আপনার লেখা গল্প কিংবা কবিতাটি পোস্ট করুন এখানে। মেসেজ বক্সে লেখার শিরোনাম, লেখকের নামসহ লিখা দিন।

Name

Email *

Message *

"একাঙ্ক নাটক " অন্তরাত্মা - বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত

"একাঙ্ক নাটক "
অন্তরাত্মা
বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত


[ দীপ্ত,তনু,অর্ক,শুভ্র, অঙ্কিত নিজেদের মধ্যে কথা বলছে,এমনসময় ব্যাকগ্রাউন্ডে
এক মহিলা কন্ঠস্বর ধ্বণিত হতে থাকেঃ
" মা তোমার গর্ভে দশমাস দশদিন পূরণের আগেই, এক উথাল-পাতাল আলোড়ন উঁকি মারে
তোমার জঠরের চারপাশে
খানিক বাদেই মাংস পিন্ডের ডেলাটা ঝুপ করে যখন পড়ল ডাক্তারের হাতে, তখনও বুঝিনি
আমার মৃত্যু হল, মৃত্যু হলো তোমারই মতে!

মা,আমিও তো তুমি হয়ে উঠতে পারতাম কিম্বা দিদির বোন হয়ে একসাথে হাসতে পারতাম,
গাইতে পারতাম।

মা,মাগো বলো না গো-এ লজ্জা কার???

বর্তমানের আগেই,আজ আমি এক পাতাহীন ইতিহাস।"

সূত্রধর-ইতিহাস!ইতিহাস! চলুন না আমরা সবাই না হয় ফিরে তাকাই, তেমনই কিছু
ইতিহাসের দিকে... ]

অর্ক-হ্যাঁ রে দীপ্ত, কী শুনছি! আজও কী ভ্রূণ হত্যা হয়!!
দীপ্ত - নাহলে কী এ কবিতা লেখা হতো?
অঙ্কিত - দীপ্ত ঠিকই বলেছে।
শুভ্র-হবে না কেন? এমন সব কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াবার মত মানুষ আজ আর
কোথায়?সমাজটা পুরোপুরি বদলের আগেই,তারা তো চলে গেছেন।
তনু-কাদের কথা বলছিস শুভ্র?
শুভ্র - যেমন ধর না, বিদ্যাসাগরের মত মানুষ! এঁদের কথা ভুলি কেমন করে!
অর্ক-ভুলব কেন? নারী মুক্তির লক্ষ্যে, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধাচারণ, নারী শিক্ষা
বিস্তার ,বিধবা বিবাহের প্রচলন ইত্যাদি সংস্কারমূলক কাজে বিদ্যাসাগরের কথা
আমরা তো বইতেই পড়েছি।
অঙ্কিত - শুধু কী তাই?আরও আছে।
তনু- হ্যাঁ আছে তো।আরে পড়িস নি,বাংলা গদ্যে প্রাণসঞ্চার করে, তিনিই তো গদ্যে
নতুন দিশা দেখিয়ে গেছেন।
দীপ্ত-আরে ওটা ভুলে গেলি?
অর্ক- কী? সেটা তুই-ই বল।
দীপ্ত-বাংলাভাষায় পাংচুয়েশন-এর পথিকৃৎ তো তিনিই।
তনু- তাহলে ভাব, তার আগে বাক্যের ভেতরে কোনো দাড়ি,কমা থাকত না।একবার শুরু হলে,
বাক্য চলছে তো চলছে, চলছে তো চলছেই...

অঙ্কিত - বর্ণপরিচয়ের কথা সবাই ভুলে গেলি কীকরে!
দীপ্ত,অর্ক, শুভ্র - ভুলবো কেনো?
তনু- ওটাই তো আমাদের লিখতে শিখিয়েছে।
অঙ্কিত -একদম তাই।সত্যি ভাবলে অবাক হতে হয়।আমাদের যাবতীয় কুসংস্কারও তাঁর চোখ
এড়ায় নি।
অর্ক- সে তো বটেই। কুসংস্কার দূরীকরণে অবশ্যই তাঁর ভূমিকা ছিল।তাঁদের মত
মানুষেরা, এতসব করে গেলেও, আমরা সবাই আজও কী সেভাবে বদলাতে পেরেছি!
তনু- প্রকৃত অর্থে আমরা আর পাল্টালাম কই? আজও দেখ, কন্যা ভ্রূণ হত্যা
হচ্ছে,আজও কোথাও না কোথাও, বাল্যবিবাহ ঘটে চলেছে! বলুন না, আপনারাই বলুন।ভুল
কিছু বলছি কী?
শুভ্র - ঠিকই বলেছিস তনু। তুই তো ভুল কিছু বলিস নি।
অর্ক,অঙ্কিত, দীপ্ত (একসাথে)-হ্যাঁ ঠিক-ই বলেছিস।
শুভ্র-আমরা না আধুনিক, না পুরোনো গোছের এক কিম্ভুতকিমাকার হয়ে রইলাম।
অঙ্কিত - হ্যাঁ রে বিদ্যাসাগর বা তাঁর মত মানুষের আজও আমাদের দরকার।অথচ...
[ স্বপ্নময় আলোয় ব্যাকগ্রাউন্ডে এক দীপ্তময় কন্ঠস্বরঃ ]

বারবার আঁধার ঘিরে ধরে
বারবার না কর্মের চাষ-
ভাষাহীন লজ্জার মূলে
কে ছড়াবে পবিত্র সুবাস??

আমি ঈশ্বর দেখিনি,পেয়েছি তোমায়
অবশেষে, তুমিও আজ ভূপতিত-
পড়ে থাকা গুঁড়ো গুঁড়ো কণা!

সে কণায় আমি দেখি বর্ণমালা।

তুমি বলো না সাগর
আমার ঈশ্বর-
আর কত লজ্জা লুকাবো
আর কত ক্ষত-জ্বালা শেষে
আর কত রজনীর পরে
কোনো এক কাক ভোরে
ফের ব'য়ে যাবে শুদ্ধ বাতাস???

বন্ধ হোক সেইদিন চিরতরে বিষাক্ত নিঃশ্বাস।]

অর্ক- গলাটা খুব চেনা মনে হচ্ছে না?
দীপ্ত - কার? কার কন্ঠ এটা ?
তনু - চিনলি না!ওটা আমাদের অন্তরাত্মা।চল না, তাঁকে স্মরণ করে, সত্যিকারের
একটা নতুন সকালের কাছে পৌঁছাতে একটা চেষ্টা অন্তত আমরা করি।

[স্বপ্নময় আলো ধীরেধীরে উজ্জ্বল হতে থাকে আর ওরা এগোতে থাকে সামনের দিকে।ঠিক
তখনই একটা কন্ঠস্বর ভেসে আসে]
-তোমরা বেশ ঘটা করে স্মরণ করছ দেখছি।
অর্ক-কে তুমি?
-ধরে নাও না,আমি-ই) তাঁর ছায়া।
দীপ্ত, তনু, অর্ক(সকলে সমস্বরে) - বিদ্যাসাগর!!!
- না।বললাম তো, তাঁর ছায়া।
দীপ্ত, তনু, অর্ক (সকলে একসাথে )-আমরা তোমার আশীষ চাই। অভয় দাও। সমাজটাকে
সত্যি যেন আমরা বদলাতে পারি।
- শোনো আমাকে স্মরণ করার চাইতে, সে কাজেই তোমরা মন দাও।তোমাদের এই হুঁশ ফেরাই
হয়ত আগামীর আলোর ইশারা।যাও এগিয়ে যাও...
দীপ্ত, তনু, অর্ক (সকলে সমস্বরে )-আমরা এগোচ্ছি ঈশ্বর।আমরা এগোচ্ছি...
[" চল চল চল ঊর্ধগগনে বাজে মাদল "- এর তালে তালে, ওরা এগোতে থাকে সামনের
দিকে...]
(সমাপ্ত)

Regards,
বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত(শ্রীসেন) | biswajit.sengupta40a@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

স্বপ্ন - মহব্বত হোসেন সরদার

স্বপ্ন
মহব্বত হোসেন সরদার
স্বপ্ন তুমি যুগে যুগে ঘুরে ঘুরে
মানবের কানে কানে আর মুদিত চোখে
তোমার যন্ত্রের মাধ্যমে দেখায়ে যেতেছো
কাউকে আশাতে ভাসাছো
কাউকে ভাষাতে ভাসাায়েছো
কাউকে অবিরাম কাদাঁয়েছো
মৃত্যুর মাঝে নিয়ে গেছো জনমেরে
তোমার মাঝে সাধনায় পড়ে কতো মানুষ পেলো তাদের সাধনার ধন
তোমার মাঝে সাধনার আসন গেড়ে
কেউ হারালো তার সমস্ত জীবন
সে বুঝতেেই পারলো না
কখন চলে গেলো তার সাধের যৌবন ।স্বপ্ন আজো তোমার মাঝে বাস করে
পৃথিবীর আটশত কোটি মানুষ
কেউ তাড়া তাড়ি বড় হতে
কেউ তাড়াতাড়ি মরে যেতে
কেউ দুমুঠো ভাত খেতে
কেউ পরকালে জান্নাত পেতে
স্বপ্ন তোমার মাঝে পড়ে আছে
সমস্ত পৃথিবী
আসলে তোমার সাধনায়
তোমার কামনায়
তোমার প্রার্থনায়
জীবনের সমস্ত স্রোত চলছে ভাটার দিকে ।

Regards,
Mohabbat Hossain Sardar | mohabbathossain00@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

সেদিন ও আমি - মহব্বত এইচ সরদার

সেদিন ও আমি
মহব্বত এইচ সরদার

সেদিন ও আমি
তোমার পাশে
শরীরের পোশাকের মতন
তোমারে ঝাপটে ধরে
সময়েরে স্রোতে ভেসে যেতে যেতে
তোমারে ডেকে ডেকে বললো ,
প্রিয়া আমার ,আমি তো আজো আছি তোমারই
এই দেখো আমিই সেই তোমার ।

আজ,
আকাশের মাঝেখানটা চিরে গেছে
কোন সে ঠাটা পড়ে
আজ তোমার আমার দেখার আলোক কণা
নিভে নিভে হয়েছে অন্ধকার
এই দিন ও শেষ হয়ে যাবে
এই দিনও তো সেদিনের কাছে বলে দিবে
আমি তো সেই তার কাছে থেকেই এসেছি ।
আমি তো তোমারেই ভালোবেসেছি
আমি তো তোমারই হাসিতে হেসেছি
আমি তো তোমারই কাদঁনে কেদেঁছি
তুমি তো তা দেখনি
দেখবে নাও আর কোন দিন
কেননা সে দৃষ্টি তো তোমার আর নেই ।
যখন সমস্ত শেষ হয়ে যাবে
যখন শেষ হওয়ার পর আবার শুরু হবে
তখন দেখবে তোমার প্রেমটিও আমার প্রতি সেরকমই জন্মায়েছে ।
তখন তুমিও তো বলবে আমাকে ডেকে ডেকে ----
আমিও তো তোমারেই ভালোবেসেছিলাম ।

Regards,
মহব্বত হোসেন সরদার | mohabbathossain00@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

একান্যের

"একান্যের"
শামীম আহমেদ
************
মনে কর তুমি ফুল আমি তোমার ভ্রমর,
আমি নিত্য তোমার মধু নিতে আসব!
তোমায় আদর দেব এবং ভালবাসা।
মনে কর তুমি আকাশ আমি সেই নীলাকাশের তারা! তোমার গায়ে ঘেষে মিলেমিশে তোমার
ছোয়ায় হয়ে গেছি দিশেহারা দিশেহারা!*********
মনেকর আমি তোমার হাতের একটা পুতুল
ভেঙেও তুমি ফেলতে পার আবার ভালোও তুমি বাসতে পার**********
মনেকর তুমি গান আমি তোমার গানের সুর!
আমি যদি নাইবা থাকি তোমার দাম আছেই বা কী ?
মনেকর আমি কবি তুমি আমার কবিতা তুমি যদি নাইবা থাক আমায় কি কেউ কবি বলবে নাকি?
************
আমরা একে অপরের
আমরা দুজন দুজনের!মনেকর তুমি নদী আমিসে নদীর জল
একই স্রোতে চলি পাশাপাশি দুটি ঢেউ ব্যাথা দিলে কেউ কাউকে আখিজলে টলোমল টলোমল।
আমরা কালো করি সবি আবার আমাদের কারনেই এতো সুন্দর পৃথিবী।

Regards,
Sammim ahmed | ahmedsammim@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

জন্মভূমি

"জন্মভুমি"
শামীম আহমেদ
***********
অনবরত তব শ্রীবাণী মম মর্মে জাগে!
হৃদয় আকুল কর,নিশিতে জাগরণ তব কারনে!
উত্তপ্ত ভাবনা,স্বর্বস্ব পাবার সাধনা সঞ্চার মর্মবাগে~
তপ্তে সুপ্তি নাই তব সুদৃশ্য দর্শাতে যাই ফুল বাগানে উদার ময়দানে গগনচুম্মি
উড়াল পংখি আসে মধুহরনে***********জুড়ায় মন প্রভাতের নিশির-শিশির তাই ছুটি
কুসুমবাগে!.
নব সফরে,জনদশ৲কে জটলাবেঁধে গেছিলাম কুয়াকাটায় ব্যাড়াতে;
মরিচিকার মত মরূতে হরদম দার্শনিক কত সুধা সেখানে!!!
**************************************তোমায় ছেড়ে এতো মায়া কোথায় রেখে কার
মনচায়প্রবাসি হইতে! তবে কি পাব যা পাই তোমার গহিনতলে ডুবে
নাইতে?************ ঊষার সুবভীশ্বাস,জীবনের সম্ভাষণে যাবনা তোমায় ছেরে!
নীলা দরিয়ার স্রোতে ভেসে যাবারক্ষণে আমায় রেকখেছো ধরে!*****
তূমি গর্ভধারিনী নাহলেও দুখিনী মম পোষমানাইতে!
তোর চরণতলে ঠাই দে,মোর লাগি না কার লাগি তোর অশ্রুঝরে!!

Regards,
Sammim ahmed | ahmedsammim@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

অধিকার চাই - আল মামুন বিল্লাহ

অধিকার চাই
আল মামুন বিল্লাহ
ফুটেছে অগ্নিঝড়া ফুল
বিষাক্ত পাপড়ি নিয়ে।
শত লাথির আঘাতের পর
বেধ করা দুর্ভেদ্য ঝোপঝাড়
শত শত চেষ্টায়
পেয়েছে সূর্য মায়ের হাসি ।
হোম করা হুঙ্কার
আজ দেখিবে শতবার।
বহু যাতনায় লিখেছিল আমার নাম।
আজ বলিব বার। কিরূপে হয়েছিলে অনাথের কান্ডারি ।ছিল না যেখানে নিম্নস্হ আকুতি।
তুমি ছিলে গোলাভরা মালে পাপে ছিল ঘর ভরা জোটা। যেখানে ফুটপাতে এখনো শুয়ে থাকে
কৃষ্ট পাজর গুলি ।তাই তো ফুটেছে অগ্নিঝড়া ফুল। তোমারি পায়ের তলায় ওঠিবে
তোমারি শির পৃষ্ঠে শত লাঞ্চনায়।।

Regards,
Al Mamun billah | Almamunbillah22@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

সাহিত্য কণিকাকে জানাই আন্তরিক সুভেচ্ছা ও অভিন্দন!এটা খুব যুগোপযোগী একটি
অনলাইন ম্যাগাজিন!আমি সাহিত্য কণিকার সুভকামনা করছি*

Regards,
Sammim ahmed | ahmedsammim@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

শ্রাবণের কুয়াশায়

শ্রাবণের কুয়াশায়
শরীফ আহমেদ

আমি বৃষ্টি দেখেছি তোমার সাথে
আমি মেঘ ছুঁয়েছি তোমার সাথে
আমি শ্রাবণের কুয়াশার মতো আবছা আঁধারে ঢাকা
আজব মেঘের জগৎ দেখেছি তোমার সাথে

এখানে মেঘেরা ছুটে আসে আমাদের ঘরে
ভিজিয়ে দেয় আমাদের বিছানা
তুষারের মতো মেঘের ছোঁয়ায়
ভরেছে বিকেলের আলতো সময়গুলো...

এখানে বর্ষার জল জমে আছে
পাহাড়ের অনেক ওপরে
পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে বয়ে যায় ভালোবাসার নদী,
দিগন্তে জুড়ে মেঘের কাজল রেখার সাথে
ধূসর মায়ার আশ্চর্য আলো রয়েছে এক হয়ে মিশে

কামিনী ফুলের আশ্চর্য সুগন্ধি ভরা
তোমার ভালোবাসা ছুঁয়েছিলো
নগ্ন চোখের আজব ছোঁয়ার সাথে,
আমি অনেক সময়ের মালা পরিয়েছি তোমার গলায়
আর-
তৃপ্তির নুপুর পরিয়েছি তোমার পায়ে।

Regards,
শরীফ আহমেদ | sharif.geo.2006@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

চিঠি-১১
মিন্টুসারেং।

তুমি আমাকে নাকি ভালবাসতে, আজ অনেকদিন পর
লিখলে, আমি নাকি বুঝিনি,
আচ্ছা তুমিই
বলো, কি এমন
বাসলে ভাল, আমি বুঝতেই
পারিনি!!!

৩১ঃ০৮ঃ২০১৯
সারেংবাড়ি,মধুপুর।

Regards,
MINTU SHARENG. | mintushareng@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

"কাটে আমার বেলা"
নিলুফার জাহান
৩০;০৮;২০১৯

নদীর ধারে রাখাল ছেলে
বাজায় বসে বাঁশি
ঝিলের জলে পদ্ম ফুলে
হাঁসে মধুর হাসি।

সাদা বকেরা আসে উভে
মাছ ধরবে বলে
মায়ার নদী কুলু কুলু
তানে বয়ে চলে।

নানা রঙের ফুলে দেখো
মৌমাছি ঐ উড়ে
ডুমুর গাছে পাতার নীচে
দোয়েল বসে ভোরে।

নদীর বুকে বৈঠা হাতে
মাঝি নৌকা টানে
রিম ঝিম ঝিম বৃষ্টিটা
শান্তি আনে প্রাণে।

দীঘির জলে পাতি হাঁসে
সুখে করে খেলা
শরতের ওই রূপটা দেখে
কাটে আমার বেলা।

Regards,
নিলুফার জাহান | nilufarjahan.64@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

*** পরিহাস ***
*** সুজিত চ্যাটার্জি ***

যার ওপর মায়া সমুদ্র সমান
স্নেহ পাহাড় প্রমাণ ,
যার জন্যে উজাড় করে দিতে পারো
সবটুকু একেবারে,
চেয়ে দ্যাখো ,,,,,,,
তার কাছেই ভালবাসার
ভিখারি তুমি আজ
দিনান্ত বেলায়।

নগ্ন পায়ে যে মন্দিরে মানত মেঙ্গে ছিলে,
সে মন্দির তেমনই আছে
পাষাণ বিগ্রহ বুকে নিয়ে,
তোমার বুকে পাষাণ নিগ্রহ।

সদাহাস্য দেবতার মুখে অলৌকিক হাসি।
কান পেতে শোনো, শুনছ,??
অলক্ষে ফিসফিস দৈববাণী,,,,,
কেঁদো না সখা, খবর আছে,,,,,,
তোমার স্নেহ, বাবা হতে চলেছে।
হ্যাঁ বাবা ।।

copyright @ সুজিত চ্যাটার্জি ১৯৬০

Regards,
সুজিত চ্যাটার্জি | sujitchatterjee@1960.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

কবিতাঃ তুই কি আমার বন্ধু হবি?
কবিঃ মুহাম্মদ ইয়াসিন।

তুই কি আমার বন্ধু হবি?
রাত-বিরাতে একলা চলার সঙ্গী হবি?
সাঝ সকালে ঘুম বাড়িতে
ঝাঁকুনি মেরে ঘুম তাড়াবি?

তুই কি আমার বন্ধু হবি?
একলা রাতে আকাশ দেখার সঙ্গী হবি?
দুঃখ রাতে পাশে থেকে
দুঃখগুলোয় ভাগ বসাবি?
সুখের সময় দুঃখের সময়
সব বেলাতে আমার হবি?

তুই কি আমার বন্ধু হবি?
শিশির ভেজা ঘাসের উপর
হাঁটতে গিয়ে আমায় নিবি?
মিষ্টি রোদের শেষ বেলাতে
মন খারাপের সব বেলাতে
কাছে থেকে মন রাঙ্গাবি?

তুই কি আমার বন্ধু হবি?
বৃষ্টি ভেজা রৌদ্র ছায়ায়
একলা যখন ভিজবে কায়া
কলা পাতার ছাতা নিয়ে
তুই কি আমার পথ শুকাবি?

তুই কি আমার বন্ধু হবি?
আঁধার রাতে একলা হলে
দুঃসময়ে পথ হারালে
তুই কি চেনা পথিক হবি?
আলো হয়ে পথ দেখাবি?
তুই কি আমার বন্ধু হবি?

Regards,
মুহাম্মদ ইয়াসিন। | mdyeasin.sir2283@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

খানিক আশা
নুরজাহান আখতার

হতেও পারে শত নিরাশার ভিড়ে
এক চিলতে আশা সব
হতেও পারে মুহূর্তের মাঝে
বন্ধ কলরব

Regards,
Nurjahan Akhter | niraakter25533@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

চালাও তোমার কর্ম
শাহ্ মোঃ তাজুল ইসলাম

হাজার স্বপ্নের ভীড়ে মানুষ
বাঁচে সুন্দর ভবে।
স্বপ্ন দেখতে ভালবাসে
এই পৃথিবীর সবে।

পৃথিবীতে আসা তোমার
বাবা মায়ের আশা।
তোমায় নিয়ে বাবা মায়ের
কত ভালোবাসা।

কোনো একদিন গোলাপ হয়ে
ফুটেছিলে তুমি।
গোলাপ ফুলের সুবাস দিয়ে
পূণ্যকর ভূমি।

স্বপ্ন গুলো পূরণ করতে
মন দাও বন্ধু কাজে।
কর্ম গুনেই বাঁচবে তুমি
এই পৃথিবীর মাঝে।

মুসলিম তুমি ইসলাম তোমার
মনোনিত ধর্ম।
ন্যায়ের পথে থেকে বন্ধু
চালাও তোমার কর্ম।

Regards,
শাহ্ মোঃ তাজুল ইসলাম | tajulislamtamim4224@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

কবিতা- চাঁদ by রাম কৃষ্ণ বিশ্বাস

(কবিতা)
চাঁদ
রাম কৃষ্ণ বিশ্বাস

আমি যখন ছোট ছিলাম
কান্না করতাম বেশি।
তখন আমায় চাঁদ দেখিয়ে
করতো মায়েখুশি।
মা কে বলি চাঁদ কে
একবার এনে দাও না মোরে।
মা বল্লেন কেমন করে
চাঁদ ধরে দেই তোরে।
চাঁদ তো থাকে অনেক দূরে
নীল আকাশের পানে।
কেমন করে বলতো আমি
চাঁদ এনে দেই তোরে।
চাঁদের কথা ভুলে গিয়ে
খেতে বসো ঘরে।
তার বদলে অনেক কিছু
এনে দিবো তরে।।।

Regards,
Ram krishno biswas | ramkrishnobiswas124@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

কবিতা - উৎপাদক

উৎপাদক

জীর্ণ-শীর্ণ ক্ষুদ্র রুগ্ন-আড়ষ্ট মোর কায়া,<br>
কোলাহলময় নির্জন পথে;<br>
বিরামহীন হেটে চলি,<br>
আপনি দেখিনা আপনার ছায়া।<br>
<br>
ওহে চির উন্নত-উদ্ধত-বিত্তবান<br>
ভেবে দেখেছো কি?<br>
তোমার কায়া,তোমার ছায়া<br>
আমার তরেই বহমান।<br>
<br>
আমি পিছনে বলেই, তুমি সামনে<br>
আমি মুচী বলেই,তুমি গাজী<br>
আমি মেথর বলেই, তুমি হাজী<br>
আমি পশ্চাতেই রই, উহাতেই সই<br>
তবুও আমায় পিশতে কর কত কারসাজি! <br>
<br>
হেলায় অবহেলায় কাটে দিবারাত্রি<br>
উহাতেই সুখ তোমার<br>
আমার ব্যার্থতায় ফুটে তোমার হাসি<br>
কারন আমি পেছন পথের যাত্রী।<br>
<br>
আইন গড়ো,ভাঙো তুমি যেমন ইচ্ছে তেমন,<br>
খেলো তুমি দাঁড়িপাল্লার সাম্য-বিন্দু নিয়ে!<br>
ঘুড়াও তুমি দাঁড়িপাল্লার পাল্লা<br>
তবু মোর লঘু ভুলে কেন হায় হায় উঠে রব<br>
ভুল তুই করলি কে&apos;ন?<br>
<br>
স্থলজ আমি জলেতে বাস<br>
জলেই কাটাই দিন<br>
আমায় কুড়ে কুড়ে খেয়ে<br>
উদ্ধত-উন্নত তুমি হয়েছ প্রথম<br>
সারির উন্মাদ লোক<br>
পেছনের চাষা আমি <br>
পেছনেই মোর স্থান হোক!<br>
<br>

Regards,
Abdullah Al Noman | aalnoman591@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

বন্ধুত্বের টানে ---- স্নেহাশিস পালিত

বন্ধুত্বের টানে
---- স্নেহাশিস পালিত
১১-০৮-২০১৯

নিজেকে খুঁজে ফিরি তোমাদের মাঝে,
কাজের ফাঁকে, সকাল, দুপুর, সাঁঝে
একান্ত ভালোবাসার অধিকারে।

অদেখা বন্ধু যত পৃথিবী জুড়ে
শুধু মনের কাছাকাছি হৃদয়পুরে,
চাক্ষুস নাইবা হলো তাতে কি?

হৃদয়ের টানে, বন্ধুত্বের সেই রসায়ন
অবিচ্ছিন্ন থাকুক না হয় সারাক্ষণ
বেলা অবেলার অান্তরিকতায়।

যত দূরে, যেখানেই হোক আছে জানি
বন্ধুত্বের চির অটুট বন্ধন খানি
এভাবেই যদি পেতে পারি...

অকৃত্রিম স্নেহসুধা, হৃদয়ের বারতা
পুঁজি হোক ঘুচিয়ে যত অসাড়তা
সুখে বা দুঃখে শান্তনা পেতে।

ক'দিনের এই জীবন স্রোতে ---
ভালোবাসার মিলন ব্রতে
যদি মিলি ক্ষতি কি বল তায়।
Copyright@Snehasis Palit

Regards,
Snehasis Palit | snehasis.palit@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

কোরবানি .......এস.এম বিল্লাল

কোরবানি
.......এস.এম বিল্লাল

কোরবানি করো বান্দা
করো প্রভুর নামে।
হৃদয়ে আছে যত কালিমা
ভেসে যাক, মুছে যাক
পশুর রক্তের দামে।

ভনিতা করে নয়,
নয় মেকি বাহাদুরী,
গোসত বন্টন করিও
সঠিক তরিকাহতে
শুনিও গরীবের আহাজারি।

বাজার থেকে বাজার ঘুরে
কিনেছো পছন্দের পশু প্রানী
হালাল পয়সায় রুটি রোজগারে
ফজিলত বিষয়টি রেখো জানি।

দ্বীনের নিয়মে যাকাত প্রদান করো,
আছে সম্পদ যত তোমার,
নয়তো এই সম্পদ পরকালে হবে
বিরাট পাপের পাহাড়।

এতিমের হক নস্ট করো না
করো না তাদের বঞ্চিত,
তোমার সম্পদেই তাদের
অধিকার আল্লাহ করেছেন নিহিত।।

১০.০৮.১৯
ফুলপুর

Regards,
এস.এম বিল্লাল | bellalsmbh@Gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

বাহারি পশুর নাম মোঃ হাসু কবির

বাহারি পশুর নাম

মোঃ হাসু কবির

পথে ঘাটে খোলা মাঠে
শহর কিংবা গ্রামে
ছাগল গরুর হাট বসেছে
কোরবানিরই নামে।

সাদা কালো রং বেরঙের
লাখো পশুর মেলা
ডন যুবরাজ খোকা বাবু
হাজার নামের খেলা।

বাহারি সব সাজুগুজু
সকল পশুর গায়ে
হেলেদুলে চলে সদা
ছন্দ তুলে পায়ে।

এসব পশুর দামটা শুনে
চোখটা ওঠে মাথায়
গায়ে তখন জ্বরটা আসে
কেনা নিয়ে ভাবায়।

কালিয়াকৈড়, উল্লাপাড়া সিরাজগঞ্জ।

Regards,
মোঃ হাসু কবির | hashu.kabir0@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

"প্রিয় কাশ্মীরকে নিয়ে ঈদের গান" - আমার ঘরে ঈদ এনে দাও! By মাহদী হাসান ফরাজী

"প্রিয় কাশ্মীরকে নিয়ে ঈদের গান"

আমার ঘরে ঈদ এনে দাও!
মাহদী হাসান ফরাজী

আমার ঘরে ঈদ আসেনি, আমি যে কাশ্মীর
আমার ঘরে সুখ হাসেনি, হয়েছে লাশনীড়
আমার স্বরে বিদ্রোহী গান, পায়েতে জিঞ্জির
আমার স্বরে বিপ্লবী প্রাণ, তুলেছি শমশির।

হয় শরিয়ত শুনো নয় শাহাদাত...
নিলাম শপথ যেন পাই সা'আদাত...

তোমরা বলো 'ঈদ মোবারক', আমরা রণে যাই
তোমরা করো কুরবানী আর আমরা হ‌‌ই জবাই
তোমরা ঈদে পেট পুরে খাও, আমরা উপোস ভাই
তোমরা বিলাও ঈদ সেলামী, আমরা রক্ত হায়..
তাই, বিন কাসিমের পথ চেয়ে ক্ষণ প্রহরে অধীর
আমার ঘরে ঈদ এনে দাও! আমি যে কাশ্মীর...।



আমার ঘরে ঈদ আসিবে স্বাধীন হলে দেশ
দেখবে তখন আনন্দ ক্ষণ সুখের ছোঁয়া বেশ
হাসবে যুবক বৃদ্ধ শিশু, দুঃখ হবে শেষ
'ঈদ মোবারক' বলব হেসে, করব সালাম পেশ..
এই আশাতেই পথ চেয়ে র‌‌ই, আসবে কি ফের বীর
আমার ঘরে ঈদ এনে দাও! আমি যে কাশ্মীর...।



সমাপ্ত

তাং- 10/8/19 ইং
8/12/40 হি.
শনিবার সন্ধ্যা 6.35 মিনিট।

Regards,
মাহদী হাসান ফরাজী | mahdihasanforazi1997@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

গণপিটুনি - যে রোগের ওষুধ নেই

গণপিটুনি - যে রোগের ওষুধ নেই
******************************
রচনা - অসিত কুমার পাল

সময়ে সময়ে নানা জায়গায় নানা রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে,
তাদের মধ্যে কিছু কিছু রোগ প্রাণঘাতি হিসাবে সাব্যস্ত হয় ।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে কিছু রোগের ওষুধ আবিস্কার করেন,
কিন্তু চেষ্টা স্বত্বেও কিছু রোগের ওষুধ অনাবিস্কৃত থেকে যায় ।
এধরনের একটি ভয়ঙ্কর রোগের নাম গণপিটুনি বা গণধোলাই ,
ইদানিং দেশের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন সময়ে এর প্রাদুর্ভাব ঘটছে ।

কোন একজন তার ব্যক্তিগত স্বার্থে তার অপছন্দের লোককে
মোবাইল চোর বা ছেলেধরা বা ধর্মবিরোধী হিসাবে ঘোষণা করে।
তারপরে গুজবে বিশ্বাসী কিছু নিষ্কর্মা লোককে প্ৰরোচিত করে
সেই মানুষটির প্রতি অবিরাম নির্মম অত্যাচার শুরু হয়ে যায় ।

কোন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে না ,
পুলিশ অনেক দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃত অথবা অর্ধমৃত
অবস্থায় লোকটিকে উদ্ধার করলেও অভিযুক্তদের খুব কম
ক্ষেত্রেই ধরা যায় বা আইনের সাহায্যে শাস্তি দেওয়া যায় ।

প্ৰচলিত কোন ট্যাবলেট ক্যাপসুল ইনজেকশন সিরাপ বা
মলম দিয়ে গণপিটুনির মারাত্বক রোগকে কাবু করা যায় না ।
তাই এখানে ওখানে অনেক লোক গবিপিটুনিতে মারা যাচ্ছে ।
বিজ্ঞানীরা এই মারন রোগের ওষুধ আবিষ্কার করতে পারবেন ?

😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢

তাং - ২৪/০৬/২০১৯ ।

Regards,
Ashit Kumar Paul | ashitpaul@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

দোষারূপের উঁই পোঁকা ------------------------------------------মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

দোষারূপের উঁই পোঁকা
------------------------------------------মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
*************************

আজিকায় তোমার ধ্যানে প্রাণের ক্ষেতে
দোষারূপের উঁই পোঁকা ভাই উঠেছে আজ মেতে ।

প্রায়শই শুনি অনেকের মুখে মুখে
কেউ সব কেড়ে নিলো তার ঘরে ঢুকে !
আমি বলি তুমি কেন এতো ভিতু তাতে ?
তুমি যদি বীর হও এগিয়ে এসো সাথে;
আমি চাই আজি নেও জাতির ভার হাতে ।

আজিকায় শুধু শুনি কথা আর কথা কতকের মুখে মুখে
কেউ নাকি কেড়ে নিলো অধিকার সব স্বৈর দ্বার খুলে !
তুমি কি রুখে দাড়িয়েছো হে বীর ?
ওহে তোমার গর্জনে চেয়ে আছি অধীর !

ওরা কত সংখ্যক তোমার গর্দানে শ্বাস ফেলে যায় স্বৈর পাল তোলে ?
আজ তো কোটি কোটি জনতাই গিয়েছে আপনার দায়িত্ব ভুলে !
অধিকার কি কেউ দেয় ? আদায় করে নিতে হয়
নিজ কাঁধেই দায়িত্ব তুলে নেও হে বীর -দুর করে সব ভয় !

জাতি চেয়েছে তোমায় প্রাণে প্রাণে এই যুদ্ধের অগ্রপানে-
তুমি কি প্রস্তুত হে বীর ?
আর দেখতে চাই না তোমায় ধ্যানে প্রাণের ক্ষেতে
দোষারূপের উঁই পোঁকা ভাই আবার উঠেছে মেতে ।
--------------------------------------------------31-07-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

প্রাণে প্রাণে ভীষণ কোলাহল --------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

প্রাণে প্রাণে ভীষণ কোলাহল
--------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
**************************
ইদানিং দেখি এক অস্থিরতার মত্ত মানুষের প্রাণে
কোথাও নেই কোন প্রেমের স্পর্শ্ নশ্বর পানে
প্রাণে প্রাণে ভীষণ কোলাহল,
হিংসে বিদ্বেষে ছুটেছে মানুষের দল
কে জিতল আর হারল এই নিখিল!
সে হিসেব শুধু কষে ক্ষণে ক্ষণে
ক্ষমতার দ্বন্দে শ্রেষ্ঠত্ব হারাচ্ছে ভুবনে ।

সাম্যের ভাষা মানুষের জাগে না কেন, প্রেম থাকে যদি!
ব্যাথিত প্রেমিকের অভিশাপ শুধু কুড়াই নিরবধি !
হৃদয় কি আর খুলবে না প্রেমের জানালা ?
কে বুঝবে তবে এই বৈষম্যের জ্বালা ?

এক অসহ্য ব্যাথা লেগে আছে প্রাণে !
মানুষ হয়েও জাগনি তুমি মানবতার কল্যাণে ।
প্রাণে প্রাণে ভীষণ কোলাহল,
হিংসে বিদ্বেষে ছুটেছে মানুষের দল ।
-------------------------------------- 30-07-2019,রাওনাট, কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

সন্তানের পথ যে গিরি পর্বতে ঘেরা

সন্তানের পথ যে গিরি পর্বতে ঘেরা
---------------------------------------
তুমি কি জানো জনক কোথায় চলিছে ভবিষ্যৎ পাঞ্জেরী?
জননীর সব দুঃখ-সুখের মাঝে সে যে স্বপ্নের কান্ডারী !

কিসের মোহে কোথায় ছুটিছে তোমার দুলাল-দুলালী ?
কোন সে ঘরে দিবা নিশি জ্বলিছে দীপক- দিপালী !

নিজ গৃহে হয়নি তো পরবাস ,সঙ্গ দোষের পরে ?
সন্তানের পথ যে গিরি পর্বতে ঘেরা নিষদ্ধ আঁধারে

নবীণ প্রজন্ম মরিছে আজ চক্রের ফাঁদে ফাঁদে
মদ, গাঁজা, ইয়াবা ফেনসিডিল প্রিয়ার কাঁধে কাঁধে ।

একটু ভুলে যদি সন্তান পথ হারায় দুষ্টের বাণী শুনি,
তুমি কিভাবে এড়াবে দায় হে জনক- হে জননী ?

ঘর পালিয়ে কোন সে সীমাহীন নভোপানে;
পাঞ্জেরী ছুটিছে সঙ্গোপনে ? এ খবর কি পিতা জানে !

এসো খবর নেই কোন সে পথে ছুটিছে আদুরে ছেলে মেয়ে-
সন্তানের পথ যে গিরি পর্বতে ঘেরা অশুরের সৈনিক হয়ে !!
---------------------------------------------37-07-2019,
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

সন্তানের পথ যে গিরি পর্বতে ঘেরা

সন্তানের পথ যে গিরি পর্বতে ঘেরা
---------------------------------------
তুমি কি জানো জনক কোথায় চলিছে ভবিষ্যৎ পাঞ্জেরী?
জননীর সব দুঃখ-সুখের মাঝে সে যে স্বপ্নের কান্ডারী !

কিসের মোহে কোথায় ছুটিছে তোমার দুলাল-দুলালী ?
কোন সে ঘরে দিবা নিশি জ্বলিছে দীপক- দিপালী !

নিজ গৃহে হয়নি তো পরবাস ,সঙ্গ দোষের পরে ?
সন্তানের পথ যে গিরি পর্বতে ঘেরা নিষদ্ধ আঁধারে

নবীণ প্রজন্ম মরিছে আজ চক্রের ফাঁদে ফাঁদে
মদ, গাঁজা, ইয়াবা ফেনসিডিল প্রিয়ার কাঁধে কাঁধে ।

একটু ভুলে যদি সন্তান পথ হারায় দুষ্টের বাণী শুনি,
তুমি কিভাবে এড়াবে দায় হে জনক- হে জননী ?

ঘর পালিয়ে কোন সে সীমাহীন নভোপানে;
পাঞ্জেরী ছুটিছে সঙ্গোপনে ? এ খবর কি পিতা জানে !

এসো খবর নেই কোন সে পথে ছুটিছে আদুরে ছেলে মেয়ে-
সন্তানের পথ যে গিরি পর্বতে ঘেরা অশুরের সৈনিক হয়ে !!
---------------------------------------------37-07-2019,
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

জনতাই ভি আই পি --------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।


জনতাই ভি আই পি
--------------------------------কবি মোঃ
আমিনুল এহছান মোল্লা।
***************************
ক্ষমতার পদ পেয়ে আমায় পড়ে কি আর মনে ?
সেথায় তোমার স্বৈর শাসন আপন আয়োজনে !

ট্যাক্সের টাকায় বিত্ত তুমি রাজ্য লুণ্ঠনে
জনতা সে পিষ্ঠ এখন তোমার অগ্রাসনে ।

তখন তুমি বলতে আমায় হবে নাকো স্বৈর
এখন দেখি তুমিও সেই ভি আই পি ‍রূপ ধর!

আমিই শুধু নিভে গেলাম জীবন যুদ্ধের রণে
দাপুটে তুমি ট্যাক্সের টাকায় রাজ্যের সিংহাসনে

বুঝলে না আর জাতির ব্যাথা সন্তান হারা শোক !
আটকে দিলে পথটি আমার নাই বা শুনে দুঃখ !

ভাবছো তুমি ভি আই পি ক্ষমতাধর কেউ
ভুলে গেছো সেবক তুমি অন্য কিছু নও-

সেবার মন হারায়ে তুমি বিষম অত্যাচারী-
যদিও তুমি রাজ্যের পোষা জন কর্মচারী !

অধিকার কেড়েছো আজ তোমার শাসন তর,
এই চেয়ারে দেখি শুধু আপন স্বার্থের দৌড়!

জনতাই ভি আই পি নহে তুমি ওগো-
ট্যাক্সের টাকায় পেয়েছো তুমি ভি আই পি লগো ।
-------------------------------------------30-07-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

দূর করে দে এডিস মশা ----------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

দূর করে দে এডিস মশা
----------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
************************
আর কতকাল দিবি মোদের ডেঙ্গু মশার মৃত্যু কামড়?
মানুষ যে আজ ভয় করেছে কাঁপছে সবাই দিন ভর!
ছোট-বড় ধুঁকছে জ্বরে, ঘরে বাইরে মরছে কত
বাংলায় আজ মৃত্যু ভয়, দেখছে না কেউ এডিস যত !

তোদের শুধু একটি রোগ দোষে দোষে গাহিস গান
কথার পরে কথা বলিস নাইবা করিস সমাধান ।
হচ্ছে হচ্ছে শুনি মুখে, মিডিয়ায় জুড়ে যাচ্ছে দেখা
উড়ছে মশা দিচ্ছে কামড় তবু নাহি হয় শেখা ।

জৈনক তুই এগিয়ে আয় সেবার ভ্রতে হৃদয় খুলে
লোক পটানো মুখে বুলি আজিকায় আর নাহি ভুলে
অনেক তোরা বলেছিস ভাই এবার একটু মুক্তি চাই
নিধন চাই -নিধন চাই -এডিস মশার নিধন চাই,

অনেক তো খেয়েছিস ভাই,এবার একটু থামা ক্ষুধা,
আয়রে এবার দিয়ে যা জনসেবার মৌলিক -সুধা ।
ডেঙ্গু জ্বরে বলি দিয়ে করিস না আর মিথ্যে পূজা
দূর করে দে এডিস মশা, রক্ত নিয়ে দিসনা সাজা-

আর কতকাল দিবি মোদের ডেঙ্গু মশার মৃত্যু কামড়?
মানুষ যে আজ ভয় করেছে কাঁপছে সবাই দিন ভর!
------------------------------------------------------------29-07-2019,রাওনাট,
কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

অনুকবিতা - আমি চুপ থাকব

অনুকবিতা - আমি চুপ থাকব
**************************

যদি আমার কথায় কেউ আঘাত পায়,
আমি বরং চুপ করে থাকব ।
যদি সংকটজনক পরিস্থিতিতে পড়ি
আমি তখন চুপ করে থাকব ।

যখন অন্য কারো কথা শোনার পালা
তখন আমি চুপ করে থাকব ।
যখন আলোচ্য বিষয়ে জ্ঞান সীমাবদ্ধ
তখন আমি চুপ করে থাকব ।

যখন আমার কথা সম্পর্ক ছিন্ন করে
তখন আমি চুপ করে থাকব ।
আমার কথা যথাযথ গুরুত্ব না পেলে
আমি বরং চুপ করে থাকব ।

একাধিক ব্যক্তি একসঙ্গে কথা বললে
আমি বরং চুপ করে থাকব ।
জ্ঞানগর্ভ আলোচনা চলতে থাকলে
আমি বরং চুপ করে থাকব ।

😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢

রচনা - অসিত কুমার পাল
তাং -২৬/০৭/২০১৯ ।

Regards,
Ashit Kumar Paul | ashitpaul55@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

বৃষ্টির আমেজ - কবিতা

বৃষ্টির আমেজ ******

বৃষ্টির আগমনে
ময়ূর পেখম মেলে
ছন্দ মিলিয়ে নাচে সে
বৃষ্টি নুপুর তালে।

ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ করে ব্যাঙ
প্রেম নিবেদন করে।
নদী-নালা টইটুম্বুর
মাছেরা নাচন করে।

কৃষকের মহাখুশি
ফলন ভাল হবে
জেলে ভাই জাল নিয়ে
ঘরের বাহির যাবে।

ধুলো মাখা প্রকৃতি
নতুন রূপে সাজে
মরা ডালেও নতুন কুঁড়ি
উঁকি দিতে থাকে।

কর্ম ব্যস্ত জীবনে
একঘেয়েমি নিরানন্দ
বৃষ্টি আনে ছুটির দিনে
একটু বৈচিত্র্য।

26.07.2019

Regards,
বৃষ্টির আমেজ | erinaronno@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

চাঁদ - কবিতা

চাঁদ ****
ছোট্ট শিশু চাঁদ মামাকে
দেখে ঘুম আনে
মা এর কাছে শিশুর লাগি
চাঁদ যে ঘুমের বড়ি।

ক্ষুধার রাজ্যে ক্ষুধিতে
চাঁদ ঝলসানো রুটি
প্রেমিকের চোখে চাঁদ
প্রেমের স্বর্গ ভূমি।

লেখকের চোখে চাঁদ
নতুন ছন্দ আনে
মাতাল সুরার পাত্রে
চুমুক তোলে চাঁদে।

বিজ্ঞানী চাঁদে খুঁজে
অজানার সন্ধান।
অভিযাত্রীর চোখে চাঁদ
নতুন গন্তব্য স্থান।

দুঃখীরা নিজ দুঃখ
জানায় চাঁদকে
সুখী জনে পূর্ণিমাতে
সিক্ত হয় আনন্দে।

শুনছি যে চাঁদে নাকি
বসত গড়তে পারে
ধনী যাচ্ছে কিনতে মাটি
গরিব কপাল ঠোকে।
***** ইরিন আরণ্য

Regards,
ইরিন আরণ্য | erinaronno@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

এবার আর থমকে যাবো না - কবিতা

এবার আর থমকে যাবো না
--------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
আমি আর থমকে যাবো না
কোন কিছুতেই আমি শুধু আর থমকে যাবো না ।

যে রক্ত প্রবাহের উত্তালে স্পন্দিত হতো প্রাণ
এখন সেখানে সেই তরঙ্গ অনুভব করি না বুকের গভীরে
স্বপ্নের মৃত্যু দেখে আমি আর থমকে যাবো না ।

হৃদয়ে বীজ বুঁনে বুঁনে
এতো কাল শুধু ছুটেছি, শুধু ছুটেছি এক কৃত্রিম লাবণ্যের পিছুন পিছুন
কখনো ভেবে দেখেনি চৌদিকে এতো জলহীন মরু প্রান্তর-
এতো দাউ দাউ অগ্নি স্ফুলিঙ্গ !
আজ সেখানে শুধুই চিতা, প্রাণের অন্তিম শ্মশান ।
থমকে যাবো না, আর শুধু থমকে যাবো না ।

জানি, তুমি হারালে হারাবো কিছু! আর আমি হারালে হারাবো সব
তাই বাগানে ফুটাবো নব পুষ্পের ফুল, আমি আর থমকে যাবো না ।

যতই আগুন দাও, তবুও পোড়াবে না আর আমাকে-
আমি আজ নব শপথে ছুটেছি, আমি এক নব যোদ্ধা ।

প্রেম বিজয়ের স্বপ্ন দেখি আমি আঘাত আসুক যতই আসুক,
এবার আর থমকে যাবো না-
নিষ্ঠুর কোনো কিছুতেই শুধু আমি আর থমকে যাবো না ।
-------------------------------------------------------------17-07-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

টুপটাপ পড়ছে বৃষ্টি" -- নিলুফার জাহান

"টুপটাপ পড়ছে বৃষ্টি"
-- নিলুফার জাহান


দিনভর টুপটাপ করে শুধু
পড়ছে এতো বৃষ্টি।!
বৃষ্টির শব্দে অপরূপ এক
ভালো লাগা সৃষ্টি।

বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়ে নাচছে
গাছ পালা ফুল পাখি,
নতুন পাতা পল্লব সাজে
পুলকিত আঁখি।

শুষ্কতার দীনতা নেই আর
জাগে দগ্ধ ধরা
ফুটছে ফুল কদম কেয়া
কেটে গেছে জ্বরা।

প্রাণের উচ্ছ্বাসে ভরা খাল
বিল পুকুরের পানি
ইচ্ছে করে ডুব সাঁতারে
শাপলা তুলে আনি।

বৃষ্টিতে ধুয়ে পরিষ্কার
হয় পুরো প্রকৃতি
কতো ফুল ফসলে ধরা
পরিশুদ্ধ অতি।

বৃষ্টির মতো ধুয়ে শুদ্ধ
হতো যদি আজ
সব মানুষের মনোভূমি
সুখ করতো বিরাজ।

Regards,
NILUFAR JAHAN | nilufarjahan.64@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

ফাগুনের জোছনা //মোঃ মিজানুর রহমান।

ফাগুনের জোছনা
//মোঃ মিজানুর রহমান।

ফাগুন বনে আগুন জ্বেলে,
মাতাল করে কৃষ্ণচূড়া।
দূর গহীনে বংশী বাঁজে,
লাল বসনে শিমুল সাঁজে।
পাগল করা বংশী বাদক,
সুর-লহরী যেন মাদক।
কোন গাওয়ারটা ইচ্ঁড়ে পাকা,
ঢেউ খেলে যায় হৃদয় কোনে।
সুরের তানে আমায় ডাকা,
ভোর হয়ে যায় জেঁগে থাকা।
ফাগুন দিনে জোঁস্না রাতে-
কে খেলবি আমার সাথে,
আদীম নৃত্যে, ভরি চিত্তে
শব্দে শব্দে কাব্য-কলা।
খ্যান-বেখ্যানে ঝিঁঝিঁরা সব
অতীষ্ঠ্য মন যত কলরব।
জোনাকিরা দল বেঁধেছে
কুল-কাননে সভা করছে,
মিটিমিটি জ্বলে জ্বালা-
প্রেমীষা মন আজ উথালা।
০২/০১/২০১৭ইং।
লুৎফর রহমান সড়ক,বরিশাল।

Regards,
Md.Mizanur Rahman | mdmizan85@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

আমি হয়ে যাবো, তোমারই হয়ে যাবো - কবিতা

আমি হয়ে যাবো, তোমারই হয়ে যাবো
--------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
**********************
একবার হৃদয় দিয়ে দেখো আমি কতোটা কাছের,
কতো হুলুস্থূল উঠে পিঞ্জর গভীরে তোমার !
তুমি হৃদয় খুলে দেখ
যত কষ্ট সব নিমিষেই মুছে গিয়ে-
তীব্র প্রেম ধারা ফিরে আসবে শিরে –উপশিরে
স্পর্শের শাখাগুলো ওঁত পেতে রবে প্রণয়ের উৎসবে
অনুভূতিগুলো নেঁচে উঠবে গোপন ঠিকানা-

তুমি হৃদয় খুলে দেখলে
সীমাহীন কামনা নিয়ে আমার দিকে আসবে, এগিয়ে আসবে
যুগল উম্মাদে মেতে উঠবে এক স্বপ্নিল আশ্রমে-
শুধু হৃদয়ের মর্মটা বুঝলে
তুমি আসবে তীব্র বেগে আসবে আমার সন্ধানে
আমি তোমারই হবো এই বিশ্বাসে
শুধু একবার খুলে দাও হৃদয়ের কপাট!
আমি হয়ে যাবো, তোমারই হয়ে যাবো শর্তহীন বন্ধনে ।

একবার হৃদয় দিয়ে দেখো আমি কতোটা কাছের,
কতো হুলুস্থূল উঠে পিঞ্জর গভীরে তোমার !

----------------------------------------------------------------02-07-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

কবিতা "অবুঝ পৃথিবী" কলমে - অমিতাভ মুখার্জী ২৮/০৬/২০১৯

কবিতা
"অবুঝ পৃথিবী"
কলমে - অমিতাভ মুখার্জী
২৮/০৬/২০১৯

পৃথিবীর বুকে মেতে যায় নির্মম মানুষেরা ।
ফালাফালা করে দেয় তার জঠর
বোমের আঘাতে !
কেঁদে ককিয়ে ওঠে যন্ত্রনায়
ফ্যালফ্যাল চেয়ে সহ্য করে
অবুঝ পৃথিবী...|
মাটির পাঁচ ফুটের নীচে
হাত বাড়ায় নগ্ন অলিন্দে
পৃথিবীর গোপন অঙ্গে
উঠে আসে নগ্ন কঙ্কাল
হাড়গড় থেকে ওঠে
আদিম পোকামাকড়
তাদের গায়ে হাত বোলায়
অবুঝ পৃথিবী ...|
ইতিহাস গড়ে সেইজনেরা ।
পৃথিবীর বুক খোঁড়ে ধারালো অস্ত্রে
নগ্নকায় হাত চালিয়ে তুলে আনে
প্রসবিত মৃত সন্তানের কাঠামো,
সাজিয়ে রাখে মিথ্যে আনন্দে
কাটা ছেঁড়া দেহে শুয়ে থাকে
অবুঝ পৃথিবী |
গোপন বুকের ভেতর হ'তে
উঠে আসে অমূল্য রতন ।
মানুষেরা যুদ্ধে মাতে মিথ্যে অধিকারে
নীল রক্তে ভেসে যায় পৃথিবীর দেহ ।
পিছলে যায় সত্যের পথ
হারিয়ে যায় আসল দেহ ।
জ্বলে উঠে নকল দেহের দর্প,
চোখের জলে ভাসে
অবুঝ পৃথিবী ...।
পৃথিবীর সৈনিকেরা যুদ্ধ করে
তাঁদের বাবা-মা, স্ত্রী, ছেলে-মেয়েকে
তুচ্ছ করে এগিয়ে আসে পৃথিবীকে বাঁচাবে বলে।
কিন্তু, কেউ হারে কেউ জিতে যায়
শত শত মৃতদেহ বুকে নিয়ে জেগে থাকে
অবুঝ পৃথিবী |
সেইসব সৈনিকদের মনে রাখেনা কেউ
পচতে থাকে তাদের স্মৃতি
অশান্ত জলের ঢেউ-এ
ভেসে যায় অজানা গহনে
তাদের পচা মৃতদেহ গুলো
ছিঁড়ে খায় পৃথিবীর হায়নারা
তারা বেঁচে থাকবে বলে,
ওদের কষ থেকে গড়িয়ে পড়ে রক্ত
হারগোড় গুলো শব্দ করে চিবোয়
চিবিয়ে চিবিয়ে ধুলো করে
সেই ধুলোয় শুয়ে থাকে
অবুঝ পৃথিবী ...।
আপন মনে খেলা করে প্রকৃতি
পৃথিবীর আদিম সন্তান এরা
ভারসাম্য থাকে ওদের হাসিখুশিতে
মনের সুখ সাচ্ছন্দ্যের আদরে
বাড়তে থাকে পৃথিবীর আয়ু
ওদের প্রশ্বাসে নিশ্বাস হয় বাতাস
ওদের অঙ্গে ঘর বাঁধে পৃথিবীর পাখিরা
শাবক থেকে পাখি হয় ওদের দোলনায় দুলে |
কাল বৈশাখীর কপট ঝড়ে আগলে রাখে তাদের
তবুও বাঁচে না -
আসে নির্মম রক্ত চোসা দল
তাদের হাতে থাকে নিষ্ঠুর কুঠার
কোপে কোপে জ্বলে ওঠে অট্টহাসি
কাটা অঙ্গ হতে ঝরে পড়ে রস রক্ত হয়ে|
পৃথিবীর বুকের অতলে ফোঁটা ফোঁটা রক্তের চিন্হ নিয়ে
একটা সকালের দিনগোনে
অবুঝ পৃথিবী ...।
মাটি জল বাতাসে বেড়ে ওঠে মাটির দেহ
রূপসী বাংলা সেজে ওঠে আবার অপরুপা হয়ে |
বাংলার কৃষক ভরিয়ে তোলে সবুজ খেত
গাছের পাখি জাগিয়ে তোলে
সবুজ পাতা আর সুপ্ত কুঁড়িদের |
পুবের সূর্য মেঘের সাথে লুকোচুরি খেলতে খেলতে
হটাত নেমে আসে কালবৈশাখী -
এসব কে ভেঙ্গে খান খান করে মাটি চিরে জেগে ওঠে
জঞ্জাল ভর্তি এক মানুষ...
দাপিয়ে বেড়ায় সমস্ত পৃথিবী
তার চোখে থাকে কামাগ্নি আর মুখে বিনয়ের ভাব ।
কলুষ চামড়া ঢাকা থাকে দামী
কাপড়-পাঞ্জাবির আবরণে
চোখে চশমা আর হাতে মন্ত্রপূত তাবিজ
কোনো অসত সাংবাদিকের বিজ্ঞাপনে
কলুষ খোলস থেকে বেরিয়ে পড়ে
এই বিনয়ের অবতার
মোটা টাকার বিনিময়ে ..,
সে অনায়াসে মুখের ভেল্কিতে
ধরতে পারে বেকার দল
মিথ্যা প্রতিশ্রুতির বন্ন্যায় ভাসিয়ে দিতে পারে
তাদের কুলহারা খরকুটোর মতো., তেমনি -
চোখের আগুনে পোড়াতে পারে নারীদেহ |
নারীযোনি হতে অনায়াসে বের করে
ছুঁড়ে দিতে পারে তাকে রাস্তায় বেজম্মার ভিড়ে...।
তারপর - চরচর করে বারে লাইন,
ওই বেজম্মার মা-গুলো সব গিয়ে
জড়ো হয় বেশ্যালয়ে |
রাতজাগা নিশাচরের মতো জেগে থাকে
অবুঝ পৃথিবী ...।
তার পড়ে ওই বেজম্মাগুলোকে
রাস্তা থেকে তুলে এনে একটা
পরিচয় দেয় তাদের -
কুখ্যাত অখ্যাত অমুক - তমুক
ওরা বেঁচে থাকে পায়ের তলায়
আর নেতাগুলো সব ওদের
ধেইয়ে দেয় অসামাজিক কাজে
বাম ডান সমস্ত দিক ...
নিজেদের গদি মজবুত করে
ওদের জীবনটাকে বাজি রেখে |
খুন জখম নারিধর্ষণ চুরি ডাকাতি
অপহরণ শেষে অনুশোচনায়
ভুগতে থাকে বেজম্মার বাচ্চাগুলো |
উলঙ্গ দেহে খুঁড়তে থাকে-
খুঁজতে থাকে সত্যিকার পরিচয়
ক্লান্ত অবসন্ন দেহে জেগে থাকে
তাদের নকল কাঠামোটা |
স্যাঁতস্যাঁতে অথচ নির্মম ।
একটা কালো কুতকুতে মেঘ
ওদের জীবনটাকে গ্রাস করে নেই
একটা বজ্রাঘাতের মতো পড়ে থাকে
কোনো ডাস্টবিনের ধরে
নেতার প্রয়োজন মিটে গেলে ।
পৃথিবীর পরিচিত শকুনেরা ওই
পরিচয়হীন বেজম্মার লাশগুলোকে
ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায় ; রক্তের স্বাদ
টকটকে জিভে তুলে টলতে থাকে
অবুঝ পৃথিবী ...।
সারা পৃথিবীতে লড়াই
বেঁচে থাকা আর অধিকারের লড়াই,
দুটোর সংগা এক হলেও
রক্ত ঝরে বুক থেকে পেটে।
অদৃশ্য অধিকারের গদী টলতে থাকে
আসন্ন পরিবর্তনের ঝড়ে ।
ক্ষুধার জন্তুটা রোষে ওঠে!
অকিঞ্চন উদরে, ঝরতে থাকে রক্ত |
জঠর থেকে ঠেলতে থাকে ভ্রুণটা |
সাদা কালো মানুষেরা কখনো
অপেক্ষা করে পরিবর্তন ।
আর্তনাদে চির ধরে সারা দেহে ,
দুর্ভিক্ষ উদরে ধুঁকতে থাকে
অবুঝ পৃথিবী ...।
অন্যদিকে আছে ধর্মের হাট-বাজার
সেখানে কেনাবেচা হয় ধর্ম নিয়ে
এ যেন এক জান্তব তান্তব
মন্দির-মসজিদগুলো সব
শিং বেঁকিয়ে গুঁতিয়ে বেড়ায়;
অধর্মচারীরা জালবোনে হাটে বেচবে বলে |
বণিকরা জাহাজ ভাসায় গভীর সমুদ্রে
আমদানি রপ্তানি হয়; নরম কে কঠিন করে
বাতাসে উড়ে অধর্মের অর্থ |
মাঝ দরিয়ায় অতলে নামে পৃথিবীর ডুবুরীরা
অতল থেকে তুলে আনে মনিমানিক্য; সোনালী মাছ ।
দেশের নিজস্ব রত্নরাজি চলে যায়
অপর দেশে কালো অর্থের বিনিময়ে |
সোনালী মাছ বন্দী থাকে
মনোরঞ্জনের কাঁচের জারে
নগ্নকায় পৃথিবীর দেহ ঢাকতে চায় অন্যজনে ।
স্বছ বস্ত্রের আবরণ উড়ে যায়
অধর্মের কালো বাতাসে
নগ্নকায় মাথা হেঁট
অবুঝ পৃথিবী ...।
থেমে যায় কবির কলম
ভেসে ওঠে সাদা পাতায় বৈশাখী সন্ধ্যা
বধুর শাঁখে কেঁপে ওঠে
কবির নরম হৃদয়
ডেকে যায় সন্ধ্যাপেঁচা
ঘরে ফেরে শুয়োরের বাচ্চা
কচুর গোঁড় গিলে;
ঘরে আসে মা লক্ষী |
পূর্নিমার চাঁদ কলঙ্কের মায়া কাটিয়ে
নেমে আসে সোনার বাংলায় |
এই সোনার বাংলার আনাচে কানাচে
তারাই ঘুরে বেড়ায়
নির্জনতার খোলসে ভরা থাকে
তাদের নির্মম কলুষতা
চুরি ডাকাতির অন্ধ কারাগারে কিম্বা
ধর্ষিতা রমনীর আঁচলে
বন্দী থাকে তাদের ঠিকানা ;
মদের বোতলে নাচে উন্মত্ত হিংস্রতা
ললাট রেখায় ফুটে ওঠে লোভের আগুন
সমাজে ওরাই কেউকেটা
ওরাই সমাজের হত্তা-কত্তা বিধাতা
রাজার পাশের আসনে থাকে
ওদের অগাধ অধিকার |
নৈতিক নিয়মে ছড়ি ঘরে
আমার - তোমার - তাহাদের মাথায় ।
ধেয়ে আসে জলের স্রোত
সত্যের আঁকি বুঁকি নির্মম প্রত্যুষ
হারিয়ে যায় গহন মিথ্যার অন্তরালে
কালো অন্ধকার নামে ঢেকে যায়প্রত্যুষ |
চারিদিকে শুধু অন্ধকার আরঅন্ধকার
সেই ঘন অন্ধকারে তুমি আমি সব্বাই অন্ধ
এক চিলতে আলো খুঁজি প্রত্যুষের
বন্যার স্রোতের মতো অন্ধকার কব্জা করেছে মানুষদের
যারা কালো চুরি করে তারাই আজপ্রত্যুষের শত্রু
কারণ...আলোর মুখোশে ভেসে যাবে তার আসল রূপ
ধুয়ে যাবে কালোর স্পর্শ
তুমি বা সে আমি বা আমরা সবাই
আলোর অপর বিশ্বাসী বলেই |
সমস্ত পৃথিবী ছেয়ে গেছে উগ্রপন্থীতে
বেসামাল আইনকানুন...প্রাণ ওস্ঠাগত হৃদকম্পন...!
তারই মাঝে রাজায় রাজায় কোলাকুলি
বেড়ে গেছে বিশৃঙ্খলা...বেজে গেছে রণ দামামা....।
কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে মুন্ডু .. মাংস .. হারগোর
শিরা..অস্তি..পেট..হৃদয়ের নরম মানবিকতা
স্থুল হয়ে গেছে বুদ্ধিজীবির বুদ্ধিমত্তা
লোপ পেয়েছে শিক্ষা দীক্ষা মানব জীবনের শ্রেষ্ঠত্ব।
তাইত একদল করে মিছিল একদল লোটে ক্ষমতা-
বাকিরা থাকে গোপনে তাদের হাতে থাকে
সত্যের চাবিকাঠি..নতুন দ্বারের অপেক্ষায় |
হাড় জিরজিরে বুকে থাকে গনগনে বিপ্লবী আগুন ।
পৃথিবীর পাদদেশে সৃষ্টি করতে চায়
নব জাগরণের উভুত্থান |
পৃথিবী গড়ছে ..গড়ছে সেই মানব মানবী বহুযুগ আগে...
শুরুতে যারা জন্মেছিল..ভেঙ্গে
আবার নতুন করে গড়তে বসেছে
অবুঝ পৃথিবী ...।
----------------------------------------------
©️ অমিতাভ মুখার্জী। পঃবঃ। ভারত।

Regards,
অমিতাভ মুখার্জী | mamitava1969@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

একটু ভালবাসা চাবো - কবিতা

একটু ভালবাসা চাবো
---------------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
*************************
একটু ভালবাসা দেওয়া যাবে?
বহুদিন হলো শুন্যতা কাটে না বুকের!

শুধু একটু ভালবাসা চাবো
এর বেশী অন্য কিছু চবো না, কখনো চাবো না
হৃদয়ের এই উচ্ছসিত দাবি খুব বেশী উতালা উম্মাদ
যেখানে শুধু তুমি, শুধু তুমি
অন্য কিছু চাবো না,
ভালবেসে এমন কি অপরাধ করেছি !

এতোটা কাছে না এলেও কিংবা রোমান্টিক না হলেও ক্ষতি নেই
অভিমান নেই যৌবিক শুন্যতায়,
হৃদয়ের রঙ আর তুলি দিয়ে
শুধু এঁকে নাও-আমাকে এঁকে নাও
প্রাণের গভীরে মেতে উঠবো প্রেমের উচ্ছাসে ।

পৃথিবীর সব হেরে যাবে, প্রাণের স্পন্দন থেমে যাবে,
শুধু ভালবাসাটা জেগে রবে হৃদয় থেকে হৃদয়ে
প্রেমহীন প্রাণ খরায় পীড়িত খাঁ খাঁ
চাষাবাদহীন পতিত জমি

শুধু একটু ভালবাসা চাবো
এর বেশী অন্য কিছু চবো না, কখনো চাবো না ।
-------------------------------------------26-06-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

অপেক্ষায় আছি - কবিতা

অপেক্ষায় আছি
-------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
*********************************
এক অনুভূতির ব্যকুলতা বুকে নিয়ে বসে আছি
শুন্যতার দিকে প্রাণ,শুন্যতার দিকে স্পন্দিত প্রবাহ-
এক অস্থিরতা নিয়ে ছুটে চলেছি নশ্বর ভাঁজে ভাঁজে
কেউ ফিরে দেখেনি অগ্নি শিখা, এই জ্বলন্ত ঊনুন।
প্রেমকে খোঁজেছি, অবিরত খোঁজেছি অদৃশ্য অনুভবে

কখনো খুলেনি কেউ প্রাণের অবরুদ্ধ কপাট
এক অহংকারী সিংহাসন হতে তেড়ে এসেছে নিষ্ঠুর চাবুক!
এই প্রাণ রক্তাক্ত করেছে বার বার,ক্ষত বিক্ষত করেছে নিভৃতে
প্রেমের আকাশে জেগে উঠেছে বিরহের চাঁদ-
সব কোলাহল স্তব্দ হয়ে গেছে চঞ্চল রক্ত প্রবাহে
তবু কেউ ফিরে দেখেনি-

অনুভূতির উচ্ছাসে কত ডেকেছি- কেউ শুনেনি—
এক অবুঝ পাগলামী বুকে নিয়ে বসে আছি একা, বড় একা..
হৃদয়ের পাখিরা অতি দ্রুতই ভুলে যাচ্ছে
অভিজাত প্রেমের ঠিকানা,
এই হৃদয় প্রাণহীন মূর্তির মতন নির্বিকার !
তবু প্রেম তাকিয়ে আছে…

শুধু তোমার দিকেই প্রাণ, অপেক্ষায় আছি-
-------------------------------------------25-06-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

শুধু তোমাকে পাই না - কবিতা

শুধু তোমাকে পাই না
-----------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
**********************************
আজো আমি রন্ধে রন্ধে দূর্নীতির মহাযজ্ঞ দেখি
আজো আমি চৌদিকে সিন্ডিকেটের স্পর্দা দেখি,
বঞ্চিচের আহাজারি শুনি আজো আমি জনতার ভেতরে
এ বিজয় কি ভুলে গেছে সেই মুক্তি যুদ্ধে পাওয়া লাল সবুজের অঙ্গিকার?
গণতন্ত্রে স্বৈরতন্ত্রের অঙ্গুলি দেখি
চেতনায় লেগে আছে এখনো বিদ্রোহীদের কালো ছায়া ।
অথচ এই মায়ের সন্তানেরা পিতার ডাক শুনে সেইদিন গর্জে উঠেছিল,তাজা বুককে রঞ্চিত
করেছিল হাসিমুখে
একটু মুক্তির জন্যে-

আজ সন্তানেরা ভুলেগেছে সেইসব লক্ষ শহীদের রক্তের দাম !
তারা আজ পুজে নিয়েছে প্রেমহীন প্রাণ! খুঁজে নিয়েছে আপন স্বার্থের মহারাজ্য ।
অনৈতিক অমানিশায় বিনিদ্র রজনী জেগে আছে পথভ্রষ্ট প্রাণ
এ যেন মীরজাফরের সহোদর কেউ!
স্বাধীনতা আজও পরাধীনতার খোলসে আবদ্ধ!
বিজয়ের উৎসব থেমে গেছে সীমাহীন দুর্নীতির অন্ধকার গহবরে-

কবিতা ভুলে গেছে আধুনিক কবি
পাঠক ভুলে গেছে সেইসব কবিতা
হৃদয়ের সাহিত্য আজ শূন্যতায় ভরপুর
একি তবে লক্ষ শহীদের রক্তে রচিত কোন মহাকাব্য নয় ?

আমি তো দেখি এখনো প্রতিটি লাইনে লাইনে লেগে আছে রক্তের দাগ !
তুমি কি দেখ ?
কেউ যেন লুটে নিচ্ছে তোমার কবিতা, গল্প, সাহিত্য , উপন্যাস কিংবা ঐতিহ্যের
ইতিহাস!
আর কত ঘুমাবে? জেগে উঠ হে লাল সবুজের প্রাণ !
লক্ষ শহীদের রক্তে আমি দেখি প্রবাহিত বিজয়ের তরী
লক্ষ মায়ের চিৎকারে শুনি বঞ্চিত প্রাণের মুক্তির ধ্বনি !

শুধু তোমাকে পাই না !
কবির রচিত কবিতার শিরোনামে কিংবা লক্ষ শহীদের রঞ্জিত মহাকাব্যে ।
-------------------------------------------23-06-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

হেরে যাওয়া মানে শেষ কথা নয় --------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা ।

হেরে যাওয়া মানে শেষ কথা নয়
--------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা ।
****************************
হেরে যাওয়া মানে শেষ কথা নয়-অপমান নয়
হেরে যাওয়া মানে নয় শির নত করা সমর দূর্গ্
হেরে গেলে আরো নব কিছূ সূচনা হয়ে যাবে
না পাওয়ার শূন্যতা জুড়ে

হয়তো কোনো শূন্যতা কখনো কখনো
ইস্পিত স্বপ্নকে উতলা করে তুলে হৃদয়ের গভীরে
জেগে ওঠায় সুপ্ত কণিকাগুলো
আর বজ্র কন্ঠে বলে-
পরাজয়-ই- বিজয়ের প্রতীক !

বিরহ- ব্যদনা, পারাজয়- র্ব্যথতা পৃথিবীর আঘাত সমুদর
আগামী বিজয়ের অদম্য শক্তি, অপ্রতিরোধ্য বাহাদুর ।
ঠিক যেন ঝরে যাওয়া পুস্পের ঘ্রাণ বকুলের সৌরভ
সুবাস আর সমীরণের অদৃশ্য বন্ধন!
তবুও কি হেরে যাওয়া মানে শেষ ?
না না কখনো না-

হেরে যাওয়া মানেই আগামী দূর্গ্ম বিজয়ের গর্জ্ন ।
সাহসীদের প্রাণে সেই সুর-ই- বাজে
যেখানে এক বিজয়ের পতাকা উড়ে যুদ্ধের প্রতিটি মুহূর্তে
এই সুন্দর পৃথিবীর বুকে-
অদম্য স্পৃহাই বেঁচে থাকে যুগ থেকে যুগান্তরে ।

হেরে যাওয়া মানে শেষ কথা নয়-অপমান নয়
হেরে যাওয়া মানে নয় শির নত করা সমর দূর্গ্ ।

--------------------------------------------------18-06-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

এই প্রাণ ছেনে ছেনে অনুভব করেছি -----------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

এই প্রাণ ছেনে ছেনে অনুভব করেছি
-----------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
********************************
কখনো পারিনি বলতে,কখনো পারিনি তোমাকে
এই প্রাণ ছেনে ছেনে অনুভব করেছি প্রেম,
এক হৃদয়ের আহবানে নিভৃতে খুঁজেছি আমার তুমিকে
তবুও পারিনি, আজো পারিনি বলতে তোমাকে ।

অনুভূতির কপাট খুলে কতো প্রহর গুনেছি মর্তলোকে
একটু এলেই আমি পেয়ে যেতাম তোমাকে, হয়তো তুমিও!
এক অদৃশ্য স্পর্শের ব্যাকুলতা এখনো পুড়াচ্ছে আমাকে
তুমি কি তার লেলিহান শিখা দেখতে পাও ?

এক প্রেমের তীব্রতম গভীর উল্লাসে
তোমার কবিতাকে,তোমার স্পন্দিত কাব্যকে হৃদয়ে গেঁথেছি, অতি বিস্ময়ে পড়েছি-
কখনো পারিনি বলতে, কখনো পারিনি তোমাকে
এই প্রাণ ছেনে ছেনে অনুভব করেছি- শুধু তোমাকে!

আজ তুমি দূর দিগন্ত পেরিয়ে,তবুও আছো
খুব গভীরেই আছো, সেই আগের মতোই আছো অনুভূতির প্রতিটি প্রবাহে প্রবাহে…..
এই অদৃশ্য তুমি যেন আলিঙ্গনের প্রতিটি মুহূর্ত্, প্রণয়ের প্রতিটি্ উৎসব।

এই প্রাণ ছেনে ছেনে অনুভব করেছি- শুধু তোমাকে!
---------------------------------------------17-06-2019,
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

শুধু প্রেমের হৃদয়টা খুলে দাও ----------------------------------মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা ।

শুধু প্রেমের হৃদয়টা খুলে দাও
----------------------------------মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা ।
***************************
চোখ মেলালেই ধূঁয়াশা নেমে আসে প্রাণে
অথচ কতইনা সবুজে ঘেরা মায়ের আঁচল ।
মুক্তির নিশানা খোঁজে পাই না কোনদিন,
এক অন্ধকারে ডুবে আছে স্বপ্নিল ।

একটু তাকালেই মাদকের অগ্রাসন দেখি যুবক হতে যুবকে
তরুণীও এখন সেই তরীর মাস্তুল
তারুণ্য ভুলেগেছে পথ, ভুলেগেছে যৌবনের পরিচয়
দেশ জুড়ে ফোটে আছে ভয়ঙ্কর মাদক পুস্প!

রাষ্ট্র কিংবা পরিবার ওঠো যদি জেগে তারুণ্যের অমানিশায়-
বাড়াও যদি হাত প্রকাশ্যে সামাজিক আন্দোলনে
যুবক যুবতী ফিরবেই পথ চিনে চিনে…
পথ ভুলে যাবে না কখনো তোমারই সন্তান-

অলি গলি তাকালেই দেখি গাঁজা ইয়াবা ফেনসিডিল-
তারুণ্যের হাতে হাতে যৌবন বিনাশী অস্র
পর্দার আড়ালে কেউ যেন তুলে দিচ্ছে এইসব!
কিন্তু ওরা বুঝে না
থাকবে না কখনো থাকবে না নিবেদিত তরুদল।

হাত বাড়ালেই মুঠো ভরে যায় ভয়ঙ্কর মাদক দ্রব্যে!
অথচ এক যুদ্ধে পাওয়া আমাদের মাতৃভূমি-
মাদকের অগ্রাসন হতে মুক্তি চাই-
আসলে বাঁধাটা কোথায়?
শুধু প্রেমের হৃদয়টা খুলে দাও এই বঙ্গে তুমি!
--------------------------------------------16-06-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

বিজয়ের ভেতরে ফণা তুলে আছে
--------------------------------------কবি মোঃ
আমিনুল এহছান মোল্লা
******************************
এক মুক্তির পতাকা হাতে নিয়ে বসে আছি।
বৈষম্যের দিকে চোখ, বৈষম্য স্বাধীনতার ভেতরেও
এক যুদ্ধের ঐতিহ্য হাতে নিয়ে বসে আছি।
রঞ্জিত বিজয়ের উৎসব,স্বাধীনতার উল্লাস ।
স্বার্থ্পর পাখিদের ঝাঁক লাল সবুজের অন্তরালে
বিজয়ের গর্বিত সুবাস ছড়ায় না আর এখন।

বাক যুদ্ধের যানজটে জাতি অবরুদ্ধ বহুকাল,
মুক্তির উৎসব যেন থেমে গেছে দূর্নীতির গ্রাসে গ্রাসে
সম্মুখে শুধু নেশা আর নেশা- কেউ নেই !
এক মুক্তির পতাকা হাতে নিয়ে বসে আছি ভারাক্রান্ত মনে…
পরাজয়ের সবচিহ্নগুলো অতি দ্রুতই ধেয়ে আসছে
জাতির শিরা-উপশিরায়,
বিবেকবান চেতনারা সব নির্বিকার ।
মিথ্যেরা জেগে উঠেছে মুক্তি যুদ্ধের প্রতিটি লাইনে লাইনে
আর অর্জ্নগুলো একে একে খসে পড়ছে…

তবুও বিজয়ের দিকে চোখ, অপেক্ষায় আছি-
এক দৃঢ় শপথের পাশেই পাবো জাতির প্রত্যাশিত মুক্তি
অশুরের বিষাক্ত অঙ্গগুলো খোঁজে নিবে চোরাপথ-
এই বুকে হাত রেখে স্বপ্ন দেখাচ্ছে প্রত্যয়ী সৈনিকেরা
যে চেতনার নীচে মুক্তি যুদ্ধ,লাল সূর্য্, সবুজ আঁচল।

অটুট থাকুক প্রাণে প্রাণে দেশ প্রেম- চকচকে,
ধ্যান জ্ঞানে উতলা হউক লাল সবুজ পতাকা শুধু ।

এক মুক্তির পতাকা হাতে নিয়ে বসে আছি,তবু অন্ধকার!
বিজয়ের ভেতরে ফণা তুলে আছে এক বিষাক্ত বিষধর !
দূর্নীতি! দূর্নীতি! দূর্নীতি!
-----------------------------------------------------------15-06-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর


Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

তুমি এই চেয়ারের অযোগ্য
----------------------------- কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
***********************
তোমার দিকে তাকালে কেন বাক রুদ্ধ হয়ে আসে ভাষা!
মনে জাগে সেইসব অত্যাচারী অশুরের কথা,
যে তোমাকে এতো মর্যাদা দিয়েছে,এতো ক্ষমতা দিয়েছে
সেইখানে বসেই প্রতিনিয়ত করছো অপমান,কেড়ে নিচ্ছো মর্যাদা
নিষ্ঠুর কালি ছুড়ে দিচ্ছো বঞ্চিত মানুষের দিকে
আহা সেই চেয়ারের কি উত্তাপ!
টের পাও কি ?

টের পাও কি? বঞ্চিত মানুষের সেই সব কালোরাত,
নাকি সেইখানে বসে ঘাতক চিলের মতো ছোবল মেরে চলেছো প্রকাশ্যে গোপনে!
যখন তোমার সম্মুখে শত বঞ্চিতের দুঃখ এসে
অসহায় এর মতো দাঁড়াতো -
তুমি কি চেয়ারের মর্যাদা রেখেছো?
আমি তো দেখেছি অশ্রু নয়নে ভেসে যেতে সেইসব বঞ্চিতের বুক !

যে চেয়ার তোমাকে এতো মযার্দা কিংবা ক্ষমতা দিয়ে গেলো ভরপুর!
তুমি কি তার মর্যাদা রক্ষা করেছো? নাকি লুণ্ঠন করেছো মনুষ্যত্ত্বের সভ্যতা!

তোমাকে দেখলেই বুক কেঁপে উঠে অনৈতিক অত্যাচারে
অথচ তুমিই অঙ্গিকার করেছিলে, তুমি এই চেয়ারের মর্যাদা রাখবে-
এইখানে বসে শোনাবে সেইসব ন্যায্য বিচারের কথা
বলেছিলে ঘুষ নিবে না,অযথা হয়রানি করবে না, ক্ষমতার দাপট দেখাবে না
অধিকার বঞ্চিত করবে না-
আজ সেখানে রক্ত চক্ষু, অনৈতিক ক্ষমতার দাপট,কোটি মানুষের অধিকার হারা শোক!

তোমার দিকে তাকালে কেন ভয় জেগে উঠে প্রাণে প্রাণে!
টের পাও কি ? অনৈতিক দাপটে উত্তাপ জল-স্থল,
আজ বঞ্চিতের অধিকার অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়ে-
ঘৃণা করে, তোমাকে ঘৃণা করে, প্রচন্ড ঘৃণা করে-
তুমি এই চেয়ারের অযোগ্য-
----------------------------------------------------15-06-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর






,

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

আজ আমি অবাক! তুমিও পারলে?
--------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
*****************************
কথা ছিলো, সততা আর বিশ্বাসে অটুট থাকবে অতন্ত্র প্রহরীর মতো
আজ তুমি অঘাত ব্শ্বিাসের ছায়া তলে ঘাতকের রক্ত ছিটালে
সিন্দুকের শরীরে লাগালে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ!
নিষ্ঠুরভাবে ছিনে নিলে রাজার গচ্ছিত ধন
চিরবিশ্বাসের মর্যাকে করলে দেউলিয়া-

মোহের এই নিষ্ঠুর দুষ্টেরা আজ অপমানের ঢেউ তুলেছে পাড়ায় পাড়ায়-
কোথাও পালানোর পথ নেই-
অথচ তুমিই একদিন সততার মুকুট পড়ে এসেছিল রাজার রাজ্যে-
সেইদিন রাজা তোমার বিশ্বস্থ হাতেই তুলেদিয়েছিল
গুপ্ত ধনের সেই রক্ষিত চাবি-

কথা ছিলো, রক্তের বিনিময়ে আগলে রাখবে রাজার গচ্ছিত ধন-
যে সততা, যে বিশ্বাস নিয়ে তোমাকে করেছিল সিন্দুকের প্রহরী
তার কপাটেই লাগালে কলঙ্কের দাগ
রাজা আজ ব্যাথিত তোমার নিষ্ঠুর আঘাতে আঘাতে
তুমি এক মূর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে আছো সীমানা তার ।

কথা ছিলো, তুমি ব্শ্বিাস ঘাতক হবে না, তুমি মোহের উর্ধ্বে রবে ।
অথচ তুমি হেরে গেলে, আমাদেরকেও নতশির করলে-
বিশ্বাসের জমিনে বুপন করে গেলে বিশ্বাস ঘাতকের বীজ
আজ আমি অবাক! তুমিও পারলে?
---------------------------------------------13-06-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

চোখ দু'টো ছিলো
-----------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
**********************************
চোখ দু'টো ছিলো বিখ্যাত কবির মতো রচিত কবিতার শস্যক্ষেত,
পলকে পলকে প্রাণের কথাগুলো রচিত হচ্ছিল পাতায় পাতায়
লেন্সগুলো ঝলকে ঝলকে তুলছিল স্পন্দনের প্রতিটি রক্ত কণিকা
কর্নিয়া, আইরিস, রেটিনা, অ্যাকোয়াস হিউমার, ভিট্রিয়াস হিউমার, অপটিক নার্ভগুলো
ছন্দে ছন্দে বুঁনেছিল অনুভবের বিখ্যাত কবিতা-

কবি কাল্পনিক ভ্রমনে-
শুধু দেখছিল আর এঁকে যাচ্ছিল হৃদয়ের ফ্রেমে সেই তোমাকে !
আর শিরোনামে লেখেছিল সেই অমর কবিতা
আমি তোমাকে ভালবাসি।

চোখ দু'টো ছিলো কবির কবিতার অনুপম শব্দের বিন্যাস,হৃদয়ের শ্রেষ্ঠতম ভাষা
সেই ভাষা ধরে আজো আমি ছুটে চলেছি—
আজো আমি খোঁজে চলেছি সেই কবিতার সন্ধানে-
কবি তো হলাম, কিন্তু কবিতা কোথায় ?
কেউ কি জানো?
আমি তো জানি সেই চোখের ভাষায় লুকায়ে আছে আমার কবিতা !
হয়তো কোনদিন আবৃতি হবে না আর-
তবু তুমি হৃদয়ের কবিতা ।

চোখ দু'টো ছিলো ঠিক যেন সেই কবিতার মতো-
যাকে আমি শর্ত্হীন ভালবেসেছি-
তবু কেন আজ সেই চোখের ভাষা এতো মলিন শীর্ণ্ আর ক্ষীন ?
-----------------------------------------------12-06-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর


Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

শুধু বুঝনা, শুধু তুমি বুঝ না
---------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা ।
************************
এতোদিন অপেক্ষায় থেকে থেকে শুধু চলেছি একাই,
অবুঝ প্রেমর স্পন্দিত প্রবাহে জেগে উঠেছে সফেন
দৃষ্টিহীন সীমানার প্রাচীরে ।

প্রেম পাইনি হৃদয়ের তরঙ্গে,
তবু প্রাণের কপাট খুলে রেখেছি অধীর আগ্রহে তোমার পথ চেয়ে
এই নির্দ্য় খেলা আর কতোকাল আর কতোটা জীবন!
ফুল শয্যায় না ফুটুক, ফুটুক তোমার প্রতিটি স্পন্দনে
কিছুটাতো প্রেম চাই, হৃদয়ের গহিন হতে চাই ।

হয়তো বহুকাল, হয়তো বহুকাল- হয়তো মৃত্যুঅবদি !
শুধু তুমি! শুধু তুমি!
তবে কেন তুমিহীনা এই আমি?
তুমিই তো এই হৃদয়ে নিভৃতে এসে প্রতিটি মুহূর্তে জাগো
হয়তো এইভাবেই প্রাণের স্পর্শিত মন্দিরে জ্বালাবে প্রেমের প্রদীপ!
প্রাণের কাছে প্রেম কি তবে শুধুই অপেক্ষাময়?

হয়তো হবে, না হলে কেন এতো ব্যাকুল প্রাণে ছুটেছি তোমার সন্ধানে-
এতো অধরা, তবু তুমি জেগে উঠ বুকের বুননে,
এই প্রাণ জানে, প্রতিটা স্পন্দনে স্পন্দনে কতোটা রক্ত ক্ষরন!
কতোটা হিসেবহীন যন্ত্রনা ধেয়ে আসে অনুভবের শাখে শাখে!

শুধু বুঝনা, শুধু তুমি বুঝ না-
আমি তো জানি, আমি তোমাকে কতটুকু ভালবাসি ।
---------------------------------------------12-06-2019,
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

চৌদিকে খুলে গিয়েছে
-----------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
***************************
খোঁজে ফিরি হারিয়ে-দরিয়ার অকূল অন্ধকার!
কোথাও নেই হারিয়ে গেছে মানুষের স্পন্দিত পিঞ্জর!
এই হৃদয়ে দেখিনা প্রেমের স্রোত রক্তিম জল,
তবে কেন তুমি শ্রেষ্ঠ হলে এই নশ্বর নিখিল ?
বৈষম্যের রক্তে রক্তে রাঙ্গালে বুক,
অসত্যে অসত্যে কেড়ে নিলে পৃথিবীর সুখ-
কোন মোহ পথ ভুলালো? ছিন্ন হল তোমার অন্তঃবল
জেগেছে প্রাণে কোন অশুরের স্পর্শ্, কোন সে দুষ্টের দল?
মোহের প্রতিযোগীতা স্পন্দিত প্রাণে করছে ঘা!
অথচ অন্ধকারে খোঁজে ফিরি মুক্তির কমল- পা !
বাহ্যিকে বাহ্যিকে চাই শান্তির বাসন্তী হাওয়া
খোঁজিনা না কভূ আপনার ভিতরে আলোর পরশন
চৌদিকে খুলে গিয়েছে ভ্রান্ত মোহের নষ্ট মন-প্রাণ।
--------------------------------------রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

স্মৃতি
.........নাসরিন জাহান মাধুরী

স্মৃতির ক্যাসেট প্লেয়ারে বেজে যায়
সাগর,কণিকা আর কিশোরেরা--
বইয়ের তাকে ধুলোপড়া বিচিত্রা, সন্ধানী
দেশ,সানন্দা,চিত্রালী আর পূর্বাণী ---
বারান্দার টব গুলো সেজে ওঠে লিলি
মে ফ্লাওয়ার আরো কতোসবে-
উঠোনে মায়ের বাগানে আজো ফোটে বেলি, হাস্নুহেনা গোলাপ।
ঘরের চাল বেয়ে তরতরিয়ে বেয়ে ওঠে বাগান বিলাস।
ভেলভেটে মোড়ানো ঈদ কার্ড!
কত যত্নে লিখে যাই ঈদের শুভেচ্ছা--
হাওয়াই মঠাই ফেরিওয়ালার হাকডাক --
ডেকে যায় চানাচুরওয়ালা শেষ বিকেলের আলোয়।
হঠাৎ সম্বিত ফিরে পেয়ে তাকিয়ে দেখি--
স্মৃতির মধুর অতীত আমায় এ কোন বর্তমানে নিয়ে এলো!

Regards,
নাসরিন জাহান মাধুরী | n.jahanripon@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

পরোক্ষ বন্ধু
সাঈদুর রহমান লিটন
০৩/০৬/১৯
**********************
চাকচিক্যময় জীবন
স্বপ্ন দেখার মতো উপাখ্যান
এগিয়ে চলছে বিশ্ব
থেমে গেছে জীবনের উল্লাস
হাসি কান্না একাকার।

নির্বিচার বৃক্ষ ছেদন
সুখ স্বপ্ন ছেদন আর বেঁচে থাকার
অবলম্বন, জেনে বুঝেই
বাঁচার আনন্দে অথবা লোভে।

সাময়িক সুখ, অসুখের রূপ
কেবা বুঝে ভবিষ্যৎ মরুভূমি মরুচর
যন্ত্রের ভরে চলছে জীবন।

একটি গাছ হাজারো জীবন
অক্সিজেনের গুদাম ঘর,
পরোক্ষ বন্ধু, ভালবেসে যাওয়া
জীবন্ত উদার হৃদয়।

একটি চারা রোপণ একজন
শিশু জন্ম দেওয়ার আনন্দ,
ভিতর থেকেই আসে,
আর একটি বাগান বুক ভরে
আসে সুখের উল্লাসে।

পাতায় পাতায় পল্লবিত হয়
প্রকৃতির রূপ। বদলায় ক্ষণে ক্ষণে
জীবনে হিসেব নিকেস। অবারিত সবুজ ভূমি হাতছানি দিয়ে আহবান করে সুস্থ জীবনের।

মানুষ নিরুপায়, উজার করতেই হবে
নচেৎ শান্তি নাই, ডিজিটাল জীবন
প্রকৃত জীবনের পরিপন্থী।
বিশ্ব এগিয়ে চলছে, ক্রমে ক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির খেয়াল খুশি।

Regards,
সাঈদুর রহমান লিটন | highschool108821@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

আনন্দ ছড়িয়ে দাও
------------------------------------মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
***************************
ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দাও এ দেহ প্রাণ
যে অমৃতকে খোঁজ তুমি এই নশ্বর ভুবন।
সে অন্তরে জেগে উঠাও চির প্রেমের রবি
যেখানে ন্যায্যতা হবে প্রতিটি প্রাণের বিশ্বছবি।
ধরণীর ভাঁজে থাকবে না কভূ বৈষম্যের প্রাচীর
আনন্দ ছড়িয়ে দাও, ছড়িয়ে দাও ‍তুমি বিস্তর-
এই উৎসবকে কর চির অম্মান , চির অবিন্শ্বর-
-------------------------------------------------2-6-06-2019 ।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

সাজ্জাদ হোসেনের কবিতা
*ত্রিশে'র চিঠি*
----------------------২৭-০৫-২০১৯
জীবনের প্রথম স্বপ্নিল চিঠি অক্ষত আজো হৃদয়ে,
ত্রিশ বছর বুকপকেটে অপেক্ষায় রয়ে গেছে ক্ষয়ে।

যে দেবীকে দেব বলে হৃদয়ের বাণী লেখা,
এ জীবনে তার সাথে হবে না আর দেখা।

এক সাথে এক স্কুলে লেখা পড়া এক সাথে চলা,
তবু হৃদয়ের কথাটি কখনও তারে হয় নি বলা।

বোবা কান্না-না বলা কথা ধুঁকে ধুঁকে মরে বুকের মাঝে,
আজও তার ছন্দ তোলা নূপুর ধ্বনি কানে সদা বাঁজে।

মনের গভীরে অহনিশি লুকিয়ে নরক জ্বালা,
দু'জনে কুড়িয়ে বকুল একসাথে গেঁথেছি মালা।

হাত বাড়িয়ে স্বপ্নেরমালা পরাতে পারে নি কেউ কারো গলে,
শৈশবের বর বউ খেলার স্মৃতিতে আজো ভাসি চোখের জলে।

সে আমার-আমি তার স্বর্গের বন্ধনে এই তো ছিলাম ঢের,
বিধির লেখায় চোখের জলে হারিয়ে যাব ভাবি নি কভু টের।

ত্রিশ বছর আগে ধূসর কফিনে যে প্রেমের হয়েছে সমাধি,
তাকে নিয়ে স্বপ্নরা আজো প্রেমের তাজমহল গড়ে নিরবধি।

চিঠির ভাঁজে শৈশবের বর বউ খেলা ফুলের মালা,
কাল গর্ভের অবর বেলায় অহনিশি দেয় নরক জ্বালা।

নীলখামের মলিন চিঠি নিরালায় পড়ে আজো আমি কাঁদি,
অবুঝ হৃদয়ে প্রেয়সীর পথ চেয়ে অভিসারে এখনও ঘর বাঁধি।
-----------------------------------(কাব্য: 'স্মৃতির বালুচর')

Regards,
সাজ্জাদ হোসেন | s.hossainbepza123@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

দীর্ঘশ্বাস (অণুকাব্য)

একটি ফুল
সূর্য্য স্নাণে ব্যকুল,
প্রতি নিঃশ্বাসে বাড়ে
তার বেঁচে থাকার বিশ্বাস।
পাশা-পাশি দুটি ফুলকলি
নীরবে ফেলে যায় দীর্ঘশ্বাস।।

Regards,
জিল্লুর রহমান জিম | jimnzk2017@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

নারী #নীলিমা_রহিম

#আঙ্গিক_আধুনিক_কবিতা
#নারী
#নীলিমা_রহিম
#তারখ: ১৫/০৫/২০১৯
--------------------------------------------------------------
বেজায় জটিল--
কঠিনও বটে!
রহস্যঘেরা দেহ মন--
চাওয়া না চাওয়া গোলাপী অনুভূতি-
বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না!
শান্ত অশান্ত নিকষ কালো গহন অন্ধকারে--
বিরহ মিলন একাকার নীল রঙের জলছবির ফ্রেমে।
ইমন রাগিণী বিরাগে বন্ধুর।
ভালোবাসায় বেলে দোআঁশ--
বর্ণিল কবিতার শরীর-
কবিমন অন্তহীন রহস্যের আধার।
সৃষ্টির সেরা বিস্ময়ের বিস্ময়-
নারীমন বটে!
ঈশ্বরও কী জানে!
দেবীর অপার রহস্যের আদি অন্তের বায়োপসি!
সাঁঝ মায়ার উড়ন্ত বলাকার ঝাঁক,
ক্যান নীড়ে ফেরে!
মনমুকুরে সোনালি ডানার চিল,
বেলা অবেলা কালবেলা ডানা ঝাপটায়--
সোনালি রোদ্দুরে অথবা কাঁচা হলদের পড়ন্ত বিকেলে।
রক্ত পলাশের আগুন হাসি,
যৌবনবতী কোকিলার কুহু কুহুতান--
সিম্ফনি অর্কেস্ট্রার কোরাস ঝংকৃত হয় যেন
রক্ত মাংসের শরীরের ভেতর অবিরত।
দিগন্তের নীলিমা যেন সর্পিল গতিতে নেমে আসে
হৃদপিণ্ডের গোলাপী গালিচায়।
নারীমন জটিল কূটিল চীনের মহাপ্রাচীর।
সপ্তাশ্চর্য হার মানে দেবীর চরণ ধূলায়!
ম্যাজিক নাকি ভালোবাসা!
নাকি চুম্বকের মতো কাছে অথবা দূরে অন্য কোথাও!
গোলাপী চুম্বনের কস্তুরী নাভে আদি অনাদি শৃঙ্গারে-
কখনও কখনও অসুরও মানুষ হয় নারীর ভালোবাসায়।

#© reserved by Neelima Rahim

Regards,
নীলিমা রহিম | neelimarahim1969@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

বেজায় জটিল--
কঠিনও বটে!
রহস্যঘেরা দেহ মন--
চাওয়া না চাওয়া গোলাপী অনুভূতি-
বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না!
শান্ত অশান্ত নিকষ কালো গহন অন্ধকারে--
বিরহ মিলন একাকার নীল রঙের জলছবির ফ্রেমে।
ইমন রাগিণী বিরাগে বন্ধুর।
ভালোবাসায় বেলে দোআঁশ--
বর্ণিল কবিতার শরীর-
কবিমন অন্তহীন রহস্যের আধার।
সৃষ্টির সেরা বিস্ময়ের বিস্ময়-
নারীমন বটে!
ঈশ্বরও কী জানে!
দেবীর অপার রহস্যের আদি অন্তের বায়োপসি!
সাঁঝ মায়ার উড়ন্ত বলাকার ঝাঁক,
ক্যান নীড়ে ফেরে!
মনমুকুরে সোনালি ডানার চিল,
বেলা অবেলা কালবেলা ডানা ঝাপটায়--
সোনালি রোদ্দুরে অথবা কাঁচা হলদের পড়ন্ত বিকেলে।
রক্ত পলাশের আগুন হাসি,
যৌবনবতী কোকিলার কুহু কুহুতান--
সিম্ফনি অর্কেস্ট্রার কোরাস ঝংকৃত হয় যেন
রক্ত মাংসের শরীরের ভেতর অবিরত।
দিগন্তের নীলিমা যেন সর্পিল গতিতে নেমে আসে
হৃদপিণ্ডের গোলাপী গালিচায়।
নারীমন জটিল কূটিল চীনের মহাপ্রাচীর।
সপ্তাশ্চর্য হার মানে দেবীর চরণ ধূলায়!
ম্যাজিক নাকি ভালোবাসা!
নাকি চুম্বকের মতো কাছে অথবা দূরে অন্য কোথাও!
গোলাপী চুম্বনের কস্তুরী নাভে আদি অনাদি শৃঙ্গারে-
কখনও কখনও অসুরও মানুষ হয় নারীর ভালোবাসায়।

#© reserved by Neelima Rahim

Regards,
নীলিমা রহিম | neelimarahim1969@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

বিজয়ের সূর্য্ কি জাগবে ------------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা ।

বিজয়ের সূর্য্ কি জাগবে
------------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা ।
******************************
যৌবনের গোধূলী জীবনের শেষে আসবে যখন দুয়ারে
তখন তুমি কি শান্তনা দিবে তাহারে !

বুঝনি তো কখনো দূর্বার যৌবনখানি
সম্মুখে আছে কত অন্ধকার গ্লানী
আজ তো সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে সমরে-
সেই তুখোর সৈনিকেরা মৃত্যেুর দুয়ারে।

অথচ কত দিন -কত রাত,
অবহেলায় জাগনি কত প্রভাত!
কত শক্তি, কত স্বপ্ন অপশক্তির পরশে
বিনষ্ট করেছো আলোহীন হরষে হরষে ।

কতই না উত্তাল যৌবনের কূলে কূলে-
ওই দম্ভ অহংকার ক্ষমতার ঢেউ তুলে-
দেহ তরী ছেড়েছো এই পৃথিবীর পলে পলে-
যৌবনের গোধূলী তো এসেগেছে-
মুক্তির আলো কি আছে ?

দিবসের যা কিছু সঞ্চিত ধন-
আঁধারে তা মুক্তির সব আয়োজন ।
জীবনের গোধূলী যেদিন আসবে দুয়ারে-
বিজয়ের সূর্য্ কি জাগবে উপসংহারে ?
---------------------------------------------14-05-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

তুমি ঘৃণিত ---------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

তুমি ঘৃণিত
---------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
*****************************
এক মনুষ্যত্বের পরাজয়-
প্রাণে প্রাণে উঠিল জাগিয়া পশু চরিত্র সমুদয়
প্রহরে প্রহরে অশুভ প্রাণেরা হিংস্রতা মেলে ধরি
স্বাধীন নিবাসে শিশু কিশোর যুবতী ধষর্ণে মরি ।

নিত্য দিনের এমন দৃশ্য যেন এই জাতির অপমান,
যে সভ্যতার খোঁজে মানুষেরা ছুটিছে মুক্তির উদ্যান!
সে উদ্যানে নরপশুরা রোপিছে নির্লজ্জ ধষর্ণের বৃক্ষ-
ছোবলে ছোবলে ক্ষত বিক্ষত করিছে কত সতির বক্ষ !

এতো গগণ বিদারী চিৎকার কেউ কি শুনে ?
এ কোন সভ্য সমাজে দাঁড়িয়ে ধর্ষিতা মৃত্যুর প্রহর গুনে!
যে নীড় তোরে করিল সৃষ্টি তারে দিলি কলংক করিয়া
তুই নির্বোধের মতো এ জগতে চলিস বুক উঁচিয়া-
তবু তোর পরিচয় তুই ধর্ষ্ক!

এ জাতি তোর অবসর চায়, এ জাতি তোর মৃত্যু চায়
দূর কর ঐ যৌবিক তারণা, প্রেম দে সব রিক্ত খাঁচায়।
মানুষই নিখিলে চির শ্রেষ্ঠ-ওই মনুষ্যত্বের দিশায়-
সে ই পারে মুছে দিতে ধর্ষকের পরিচয় মনুষ্যত্ত্বের ছোঁয়ায় !

ক্রমে ক্রমে পৃথিবীর সব প্রাণেরা জেনেগেছে- "তুমি ঘৃণিত" !
আর পরিচয় দিয়ো নাকে তুমি ধর্ষ্ক! তুমি নিখিলের হীন ।
----------------------------------------------------13-5-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

শিরোনাম-মা


মা এক অনুভূতি
জীবনে দিয়েছে গতি
জুড়ে আছে সারাটি মন ও প্রাণে,
সেই জন অভাগা
যেই জন মা হারা
ধাক্কা খেয়েছে জীবনের প্রতিটি ক্ষণে ।

Regards,
সুজয় মজুমদার | Majumdar2220@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

ভবিষ্যৎ

গোমড়া-মুখো প্যাঁচার দেশে
হাসতে সবাই গেছেই ভুলে
হাসলে পরে রাজামশাই
সোজা নাকি চড়ান শূলে -
হঠাৎ যখন রাজকন্যার
হলো খুবই বাড়াবাড়ি
বিদেশ থেকে মন্ত্রীমশাই
বদ্যি আনেন তাড়াতাড়ি -
বদ্যি বুড়ো দেখেশুনে
অনেক কষ্টে নাড়িটা গুনে
বলে ওঠে - ভাগ্য ভাল
বেঁচে গেছে কপাল গুণে -
এবার থেকে হাসতে হবে
সকাল-বিকাল অট্টহাসি
নাহলে খুব বিপদ আছে
কর‌ই যদি গড়িমসি -
বাধ্য হয়েই রাজামশাই
হাসির স্কুলটা খুলতে বলে
এখন নাকি ছেলে বুড়ো
আসছে সবাই দলে দলে |

Regards,
প্রণব কুমার বসু | mpkbasu@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

বৃদ্ধাশ্রম
রাতুল গুন

দশ মাস দশ দিন
করেছি গর্ভেধারণ
আজ পাঠিয়ে দিলি বৃদ্ধাশ্রম।
স্তনের দুগ্ধ পান করে
তুই তৃষ্ণা মিটিয়ে
আজ ভুললি আমাকে
পাঠিয়ে দিলি বৃদ্ধাশ্রম।
ধরে ধরে হাঁটতে শিখালাম
আমি আজ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটি
তুই কি বিবেক বুদ্ধি হারিয়ে ফেলে
পাঠিয়ে দিলি বৃদ্ধাশ্রম।
প্রতিদিন রাতে জেগে ছিলাম
তুই পড়বি বলে
আজ তুই প্রতিষ্ঠিত
বিশাল অফিসার
বিরাট বাড়িতে ছোট কোনে
আমার জায়গা নেই
পাঠিয়ে দিলি বৃদ্ধাশ্রম।
যখন ছোট তুই
কোলে নিয়ে ঘুরে ঘুরে
ঘুমপাড়ানি গান শুনিয়ে ঘুম পাড়ালাম
সব ভূলে গেলি তুই
পাঠিয়ে দিলি বৃদ্ধাশ্রম।

Regards,
Shirsendu goon | primeratul@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

সাজ্জাদ হোসেনের কবিতা
*আজব জামানা*
---------------০৭-০৫-২০১৯

আজব এই জামানা
নতুনের সব আছে জানা,
গুরুজন হয় না মানা
জ্ঞানীরা আজ মুরগী ছানা।

আজব এই জামানা
অনাহারী পায় না খানা,
সত্য বলায় জরিমানা
চাটুকরের ষোল আনা।

আজব এই জামানা
জন জীবন ফানা ফানা,
সত্য ন্যায় হয়েছে কানা
ভন্ডরা সব মামা নানা।

আজব এই জামানা
জ্ঞানী কথা শোনে না,
ভাল মানুষ মেলে না
মানী লোকের মানে না।

আধুনিক এই জামানা
কার সাথে কার তুলনা,
সে কথা কেউ জানে না
তিক্ত ঔষধ গেলে না।

পুঁথিপজি আজ ফেলনা
নর্দমায় নিয়ে ঢাল না,
যত আছে খেলনা
যত্নে ভরে আলনা।
----------------( নষ্ট গোলাপ)

Regards,
সাজ্জাদ হোসেন | s.hossainbepza123@yohoo.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

যতই করি ঘৃণা এই মিথ্যারে
------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
*************************
যে পরিচয়টা দিয়ে শ্রেষ্ঠ বলি আমারে
সে তরঙ্গ কি আছে মনের কারাগারে ?
যা কিছু করি নশ্বরে দিবারাতি
সেটুকু ওই পূর্ণিমার আলোয় গাঁথি,
ভুলে যাই এই পরিচয়ের অন্ধকারে
আমিও হই অদৃশ্য চির সত্যের বহরে-
স্বার্থের বিভোরে ধুলির পরে ধূলি-
শুধু চাই আপনাকে পরিচয় করে তুলি
কে কাকে হারায় এই ক্ষণিক ভুবনে!
সবে যেন উঁচু শির কেউ কারো নাহি মানে!
যতই করি ঘৃণা এই মিথ্যারে-
স্বার্থের মোহে ততই হারাই আপনারে ।
-----------------------------------------6-05-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর ।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

পিঞ্জর খুলে দিবে আমাকে
-------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্ল।
*********************
বড় অন্ধকার পিঞ্জরে লুকে আছো, প্রাণ আমার ।
গভীরে,খুব গভীরে, স্পন্দনের শব্দ শুনি নিশিদিন
অদৃশ্য শক্তির মূল কোথা -এ মাটির দেহ বিস্তারে;
কার নিরন্তর কারুকার্যে আমি,কে সেই অধিশ্বরে ?

যার প্রেমে ধীরে ধীরে এই নিখিলের বুকে আমি আজ!
স্পন্দিত প্রাণের ঠিকানা হয়ে আছি আমার ভিতরে
এক ক্ষণিকের ভেলায়, তার তৈরী করা পিঞ্জর শালা
পৃথিবীর নিবাস একদিন পিঞ্জর খুলে দিবে আমাকে—

আমার আমিকে খুঁজি আর খুঁজি প্রাণের সঞ্চারে পৃথিবী-
কিন্তু প্রাণ তুমি কোথা আছো ? এ দেহ কি ভুলে গেলে?
আপন দেহের ভাঁজে ভাঁজে বিদায়ের কত সংকেত!
ওই দুত ওঁত পেতেআছে যেতে হবে সব রেখে ।

এক ক্ষণিকের ভেলায়, তার তৈরী করা পিঞ্জর শালা
পৃথিবীর নিবাস একদিন পিঞ্জর খুলে দিবে আমাকে—
------------------------------------------------

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

এই রোজাই হবে মুক্তির ঢাল
------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
******************************
অনাহারে থাকলেই পূর্ণ্ হবে না তোর
রোজার মহিমা যদি না থাকে অন্তর ।

হয়তো আহার নিবি না দিবসে সম্মুখে-
তবু দেখবে, তোরে দেখবে বিধাতা তাঁর চোখে
রোজাদার হয়ে কোন রূপে তুই ভূ-লোকে
তুই কি খুলিয়াছিস মুনাফিকির ডোর!
প্রভূ ভীরু ছাড়া রোজা হবে না মুক্তি তোর ।

অন্তরে ভীরুতা নাই গো প্রভূ ভীরুতা নাই,
চৌদিক রোজাদার বেশে কত রূপ দেখতে পাই
কার সাধ্য আছে বুঝে তোরে মুনাফিকের বেশে!
সবকিছু আছে শুধু নেই রোজার মহিমা হেসে !
এখনো তুই অবিচার করিস আপন কর্মে এসে-

তোর প্রাণে জাগে যদি প্রভূ ভীরুতার সূর্য্
এই রোজাই হবে মুক্তির ঢাল চির ধার্য্য ।
-------------------------------------5-05-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

এ রোজা মুক্তির ঢাল হবে কেমনে?
----------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
***********************
দোকানে দোকানে লুট হচ্ছে প্রকাশ্যে গোপনে
রমজানের মহিমা স্বর্গে পৌঁছবে কেমনে !
পাইকারী খুচরা দূস্যু তারা
নিচ্ছে তুলে ইসলামের ধারা,
রোজায় যেখায় কমায়ে দেয় দাম ভুবনে
সেথায় বাংলায় দাম বেশী হয় কেমনে ?
ইসলাম যেথায় ন্যায্য দানের আসনে,
জুলুম অত্যাচার সেথায় থাকে কেমনে ।
লোভ লালসার জাল মেলে-
রোজার মহিমাকে দিচ্ছে ঠেলে,
প্রভূর ভয় কি জাগে না গো প্রাণে !
এ রোজা মুক্তির ঢাল হবে কেমনে?
------------------------------------------------5-5-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

রোজার মহিমাকে দিচ্ছে ঠেলে
----------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
***********************
দোকানে দোকানে লুট হচ্ছে প্রকাশ্যে গোপনে
রমজানের মহিমা স্বর্গে পৌঁছবে কেমনে !
পাইকারী খুচরা দূস্যু তারা
নিচ্ছে তুলে ইসলামের ধারা,
রোজায় যেখায় কমায়ে দেয় দাম ভুবনে
সেথায় বাংলায় দাম বেশী হয় কেমনে ?
ইসলাম যেথায় ন্যায্য দানের আসনে,
জুলুম অত্যাচার সেথায় থাকে কেমনে ।
লোভ লালসার জাল মেলে-
রোজার মহিমাকে দিচ্ছে ঠেলে,
প্রভূর ভয় কি জাগে না গো প্রাণে !
এ রোজা মুক্তির ঢাল হবে কেমনে?
------------------------------------------------5-5-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

ঘুষ ছাড়া এখানে সব শূন্য ছালা
----------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান
মোল্লা
*******************************
অফিসে অফিসে সিসি ক্যামেরা দেখতে পাই
দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর সব বাথরুম কিংবা অন্য কোথাও ভাই
ক্যামেরা সবধান করেনি অফিসের কেরানী,যে আছে পুরুষ-নারী
ঘুষ আর ঘুষের খেলায় নিশ্চুপ কেরানীদের কান্ডারী!
কেরানীদের অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে ন্যায্য সব টলমল,
ক্ষমতার নোংরা পথ দিয়ে কেরানীরা করে হট্টোগোল!
কথা বললে টাকা, কাজ করলে টাকা, না দিলে চুপ সবে
বাধ্য হয়ে ভোক্তভোগী পাপের ছুরিতে পুন্য করে জবে!
কি হবে সিসি ক্যামেরা করে স্থাপন ?
চরিত্র যদি না বদলে প্রাণ হতে প্রাণ !
ওহে পাঞ্জেরী শোনো,
ভোক্তভোগী আটকানোর আগে কেরানীদের লাগাম টানো!
ওদের পঙ্কে দুর্নীতির পদ্ম,পাঁপড়িতে পাঁপড়িতে পাপের ছাপ!
ওরা এখন জাতির অতঙ্ক !
শত কোটি মানুষের অভিশাপ-
ওদের এড়াতে না পেরে ঘুষ ছাড়া হয় না পার কেহ
দিতে হবেই ঘুষ! নয়তো ঘুরে ঘুরে কঙ্কাল হবে দেহ!
ওহে রাজ্যপতি বলিনি একটু মিছে,
সিসি ক্যামেরার আড়ালে ঘটে কত কিছু উঁচু- নীচে
কেরনীদের দূর্গ্ যেন ঘুষের রঙ্গশালা
ঘুষ ছাড়া এখানে সব শূন্য ছালা-
------------------------------------------------2-05-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

নিলর্জ্জ প্রর্দশনী
-------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
***************************
নিলর্জ্জ প্রদর্শনী ছড়িয়ে পড়েছে প্রান্ত থেকে প্রান্তে,
কি হবে আর প্রাচ্যের জাহেলী উম্মদনায় ?
কতদিন তুমি দেখাবে এইসব আর !
একদিনতো পতিত হবে উচ্ছিষ্ট হাড়ে
সেইদিন এইসবতো তোমার বিপক্ষে দাঁড়াবে !
নিলর্জ্জ প্রর্দশনী কুঁটে কুঁটে খাবে নিঃশব্দে
এইসব উম্মুক্ত জাহেলী চলবে কতদিন?
জেগে উঠা তোমার অবয়ব,
দুষ্টের শ্বাস প্রশ্বাসে যৌবক তারণা ক্ষেপে উঠে হিংস্র পশুদের মতো
হয়তো বলবে এইসব তোমার অধিকার-
কিন্তু যে অধিকার তোমাকে ক্ষত বিক্ষত করে ইহ লোক পর লোক
সারা অঙ্গে নখের থাবা আর অশুরের শর্স্পকে অনুপ্রাণিত করে
কতক্ষণ আটকে রাখবে অনিষ্টের মহরা?
আর কত নিলর্জ্জ প্রর্দ্শর্নী দেখাবে পথ-ঘাটে !
সভ্য মানুষেরা লজ্জা পায় তোমার এইসব দেখে দেখে-
তার চেয়ে বরং সভ্যতাকে অস্বীকার করো,
অস্বীকার করো লজ্জাশীলতাকে-
তখন সভ্যরা ভাববে তুমি নিষিদ্ধ পল্লীর কেউ-
কিন্তু আমি চাই তুমি ফিরে এসো এইসব নিলর্জ্জ প্রদর্নীর বদলে
সন্ধান করি সভ্য সমাজের,
উদয় হোক আদর্শ্ প্রাণের উজ্জ্বল উপমা এই নিখেলের বুকে
নিলর্জ্জ প্রর্দশনী নিভে গিয়ে জেগে উঠুক
এক সভ্যতার রবি প্রত্যেকের অন্তরে অন্তরে ।
-----------------------------------------------------02-05-2019,রাওনাট,কপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

তুমি তোমার দূর্গের সেনাপতি
-------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
************************
স্বজাতির সদস্যরা ক্ষেপেছে আজকে বসুধায়,
চৌদিকে নানা সমালোচনা দেখি পাতায় পাতায়
অনৈতিক চেতনা খোঁজে বক্র পথ,হিংসুক চোখ;
তাই প্রতিবাদ অসহনীয় এ মর্তলোক,
মিথ্যেরা এখানে রঙ ছড়ায় খোঁচায় খোঁচায় ।

দুর্নীতিবাজেরা জোট বেঁধেছে,রাজ্যের প্রতিটি কোণে,
সাহসী প্রতিবাদী আঘাত হেনেছে দুষ্টের বনে;
অভিশপ্ত সেই সব আত্নারা এখন অধীর-
প্রতিবাদীর বিরুদ্ধে জোট বেঁধেছে নিবোর্ধ্ শিবির!
দুনীর্তিকে চুমু খেয়েছে প্রকাশ্য আলিঙ্গনে-

অসাধুরা ধরা পড়ে গেছে এক সাহসীর কল্যাণে
তাদের আজকে জাতির শত্রু বলেই নিয়েছে চিনে
তবু সিন্ডিকেটেরা ধূর্তের মতো কূঁট চালে
কিন্তু ওরা ভুলেগেছে তুমি ষোল কোটি বাঙ্গালীর প্রতিনিধি-
তুমি তোমার দূর্গের সেনাপতি ।
এরূপ প্রচেষ্টাই পারে জাতিকে মুক্তি এনে দিতে

অসাধুদের প্রভাবে দমেনি কখনো হৃদয়ের প্লাবন
তুমি এগিয়ে চল,তুমি থাকবেই জনতার আসন ।
--------------------------------------------30-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

রাইড শেয়ারিং
----------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
*****************************
ইদানিং আচমকাই ফিরে আসে রক্তাপ্লুত লাশ!
যখন তখন ফিরে আসে, ব্যাপক দুঃখ নিয়ে ফিরে আসে,
ফিরে আসে স্বজন হারা ব্যাদনার গগণ বিদারী কান্না
রাস্তায় রাস্তায় দৌড়ে দক্ষ অদক্ষ রাইড শেয়ারিং
লাগামহীন ঘোড়ার মতো ছুটে চলে অতঃপর-
শহরের বুকে ফিরে আসে কিছু নৈতিক অবক্ষয়
কখনো কখনো মনে হয় নিষিদ্ধ পল্লী আমাদের শহর ও গ্রাম ।

এইভাবে যদি চলে ফিরে, খুব নিকটেই অন্ধকার দেখতে পাবো
যানজটের জট দ্রুত গোটাতে যেয়ে
যে রাইড শেয়ারিং এর তুমুল উল্লাসে
আমরা মেতেউঠেছি নতুন মিছিলে,সে এক রক্তাপ্লুত লাশ!
শত মায়ের অশ্রুঝরা চোখ,
শোকের প্লাবন মুছে যেতে না যেতেই-
খবর আসে লুটে নেওয়া সম্ভ্রমহানীর দুঃসংবাদ-
কত তরুণ-তরুণীর প্রাণ এই উৎসবে হেরে যাচ্ছে
একটু ভাবলেই চমকে উঠি!
এক অসভ্যতার উম্মুক্ত প্রদর্শনী দেখি ইদানিং কালে-

এই দায় তো তোমাকই নিবে হবে- হে সমাজপতি
হৃদয়ে উজাড় করা হাহাকার চলছে এক সভ্যতার খোঁজে
যানজটে রাস্তার বুক যেন দূরন্ত গাড়ীর গোরস্থান-
এর সমাধান কিন বেপোরোয়া রাইড শেয়ারিং ?
অন্ধাকার আসতে না আসতেই
তুমি জেগে উঠ হে রবি !
চৌদিকে গোধূলীর মহরা চলছে উম্মুক্ত রাস্তার বুকে !
--------------------------------------------------30-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

ফাঁসির মঞ্চের মতো
----------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
*************************
আজ এক অফিসে গিয়ে চেয়ারের উত্তাপে
অশ্রুনয়নে ভেসে-
বঞ্চিত বুকের ভেতর জেগে উঠে সীমাহীন যন্ত্রনা
কষ্টের কাফেলা-

দায়িত্বের সীটে সীটে যারা
ওঁত পেতে আছে স্বাধীন বাংলাদেশের রন্ধে রন্ধে
বকশিস, খরচাপাতি, সালামি আরো কত নাম!
চৌদিকে অনৈতিক যত আবদার !
এইসব করছে চেয়ারে বসে বসে তোমাকে তোয়াক্কা না করে
দুর্নীতির এক সিন্ডিকেট রাজ্যের প্রতিটি ক্ষেত ও খামারে

আমি অশ্রুনয়নে ভেসে অসহায়ের মতো চলেছি নঙ্গোরহীন পথে পথে
কে বুঝবে এই যন্ত্রনা?
আমার ট্যাক্সের পয়সায় যারা চলে,ওরাই আমাকে ত্রিভূবন দেখায়-
ওরাই আমাকে বঞ্চিত করে!
এ কেমন বিচার হে বিচারপতি ?

জিরো টলারেন্স বললেই সব চুকে যাবে তা আমি মানি না-
উন্নয়নের মহাসড়ক হলেই সব ফিরে পাবো তা আমি মানি না-
আমি নৈতিক উন্নয়ন চাই, অধিকার ফিরে পেতে চাই
আমি দুর্নীতির মৃত্যু চাই,
চেয়ারের অপব্যবহার করে যারা অফিস -আদালতে
পথে-ঘাটে কিংবা ক্ষমতার মসনদে
ফাঁসির মঞ্চের মতো উপমা দেখতে চাই বিচারিক এজলাসে—
-----------------------------------------------29-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

লাইনে লাইনে ঘোলা পানি অবাক বিষ্ময় !
যদিও ওয়াশা দায়িত্বে রয়েছে সারা নগরময়
চেয়ে দেখ আজ পানিতে পানিতে জীবানু
নগরবাসী দিশেহারা তবু রঙহীন রংধনু-
অভিযোগ উঠেছে চৌদিক থেকে বিশুদ্ধ নহে পানি
রক্তে মাংসে যোগ হয়ে গেছে যত সব ব্যাধির খনি

নগরবাসী যে বারে বারে
এই খবর পৌছে দিয়েছে কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে,
মিছিলে মিছিলে বিক্ষোভে বিক্ষোভে চিৎকার গর্জনে
কর্ণপাতহীন অবহেলা জনতা দেখেছে দুর্নীতির সিংহাসনে
যারা করেছে প্রতিবাদ পথে ঘাটে-
তাদের বিরুদ্ধেই তোমরা রয়েছো চটে !

তবু,
বিশুদ্ধ পানির দাবি করেছি তীব্রতর
সারা নগর শ্লোগানে শ্লোগানে থরথর
বিশুদ্ধ পানি চাই, বিশুদ্ধ পানি চাই
কোটি কোটি জনতা এ নগর বুকে রোগ- শোকে
ব্যাধির দলেরা হাজির সকলে রাজধাণীর বাঁকে বাঁকে ।

তোমরা মানবিক হও ওহে কর্তৃপক্ষ ভাই
দায়িত্ববোধের বিনিময়ে হয় হোক,তবু আমরা চাই ।
বিশুদ্ধ পানি! বিশুদ্ধ পানি! সারা নগরময়-
লাইনে লাইনে ঘোলা পানি অবাক বিষ্ময় !
যদিও ওয়াশা দায়িত্বে রয়েছে সারা নগরময় ।
-------------------------------------------28-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

লাইনে লাইনে ঘোলা পানি
--------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
****************************
লাইনে লাইনে ঘোলা পানি অবাক বিষ্ময় !
যদিও ওয়াশা দায়িত্বে রয়েছে সারা নগরময়
চেয়ে দেখ আজ পানিতে পানিতে জীবানু
নগরবাসী দিশেহারা তবু রঙহীন রংধনু-
অভিযোগ উঠেছে চৌদিক থেকে বিশুদ্ধ নহে পানি
রক্তে মাংসে যোগ হয়ে গেছে যত সব ব্যাধির খনি

নগরবাসী যে বারে বারে
এই খবর পৌছে দিয়েছে কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে,
মিছিলে মিছিলে বিক্ষোভে বিক্ষোভে চিৎকার গর্জনে
কর্ণপাতহীন অবহেলা জনতা দেখেছে দুর্নীতির সিংহাসনে
যারা করেছে প্রতিবাদ পথে ঘাটে-
তাদের বিরুদ্ধেই তোমরা রয়েছো টচে !

তবু,
বিশুদ্ধ পানির দাবি করেছি তীব্রতর
সারা নগর শ্লোগানে শ্লোগানে থরথর
বিশুদ্ধ পানি চাই, বিশুদ্ধ পানি চাই
কোটি কোটি জনতা এ নগর বুকে রোগ- শোকে
ব্যাধির দলেরা হাজির সকলে রাজধাণীর বাঁকে বাঁকে ।

তোমরা মানবিক হও ওহে কর্তৃপক্ষ ভাই
দায়িত্ববোধের বিনিময়ে হয় হোক,তবু আমরা চাই ।
বিশুদ্ধ পানি! বিশুদ্ধ পানি! সারা নগরময়-
লাইনে লাইনে ঘোলা পানি অবাক বিষ্ময় !
যদিও ওয়াশা দায়িত্বে রয়েছে সারা নগরময় ।
-------------------------------------------28-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

সব কিছুর মাঝেই তুমি

সব কিছুর মাঝেই তুমি
------------------------------ কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা ।
*********************
তোমাকেই আগামীর যোদ্ধা মনে হয়
তোমার ভিতরেই সব স্বপ্ন লুকে আছে
কাঙ্খিত মুক্তি যেন দেখি তোমার পরতে পরতে
তুমি বিজয়ের উপমা, রণ দূর্গে বুক উঁচিয়ে
যুদ্ধ কর তুমি এক অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে মুক্তির অভিলাসে
তোমার ভিতরে সেইসব দৃঢ় অঙ্গিকার ।

এক সত্যের পতাকা দেখতে পাই তোমার দূরন্ত আঙ্গিনায়
অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবিচল যুদ্ধ দেখি ,বজ্র হৃঙ্কার শুনি
রক্ত চক্ষুকে পরোয়া না করে-
এক জাতির মুক্তির জন্য যতখানি গর্জ্ন লাগে
তাও আছে,

শুধু নেই, শুধু নেই—
তোমারই মতো নেই, অনেক যুবকেরা নেই আশার প্রদীপে-
নেশার আয়নায় মুখ দেখে দেখে
তোমার সাথীরা এঁকেছে ওই লাল গোধূলির ফুল ।
চৌদিকে দেখ অগ্নি রাঙা দাউ দাউ পলাশ!

এক শুভ শক্তির কোন দূর্গ্ হতে তুমি জেগে উঠ-হে যুবক
যতসব জয় পরাজয় আছে এ জাতির
সব কিছুর মাঝেই তুমি ।
তোমাকেই আগামীর যোদ্ধা মনে হয়
তোমার ভিতরেই সব স্বপ্ন লুকে আছে ।

-------------------------------27-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

আমি সভ্যতাকে খোঁজে ফিরি
-------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
************************
বজ্র কণ্ঠে কেউ চেঁচিয়ে উঠল অসভ্যতাকে ডেকে ডেকে
আর আমি সভ্যতাকে খোঁজে ফিরি পথের বাঁকে বাঁকে
চমকে উঠেছি !

সেই সভ্যতা কোথাও নেই, নিলর্জ্জতা চলছে উম্মুক্ত মঞ্চে
নকলের দিকে ছুটে-
অসভ্যতাকে দেখেছি, রক্তে রক্তে লুটে নিচ্ছে চরিত্রের নির্যাস
আধুনিকতার কোলাহলে-

বাঙ্গালীর ঐতিহ্যকে হত্যা করে চলেছে প্রাচ্যের যত রীতি নীতি
বাঙ্গালীরা বাঙ্গালীর মাঝে নেই!
এই দৃশ্যটা খুব অপরিচিত, নারীরা নারী কিনা বুঝি না!
নরেরাও কম কিসের !

যতটুকু বুঝতে পারি, এক প্রদর্শনীর প্রতিযোগীতা চলছে..
ভাঁজে ভাঁজে কলঙ্কের ছাপ !
হায়, তবু সেই অসভ্যতার গর্জ্ন তুলছে পথ হারা পথিকেরা
এ কেমন সভ্যতা আমি বুঝিনা !

বজ্র কণ্ঠে কেউ চেঁচিয়ে উঠল অসভ্যতাকে ডেকে ডেকে
আর আমি সভ্যতাকে খোঁজে ফিরি পথের বাঁকে বাঁকে !
চমকে উঠেছি !

--------------------------------------------25-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com