাশে তালি দিয়া 'তাতা-উর্-তাক্' আর সোঁও সোঁও করে প্যাঁচ
দিয়ে খাই চিলে-ঘুড়ি সম ঘুরপাক! মম নিশাস আভাসে অগ্নি-গিরির বুক ফেটে ওঠে
ঘুৎকার আর পুচ্ছে আমার কোটি নাগ-শিশু উদ্গারে বিষ-ফুৎকার! কাল বাঘিনী যেমন
ধরিয়া শিকার তখনি রক্ত শোষে না রে তার, দৃষ্টি-সীমায় রাখিয়া তাহারে
উগ্রচণ্ড-সুখে পুচ্ছ সাপটি খেলা করে আর শিকার মরে সে ধুঁকে! তেমনি করিয়া
ভগবানে আমি দৃষ্টি-সীমায় রাখি দিবাযামী ঘিরিয়া ঘিরিয়া খেলিতেছি খেলা, হাসি
পিশাচের হাসি এই অগ্নি-বাঘিনী আমি যে সর্বনাশী! আজ রক্ত-মাতাল উল্লাসে মাতি
রে– মম পুচ্ছে ঠিকরে দশগুণ ভাতি, রক্ত রুদ্র উল্লাসে মাতি রে! ভগবান? সে তো
হাতের শিকার!– মুখে ফেনা উঠে মরে! ভয়ে কাঁপিছে, কখন পড়ি গিয়া তার আহত
বুকের 'পরে! অথবা যেন রে অসহায় এক শিশুরে ঘিরিয়া অজগর কাল-কেউটে সে কোন ফিরিয়া
ফিরিয়া চায়, আর ঘোরে শন্ শন্ শন্, ভয়-বিহ্বল শিশু তার মাঝে কাঁপে রে যেমন–
তেমনি করিয়া ভগবানে ঘিরে ধূমকেতু-কালনাগ অভিশাপ ছুটে চলেছি রে, আর সাপে-ঘেরা
অসহায় শিশু সম বিধাতা তাদের কাঁপিছে রুদ্র ঘূর্ণির মাঝে মম! আজিও ব্যথিত
সৃষ্টির বুকে ভগবান কাঁদে ত্রাসে, স্রষ্টার চেয়ে সৃষ্টি পাছে বা বড় হয়ে তারে
গ্রাসে!

Regards,
Publisher@alibaba.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
আরিফ ইবনে আবুল কালাম
ছেলের বাবা ঘটক নিয়ে
কনে দেখতে যায়,
আড়চোখে'তে কনের দিকে
মুচকি হেসে চায়।
ঘটক বলে রান্নাবাড়া
অনেক ভালো পারে,
ছেলের বাবা কথার ছলে
প্রশ্ন করে তারে।
একটু হেঁটে দেখাও তো মা
কেমন করে চলো,
তোতলা কিনা জানার লাগি
একটি গান বলো।
সব কিছু সে যাচাই করে
বলে ঘটক ভাই,
এই মেয়ের সমতুল্য
কোনো পাত্রী নাই।
দিন তারিখ ধার্য করে
তাঁদের বলে দাও,
জলদি করে বেহান হতে
অনুমতিটা নাও।
Regards,
আরিফ ইবনে আবুল কালাম | arifgarf92@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
রোজাভা বিপ্লব
রাষ্ট্রবিহীন জনগোষ্ঠী হিসেবে কাশ্মীরি,ফিলিস্তিনি, রোহিঙ্গাদের নাম উচ্চারিত হলেও কুর্দি জনগোষ্ঠী তেমন মনোযোগ পায়নি বিশ্বের।মধ্যপ্রাচ্যের এই জাতিগোষ্ঠীর রয়েছে নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি,তারা সেখানকার চতুর্থ বৃহৎ আদিবাসী।
আয়তনে ৩ লক্ষ বর্গ কিলোমিটারের কুর্দিস্তানে রয়েছে আড়াই থেকে তিন কোটি কুর্দির বাস।কিন্ত ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর নিজস্ব দেশ নেই তাদের স্বপ্নভুমি কুর্দিস্তান চার ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে।তুরস্ক, ইরাক,ইরান ও সিরিয়ায় এই চারদেশেই রয়েছে কুর্দিস্তানের অংশ। এছাড়া আর্মেনিয়ায় রয়েছে স্বল্পসংখ্যক কুর্দির বসবাস।
কুর্দিস্তানের জাতীয় পতাকা কুর্দিস্তানের জাতীয় পতাকা
কুর্দিস্তানের মানচিত্র
উত্তর পূর্ব সিরিয়া বা রোজাভা
সিরিয়ার উত্তর পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত কুর্দিস্তানের পশ্চিম অংশ যেটাকে কুর্দি ভাষায় রোজাভা বলা হয়।আফ্রিন,জাযিরা,ইউফ্রেটিস,রাক্কা,কোবানে,দেইর ইজ-জুর এবং মানবিজ অঞ্চলগুলো নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত রোজাভা গঠিত।
২০১২ সালে সিরিয়া গৃহযুদ্ধের প্রাক্কালে এক অভূতপূর্ব রাজনৈতিক বিপ্লবের মাধ্যমে রোজাভার পথচলা শুরু হয়।নিকট ইতিহাসে এমন বিপ্লব স্পেনিশ গৃহযুদ্ধের সময় হয়েছিলো ১৯৩০ সালের শেষ দিকে একদল এনার্কিস্ট বিপ্লবীর দ্বারা । জর্জ অরওয়েল সে বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেন।
রোজাভা বিপ্লবে রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে ফ্রন্টলাইনার হিসেবে নারীরা রয়েছেন।মুল সিরিয়ান গৃহযুদ্ধের সাথে সরাসরি জড়িত না হলেও রোজাভাকে ভয়ংকর আত্মঘাতী বোমা হামলা মোকাবেলা করতে হয়।
ইরাকের কুর্দিশ আঞ্চলিক সরকার (KRG) এবং তুরস্ক সরকারের অসহযোগীতার কারণে বিদেশি সাংবাদিকদের রোজাভায় প্রবেশ কষ্টসাধ্য ফলে এখানকার দারুণ নারীবাদী বিপ্লবের খবর বিশ্বমিডিয়ার আলোচনায় আসছে না।এছাড়া তুরস্ক সরকার রোজাভাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে যেটা সেখানকার রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন পার্টি (PYD) এর বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা বলা যায়।
PYD এর সামরিক শাখার নাম পিপল'স প্রটেকশন ইউনিট (YPG),এবং উইমেন্স প্রটেকশন ইউনিট (YPJ) নারীদের দ্বারা গঠিত আত্নরক্ষামুলক নারী উইং।
উইমেন্স প্রটেকশন ইউনিট এর যোদ্ধারা
প্রশাসনিকভাবে রোজাভা সেক্যুলার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।যেটা এনার্কিজম এবং উদারনৈতিক সমাজতান্ত্রিক আদর্শ দ্বারা অনুপ্রানিত। রাষ্ট্রীয়ভাবে রোজাভা নারী-পুরুষের সমতা,ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, বহুত্ববাদী সমাজ,ধর্মীয় সহিষ্ণুতা,রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, পরিবেশের সুরক্ষা এসব বিষয়ে প্রতিশ্রুতিশীল।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রোজাভার রাজনৈতিক সৌন্দর্য, আঞ্চলিক অধিবেশনে ননকুর্দিশ বিশেষকরে আরব,সিরিয়ান,তুর্কি,অ্যাসেরিয় সবাই কুর্দিদের মতোই সমান সুযোগ পায় মত প্রকাশের ক্ষেত্রে।
রোজাভা'র স্থানীয় সরকার পরিচালিত হয় গ্রামবাসীর দ্বারা, তারা নিজেদের স্বাস্থ্য, চাকরি, সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গুলো নিজেরাই নেন পাশাপাশি বাল্যবিবাহ, ধর্মীয় কুসংস্কার রোধে কাজ করেন। স্থানীয়ভাবে কোন সিদ্ধান্ত নিতে ঐক্যমত না হলে গ্রামবাসীর প্রতিনিধিগণ আঞ্চলিক অধিবেশনে যোগ দেন। সেখানে তারা গ্রামের প্রতিনিধি হিসেবে গ্রামবাসীর নিকট দায়বদ্ধ থাকেন এবং তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করেন।
তুরস্কের রোজাভা আগ্রাসন এবং পিকেকে
আবদুল্যাহ ওকালান যিনি একজন কুর্দি নেতা ১৯৭৮ সালে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (PKK) গঠন করেন।মার্মারা সাগরের একটা দ্বীপে তিনি তুর্কি সরকারের নিকট বন্দি ছিলেন। বন্দিজীবনে তিনি এনার্কিস্ট লেখক মারি বুকচিনের আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে কুর্দিদের জন্য একটা স্বাধীন এনার্কিস্ট রাস্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখেন।যার ফলাফল হিসেবে PKK এর আত্মপ্রকাশ হয়।
ছবি : আবদুল্লাহ ওকালান
প্রতিষ্ঠার ছ’বছর পর PKK তুর্কি সরকারের সাথে সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হয় ফলে ৪০ হাজার বেসামরিক লোক নিহত এবং এক লক্ষ কুর্দি বাস্তুচ্যুত হয়।
১৯৯০ এর দিকে PKK স্বাধীন রাষ্ট্রের পরিবর্তে স্বায়ত্তশাসনের জন্য রাজনৈতিকও সাংস্কৃতিক আন্দোলন ডাক দেয়।পাশাপাশি সশস্ত্র সংগ্রামও অব্যাহত রাখে।
২০১৩ সালে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় PKK
কিন্তু ২০১৫ সালের জুলাইয়ে যুদ্ধবিরতি অকার্যকর হয়ে পড়ে যখন সিরিয়া সীমান্তের সুরুকে শহরে এক ভয়াবহ আত্নঘাতী বোমা হামলায় ৩৩ জন তরুন এক্টিভিস্ট নিহত হন,এই ঘটনায় ISIS কে দায়ী করা হয়।
ঐ ঘটনার পর তুরস্ক, ISIS এবং YPG মধ্যকার ত্রিমুখী সংঘাত শুরু হয়। ফলে কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
আগস্ট ২০১৬, এসময় এরদোয়ান সরকার উত্তর সিরিয়া অভিমুখে ব্যাপক সেনাবাহিনী ও সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক নিয়ে অগ্রসর হয় এবং তুর্কি আর্মি জোরপূর্বক জারাব্লুস শহর দখল করে নেয়।
ফলে রোজাভার YPG নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স (SDF) পিছু হটে আফ্রিন শহরের কুর্দি ঘাঁটিতে আশ্রয় নেয়।
এরপর ২০১৮ পুনরায় তুর্কি আর্মি আফ্রিন আক্রমণ করে সেখান থেকে YPG কে উৎখাত করে ব্যাপক ধ্বংশযজ্ঞ চালায় ফলে প্রচুর বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারান।
সিরিয়া গৃহযুদ্ধের ফলে উত্থিত নতুন স্টেট রোজাভা ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য দৃষ্টান্ত হবে যদি সেখানে শান্তি বজায় থাকে এবং যে আদর্শকে ধারণ করে এর জন্ম হয়েছে সেটার যথাযথ প্রয়োগ করতে পারে।
Reference: BBC,VICE, WIKIPEDIA
নেকড়েরা স্বয়ং এখন মেষপালকের বেশে #দেবাশিস বসু
#নেকড়েরা স্বয়ং এখন মেষপালকের বেশে
#দেবাশিস বসু
#০৪/০৫/২০২০
যুদ্ধ শেষ
নেকড়েরা স্বয়ং এখন মেষপালকের বেশে
যুদ্ধ শেষ
বিধ্বস্ত সৈনিক এখন ঘর গোছাতে ব্যস্ত
ঘর গোছাতে ব্যস্ত
সেই সব সেনানী
যারা শস্ত্রের যোগান দেবে বলেছিল
ঘর গোছাতে ব্যস্ত
আত্মসমর্পণকারী শত্রুসেনাদল
কারণ
নেকড়েরা স্বয়ং এখন মেষপালকের বেশে
দু' চারটে যৌবন গলে গেছে
আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে গলে পড়া
সোনালী রোদ্দুরের মতো
আঙ্গুলের ডগায়
এখনো পোস্টারের কালির স্পষ্ট দাগ
কিউবিকলের একটা ন্যাপথিলিনও
চিরকালের মতো আলাদা করতে পারিনি
শুধু অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝ
আর বেড়েছে বারুদ বাষ্প
কোনো বিপ্লব হয়নি
খালি ভিড় বাড়ানো সারিবদ্ধ গড্ডলের দল
আভূমি কুর্ণিশ করেছে গিলোটিনে
যুদ্ধ শেষ
নেকড়েরা স্বয়ং এখন মেষপালকের বেশে
মনে আছে মালবিকা,
এক মুখ যে দাঁড়ি
তোমায় বুর্জোয়া কলেজ ছাড়িয়েছিল
বলেছিল,'পোতাশ্রয়ের জাহাজ হবার জন্য তোমার জন্ম নয়'
কিংবা গা শিরশির করা রাতে
গ্রুপ মিটিংয়ের সুযোগ নিয়ে
যারা চেয়েছিল অর্ধেক শরীর
কাফকা কামু পাস্তেরনাক থেকে
চেকভ দস্তয়েভস্কি হয়ে
যে পথ শেষ হয়েছিল
নেরুদা নাজিম হিকমতের কারাগারে
যুদ্ধ শেষ
নেকড়েরা স্বয়ং এখন মেষপালকের বেশে
মনে আছে মালবিকা,
সেই জঙ্গলে অন্ধকার রাত সহস্র মশার কামড়ে
সাপ আর জোঁকেদের নিজস্ব বাসরে
মোমবাতির আলোয় নিষিদ্ধ বই
অথবা মুড়িবাদামের গ্রুপ মিটিংয়ের স্মৃতি
মনে পড়ে
শাড়ীর ভেতর লুকোনো পোস্টারের বান্ডিল
বৎসরান্তে বাড়ি ফেরা
মধ্যরাতে
এক ঝাঁক কুকুরের ডাক সঙ্গী করে
মায়ের সন্ত্রস্ত মুখ
আর মুঠোভর্তি লক্ষ্মীর নাড়ু
বেডরুম থেকে ভেসে আসা চাপা গজরানি
আর ঘুনধরা খাটে
পাশ ফিরে শোয়ার ক্যাঁচকোঁচ শব্দ
মনে পড়ে,
যেবার তুমি হাঁফাতে হাঁফাতে এসেছিলে
ভাঙা শিবমন্দিরের বটগাছের আড়ালে ,
অন্ধকারে শরীর লুকিয়ে
মহাকালের কালো রথ
পাশ দিয়ে ছুটে গিয়েছিল সশব্দে ,
সঙ্গে নিয়ে এক রাশ নাক-জ্বালানো ধুলো
বোতাম খুলে শুনেছিলাম ,
তোমার গোলাপী বুকে হাপরের শব্দ
পাঁজরের ওপরে স্পষ্ট ঘষার দাগ,
শিরাগুলো নীল হয়ে আছে ।
মালবিকা ,
এখন যুদ্ধ শেষ
সৈনিকেরা
যার যার নিজস্ব নিরাপদ আশ্রয়ে
নেকড়েরা স্বয়ং এখন মেষপালকের বেশে
দুঃখ কোরো না মালবিকা ,
কোনো সারমেয়
বিষাক্ত করবেনা তোমার সমাধিস্তম্ভ
এখন শুয়ে থাকো,তবে ঘুমিয়ে পড়ো না
তোমার গর্ভে এখনো আছে যে দেবশিশু
সেই বেজন্মারাই জন্ম দেবে
হয়তো নতুন বিপ্লব
হয়তো সেই মে ডের দিনে
আবার শহীদস্তম্ভ উপড়ে জেগে উঠবে তুমি
নতুন তুমি আর তোমার সবুজ পৃথিবী
Regards,
দেবাশিস বসু | debasisbasuroy1@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
#রাকিবুল_হাসান_নয়ন
#২৫_০৪_২০২০ইং
তারা অজ্ঞ তারা মূর্খ
তারা সমাজ দ্রোহী,তারা লোভী।
তারা কুচক্রী,তারা কুচক্রের দাবানল।
তারা বিষাদময়,তারা অন্যায়ের প্রলোভন।
তাদের আছে দলের চক্র,আছে হীন মনস্ক।
তারা ছোটলোক,তারা তেড়া-ভেড়া,রগচটা।
তারা অস্ত্র যুক্ত,তারা রসহীন,তারা রাগি।
তারা বিরামহীন,তারা লাগামছাড়া।
তারা অভদ্র,একরোখা।
ওরা সমাজ ভাঙন
ওরা দ্বন্দ্ব বাঁধাই,সমাজ দ্রোহী।
ওরা নির্দয়া,ওরা কাপুরুষ,ওরা ভয়ংকর।
ওরা লোট কারী,ওরা অভদ্র মুখোশধারী।
ওরা দুখীর ভিটা কেড়ে নিয়ে বাড়ায় খরা।
ওরা সমাজ দ্রোহে বিশৃঙ্খলা,লড়া-বড়া।
ওরা এক শক্তিশালী শোষক গোষ্ঠী।
ওরা সমাজ দ্রোহে জাল ফেলিয়া-
করে খেলা,কাটাই বেলা।
মোরা বিজ্ঞ,মোরা শিক্ষিত
মোরা বিদ্রোহী,মোরা প্রলয়ংকরী।
মোরা দেশদ্রোহীদের ধ্বংসকারী,শক্ত ঘাঁটি।
যতোই দেখাও প্রলয় ভীষণ,নিঠুর খেলা।
মোরা সমাজ হতে ভাঙবো তোদের-
অবৈধ সব গোপন মেলা।
মোরা তোদের যমদূত,উড়াই নিশান-
ভাঙবো তোদের কর্মশালা।
Regards,
রাকিবুল হাসান নয়ন | nayan441066@gmai.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম শাওন।
তারিখঃ ১৮-০৪-২০২০ইং।
স্বাধীনতা তুমি লাখো শহীদের রক্তে কেনা মালা!
স্বাধীনতা তুমি ভেঙ্গে ফেলেছো অত্যাচারীর তালা।
স্বাধীনতা তুমি আমার ভাইয়ের রক্তের মহামারী!
স্বাধীনতা তোমাকে পাওয়ার জন্য করেছি মারামারী।
স্বাধীনতা তুমি ধর্ষিতা বোনের লিখে যাওয়া কিছু কথা!
স্বাধীনতা তুমি আমাদের বুকে দিয়েছো অনেক ব্যথা।
স্বাধীনতা ছাড়া পারিনি আমরা আপন সুরে গাইতে!
স্বাধীনতা ছাড়া মার খেতে হয়েছে ন্যায্য অধিকার চাইতে।
স্বাধীনতা তুমি নওতো কোনো মৃত ব্যক্তির আশা!
স্বাধীনতা তুমি ফিরিয়ে দিয়েছো আমাদের বাংলা ভাষা।
স্বাধীনতা তুমি শেখ মুজিবের সোনার বাংলাদেশ!
স্বাধীনতা তুমি নরপিশাচের করেছো বংশ শেষ।
স্বাধীনতা তুমি আমার বোনের নির্মম পরিহাস!
স্বাধীনতা তুমি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।
Regards,
Md: Shazzadul Islam Shaon | shazzadulshaon@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম শাওন।
তারিখঃ ১৮-০৪-২০২০ইং।
স্বাধীনতা তুমি লাখো শহীদের রক্তে কেনা মালা!
স্বাধীনতা তুমি ভেঙ্গে ফেলেছো অত্যাচারীর তালা।
স্বাধীনতা তুমি আমার ভাইয়ের রক্তের মহামারী!
স্বাধীনতা তোমাকে পাওয়ার জন্য করেছি মারামারী।
স্বাধীনতা তুমি ধর্ষিতা বোনের লিখে যাওয়া কিছু কথা!
স্বাধীনতা তুমি আমাদের বুকে দিয়েছো অনেক ব্যথা।
স্বাধীনতা ছাড়া পারিনি আমরা আপন সুরে গাইতে!
স্বাধীনতা ছাড়া মার খেতে হয়েছে ন্যায্য অধিকার চাইতে।
স্বাধীনতা তুমি নওতো কোনো মৃত ব্যক্তির আশা!
স্বাধীনতা তুমি ফিরিয়ে দিয়েছো আমাদের বাংলা ভাষা।
স্বাধীনতা তুমি শেখ মুজিবের সোনার বাংলাদেশ!
স্বাধীনতা তুমি নরপিশাচের করেছো বংশ শেষ।
স্বাধীনতা তুমি আমার বোনের নির্মম পরিহাস!
স্বাধীনতা তুমি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।
Regards,
Md:Shazzadul Islam Shaon | shazzadulshaon@gmai.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
মানুষ তখন হাসে, কষ্টের পরিমাণ বেশি হলে একটু সুখ খোঁজে।
রাতে স্বপ্নেই তখন মানুষ কথা বলে,আনন্দ বা ভয়ের পরিমাণ বেশি হয়।
ব্যাঙ পর্যন্ত সুখের নীড়ে, একটুু বৃষ্টির জন্য সারারাত ডাকে।
গাছে তখন ফল দেয়,যখন ভাবে ডালপালা ভার নিতে পারবে।
রিটপ দাস
01631290273
Regards,
RITAP CHANDRA DAS | sonlove356@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
🕌মোল্লা মোহাম্মদ আলী ক্লে🕌
মানুষের জীবন আজ কুকুর সমতুল্য
রাস্তায় পরে থাকে নেই কোন মুল্য।
মানুষের মনে আজ পরে গেছে ময়লা
হৃদয়ে মানুষ নেই আছে শুধু কয়লা।
রাস্তায় পরে আজ মরে এক লোক
ফাঁকে দাঁড়িয়ে সবে করে উপভোগ।
যায়না কাছে যদি ভাইরাস ধরে
ওহার মতোই তবে আমি যাবো মরে।
এটাই বোঝেনা মানুষ মানুষের তরে
মরন আসলে যবে থাকো যতই দূরে।
জানি সবে প্রতিবাদ করবে আমায়
এতো সাহস তোমার কোন লাটের জামাই।
কোরআন হাদিস মোরা একটুতো জানি
জীবন গেলেও না হয় এতোটুকু মানি।
সারাদেশে কি হলো সেটা নহে ধরি
সামনে যে রোগি পরে তার সেবা করি।
ছোঁয়াছে রোগ বলে সেফটি পরি
মানুষের তরে না হয় মানুষই মরি।
তবুও মানবতার দাঁড় খোলো সবে
খোদাতালার রহমত তবেই হবে।
ডাক্তারো মানুষ তার কিসে দায়ভার
সেও তো সেবা করে আমার তোমার।
তাদের কি নাই জীবন নাই পরিবার
জন্ম থেকেই কি ছিলো ডাক্তার।
তর্ক না করি এসো করি সেবা দান
মানুষ শ্রেষ্ঠ জাতী রাখি তাঁর মান।
ঘরেতে বন্ধি সবে নয় ধনি জন
না খেয়ে থাকবে তারা আর কত ক্ষন।
ঘরেতে বন্ধিরেখে কাটবে না দায়
এখনি খুঁজতে হবে বাঁচার উপায়।
মাবতার হাত দাও মানুষের তরে
খাদ্য পৌছে দাও অভাবির ঘর।
নিজে বাঁচো আর বাঁচাও অপর জন
খোদায় খুশি হলে বাঁচবো সর্বক্ষণ।
Regards,
মোহাম্মদ আলী | clay1186@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
-সাদিয়া ইসলাম সূচনা
তুমি জয়লাভ করবে যদি তুমি বিশ্বাসী হও।
অবিশ্বাসীরা কখনও জয় লাভ করতে পারে না
মনে যদি তোমার সাহস থাকে, তবে তুমি অবশ্যই পারবে।
অবিশ্বাসীরা সবসময় ব্যর্থ হয়
যদি তুমি ভেবে নাও তুমি হেরে গেছো তবে তুমি জিততে পারবে না।
অগাধ বিশ্বাস মানুষকে অনেক দূর প্রান্তে নিয়ে যায়।
যদি তুমি জিততে চাও তাহলে মনের সংশয় রেখো না।
অবিশ্বাসীরা মনে সংশয় রাখে।
বিশ্বাসীরা সবসময় সফলকাম।
Regards,
সাদিয়া ইসলাম সূচনা | sksagor01998826493@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
কবি- তাপস কুমার বর
জনকোলাহলের রব গেছে থমকে ,
সারা বিশ্ব আজ?
করোনা আতঙ্কে!
মারণ ভাইরাস অঙ্কুরিত হয়ে বাড়ছে,
সারা জগৎ সচেতন বার্তা দিচ্ছে বারে বারে।
লক ডাউন জারি করে,
আটকাতে হবে করোনাকে ।
আজও বের হয়নি এর প্রতিষেধক যে,
জাগো হে জনগণ সচেতন চিত্তে।
বারে বারে হাত ধোঁয়া অভ্যাস করো,
সাবান বা অ্যালকোহলে।
করোনাতে মানুষ বাঁচে,
যদি জনগণ থাকো একটু দূরত্ব রেখে।
ছোঁয়াচে মারণ ভাইরাস,
ছড়ায় এরা খুব দ্রুতগতিতে।
জাগো হে জনগণ একটু সচেতন চিত্তে,
বাঁচবে সকলে-
যদি থাকো লক্ষণ রেখায় আটকে।
যেখানে যাও তোমরা,
মাস্ক পরো নিয়ম মেনে।
Regards,
Tapas Kumar bar | tapasbar195@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
শ্রীসেন
যুদ্ধ,সেই জন্মতক
যুদ্ধ চলেছে আজও
সৈনিক আমি, তুমি কিম্বা বিগত যারা
যুদ্ধ,সেই জন্মতক
যুদ্ধ চলেছে আজও-
পরাধীনতার শেকল ভাঙা যুদ্ধ
যুদ্ধ চিন্তার স্বাধীনতার
আজও অন্ন হলো না সবার!
যুদ্ধে যুদ্ধেই ঘায়েল হবে তুমি সাবধান মজুতদার
একটা যুদ্ধ জেতা হলে আরেকটা এসে যায়...
এক অন্য যুদ্ধের ইশারায় এখন এক মহাকালের সাক্ষী আমরা
'কোভিড-নাইন্টিন'-
সে কী ছিন্ন করে দেবে যাবতীয় বন্ধন,কেড়ে নেবে বাঁচার অধিকার
নাকি আরও বেশি কাছাকাছি করে দিতে বিধাতার এও এক অপূর্ব খেয়াল!
যুদ্ধ, সেই জন্মতক
যুদ্ধ চলেছে আজও
জিতব তো আমরাই এবারও, আজও
ঘুম ছেড়ে এসো সব্বাই-চলো জাগি,তুমিও জাগো
যুদ্ধ, সেই জন্মতক,যুদ্ধ চলবে আজও...
@বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত
Regards,
Biswajit Sengupta | biswajit.sengupta40a@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
🏴মোল্লা মোহাম্মদ আলী ক্লে 🏴
প্রতিবছর একটি করে
আসে এমন রাত,
দাদু আমার কাঁন্দে শুধু
খায় না কোন ভাত।
জিগাই আমি দাদু তুমি
কাঁন্দো কেন বলো,
শরির খারাপ নিচ্ছি আমি
ডাক্তারের কাছ চলো।
দাদু আমার কেঁন্দে বলে
নারে দাদু না,
অসুখ আমার মনের ভীতর
ডাক্তার পাবে না।
জানিস নারে দাদু তোরা
এমন রাতের কথা,
কি ভয়ানক দৃশ্য সে যে
ভাবতে লাগে ব্যাথা।
মানুষ রুপি জানোয়ার সব
আমার দেশে এসে
ঘুমন্ত সব মানুষ মারে
বন্যশুয়োর বেশে।
মেরেছিলো অবুঝ শিশু
নারী, যুবক,বুড়া,
মানুষ নারে বন্য শেয়োর
পাকিস্তানি ওরা।
কি বলিবো দাদু তোরে
তোর যে বড় কাকা
আমায় রেখে কবর দেশে
চলে গেলো একা।
বাংলা নেতা বঙ্গবন্ধু
সেও পায়নি ছাড়,
বুকে তারা বরফ চেপে
রেখে ছিলো তাঁর।
২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহর
নামলো কালো ছায়া
বুকের রক্তে লাল জমিনের
বারলো আরো মায়া।
কৃষক শ্রমিক ছাত্র সবাই
অস্ত্র নিলো হাতে,
ত্রিশ লক্ষ জীবন দিয়ে
স্বাধীন পেলাম তাতে।
Regards,
মোল্লা মোহাম্মদ আলী ক্ল | clay1186@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
লিখেছেন: মাহমুদ হাসান
১৭-০৩-২০২০ইং মঙ্গলবার।
জা. জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান।
তি. তিনি হলেন এই বাংলাদেশের সম্মান।
র. রক্ত দিয়েছে বাঙালী জাতি স্বাধীনতার তরে।
জ. জয় করতে বাঙালী মুক্তির অস্ত্র তুলে ধরে।
ন. নয় মাস চলে তোমার নেতৃত্বে এই স্বাধীনতার যুদ্ধ।
ক. করেছো তুমি বাঙালিকে মুক্তির জন্য একতাবদ্ধ।
শে. শেষ রক্ষা হয়নি তাই হানাদার পাক বাহিনীর।
খ. খণ্ডিত হলো পাকিস্তান বিজয় যে স্বাধীন বাংলার।
মু. মুজিব বর্ষ আমাদের গর্ব! আমাদের অহংকার তুমি।
জি. জিদ ছিল তোমার, বাংলা কেন থাকবে পরাধীন ভূমি?
বু. বুক পেতে তাই বাঙালী জাতি নিয়েছে অজস্র গুলি!
র. রণাঙ্গনের আত্মত্যাগে আমরা আজ বাংলায় কথা বলি।
র. রচনা করলে তুমি একটি স্বাধীন ভূমি; বাংলাদেশ।
হ. হত্যা করেছে তারা নির্বিচারে এই নিরীহ বাঙালী বেশ।
মা. মা-বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে পেলাম স্বাধীনতা।
ন. নতশিরে আত্মসমর্পণ করল পাক-হানাদার হোতা।
Regards,
মাহমুদ হাসান | Sheikhmahmud77@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
লিখেছেন : মাহমুদ হাসান (নারায়ণগঞ্জ)
তারিখ : ২০-০৩ -২০২০ইং শুক্রবার
কখনো ভাবিনি আমি, তোমার কাছে পাবো এমন করে আঘাত।
কিভাবে বুঝবে তুমি, তোমার মনোবাসনায় দেইনি ব্যাঘাত!
আমাদের ভালোলাগার পথ অনেক আগেই হয়েছে ভিন্ন।
তোমার স্বপ্নপূরণের বাসনায় আমার সম্পর্ক করেছো ছিন্ন!
কষ্টে মূর্ছিত হইনি তখন, বুঝেছিলাম নিয়তি আমার হয়তো-বা এমনি।
দুঃখ ঘুচাতে কবিতা লেখন, চেয়েছিলাম থাকতে বিস্মৃত তেমনি।
আমি ছিলাম তোমার প্রতি প্রচন্ড দুর্বল; তোমার অনিন্দ্য রূপে কি গুণে!
তাই তো হৃদয়ে আমার হলো বদ্ধমূল, আমার জীবন রঙিন হবে কী খুনে?
ভালোবাসার জন্য পাগল আমরা, তাই প্রিয়জনের নির্মম পরিহাসে হই বোকা।
অগাধ বিশ্বাসের প্রতিফলে, প্রতিনিয়ত আশাভঙ্গে পাচ্ছি অব্যক্ত ছলনায় ধোঁকা!
Regards,
মাহমুদ হাসান | Sheikhmahmud77@gmai.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
--পলাশ মন্ডল ।
যে হাসির ঝিলিক দেখে
কুয়াশায় সূর্য ওঠে,
যে হাসির আবির মেখে
পৌষেও পলাশ ফোটে,
যে হাসির ফল্গুধারায়
ভেসে যায় জীবনতরী,
যে হাসি রাতের তারায়
দিয়ে যায় স্বপ্ন ভরি,
জীবনের গল্পগুলি
যে হাসির আশীষ-ছোঁয়ায়
সুর তাল ছন্দ তুলি
হৃদয়ের গান হয়ে যায়,
যে হাসি তীব্র ক্ষুধায়
জননীর শীর্ণ বুকে
ভরিয়ে জীবন শুধায়
তুলে দেয় শিশুর মুখে,
যে হাসি ব্যাথার রাতে
শিয়রে প্রদীপ জ্বালে,
সুশীতল স্নিগ্ধ হাতে
সুনিবিড় শান্তি ঢালে,
যে হাসির নরম স্নেহ
মরমে পড়ল ঝরে,
সে হাসির নীরব মোহে
এ জীবন উঠুক ভ'রে ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
শিমুল ভূঁইয়া
তারিখ-১২/০৩/২০২০
------------------------------
ঐ দেখা যায় রূপ নগর
জ্বলে পুড়ে স্তূপ
আগুন নেভানোর দৃশ্যটা
দেশ জনতা দেখছে খুব?
বস্তিতে ঐ বাস করে যারা
তাঁরা ও মা মাটি দেশকে ভালোবাসে
বিচিত্র এই শহরে তাদের ঘরে আগুন দেখে
উপর তলার মানুষ গুলো নাচে?
মানবতা আছে কি তাদের পাশে?
আর কিছুদিন পরে এই জমিনে
আগুনের স্তূপ সরিয়ে অট্টালিকা হবে
মাথার উপর সাদা আকাশ জুড়ে
ছাউনী আসবে কবে?
শান্তনা এই টুকুই হয়তো একদিন হবে?
Regards,
Shimul Bhuiyan | mlinkbd13@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
শিমুল ভূঁইয়া
তারিখ-১২/০৩/২০২০
------------------------------
ঐ দেখা যায় রূপ নগর
জ্বলে পুড়ে স্তূপ
আগুন নেভানোর দৃশ্যটা
দেশ জনতা দেখছে খুব?
বস্তিতে ঐ বাস করে যারা
তাঁরা ও মা মাটি দেশকে ভালোবাসে
বিচিত্র এই শহরে তাদের ঘরে আগুন দেখে
উপর তলার মানুষ গুলো নাচে?
মানবতা আছে কি তাদের পাশে?
আর কিছুদিন পরে এই জমিনে
আগুনের স্তূপ সরিয়ে অট্টালিকা হবে
মাথার উপর সাদা আকাশ জুড়ে
ছাউনী আসবে কবে?
শান্তনা এই টুকুই হয়তো একদিন হবে?
Regards,
Shimul Bhuiyan | mlinkbd13@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
লক্ষ্মীছাড়া
শংকর ব্রহ্ম
-----------------
তুমি নেই ভাবতেই বুকের ভিতর খালি,
একেবারে শূন্য,
নির্ভেজাল নিঃস্ব, যেন খাঁ খাঁ মরুভূমি,
বুক জুড়ে এতখানি ছিলে বুঝি তুমি?
ভুলেও কখনও যে কেন, আগে তা ভাবিনি,
এখন আর ভেবে কোন লাভ নেই জানি।
এখন শূন্যতা শুধু,আমাকেই গিলে খায়
নিদারুণ কষ্টের মোচড়ে
একান্তে বুঝিয়ে দেয়
কিভাবে যে দশভূজা হয়ে,
তুমি সুনিপুন ঠেকিয়েছ দশদিক
এখন দিশেহারা হয়ে ভাবি সব
মনে মনে তোমার অভাব খুব করি অনুভব।
লক্ষ্মী শূন্য ঘরে আজ লক্ষ্মীছাড়া হয়ে,
তবু বেঁচে আছি আর অন্য কিছু নয়,
মরতে পারি না বলে,মনে নিয়ে ভয়
শুধু আজ বেঁচে থাকতে হয়।
Regards,
শংকর ব্রহ্ম | sb.march51@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
কঠিন সহজ - পলাশ মন্ডল
--পলাশ মন্ডল ।
সহজ কথা
নয় যে সহজ বলা ।
সহজ পথে
নয় রে সহজ চলা ।
সহজ ভাবে
ভাবতে গেলে কিছু,
কঠিন এসে
আলগোছে নেয় পিছু ।
সহজ কথায়
লিখবো যখন ভাবি,
লিখতে গেলে
কঠিন লাগে সবই ।
সহজ ছবি
নয় যে আঁকা সোজা ।
সহজ স্মৃতি,
হয়না মনে খোঁজা ।
সহজ ভাবে
বাঁচতে গেলে, হায় !
জীবন আরও
কঠিন হয়ে যায় !
পাওনা সহজ,
হয়না শুধু নেয়া ।
সহজ দেনা,
যায়না তবু দেয়া ।
সহজ কথাও
অশ্রু চোখে ঝরায় ।
কঠিন ব্যথাও
প্রেমে জীবন ভরায় ।
সহজ হলেও
ঠেলোনা ভুলে দূরে ।
কঠিন হলেও
রাখো হৃদয় জুড়ে ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
কঠিন সহজ
--পলাশ মন্ডল ।
সহজ কথা
নয় যে সহজ বলা ।
সহজ পথে
নয় রে সহজ চলা ।
সহজ ভাবে
ভাবতে গেলে কিছু,
কঠিন এসে
আলগোছে নেয় পিছু ।
সহজ কথায়
লিখবো যখন ভাবি,
লিখতে গেলে
কঠিন লাগে সবই ।
সহজ ছবি
নয় যে আঁকা সোজা ।
সহজ স্মৃতি,
হয়না মনে খোঁজা ।
সহজ ভাবে
বাঁচতে গেলে, হায় !
জীবন আরও
কঠিন হয়ে যায় !
পাওনা সহজ,
হয়না শুধু নেয়া ।
সহজ দেনা,
যায়না তবু দেয়া ।
সহজ কথাও
অশ্রু চোখে ঝরায় ।
কঠিন ব্যথাও
প্রেমে জীবন ভরায় ।
সহজ হলেও
ঠেলোনা ভুলে দূরে ।
কঠিন হলেও
রাখো হৃদয় জুড়ে ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
একটি দেয়া একটু কঠিন
--পলাশ মন্ডল ।
অনেক দেয়া অনেক সহজ,
একটি দেয়াই একটু কঠিন ।
অনেক ফুলের ফুলদানিতে
একটি ফুলই স্বপ্ন রঙিন ।
অনেক রঙের রংধনু , তার
একটি রঙই যায়না চেনা ।
অনেক আলোর অনেক সকাল,
একটি শুধু ছড়ায় সোনা ।
অনেক সুখের অনেক হাসি,
একটি শুধু অশ্রু ঝরায় ।
অনেক ব্যাথার দুঃখ অনেক,
একটি প্রেমে জীবন ভরায় ।
অনেক আপনজনের ভিড়ে
একজনই হয় অনেক আপন ।
অনেক কথাই হয় যে বলা,
একটি থাকে না বলা গোপন ।
অনেক মুখই দেখা হয়ে যায়,
একটি থাকে অদেখা, অচিন ।
অনেক দেয়া তাইতো সহজ,
একটি দেয়াই একটু কঠিন ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
মা এক অনুভূতি
--পলাশ মন্ডল ।
আচ্ছা, এমন যদি হত ?
সবার মা'কেই দেখতে হত আমার মায়ের মত ?
একই শাড়ি, একই চুড়ি, একই চোখের চাওয়া !
একই সুরে ঘুম পাড়ানির একই সে গান গাওয়া !
কেমন মজা হত বল, হাজার বাড়ির দাওয়ায়
আমার মায়ের উড়ত শাড়ি হাজার বাড়ির হাওয়ায় !
সন্ধ্যেবেলা ঠাকুরঘরে প্রদীপদানীর পরে,
আমার মায়ের জ্বলত প্রদীপ সবার মায়ের ঘরে !
সবার মায়ের দুলত কানে আমার মায়ের দুল,
খোঁপায় তাদের উঠত ফুটে কনকচাঁপার ফুল !
কিন্তু কোনো দিনে ধরো উল্টো রথের মেলায়
মা যদি মোর হারিয়ে যায় ঝড় বাদলের বেলায় ?
কেমন করে খুঁজবো বল সবার মায়ের মাঝে ?
আমার মা যে ছড়িয়ে আছে হাজার মায়ের সাজে ।
তখন আমার কান্না দেখে আসল মায়ের ছলে
নকল মা'রাই আসতো বুঝি আমায় নিতে কোলে ।
আঁচল দিয়ে মুছিয়ে দিত আমার চোখের জল ।
কান্না কি মোর মুছতো তাতে, বল দেখি কেউ বল ?
এত মায়ের মাঝেও আমার মুখটি দেখে ভার
আসল মা মোর লুকিয়ে তখন থাকত কি গো আর ?
বলতো এসে মধুর হেসে আমায় নিয়ে কোলে,
"হারিয়ে শুধুই গেছি আমি, গেছি কি আর চলে ?"
আমি বলতাম, "হারিও তবে আমায় নিয়ে সাথে,
তোমার আঁচল রইল বাঁধা তোমার খোকার হাতে ।"
মা বলতো, "পাগল ছেলে, তাই কখনো হয় ?
হাজার মায়ের হাজার আঁচল তোমার জীবনময় ।
কারও আঁচল অনেক দামী সোনার সুতোয় মোড়া,
কারও হয়তো একটু মলিন, একটুখানি ছেঁড়া ।
কিন্তু জেনো, সব আঁচলই সমান স্নেহ মাখা,
তোমার মায়ের আঁচল থাকুক তাঁদের কাছেও রাখা ।
ঝড়বাদলের জীবনটা এক উল্টো রথের মেলা,
সেথায় আছে কান্না হাসি, লুকোচুরির খেলা,
সেথায় আছে হারিয়ে ফেলেও ফিরে পাওয়ার মজা,
সেথায় আছে পেয়েও আবার নতুন করে খোঁজা ।
মায়ের সাথে এমন খেলায় নেই যে কারও হার,
মধ্যে আছে অনুভবের সহজ পারাপার ।
মা শুধু নয় স্নেহের মায়ায় ভুলিয়ে রাখার সাথী,
জীবন মরণ সব ছাড়িয়ে 'মা' এক অনুভূতি।"
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
কিছু একই থাকে
--পলাশ মন্ডল ।
কিছু রাত চোখে কান্না ভরায়,
কিছু রাত চোখে স্বপ্ন আঁকে,
কিছু রাত চোখে অশ্রু ঝরায়,
কিছু রাত চোখে কুয়াশা মাখে ।
রাতগুলি শুধু পাল্টায়, আর
চোখদুটি সেই একই থাকে ।
কিছু ফুল ফোটে ফুল বাগিচায়,
স্নিগ্ধ সবুজ পাতার ফাঁকে ।
কিছু ফুল ফোটে রাতের তারায়,
কিছু ফুল ফোটে মনের শাখে ।
ফুলগুলি শুধু রং বদলায়,
সুগন্ধ তার একই থাকে ।
কিছু মুখে থাকে সুখের আদর,
কিছু মুখ থাকে মায়ায় গড়া ।
কিছু মুখে ঝরে জ্যোৎস্না অঝোর,
কিছু মুখে থাকে ছলনা ভরা ।
কিছু মুখ এসে সামনে দাঁড়ায়,
কিছু মুখ শুধু আড়ালে থাকে ।
বেদনা লুকাতে কিছু মুখ তাই
রঙিন মুখোশ সাজিয়ে রাখে ।
মুখের মুখোশ আলাদা হলেও
মুখগুলি সেই একই থাকে ।
কিছু পথ চলে দূর অজানায়,
কিছু পথ মেশে পথের বাকে ।
কিছু পথ শুধু পাশে থেকে যায়,
ব্যবধানটুকু আলাদা রাখে ।
পথগুলি শুধু ভিন্ন, যদিও
পথের নিশানা একই থাকে ।
কিছু সুখ ভাসে মনের আকাশে,
কিছু সুখে মন ভেসে চলে যায় ।
দুঃখের রাতেও বাতায়ন পাশে
কিছু সুখ এসে হাতটি বাড়ায় ।
সুখের ঠিকানা ভিন্ন হলেও
অনুভবটুকু একই থাকে ।
কিছু প্রেম বোঝে মনের ভাষা,
কিছু প্রেম শুধু স্বার্থ বোঝে,
কিছু প্রেম মনে জাগায় আশা,
কিছু প্রেমে মন মৃত্যু খোঁজে ।
প্রেমগুলি শুধু ভিন্ন, যদিও
মনগুলি সেই একই থাকে ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
দারুন ছেলে
--পলাশ মন্ডল ।
২৬/২/২০২০
সেদিন দেখি পুবের পাড়ার
ষষ্ঠীচরণ রায়
গাঁয়ের পথে কোথায় যেন
ছুটছে খালি পায়ে ।
"যাচ্ছো কোথায় হনহনিয়ে ?
দিচ্ছো নাকি মেয়ের বিয়ে ?
মেয়েটি তোমার মিষ্টি অতি ;
দেখতে শুনতে লক্ষীমতি ;
বিদ্যে গুনেও সরস্বতী ।
মেয়ের যেমন তুলনা নাই,
তেমন কিন্তু ছেলেটি চাই ।
মদ, জুয়ো, ভাং, গাঁজাখোরে
সমাজ এখন গেছে ভরে ।
চোর, লম্পট, দামড়া, গোঁয়ার -
দেশটি যেন ষাঁড়ের খোয়াড় ।
তা , বলো না , ছেলে কেমন ?
উঁহু , চলবেনাকো যেমন তেমন ।
হোক না বাঙাল , হোক না ঘটি ,
বাজিয়ে নিয়ো চরিত্রটি ।
চুপটি করে বলছি শোনো ,
খোঁজ নিতে নেই লজ্জা কোনো ;
দু'চার খানা লোক লাগিও ,
একান ওকান খবর নিও ।"
ষষ্ঠীচরণ বললো ক্ষেপে ,
"যাও তো নিজের পথটি মেপে ।
গায়ে পড়ে জ্ঞান দিও না ।
ছেলে তো নয়, কাঁচা সোনা ।
এমন জবর খাসা ছেলে
হাজারটিতে একটি মেলে ।
নয় সে বলদ , নয় সে বেকার ;
লোকাল ট্রেনের টিকিট চেকার ।
ঊনিশ হাজার মাসিক বেতন ;
থাকবে মেয়ে রানীর মতন ।
চাগরি করে পূর্ব রেলে ।
দারুন ছেলে , দারুন ছেলে !"
"তাই নাকি ? তা , দিচ্ছো কি কি ?
ষোলো আনায় আঠারো সিকি ?"
চোখ নাচিয়ে একটু কেশে,
ষষ্ঠীচরণ বললে এসে
ফিসফিসিয়ে কানের কাছে,
"দেখলে হবে ? খচ্চা আছে ।
গয়না, টিভি, ফ্রিজ, ঘড়ি,
ফার্নিচারও কয়েক লরি ।
ক্যাশের কথাও পাকাপাকি ;
দু'লাখ নগদ, দু'লাখ বাকি ।
কি করবো ভাই, এমন ছেলে,
হাতের থেকে ফসকে গেলে ?
আগুন এখন ছেলের বাজার ।
গাঁটের দিকে তাকাইনি আর ।
চাগরি করে পূর্ব রেলে,
আহা, দারুন ছেলে, দারুন ছেলে !"
দিন, মাস যায়, বছর গড়ায় ;
মেয়েটি এখন উনুন ধরায়
শুকনো পাতায়, ভেজা কাঠে ;
বাসন মাজে, বাটনা বাটে ।
পান থেকে চুন খসলে পরে
শাশুড়ি ননদ খামচে ধরে ।
আর এক আছে ঢ্যামনা শশুর ;
পাকনা চুলে জ্যান্ত অসুর ।
চানের ঘরের বেড়ার ফাঁকে
কুতকুতিয়ে তাকিয়ে থাকে ।
একটু কিছু বললে তারে
নোংরা কাঁচা খিস্তি মারে ।
চেকার বাবু ব্যস্ত বেজায় ;
সাড়ে দশটায় ডিউটিতে যায় ।
সন্ধ্যেবেলা ডিউটি সেরে
ছ'টার ট্রেনে বাড়ি ফেরে ।
নাকে মুখে চারটি গুঁজে
বেরিয়ে পরে সুযোগ বুঝে ।
চাঁদবাজারের রাস্তা ধরে
ভ্যাঁপসা গলির অন্ধকারে
আস্তে ধীরে পা বাড়িয়ে
কোথায় যেন যায় হারিয়ে ।
ময়লা কি যায় কয়লা ঘষে ?
নোংরামি আর আলুর দোষে
পরকীয়ায় দু'বার ফেঁসে
টাকার জোরে গেছে বেঁচে ।
ভাগ্য ভালো দেয়নি জেলে ;
কারণ সে যে দারুন ছেলে ।
বাড়ি ফেরে রাত্রি ন'টায় ;
দু'চারখানা সঙ্গী জোটায় ;
তাস পিটিয়ে জুয়ো খেলে ;
ঢুকুর ঢুকুর বাংলা গেলে ।
জমিয়ে বসে মদের আসর ।
মেয়েটি সাজায় দুঃখের বাসর ।
অশ্রুচোখে একলা ঘরে
কখন যেন ঘুমিয়ে পরে ।
মাতাল বরের লাথির চোটে
রাত দুপুরে চেঁচিয়ে ওঠে ।
তিরিশ হাজার জুয়োয় হেরে
ঝালটি মেটায় বৌকে মেরে ।
ধাক্কা মেরে জাগায় ঠেলে ;
লাগায় ঝাঁটা মেঝেয় ফেলে ।
"লক্ষীছাড়ি, বদের হাড়ি -
খবর দিবি বাপের বাড়ি ।
বাকির দু'লাখ কাল না পেলে
ভাজবো তোকে গরম তেলে ।"
কাল চলে যায়, পরশু আসে ।
বাপ আসে না, খবর আসে ।
লক্ষ পাঁচেক দেনার চাপে
গলায় দড়ি দিয়েছে বাপে।
এমন সুখের খবর পেয়ে
ষষ্ঠী রায়ের সোনার মেয়ে
কেরোসিনের বোতল ঢেলে
সারা গায়ে আগুন জ্বেলে
চললো তখন বাপের কাছে ।
যেথায় অনেক শান্তি আছে ।
যেথায় অনেক শান্তি আছে ।
বাপ মেয়ে তো বাঁচলো মরে ;
চেকার বাবু কি আর করে ;
হাজার দশেক টাকা দিয়ে
গাঁয়ের লোকের মুখ বুজিয়ে
কায়দা করে গল্প সাজায় -
বৌ মরেছে দুর্ঘটনায় ।
পুরুত আসে, মন্ত্র পড়ে,
ঘটা করে শ্রাদ্ধ করে ।
গলদা চিংড়ি, কাতলা কষা,
দই ইলিশ আর পাবদা রসা ।
মন্ডা মিঠাই থরে থরে,
সবাই খেলো তৃপ্তি ভরে ।
বললো সবাই, এমন ছেলে
লক্ষটিতে একটি মেলে ।
সমাজ তখন চেঁচিয়ে বলে,
"দারুন ছেলে, দারুন ছেলে ।"
অন্ধ সমাজ চেঁচিয়ে বলে,
"দারুন ছেলে, দারুন ছেলে ।"
ভন্ড সমাজ চেঁচিয়ে বলে,
"দারুন ছেলে, দারুন ছেলে ।"
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
ভালোবাসা এক সীমাহীন মহাকাশ
--পলাশ মন্ডল ।
২৫/২/২০২০
কেউ যদি হয় অধরা অচিন মায়া,
হোক সে পাষান, হোক সে হৃদয়হীন ।
দাও যদি কিছু হৃদয় উজাড় করে,
সে দান তোমার রবে জেনো চিরদিন ।
যে ফুল তোমার ফিরায় সে ঘৃণাছলে,
ব্যাথার রক্তে করো'না হৃদয় রাঙা ।
তোমার সে ফুল ঘৃণার ছিলনা জেনো,
শুধু ছিল তার ফুলদানিটাই ভাঙ্গা ।
যার তরে তুমি পথপানে চেয়ে কাঁদো,
তার পথ বাঁধা অন্য পথের বাকে ।
হৃদয়ের পথে প্রেমটুকু শুধু বাঁধো,
জীবনের পথে কখনো বেঁধো না তাকে ।
ভালোবাসা এক সীমাহীন মহাকাশ,
জীবনের পথ তারও চেয়ে নয় বড় ।
জীবনের পথে হোক সে অচেনা পর,
ভালবেসে তারে হৃদয়ে আপন করো ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
ইচ্ছে ডানা
--পলাশ মন্ডল ।
২৩/২/২০২০
মা যদি হও আমার সকালবেলা,
তোমার সকাল সাজিয়ে দেব ফুলে ।
সোনার আলোয় ভাসিয়ে মেঘের ভেলা,
ভিড়বো তোমার স্নেহনদীর কূলে ।
মা যদি হও শঙ্খবালুর চর,
সারস হয়ে উড়ব তোমার বুকে ।
ঝিনুক নুড়ির গড়ব খেলাঘর,
সারাটি দিন থাকব সেথায় সুখে ।
মা যদি হও দীঘির কালো জল,
রোজ সকালে ফুটব হয়ে-
রঙিন শতদল ।
মা যদি দাও আশা,
তোমার প্রথম পাঠশালাতে
শিখব তোমার ভাষা ।
মা যদি হও শ্রোতা,
সারাটিক্ষণ তোমার কাছে
কইবো মনের কথা ।
মা যদি হও আমার পূজার ঘর,
প্রদীপ হয়ে জ্বলব সেথায়
সারা জনমভর ।
মা যদি হও আমার পূজার ফুল,
আশীর্বাদের পাপড়ি নিয়ে
পরব কানের দুল ।
মা যদি হও স্নিগ্ধ বটের ছায়া,
রাখাল হয়ে থাকব, মনে
মাখবো তোমার মায়া ।
মা যদি হও সুর,
রাখালরাজের বাঁশি হয়ে বাজব সুমধুর ।
মা যদি হও দূর আকাশের নীল,
আমি হবো শঙ্খডানা চিল ।
তোমার আশীর্বাদের আলোয়
উড়বো অনাবিল ।
দাও মা যদি আড়ি,
অনুভবের গোপন ঘরে
লুকিয়ে দেব পারি ।
মা যদি দাও ব্যথা,
ভাবছ কি মা, বলবো না আর কথা?
মান ভাঙানির গান শুনিয়ে
ভাঙব নীরবতা ।
মা যদি হও চাঁদ,
জ্যোৎস্না হয়ে থাকবো সাথে,
জাগব সারারাত ।
মা যদি গাও ঘুম পাড়ানির গান,
আধেক ঘুমেও থাকব পেতে কান ।
হও যদি মা ঘুমের দেশের পরী,
দিনের শেষে স্বপন দেশে
ভিড়াবো মোর তরী ।
খুশির রঙে সাজিয়ে দেব
তোমার স্বপ্নলোক ।
মা-ছেলের এই ভালবাসা
স্বপ্নে সফল হোক ।।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
( নদীটি অনেক সুন্দর ) -- পলাশ মন্ডল ।
-- পলাশ মন্ডল ।
১৭/২/২০
নদীটি অনেক সুন্দর,
মাঝে বালুচর ঝিকমিক,
দুকূলে সবুজ প্রান্তর,
মেঘনীলে ঘেরা চারিদিক ।
নদীটি অনেক সুন্দর,
জলরঙে আঁকা দূরগ্রাম,
সকাল রাত্রি দিনভর,
বয়ে চলে নদী অবিরাম ।
কত ঝাউবন, তালগাছ সারি
দুই দিকে সরে সরে যায় ।
কলসিতে লয়ে তৃষ্ণার বারি
কত নারী কত ঘরে যায় !
ডান পাড়ে রেখে ডাহুকের মাঠ,
ভুতুম চরের বাঁশঝাড় ।
বাঁয়ে ফেলে বুড়োশিবতলা ঘাট
বয়ে যায় নদী অনিবার ।
চাষী কাটে ধান, জেলে জাল পাতে
মাঝি গান গায় ভাটিয়াল ।
ঘরছাড়া উড়োমেঘেদের সাথে
নদী বয়ে চলে উত্তাল ।
সারাটি সকাল, সন্ধ্যা, দুপুর
খেয়া বেয়ে মাঝি ক্লান্ত ।
নদীর জীবনে ক্লান্তি যে নেই,
চলে সে অবিশ্রান্ত ।
আঁধার ঘনায়, ক্লান্ত ডানায়
সাঁঝের পাখিরা খোঁজে নীড় ।
মাঠের রাখাল ঘরে ফিরে যায়
সুনসান হয় নদীতীর ।
আকাশের কোলে বাঁকা চাঁদ ওঠে,
জোছনা আলোয় দোলে দুল ।
জোয়ার জলের আরশিতে ফোটে
হাজার তারার নাকফুল ।
এরপর আরও রাত হয়,
পৃথিবী ঘুমায় নিঃসাড় ।
এ নদী তখনও জেগে রয়,
ঘুম যে দুচোখে নেই তার ।
ওগো নদী তুমি কোথা যাও ?
ঠিকানা তোমার কোন গাঁও ?
কোন রমণীর হৃদয় বারতা
কোন পরদেশে কারে দাও ?
কোন সে নারীর দুঃখের রোদন
তোমার দুচোখে উছলায় ?
কার জীবনের না বলা বেদন
তোমার হৃদয়ে ভেসে যায় ?
ক্ষনিক দাঁড়ায়ে বলে যাও নদী
সুখের ঠিকানা কতদূর ?
প্রেমসুধা যেথা বহে নিরবধি,
কোথা সে জীবন মধুপুর ?
নদী বয়ে যায় , পিছনে না চায়,
আকাশে ঘনায় কালো মেঘ ।
দুকূল ভাসায় ঘন বরষায়,
নিশুতি ঝড়ের বাড়ে বেগ ।
কখন যে হয় রাত ভোর !
কাটে সে নিশার ঘনঘোর ।
হৃদয় আকাশে শুকতারা হয়ে
কে যে পিছু ডাকে মনচোর !
নদী যেন বলে, "আমায় ডেকোনা,
চেয়োনা আমায় জানতে ।
আমার ঠিকানা লেখা আছে জানা-
অজানার শেষ প্রান্তে ।
চলার কাব্যে লিখেছি জীবন,
চলারই সুরটি রেখে যাই ।
চলার ছন্দে গেঁথেছি এ মন,
চলারই স্বপ্ন দেখে যাই ।
চলাই দুঃখসুখের বাজারে
শান্তি নামের পণ্য ।
এ জগতে মোরা তাই বারেবারে
আসি যে চলারই জন্য ।
সুধা সাগরের মধুমোহনায়
যে জন যে পথে পথ পাই,
প্রেমের অরূপ অমৃত ধারায়
সে জন সে পথে চলে যাই ।
আপন ছন্দে চলে যাই ।
চলে যাই , শুধু চলে যাই "।।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
গল্পের সাথে অল্প - সুমন সরকার
সুমন সরকার
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
গল্পের সাথে অল্প সখ্যতা আমার
সেখানে আবার সখ্যতা তোমার।
লেখার প্রতি আছে দূর্বলতা আমার
সেখানে খোঁজ খবর নেই তোমার।
কবিতা লেখার সঙ্গী কলম আমার
সেখানে কবিতা পাঠে মন তোমার।
লেখার প্রাপ্তিতে আশা নেই আমার
সেখানে উৎসাহ প্রদানে মন তোমার।
আলো আধার পথে চলাচল আমার
সেখানে সঙ্গী হওয়ার ইচ্ছা তোমার।
জীবন গল্পের সাথে বিচরণ আমার
সেখানে চলতে ফিরতে সাধ তোমার।
গল্পের মাঝে থাকো পাশে আমার
যাবে সময় হয়তো ভালো তোমা।
Regards,
M A kabir sumon | anamulkabirsumon06@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
( চৌকাঠেতেই ফাঁক ছিল ) --পলাশ মন্ডল ।
( চৌকাঠেতেই ফাঁক ছিল )
--পলাশ মন্ডল ।
১৬/২/২০২০
চিলেকোঠার চৌকাঠে এক
মস্তবড় ফাঁক ছিল ।
সেই ফাঁকেতে লেজ বাঁকা এক
কাক ছিল ।
বানিয়ে বাসা কে জানে সে
কবে থেকেই থাকছিল !
হালিখানেক ডিম নিয়ে তা
হুলোর ভয়ে ঢাকছিল ।
দুদিন পরেই মা হবে, তার
স্বপ্ন মনে আঁকছিলো ।
চাতাল তলার পেঁপেগাছে
তিন টি পেঁপে পাকছিলো ।
শালিক-চড়াই না দেখে, তাই
চোখে চোখে রাখছিলো ।
গেট পেরিয়ে একটু দূরেই
চৌরাস্তার বাক ছিল ।
সেখান দিয়ে মিঠাই নিয়ে
ময়রা কাকু হাঁকছিলো ।
কাকুর মাথায় টাক ছিল ।
হলোই বা টাক, বুদ্ধিতে সে
একটু ছেঁড়া-তার ছিল ।
ঝুড়িতে তার মিষ্টি দইয়ের
হরেক রকম ভার ছিল ।
পেছন থেকে ছোকরারা সব
যে যার মতো ঝাড়ছিলো ।
এসব দেখে কাকের মনেও
আশার পারদ চড়ছিলো ।
চার চারটে বাচ্চা পোষার
প্রস্তূতিটা সারছিলো ।
ক'দিন পরেই মা হলো কাক,
বাচ্চা গুলো বাড়ছিল ।
চিলেকোঠার আড়ালটা তে
এক পা, দু'পা হাটছিলো ।
দিনগুলি বেশ কাটছিলো ।
সব কিছু ঠিকঠাক ছিল ।
হঠাৎ সেদিন কি যে হলো,
কাক টা ভীষণ ডাকছিলো ।
পালিয়ে গেছে বাচ্চারা, তাই
মন টা যে খুব ভার ছিল ।
এতক্ষনে হুশ হলো তার,
বাচ্চাগুলো কার ছিল ।
হোকনা ওরা কোকিল, তবু
বুকটা কাকের ফাটছিলো ।
ছাদটা তখন কাকের কাছে
ব্যাথার ধু ধু মাঠ ছিল ।
কাকের মনের চিলেকোঠায়
গভীর শোকের দাগ ছিলো ।
অবশেষে বুঝলো যে, তার
চৌকাঠেতেই ফাঁক ছিল ।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
ধর্ম গুণে গুণান্বিত - রাকিবুল হাসান নয়ন
রাকিবুল হাসান নয়ন
ধর্ম শিক্ষা বড় শিক্ষা
আলোর বিকিরণ
সদা সত্য পথে ভিক্ষা
প্রভুর সমর্পণ।
ধর্ম গুণে বাড়ে ভক্তি
বিধাতার সমীপে-
এক স্রষ্টা এক শক্তি
কোরআন জরিপে।
কেউ যদি সীমা ছাড়ি
কোরআন বিপক্ষে-
নাহি শান্তি শোভা তারি
যেনো-আসে স্বপক্ষে।
বিধি ধর্মে অবহেলা
আসবে কেয়ামত-
ধ্বংস হবে রঙ্গমেলা
অবৈধ সব পথ।
পৃথিবীতে বিধি মেনে
পরম করুণায়-
সদা সত্য পথ চেনে
প্রভুর দয়া পায়।
আশে-পাশে নবী গুণে
গুণান্বিত যেজন-
আল্লার রহম পুণ্যে
আউলিয়া সেজন।
Regards,
মোঃ রাকিবুল হাসান নয়ন | nayan441066@mail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
( প্রতিবাদী কবি ও লেখক নবারুণ ভট্টাচার্যের স্মৃতির স্মরণে লেখা একটি শ্রদ্ধার্ঘ্য ) :- ( এসো নবারুণ ) --পলাশ মন্ডল ।
স্মৃতির স্মরণে লেখা একটি শ্রদ্ধার্ঘ্য ) :-
( এসো নবারুণ )
--পলাশ মন্ডল ।
ঊষার আকাশে আবির ছড়ায়ে
প্রতিদিন ওঠে রবি ।
আধো ঘুমচোখে চেয়ে দেখি তার
শান্ত মুখচ্ছবি ।
যে রবি ওঠেনা প্রতিদিন , ওঠে -
শত বছরের পরে ,
ওঠে কৃষক , মজুর , কুলি , ডোম আর
মুচি , মেথরের তরে ।
ওঠে সোনালী দিনের স্বপ্ন সাজায়ে
নির্যাতিতের তরে ।
ওঠে ক্ষুধার্ত আর রুগ্ন, পীড়িত
পথশিশুদের তরে ।
স্মরণ করি সে নবারুনে আজ
পরম শ্রদ্ধাভরে ।
এসো মহীরুহ, এসো মহাপ্রাণ ,
বারবার এসো ফিরে ;
কান্ডারী হতে এই পৃথিবীর
রক্তনদীর তীরে ।
এসো নবারুণ , জ্বালাও তোমার
আধপোড়া সিগারেট ।
দেশলাই হাতে রয়েছে দাঁড়ায়ে
ক্ষুধার্ত শত পেট ।
রাতের মোটরগাড়ি'রা এখনো
এই রাস্তায় ছোটে ।
থকথকে ঘিলুমাখা পথে আজও
রক্তগোলাপ ফোটে ।
তোমার বৃদ্ধ ভিখিরি এখনো
কাঁপে অভিমানে শীতে ।
কম্বল আর দয়ার চাদর
কেউ যে আসেনা দিতে ।
এই মৃত্যুর উপত্যকা যে
তোমারি আপন দেশ ।
ফিরে এসো তার প্রতি ঘরে ঘরে,
হয়নি যে কাজ শেষ ।
ম্যাচ-বাক্সের মানুষেরা আজও
মাথা ঠুকে মরে হায় ।
নিজেদেরই জ্বালা আগুনে এখনো
নিজেরাই জ্বলে যায় ।
পারো যদি কিছু পেট্রোল এনে
ঢালো সে চিতার কাঠে ।
পেট্রোল দিয়ে নেভানো আগুনে
যদি কেউ জেগে ওঠে ?!
তোমার শীর্ণ কাঁধে তুলে নাও
অর্ধমৃতের লাশ ।
দেখো দেখো , কাঁধে না ডোবে সূর্য
না থামে দীর্ঘশ্বাস ।
জীবনে যাদের নিত্য উপোস,
পেটেতে ক্ষুধার বোঝা ।
বারুদ কিছুটা পুরে দিও মুখে,
হররোজ যার রোজা ।
পাঁচতারা যত হোটেলে, কাফেতে
খাদ্যতালিকা ঘেটে
কুকুরেরা খায় আজও গরিবের
রক্ত মাংস চেটে ।
তার সাথে খায় এইড্স চুম্বন
ঘেয়ো কুকুরেরা রোজ ।
গরিবের গড়া ইমারতে বসে
কুকুরের মহাভোজ ।
শূন্য দুধের বোতলে যে আজ,
ভরে গেছে সারাদেশ ।
দোলনা এখনো দুলে চলে একা,
কোথা এ দোলার শেষ ?
লক্ষ শিশুর মৃত্যু দোলনা
দোলে আকাশের গায় ।
এ কোন সুখের মৃত্যু ? শিশুরা -
মরতেই শুধু চায় ?!
তোমার প্রাণের প্রেয়সী এখনো
আত্মহত্যা করে ।
বারে বারে এসে জীবন-বাঁশরী
শোনাও তাহারও তরে ।
ওগো নবারুণ, এসো যুগে যুগে,
এসো ঘরে ঘরে তুমি ।
এ মহাশ্মশান তোমা-ছাড়া আজও
প্রাণহীন প্রেতভূমি ।।
Regards,
Palash Mondal | palashmondalseven@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
স্বাধীনতা তুমি হারালে। সুজন মাহমুদ
সুজন মাহমুদ
স্কুল কলেজ গার্মেন্টস থেকে নারী হবে বস্রহারা।
এসিড দিবো ছুড়ে শ্রমিকের থালাভরা ভাতে।
কেড়ে নিবো তোমার,
গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা।
রাজনীতিবিদ বুদ্ধিজীবীরা হবে দেশদ্রোহী, ফাঁসির মঞ্চে এনে বিষ প্রয়োগে করিবো
হত্যা।
কবি সাহিত্যিক দার্শনিক সকলেই হবে রাজবন্দী।
সংসদ, অট্টালিকা, মেট্টরেল,
হাতিঝিল একনিমিষে দিবো গুড়িয়ে।
রাজপথ ভাসিয়ে দিবো রক্ত স্রোতে,
সাইক্লোন দিয়ে উড়িয়ে দিবো সুন্দরবন।
দাবানলে দিবো ছাই করে ফসলি মাঠ।
কেড়ে নিবো কৃষকের হাত, ফসল যেনো না ফলে এই মাঠে।
সকলে যেনো অনাহারে আমার চরণ তলে মাথা ঠুকে।
তোমার বায়ান্ন একাত্তরের ইতিহাস দিবো মুছে।
এই মৃত্তিকায় থাকবে না কোন শহীদের রক্তচিহ্ন।
থাকবে না কোন ইতিহাস।
আমি লেখে দিবো তিনকালের ইতিহাস।
আমি শোষক
তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ একশো চুয়াল্লিশ দারা থাকবে অনন্তকাল।
সশস্ত্র বাহিনী আমার একান্ত অনুগত।
কেও আমার বিরুদ্ধে গেলে তারা হবে নির্বাসিত।
আমি হবো একনায়তন্ত্র
তোমার তিন কালের ইতিহাস।
স্বাধীনতা তুমি যদি চলে যাও, রক্ত হাতে করিবো শরাপ পান।
আমার জন্মভূমি আমাকে দিয়ো সাড়ে তিন হাত ভূমি।
না হয় কেড়ে নিবো তোমার সার্বভৌমত্ব।
ছিঁড়ে নিবো মানচিত্র।
Regards,
সুজন মাহমুদ | Sujanmahmud1@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
পল্লির কাজ || কবি আমিনুল হক
![]() |
কৃষকদের এত কষ্ট
আগে জানি নে,
রাত দিন পরিশ্রম করে
কষ্টে কাটায় সে।
জেলেরা মাছ ধরে
নদীর তীরে গিয়ে
তখন জেলে খুশি হয়
বড় মাছ উঠলে।
পল্লি গায়ের নৌকার মাঝি
গায় যে দেশের গান,
এমন গানে এমন সুরে
জুরায় সবার প্রাণ।
কুমার বানায় মাটির হাড়ি
করে কত সাজ,
মুচি করে জুতা সেলাই
নেই তো কোন লাজ।
কামার করে লোহার কাজ
বানায় কত কি,
নাপিত বলে আমরাই তো
সম্মানে থাকি।
পল্লি গায়ের মানবগুলি
করে নানান কাজ,
উৎসবে মেতে উঠে
করে সবাই সাজ।