আপনার লেখা গল্প কিংবা কবিতাটি পোস্ট করুন এখানে। মেসেজ বক্সে লেখার শিরোনাম, লেখকের নামসহ লিখা দিন।

Name

Email *

Message *

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

রাইড শেয়ারিং
----------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
*****************************
ইদানিং আচমকাই ফিরে আসে রক্তাপ্লুত লাশ!
যখন তখন ফিরে আসে, ব্যাপক দুঃখ নিয়ে ফিরে আসে,
ফিরে আসে স্বজন হারা ব্যাদনার গগণ বিদারী কান্না
রাস্তায় রাস্তায় দৌড়ে দক্ষ অদক্ষ রাইড শেয়ারিং
লাগামহীন ঘোড়ার মতো ছুটে চলে অতঃপর-
শহরের বুকে ফিরে আসে কিছু নৈতিক অবক্ষয়
কখনো কখনো মনে হয় নিষিদ্ধ পল্লী আমাদের শহর ও গ্রাম ।

এইভাবে যদি চলে ফিরে, খুব নিকটেই অন্ধকার দেখতে পাবো
যানজটের জট দ্রুত গোটাতে যেয়ে
যে রাইড শেয়ারিং এর তুমুল উল্লাসে
আমরা মেতেউঠেছি নতুন মিছিলে,সে এক রক্তাপ্লুত লাশ!
শত মায়ের অশ্রুঝরা চোখ,
শোকের প্লাবন মুছে যেতে না যেতেই-
খবর আসে লুটে নেওয়া সম্ভ্রমহানীর দুঃসংবাদ-
কত তরুণ-তরুণীর প্রাণ এই উৎসবে হেরে যাচ্ছে
একটু ভাবলেই চমকে উঠি!
এক অসভ্যতার উম্মুক্ত প্রদর্শনী দেখি ইদানিং কালে-

এই দায় তো তোমাকই নিবে হবে- হে সমাজপতি
হৃদয়ে উজাড় করা হাহাকার চলছে এক সভ্যতার খোঁজে
যানজটে রাস্তার বুক যেন দূরন্ত গাড়ীর গোরস্থান-
এর সমাধান কিন বেপোরোয়া রাইড শেয়ারিং ?
অন্ধাকার আসতে না আসতেই
তুমি জেগে উঠ হে রবি !
চৌদিকে গোধূলীর মহরা চলছে উম্মুক্ত রাস্তার বুকে !
--------------------------------------------------30-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

ফাঁসির মঞ্চের মতো
----------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
*************************
আজ এক অফিসে গিয়ে চেয়ারের উত্তাপে
অশ্রুনয়নে ভেসে-
বঞ্চিত বুকের ভেতর জেগে উঠে সীমাহীন যন্ত্রনা
কষ্টের কাফেলা-

দায়িত্বের সীটে সীটে যারা
ওঁত পেতে আছে স্বাধীন বাংলাদেশের রন্ধে রন্ধে
বকশিস, খরচাপাতি, সালামি আরো কত নাম!
চৌদিকে অনৈতিক যত আবদার !
এইসব করছে চেয়ারে বসে বসে তোমাকে তোয়াক্কা না করে
দুর্নীতির এক সিন্ডিকেট রাজ্যের প্রতিটি ক্ষেত ও খামারে

আমি অশ্রুনয়নে ভেসে অসহায়ের মতো চলেছি নঙ্গোরহীন পথে পথে
কে বুঝবে এই যন্ত্রনা?
আমার ট্যাক্সের পয়সায় যারা চলে,ওরাই আমাকে ত্রিভূবন দেখায়-
ওরাই আমাকে বঞ্চিত করে!
এ কেমন বিচার হে বিচারপতি ?

জিরো টলারেন্স বললেই সব চুকে যাবে তা আমি মানি না-
উন্নয়নের মহাসড়ক হলেই সব ফিরে পাবো তা আমি মানি না-
আমি নৈতিক উন্নয়ন চাই, অধিকার ফিরে পেতে চাই
আমি দুর্নীতির মৃত্যু চাই,
চেয়ারের অপব্যবহার করে যারা অফিস -আদালতে
পথে-ঘাটে কিংবা ক্ষমতার মসনদে
ফাঁসির মঞ্চের মতো উপমা দেখতে চাই বিচারিক এজলাসে—
-----------------------------------------------29-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

লাইনে লাইনে ঘোলা পানি অবাক বিষ্ময় !
যদিও ওয়াশা দায়িত্বে রয়েছে সারা নগরময়
চেয়ে দেখ আজ পানিতে পানিতে জীবানু
নগরবাসী দিশেহারা তবু রঙহীন রংধনু-
অভিযোগ উঠেছে চৌদিক থেকে বিশুদ্ধ নহে পানি
রক্তে মাংসে যোগ হয়ে গেছে যত সব ব্যাধির খনি

নগরবাসী যে বারে বারে
এই খবর পৌছে দিয়েছে কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে,
মিছিলে মিছিলে বিক্ষোভে বিক্ষোভে চিৎকার গর্জনে
কর্ণপাতহীন অবহেলা জনতা দেখেছে দুর্নীতির সিংহাসনে
যারা করেছে প্রতিবাদ পথে ঘাটে-
তাদের বিরুদ্ধেই তোমরা রয়েছো চটে !

তবু,
বিশুদ্ধ পানির দাবি করেছি তীব্রতর
সারা নগর শ্লোগানে শ্লোগানে থরথর
বিশুদ্ধ পানি চাই, বিশুদ্ধ পানি চাই
কোটি কোটি জনতা এ নগর বুকে রোগ- শোকে
ব্যাধির দলেরা হাজির সকলে রাজধাণীর বাঁকে বাঁকে ।

তোমরা মানবিক হও ওহে কর্তৃপক্ষ ভাই
দায়িত্ববোধের বিনিময়ে হয় হোক,তবু আমরা চাই ।
বিশুদ্ধ পানি! বিশুদ্ধ পানি! সারা নগরময়-
লাইনে লাইনে ঘোলা পানি অবাক বিষ্ময় !
যদিও ওয়াশা দায়িত্বে রয়েছে সারা নগরময় ।
-------------------------------------------28-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

লাইনে লাইনে ঘোলা পানি
--------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
****************************
লাইনে লাইনে ঘোলা পানি অবাক বিষ্ময় !
যদিও ওয়াশা দায়িত্বে রয়েছে সারা নগরময়
চেয়ে দেখ আজ পানিতে পানিতে জীবানু
নগরবাসী দিশেহারা তবু রঙহীন রংধনু-
অভিযোগ উঠেছে চৌদিক থেকে বিশুদ্ধ নহে পানি
রক্তে মাংসে যোগ হয়ে গেছে যত সব ব্যাধির খনি

নগরবাসী যে বারে বারে
এই খবর পৌছে দিয়েছে কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে,
মিছিলে মিছিলে বিক্ষোভে বিক্ষোভে চিৎকার গর্জনে
কর্ণপাতহীন অবহেলা জনতা দেখেছে দুর্নীতির সিংহাসনে
যারা করেছে প্রতিবাদ পথে ঘাটে-
তাদের বিরুদ্ধেই তোমরা রয়েছো টচে !

তবু,
বিশুদ্ধ পানির দাবি করেছি তীব্রতর
সারা নগর শ্লোগানে শ্লোগানে থরথর
বিশুদ্ধ পানি চাই, বিশুদ্ধ পানি চাই
কোটি কোটি জনতা এ নগর বুকে রোগ- শোকে
ব্যাধির দলেরা হাজির সকলে রাজধাণীর বাঁকে বাঁকে ।

তোমরা মানবিক হও ওহে কর্তৃপক্ষ ভাই
দায়িত্ববোধের বিনিময়ে হয় হোক,তবু আমরা চাই ।
বিশুদ্ধ পানি! বিশুদ্ধ পানি! সারা নগরময়-
লাইনে লাইনে ঘোলা পানি অবাক বিষ্ময় !
যদিও ওয়াশা দায়িত্বে রয়েছে সারা নগরময় ।
-------------------------------------------28-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

সব কিছুর মাঝেই তুমি

সব কিছুর মাঝেই তুমি
------------------------------ কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা ।
*********************
তোমাকেই আগামীর যোদ্ধা মনে হয়
তোমার ভিতরেই সব স্বপ্ন লুকে আছে
কাঙ্খিত মুক্তি যেন দেখি তোমার পরতে পরতে
তুমি বিজয়ের উপমা, রণ দূর্গে বুক উঁচিয়ে
যুদ্ধ কর তুমি এক অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে মুক্তির অভিলাসে
তোমার ভিতরে সেইসব দৃঢ় অঙ্গিকার ।

এক সত্যের পতাকা দেখতে পাই তোমার দূরন্ত আঙ্গিনায়
অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবিচল যুদ্ধ দেখি ,বজ্র হৃঙ্কার শুনি
রক্ত চক্ষুকে পরোয়া না করে-
এক জাতির মুক্তির জন্য যতখানি গর্জ্ন লাগে
তাও আছে,

শুধু নেই, শুধু নেই—
তোমারই মতো নেই, অনেক যুবকেরা নেই আশার প্রদীপে-
নেশার আয়নায় মুখ দেখে দেখে
তোমার সাথীরা এঁকেছে ওই লাল গোধূলির ফুল ।
চৌদিকে দেখ অগ্নি রাঙা দাউ দাউ পলাশ!

এক শুভ শক্তির কোন দূর্গ্ হতে তুমি জেগে উঠ-হে যুবক
যতসব জয় পরাজয় আছে এ জাতির
সব কিছুর মাঝেই তুমি ।
তোমাকেই আগামীর যোদ্ধা মনে হয়
তোমার ভিতরেই সব স্বপ্ন লুকে আছে ।

-------------------------------27-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

আমি সভ্যতাকে খোঁজে ফিরি
-------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
************************
বজ্র কণ্ঠে কেউ চেঁচিয়ে উঠল অসভ্যতাকে ডেকে ডেকে
আর আমি সভ্যতাকে খোঁজে ফিরি পথের বাঁকে বাঁকে
চমকে উঠেছি !

সেই সভ্যতা কোথাও নেই, নিলর্জ্জতা চলছে উম্মুক্ত মঞ্চে
নকলের দিকে ছুটে-
অসভ্যতাকে দেখেছি, রক্তে রক্তে লুটে নিচ্ছে চরিত্রের নির্যাস
আধুনিকতার কোলাহলে-

বাঙ্গালীর ঐতিহ্যকে হত্যা করে চলেছে প্রাচ্যের যত রীতি নীতি
বাঙ্গালীরা বাঙ্গালীর মাঝে নেই!
এই দৃশ্যটা খুব অপরিচিত, নারীরা নারী কিনা বুঝি না!
নরেরাও কম কিসের !

যতটুকু বুঝতে পারি, এক প্রদর্শনীর প্রতিযোগীতা চলছে..
ভাঁজে ভাঁজে কলঙ্কের ছাপ !
হায়, তবু সেই অসভ্যতার গর্জ্ন তুলছে পথ হারা পথিকেরা
এ কেমন সভ্যতা আমি বুঝিনা !

বজ্র কণ্ঠে কেউ চেঁচিয়ে উঠল অসভ্যতাকে ডেকে ডেকে
আর আমি সভ্যতাকে খোঁজে ফিরি পথের বাঁকে বাঁকে !
চমকে উঠেছি !

--------------------------------------------25-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

হে প্রিয় দাদা
---------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা। ( উৎসর্গ্ ঃ
অসিত সাহা, ট্রান্সফোর্ট্ ম্যানেজার , বি্বিএস গ্রুপ)
**********************
তোমার প্রতিটি পদক্ষেপই এক স্বপ্নের কবিতা,প্রতিটি
মুহুর্ত্ই বিজয়ের উৎসব-

তুমি যেদিনই এগিয়ে এলে আমার এই রণ দূর্গে
পৃথিবীর সব পরাজয় থেমে যায়-
আমি ভুলে যাই দুঃখের সব কবিতা
প্রাণের স্পন্দিত প্রবাহে জেগে উঠে তুমুল বিজয়ের উচ্ছাস-
তোমার এ মানবিক প্রতিটি মুহূর্ত্ এক স্বপ্নের মতো
অতুল্য উপমা-

অনেকবার তুচ্ছ হয়েছি, ফিরে এসেছি নিদানের মতো, কেউ আশ্বাস দেয়নি, কেউ শুনেনি
শুধু তুমিই !
তোমার এই সীমাহীন উদারতা কিংবা অমূল্য মহত্ত্ব
রক্ত কণিকা হয়ে থাকবে এই দেহ প্রাণের স্পন্দিত প্রবাহে
শোধ হবে না, এর মূল্য শোধ হবে না, কোন দিনও হবে না
তুমি এক অন্ধকার ঘরের আলো-

তুমি স্বেচ্চায় জ্বলেছিলে বলেই অন্ধকার নীড়ে দেখেছি আলো-
তোমার প্রতিটি আবেগই এক প্রেমের কবিতা,প্রতিটি
মুহুর্ত্ই মানবতার উৎসব-
তোমার নিঃস্বার্থ্ প্রেমই দুঃখকে দিয়েছে সুখের ঠিকানা- হে প্রিয় দাদা ।

আমি চির কৃতজ্ঞ হে অতুল্য মহান
তোমার র্স্পশেই মুছে গেছে চোখের সব জলপথ-
তুমি ছিলে বলেই খুব কাছে পেয়েছি সুদূর নীলিমা
আজ এসে দেখো,
এই পরিবারের প্রতিটি মুহূর্ত্ প্রেম সঙ্গীতের
অপূর্ব্ মূর্ছ্না ।
তোমার প্রতিটি নিঃস্বার্থ্ যুদ্ধ একেকটি মুক্তির কবিতা-
প্রতিটি মহত্ত্ব অতুল্য উপমা- হে প্রিয় দাদা ।
---------------------------------------------------25-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

যত সব অঙ্গুলির নগ্ন –পরশ
----------------------------------কবি মোঃআমিনুল এহছান মোল্লা।
***************************
মোবাইল তব হৃদয়ের নদী
কেড়ে নেয় অনাবিল স্বপ্ন জলধি!
ছোট-বড়-সম উল্লাসে রবে
ডিজিটাল ঝটিকার নভে
স্কিনে ভাসে তব দুরন্ত যৌবন!
চরিত্র হারায়ে বসি কেঁদে মরে আমাদের কত প্রাণ !
ডিজিটাল প্রযুক্তির দাবানলে
কত কি ধ্বংস করি অনিষ্টের কোলাহলে !
নিভে দেই বসুধার স্বপ্নীল আকাশ!
অবনত শিরে আপনাকে করিতেছি ডিজিটাল প্রযুক্তির পরিহাস!
মোবাইলের যত বর্জ্ন
নিত্য করিতেছি গ্রহণ- চৌদিকে তুলিতেছি বিপ্লব-গর্জ্ন।
কার হাতে নেই মোবাইল! নেই কি কিছু তার ভালো ?
অনিষ্ট পঞ্জরতলে টগবগ করে যত সব বসুধার কালো!
কি দেখি? কি করি? মোবাইলটা খুলে যত্র তত্র ঘর বাহির !
এ কেমন অভিসার ?
যত সব অঙ্গুলির নগ্ন –পরশ
নিজেরাই দিলাম ছাড়ি- আপনার ধবংস আকাশ-বাতাস ।
ডিজিটাল মোবাইল আসিল জগতের বিজয় পতাকা তুলি
অথচ আমরাই করিলাম তারে চরিত্র শূন্য ভিক্ষাঝুলি !
-------------------------------------------21-04-2014,রা্ওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

কবিতা - " আদর্শ "
কলমে - মৃন্ময় বসু রায় চৌধুরী
------------------------------------------
আদর্শ
""""""""
জগতের এই পাঠে যে আজ ,
আদর্শেরই অভাব !
লেখাপড়া জেনেও কেন ....
বদলায় না স্বভাব !!
ছোট - বড়ো , মন্দ - ভালো ,
হিতাহিত জ্ঞান !
বর্তমানে বোঝেনা মানুষ ....
অবুঝ অজ্ঞান !!
নামীদামি পোশাক - আশাক ,
নামেরও বহর !
কাজের বেলায় অষ্টরম্ভা ....
অকৃত্রিম জহর !!
এসব কথা সবই জানা ,
প্রত্যেকেই জানেন !
মানার বেলায় ইচ্ছে করেই ....
স্বার্থটাকেই টাানেন !!
যদি বলেন - আমি কি মানি !
হ্যাঁ ! চেষ্টা করি বটে !
যতটুকু আছে আমার। ....
মাথার এই ঘটে !!
--------------------------------------------------------
© মৃন্ময় বসু রায় চৌধুরী
( পশ্চিমবঙ্গ / ভারতবর্ষ )
২৪/০৪/২০১৯

Regards,
মৃন্ময় ু য় র | mbrc1279@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

কার হাতে তুলে দিবো?
--------------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
**********************************
একটা কালো মেঘ ভেসে এলো দুপুর বেলা
সূর্য্টা ঢেকে গেলো ভর দুপুর !
চতুর্দিকে অশুরের প্রতিধ্বনি,লাসলার চক্ষু আর কামনার চক্ষু
দানবীয় হিংস্র ছোবলে ছোবলে নারীর গগণ বিদারী কান্না-

মানব সভ্যতা নিভে গেছে,ভীত কম্পিত ধরণীর তটে আমি
হঠাৎ যেন এই পৃথিবীর ধর্ষকেরা গর্জে উঠেছে অশুরের মতো-
আলোর ভিতরে এক আঁধারের ঘনঘটা
নৈতিকতা আর জাগেনা এ প্রাণের স্পন্দনে স্পন্দনে
বিবেক অন্ধ হয়েগেছে আলোর বিদ্যাপীঠে-
চরিত্রের মধ্যে এক লম্পটের আনাগোনা
আলোরা দিশারী মুখ লুকালো শয়তানের আঁচল !

হঠাৎ যেন দিশারীরা পথ হারিয়ে উল্টো পথে—
ওদের ঐ নগ্ন থাবাটা, নগ্ন কুকুরের চেয়েও অধম!
আগামীর সন্তানেরা বড় ভীতু ! বড় ভীতু!
এ সভ্যতা বিচলিত ! চিন্তিত-


যে আলো পথ দেখাতে পারে না, সে আবার আলো কিসের?
সে তো আলোকরূপী অন্ধকার !
সে চোখ এক অচেনা চোখ,নগ্ন প্রাণীর মতো ভয়ঙ্কর !
সন্তানেরা ডেকে বললো,ওরা মানুষরূপী জানোয়ার
ভয় পাই! বড় ভয় পাই !
আলোর ভিতর অন্ধকার, কার হাতে তুলে দিবো জাতির ভবিষ্যৎ ?
------------------------------------------------23-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

যত সব অঙ্গুলির নগ্ন –পরশ
----------------------------------কবি মোঃআমিনুল এহছান মোল্লা।
***************************
মোবাইল তব হৃদয়ের নদী
কেড়ে নেয় অনাবিল স্বপ্ন জলধি!
ছোট-বড়-সম উল্লাসে রবে
ডিজিটাল ঝটিকার নভে
স্কিনে ভাসে তব দুরন্ত যৌবন!
চরিত্র হারায়ে বসি কেঁদে মরে আমাদের কত প্রাণ !
ডিজিটাল প্রযুক্তির দাবানলে
কত কি ধ্বংস করি অনিষ্টের কোলাহলে !
নিভে দেই বসুধার স্বপ্নীল আকাশ!
অবনত শিরে আপনাকে করিতেছি ডিজিটাল প্রযুক্তির পরিহাস!
মোবাইলের যত বর্জ্ন
নিত্য করিতেছি গ্রহণ- চৌদিকে তুলিতেছি বিপ্লব-গর্জ্ন।
কার হাতে নেই মোবাইল! নেই কি কিছু তার ভালো ?
অনিষ্ট পঞ্জরতলে টগবগ করে যত সব বসুধার কালো!
কি দেখি? কি করি? মোবাইলটা খুলে যত্র তত্র ঘর বাহির !
এ কেমন অভিসার ?
যত সব অঙ্গুলির নগ্ন –পরশ
নিজেরাই দিলাম ছাড়ি- আপনার ধবংস আকাশ-বাতাস ।
ডিজিটাল মোবাইল আসিল জগতের বিজয় পতাকা তুলি
অথচ আমরাই করিলাম তারে চরিত্র শূন্য ভিক্ষাঝুলি !
-------------------------------------------21-04-2014,রা্ওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
AMINUL | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

গল্প- 'একজন মতি পাগল'
রুহুল আমীন রাজু
২১/০৪/২০১৯

মানুষের জীবনটা যদিও ক্ষণিকের, কিন্তু বিশাল ঘটনার। তেমনি এক ঘটনাবহুল জীবন
সংগ্রামী মানুষ মতি পাগল। মুখ ভর্তি কাঁচা পাকা দাঁড়ি গোফওয়ালা অর্ধনগ্ন মতি
পাগলের সারা শরীরে গুয়ের গন্ধ। গলায় চটের ব্যাগ। এই ব্যাগে দু'টাকা না দেওয়া
পর্যন্ত পথচারী ও ব্যবসায়ীদের নিস্তার নেই। যতই ধমক আর গালিগালাজ করা হোক না
কেন, দু'টাকা তাকে দিতেই হবে। এভাবেই এ বাজার ও বাজার ষ্টেশনে ঘুরে বেড়ায় সে।
যেখানেই রাত সেখানেই কাত।
মতি পাগলের দিনের শুরুটা হয় পত্রিকা পড়ে। প্রতিদিন সকালে ঠেলাগাড়ি-রিক্সাওয়ালা
ও শ্রমিক শ্রেণীর মানুষগুলো মতি পাগলের শ্রোতা। একজন পত্রিকা ধরে রাখে, আর মতি
পাগল একটার পর একটা খবর পড়তে থাকে। উচ্চারণ মন্দ নয়, ধরাজ গলা। লেখাপড়া সপ্তম
শ্রেণী। হাত দু'টো না থাকায় পত্রিকা পড়তে অন্যজনের সহযোগীতা নিতে হয় তাকে।
মতিপাগলের দু'হাতের কব্জি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিরা কেটে দিয়েছিল। তাকে
হত্যা'ই করা হতো। কিন্তু গ্রামের এক রাজাকারের সুপারিশে তা না করে কব্জি কাটা
হয়। সুপারিশের কারণ ছিলো, গুলি করলে তো খেলা শেষ। নির্মম খেলা দেখার জন্যই ছিল
সেই সুপারিশ।
দেশ স্বাধীন হয়। মতি পাগলের ঘর আলো করে আসে প্রথম কন্যা সন্তান। নাম রাখা হয়
হাসি। দ্বিতীয় কন্যার নাম খুশি। সর্বশেষ ছেলের নাম আনন্দ। পঙ্গুত্বের কারনে
অভাব-অনটন তার নিত্যদিনের সাথী হলেও সুখ ছিলো সংসারে। এ জন্যই তার সন্তানদের
নাম রাখা হয় হাসি, খুশি, আনন্দ। হাসির বিয়ে হয়েছে। খুশী জন্মান্ধ বলে ওর
বিয়েটা হচ্ছে না। তাই বলে পরিবারের কেউই তাকে বোঝা মনে করে না। মতিপাগল খুশিকে
লক্ষী খুশি বলে ডাকে। মতি পাগল মাঝে মধ্যে বাড়ী এলে অন্ধ খুশি পরম মমতায় তার
সেবাযত্ম করে থাকে। তখন মনেই হয় না, খুশি অন্ধ।
আনন্দ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। তার এই ঢাবিতে পড়ার বিষয়টি নিয়ে গ্রামে
বিস্ময়ের শেষ নেই। একটা পাগলের ছেলে কিনা পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে!!! মতি মিয়া পাগল
হয় ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর। তার যেটুকু জমি ছিল, তাতে সংসার ও
পড়ালেখার খরচ যোগানো কঠিন হয়ে পড়ে। ষাটোর্ধ মতি মিয়া পঙ্গু জীবন নিয়ে কর্ম
করার মতো কোনো অবস্থা ছিল না। ছেলের পড়ালেখা বন্ধ হোক-এটাও মেনে নিতে পারেনি।
এমনি একা দুর্বিষহ সময়ে মতি মিয়ার মাথা এলোমেলো হয়ে যায়। আর এলোমেলো পাগল
জীবনের পরই আর্থিক ভারসাম্য কিছুটা ফিরে আসে তার। যা নিয়ে তার পরিবারে ও
গ্রামে রহস্যের শেষ নেই।
এ বছর অনার্স ফাইনাল পরীক্ষায় অর্থনীতিতে তাক লাগানো ফলাফল অর্জন করায়
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনন্দকে দশ হাজার টাকা পুরুস্কৃত করেছে। টাকা গুলো
পেয়ে সে কিছুটা সমস্যায় পড়ে যায়। টাকা দিয়ে সে কোনটা রেখে কোনটা করবে ভেবে পায়
না। মায়ের পেটের পাথর বের করতে অপারেশনে প্রয়োজন পঞ্চাশ হাজার টাকা। অন্ধ
বোনটার চোখে কর্নিয়া সংযোজন করতে লাগবে ষাট হাজার টাকা। বড় বোনের স্বামীকে
যৌতুকের দাবী মেটাতে প্রয়োজন হিরো হোন্ডা হান্ড্রেট সিসি মটর সাইকেল। এই টাকা
দিয়ে কিছুই করা সম্ভব নয়। হঠাৎ আনন্দের মনে পড়ে যায় কাঁটার কথা। বুকটা হু হু
করে উঠে তার। এই কাঁটার কথার আঁচরে একদিন রক্ত ঝরার কারনে আনন্দ আজ সেরা
ছাত্র। কাঁটা এখন কোথায়...? কেমন আছে ও...? তার সন্ধান যদি পাওয়া যেত ,তাহলে
না হয় টাকাগুলো দিয়ে তাকে ভাল কিছু একটা প্রেজেন্ট করা যেত।
অবশেষে টাকাগুলো আনন্দ তার পাগল বাবাকে দিয়ে দেয়। টাকা পেয়ে মতি পাগল তার
বাড়ীর পাশে আড়িয়ালখাঁ নদীর তীরে নিজের জন্য অগ্রীম পাকা একটি কবর বানায়। কবর
বানানোর পর কিছু টাকা রয়ে গেছে। অবশিষ্ট টাকা দিয়ে সে এক খাঁচা রুটি কিনে
আনলো। গ্রামের সব কুকুর জড়ো করে তাদের রুটি খাওয়ানোর আয়োজন করলো। নিমন্ত্রনে
সাড়া দিয়ে অনেকগুলি কুকুরের সমাগম ঘটেছে। এই দৃশ্য দেখার জন্য লোকজনও জটলা
বেধেছে।
কুকুরগুলি গোগ্রাসে রুটি খাচ্ছে আর ফ্যালফ্যাল চোখে মতি পাগলকে দেখছে। এর
মধ্যে একটা বয়স্ক লোমপড়া ন্যাড়া কুকুর বার বার তাকাচ্ছে মতিপাগলের দিকে। মনে
হচ্ছে এই ন্যাড়া ক্ষুধার্ত কুকুরটি তাকে বলেছে, ধন্যবাদ মতি পাগলা--ধন্যবাদ।
কুকুরটি ও-ও-ও শব্দ করছে কিছুক্ষন পর পর। হয়তো কুকুরটির ও-ও-ও শব্দের অর্থ
ধন্যবাদ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটেএলো স্থানীয় সাংবাদিকগন। মতিপাগলকে একজন
সাংবাদিক প্রশ্ন করলো, লোহাজুরী গ্রামেতো ভিক্ষুকের অভাব নাই, তাদেরকে না
খাওয়াইয়া কুকুরকে রুটি খাওয়াচ্ছো কেন ? আর এতো টাকা পাইলা কই? মতিপাগল মৃদু
হেসে উত্তর দিলো, আমি পাগল মানুষ আমি যদি মাইনষেরে লুডি খাওয়াই তাইলে যে
চেরম্যান মেম্বাররার দূর্নাম অইব। হের লাইগগা কুত্তাডিরে খাওয়াইতাছি। আর
ট্যাহা----ট্যাহা দিছে আমার ছেরা আনন্দ। জবর ভালা পাশ দিছে আমার ছেরা। হেই
পাশের পুরুস্কারের হগল ট্যাহা আমারে দিছে।
সাংবাদিকদের দ্বিতীয় প্রশ্ন-শুনেছি সেই টাকা দিয়ে তুমি তোমার অগ্রীম কবরও
বানিয়েছে?
হ, হ সাম্বাদিক সাব, ঘটনা সত্য। আইয়্যূন আমার কবরটা ইকটু দেইখখ্যা যাইন।
সাংবাদিকরা মতি পাগলের সাথে যেতে লাগলো। ন্যাড়া কুকুরটিও পিছু নিয়েছে। মতি
পাগলের বাড়ীর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আড়িয়ালখাঁ নদী। বর্তমানে পানি শূণ্যতার কারনের
খাঁ এর উপর থেকে চন্দ্রবিন্দু উঠে গিয়ে খা খা করছে নদীটিতে। এই নদীর তীরে একটা
কৃষ্ণচূড়া গাছের নীচে কবর বানানো হয়েছে। কৃষ্ণচূড়া ফুলের সাথে মিল রেখে কবরে
লাল রং করা হয়েছে।
সাংবাদিকরা মতি পাগলকে তার কবরের পাশে দাঁড় করিয়ে ছবি তুললো। পরেরদিন সব
পত্রিকায় তা প্রকাশ হয়। তার পরে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলেও প্রকাশ হয় সচিত্র
প্রতিবেদন। বেশ পরিচিত হয়ে উঠে মতি পাগল। পাশাপাশি পাগল হিসেবে স্বীকৃতিও পেয়ে
যায় সকলের। ক'দিন আগে তার পাগলামীকে অনেকেই সন্দেহের চোখে দেখতো। এখন আর কারো
সন্দেহ নেই। দোকানের সামনে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই দু'টাকা দিয়ে দিচ্ছে সবাই।
ভাংতি না থাকলে পাঁচ টাকা এমনকি দশ টাকাও দিচ্ছে।
হঠাৎ আয় রোজগার বেড়ে গেল তার। এবার একটি স্কুল নির্মাণের কাজে হাত দেবে মতি
পাগল। অভাব-অনটনের কারনে স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিশুদের জন্য স্কুল। শুধু নিজের
সন্তানকেই মানুষ করলে হবে না, গ্রামের সবাইকে মানুষ করতে হবে। মনে মনে স্কুলের
নাম নির্ধারণ করে ফেলে সে। "মতি পাগলের স্কুল"। স্কুলের হেড মাস্টার করা হবে
আনন্দকে।
এমন দেশপ্রেম যার বুকে, সে পাগল হয় কি করে? আসলে মতি পাগল 'পাগল' নয়। সে
পাগলের চমৎকার অভিনয় করে যাচ্ছে। পঙ্গুত্বের কারনে কর্ম অক্ষমতা, সংসারে অভাব,
ছেলের উচ্চ শিক্ষায় অনিশ্চয়তা এই পরিস্থিতিতে অগত্যা নিরুপায় হয়েই সে পাগলের
অভিনয় করতে বাধ্য হয়। কি কঠিন এক মিথ্যা অভিনয়। নিধারুন কষ্ট, তবুও নিজেকে
সুখী ভাবে সে। কিন্তু সুখ যে বড় ক্ষণস্থায়ী। মতি পাগলের সুখের দিন বোধ হয় শেষ।
মানিকখালী রেলষ্টেশনে এই মাত্র পত্রিকা এসে পৌছলো। আজকের প্রধান শিরোনাম, 'আজ
স্বাধীনতা দিবস'। লাল সবুজের উরন্ত পতাকার ছবি দেখে চোখে মুখে গর্বেও রঙ্গীন
আভা ফুটে উঠে তার।
দ্বিতীয় শিরোনাম দেখে হতভম্ব আর বাকরুদ্ধ হয়ে যায় মতি পাগল। বাবা হয়ে নিজ
কন্যার ধর্ষণের খবর সে কিভাবে পড়ে তার শ্রোতাদের শুনাবে...? যন্ত্রণায় তার বুক
ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। রেল গাড়ীর হুইসেলের চেয়েও আরো বিকট শব্দে চিৎকার করতে
ইচ্ছে হচ্ছে। তার পাশে বসা শ্রোতারা অপেক্ষায় আছে দেশের খবরাখবর জানতে। বাদাম
বিক্রেতা যুবকটি বললো, কই মতি পাগলা পত্রিকা পড়া শুরু করতাছো না কেরে? লালকালি
দিয়া বড় বড় কইরা কি লিখছে ? নীচে দ্যাহি ছুন্দুরী একটা ছেড়ীর ফডুও। আরে পাগলা
তাড়াতাড়ি পড়া শুরু কর। গাড়ি আইয়া পড়লে আর খবর টবর হুনুন জাইতনা।
মতিপাগল উঠে দাঁড়ালো। পত্রিকাটি লাথি মেরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে চিৎকার করে বলতে
লাগলো, 'বাংলাদেশো অহনো স্বাধীনতা আইছে না। এটকা শিশু জন্ম নিতে লাগে দশ মাস।
এর আগে জন্ম নিলে শিশুর চোখ ফুডে না। বালা কইরা কথা কইতে পারে না। আর এই দেশটা
জন্ম নিছে মাত্র নয় মাসে-এইডা অইছে না। দেশ অহনো আন্ধা...দেশের চোখ ফুডছে না।
দেশ আন্ধা.....। রেল লাইনের মধ্য দিয়ে দৌড়াতে লাগলো সে...'
Kaljoyee

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। চাল, ডাল তেলের মূল্য বৃদ্ধির
প্রতিবাদে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আনন্দের অন্ধ
বোন ধর্ষনের বিচারের দাবিও যুক্ত হয়েছে এই আন্দোলনে। কিছুক্ষণের মধ্যেই
ছাত্ররা মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করবে।
হাজার হাজার শিক্ষার্থী নেমে গেছে রাজপথে।
"চালের দাম বাড়লো কেন? প্রধানমন্ত্রী জবাব চাই"
"তেলের দাম বাড়লো কেন? প্রধানমন্ত্রী জবাব চাই"
"অন্ধ যুবতী ধর্ষণ কারীর, বিচার চাই, বিচার চাই"
আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে রাজপথে মিছিল এগিয়ে চলছে। প্রেসক্লাব পেরিয়ে মৎস্য
ভবনের কাছে পৌঁছতেই মিছিলে বাধা দিলো পুলিশ। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা পুলিশ
বেষ্টনীর মাঝেই শুরু করলো আরো জোরে শ্লোগান।
অন্ধ যুবতী ধর্ষণকারীর-বিচার চাই, বিচার চাই...............
শুরু হয়ে গেল পুলিশী এ্যাকশন। বেদম লাঠিপেটা, টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট, অত:পর
গুলি.....।
থমকে যায় মিছিল। ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে ছাত্ররা। দিকবিদিক ছুটতে থাকে সবাই। ব্য¯ততম
রাজধানীর মহাসড়ক মূহুর্তেই জনশূণ্য হয়ে যায়। পীচঢালা কালো রাস্তার পাশে এক
যুবকের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। ঘন্টাখানেক পর একদল ছাত্র রাস্তায় পড়ে থাকা লাশটি
নিয়ে মিছিল শুরু করলো -
আনন্দের বুকে গুলি কেন?
প্রধানমন্ত্রী জবাব চাই.....
পুলিশ এসময় জলকামান নিয়ে চড়াও হলে ছাত্ররা লাশটি ফেলে পালিয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর আরেকটি ছাত্র সংগঠন লাশটি তুলে নিয়ে মিছিল ধরলো-
আনন্দ লাশ কেন? বিরোধীনেত্রী জবাব চাই...।
পুলিশ লাশটি তাদের হেফাজতে নিলো। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা
ঘিরে ধরলো লাশটি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের এডিসির কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন -
পুলিশ ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি করলো কেন?
আনন্দ কার গুলিতে প্রাণ হারালো?
লাশ নিয়ে দু'টি ছাত্র সংগঠনের পৃথক পৃথক মিছিল করার রহস্য কি?
আনন্দ আসলে কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য?
পুলিশের এডিসি পাশ কাটিয়ে এসব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। এসময় একটি ফোন আসে তার
মোবাইলে। সঙ্গে সঙ্গে বোবা হয়ে গেলেন তিনি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন পুলিশ কর্তা।
লাশের ময়না তদন্ত করতে এসে পাথরের মূর্তিরূপ ধারণ করলো কর্তব্যরত ডাক্তার।
একি? এতো সেই আনন্দ। মফস্বল কলেজ জীবনের বন্ধু। ডাক্তার কাঁটা আনন্দকে চিনতে
এতোটুকু ভুল করেনি। তার শরীর ঠান্ডা হয়ে আসছে। বুকে শুরু হয়েছে সুনামী। তীব্র
যন্ত্রণায় বুক ফেটে যেতে চায়ছে। একজন ডাক্তার হিসাবে সে এ মূহুর্তে কোনো
দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। তার এ অবস্থা দেখে প্রফেসর ডা: এম.এ মান্নান
জানতে চাইলেন, এনি প্রবলেম?
কাঁটা কোন উত্তর দিতে পারলো না। দু'হাতে মুখ চেপে ধরে অবুঝ শিশুর মতো কেঁদে
উঠলো।
পাঁচ বছর আগের কথা। বাবার চাকুরির সুবাদে কটিয়াদী ডিগ্রী কলেজে লেখাপড়া করার
সময় কাঁটার পরিচয় হয় আনন্দের সাথে। আনন্দ অত্যন্ত শান্ত ও নিরীহ টাইপের ছিল।
কাঁটা ছিল ক্লাসের যেমন সেরা ছাত্রী দেখতেও ছিল সেরা। পোষাক পড়তো একটু সেন্সর
বিহীন। তাই কলেজের সবার চোখ থাকতো কাঁটার দিকে। ব্যতিক্রম ছিল আনন্দ। সে কখনো
আগ্রহ করে তাকাতো না কাঁটার দিকে। বিষয়টি নিয়ে সহপাঠিদের নানান হাস্যরসের
খোরাক ছিল সে। কাঁটাও লক্ষ্য করছিল বিষয়টি।
একদিন কলেজ যাওয়ার পথে হঠাৎ বৃষ্টি এসে পথরোধ করে দেয় কাঁটা ও আনন্দের।
রাস্তার পাশের এক বাড়ীর বারান্দায় ওরা দু'জন দাঁড়িয়ে। কাঁটা আনন্দকে কাছে
ডাকে। অস্কার বিজয়ী সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ী সর্ম্পকে জানতে চায়। আনন্দ
যেটুকু জানে তা বলে, উনার বাড়ীটি এইতো ৬/৭ কি: মি: দূরে মসূয়া গ্রামে। জমিদার
বাড়ীটি একটি কংকাল ভবন হিসাবে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আছে শান
বাঁধানো ঘাট। শুনেছি খুব শীঘ্রই এটিকে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
কাঁটা বললো ও তাই। একদিন যাবো ওখানে। আচ্ছা আনন্দ আমাকে তোমার দেখতে ভাল লাগে
না?
: হঠাৎ একথা?
: না, এমনি জানতে চাইলাম। তুমি আমাকে হিংসা কর, তাই না?
: কেন, হিংসা করবো কেন?
: এই যে আমার দিকে সবাই তাকায়, আর তুমি তাকাও না যে?
: কে বলেছে? সুন্দরকে কে না দেখে।
: আমার তো তা মনে হয় না।
: তুমি যখন হাসো তখন তোমার গালে টোল পড়ে। আমার কাছে তা অদ্ভুত সুন্দর লাগে।
একটু ইতস্ত করে সে বলল, আমার ইচ্ছে হয়- ওখানে ছুঁয়ে দেখতে।
কাঁটা অবাক হয় আনন্দের কথায়। গোবেচারা মনে হলেও সে অনেক গভীর জলের মাছ। অহংকার
বোধ থেকে নাকি অন্য কোনো কারনে কাঁটা বললো, ওখানে ছুঁতে হলে এ জাতীয় লেখাপড়ায়
হবে না। আনন্দ সেই থেকে কাঁটার এ কথায় আঁচড়ে পরিণত হয় অন্য মানুষে। যার প্রমাণ
ঐ বছরই আই.এ পরীক্ষায় সেরা হয় আনন্দ। দ্বিতীয় হয় কাঁটা। যা খাল কেটে কুমির
আনার মতো অবস্থা। এতে এতোটুকু কষ্ট পায়নি কাঁটা। তার কথায় বদলে যায় একটি
মানুষ। বরং সে নিজেকে একটু গুরুত্বপূর্ণ'ই মনে করেছিল। এভাবেই মনের অজান্তে
ওরা একে অপরের প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ে।
কাঁটার বাবা হঠাৎ বদলী হয়ে যায়। চলে যাওয়ার সময় ঠিকানা দেওয়ার সময় হয়নি। সেই
থেকে অজ্ঞাত আর অজানা রয়ে যায় কাঁটা। দীর্ঘদিন পর আবার তাদের দেখা হলো। কাঁটার
দেয়া শর্ত পূরণ সত্ত্বেও আনন্দের আর তা ছুঁয়ে দেখা হলো না। অদ্ভুত সেই সুন্দর
অদ্ভুত'ই রয়ে গেল।
সন্ধায় কড়া পুলিশ প্রহরায় এ্যাম্বুলেন্সে করে আনন্দের লাশ তার গ্রামের বাড়ীতে
আনা হয়েছে। গ্রামের সব মানুষের গর্ব ছিল আনন্দ। মাঠে-ঘাটে চায়ের স্টলে রূপ
কথার গল্প ছিল সে। একটা পাগলের ঘরে জন্ম নিয়েছে আকাশের চাঁদ। মতিপাগলের বাড়ীতে
নারী পুরুষ শিশুর ঢল নেমেছে। সবার চোখে জল। গগন বিদারী চিৎকার আর জলে একাকার
আনন্দের মা-বোন। শুধু জল নেই মতি পাগলের চোখে। তার চোখ দু'টি লেলিহান শিখার
মতো। লাশবাহী খাটিয়ার পাশে বৃক্ষ মানবের মতো ঠাঁয় বসে আছে মতি পাগল। কোন কথা
নেই, আর চোখেতো জল নেই'ই।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে দ্রুত কবর খুঁড়া ও জানাযার
ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানালেন। চেয়ারম্যান সরকারী গোরস্থানে চৌকিদারকে
কবর খুঁড়ার কথা বললে মতি পাগল হুংকার দিয়ে উঠলো। না, কারো জায়গায় আমার আনন্দের
কবর দিওনের লাইগগা দিতাম না!
চেয়ারম্যান বললেন, তাহলে কোন জায়গায়? বলো মতি পাগল ? মতি পাগল মাথার ইশারায়
দেখালো কবরের স্থান। মাথা নাড়াতে গিয়ে তার মনে হলো, মাথায় কয়েকটন ওজনের কোন
বস্তু। প্রচন্ড ভারের চাপে থর থর করে কাঁপছে মাথাটা। পিতার কাছে সন্তানের লাশ
বহন করা পৃথিবীর বড় ট্রাজেডি।
মতিপাগলের অগ্রীম কবরের পাশে মাটি খুঁড়তে গেলে সে ধরাজ গলায় বললো, চেয়ারম্যান
নতুন কইরা আর কবর করুনের দরকার নাই। আমার কবরে আনন্দরে শোয়াও।
বিস্ময়ভরা কন্ঠে চেয়ারম্যান বললো, কি বলতাছো এইসব...?
যা কইছি তাই কর চেয়ারম্যান, বলেই হা-হা-হা করে হেসে উঠলো মতি পাগল। হাসির তোড়ে
পড়নের পরিহিত চটের বস্তা বার বার নীচে পড়ে যাচ্ছে। কাঁপা কাঁপা হাতে লজ্জা
নিবারনের চেষ্টা চালাচ্ছে সে।
হাজার হাজার মানুষ জানাযায় দাঁড়ালো। স্থানীয় মসজিদের ইমাম নামাজের তাহরিমা
বাধলেন- আল্লাহু আকবার... আল্লাহু আকবার...

রাত তখন দশটা। আজ ভরা পূর্ণিমা। চাঁদের আলোয় মানিকখালী রেলষ্টেশনটি অন্যরকম
রূপ ধারণ করেছে। কি অপূর্ব লাগছে ছোট্ট এই ষ্টেশনটি। জোছনা ভরা এমন রাতে
ষ্টেশনের ডান পাশের খোলা জায়গায় মতি পাগল মরে রয়েছে। তার নগ্ন লাশের চারদিকে
উৎসুক মানুষের ভিড়। একটু দূরে বসে আসে একটা ন্যাড়া কুকুর।
মানুষগুলো এখনও লাশটি দাফনের কোনো ব্যবস্থা না করে নগ্নদেহ... দেখছে।
মতিপাগলের চোখ দু'টি খোলা। যেনো মনে হচ্ছে, সে জোছনা রাত উপভোগ করছে..........

Regards,
রুহুল আমিন রাজু | rohulaminraju@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

জগতের মহারতি
-------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
*************************
মূল্যবোধেরা ঘুমিয়ে ঘরে!
মৃতপ্রাণ- চিতার বুকে কি তবে মানবতা আজ পুড়ে?
মানুষের প্রাণে কে বসিয়া উদাস অলস অন্যমনা?
নিখিলের বুকে ক্ষেপিয়া উঠিছে অনৈতিক অসুরের ফণা,
দুর্নীতি ঘুষখোরের রঙ্গমঞ্চ, ঝঞ্ঝার ঝঞ্ঝনা !
গিয়েছে নিভে প্রদীপ শিখা মোহ আর লালসার ঝড়ে !

মূল্যবোধেরা বিরোহী!-
সত্যেরা মলিন, অমূল্যবোধের ব্যথা নিখিলে বহি,
মানষের মাঝে পরাজয় লাগি আছে তবু মানুষ সহি,
নশ্বরের লোভে কত কি করি জগতের বুক জুড়ি
সত্যে মিথ্যার রঙ লাগিয়ে অনিষ্টের রূপ ধরি !
সনদ ছাড়াই শয়তানের মতো,মুক্তির কথা কহি !

মূল্যবোধেরই জয়!
শ্রেষ্ঠ মানবের অন্তরে যদি বিধাতার আঁখি জেগে রয় !
কে হারাবে তোমারে মানব? ওহে নিখিলের বিষ্ময়!
যে মানবতা মুছে দিবে অশ্রু বেদনা বিশ্বকে আগে
সে হবে জগতের মহারতি মানবের অন্তরে জেগে।
--------------------------------------------17-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,রাওনাট











Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

অনৈতিক ধরায় মুক্তি কখনো
------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
*************************
-আপনাকে উপস্থাপনের লাগি
কত রূপ ধরিয়া নিখিলের বুকে আমরা রয়েছি জাগি !
ধর্ম্ কর্ম্ খর্ব্ করিয়া নৈতিক শিক্ষা ভেঙে
প্রাণের গভীরে মোহের নিবাসে আপানাকে দিয়েছি রেঙে,
জগতের পানে নিজ্স্ব বিধান লিখেছি রাত্রি জেগে
ছুটেছি সবাই কৃত্রিম হৃদে বৈশাখী ঝড়ের বেগে!

আপনাকে জাগাতে চাই !
চৌদিকে ঘিরে জাহেলী বাতিলি- ঊনুনে পুড়া ছাই,
ছড়ায়ে রয়েছে ভেতর বাহির মানবের অস্থি খুলি,
উঠবে কি প্রাণে শান্তির ঢেঁউ স্পন্দন তুলি তুলি?
সত্য ছাড়া কে দিয়েছে মুক্তির দিশা জ্বালাই!
অনৈতিক ধরায় মুক্তি কখনো দিবে নাকো তোমায় ঠাঁই।
----------------------------------------17-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

ওরা মানুষ! কিন্তু ওরা ধর্ষ্ক!
------------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
***********************************
মেয়েটির ভবিষ্যৎ বিভীষিকাভরা,-জীবন মরণময়!
মায়ের বুকে অবরুদ্ধ সে যে,সে যে শিকার, সে যে ক্ষয়;
কামনা লিপ্সু নর পশুরা গড়েছে অনৈতিক কারাগার
ক্ষত বিক্ষত মেয়েটি,পথে ঘাটে লুট হচ্ছে ইজ্জত তার
মানুষের মনুষ্যত্ত্বে গজিছে চরিত্রহীনতা অতঃপর-
নগ্ন কুকুরের মতো নাচে এই সভ্য সমাজের ভিতর !
কতই না প্রাণ ঝরে,-কতই না অবরুদ্ধ করে শ্বাস প্রশ্বাস,
কতই না বিষাক্ত ছোবল তার ,- এ কেমন প্রহসন-পরিহাস!
সভ্যতার বিজয় ম্লান করে দিচ্ছে অসভ্য লেলীহান শিখা,
মনুষ্যত্ত্বের প্রাণে জেগে উঠছে এক পশুত্ত্বের অহমিকা ।
ওরা ঘৃণিত, চরিত্রহীন নরপশু ,এই সমাজের মহামারী
ওরা মানুষ! কিন্তু ওরা ধর্ষ্ক!
ওদের বিচার কি হবে না এই বঙ্গ বুকে ওহে প্রহরী ?
আর কত সম্ভ্রমহানী হলে তুমি জাগবে ওহে পাঞ্জেরী ?
--------------------------------------17-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

ওইখানে কিছু একটা হচ্ছে
-------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
***************************
আজিকার বাইক, তোমার পিঠটা বাসরের চৌকির মতন!
যখন তোমাকে চড়ে যুবক যুবতীর দল
কি এক মধুর আলিঙ্গনে কিংবা
অনৈতিক ভঙ্গিমায় তুমি দূরন্ত চঞ্চল—

তোমাকে পেয়ে, স্বাধীনচেতা দেহগুলো আঁকা বাঁকা পথে হেলে দোলে-
কপাট দিয়েছে খুলে দূরন্ত বাইকের কোলে কোলে ।

তোমার পিঠের দিকে তাকালে কখনো
চোখ সেই পৃথিবীর নিলর্জ্জ দল,
নগ্ন জুটি যেন পিঠে পিঠে গাঁথা
চরিত্রের উপকন্ঠে নিষিদ্ধ ছোবল,
এই সব যৌবনের ঢেউ জীবনের ক্রন্দন সব!
যুবক যুবতী, করেছি অনুভব।

অনেক নিলর্জ্জ যুগ যেন এসে গেল;
বাইক চলন্ত!তবু কামুকের ছোবলেরা থেমে নেই ওই সময়-
যৌবন কিছু চেয়েছে বলে এতো রক্ত নদী ?
নিষিদ্ধ পল্লীর মতো মনে হয়-

অনৈতিক বিজয়ের দম্ভ- বাইকের পিঠে পিঠে দৌড়ে;
ওইখানে কিছু একটা হচ্ছে;আলো কি জ্বলবে বিবেকের তরে?
-----------------------------------------16-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর


Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

স্বপ্নের টিনেজ সব
------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
**************************
এ যুগের টিনেজেরা উড়ে যায় আপন মনে-
হেড ফোন কানে দিয়ে ঘুরে বনে বনে;

টিনেজেরা বাইকে চড়ে, ভূঁ ভূঁ শব্দ শুনি তার;
অলি –গলি, পথ –ঘাট নষ্টামি অপার-
মাদকের কিনার দিয়ে তাদের নিত্য চলা ফেরা
নিশাচররের মতো নিঃশব্দে;করতেছে যৌবন চুরি তারা ।

এক সময় নিভে যায়, অনাবিল স্বপ্নীল আকাশ,
গোধূলীর ঘনঘটা চৌদিক তবু কত পরিহাস!

চৌদিক আজিকায় দেখি তারুণ্যে শক্তির মুখ;
অশুভ চক্রে স্বপ্ন হারায়ে আনছে জাতির দুঃখ !

স্বপ্নের টিনেজ সব- আগামীর আলো হউক আপনাকে চিনে এই বিশ্বতর
হয়ে উঠুক জাতির সম্পদ মুক্ত লাল সবুজের ভিতর ।
---------------------------------------------16-04-2019 ।
রাওনাট,কপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

তুমি এতো কাছে!

-কবি মোঃ আমিনুল এহছান
মোল্লা
তুমি এতো কাছে, এতো কাছে - হে নদী !
কতো কাল প্রহর গুনেছি বিনিদ্র রজনি
তোমার তটনি
পায়নি, তোমার দেখা পায়নি- সেই রূপে পায়নি..

কতো বার চেয়েছি তোমার তরঙ্গে তরঙ্গে ভেসে যাবো..
ঝাঁপ দিবো উত্তাল জল স্রোতে-
ডুবে যাবো, আমি ডুবো যাবে অথৈ গভীরে
খুব গভীরে !

বুকের আলিঙ্গনে আলিঙ্গনে স্মান করে নিবো—
জোয়ারে জোয়ারে ভেসে যাবো, যুগল বন্ধনে ভেসে যাবো
এক মধুর সন্ধিক্ষণে-

তুমি এতো কাছে, এতো কাছে - হে নদী !
তবুও দেখেনি ,তোমাকে জাগতে দেখেনি বার্ষার আগমনে,
কতো কাল প্রহর গুনেছি বিনিদ্র রজনি
তোমার তটনি
বুকে ঝাঁপ দিবো বলে অপলক চেয়ে আছি শুধু চেয়ে আছি!

তুমি এতো কাছে, এতো কাছে - হে নদী !
--------------------------------------29-10-2018 ।,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

আমি তোমার আসামী

-কবি মোঃ আমিনুল এহছান
মোল্লা
এক অবহেলার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলছি, এক অপরাধী হয়ে বলছি..
প্রেমের কাঠগড়ায় যদি বলো আসামী

আমি মাথা পেতে নিব, আমি চিৎকার করে বলে যাবো - আমি ভালবাসি
শুধু তোমাকেই ভালবাসি !
ফাঁসির মঞ্চে যেতে হয় যাব, অপমান সহ্য করতে হয় সইব..
স্বীকৃতি দেও বা না দেও তবু স্বীকার করে যাব….
আমি প্রেমের কাঙ্গাল, আমি প্রেমের ভিখারী.
আমি তোমার আসামী-

এক অবহেলার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলছি, এক অপরাধী হয়ে বলছি..
প্রেমের কাঠগড়ায় যদি বলো আসামী
আমি হাত বাড়িয়ে দিব, আমি পড়ে নিব প্রেমের শিকল..
আমি রক্তাক্ত হবো তোমার আঘাতে আঘাতে.
আমি খুলে দিবো প্রণয়ের দুয়ার…
আলিঙ্গনে আলিঙ্গনে জাগিয়ে দিবো
তোমার সেই শাস্তির কাঠি!

তবু বলব না-কখনো বলব না- তুমি অন্যায় করেছো..
আমাকে আহত করেছো, আমাকে শাস্তি দিয়েছো
সব কেড়ে নিয়েছো
এক বিনিদ্র রজনী—

এক হৃদয়ের কথা বলছি, এক প্রেমিকা হয়ে বলছি…
স্বীকৃতি দেও বা না দেও..
আমি চিৎকার করে বলবো, সবাইকে জানিয়ে বলবো
আমি তোমার আসামী ! আমি তোমার আসামী !
---------------------------------28-10-2018 ।,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর ।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

পারছিনা
-কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
পারছিনা, বলতে পারছিনা, আমি বলতে পারছিনা..
সেই কথাটা বলতে পারছিনা…

যে আগুনে জ্বলছি আমি, যে তরঙ্গে ডুবছি আমি..
দেখছি শুধু তোমার মাঝে
চাইছি যাহা দিবা- সাঁঝে..
আসবে কি নিশির ঘরে ?
দেখব তোমায় নয়ন ভরে
থাকবে তুমি আমার বুকে..
রাখব সেথায় চরম সুখে ।

পারছিনা, বলতে পারছিনা, আমি বলতে পারছিনা..
সেই কথাটা বলতে পারছিনা…
যে আগুনে জ্বলছি আমি, যে তরঙ্গে ডুবছি আমি..
----------------------------- 2810-2018 ।,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর ।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

স্বর্গিয় যুদ্ধ

-কবি মোঃ আমিনুল
এহছান মোল্লা
এক সমতল ভূমিতে দেখেছি উঁচু পাহাড়ের যুগল..
যার উত্তাল জল ধারা প্রবাহিত তলদেশে !

টিলা যুগল অপলক চেয়ে আছে,শুধু চেয়ে আছে
এক ক্ষুধার্ত্ চিতার মতো !
তলদেশের স্রোতে স্রোতে ব্যাকুল স্পন্দিত তরঙ্গ…
অগ্নির মতো স্ফুলিঙ্গ ছড়াচ্ছে জল কণাগুলো !
অনুপম যুদ্ধের প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে,অবিরাম প্রহর গুনছে
এক নির্ভিক সৈনিকের অপেক্ষায়…

সমতল ভূমিতে জেগে উঠা যুগল টিলাগুলো..
অপূর্ব্ ভঙ্গিতে চেয়ে আছে এক স্বপ্নিন উত্তালে
তলদেশে তরঙ্গের উত্তেজনা ফুসে উঠছে..
বড় বেশী জেগে উঠছে তুমুল যুদ্ধে যুদ্ধে..
এ এক স্বর্গিয় যুদ্ধ !
এ এক বন্ধনের যুদ্ধ !
যেখানে নেই কোন জয় পরাজয়ের হিসেব নিকেষ-
আছে শুধু প্রেম, আছে শুধু স্বর্গিয় অনুভূতি !
এ এক বিপরীত মুখী স্পন্দনের তরঙ্গ..
তপ্ত স্রোতের স্পর্শে স্পর্শে এক স্বর্গিয় যুদ্ধ !

এক সমতল ভূমিতে দেখেছি উঁচু পাহাড়ের যুগল..
যার উত্তাল জল ধারা প্রবাহিত তলদেশে !

-------------------------------------28-10-2018 ।,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

আমি তোমার, কেবলই তোমার -কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা

আমি তোমার, কেবলই তোমার

-কবি
মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
আমি গিয়েছি, বার বার গিয়েছি - তোমার কাছে গিয়েছি …
প্রেমকে সর্মাপন করেছি, পাগলের মতো করেছি
প্রত্যাশার প্রলয়ে প্রলয়ে করেছি!
হৃদয়ের প্রণয়ে প্রণয়ে করেছি..

তুমি দেখলে না, তুমি বুঝলে না এ গহিনের তরঙ্গ !
কতো বার লিখেছি, রক্ত দিয়ে লিখেছি…
পরতে পরতে লিখেছি
শুধু তুমি, শুধু তুমি, অবিরত তুমি !

তুমি শুনলে না, তুমি বুঝলে না, এ গহিনের আর্তনাদ !
কতো চিৎকার দিয়ে বলেছি, শুধু বলেছি একটি নাম
সে তুমি, সে তুমি- শুধু তুমি !
কতো বার লিখেছি শিরোনাম-
ভালবাসি- তোমাকে ভালবাসি- শুধু তোমাকে ভালবাসি ।

তুমি বুঝলে না, তুমি নিলে না
এ হৃদয়ের স্পন্দিত উপহার !
এক অমর শিরোনাম-
ভালবাসি, তোমাকে ভালবাসি- অনেক ভালবাসি –হে প্রিয় !

এক বার দেখো, হৃদয় খুলে দেখো—
আমি তোমার, কেবলই তোমার- হে প্রিয় ।
---------------------------------28-10-2018 ।,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

এক যুগের মলাটে
-------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
**************************
এক যুগের মলাটে চারিদিকে অন্ধকার আকাশ
প্রেমের আত্তারা হয়ে গেছে যেন নিষ্ঠুরতম ত্রাস
নৈতিকতা ঘুমিয়েছে- লজ্জা শব্দটি সে-ও ঘুমে'
নব নব হুজুগের ব্যাপ্তিতে গা ভাঁসিয়েছো তুমি ।

পরাজয়ে অনেক গভীরে চলে গেছো! সেই দূর কোন অচিন পারে
তুমি আজ পথহীন পথিকের মতো গোঢ় অন্ধকারে-
কেউ যেন তোমায় ঘিরে ঘাঁপটি মেরে আছে প্রাণে;
মনে হয় ‍তুমি যেন এমন কোন অশুভ শক্তির উদ্ভাবনে

শুভ প্রাণের দ্বারে দ্বারে-নব নব উদ্দীপনে অকূল আকাশে বাতাসে
তুমি ছাড়া আর কে আসে এই সরল যুগে অনায়াসে ?
এক যুগের মলাটে পৃথিবীতে অশুভ শক্তিরা ঘুরে ফিরে-
শুভ শক্তিরা পরাজিত সৈনিকের মতো গর্তে-মুক্তিরা দূরে, বহুদূরে—
----------------------------------15-04-2019, রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

আঙ্গিক_গদ্যকবিতা
#প্রতিবন্ধী_ভালোবাসা
#নীলিমা_রহিম
#তারিখ : ১১/০৪/২০১৯
#© reserved by Neelima Rahim
---------------------------------------------------------------------------
জীবন রঙ তুলির ক্যানভাস বৈ তো নয়!
কাঁটাতার বেষ্টনী জীবনচক্র --
পুরাতন ছেঁড়া বাঁধন;
মন মাধুরী বর্ণিল প্রজাপতির ডানা--
তামাটে রঙ বিকেলের রোদ্দুর।
সাঁঝ বিহান গনগনে আগুন কুণ্ডলী--
টকটকে লাল আবির--
আকাশ সাগরে ভালোবাসার মিতালি,
মেকি প্রেমের সংলাপ বৈকি!
জলদের ফোঁটা ফোঁটা অমৃত সুধা,
নীলের বুকে অপেয়।
জীবন পাতার ছেঁড়া ডায়েরি,
ধুলোর নিচে--
স্বপ্নের খোঁজে জীবন আবার জাগে।
তেল আর জলের মিশ্রণ--
প্রতিবন্ধী ভালোবাসার রসায়ন।

আহামরি কিছু নয়!
জীবনচক্রের মেঘ মেদুর ধূসর পাণ্ডুলিপি।
অথবা ঝলসানো মৃত্যুর বিভীষিকা,
সাঁঝ মায়ায় সুদর্শন--
জীবনচক্রের ত্রিমাত্রিক দুঃস্বপ্ন--
প্রিয়ার কালো চোখে নীল সাগর দর্শন।
জলকণায় ভেসে থাকা-
রংধনুর সাত রূপসী নাচে,
উর্বশী-রম্ভার সপ্তস্বরায়।
একটুকরো নীল ভালোবাসার উষ্ণ স্পর্শ,
আবির মাখা সূর্যের এতোটুকুন পরশ,
ডানা কাটা পরী নয়,
গাঙচিলের রকমারি ডানার বাহন চেপে,
আকাশের বুক চিরে একমুঠো নীল ভালোবাসা।
সবুজ স্বপ্নে না বলা কথার ছান্দিক কাব্য,
গোপন প্রিয়ার আমাজনের গহীন অন্তর ছুঁয়ে;
ভালোবাসার নীড় রচনার স্বপ্ন সুখে অনাগত অবগাহন।

Regards,
নীলিমা রহিম | neelimarahim1969@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

দশ বছর পূর্তীতে দাঁড়িয়ে
-----------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
************************
ওহে বিবিএস কেবলস ,
আজ হতে দশ বছর আগে তুমি জন্মেছিলে বিবিএস গ্রুপে
পঞ্চ সূর্যের বিপ্লবী কিরণে আজো জ্বলেছো বিপুল প্রতাপে!
এক অঙ্গিকার হতে তুমি এসেছিলে সোনালী প্রভাত প্রহরে
ওহে বিবিএস কেবলস ,
অনেক যুদ্ধের পর যুদ্ধে আজ তুমি জাগ্রত অন্তরে অন্তরে ।

এক ঈর্ষশীয় সাফল্যের উপমা তুমি পৃথিবীর পথে পথে
অনেক ভাগ্যবান তুমি; এই ইস্পাত কঠিন শিল্প জগতে;
তোমায় ঘিরে আছে শত শত বিপ্লবী যোদ্ধা যুদ্ধের বাঙ্গারে
যারা শিখেনি,
যারা কখনো হার মানতে শিখেনি প্রতিযোগীতার সমরে ।

তুমি পঞ্চ সূর্যের দীপ্ত আলো, এই অন্ধকার পৃথিবীর বন্ধন,
তুমি নির্ভরতার প্রতীক -ওহে বিবিএস কেবলস,ওহে ভোক্তার প্রাণ ।
তুমি হারতে আসনি, তুমি হারতে শিখনি-
তুমি এক মুক্তির আলো এই ধরণী ।

দশ বছর পূর্তীতে দাঁড়িয়ে তোমাকে দেখছি আমি- এক ঈর্ষশীয় সাফল্যের শিখরে
অনেক যুদ্ধের পরে আজ তুমি এক বিজয়ী নিশান,
এক বিষ্ময়কর উপমা বিশ্ব দরবারে !
পৃথিবীর সব অন্ধকারেরা যদি নেমে আসে ,আমি তোমাকেই খোঁজে নিব ।
আর বজ্র কণ্ঠে বলব,
তুমি আমার হৃদয়, তুমি আমার প্রেম- ওহে বিবিএস কেবলস ।
-----------------------------------------------10-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

খোঁজে
পার্থদীপ সমাজদার 040420191403
পোঃ ডেঃ 09/04/2019
"""""""""""""""""""
হন্যে হয়ে খুঁজে চলেছি
এ পৃথিবী থেকে সে পৃথিবী-
অনেক কিছু শিখলাম –
অনেক কিছু দেখলাম
কারও বা অর্থ বুঝলাম
কারও অর্থ অবোধ্য দুর্গম'তায় আচ্ছন্ন-
হয় তো বুঝি আমারই বুদ্ধির ভুল কোথাও!

চৈতালী দুপুরের তীব্র গরমে,
কৃষক যেমন তৃষ্ণার্ত থাকে মাঠে-
একটু শীতল স্নেহ প্রেম'ময় জলের জন্য-
আমিও তেমনই তৃষ্ণার্ত এই পৃথিবীতে
একটু স্নেহ প্রেম অকৃত্রিম ভালোবাসার জন্য;
তৃষ্ণার্ত বুকে সাগরে ঝাঁপ দিয়েছে,
পেয়েছি বিষয়ের নোনতা স্বাদ,
নদীতে ঝাঁপ দিয়ে বিস্ময়ে বিমোহিত –
লালসা আর স্বার্থের মিষ্টি চক্রে,,,

সবুজ শ্যামল বন-ভূমিতে দেখেছি-
আত্ম প্রত্যয় আর প্রতিষ্ঠার লোভে-
নির্বাক গৃহ যুদ্ধ দুর্বলের প্রতি স'বলের!
দেখেছি স্নিগ্ধ শান্ত মলয় বায়ুর রুদ্র তাণ্ডব,
দেখেছি হিম শীতল মরুভূমির তপ্ত বালু'র বিস্ফোরণ,
কিন্তু ভালোবাসা কোথাও খুঁজে পেলাম না!

হিংসা আর লোভে উন্মত্ত পৃথিবী-
ছলে বলে কৌশলে অভিনয়ে-
স্বার্থের পাশা খেলা অবিরত সর্বত্র,
অভিনয়টা আজ পেশা বুঝি সকলের?
ভালোবাসা বা প্রেম তাই কল্পনার কল্প!

সত্যি এখানে কি ভালোবাসা বা প্রেম আছে?
যদি থাকে, তবে এতো হিংসা কেন সংসার সাগরে?

Regards,
পার্থদীপ সমাজদার | cap.samazdar@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

নিখিলের বর্বর শব্দ তুমি


-----------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান
মোল্লা।
হে চরিত্রহীনতা,আজো তুমি মানুষরূপী অন্তরে আছো !
নিখিলের বর্বর শব্দ তুমি এক ন্যাংটা কুকুরের মতন;
হৃদয়ের দ্বার খুলে ওই কান্না কি শুনেছো?
আজ পৃথিবীর বুকে হীন চরিত্রের রূঢ় আয়োজন ।

দেখেছো কি আগুনের লেহীহান শিখা মেয়েটির গায়ে ?
কি করেছো ? কি পেয়েছো? দিয়েছো তো পুড়ায়ে!
তামাম পৃথিবী চিনেছে তোমাদের,
যে মনুষ্যত্বে জেগেছে এক অশুভের কালো;
তবুও পরিচয় মানুষ!শরীরের অবয়বে উজ্জ্বল আলপনা;
অথচ তুমিই!
আলোর মুকুট পড়ে নিভে দিয়েছো মেয়েটির আলো ।


চরিত্রের গুনেই শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় দিয়েছে মানুষ ভূ-লোকে-
তবে কেন চরিত্রের এতো অবক্ষয় নিশি কিংবা দিবালোকে?
এই পৃথিবী মনুষ্যত্ব চায়- চায় সেইসব চরিত্রের কোলাহল
যেখানে অশুরের পরিবর্তে জ্বলে উঠবে সব মানুষের দল ।

এখানে ইচ্ছেটা যদি হয়,
থাকবে না কভূ কোন ভয় !
নৈতিক চরিত্রই আলো, এক মানুষের তরেই আরেক মানুষের অভয় ।
ওহে মানুষ, মানবতাকে করনা নির্দ্য়
এখনই কর আপনার প্রাণকে উদয় ।

হে চরিত্রহীনতা,আজো তুমি মানুষরূপী অন্তরে আছো !
নিখিলের বর্বর শব্দ তুমি এক ন্যাংটা কুকুরের মতন;
--------------------------------------------------09-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

প্রাণহীন
মোঃ মাহবুব হোসাইন

আমি যেন এক প্রাণহীন
ছাল বাকল ছাড়া প্রেতছায়া
উপড়ে পড়া গাছ ।
নেই কোথাও এক কাঁকচা
সবুজের আনাগোনা
প্রতিশ্রুতির এক বিন্দু
সুরেশ সম্ভাবনা।

আমি যেন বড় ছন্নছাড়া
এই সমাজের বোঝা
সবারই যেন উচু কপাল
আমারি ভাঙ্গাচুরা।

আমি যেন বিরাট নৈরাজ্যের
এক ছদ্মবেশী একচ্ছত্র বাসিন্দা
যে রাজ্যের নেই নিয়ম-কানুন
বিনয় ভদ্রতা
সেই রাজ্যের আমিই হলাম
একমাত্র কানাইয়া।

যার গতি নেই,বড়ই স্থির
অতীত নেই, নেই কোন স্মৃতি
বর্তমান বড় আনমনে
ভবিষ্যৎ সে তো কাল হবে।

আমি তো সেই প্রাণহীন
যা কিছু আছে সব অর্থহীন
আমি তো সেই প্রাণহীন উচ্ছ্বাসী
যার প্রেরণা দেওয়ার মতো
নাইতো কোন প্রেয়সী।

Regards,
মোঃ মাহবুব হোসাইন | mahbubhossain639@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] কবি মোঃ আমিনুল এহসান মোল্লার কবিতা।



ফায়ারম্যান সোহেল রানা
-----------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
***************************
দেখেছি আমি এফ আর টাওয়ারে দাউ দাউ আগুন
প্রাণ পুড়ছে তো পুড়ছে ভরদুপুরে তাপদহে দ্বিগুন!
দায়িত্ববোধকে স্বরণ করে এ পৃথিবীর অবহেলাকে
তুচ্ছ করে বুঁনেছিলে প্রাণে এক মানবতার মাতাকে
এই সব ত্যাগগুলো; যেন কোন প্রেমের নিপুন বাতাস
নব প্রাণ দানের মতো হৃদয়ে জাগায়ে তুলে নিঃশ্বাস
পৃথিবী চেয়ে দেখল সেই অমূল্য ত্যাগের বিন্যাস
সেই দিন শত প্রাণে জুগিয়েছিল নব প্রাণের আশ্বাস
কিন্তু হৃদয় কেঁপে উঠে;-আধো নীল আকাশের বুকে
যখন শুনি সে আর নেই! সে আর নেই এ ভূলোকে
সে আর কেউ নয়! সে এক ত্যাগের চির উপমা
জাতির সাহসী সন্তান-"ফায়ারম্যান সোহেল রানা "---
এক টকবকে যুবক!
মানবতার জন্যে দিয়ে গেছে ভোট জীবন দানের ব্যালটে;
তোমাকে স্যালুট হে সোহেল রানা-
তুমি অমর থাকবে এই হৃদয়ের গভীর কপাটে।
-------------------------------------------08-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

মাহে রমজান দিয়েছে ডাক
---------------------------------কবি মোঃ আমিনুল
এহছান মোল্লা।
******************************
এই নিখিলের মাঝে,
বিধাতা দিয়েছে তোমারে-মুক্তির ঢাল সিয়ামের সাজে।

ওহে মুমিন বুকের পাঁজর করেছো কি ফাঁক ?
মাহে রমজান দিয়েছে ডাক, ওহে তোরা রোজা থাক ।

গোনাহর খোলসে থাকো যদি প্রাণ, মুক্তি পাওয়ার এইতো কাল!
ওহে মুমিন, ওহে মুসলমান, প্রতিদিন রোজা রাখ দল বল ।

এ যে ফরজ ফরমান মানবের তরে বিধাতার অভিপ্রায়;
ওহে মুমিন এর প্রতিদান পাবেই তুমি আপন করুনায় ।

এ পিঞ্জরের স্পন্দিত পথ দিয়ে রোজার আলোক মালা
ঢুকিয়েছো কি? ওহে মুমিন হারিয়ে যথ অশুরের খেলা !

এখনি এ প্রাণ উঠাও জেগে রাসূলের পথ ধরি,
ওহে মুসলমান রোজা রাখ ভাই জলদি করি ।

সেইদিন সুপারিশ করবে মাহে রমজান -আপনারই মহিমা টানি;
ওহে বিধাতা,
এই অবুঝ প্রাণের ম্পন্দনে এঁকে দাও রহমতের ছবিখানি ।

রোজার ফজিলত সেইদিন এসে দাঁড়াক মানবের তলে,
ওহে মাহে রমজান,
ফিরে এসো, তুমি ফিরে এসো প্রতিটি প্রাণে মুক্তির আদলে ।

ওহে মুমিন বুকের পাঁজর করেছো কি ফাঁক ?
মাহে রমজান দিয়েছে ডাক, ওহে তোরা রোজা থাক ।

---------------------------------------------08-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

ক্ষণিক আশ্রয়
--------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
**********************
যে নীড় হতে এসেছিস তুই, তুইতো সেথাকার,
ক্ষণিকের মুফাসির তুই এই অপরূপ পৃথিবীর ।
ধন- দৌলত, ক্ষমতা যা পেয়েছিস সুখদুঃখভার
ধরণীর মায়াজালে যা করেছিস মন স্থির-

এই সব কিছুই দিয়েছে তোকে ক্ষণিক আশ্রয়
এতো প্রেমের পরেও এই পৃথিবী দিলো না প্রশ্রয় !
অসীম শক্তি ধর তুই নাইতো আর সেই বাহু বলে-
ভূবনের সব কিছু যেন এড়িয়ে যাচ্ছে দলে দলে ।

যে মোহের গর্জনে এতো কিছু করেছিস ধরাতে-
আজ তুই একা নিথর দেহে অন্ধকার গুহাতে।
তোরা পারিসনি , কেউ পারিসনি-
আপনাকে আটকাতে অপরূপ ধরণী।

কেউ হয়তো কাঁদে, কেউ হয়তো ভুলেই যাবে মুখ!
তবু তুই গড়েছিস প্রেমের সংসার, ক্ষণিকের সুখ—
ওহে প্রাণ তুই কি জানিস!
এই রুহের স্পন্দন অজান্তেই থেমে যায়?
ওহে তুই কি আছিস ওই বিধাতার অভিপ্রায়?

যে নীড় হতে এসেছিস তুই, তুইতো সেথাকার,
ক্ষণিকের মুফাসির তুই এই অপরূপ পৃথিবীর ।

এই ধরণীর ক্ষণিক আশ্রয় পর হবে তোর একদিন ।
-----------------------------------------------07-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

ক্ষণিক আশ্রয়
--------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
**********************
যে নীড় হতে এসেছিস তুই, তুইতো সেথাকার,
ক্ষণিকের মুফাসির তুই এই অপরূপ পৃথিবীর ।
ধন- দৌলত, ক্ষমতা যা পেয়েছিস সুখদুঃখভার
ধরণীর মায়াজালে যা করেছিস মন স্থির-

এই সব কিছুই দিয়েছে তোকে ক্ষণিক আশ্রয়
এতো প্রেমের পরেও এই পৃথিবী দিলো না প্রশ্রয় !
অসীম শক্তি ধর তুই নাইতো আর সেই বাহু বলে-
ভূবনের সব কিছু যেন এড়িয়ে যাচ্ছে দলে দলে ।

যে মোহের গর্জনে এতো কিছু করেছিস ধরাতে-
আজ তুই একা নিথর দেহে অন্ধকার গুহাতে।
তোরা পারিসনি , কেউ পারিসনি-
আপনাকে আটকাতে অপরূপ ধরণী।

কেউ হয়তো কাঁদে, কেউ হয়তো ভুলেই যাবে মুখ!
তবু তুই গড়েছিস প্রেমের সংসার, ক্ষণিকের সুখ—
ওহে প্রাণ তুই কি জানিস!
এই রুহের স্পন্দন অজানেই থেমে যায়?
ওহে তুই কি আছিস ওই বিধাতার অভিপ্রায়?

যে নীড় হতে এসেছিস তুই, তুইতো সেথাকার,
ক্ষণিকের মুফাসির তুই এই অপরূপ পৃথিবীর ।

এই ধরণীর ক্ষণিক আশ্রয় পর হবে তোর একদিন ।
-----------------------------------------------07-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

বৈশাখের নব সূর্য্দয়
--------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা ।
**********************************
ব্যর্থতার গ্লাণীকে খুঁজো না বৃথা নব সূর্য্দয়ের গগণে
নব জাগরণে, নব উৎসবে দ্বার খুলে দাও বৈশাখ আগমনে
তুমি প্রকৃতির নয়নলোভন ওই বিধাতার উপহার
তুমি স্বপ্নীল কাব্যের নব অধ্যায়,নব শিরোনাম কবিতার ।

তুমি মুক্তিকে খুঁজনা অতীতের কাফেলাতে,অন্ধকার রাতে;
তুমি এখন বিবিএস গ্রুপ তীরে, এক নব শপথের উৎপাতে-
ওই দেখ পঞ্চ সূর্যের দীপ্ত কিরণে কিরণে-
উজ্জ্বল তারকাগুলো জ্বলছে বিবিএস ভূবনে
আজ বিবিএস গ্রুপ আকাশে বৈশাখের নব সূর্য্দয়-
ওহে পাঞ্জেরী, তোমার তরী নোঙ্গর হবেই
নেই, নেই- নেই কোন ভয় !

ওহে পঞ্চ পাঞ্জেরী,
বিবিএস গ্রুপ গগনে দেখেছি আমি বৈশাখের নব সূর্য্
ওহে- কে দমাবে তোমার দূর্গের এইসব বীর্য্ ?
বিজয় যে সমাগত বলে দাও পৃথিবীকে ডেকে-
তোমার সৈনিকেরা নিয়েছে শপথ কে আর রখে ?

শুভ বাংলা নববর্ষ্ ! শুভ বাংলা নববর্ষ্ !ওহে মাঝি- মাল্লা- পাঞ্জেরী
বি্বিএস গ্রুপ দূর্গে , আমরা চাই যে হতে শত বিজয়ের দূরন্ত প্রহরী ।
-------------------------------------------07-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

শেষ দেখা
রাতুল গুন
শরীরটা ভালো যাচ্ছেনা
হয়তো জীবনের অন্তিম ঘন্টা বাজলো।
আর বুঝি দেখা হলো না
তুমি আসবে আসবে বলে
আমার ছোট গৃহে প্রবেশ করলেনা।
আমি উতলা

একটিবার শেষ দেখার অপেক্ষায়।
তুমি হয়তো আসবে
জীবনের অন্তিম ঘন্টা বাজার আগে।
তুমি আসবে আসবে
আমি অপেক্ষায় রইলাম
দেখা মিললো না ।
শরীরটা ভীষণ খারাপ
অন্তিম সময় বুঝি এসে পড়লো‌
তুমি আসলে ঠিক সময়ে
একটু দেরি হলে
শেষ দেখা আর হতো না।
এটি আমাদের শেষ দেখা
দুদিন পর জীবনের অন্তিম ঘন্টা বাজলো
আফসোস থাকলো না মরে ও
শেষ দেখা হয়েছিল বলে।

Regards,
Shirsendu goon | primeratul@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

কর্তার অভিসারে
-------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
******************
আপন গৃহে নিপুন ছন্দে
তুমি কি বাজও গণতন্ত্রের বাজনা!
প্রতিটি গৃহে স্বৈরতন্ত্রের নৃত্য,
চিনেছে শুধু আপনা ।
হবে নাকো বন্ধ এ দ্বন্দ ?
কর্তার অভিসারে সব মন্দ!
অথচ চিৎকারে চিৎকারে শুনি
সেই গণতন্ত্রের বাসনা ।
গণতন্ত্র শুধু প্রহসনে প্রহসনে
সুর তুলে বাদকের বাঁশি
জাগেনা কভূ আপনার ভুবনে
কঠিন হস্তে ধরছে গণতন্ত্র
আপনার গৃহেই স্বৈরতন্ত্র !
রাজ্য শুনবে কি সেই মন্ত্র ?
শুরু হোক যাত্রা আপনার গৃহ কোণে-
তবেই যুদ্ধ হবে সফল স্বৈরতন্ত্র নিধনে !
আমি তুমি কি স্বৈরাচার নই ?
কারো মূল্য কি দেই ?
হবে নাকো বন্ধ এ দ্বন্দ ?
কর্তার অভিসারে সব মন্দ!
-----------------------------06-04-2019,রাওনাট,কপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

তারাও কি এমন হয় ?
---------------------------কবি মোঃ
আমিনুল এহছান মোল্লা।
**********************************
যতবারই ভয়কে তাড়াতে চাই
ফিরে আসে বারে বারে ।
নৈতিক অঙ্গনে অনৈতিক শোষন
বাইরে কিংবা ভিতরে ।
যে নৈতিকতা ছিল শ্রদ্ধেয় বিবেকের মূল
আজ অনেকের মাঝে নেই আর সেই ফুল,
তাশের ঘরের মতো ভেঙ্গে যাচ্ছে বিশ্বাসখানা ওই
এক অনৈতিক বেদনার উপহারে ।
আজ শুধু ভয়! শুধু ভয়!
যদি কিছু হয়!
যারা পিতৃতুল্য কিংবা তুলনাহীন পূজণীয়-
তারাও কি এমন হয় ?
পিতা-মাতা শংকিত!
যে সম্ভ্রমহানী বহুবার প্রমানীত।
ওহে আলোর দিশারী, ওহে বিবেকের কান্ডারী
তুমি যে সন্তানের প্রহরী ।
তোমার হাতেই তুলে দিলাম জাতির ভবিষ্যৎ-
পারবে কি দিতে নৈতিক জগৎ?
যারা পিতৃতুল্য কিংবা তুলনাহীন পূজণীয়-
তারাও কি এমন হয় ?
----------------------------------------------06-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা এর কবিতা


তুমি হও বৈষম্যহীন কবিতা- হে পহেলা বৈশাখ !
------------------------কবি মোঃ
আমিনুল এহছান মোল্লা।
*****************************
হে বৈশাখ! হে পহেলা বৈশাখ!
তুমি এক উৎসবে জেগে আছো এ হৃদয়ের স্পন্দিত প্রবাহে
তুমি শক্তি যোগাও দুঃখদৈন্য-ভরা মানব প্রাণ দেহে-
তুমি রচনা করে যাও চির প্রেমের মহাকাব্য তীব্র তাপদহে ।

তুমি প্রেরণা দাও,তুমি হেরে দাও পৃথিবীর যত ক্রন্দন !
তুমি শপথের আলিঙ্গনে দিয়ে যাও এক মুক্তির সন্ধান
তুমি ঘূর্ণি ঝড়ে জেগে উঠাও দীপ্ত সূর্যের মহাপ্লাবন –

তুমি এক নব শক্তি! তুমি এক নব অধ্যায়ের সূচনা
ওহে বৈশাখ ,
তুমি হও শুভ প্রতীক! তুমি হও অসাম্প্রদায়িক চেতনা
তুমি কেড়ে নাও যুদ্ধ-দ্বন্দ্ব যত কিছু নিদারুণ কাজে
তুমি সেতু হও সেই চির স্নেহ-প্রেম সাম্যের মাঝে।

তুমি হও বৈষম্যহীন কবিতা- হে পহেলা বৈশাখ !
তোমার আগমনে খুলেছি নব শপথের দ্বারখানি
বদ্ধ করেছি প্রবীণের কপাট ,নবীণের গান শুনি ।

শুভ, শুভ হে পহেলা বৈশাখ!
তুমি ফিরে এসো, তুমি ফিরে এসো, নব জাগরণে ফিরে এসো
এক সাম্যের মঞ্চে দিবা নিশি প্রতিদিন ।
তুমি উপহার দাও বজ্রসম চমকিত স্বপ্নের ভূবন !
----------------------------------------------06-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

আস্তিনে সাপ পুষি

আস্তিনে সাপ পুষি
মোখলেছুর রহমান

মগজে অবিরাম সুতীব্র সাইরেনের আওয়াজ,
হৃদপিন্ডে সপাং সপাং চাবুকের ঘা।
জামার হাতলে ভাঁজে ভাঁজে কষ্ট রাখি,
কষ্ট পুাষি, কষ্ট বেঁচি।
পাজরের চালশে হাড়, রক্ত জমাট কালচে
ভীতু হরিণীর চোখ ভয়ে থরথর কাঁপে।
নির্ঘুম রাত, বড় বেশী ঝুলে পড়া চাঁদ,
বড় বেশী আগুন জ্বালায় যেন অগ্ন্যুৎপাত!
আগুন জ্বালাই, আগুনে জ্বলি, আগুন পুষি,
নিঃশ্বাসে নিংড়ে যেন নীলাভ কষ্টের স্তুপাগ্নি।
ছেড়া পদ্যের বিকর্ষণে নষ্ট হয় ঘর-গৃহস্থ
জমাট রক্ত, মাংসপিন্ড স্নেহের টানও পরাস্ত।
শকুন হই, হৃদয় জমিন খুবলে খাই,
খুবলে খাওয়াই ভরপেট, রক্তাক্ত ক্ষত পুষি।
ছোবল খাই, বিষাক্ত হই, বিষাক্ত করি
আস্তিনে নষ্ট স্মৃতির সাপ পুষি।

Regards,
MOkhlesur Rahman | mokhlesur288@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

অঙ্কুরে বিনষ্ট হয় যে প্রেম

সঞ্জীব ধর

(১)



রমজান মাস ছিল তখন। মেজ ভাইয়া নতুন দোকান দিয়েছিল।স্বর্ণের দোকান।আমি সবে
অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে ছিলাম।লেখাপড়ার পাশাপাশি দোকানেও বসতাম।মেজ বৌদির
ডেলিভারী।সবাই হাসপাতালে।বাসায় ছিলাম আমি, মা আর বৌদির কাকাতো বোন।ভাইয়া সাথে
লেনদেনের ভিত্তিতে আমাদের বাসায় সবসময় আসা যাওয়া করতো কেজি স্কুলের এক কেরানী।
উনি সকালে বললেন
"চলো, থালতো বোনকে নিয়ে আজ সন্ধ্যার সময় ইফতার পার্টির আয়োজন করি।"

আমি বললাম, "ঠিক আছে।"

থালতো বোন বলল, "আপনি তো এখন দোকানে চলে যাবেন।"

আমি বললাম, " সন্ধ্যা দিকে ভাইয়া আসতে পারে। উনি আসলে আমি এসে যাবো।"

"কচু"

আমি জোর দিয়ে বললাম, "আপনারা আয়োজন করেন আমি ঠিক এসে যাবো।"


(২)


বিকাল গড়িয়ে যাচ্ছিল। ভাইয়া আসবে না। ঐ সময়ে দোকান বন্ধ করাও সম্ভব ছিল না।তাই
কথা রাখাও সম্ভব হয়নি। রাত সাড়ে দশটা দিকে বাসায় আসি।এসে শুনি, সে চলে গেছে।
ওর মা এসে ওকে নিয়ে গেছে। কেরানী থেকে জানলাম ইফতারের আয়োজন করা হয়েছিল।আমি
আসেনি বলে সে খায় নি - হেসে হেসে এ কথা শুনিয়ে দিতে ভুললেন না কেরানী সাহেব।
সেদিন পর আর দেখা হয়নি ওর সাথে। বছরও পেরিয়ে গেছে প্রায় ছয় সাত বছর।

(৩)

ওর সাথে প্রথম পরিচয় ছিল মেজ ভাইয়ার বিয়েতে।তখন আমার ইন্টার পরীক্ষা শেষ
হয়েছিল।তখন আমার প্রচুর বন্ধু ছিল। ভাইয়া বিয়াতে বন্ধু একটাকেও বাদ রাখিনি।
বিয়েতে বন্ধুদের একটাই দাবি ছিল থালতো বোনের সাথে আলাপ করিয়ে দিতে হবে।আমি এটা
জানতাম যে, বৌদির আপন কোন বোন ছিল না।তবে এটা নিশ্চিত কাকাতো বোন ছিল।আমদের
সমবয়সী কনেপক্ষের একজনকে আমি চিনতাম। থালতো বোন হতে পারে এমন একটি মেয়ের সামনে
তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, "উনি কি কনের বোন?" সমবয়সী লোকটা দুষ্টমি করে বলল,"আরে
ভাই, উনি কনের ভাইঝি।" যাহোক বিয়ের শেষে দিকে কন্যা সম্প্রদানের সময়ে যখন কনের
মা-বাবা আমাদের জড়িয়ে ধরে কান্না করছিল তখন ঐ মেয়েটিও থালতো ভাই বলে কান্না
করতে করতে আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল। অবশ্যই পরে সে আমাকে জানিয়ে ছিল যে, ও মূলতো
আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল এটা জানান দেওয়ার জন্য যে, সে কনের বোন ছিল।

(৪)

ওর চেহারাটা আমার কাছে অন্য সবার থেকে আলাদা লাগতো।গায়ের রং খুব ফর্সা। তবে
গঠন হালকা পাতলা এবং খাটো করে।(যদিও আমি স্বাস্থ্যবান এবং লম্বায় প্রায় ৫ ফুট
১১ ছিলাম)। বিয়ের পর দিন নাকি ওর এসএসসির টেস্ট পরীক্ষা ছিল। তাই নতুন বৌদির
সাথে আসে নি।পরীক্ষা শেষে বেড়াতে এসেছিল। দাদা গিয়ে নিয়ে এসেছিল। প্রায় বিশ
পঁচিশ দিনের মত ছিল।মেজ বৌদি তেমন কিছু না বললেও বড় বৌদি এবং আমার ঘনিষ্ঠ
বন্ধুরা দুষ্টমি করতো আমাদের দুজনকে নিয়ে। একদিন সে হাতে মেহেদি লাগাচ্ছিল।
আমি বললাম, "আমাকে একটু দিয়ে দিন।"
সে আমার হাতটা নিয়ে হাতের তালুতে মেহেদি দিয়ে একটা 'LOVE' আঁকল। তারপর
ভিতরে 'S+' দিয়ে বলল বাকি অক্ষর টা কি দিবে? পাশে আমার এক বন্ধু ছিল।
বন্ধুটা বলল,"R" দিন।
আমি বুঝেছিলাম সে ঐ অক্ষর দিবে না। কারণ ওটা ছিল ওর নামের প্রথম অক্ষর।
আমি তাড়াতাড়ি বললাম, "P দিন"
একটু আমার দিকে চাইল।
তারপর বলল,"আপনার GF এর নাম কি P দিয়ে শুরু ?"
তারপর একটা কাল্পনিক নামও বলে ফেলল। আমি শুধু বললাম, "হুম।"
তারপর সে যখন P লিখল আমি ওর থেকে মেহেদি টা নিয়ে P এর নিচে একটু টান দিয়ে R
বানিয়ে দিলাম। এ ঘটনা চলে গেল বড় বৌদির কানে।উনি সেটা নিয়ে উঠে-পড়ে লাগলেন।

(৪)

এর ভিতর একদিন ওর মা ফোন করে বলল যে পরদিন ওর টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট বের হবে।
আমি বললাম,"রেজাল্ট ভাল হলে আমাকে কি দিবেন?"
সে বলল, "আপনি যা চান"
রেজাল্ট ভাল হল।আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। তার সাথে সব কিছু শেয়ার করতাম।
বন্ধুর সাথে পরামর্শ করে শিখে আসলাম কি চাওয়া যায়।
এসে বললাম, "রেজাল্ট তো ভাল হল কি দিবেন?"
ও বলল, কি চান?"
আমি বললাম, "আপনাকে "
একটু বিব্রতবোধ করে কি বলবে ভেবে না পেয়ে বলল "আমি তো আছি-ই"
আমার পক্ষেও আর কিছু বলা সম্ভব হলো না।ফরম ফিলআপ করতে হবে। তাই চলে যেতে হবে।
দিয়ে আসার দায়িত্বটা পড়ল আমার উপর।নতুন কুটুম্ব হিসাবে পোশাকও দিতে হবে। ওটা
কেনা হয়নি। তাই একেবারে শপিং করিয়ে তারপর বাসায় দিয়ে আসতে হবে। বড় বৌদি বলে
উঠল,"ছোটদা, এ সুযোগ হাত ছাড়া করিও না।" যাহোক যাওয়ার দিন উপস্থিত দুজনে
বেরিয়ে পড়লাম। প্রথমে শপিং এর জন্য যেতে হল বহদ্দার হাটে।রাস্তা পার হওয়ার সময়
সে আমার হাতটা চেপে ধরে। রাস্তা পেরিয়ে ফুটপাত দিয়ে হাটার সময়ও দেখি সে আমার
হাত টা ধরে আছে। লোকজন আমাদের দিকে তাকাচ্ছে দেখে আমি হাতটা সরিয়ে নিই। শপিং
করে আমরা রিকশায় উঠলাম।যেতে হবে তুলাতলি। আমি বা রিকশাওয়ালা দুজনের কেউ ঠিক
লোকেশন টা চিনি না। সে বলল, "কাছাকাছি গেলে আমি চিনবো।"
ঐদিন রিকশায় ঠিক কি কি বলেছিল সে, তা আমার এখন হয়তো মনে নেই, শুধু এটা মনে আছে
যে, সে আমার মোবাইল নাম্বার টা মুখস্থ করেছিল।
আর বলেছিল,"আমার তো ফোন নেই কারো কাছ থেকে কল করতে পারলে কল করবো।"
রিকশা চলছিল ধীরে ধীরে।রিকশায় গেলেও পথ অনেকখানি। আমরা কথায় এত মশগুল ছিলাম যে
রিকশাওয়ালা তুলাতলি পেরিয়ে কখন যে রাজাখালী চলে গিয়েছিল খেয়াল করা হয়নি।
হটাৎ সে বলল, "আমরা তো তুলাতলি ফেলে চলে এসেছি।"
রিকশাওয়ালাকে বললাম, "ভাই,গাড়িটা ঘুরান।"
শেষ পর্যন্ত ওদের বাসায় পৌঁছালাম। রিকশা থেকে নেমে দোকান থেকে নাস্তা কিনলাম।
তারপর ওদের বাসায় ঢুকলাম। সবাই খুব থাকার জন্য জোর করলেও আমি ঐদিনই চলে
এসেছিলাম। ভেবেছিলাম বাসায় ঠিক ভাবে পৌছেছি কিনা সে অজুহাতে একটা কল করবে।
কিন্তু না। এরপর প্রতিদিন ভাবতাম আজ হয়তো কারো মোবাইল থেকে কল করবে।তাই
অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসলেই ব্যাক করতাম। ওদের বাসা থেকে কিন্তু মেজ বৌদির
কাছে কল করতো।ওরা কথা বলতো। মনে হয় সবার কথা জিজ্ঞাসা সময় আমার কথাও একটু
জিজ্ঞাসা করতো। আমিও ধীরে ধীরে মন থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করি।কারণ আমিও
ততদিনে "বিষাদ সিন্ধু " উপন্যাসের এই উক্তিটি পড়ে ফেলেছি "যে আমার হতে চায়
না,আমি তার হতে যাবো কেন?"


(৫)



প্রায় সাত-আট মাস পর বৌদির সাধভক্ষণ অনুষ্ঠানে আবার এসেছে।প্রথমে ভেবেছিলাম
আমাদের বাড়িতে মেহমান হিসাবে এসেছে,কথা না বলাটা ঠিক হবে না। কিন্তু কেন জানি
তার সামনে যেতেই মন চাইছিল না। এবং শেষপর্যন্ত কোন কথাও বলিনি।
আমাকে দেখলে মেজ বৌদিকে শুনিয়ে বলতো, "দিদি, আমাদের সাথে কেউ তো কথাও বলতেছে
না?"
তখন মেজ বৌদি বলতো,"কেউ যদি বাসার মেহমান সাথে কথা না বলে, তাহলে আর কি করবি?"
বিকালবেলা ওরা চলে যাচ্ছিল। আমার একটা ক্রিকেট ম্যাচ ছিল তাই আমি ওদের গাড়িতে
করে কিছু দুর গিয়ে গাড়ি থেকে নেমে যায়। নামার সময় দেখি ও একদৃষ্টিতে আমার দিকে
তাকিয়ে আছে।ঐ দৃষ্টিটা আমাকে ভাবতে বাধ্য করেছিল যে আমি হয়তো তাকে ভুল বুঝেছি।
সত্যি ভুল বুঝেছিলাম।আমার ভুলটা ভাঙে কয়েক মাস পর যখন শেষবার বেড়াতে এসেছিল।
সে আমাকে নিজে বলেছিল যে, মেজ বৌদি তাকে নাকি বলেছিল যে, প্রেম করে উনি যে
কষ্ট পেয়েছেন তা যেন তার বোন না পায়।যাহোক মনে হয় তারও একবছর পর ওর বিয়ের
নিমন্ত্রণ টা পেয়ছিলাম।কিন্তু কোন এক কারণে আমার উপস্থিত থাকা সম্ভব হয়নি।



------------------------------------------

Regards,
Sanjib kumar dhar | sanjibkumardhar8@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

কে হারাবে তোকে?
---------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
***************************
ওহে তারুণ্য, জানি তুই আমার স্বপ্নের মাঝে
গড়ে দিবি বাসা ।
তোর গহিন কুঞ্জে লেগে আছে রক্ত শহীদের
তুই ভাঙ্গবি না আশা
আসুক না গোপনে বিদ্রোহীদের কালো মুখ,
তুই রুখে দিবি বেদনা
চির বঞ্চিতের যত লড়াই সংগ্রামের চিত্র আঁকা
তুই হবি তার সাধনা;
তবে কেন তোর কুঞ্জে করবে অশুরেরা খেলা ?
তুই জাতির অমূল্য ধন,
বঙ্গ বন্ধুর অমর নির্দেশনা, বাঙ্গালী মুক্তির ভিত্তি
মৌলিক চেতনার বর্ষ্ন
এতো উপমা, এতো স্পৃহা, তোর সম্মুখ সমর
বিজয়ী যুদ্ধের ভাষা
ওহে তারুণ্য, এক মহান মুক্তিযুদ্ধ তোর হৃদয়ে এসে
দিয়েছে গড়ে বাসা !
তুই জিতবিই নিরন্তর জগৎ ব্যাপি ওহে উত্তরসূরী-
শুধু,
জেগে দে চেতনার অঞ্চল-
ওই চেয়ে দেখ যুদ্ধে পাওয়া পতাকা উড়েছ বঙ্গ জমিন;
চেতনাই তোর মানোবল
কে হারাবে তোকে লক্ষ শহীদের সোনার বাংলায় ?
----------------------------------------04-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

আতংকে পিতা-মাতা
------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
*****************************
আজকাল পিতা-মাতা বড় ভয়ে ও ক্রন্দনে
নিরাপত্তাহীন এক জীবন ব্যবস্থা, কঠোর বন্ধনে
কখন যে ধেয়ে আসে কালো থাবা সন্তানের গ্রন্থিতে গ্রন্থিতে
সেই আতংকে পিতা-মাতা ,এই সমাজের নষ্ট মন্থিতে !
সন্তানের মাঝে যদি মেতে উঠে সেই কোলাহল
কোন মন্ত্রে হঠাবো তাকে? যখন দেখি অচল রাষ্ট কল !
কতো অশুভ শক্তি উদ্ভাস দেখি এই সমাজে-
জানি না কি হবে পরে, এখন সবই বাজে;
চারিদিকে আতংক ভয়ঙ্কর মাদক ত্রাসে
জানি না কেউ দেখে কি না,সন্তানেরা আজ নেশার গ্রাসে
এ কোন মাদক সম্রাটের থাবা? সন্তানের দ্বারে দ্বারে-
এর জবাব কে জানাবে আমারে ?
ওহে রাষ্ট্র, কোন মাদক নেশা চাই না সন্তানের দুয়ার-
তুমি দেখ, আঁখি মেলে দেখ – এ কোন অন্ধকার ?
ওহে সমাজ, গড়ে তুল এক কঠোর সামাজিক অন্দোলন!
না বল, মাদককে না বল- জিতবেই পিতা-মাতার সন্তান ।
---------------------------------------------04-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

বয় ফ্রেন্ড
-------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
************************
ইদানিং খুব শুনি ঘরে ঘরে,ফ্রি মাইন্ডের গান
আধুনিকতা বলছে তারে একে অপরের প্রাণ ।
স্কুল কলেজ ভার্সিটির ধারে
পথে ঘাটে ঝোপ ঝাড়ে
যুবক-যুবতী হাত ধরে
জেগে তুলে কোন তুফান ?

এক নিলর্জ্জ অবাদ মেলামেশা তরণী-তরুণ!
যুবক নাকি বয় ফ্রেন্ড! সে নাকি দেহ প্রাণের আলো !
খবর রাখে না কেউ এ আধুনিকতা কত কালো !
বয় ফ্রেন্ডের এই অভিসার,
এক আত্ত্বহত্যার ডাক তোমার
ইহ-পর হল অন্ধকার !

তবু তরুনী জড়ালো-
বয় ফ্রেন্ড কেড়ে নিলো, যুবতীর ধন কেড়ে নিলো-
কিসের এতো অবাদ মেলা মেশা- তুমিই বলো ?
যে বন্ধুত্ব তোমার দেহ প্রাণকে করে না সম্মান-
যে উম্মুক্ত আধুনিকতা তোমাকে দিল অবসান।
সে আবার বয় ফ্রেন্ড হয় কি করে ?
-----------------------------------------04-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

গল্প - জুতাচোর , সঞ্জীব ধর

জুতাচোর

সঞ্জীব ধর

(১)


রাত্রি হয়তো চলে যাওয়া জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাতে কী ? নিদ্রাকে তো আনা যাবে
না। বছরে এমন সুযোগ আর কয়টা আসে? তাই তারা ছোটে।দৌড় দেয়। আবার আসে ভদ্রবেশে।
তাড়াতাড়ি একটা চুমু খায়, বাকিরা গোলাপ জল ছিটালেও তাদের সে সৌভাগ্যটুকু হয় না।
তারপর বেরিয়ে যাওয়ার পথে এক জোড়া। আসে খালি পায়ে, যায় ভরা পায়ে। সময় যত গড়ায়
ততই মানুষের ঢল বাড়তে থাকে। যারা বলে মানুষের মাঝে ধর্মকর্ম কমে যাচ্ছে তারা
মানুষের এ ঢল দেখে আশ্বস্ত হয়। না; কমতেছে না বরং দ্বিগুণ হারে বাড়তেছে।
একদিকে পূণ্য অর্জনের লোভে মানুষ ছোটে, অন্যদিকে তারা পেটের দায়ে ছোটে। একটা
পরকালের জন্য, অন্যটা ইহকালের জন্য।সম্পূর্ণ দলটির সদস্য সংখ্যা মাত্র ৪ জন
যার মধ্যে দুজনের বয়স দশের নিচে,বাকি দুজনের বয়স পনের ষোলের মত হবে।এদের
নামকরণ করতে আমার একটু বেশ অসুবিধা হচ্ছে। কারণ এদের মা-বাবা কি নাম রেখেছিল
সেটা আমার যেমন জানা নেই, তেমনি তাদেরও জানা নেই। হিন্দু না মুসলিম সেটা
থানায় চাপা পড়া মামলার ফাইলের মত চাপা পড়ে গেছে। তবে খৎনা হয়নি কারো। নামকরণ
না হলেও ওরা নিজদের মধ্যে নামকরণ করে নেয়। একজনের প্রায় দু'তিনটা নাম আছে।
এগুলো বিশেষ সুবিধার্থে ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

নতুন ও বেশি দামী জুতা তেমন মেলে না। ওগুলো টাকা দিয়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা
হচ্ছে। তবে যা পাচ্ছে তাতেই তারা খুশি।
"ব্যাচিবার সমত কি হম হষ্ট অইবু না? আলার বাবু সাব বেগ্গুন কিট্টুস" - ঝিমুতে
ঝিমুতে ভাবতে থাকে বয়োজ্যেষ্ঠ চোরটা।তার সঙ্গীরা এখন কোথায় সে জানে না।তবে এটা
জানে তারা নিশ্চয় বসে নেই। সে দলনেতা। তার এ ভাবে বসে থাকা উচিত নয়। সাতপাঁচ
ভেবে শরীরটাকে ঝাঁকুনি দিয়ে আবার উঠে দাঁড়ায় সে। রাস্তায় উঠে মিশে যায় ভীড়ে
মধ্যে। খালি পায়ে চলতে গিয়ে হটাৎ পায়ের নিচে কাঁটা ফুটার যন্ত্রণা অনুভব করে
সে। "ওমা রে " করে চিৎকার উঠে রাস্তাতে বসে পড়ে সে । দু'তিন জন সহানুভূতির
সাথে তার দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু ধর্ম কাজে দেরী অনুচিত বিধায় তারা বেশিক্ষণ
দাঁড়ায় না।শেষে নিজেই কাঁটাটা টেনে বের করে সে। রক্তস্বল্পতার কারণে রক্তক্ষরণ
থেকে বেঁচে যায়।কিন্তু দাঁড়াতে পারে না সে। মনে মনে ভাবে, পীর সাহেব কী
প্রসিদ্ধ! কুকর্ম টা পা দিয়ে করে বলে শাস্তিটা পায়েই পেয়েছে। তবে এটা সতর্ক
সংকেত মাত্র। পরবর্তী শাস্তি কত ভয়াবহ হতে পারে তা ভাবতে গিয়ে তার মস্তিষ্ক
হ্যাং হয়ে যাওয়া আইসিটি যন্ত্রের মত কিছুক্ষণ কাজ করে না।কিছুক্ষণ পর উঠে
দাঁড়ায়।তারপর খোড়াতে খোড়াতে পথ চলে। গন্তব্য স্থান অবশ্য পাল্টে ফেলতে বাধ্য
হয় সে।


(২)



দিনটা ছিল শুক্রবার। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ। সন্ধ্যার নামার সাথে কৃত্রিম আলোয়
সজ্জিত হয়ে গেছে সম্পূর্ণ শহর। ব্যস্ত নগরী যেন আরো ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।
উপর্যুক্ত সময়। মাথার উপর ছাতা হিসাবে আছে মস্ত বড় ফ্লাইওভারটা। আলোর
ব্যবস্থা বিপদ ডেকে আনতে পারে। রাস্তার ফ্লাট লাইটগুলোতে যতটুকু ব্যবস্থা হয়
ততটুকুই যথেষ্ট। যেখান দিয়ে পথচারী পারাপার করে তার দু'পাশে সারি সারি সাজিয়ে
দেওয়া হয়েছে।কয়েকজন আসে, এক আধটু দেখে,তারপর চলে যায়। কারো কারো পায়ে নিজেরাই
পরিয়ে দেয়। কিন্তু লাভ হয় না। কয়েকজনের পায়ে পরিয়ে দেওয়ার পরেও না কিনে চলে
যায় তখন একজন অভিমানের সুরে বলে, "আর ব্যাইচতাম ন,গুডাই ফেল।" এভাবে চলতে থাকে
এই জুতাচোরদের জীবন সংগ্রাম।


সময় এগিয়ে চলে। ঘড়ির কাটা ১১টা পেরিয়ে যায়। একজন বলে," আজিয়া আর অইতো ন।"
আরেকজন বলে,"থিঁয়া, আরেক্ষেনা চাই।" ঠিক এই সময় একজন এসে দুএক জোড়া পায়ে দিয়ে
দেখে। সব থেকে ছোট দুজন লোকটার পায়ে জুতা পরিয়ে দিতে ব্যস্ত।বাকি দুজনে মনে
মনে স্রষ্টা ডাকছে।
লোকটা জিজ্ঞাসা করে, "দাম কত?"
--- "তিন শ"
---"ব্যাটা চোর। চুরি করা মালের দাম তিনশ? ধর, একশ দিচ্ছি।"
ছোট চোরটা বলল, "এত দামী জুতা, মাত্র একশ?হবে না, হবে না।"
লোকটা ধমক দিয়ে বলল, "চুপ চোরের ব্যাটা চোর।"
একশ টাকার নোটটা ওদের দিকে ছুড়ে দিয়ে জুতা জোড়া নিয়ে আস্তে আস্তে হাঁটা দিল।
ওরা সবাই ওর গমন পথের দিকে ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। তারপর দলের
কনিষ্ঠ সদস্য বলে উঠে, "আলা, জুতা চোর "
এখন আপনারাই বলুন তো আসল জুতা চোর কে?

Regards,
sanjib dhar | sanjibkumardhar8@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

এ এক বিষ্ময় ভরা স্বাধীনতা

এ এক বিষ্ময় ভরা স্বাধিীনতা
-------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা ।
*************************
দূর্নীতিবাজ ঘুষখোর বিদ্রোহী সব রুদ্ধ করি,
বিমূখ করছে মুক্তি বাংলার প্রাণে প্রাণে,
ক্ষমতার সিংহাসন স্বৈরতন্ত্রের মন্ত্রটি ধরি
মুক্তি যুদ্ধের সেই গণতন্ত্র কোথায় কে জানে !
আশ-পাশ গর্জে উঠেছে ক্ষমতার মহাতরী
বঞ্চিতের অধিকার আজ চিতায় অগ্নি দহনে,
অবরুদ্ধ নিঃশ্বাসে জনতার প্রাণ মরি মরি,
স্বপ্নের সোনার বাংলা অপূর্ণ্ অসংখ্য পরানে
এখনো বিদ্রোহী ঘাপটি মেরে দূর হতে দূরে
রাজ্যের শাখা প্রশাখা এখনো আঁধার-আলোক,
দেশ প্রেমের দূর্ভিক্ষ কন্ঠ প্রাণে সকরুণ সুরে
এ এক বিষ্ময় ভরা স্বাধিীনতা যত দুঃখশোক!
যদি এ প্রাণ জেগে উঠে দেশ প্রেম ভ্রতে
তবে কেন জনতার অধিকার যাবে সমাধিতে?
----------------------------------------03-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

যেতে যেতে
বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত (শ্রীসেন)
##
আবেগ যদি কারণ হয়
যেকোনো সম্পর্ক তার ফল
মনগত নাহলে ক'দিনেই কেটে গেলে
কেউ যদি হারিয়েছে জাগরণী বল-
তাকে কী আখ্যা দেবে মূর্খ তখন!

মূর্খ নাহলে কে করে জ্ঞানের সন্ধান!

ধূসরতা সরাতে সরাতে বোধের বোধনে
ভালোবেসে চলেছে জীবন...
@শ্রীসেন

Regards,
Biswajit sengupta | biswaji.sengupta40a@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

কবি আজ ভাষা হারিয়ে ফেলেছে
রাতুল গুন

কবি আজ নিশ্চুপ
অন্যায় দেখছে রাস্তায়
মেহনতি মানুষের জুলুম দেখছে
কবির কবিতায় প্রতিবাদের ভাষা নেই
সব হারিয়ে কবি আজ বাকরুদ্ধ।

কবি লেখনীতে নারীদেরকে
সোচ্চার হওয়ার আহ্বান করেনি।
নারী আজ ধর্ষনের শিকার
নারী আজ অত্যাচারের শিকার।
কবি আজ নিশ্চুপ
ভাষা হারিয়ে ফেলেছে
লেখনীতে নেই আগের সেই ধার।
কবি আজ নিশ্চুপ
প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছে
সকল কিছু কবির চোখে আজ ঝাঁপসা
দেখছে অন্যায়, অবিচার , জুলুম।
লেখনীতে নেই প্রতিবাদের ভাষা
বাকরুদ্ধ হয়ে কবি আজ অসহায়।

Regards,
Shirsendu goon | primeratul@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

আগুন সন্ত্রাস!
- আহাদ খান।

দিকেদিকে আগুন, পুড়িছে ফাগুন
মরিছে মানুষ, উড়িছে ফানুস!
কাঁদিছে বিবেক, লুটায়ে মনুষ্যত্ব
অসুরেরা জাগ্রত, নিভৃত মানবতা!

অদৃশ্যের দৃশ্যপট! নাকি দূর্ঘটনা.....
ষড়যন্ত্রে গড়া আগুন সন্ত্রাস?
হাহাকার, চিৎকার, বাঁচার আকুতি
মানবিক সমাজে অমানুষের রাজ!

কিছু কিছু বিবেক, ধরিবে হাল....
ফুটো বাংলাদেশ, হবেনা নিঃশেষ
নিরাশার বালুচরে দেখিবো অতঃপর
দুঃখিনি মায়ের, হাস্যোজ্জল আঁখি।

রুখিবে রুখিবে ওরা আগুন সন্ত্রাস
ফিরায়ে আনিবে বিবেকের বাণ....
মানবিক এক প্রেমময় মাতৃভূমি;
জন্মের স্বার্তকতা ছড়ায়ে অবিরাম।

২৯/০৩/২০১৯

Regards,
মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ | ahadabdul960@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লাকে সাহিত্য কণিকা বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হল।


গল্প, কবিতা, উপন্যাস, অনুবাদ, রহস্য, বিজ্ঞান, ইতিহাস, গণিত, সাইকোলজি, হেলথ, মোটিভেশনাল ও বই রিভিউ লিখুন সাহিত্য কণিকায়।




[সাহিত্য কণিকা] New message received.

বিদ্রোহীদের এই নষ্ট খেলা
-------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
****************************
হোক শপথ, যে শপথ বাঙ্গালীকে রাখতে হবে
লক্ষ শহীদের চেতনা প্রাণে প্রাণে
সব বিভেদ ভুলে সাম্যের বন্ধনে সবে এক রবে
যে সূর্য্ উঠেছিল বাঙ্গালীর অন্ধকার কোণে!
মনে রেখ তুমি স্বাধীন জাতি এ বিপুল ভবে
তবে কিসের বৈষম্য, লাল সবুজের প্রাঙ্গণে-
তুমি বাঙ্গালী কিংবা বাংলাদেশী ,একি জান না ?
মুক্তি যুদ্ধে পাওয়া স্বাধীনতা কি গেছো ভুলি ?
বিদ্রোহীদের মন্ত্রে মন্ত্রে আর তুমি চলনা-
তোমাকে দিয়েছে বঙ্গ বন্ধু-এক স্বাধীন পতাকা তুলি
হোক শপথ, যেখানে থাকবে না আর কারো তুলনা!
সেই বজ্র কন্ঠের হুঙ্কারে মুক্তিকামী জনতা গর্জেছিল পহেলা-
করুক না ইতিহাস বিকৃত!
তবু বীর বাঙ্গালী বুঝে গেছে বিদ্রোহীদের এই নষ্ট খেলা ।
-----------------------------------------03-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

মুছে দে অশ্রুজল
----------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা ।
*****************************
তুই ভবিষ্যৎ বলে তোরে বেশি ভালোবাসি
হে যুবক,দূরন্তপনা তোর বেশি ভাল লাগে
অন্ধকার আকাশে তোরে দেখি শশী
তোরে ঘিরে আমার এ বুকে অফুরান স্বপ্ন জাগে
ভবিষ্যৎ তোর হাতে সমার্পন করে দিয়ে
আমি বিদায় নিব হে পরিশ্রান্ত দেহে,
এই বাংলার মুখ আছে তোর দিকে তাকিয়ে
ওহে এক শপথের কণিকা জেগে দে প্রবাহে
এক অভিশপ্ত আঁধার হতে তুই নিজে বাঁচাতে
তুই গড়ে যা এক অভিনব আনন্দ-আবাস,
এক অনাবলি ভবিষ্যৎ তোর পানে চেয়ে দিবস নিশীথে
কে বলে তুই শেষ!,তোরে ঘিরে আমি দেখি উজ্জ্বল আকাশ!
আজই তুই গর্জে উঠ ভুলে সব বিষাদ –কোমল,
তোরই বীরত্বে,তোরই বীর্যে মুছে দে অশ্রুজল ।
----------------------------------------03-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

৪৫ টাকা কেন ৫০ টাকা ?
-------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা ।
************************
হায় রে চাঁদাবাজির দেশ,অযথাই করে ক্লেশ!
মূল্য যেখানে ৪৫ তার, আদায় করে নেয় পঞ্চশ ।
আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট গাজীপুর টু ঢাকা-
জানি সবে জানি ৫০ টাকা নয় ৪৫ টাকা
তবে কেন ৫ টাকা দিতে হয় বেশী ?
ওহে কে দিবে জবাব জনতার সম্মুখে আসি?
এ যেন এক অভিনব কৌশলে চাঁদাবাজি!
ওহে কর্তৃপক্ষ তুমি এসে দেখে যাও আজি-
তোমার সৈনিকেরা ওইখানে বসে করছেটা কি,
৫ টাকা বেশী দিলেই ট্রেনের টিকেট দেখি!
তুমিই বলো ৪৫ টাকা কেন ৫০ টাকা ?
আমি ন্যায্য মূল্য দিয়েই আসতে চাই ঢাকা ।
-----------------------------------03-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

তুরাগ ট্রেনে যেয়ে
----------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
********************
আজ হল অনেক দেরী যাত্রার পাক্কালে
ওই তুরাগ ট্রেনে যেয়ে ।
সময় যাচ্ছে! অফিসের তাগিদা আসছে মোবাইল কলে
তুরাগ তো নিচ্ছে না বেয়ে !

নিশ্চিত লাল কালি-চাকুরীটা বুঝি বিষম বিষে
বস তেড়ে রেগে ডাকে আর না পাশে,
কাজের উতলা দখল করেছে, না পাই কোন দিশে
তুরাগ যাচ্ছেনা তো লয়ে
ইদানিং ক্রসিং আর ক্রসিং যখন তখন বসে
ধীরাশ্রম টঙ্গী গিয়ে-
কত ট্রেন চলে যায় আপন আপনার নীড়ে-
তুরাগ ট্রেনটি পঙ্গু হয়ে !

জানিনা,
কর্তৃপক্ষ কোন চমক দিয়ে নিবিড় অন্ধকারে
গভীর তন্দ্রাতুর হয়ে-
কেউ জানে না এর পিছুন পিছুন কোন মহারতি-
লাঘাম ধরে আছে ষ্টেশনে ষ্টেশনে থামায়ে গতি ।
ওই দেখ যাত্রীর কপালে লাল বাতি !
চাকুরীটা ভয়ে ভয়ে !

এই ক্রসিং বিড়ম্বনা থামবে কবে হে কর্ত্পক্ষ ?
যাত্রীরা সবে অবরুদ্ধ, ক্ষত বিক্ষত তাদের বক্ষ ।
সময়ের মূল্য বুঝে ছেড়ে দাও তুরাগ ট্রেন..
ঘন্টার পর ঘন্টা তুরাগকে রেখনা থামায়ে ষ্টেশন ।
আমরা অফিসের যাত্রী প্রতিদিন যাই-আসি—
প্রাণের গভীর থেকে তুরাগকে অনেক ভালবাসি।
----------------------------------------02-04-2019, ।
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

ভুল প্রশ্ন
---------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
******************
শিশুর কোমল প্রাণে কি করে দিব সুর?
ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নিচ্ছো হে বাহাদুর !
প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষার্থীরা আজ ক্রন্দনে
কি পরীক্ষা দিবে সোণামনি ভারক্রান্ত মনে ?

হে জাতির অভিবাবক, একি তোমার উপহার?
তুমি চেয়ে দেখ জাতির কণ্ঠ কত বিষাধবিধুর!
কোথ পথে পারি দিবে আমার এই সোনামণি?
প্রশ্ন যেফাঁস ! প্রশ্ন যে ভুল! বদ্ধ কর এখনি ।

শিশুর কোমল প্রাণ যেন দেখি আলোর সন্ধানে-
জাতি জেগে উঠুক মুক্তির পথে তোমারই চন্দনে
কিন্তু হচ্ছে যা তুমি কি বলবে তারে ?
পরীক্ষার হলে ভুল প্রশ্ন বাহারে বাহারে—

জাতির মান সম্মান গর্ব্ নাই আর-
অমানিশা জেগে উঠেছে ভুল প্রশ্নে বারংবার !
তোমারে চেয়ে মাতৃপ্রেম আছে কার ?
তবে কেন ভুল প্রশ্ন হাতে পরীক্ষার্থীর?

যদি ভালবেসেই থাকো এই দেশের মাটি-
আজি তুলে দাও আগামীর হাতে প্রশ্ন খাঁটি ।
এখন দেখছি যা তোমার তরে ঘৃণা করি তারে
আর চাই না এমন প্রশ্ন জাতি গড়ার অভিসারে।
-------------------------------------------02-04-2019।
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

আর কত পেলে
------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান
মোল্লা।
*****************************
আর কত পেলে তুমি ক্ষান্ত হবে হে লোভ ?
নির্লোভ যদি তোমাকে দেই থামবে কি ক্ষোভ?
নিয়ে নাও ধরনি আমার তবু দাও সুখ
কভূ চাই না দেখতে আমি পৃথিবীর দুঃখ

ওহে লোভ আর কত দূর তোমার সীমানা-
কোন তপস্যার ফলে এতো ছুটেছো অজানা ?
আজো খোঁজে পাইনি তো তোমার দিগন্ত
তবু প্রাণেরা, তোমার পিছুন পিছুন প্রাণবন্ত!

এতো কিছুর পরেও---
কি পেয়েছে তোমার মাঝে হে লোভ ?
তোমাকে পেতে মানুষের এতো বিক্ষোভ!
তুমি তো শুধু দিয়েছো অশান্তি এ পৃথিবী-
তবু প্রাণেরা দিনভর এঁকে যায় তোমার ছবি !

ওহে কবে মৃত্যু হবে তোমার বক্ষের আঁচলে ?
আমি তোমার পরাজয় চাই প্রাণের পলে পলে ।
আর কত পেলে তুমি ক্ষান্ত হবে হে লোভ ?
নির্লোভ যদি তোমাকে দেই থামবে কি ক্ষোভ?

-------------------------------------01-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

তোমার প্রহরীই তোমার অপমান
---------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
**********************
ওহে রাষ্ট্র পিতা কিংবা মাতা;
এ খবর কি রাখ তুমি ?তোমার প্রহরীই তোমার অপমান,
শুধু শুনি লোকসানে ভেসে যায় রাষ্ট্রের যৌবন ধন মান ।
লক্ষ কোটি জনতার অন্তরবেদনা
চির সত্য হয়ে আছে শত অপকর্মের সাধনা ।

সু-শাসন যেন এক বজ্র কঠিন
যে কিনা তন্দ্রা ছলে বঙ্গে বুকে আজ অসীন !
কেবল শুধুই এক দীর্ঘশ্বাস
চারিদিকে উৎসবে মেতেছে শত দুর্নীতির আকাশ-বাতাস্
এইটা কি ছিল বাঙ্গালীর আশ?
প্রত্যাশা ছিল কত মুক্তি ঘটা
তবে কেন শূন্য দিগন্তের ইন্দ্রজাল ইন্দ্রধনুচ্ছটা

এতো বছর পরেও সূর্য্টা হয়নি উজ্জ্বল
শুধু দেখি পরতে পরতে নীতি বঙ্গের কোলাহাল
শুদ্ধ পোশাকে অশুদ্ধ কর্মের সমারোহ-
সব লুঠে নিচ্ছে রাষ্ট্র যন্ত্রের ধন অহরহ !
আইনের প্রতিটি ঘাটে ঘাটে-
আইন ভঙ্গের এক মহাযজ্ঞ,সব লুটে নিচ্ছে অন্য হাটে-

বড় বেপরোয়া প্রহরীদের অঞ্চল-
ওরা সিঁধ কাটে,ওরা লুটে নেয়,ওরা বিদ্রোহী দল ।
ওহে রাষ্ট্র পিতা কিংবা মাতা;
তোমার কোষাগার আজ শূন্য, লোকসানে লোকসানে ভরপুর !
এমন তো হবার কথা ছিল না ওহে বাহাদুর;
এ কি তোমার ব্যর্থ্তা নয় ওহে রাজ্যের অধিপতি ?
তোমার প্রহরীই তোমার অপমান- তোমার ক্ষতি ।
ওরাই তোমার পরাজয়
ক্ষমতার ভিতরে ক্ষমতা শুধু সু-শাসনকে করে অবক্ষয়।

নাই নাই ,নাই যে সময়
সব কালো মুছে দিয়ে এখনি হও উদয় ।
তোমার প্রহরীই তোমার রাজ্যকে করছে হরণ
ওরা দেশ প্রেম বুঝে না, ওরা আইন মানে না,
ওরা জনতার অধিকারকে করেনি বরণ-
ওহে রাষ্ট্র পিতা কিংবা মাতা;
এ খবর কি রাখ তুমি ?তোমার প্রহরীই তোমার অপমান।
------------------------------------------01-04-2019,রাওনাট.কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com