আপনার লেখা গল্প কিংবা কবিতাটি পোস্ট করুন এখানে। মেসেজ বক্সে লেখার শিরোনাম, লেখকের নামসহ লিখা দিন।

Name

Email *

Message *

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

রাইড শেয়ারিং
----------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
*****************************
ইদানিং আচমকাই ফিরে আসে রক্তাপ্লুত লাশ!
যখন তখন ফিরে আসে, ব্যাপক দুঃখ নিয়ে ফিরে আসে,
ফিরে আসে স্বজন হারা ব্যাদনার গগণ বিদারী কান্না
রাস্তায় রাস্তায় দৌড়ে দক্ষ অদক্ষ রাইড শেয়ারিং
লাগামহীন ঘোড়ার মতো ছুটে চলে অতঃপর-
শহরের বুকে ফিরে আসে কিছু নৈতিক অবক্ষয়
কখনো কখনো মনে হয় নিষিদ্ধ পল্লী আমাদের শহর ও গ্রাম ।

এইভাবে যদি চলে ফিরে, খুব নিকটেই অন্ধকার দেখতে পাবো
যানজটের জট দ্রুত গোটাতে যেয়ে
যে রাইড শেয়ারিং এর তুমুল উল্লাসে
আমরা মেতেউঠেছি নতুন মিছিলে,সে এক রক্তাপ্লুত লাশ!
শত মায়ের অশ্রুঝরা চোখ,
শোকের প্লাবন মুছে যেতে না যেতেই-
খবর আসে লুটে নেওয়া সম্ভ্রমহানীর দুঃসংবাদ-
কত তরুণ-তরুণীর প্রাণ এই উৎসবে হেরে যাচ্ছে
একটু ভাবলেই চমকে উঠি!
এক অসভ্যতার উম্মুক্ত প্রদর্শনী দেখি ইদানিং কালে-

এই দায় তো তোমাকই নিবে হবে- হে সমাজপতি
হৃদয়ে উজাড় করা হাহাকার চলছে এক সভ্যতার খোঁজে
যানজটে রাস্তার বুক যেন দূরন্ত গাড়ীর গোরস্থান-
এর সমাধান কিন বেপোরোয়া রাইড শেয়ারিং ?
অন্ধাকার আসতে না আসতেই
তুমি জেগে উঠ হে রবি !
চৌদিকে গোধূলীর মহরা চলছে উম্মুক্ত রাস্তার বুকে !
--------------------------------------------------30-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

ফাঁসির মঞ্চের মতো
----------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
*************************
আজ এক অফিসে গিয়ে চেয়ারের উত্তাপে
অশ্রুনয়নে ভেসে-
বঞ্চিত বুকের ভেতর জেগে উঠে সীমাহীন যন্ত্রনা
কষ্টের কাফেলা-

দায়িত্বের সীটে সীটে যারা
ওঁত পেতে আছে স্বাধীন বাংলাদেশের রন্ধে রন্ধে
বকশিস, খরচাপাতি, সালামি আরো কত নাম!
চৌদিকে অনৈতিক যত আবদার !
এইসব করছে চেয়ারে বসে বসে তোমাকে তোয়াক্কা না করে
দুর্নীতির এক সিন্ডিকেট রাজ্যের প্রতিটি ক্ষেত ও খামারে

আমি অশ্রুনয়নে ভেসে অসহায়ের মতো চলেছি নঙ্গোরহীন পথে পথে
কে বুঝবে এই যন্ত্রনা?
আমার ট্যাক্সের পয়সায় যারা চলে,ওরাই আমাকে ত্রিভূবন দেখায়-
ওরাই আমাকে বঞ্চিত করে!
এ কেমন বিচার হে বিচারপতি ?

জিরো টলারেন্স বললেই সব চুকে যাবে তা আমি মানি না-
উন্নয়নের মহাসড়ক হলেই সব ফিরে পাবো তা আমি মানি না-
আমি নৈতিক উন্নয়ন চাই, অধিকার ফিরে পেতে চাই
আমি দুর্নীতির মৃত্যু চাই,
চেয়ারের অপব্যবহার করে যারা অফিস -আদালতে
পথে-ঘাটে কিংবা ক্ষমতার মসনদে
ফাঁসির মঞ্চের মতো উপমা দেখতে চাই বিচারিক এজলাসে—
-----------------------------------------------29-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

লাইনে লাইনে ঘোলা পানি অবাক বিষ্ময় !
যদিও ওয়াশা দায়িত্বে রয়েছে সারা নগরময়
চেয়ে দেখ আজ পানিতে পানিতে জীবানু
নগরবাসী দিশেহারা তবু রঙহীন রংধনু-
অভিযোগ উঠেছে চৌদিক থেকে বিশুদ্ধ নহে পানি
রক্তে মাংসে যোগ হয়ে গেছে যত সব ব্যাধির খনি

নগরবাসী যে বারে বারে
এই খবর পৌছে দিয়েছে কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে,
মিছিলে মিছিলে বিক্ষোভে বিক্ষোভে চিৎকার গর্জনে
কর্ণপাতহীন অবহেলা জনতা দেখেছে দুর্নীতির সিংহাসনে
যারা করেছে প্রতিবাদ পথে ঘাটে-
তাদের বিরুদ্ধেই তোমরা রয়েছো চটে !

তবু,
বিশুদ্ধ পানির দাবি করেছি তীব্রতর
সারা নগর শ্লোগানে শ্লোগানে থরথর
বিশুদ্ধ পানি চাই, বিশুদ্ধ পানি চাই
কোটি কোটি জনতা এ নগর বুকে রোগ- শোকে
ব্যাধির দলেরা হাজির সকলে রাজধাণীর বাঁকে বাঁকে ।

তোমরা মানবিক হও ওহে কর্তৃপক্ষ ভাই
দায়িত্ববোধের বিনিময়ে হয় হোক,তবু আমরা চাই ।
বিশুদ্ধ পানি! বিশুদ্ধ পানি! সারা নগরময়-
লাইনে লাইনে ঘোলা পানি অবাক বিষ্ময় !
যদিও ওয়াশা দায়িত্বে রয়েছে সারা নগরময় ।
-------------------------------------------28-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

লাইনে লাইনে ঘোলা পানি
--------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
****************************
লাইনে লাইনে ঘোলা পানি অবাক বিষ্ময় !
যদিও ওয়াশা দায়িত্বে রয়েছে সারা নগরময়
চেয়ে দেখ আজ পানিতে পানিতে জীবানু
নগরবাসী দিশেহারা তবু রঙহীন রংধনু-
অভিযোগ উঠেছে চৌদিক থেকে বিশুদ্ধ নহে পানি
রক্তে মাংসে যোগ হয়ে গেছে যত সব ব্যাধির খনি

নগরবাসী যে বারে বারে
এই খবর পৌছে দিয়েছে কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে,
মিছিলে মিছিলে বিক্ষোভে বিক্ষোভে চিৎকার গর্জনে
কর্ণপাতহীন অবহেলা জনতা দেখেছে দুর্নীতির সিংহাসনে
যারা করেছে প্রতিবাদ পথে ঘাটে-
তাদের বিরুদ্ধেই তোমরা রয়েছো টচে !

তবু,
বিশুদ্ধ পানির দাবি করেছি তীব্রতর
সারা নগর শ্লোগানে শ্লোগানে থরথর
বিশুদ্ধ পানি চাই, বিশুদ্ধ পানি চাই
কোটি কোটি জনতা এ নগর বুকে রোগ- শোকে
ব্যাধির দলেরা হাজির সকলে রাজধাণীর বাঁকে বাঁকে ।

তোমরা মানবিক হও ওহে কর্তৃপক্ষ ভাই
দায়িত্ববোধের বিনিময়ে হয় হোক,তবু আমরা চাই ।
বিশুদ্ধ পানি! বিশুদ্ধ পানি! সারা নগরময়-
লাইনে লাইনে ঘোলা পানি অবাক বিষ্ময় !
যদিও ওয়াশা দায়িত্বে রয়েছে সারা নগরময় ।
-------------------------------------------28-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

সব কিছুর মাঝেই তুমি

সব কিছুর মাঝেই তুমি
------------------------------ কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা ।
*********************
তোমাকেই আগামীর যোদ্ধা মনে হয়
তোমার ভিতরেই সব স্বপ্ন লুকে আছে
কাঙ্খিত মুক্তি যেন দেখি তোমার পরতে পরতে
তুমি বিজয়ের উপমা, রণ দূর্গে বুক উঁচিয়ে
যুদ্ধ কর তুমি এক অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে মুক্তির অভিলাসে
তোমার ভিতরে সেইসব দৃঢ় অঙ্গিকার ।

এক সত্যের পতাকা দেখতে পাই তোমার দূরন্ত আঙ্গিনায়
অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবিচল যুদ্ধ দেখি ,বজ্র হৃঙ্কার শুনি
রক্ত চক্ষুকে পরোয়া না করে-
এক জাতির মুক্তির জন্য যতখানি গর্জ্ন লাগে
তাও আছে,

শুধু নেই, শুধু নেই—
তোমারই মতো নেই, অনেক যুবকেরা নেই আশার প্রদীপে-
নেশার আয়নায় মুখ দেখে দেখে
তোমার সাথীরা এঁকেছে ওই লাল গোধূলির ফুল ।
চৌদিকে দেখ অগ্নি রাঙা দাউ দাউ পলাশ!

এক শুভ শক্তির কোন দূর্গ্ হতে তুমি জেগে উঠ-হে যুবক
যতসব জয় পরাজয় আছে এ জাতির
সব কিছুর মাঝেই তুমি ।
তোমাকেই আগামীর যোদ্ধা মনে হয়
তোমার ভিতরেই সব স্বপ্ন লুকে আছে ।

-------------------------------27-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

আমি সভ্যতাকে খোঁজে ফিরি
-------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
************************
বজ্র কণ্ঠে কেউ চেঁচিয়ে উঠল অসভ্যতাকে ডেকে ডেকে
আর আমি সভ্যতাকে খোঁজে ফিরি পথের বাঁকে বাঁকে
চমকে উঠেছি !

সেই সভ্যতা কোথাও নেই, নিলর্জ্জতা চলছে উম্মুক্ত মঞ্চে
নকলের দিকে ছুটে-
অসভ্যতাকে দেখেছি, রক্তে রক্তে লুটে নিচ্ছে চরিত্রের নির্যাস
আধুনিকতার কোলাহলে-

বাঙ্গালীর ঐতিহ্যকে হত্যা করে চলেছে প্রাচ্যের যত রীতি নীতি
বাঙ্গালীরা বাঙ্গালীর মাঝে নেই!
এই দৃশ্যটা খুব অপরিচিত, নারীরা নারী কিনা বুঝি না!
নরেরাও কম কিসের !

যতটুকু বুঝতে পারি, এক প্রদর্শনীর প্রতিযোগীতা চলছে..
ভাঁজে ভাঁজে কলঙ্কের ছাপ !
হায়, তবু সেই অসভ্যতার গর্জ্ন তুলছে পথ হারা পথিকেরা
এ কেমন সভ্যতা আমি বুঝিনা !

বজ্র কণ্ঠে কেউ চেঁচিয়ে উঠল অসভ্যতাকে ডেকে ডেকে
আর আমি সভ্যতাকে খোঁজে ফিরি পথের বাঁকে বাঁকে !
চমকে উঠেছি !

--------------------------------------------25-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

হে প্রিয় দাদা
---------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা। ( উৎসর্গ্ ঃ
অসিত সাহা, ট্রান্সফোর্ট্ ম্যানেজার , বি্বিএস গ্রুপ)
**********************
তোমার প্রতিটি পদক্ষেপই এক স্বপ্নের কবিতা,প্রতিটি
মুহুর্ত্ই বিজয়ের উৎসব-

তুমি যেদিনই এগিয়ে এলে আমার এই রণ দূর্গে
পৃথিবীর সব পরাজয় থেমে যায়-
আমি ভুলে যাই দুঃখের সব কবিতা
প্রাণের স্পন্দিত প্রবাহে জেগে উঠে তুমুল বিজয়ের উচ্ছাস-
তোমার এ মানবিক প্রতিটি মুহূর্ত্ এক স্বপ্নের মতো
অতুল্য উপমা-

অনেকবার তুচ্ছ হয়েছি, ফিরে এসেছি নিদানের মতো, কেউ আশ্বাস দেয়নি, কেউ শুনেনি
শুধু তুমিই !
তোমার এই সীমাহীন উদারতা কিংবা অমূল্য মহত্ত্ব
রক্ত কণিকা হয়ে থাকবে এই দেহ প্রাণের স্পন্দিত প্রবাহে
শোধ হবে না, এর মূল্য শোধ হবে না, কোন দিনও হবে না
তুমি এক অন্ধকার ঘরের আলো-

তুমি স্বেচ্চায় জ্বলেছিলে বলেই অন্ধকার নীড়ে দেখেছি আলো-
তোমার প্রতিটি আবেগই এক প্রেমের কবিতা,প্রতিটি
মুহুর্ত্ই মানবতার উৎসব-
তোমার নিঃস্বার্থ্ প্রেমই দুঃখকে দিয়েছে সুখের ঠিকানা- হে প্রিয় দাদা ।

আমি চির কৃতজ্ঞ হে অতুল্য মহান
তোমার র্স্পশেই মুছে গেছে চোখের সব জলপথ-
তুমি ছিলে বলেই খুব কাছে পেয়েছি সুদূর নীলিমা
আজ এসে দেখো,
এই পরিবারের প্রতিটি মুহূর্ত্ প্রেম সঙ্গীতের
অপূর্ব্ মূর্ছ্না ।
তোমার প্রতিটি নিঃস্বার্থ্ যুদ্ধ একেকটি মুক্তির কবিতা-
প্রতিটি মহত্ত্ব অতুল্য উপমা- হে প্রিয় দাদা ।
---------------------------------------------------25-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

যত সব অঙ্গুলির নগ্ন –পরশ
----------------------------------কবি মোঃআমিনুল এহছান মোল্লা।
***************************
মোবাইল তব হৃদয়ের নদী
কেড়ে নেয় অনাবিল স্বপ্ন জলধি!
ছোট-বড়-সম উল্লাসে রবে
ডিজিটাল ঝটিকার নভে
স্কিনে ভাসে তব দুরন্ত যৌবন!
চরিত্র হারায়ে বসি কেঁদে মরে আমাদের কত প্রাণ !
ডিজিটাল প্রযুক্তির দাবানলে
কত কি ধ্বংস করি অনিষ্টের কোলাহলে !
নিভে দেই বসুধার স্বপ্নীল আকাশ!
অবনত শিরে আপনাকে করিতেছি ডিজিটাল প্রযুক্তির পরিহাস!
মোবাইলের যত বর্জ্ন
নিত্য করিতেছি গ্রহণ- চৌদিকে তুলিতেছি বিপ্লব-গর্জ্ন।
কার হাতে নেই মোবাইল! নেই কি কিছু তার ভালো ?
অনিষ্ট পঞ্জরতলে টগবগ করে যত সব বসুধার কালো!
কি দেখি? কি করি? মোবাইলটা খুলে যত্র তত্র ঘর বাহির !
এ কেমন অভিসার ?
যত সব অঙ্গুলির নগ্ন –পরশ
নিজেরাই দিলাম ছাড়ি- আপনার ধবংস আকাশ-বাতাস ।
ডিজিটাল মোবাইল আসিল জগতের বিজয় পতাকা তুলি
অথচ আমরাই করিলাম তারে চরিত্র শূন্য ভিক্ষাঝুলি !
-------------------------------------------21-04-2014,রা্ওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

কবিতা - " আদর্শ "
কলমে - মৃন্ময় বসু রায় চৌধুরী
------------------------------------------
আদর্শ
""""""""
জগতের এই পাঠে যে আজ ,
আদর্শেরই অভাব !
লেখাপড়া জেনেও কেন ....
বদলায় না স্বভাব !!
ছোট - বড়ো , মন্দ - ভালো ,
হিতাহিত জ্ঞান !
বর্তমানে বোঝেনা মানুষ ....
অবুঝ অজ্ঞান !!
নামীদামি পোশাক - আশাক ,
নামেরও বহর !
কাজের বেলায় অষ্টরম্ভা ....
অকৃত্রিম জহর !!
এসব কথা সবই জানা ,
প্রত্যেকেই জানেন !
মানার বেলায় ইচ্ছে করেই ....
স্বার্থটাকেই টাানেন !!
যদি বলেন - আমি কি মানি !
হ্যাঁ ! চেষ্টা করি বটে !
যতটুকু আছে আমার। ....
মাথার এই ঘটে !!
--------------------------------------------------------
© মৃন্ময় বসু রায় চৌধুরী
( পশ্চিমবঙ্গ / ভারতবর্ষ )
২৪/০৪/২০১৯

Regards,
মৃন্ময় ু য় র | mbrc1279@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

কার হাতে তুলে দিবো?
--------------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
**********************************
একটা কালো মেঘ ভেসে এলো দুপুর বেলা
সূর্য্টা ঢেকে গেলো ভর দুপুর !
চতুর্দিকে অশুরের প্রতিধ্বনি,লাসলার চক্ষু আর কামনার চক্ষু
দানবীয় হিংস্র ছোবলে ছোবলে নারীর গগণ বিদারী কান্না-

মানব সভ্যতা নিভে গেছে,ভীত কম্পিত ধরণীর তটে আমি
হঠাৎ যেন এই পৃথিবীর ধর্ষকেরা গর্জে উঠেছে অশুরের মতো-
আলোর ভিতরে এক আঁধারের ঘনঘটা
নৈতিকতা আর জাগেনা এ প্রাণের স্পন্দনে স্পন্দনে
বিবেক অন্ধ হয়েগেছে আলোর বিদ্যাপীঠে-
চরিত্রের মধ্যে এক লম্পটের আনাগোনা
আলোরা দিশারী মুখ লুকালো শয়তানের আঁচল !

হঠাৎ যেন দিশারীরা পথ হারিয়ে উল্টো পথে—
ওদের ঐ নগ্ন থাবাটা, নগ্ন কুকুরের চেয়েও অধম!
আগামীর সন্তানেরা বড় ভীতু ! বড় ভীতু!
এ সভ্যতা বিচলিত ! চিন্তিত-


যে আলো পথ দেখাতে পারে না, সে আবার আলো কিসের?
সে তো আলোকরূপী অন্ধকার !
সে চোখ এক অচেনা চোখ,নগ্ন প্রাণীর মতো ভয়ঙ্কর !
সন্তানেরা ডেকে বললো,ওরা মানুষরূপী জানোয়ার
ভয় পাই! বড় ভয় পাই !
আলোর ভিতর অন্ধকার, কার হাতে তুলে দিবো জাতির ভবিষ্যৎ ?
------------------------------------------------23-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

যত সব অঙ্গুলির নগ্ন –পরশ
----------------------------------কবি মোঃআমিনুল এহছান মোল্লা।
***************************
মোবাইল তব হৃদয়ের নদী
কেড়ে নেয় অনাবিল স্বপ্ন জলধি!
ছোট-বড়-সম উল্লাসে রবে
ডিজিটাল ঝটিকার নভে
স্কিনে ভাসে তব দুরন্ত যৌবন!
চরিত্র হারায়ে বসি কেঁদে মরে আমাদের কত প্রাণ !
ডিজিটাল প্রযুক্তির দাবানলে
কত কি ধ্বংস করি অনিষ্টের কোলাহলে !
নিভে দেই বসুধার স্বপ্নীল আকাশ!
অবনত শিরে আপনাকে করিতেছি ডিজিটাল প্রযুক্তির পরিহাস!
মোবাইলের যত বর্জ্ন
নিত্য করিতেছি গ্রহণ- চৌদিকে তুলিতেছি বিপ্লব-গর্জ্ন।
কার হাতে নেই মোবাইল! নেই কি কিছু তার ভালো ?
অনিষ্ট পঞ্জরতলে টগবগ করে যত সব বসুধার কালো!
কি দেখি? কি করি? মোবাইলটা খুলে যত্র তত্র ঘর বাহির !
এ কেমন অভিসার ?
যত সব অঙ্গুলির নগ্ন –পরশ
নিজেরাই দিলাম ছাড়ি- আপনার ধবংস আকাশ-বাতাস ।
ডিজিটাল মোবাইল আসিল জগতের বিজয় পতাকা তুলি
অথচ আমরাই করিলাম তারে চরিত্র শূন্য ভিক্ষাঝুলি !
-------------------------------------------21-04-2014,রা্ওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
AMINUL | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

গল্প- 'একজন মতি পাগল'
রুহুল আমীন রাজু
২১/০৪/২০১৯

মানুষের জীবনটা যদিও ক্ষণিকের, কিন্তু বিশাল ঘটনার। তেমনি এক ঘটনাবহুল জীবন
সংগ্রামী মানুষ মতি পাগল। মুখ ভর্তি কাঁচা পাকা দাঁড়ি গোফওয়ালা অর্ধনগ্ন মতি
পাগলের সারা শরীরে গুয়ের গন্ধ। গলায় চটের ব্যাগ। এই ব্যাগে দু'টাকা না দেওয়া
পর্যন্ত পথচারী ও ব্যবসায়ীদের নিস্তার নেই। যতই ধমক আর গালিগালাজ করা হোক না
কেন, দু'টাকা তাকে দিতেই হবে। এভাবেই এ বাজার ও বাজার ষ্টেশনে ঘুরে বেড়ায় সে।
যেখানেই রাত সেখানেই কাত।
মতি পাগলের দিনের শুরুটা হয় পত্রিকা পড়ে। প্রতিদিন সকালে ঠেলাগাড়ি-রিক্সাওয়ালা
ও শ্রমিক শ্রেণীর মানুষগুলো মতি পাগলের শ্রোতা। একজন পত্রিকা ধরে রাখে, আর মতি
পাগল একটার পর একটা খবর পড়তে থাকে। উচ্চারণ মন্দ নয়, ধরাজ গলা। লেখাপড়া সপ্তম
শ্রেণী। হাত দু'টো না থাকায় পত্রিকা পড়তে অন্যজনের সহযোগীতা নিতে হয় তাকে।
মতিপাগলের দু'হাতের কব্জি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিরা কেটে দিয়েছিল। তাকে
হত্যা'ই করা হতো। কিন্তু গ্রামের এক রাজাকারের সুপারিশে তা না করে কব্জি কাটা
হয়। সুপারিশের কারণ ছিলো, গুলি করলে তো খেলা শেষ। নির্মম খেলা দেখার জন্যই ছিল
সেই সুপারিশ।
দেশ স্বাধীন হয়। মতি পাগলের ঘর আলো করে আসে প্রথম কন্যা সন্তান। নাম রাখা হয়
হাসি। দ্বিতীয় কন্যার নাম খুশি। সর্বশেষ ছেলের নাম আনন্দ। পঙ্গুত্বের কারনে
অভাব-অনটন তার নিত্যদিনের সাথী হলেও সুখ ছিলো সংসারে। এ জন্যই তার সন্তানদের
নাম রাখা হয় হাসি, খুশি, আনন্দ। হাসির বিয়ে হয়েছে। খুশী জন্মান্ধ বলে ওর
বিয়েটা হচ্ছে না। তাই বলে পরিবারের কেউই তাকে বোঝা মনে করে না। মতিপাগল খুশিকে
লক্ষী খুশি বলে ডাকে। মতি পাগল মাঝে মধ্যে বাড়ী এলে অন্ধ খুশি পরম মমতায় তার
সেবাযত্ম করে থাকে। তখন মনেই হয় না, খুশি অন্ধ।
আনন্দ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। তার এই ঢাবিতে পড়ার বিষয়টি নিয়ে গ্রামে
বিস্ময়ের শেষ নেই। একটা পাগলের ছেলে কিনা পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে!!! মতি মিয়া পাগল
হয় ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর। তার যেটুকু জমি ছিল, তাতে সংসার ও
পড়ালেখার খরচ যোগানো কঠিন হয়ে পড়ে। ষাটোর্ধ মতি মিয়া পঙ্গু জীবন নিয়ে কর্ম
করার মতো কোনো অবস্থা ছিল না। ছেলের পড়ালেখা বন্ধ হোক-এটাও মেনে নিতে পারেনি।
এমনি একা দুর্বিষহ সময়ে মতি মিয়ার মাথা এলোমেলো হয়ে যায়। আর এলোমেলো পাগল
জীবনের পরই আর্থিক ভারসাম্য কিছুটা ফিরে আসে তার। যা নিয়ে তার পরিবারে ও
গ্রামে রহস্যের শেষ নেই।
এ বছর অনার্স ফাইনাল পরীক্ষায় অর্থনীতিতে তাক লাগানো ফলাফল অর্জন করায়
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনন্দকে দশ হাজার টাকা পুরুস্কৃত করেছে। টাকা গুলো
পেয়ে সে কিছুটা সমস্যায় পড়ে যায়। টাকা দিয়ে সে কোনটা রেখে কোনটা করবে ভেবে পায়
না। মায়ের পেটের পাথর বের করতে অপারেশনে প্রয়োজন পঞ্চাশ হাজার টাকা। অন্ধ
বোনটার চোখে কর্নিয়া সংযোজন করতে লাগবে ষাট হাজার টাকা। বড় বোনের স্বামীকে
যৌতুকের দাবী মেটাতে প্রয়োজন হিরো হোন্ডা হান্ড্রেট সিসি মটর সাইকেল। এই টাকা
দিয়ে কিছুই করা সম্ভব নয়। হঠাৎ আনন্দের মনে পড়ে যায় কাঁটার কথা। বুকটা হু হু
করে উঠে তার। এই কাঁটার কথার আঁচরে একদিন রক্ত ঝরার কারনে আনন্দ আজ সেরা
ছাত্র। কাঁটা এখন কোথায়...? কেমন আছে ও...? তার সন্ধান যদি পাওয়া যেত ,তাহলে
না হয় টাকাগুলো দিয়ে তাকে ভাল কিছু একটা প্রেজেন্ট করা যেত।
অবশেষে টাকাগুলো আনন্দ তার পাগল বাবাকে দিয়ে দেয়। টাকা পেয়ে মতি পাগল তার
বাড়ীর পাশে আড়িয়ালখাঁ নদীর তীরে নিজের জন্য অগ্রীম পাকা একটি কবর বানায়। কবর
বানানোর পর কিছু টাকা রয়ে গেছে। অবশিষ্ট টাকা দিয়ে সে এক খাঁচা রুটি কিনে
আনলো। গ্রামের সব কুকুর জড়ো করে তাদের রুটি খাওয়ানোর আয়োজন করলো। নিমন্ত্রনে
সাড়া দিয়ে অনেকগুলি কুকুরের সমাগম ঘটেছে। এই দৃশ্য দেখার জন্য লোকজনও জটলা
বেধেছে।
কুকুরগুলি গোগ্রাসে রুটি খাচ্ছে আর ফ্যালফ্যাল চোখে মতি পাগলকে দেখছে। এর
মধ্যে একটা বয়স্ক লোমপড়া ন্যাড়া কুকুর বার বার তাকাচ্ছে মতিপাগলের দিকে। মনে
হচ্ছে এই ন্যাড়া ক্ষুধার্ত কুকুরটি তাকে বলেছে, ধন্যবাদ মতি পাগলা--ধন্যবাদ।
কুকুরটি ও-ও-ও শব্দ করছে কিছুক্ষন পর পর। হয়তো কুকুরটির ও-ও-ও শব্দের অর্থ
ধন্যবাদ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটেএলো স্থানীয় সাংবাদিকগন। মতিপাগলকে একজন
সাংবাদিক প্রশ্ন করলো, লোহাজুরী গ্রামেতো ভিক্ষুকের অভাব নাই, তাদেরকে না
খাওয়াইয়া কুকুরকে রুটি খাওয়াচ্ছো কেন ? আর এতো টাকা পাইলা কই? মতিপাগল মৃদু
হেসে উত্তর দিলো, আমি পাগল মানুষ আমি যদি মাইনষেরে লুডি খাওয়াই তাইলে যে
চেরম্যান মেম্বাররার দূর্নাম অইব। হের লাইগগা কুত্তাডিরে খাওয়াইতাছি। আর
ট্যাহা----ট্যাহা দিছে আমার ছেরা আনন্দ। জবর ভালা পাশ দিছে আমার ছেরা। হেই
পাশের পুরুস্কারের হগল ট্যাহা আমারে দিছে।
সাংবাদিকদের দ্বিতীয় প্রশ্ন-শুনেছি সেই টাকা দিয়ে তুমি তোমার অগ্রীম কবরও
বানিয়েছে?
হ, হ সাম্বাদিক সাব, ঘটনা সত্য। আইয়্যূন আমার কবরটা ইকটু দেইখখ্যা যাইন।
সাংবাদিকরা মতি পাগলের সাথে যেতে লাগলো। ন্যাড়া কুকুরটিও পিছু নিয়েছে। মতি
পাগলের বাড়ীর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আড়িয়ালখাঁ নদী। বর্তমানে পানি শূণ্যতার কারনের
খাঁ এর উপর থেকে চন্দ্রবিন্দু উঠে গিয়ে খা খা করছে নদীটিতে। এই নদীর তীরে একটা
কৃষ্ণচূড়া গাছের নীচে কবর বানানো হয়েছে। কৃষ্ণচূড়া ফুলের সাথে মিল রেখে কবরে
লাল রং করা হয়েছে।
সাংবাদিকরা মতি পাগলকে তার কবরের পাশে দাঁড় করিয়ে ছবি তুললো। পরেরদিন সব
পত্রিকায় তা প্রকাশ হয়। তার পরে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলেও প্রকাশ হয় সচিত্র
প্রতিবেদন। বেশ পরিচিত হয়ে উঠে মতি পাগল। পাশাপাশি পাগল হিসেবে স্বীকৃতিও পেয়ে
যায় সকলের। ক'দিন আগে তার পাগলামীকে অনেকেই সন্দেহের চোখে দেখতো। এখন আর কারো
সন্দেহ নেই। দোকানের সামনে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই দু'টাকা দিয়ে দিচ্ছে সবাই।
ভাংতি না থাকলে পাঁচ টাকা এমনকি দশ টাকাও দিচ্ছে।
হঠাৎ আয় রোজগার বেড়ে গেল তার। এবার একটি স্কুল নির্মাণের কাজে হাত দেবে মতি
পাগল। অভাব-অনটনের কারনে স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিশুদের জন্য স্কুল। শুধু নিজের
সন্তানকেই মানুষ করলে হবে না, গ্রামের সবাইকে মানুষ করতে হবে। মনে মনে স্কুলের
নাম নির্ধারণ করে ফেলে সে। "মতি পাগলের স্কুল"। স্কুলের হেড মাস্টার করা হবে
আনন্দকে।
এমন দেশপ্রেম যার বুকে, সে পাগল হয় কি করে? আসলে মতি পাগল 'পাগল' নয়। সে
পাগলের চমৎকার অভিনয় করে যাচ্ছে। পঙ্গুত্বের কারনে কর্ম অক্ষমতা, সংসারে অভাব,
ছেলের উচ্চ শিক্ষায় অনিশ্চয়তা এই পরিস্থিতিতে অগত্যা নিরুপায় হয়েই সে পাগলের
অভিনয় করতে বাধ্য হয়। কি কঠিন এক মিথ্যা অভিনয়। নিধারুন কষ্ট, তবুও নিজেকে
সুখী ভাবে সে। কিন্তু সুখ যে বড় ক্ষণস্থায়ী। মতি পাগলের সুখের দিন বোধ হয় শেষ।
মানিকখালী রেলষ্টেশনে এই মাত্র পত্রিকা এসে পৌছলো। আজকের প্রধান শিরোনাম, 'আজ
স্বাধীনতা দিবস'। লাল সবুজের উরন্ত পতাকার ছবি দেখে চোখে মুখে গর্বেও রঙ্গীন
আভা ফুটে উঠে তার।
দ্বিতীয় শিরোনাম দেখে হতভম্ব আর বাকরুদ্ধ হয়ে যায় মতি পাগল। বাবা হয়ে নিজ
কন্যার ধর্ষণের খবর সে কিভাবে পড়ে তার শ্রোতাদের শুনাবে...? যন্ত্রণায় তার বুক
ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। রেল গাড়ীর হুইসেলের চেয়েও আরো বিকট শব্দে চিৎকার করতে
ইচ্ছে হচ্ছে। তার পাশে বসা শ্রোতারা অপেক্ষায় আছে দেশের খবরাখবর জানতে। বাদাম
বিক্রেতা যুবকটি বললো, কই মতি পাগলা পত্রিকা পড়া শুরু করতাছো না কেরে? লালকালি
দিয়া বড় বড় কইরা কি লিখছে ? নীচে দ্যাহি ছুন্দুরী একটা ছেড়ীর ফডুও। আরে পাগলা
তাড়াতাড়ি পড়া শুরু কর। গাড়ি আইয়া পড়লে আর খবর টবর হুনুন জাইতনা।
মতিপাগল উঠে দাঁড়ালো। পত্রিকাটি লাথি মেরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে চিৎকার করে বলতে
লাগলো, 'বাংলাদেশো অহনো স্বাধীনতা আইছে না। এটকা শিশু জন্ম নিতে লাগে দশ মাস।
এর আগে জন্ম নিলে শিশুর চোখ ফুডে না। বালা কইরা কথা কইতে পারে না। আর এই দেশটা
জন্ম নিছে মাত্র নয় মাসে-এইডা অইছে না। দেশ অহনো আন্ধা...দেশের চোখ ফুডছে না।
দেশ আন্ধা.....। রেল লাইনের মধ্য দিয়ে দৌড়াতে লাগলো সে...'
Kaljoyee

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। চাল, ডাল তেলের মূল্য বৃদ্ধির
প্রতিবাদে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আনন্দের অন্ধ
বোন ধর্ষনের বিচারের দাবিও যুক্ত হয়েছে এই আন্দোলনে। কিছুক্ষণের মধ্যেই
ছাত্ররা মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করবে।
হাজার হাজার শিক্ষার্থী নেমে গেছে রাজপথে।
"চালের দাম বাড়লো কেন? প্রধানমন্ত্রী জবাব চাই"
"তেলের দাম বাড়লো কেন? প্রধানমন্ত্রী জবাব চাই"
"অন্ধ যুবতী ধর্ষণ কারীর, বিচার চাই, বিচার চাই"
আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে রাজপথে মিছিল এগিয়ে চলছে। প্রেসক্লাব পেরিয়ে মৎস্য
ভবনের কাছে পৌঁছতেই মিছিলে বাধা দিলো পুলিশ। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা পুলিশ
বেষ্টনীর মাঝেই শুরু করলো আরো জোরে শ্লোগান।
অন্ধ যুবতী ধর্ষণকারীর-বিচার চাই, বিচার চাই...............
শুরু হয়ে গেল পুলিশী এ্যাকশন। বেদম লাঠিপেটা, টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট, অত:পর
গুলি.....।
থমকে যায় মিছিল। ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে ছাত্ররা। দিকবিদিক ছুটতে থাকে সবাই। ব্য¯ততম
রাজধানীর মহাসড়ক মূহুর্তেই জনশূণ্য হয়ে যায়। পীচঢালা কালো রাস্তার পাশে এক
যুবকের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। ঘন্টাখানেক পর একদল ছাত্র রাস্তায় পড়ে থাকা লাশটি
নিয়ে মিছিল শুরু করলো -
আনন্দের বুকে গুলি কেন?
প্রধানমন্ত্রী জবাব চাই.....
পুলিশ এসময় জলকামান নিয়ে চড়াও হলে ছাত্ররা লাশটি ফেলে পালিয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর আরেকটি ছাত্র সংগঠন লাশটি তুলে নিয়ে মিছিল ধরলো-
আনন্দ লাশ কেন? বিরোধীনেত্রী জবাব চাই...।
পুলিশ লাশটি তাদের হেফাজতে নিলো। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা
ঘিরে ধরলো লাশটি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের এডিসির কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন -
পুলিশ ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি করলো কেন?
আনন্দ কার গুলিতে প্রাণ হারালো?
লাশ নিয়ে দু'টি ছাত্র সংগঠনের পৃথক পৃথক মিছিল করার রহস্য কি?
আনন্দ আসলে কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য?
পুলিশের এডিসি পাশ কাটিয়ে এসব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। এসময় একটি ফোন আসে তার
মোবাইলে। সঙ্গে সঙ্গে বোবা হয়ে গেলেন তিনি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন পুলিশ কর্তা।
লাশের ময়না তদন্ত করতে এসে পাথরের মূর্তিরূপ ধারণ করলো কর্তব্যরত ডাক্তার।
একি? এতো সেই আনন্দ। মফস্বল কলেজ জীবনের বন্ধু। ডাক্তার কাঁটা আনন্দকে চিনতে
এতোটুকু ভুল করেনি। তার শরীর ঠান্ডা হয়ে আসছে। বুকে শুরু হয়েছে সুনামী। তীব্র
যন্ত্রণায় বুক ফেটে যেতে চায়ছে। একজন ডাক্তার হিসাবে সে এ মূহুর্তে কোনো
দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। তার এ অবস্থা দেখে প্রফেসর ডা: এম.এ মান্নান
জানতে চাইলেন, এনি প্রবলেম?
কাঁটা কোন উত্তর দিতে পারলো না। দু'হাতে মুখ চেপে ধরে অবুঝ শিশুর মতো কেঁদে
উঠলো।
পাঁচ বছর আগের কথা। বাবার চাকুরির সুবাদে কটিয়াদী ডিগ্রী কলেজে লেখাপড়া করার
সময় কাঁটার পরিচয় হয় আনন্দের সাথে। আনন্দ অত্যন্ত শান্ত ও নিরীহ টাইপের ছিল।
কাঁটা ছিল ক্লাসের যেমন সেরা ছাত্রী দেখতেও ছিল সেরা। পোষাক পড়তো একটু সেন্সর
বিহীন। তাই কলেজের সবার চোখ থাকতো কাঁটার দিকে। ব্যতিক্রম ছিল আনন্দ। সে কখনো
আগ্রহ করে তাকাতো না কাঁটার দিকে। বিষয়টি নিয়ে সহপাঠিদের নানান হাস্যরসের
খোরাক ছিল সে। কাঁটাও লক্ষ্য করছিল বিষয়টি।
একদিন কলেজ যাওয়ার পথে হঠাৎ বৃষ্টি এসে পথরোধ করে দেয় কাঁটা ও আনন্দের।
রাস্তার পাশের এক বাড়ীর বারান্দায় ওরা দু'জন দাঁড়িয়ে। কাঁটা আনন্দকে কাছে
ডাকে। অস্কার বিজয়ী সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ী সর্ম্পকে জানতে চায়। আনন্দ
যেটুকু জানে তা বলে, উনার বাড়ীটি এইতো ৬/৭ কি: মি: দূরে মসূয়া গ্রামে। জমিদার
বাড়ীটি একটি কংকাল ভবন হিসাবে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আছে শান
বাঁধানো ঘাট। শুনেছি খুব শীঘ্রই এটিকে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
কাঁটা বললো ও তাই। একদিন যাবো ওখানে। আচ্ছা আনন্দ আমাকে তোমার দেখতে ভাল লাগে
না?
: হঠাৎ একথা?
: না, এমনি জানতে চাইলাম। তুমি আমাকে হিংসা কর, তাই না?
: কেন, হিংসা করবো কেন?
: এই যে আমার দিকে সবাই তাকায়, আর তুমি তাকাও না যে?
: কে বলেছে? সুন্দরকে কে না দেখে।
: আমার তো তা মনে হয় না।
: তুমি যখন হাসো তখন তোমার গালে টোল পড়ে। আমার কাছে তা অদ্ভুত সুন্দর লাগে।
একটু ইতস্ত করে সে বলল, আমার ইচ্ছে হয়- ওখানে ছুঁয়ে দেখতে।
কাঁটা অবাক হয় আনন্দের কথায়। গোবেচারা মনে হলেও সে অনেক গভীর জলের মাছ। অহংকার
বোধ থেকে নাকি অন্য কোনো কারনে কাঁটা বললো, ওখানে ছুঁতে হলে এ জাতীয় লেখাপড়ায়
হবে না। আনন্দ সেই থেকে কাঁটার এ কথায় আঁচড়ে পরিণত হয় অন্য মানুষে। যার প্রমাণ
ঐ বছরই আই.এ পরীক্ষায় সেরা হয় আনন্দ। দ্বিতীয় হয় কাঁটা। যা খাল কেটে কুমির
আনার মতো অবস্থা। এতে এতোটুকু কষ্ট পায়নি কাঁটা। তার কথায় বদলে যায় একটি
মানুষ। বরং সে নিজেকে একটু গুরুত্বপূর্ণ'ই মনে করেছিল। এভাবেই মনের অজান্তে
ওরা একে অপরের প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ে।
কাঁটার বাবা হঠাৎ বদলী হয়ে যায়। চলে যাওয়ার সময় ঠিকানা দেওয়ার সময় হয়নি। সেই
থেকে অজ্ঞাত আর অজানা রয়ে যায় কাঁটা। দীর্ঘদিন পর আবার তাদের দেখা হলো। কাঁটার
দেয়া শর্ত পূরণ সত্ত্বেও আনন্দের আর তা ছুঁয়ে দেখা হলো না। অদ্ভুত সেই সুন্দর
অদ্ভুত'ই রয়ে গেল।
সন্ধায় কড়া পুলিশ প্রহরায় এ্যাম্বুলেন্সে করে আনন্দের লাশ তার গ্রামের বাড়ীতে
আনা হয়েছে। গ্রামের সব মানুষের গর্ব ছিল আনন্দ। মাঠে-ঘাটে চায়ের স্টলে রূপ
কথার গল্প ছিল সে। একটা পাগলের ঘরে জন্ম নিয়েছে আকাশের চাঁদ। মতিপাগলের বাড়ীতে
নারী পুরুষ শিশুর ঢল নেমেছে। সবার চোখে জল। গগন বিদারী চিৎকার আর জলে একাকার
আনন্দের মা-বোন। শুধু জল নেই মতি পাগলের চোখে। তার চোখ দু'টি লেলিহান শিখার
মতো। লাশবাহী খাটিয়ার পাশে বৃক্ষ মানবের মতো ঠাঁয় বসে আছে মতি পাগল। কোন কথা
নেই, আর চোখেতো জল নেই'ই।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে দ্রুত কবর খুঁড়া ও জানাযার
ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানালেন। চেয়ারম্যান সরকারী গোরস্থানে চৌকিদারকে
কবর খুঁড়ার কথা বললে মতি পাগল হুংকার দিয়ে উঠলো। না, কারো জায়গায় আমার আনন্দের
কবর দিওনের লাইগগা দিতাম না!
চেয়ারম্যান বললেন, তাহলে কোন জায়গায়? বলো মতি পাগল ? মতি পাগল মাথার ইশারায়
দেখালো কবরের স্থান। মাথা নাড়াতে গিয়ে তার মনে হলো, মাথায় কয়েকটন ওজনের কোন
বস্তু। প্রচন্ড ভারের চাপে থর থর করে কাঁপছে মাথাটা। পিতার কাছে সন্তানের লাশ
বহন করা পৃথিবীর বড় ট্রাজেডি।
মতিপাগলের অগ্রীম কবরের পাশে মাটি খুঁড়তে গেলে সে ধরাজ গলায় বললো, চেয়ারম্যান
নতুন কইরা আর কবর করুনের দরকার নাই। আমার কবরে আনন্দরে শোয়াও।
বিস্ময়ভরা কন্ঠে চেয়ারম্যান বললো, কি বলতাছো এইসব...?
যা কইছি তাই কর চেয়ারম্যান, বলেই হা-হা-হা করে হেসে উঠলো মতি পাগল। হাসির তোড়ে
পড়নের পরিহিত চটের বস্তা বার বার নীচে পড়ে যাচ্ছে। কাঁপা কাঁপা হাতে লজ্জা
নিবারনের চেষ্টা চালাচ্ছে সে।
হাজার হাজার মানুষ জানাযায় দাঁড়ালো। স্থানীয় মসজিদের ইমাম নামাজের তাহরিমা
বাধলেন- আল্লাহু আকবার... আল্লাহু আকবার...

রাত তখন দশটা। আজ ভরা পূর্ণিমা। চাঁদের আলোয় মানিকখালী রেলষ্টেশনটি অন্যরকম
রূপ ধারণ করেছে। কি অপূর্ব লাগছে ছোট্ট এই ষ্টেশনটি। জোছনা ভরা এমন রাতে
ষ্টেশনের ডান পাশের খোলা জায়গায় মতি পাগল মরে রয়েছে। তার নগ্ন লাশের চারদিকে
উৎসুক মানুষের ভিড়। একটু দূরে বসে আসে একটা ন্যাড়া কুকুর।
মানুষগুলো এখনও লাশটি দাফনের কোনো ব্যবস্থা না করে নগ্নদেহ... দেখছে।
মতিপাগলের চোখ দু'টি খোলা। যেনো মনে হচ্ছে, সে জোছনা রাত উপভোগ করছে..........

Regards,
রুহুল আমিন রাজু | rohulaminraju@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

জগতের মহারতি
-------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
*************************
মূল্যবোধেরা ঘুমিয়ে ঘরে!
মৃতপ্রাণ- চিতার বুকে কি তবে মানবতা আজ পুড়ে?
মানুষের প্রাণে কে বসিয়া উদাস অলস অন্যমনা?
নিখিলের বুকে ক্ষেপিয়া উঠিছে অনৈতিক অসুরের ফণা,
দুর্নীতি ঘুষখোরের রঙ্গমঞ্চ, ঝঞ্ঝার ঝঞ্ঝনা !
গিয়েছে নিভে প্রদীপ শিখা মোহ আর লালসার ঝড়ে !

মূল্যবোধেরা বিরোহী!-
সত্যেরা মলিন, অমূল্যবোধের ব্যথা নিখিলে বহি,
মানষের মাঝে পরাজয় লাগি আছে তবু মানুষ সহি,
নশ্বরের লোভে কত কি করি জগতের বুক জুড়ি
সত্যে মিথ্যার রঙ লাগিয়ে অনিষ্টের রূপ ধরি !
সনদ ছাড়াই শয়তানের মতো,মুক্তির কথা কহি !

মূল্যবোধেরই জয়!
শ্রেষ্ঠ মানবের অন্তরে যদি বিধাতার আঁখি জেগে রয় !
কে হারাবে তোমারে মানব? ওহে নিখিলের বিষ্ময়!
যে মানবতা মুছে দিবে অশ্রু বেদনা বিশ্বকে আগে
সে হবে জগতের মহারতি মানবের অন্তরে জেগে।
--------------------------------------------17-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,রাওনাট











Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

অনৈতিক ধরায় মুক্তি কখনো
------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
*************************
-আপনাকে উপস্থাপনের লাগি
কত রূপ ধরিয়া নিখিলের বুকে আমরা রয়েছি জাগি !
ধর্ম্ কর্ম্ খর্ব্ করিয়া নৈতিক শিক্ষা ভেঙে
প্রাণের গভীরে মোহের নিবাসে আপানাকে দিয়েছি রেঙে,
জগতের পানে নিজ্স্ব বিধান লিখেছি রাত্রি জেগে
ছুটেছি সবাই কৃত্রিম হৃদে বৈশাখী ঝড়ের বেগে!

আপনাকে জাগাতে চাই !
চৌদিকে ঘিরে জাহেলী বাতিলি- ঊনুনে পুড়া ছাই,
ছড়ায়ে রয়েছে ভেতর বাহির মানবের অস্থি খুলি,
উঠবে কি প্রাণে শান্তির ঢেঁউ স্পন্দন তুলি তুলি?
সত্য ছাড়া কে দিয়েছে মুক্তির দিশা জ্বালাই!
অনৈতিক ধরায় মুক্তি কখনো দিবে নাকো তোমায় ঠাঁই।
----------------------------------------17-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

ওরা মানুষ! কিন্তু ওরা ধর্ষ্ক!
------------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
***********************************
মেয়েটির ভবিষ্যৎ বিভীষিকাভরা,-জীবন মরণময়!
মায়ের বুকে অবরুদ্ধ সে যে,সে যে শিকার, সে যে ক্ষয়;
কামনা লিপ্সু নর পশুরা গড়েছে অনৈতিক কারাগার
ক্ষত বিক্ষত মেয়েটি,পথে ঘাটে লুট হচ্ছে ইজ্জত তার
মানুষের মনুষ্যত্ত্বে গজিছে চরিত্রহীনতা অতঃপর-
নগ্ন কুকুরের মতো নাচে এই সভ্য সমাজের ভিতর !
কতই না প্রাণ ঝরে,-কতই না অবরুদ্ধ করে শ্বাস প্রশ্বাস,
কতই না বিষাক্ত ছোবল তার ,- এ কেমন প্রহসন-পরিহাস!
সভ্যতার বিজয় ম্লান করে দিচ্ছে অসভ্য লেলীহান শিখা,
মনুষ্যত্ত্বের প্রাণে জেগে উঠছে এক পশুত্ত্বের অহমিকা ।
ওরা ঘৃণিত, চরিত্রহীন নরপশু ,এই সমাজের মহামারী
ওরা মানুষ! কিন্তু ওরা ধর্ষ্ক!
ওদের বিচার কি হবে না এই বঙ্গ বুকে ওহে প্রহরী ?
আর কত সম্ভ্রমহানী হলে তুমি জাগবে ওহে পাঞ্জেরী ?
--------------------------------------17-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

ওইখানে কিছু একটা হচ্ছে
-------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
***************************
আজিকার বাইক, তোমার পিঠটা বাসরের চৌকির মতন!
যখন তোমাকে চড়ে যুবক যুবতীর দল
কি এক মধুর আলিঙ্গনে কিংবা
অনৈতিক ভঙ্গিমায় তুমি দূরন্ত চঞ্চল—

তোমাকে পেয়ে, স্বাধীনচেতা দেহগুলো আঁকা বাঁকা পথে হেলে দোলে-
কপাট দিয়েছে খুলে দূরন্ত বাইকের কোলে কোলে ।

তোমার পিঠের দিকে তাকালে কখনো
চোখ সেই পৃথিবীর নিলর্জ্জ দল,
নগ্ন জুটি যেন পিঠে পিঠে গাঁথা
চরিত্রের উপকন্ঠে নিষিদ্ধ ছোবল,
এই সব যৌবনের ঢেউ জীবনের ক্রন্দন সব!
যুবক যুবতী, করেছি অনুভব।

অনেক নিলর্জ্জ যুগ যেন এসে গেল;
বাইক চলন্ত!তবু কামুকের ছোবলেরা থেমে নেই ওই সময়-
যৌবন কিছু চেয়েছে বলে এতো রক্ত নদী ?
নিষিদ্ধ পল্লীর মতো মনে হয়-

অনৈতিক বিজয়ের দম্ভ- বাইকের পিঠে পিঠে দৌড়ে;
ওইখানে কিছু একটা হচ্ছে;আলো কি জ্বলবে বিবেকের তরে?
-----------------------------------------16-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর


Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

স্বপ্নের টিনেজ সব
------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
**************************
এ যুগের টিনেজেরা উড়ে যায় আপন মনে-
হেড ফোন কানে দিয়ে ঘুরে বনে বনে;

টিনেজেরা বাইকে চড়ে, ভূঁ ভূঁ শব্দ শুনি তার;
অলি –গলি, পথ –ঘাট নষ্টামি অপার-
মাদকের কিনার দিয়ে তাদের নিত্য চলা ফেরা
নিশাচররের মতো নিঃশব্দে;করতেছে যৌবন চুরি তারা ।

এক সময় নিভে যায়, অনাবিল স্বপ্নীল আকাশ,
গোধূলীর ঘনঘটা চৌদিক তবু কত পরিহাস!

চৌদিক আজিকায় দেখি তারুণ্যে শক্তির মুখ;
অশুভ চক্রে স্বপ্ন হারায়ে আনছে জাতির দুঃখ !

স্বপ্নের টিনেজ সব- আগামীর আলো হউক আপনাকে চিনে এই বিশ্বতর
হয়ে উঠুক জাতির সম্পদ মুক্ত লাল সবুজের ভিতর ।
---------------------------------------------16-04-2019 ।
রাওনাট,কপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

তুমি এতো কাছে!

-কবি মোঃ আমিনুল এহছান
মোল্লা
তুমি এতো কাছে, এতো কাছে - হে নদী !
কতো কাল প্রহর গুনেছি বিনিদ্র রজনি
তোমার তটনি
পায়নি, তোমার দেখা পায়নি- সেই রূপে পায়নি..

কতো বার চেয়েছি তোমার তরঙ্গে তরঙ্গে ভেসে যাবো..
ঝাঁপ দিবো উত্তাল জল স্রোতে-
ডুবে যাবো, আমি ডুবো যাবে অথৈ গভীরে
খুব গভীরে !

বুকের আলিঙ্গনে আলিঙ্গনে স্মান করে নিবো—
জোয়ারে জোয়ারে ভেসে যাবো, যুগল বন্ধনে ভেসে যাবো
এক মধুর সন্ধিক্ষণে-

তুমি এতো কাছে, এতো কাছে - হে নদী !
তবুও দেখেনি ,তোমাকে জাগতে দেখেনি বার্ষার আগমনে,
কতো কাল প্রহর গুনেছি বিনিদ্র রজনি
তোমার তটনি
বুকে ঝাঁপ দিবো বলে অপলক চেয়ে আছি শুধু চেয়ে আছি!

তুমি এতো কাছে, এতো কাছে - হে নদী !
--------------------------------------29-10-2018 ।,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

আমি তোমার আসামী

-কবি মোঃ আমিনুল এহছান
মোল্লা
এক অবহেলার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলছি, এক অপরাধী হয়ে বলছি..
প্রেমের কাঠগড়ায় যদি বলো আসামী

আমি মাথা পেতে নিব, আমি চিৎকার করে বলে যাবো - আমি ভালবাসি
শুধু তোমাকেই ভালবাসি !
ফাঁসির মঞ্চে যেতে হয় যাব, অপমান সহ্য করতে হয় সইব..
স্বীকৃতি দেও বা না দেও তবু স্বীকার করে যাব….
আমি প্রেমের কাঙ্গাল, আমি প্রেমের ভিখারী.
আমি তোমার আসামী-

এক অবহেলার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলছি, এক অপরাধী হয়ে বলছি..
প্রেমের কাঠগড়ায় যদি বলো আসামী
আমি হাত বাড়িয়ে দিব, আমি পড়ে নিব প্রেমের শিকল..
আমি রক্তাক্ত হবো তোমার আঘাতে আঘাতে.
আমি খুলে দিবো প্রণয়ের দুয়ার…
আলিঙ্গনে আলিঙ্গনে জাগিয়ে দিবো
তোমার সেই শাস্তির কাঠি!

তবু বলব না-কখনো বলব না- তুমি অন্যায় করেছো..
আমাকে আহত করেছো, আমাকে শাস্তি দিয়েছো
সব কেড়ে নিয়েছো
এক বিনিদ্র রজনী—

এক হৃদয়ের কথা বলছি, এক প্রেমিকা হয়ে বলছি…
স্বীকৃতি দেও বা না দেও..
আমি চিৎকার করে বলবো, সবাইকে জানিয়ে বলবো
আমি তোমার আসামী ! আমি তোমার আসামী !
---------------------------------28-10-2018 ।,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর ।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

পারছিনা
-কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
পারছিনা, বলতে পারছিনা, আমি বলতে পারছিনা..
সেই কথাটা বলতে পারছিনা…

যে আগুনে জ্বলছি আমি, যে তরঙ্গে ডুবছি আমি..
দেখছি শুধু তোমার মাঝে
চাইছি যাহা দিবা- সাঁঝে..
আসবে কি নিশির ঘরে ?
দেখব তোমায় নয়ন ভরে
থাকবে তুমি আমার বুকে..
রাখব সেথায় চরম সুখে ।

পারছিনা, বলতে পারছিনা, আমি বলতে পারছিনা..
সেই কথাটা বলতে পারছিনা…
যে আগুনে জ্বলছি আমি, যে তরঙ্গে ডুবছি আমি..
----------------------------- 2810-2018 ।,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর ।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

স্বর্গিয় যুদ্ধ

-কবি মোঃ আমিনুল
এহছান মোল্লা
এক সমতল ভূমিতে দেখেছি উঁচু পাহাড়ের যুগল..
যার উত্তাল জল ধারা প্রবাহিত তলদেশে !

টিলা যুগল অপলক চেয়ে আছে,শুধু চেয়ে আছে
এক ক্ষুধার্ত্ চিতার মতো !
তলদেশের স্রোতে স্রোতে ব্যাকুল স্পন্দিত তরঙ্গ…
অগ্নির মতো স্ফুলিঙ্গ ছড়াচ্ছে জল কণাগুলো !
অনুপম যুদ্ধের প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে,অবিরাম প্রহর গুনছে
এক নির্ভিক সৈনিকের অপেক্ষায়…

সমতল ভূমিতে জেগে উঠা যুগল টিলাগুলো..
অপূর্ব্ ভঙ্গিতে চেয়ে আছে এক স্বপ্নিন উত্তালে
তলদেশে তরঙ্গের উত্তেজনা ফুসে উঠছে..
বড় বেশী জেগে উঠছে তুমুল যুদ্ধে যুদ্ধে..
এ এক স্বর্গিয় যুদ্ধ !
এ এক বন্ধনের যুদ্ধ !
যেখানে নেই কোন জয় পরাজয়ের হিসেব নিকেষ-
আছে শুধু প্রেম, আছে শুধু স্বর্গিয় অনুভূতি !
এ এক বিপরীত মুখী স্পন্দনের তরঙ্গ..
তপ্ত স্রোতের স্পর্শে স্পর্শে এক স্বর্গিয় যুদ্ধ !

এক সমতল ভূমিতে দেখেছি উঁচু পাহাড়ের যুগল..
যার উত্তাল জল ধারা প্রবাহিত তলদেশে !

-------------------------------------28-10-2018 ।,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

আমি তোমার, কেবলই তোমার -কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা

আমি তোমার, কেবলই তোমার

-কবি
মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
আমি গিয়েছি, বার বার গিয়েছি - তোমার কাছে গিয়েছি …
প্রেমকে সর্মাপন করেছি, পাগলের মতো করেছি
প্রত্যাশার প্রলয়ে প্রলয়ে করেছি!
হৃদয়ের প্রণয়ে প্রণয়ে করেছি..

তুমি দেখলে না, তুমি বুঝলে না এ গহিনের তরঙ্গ !
কতো বার লিখেছি, রক্ত দিয়ে লিখেছি…
পরতে পরতে লিখেছি
শুধু তুমি, শুধু তুমি, অবিরত তুমি !

তুমি শুনলে না, তুমি বুঝলে না, এ গহিনের আর্তনাদ !
কতো চিৎকার দিয়ে বলেছি, শুধু বলেছি একটি নাম
সে তুমি, সে তুমি- শুধু তুমি !
কতো বার লিখেছি শিরোনাম-
ভালবাসি- তোমাকে ভালবাসি- শুধু তোমাকে ভালবাসি ।

তুমি বুঝলে না, তুমি নিলে না
এ হৃদয়ের স্পন্দিত উপহার !
এক অমর শিরোনাম-
ভালবাসি, তোমাকে ভালবাসি- অনেক ভালবাসি –হে প্রিয় !

এক বার দেখো, হৃদয় খুলে দেখো—
আমি তোমার, কেবলই তোমার- হে প্রিয় ।
---------------------------------28-10-2018 ।,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

এক যুগের মলাটে
-------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
**************************
এক যুগের মলাটে চারিদিকে অন্ধকার আকাশ
প্রেমের আত্তারা হয়ে গেছে যেন নিষ্ঠুরতম ত্রাস
নৈতিকতা ঘুমিয়েছে- লজ্জা শব্দটি সে-ও ঘুমে'
নব নব হুজুগের ব্যাপ্তিতে গা ভাঁসিয়েছো তুমি ।

পরাজয়ে অনেক গভীরে চলে গেছো! সেই দূর কোন অচিন পারে
তুমি আজ পথহীন পথিকের মতো গোঢ় অন্ধকারে-
কেউ যেন তোমায় ঘিরে ঘাঁপটি মেরে আছে প্রাণে;
মনে হয় ‍তুমি যেন এমন কোন অশুভ শক্তির উদ্ভাবনে

শুভ প্রাণের দ্বারে দ্বারে-নব নব উদ্দীপনে অকূল আকাশে বাতাসে
তুমি ছাড়া আর কে আসে এই সরল যুগে অনায়াসে ?
এক যুগের মলাটে পৃথিবীতে অশুভ শক্তিরা ঘুরে ফিরে-
শুভ শক্তিরা পরাজিত সৈনিকের মতো গর্তে-মুক্তিরা দূরে, বহুদূরে—
----------------------------------15-04-2019, রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

আঙ্গিক_গদ্যকবিতা
#প্রতিবন্ধী_ভালোবাসা
#নীলিমা_রহিম
#তারিখ : ১১/০৪/২০১৯
#© reserved by Neelima Rahim
---------------------------------------------------------------------------
জীবন রঙ তুলির ক্যানভাস বৈ তো নয়!
কাঁটাতার বেষ্টনী জীবনচক্র --
পুরাতন ছেঁড়া বাঁধন;
মন মাধুরী বর্ণিল প্রজাপতির ডানা--
তামাটে রঙ বিকেলের রোদ্দুর।
সাঁঝ বিহান গনগনে আগুন কুণ্ডলী--
টকটকে লাল আবির--
আকাশ সাগরে ভালোবাসার মিতালি,
মেকি প্রেমের সংলাপ বৈকি!
জলদের ফোঁটা ফোঁটা অমৃত সুধা,
নীলের বুকে অপেয়।
জীবন পাতার ছেঁড়া ডায়েরি,
ধুলোর নিচে--
স্বপ্নের খোঁজে জীবন আবার জাগে।
তেল আর জলের মিশ্রণ--
প্রতিবন্ধী ভালোবাসার রসায়ন।

আহামরি কিছু নয়!
জীবনচক্রের মেঘ মেদুর ধূসর পাণ্ডুলিপি।
অথবা ঝলসানো মৃত্যুর বিভীষিকা,
সাঁঝ মায়ায় সুদর্শন--
জীবনচক্রের ত্রিমাত্রিক দুঃস্বপ্ন--
প্রিয়ার কালো চোখে নীল সাগর দর্শন।
জলকণায় ভেসে থাকা-
রংধনুর সাত রূপসী নাচে,
উর্বশী-রম্ভার সপ্তস্বরায়।
একটুকরো নীল ভালোবাসার উষ্ণ স্পর্শ,
আবির মাখা সূর্যের এতোটুকুন পরশ,
ডানা কাটা পরী নয়,
গাঙচিলের রকমারি ডানার বাহন চেপে,
আকাশের বুক চিরে একমুঠো নীল ভালোবাসা।
সবুজ স্বপ্নে না বলা কথার ছান্দিক কাব্য,
গোপন প্রিয়ার আমাজনের গহীন অন্তর ছুঁয়ে;
ভালোবাসার নীড় রচনার স্বপ্ন সুখে অনাগত অবগাহন।

Regards,
নীলিমা রহিম | neelimarahim1969@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

দশ বছর পূর্তীতে দাঁড়িয়ে
-----------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
************************
ওহে বিবিএস কেবলস ,
আজ হতে দশ বছর আগে তুমি জন্মেছিলে বিবিএস গ্রুপে
পঞ্চ সূর্যের বিপ্লবী কিরণে আজো জ্বলেছো বিপুল প্রতাপে!
এক অঙ্গিকার হতে তুমি এসেছিলে সোনালী প্রভাত প্রহরে
ওহে বিবিএস কেবলস ,
অনেক যুদ্ধের পর যুদ্ধে আজ তুমি জাগ্রত অন্তরে অন্তরে ।

এক ঈর্ষশীয় সাফল্যের উপমা তুমি পৃথিবীর পথে পথে
অনেক ভাগ্যবান তুমি; এই ইস্পাত কঠিন শিল্প জগতে;
তোমায় ঘিরে আছে শত শত বিপ্লবী যোদ্ধা যুদ্ধের বাঙ্গারে
যারা শিখেনি,
যারা কখনো হার মানতে শিখেনি প্রতিযোগীতার সমরে ।

তুমি পঞ্চ সূর্যের দীপ্ত আলো, এই অন্ধকার পৃথিবীর বন্ধন,
তুমি নির্ভরতার প্রতীক -ওহে বিবিএস কেবলস,ওহে ভোক্তার প্রাণ ।
তুমি হারতে আসনি, তুমি হারতে শিখনি-
তুমি এক মুক্তির আলো এই ধরণী ।

দশ বছর পূর্তীতে দাঁড়িয়ে তোমাকে দেখছি আমি- এক ঈর্ষশীয় সাফল্যের শিখরে
অনেক যুদ্ধের পরে আজ তুমি এক বিজয়ী নিশান,
এক বিষ্ময়কর উপমা বিশ্ব দরবারে !
পৃথিবীর সব অন্ধকারেরা যদি নেমে আসে ,আমি তোমাকেই খোঁজে নিব ।
আর বজ্র কণ্ঠে বলব,
তুমি আমার হৃদয়, তুমি আমার প্রেম- ওহে বিবিএস কেবলস ।
-----------------------------------------------10-04-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com