এখনো বাঙালির বুকে
কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
তারিখঃ ৩০-০৯-২২ ইং।
***********************************
ক্ষমতার মোহে নিরপেক্ষতা দেখেনি বাংলায় !
যে যার মত ব্যাখায় চলেছি আপন সূধায়
মত পথের ভিন্নতায়
কিংবা ক্ষমতা লোভীদের অভিপ্রায়
বাঙালির গর্বিত পতাকা- লক্ষ্ শহীদের রক্ত
মত পথের ভিন্নতায় দ্বিধা বিভক্ত !!
অথচ মুক্তির নিশান এক এবং অভিন্ন
তবে কেন এতো ছিন্ন ভিন্ন ?
এ ছদ্মবেশী দেশ প্রেম কবে যাবে অবকাশে ?
কবে উড়বে সাম্যের পতাকা বসন্তবাতাসে !
এখনো বাঙালির বুকে পরাজয়ের দীর্ঘশ্বাস !!
ঝরা বকুলের বিরহী কান্না আকাশ- বাতাস
চারিদিকে ছদ্মবেশী দেশ প্রেমের নগ্ন উল্লাস
জনতার মুক্তি নেই আর হরষ বরষ
যে দিয়েছিল মুক্তি যুদ্ধের শিরোনাম
যে লিখেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের নাম
সেতো লাল সবুজের জ্যোতি- মৃত্যুঞ্জয় !
এখনো বাঙালির বুকে তা্রই সূর্য্দয় ।
ক্ষমতার মোহে নিরপেক্ষতা দেখেনি বাংলায় !
যে যার মত ব্যাখায় চলেছি আপন সূধায়----
---------------------------------------
Regards,
মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা | aminulahasan372@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
বাংলা ম্যাগাজিন ব্লগ। আপনার লেখা গল্প কিংবা কবিতাটি পোস্ট করুন এখানে। ●Name চিহ্নিত বক্সে আপনার সম্পূর্ণ নাম দিন । ● Email চিহ্নিত বক্সে আপনার ইমেইল এড্রেস দিন । ●মেসেজ বক্সে লেখার শিরোনাম, লেখকের নামসহ আপনার লিখাটি দিন । Send বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথেই পোস্টটি ওয়েবসাইট এ পাবলিশ হয়ে যাবে।
আপনার লেখা গল্প কিংবা কবিতাটি পোস্ট করুন এখানে। মেসেজ বক্সে লেখার শিরোনাম, লেখকের নামসহ লিখা দিন।
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
যে প্রাণ চঞ্চলা ছিল
কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
তারিখঃ ০ ১-১০-২২ ইং।
***********************************
সদা যে প্রাণ চঞ্চলা ছিল এ বিশ্বলোক,
সে প্রাণে আজ বিপুল বিরহের শোক !
এক শুন্যতার মিছিল ঘিরে আছে এ প্রাণে
আগুনের লেলিহান শিখা প্রচন্ড দহনে
তবু রজনী গন্ধার বৃন্তখানি
শুভ্রতার ডানা মেলে জাগেনি
রক্ত জবা ফুটেছে টুকটুকে লাল
রক্ত ক্ষরণের তরঙ্গ তুলেছে কণিকার দল
প্রচন্ড আঘাত দেয় আমবস্যার রাতে
রাত্রির পরীরা উল্লাসে মেতে উঠে তাতে !
কি এক ছলনার ফুল !
প্রেমের বাগানে ফুটে আছে দল বল ।
হে নিরুপমা- হে ঐশ্বর্যবান
যে অনুভবে তুমি ছিলে তা তোমারই দান।
তবু কেন নাই আজ প্রেমের জোনাকী ?
তরঙ্গের মুহূর্তগুলো বড় একাকী –বড় একাকী!
সদা যে প্রাণ চঞ্চলা ছিল এ বিশ্বলোক,
সে প্রাণে আজ বিপুল বিরহের শোক !
------------------------------------
Regards,
মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা | aminulahasan372@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
তারিখঃ ০ ১-১০-২২ ইং।
***********************************
সদা যে প্রাণ চঞ্চলা ছিল এ বিশ্বলোক,
সে প্রাণে আজ বিপুল বিরহের শোক !
এক শুন্যতার মিছিল ঘিরে আছে এ প্রাণে
আগুনের লেলিহান শিখা প্রচন্ড দহনে
তবু রজনী গন্ধার বৃন্তখানি
শুভ্রতার ডানা মেলে জাগেনি
রক্ত জবা ফুটেছে টুকটুকে লাল
রক্ত ক্ষরণের তরঙ্গ তুলেছে কণিকার দল
প্রচন্ড আঘাত দেয় আমবস্যার রাতে
রাত্রির পরীরা উল্লাসে মেতে উঠে তাতে !
কি এক ছলনার ফুল !
প্রেমের বাগানে ফুটে আছে দল বল ।
হে নিরুপমা- হে ঐশ্বর্যবান
যে অনুভবে তুমি ছিলে তা তোমারই দান।
তবু কেন নাই আজ প্রেমের জোনাকী ?
তরঙ্গের মুহূর্তগুলো বড় একাকী –বড় একাকী!
সদা যে প্রাণ চঞ্চলা ছিল এ বিশ্বলোক,
সে প্রাণে আজ বিপুল বিরহের শোক !
------------------------------------
Regards,
মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা | aminulahasan372@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
সেই সুখভরা বুকে
কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
তারিঃ০৩-১০-২০২০ ইং
**********************
এইতো কয়দিন হল তুমি এসেছো প্রীতি,
তবে এত সহজেই কেন হয়ে গেলে স্মৃতি ?
এই দেহ এই প্রাণ এখনো তরঙ্গ দুলে
তোমাকে খুঁজে তোমাকে চায় বসন্ত ফুলে।
এতো ব্যাদনা তবু সুখ আছে ও নয়নে
তুমি এসেছিলে, ভালবেসেছিলে ঘ্রাণে ঘ্রাণে
মেলেছিলে ফুলের ডানা চাঁদের আলোক
তবু কেন তরঙ্গ জলে মরু খরা শোক !
এতো কাছে তবু যেন শত বিরহের ব্যাথা
সেই হাসি সেই অশ্রু সেই সব কথা
এত সহজেই কেন হয়ে গেলে স্মৃতি ?
এইতো কয়দিন হল তুমি এসেছো প্রীতি
এসেছিলে তুমি হয়েছিলে প্রণয়ের লাজ,
সেই সুখভরা বুকে আগুন জ্বালালে আজ।
এতো কাছে তবু সুদূরে হয়েছো বিলীন
ওগো এখনো চেয়ে আছি অবিরত নিশিদিন।
--------------------------------
Regards,
মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা | aminulahasan372@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
তারিঃ০৩-১০-২০২০ ইং
**********************
এইতো কয়দিন হল তুমি এসেছো প্রীতি,
তবে এত সহজেই কেন হয়ে গেলে স্মৃতি ?
এই দেহ এই প্রাণ এখনো তরঙ্গ দুলে
তোমাকে খুঁজে তোমাকে চায় বসন্ত ফুলে।
এতো ব্যাদনা তবু সুখ আছে ও নয়নে
তুমি এসেছিলে, ভালবেসেছিলে ঘ্রাণে ঘ্রাণে
মেলেছিলে ফুলের ডানা চাঁদের আলোক
তবু কেন তরঙ্গ জলে মরু খরা শোক !
এতো কাছে তবু যেন শত বিরহের ব্যাথা
সেই হাসি সেই অশ্রু সেই সব কথা
এত সহজেই কেন হয়ে গেলে স্মৃতি ?
এইতো কয়দিন হল তুমি এসেছো প্রীতি
এসেছিলে তুমি হয়েছিলে প্রণয়ের লাজ,
সেই সুখভরা বুকে আগুন জ্বালালে আজ।
এতো কাছে তবু সুদূরে হয়েছো বিলীন
ওগো এখনো চেয়ে আছি অবিরত নিশিদিন।
--------------------------------
Regards,
মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা | aminulahasan372@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
অপলক চেয়ে থাকো
কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
তারিঃ০৪-১০-২০২০ ইং
**********************
অপলক চেয়ে থাকো উঁচু করে আঁখি
ডানা মেলে দাও হৃদয়ের যত পাখি!
উত্তাল হয়ে গেল তরঙ্গ, জলকলস্বর
মুহূর্তে ব্যাকুল হয়ে গেল,দেহ- অন্তর
গভীরে ভালোবাসা জাগল ধীরে ধীরে
নিস্তরঙ্গ তটিনীর জনশূন্য তীরে
এখন পিপাসা প্রাণে অযুত শুন্যতায়
যদি একটু জল দিতে ভালোবাসার মুর্ছনায়
সেইক্ষণে সঙ্গী হতাম নিরব নির্জন
তুমি হতে স্বর্গীয় প্রথম চুম্বন
দেহ অন্তরে উঠত বাজি পুলক শিরহণ তখনি
পৃথিবী জেনে যেত ভালোবাসার অমর ধ্বনি।
অমৃতের রোমাঞ্চলোক উঠত শিহরি
আজ কেন চক্ষে এল অশ্রুজল ভরি ?
অপলক চেয়ে থাকো উঁচু করে আঁখি
ডানা মেলে দাও হৃদয়ের যত পাখি!
---------------------------------
Regards,
মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা | aminulahasan372@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
তারিঃ০৪-১০-২০২০ ইং
**********************
অপলক চেয়ে থাকো উঁচু করে আঁখি
ডানা মেলে দাও হৃদয়ের যত পাখি!
উত্তাল হয়ে গেল তরঙ্গ, জলকলস্বর
মুহূর্তে ব্যাকুল হয়ে গেল,দেহ- অন্তর
গভীরে ভালোবাসা জাগল ধীরে ধীরে
নিস্তরঙ্গ তটিনীর জনশূন্য তীরে
এখন পিপাসা প্রাণে অযুত শুন্যতায়
যদি একটু জল দিতে ভালোবাসার মুর্ছনায়
সেইক্ষণে সঙ্গী হতাম নিরব নির্জন
তুমি হতে স্বর্গীয় প্রথম চুম্বন
দেহ অন্তরে উঠত বাজি পুলক শিরহণ তখনি
পৃথিবী জেনে যেত ভালোবাসার অমর ধ্বনি।
অমৃতের রোমাঞ্চলোক উঠত শিহরি
আজ কেন চক্ষে এল অশ্রুজল ভরি ?
অপলক চেয়ে থাকো উঁচু করে আঁখি
ডানা মেলে দাও হৃদয়ের যত পাখি!
---------------------------------
Regards,
মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা | aminulahasan372@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
তুমি তাকালেই কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
তুমি তাকালেই
কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
তারিখঃ ১১-০৯-২০২২ ইং
**************************
তুমি তাকালেই কেমন যেন হয়ে যাই!
শিরা উপশিরা গুলোর কম্পন শুনতে পাই।
শিহরিত হয়ে উঠি কি এক বৃথা রোদনে
নেচে উঠে রোমাঞ্চিত মন বিপ্লবী উদ্ধোধনে।
কিন্তু কোথায় যেন জোয়ারে দোলে প্লাবন
তীব্র বেগ রক্তিম পথ গহিন অনুধাবন।
তবু প্রবল উচ্ছাস এ মনের সিংহাসন-
যদি হতে এ রাজ্যের পুলক-শিরহণ !
তুমি তাকালেই কেমন যেন হয়ে যাই!
আর নাহি আপনাকে খোঁজে পাই----
---------------------------------
Regards,
মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা | aminulahasan372@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
তারিখঃ ১১-০৯-২০২২ ইং
**************************
তুমি তাকালেই কেমন যেন হয়ে যাই!
শিরা উপশিরা গুলোর কম্পন শুনতে পাই।
শিহরিত হয়ে উঠি কি এক বৃথা রোদনে
নেচে উঠে রোমাঞ্চিত মন বিপ্লবী উদ্ধোধনে।
কিন্তু কোথায় যেন জোয়ারে দোলে প্লাবন
তীব্র বেগ রক্তিম পথ গহিন অনুধাবন।
তবু প্রবল উচ্ছাস এ মনের সিংহাসন-
যদি হতে এ রাজ্যের পুলক-শিরহণ !
তুমি তাকালেই কেমন যেন হয়ে যাই!
আর নাহি আপনাকে খোঁজে পাই----
---------------------------------
Regards,
মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা | aminulahasan372@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
বীরাঙ্গনা বলছি! আহবাব হাসনাত লাবিব।
বীরাঙ্গনা বলছি!
আহবাব হাসনাত লাবিব।
এই বাড়িটা পিতৃহারা ফেলে দীর্ঘশ্বাস,
এই বাড়িটা অশ্রুলেখা রক্তাক্ত মাস।
এই বাড়িতে রয়েছে দেখো স্মৃতি অবিরাম,
এই বাড়িতে কোণায় কোণায় বঙ্গবন্ধুর নাম।
এই বাড়িতে উঠেছিল সূর্যহীন ভোর,
এই বাড়িতে বাজে শুনো জয় বাংলার স্বর।
এই বাড়িতে শহিদ হয় ইতিহাসের ভারি লাশ,
এই বাড়িতে দেশের স্বপ্ন হয় সর্বনাশ।
এই বাড়িতে পাবে দেখো আমার কন্ঠ স্বর,
এই বাড়িতে আছে দেখো শেখ মুজিবুর।
এই বাড়িতে পাবে দেখো আমার অশ্রুজল,
এই বাড়িটা চিরকাল প্রেরণা অবিচল।
এই বাড়িটা আমার কাছে রক্তাক্ত হিমালয়!
এই বাড়িটা আমার কাছে আমার পরিচয়।
Regards,
AHBAB HASNAT LABIB | ahbabhasnat07@email.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
আহবাব হাসনাত লাবিব।
এই বাড়িটা পিতৃহারা ফেলে দীর্ঘশ্বাস,
এই বাড়িটা অশ্রুলেখা রক্তাক্ত মাস।
এই বাড়িতে রয়েছে দেখো স্মৃতি অবিরাম,
এই বাড়িতে কোণায় কোণায় বঙ্গবন্ধুর নাম।
এই বাড়িতে উঠেছিল সূর্যহীন ভোর,
এই বাড়িতে বাজে শুনো জয় বাংলার স্বর।
এই বাড়িতে শহিদ হয় ইতিহাসের ভারি লাশ,
এই বাড়িতে দেশের স্বপ্ন হয় সর্বনাশ।
এই বাড়িতে পাবে দেখো আমার কন্ঠ স্বর,
এই বাড়িতে আছে দেখো শেখ মুজিবুর।
এই বাড়িতে পাবে দেখো আমার অশ্রুজল,
এই বাড়িটা চিরকাল প্রেরণা অবিচল।
এই বাড়িটা আমার কাছে রক্তাক্ত হিমালয়!
এই বাড়িটা আমার কাছে আমার পরিচয়।
Regards,
AHBAB HASNAT LABIB | ahbabhasnat07@email.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
দর্পণ প্রনব ঘোষ
দর্পণ
প্রনব ঘোষ
তোমায় আমি দেখেছিলেম হঠাৎ
অন্ধ গলির শেষে ভাঙা বাড়ি,
খোলা জানলার ফাঁক দিয়ে আয়নায়
দেখি তোমার পরনে লাল শাড়ি।
আয়নাতে ঐ মুখটা তোমার দেখি
জ্বলজ্বলে রূপ, পটলচেরা আঁখি
মুক্তকেশী চুল গুলি সব বুকের উপরে
মুক্তাদানা জমেছে যেনো রাঙা অধরে!
পড়লো যখন হঠাৎ চোখে চোখ—
লজ্জায় রাঙা হলো যেনো রক্তজবা মুখ
সহসা আমার হার্টবিটটা দ্রুতগামী হলো
মন ছুটিল— পা দু'খানি স্থির তবু ছিলো।
হঠাৎ যখন তোমার কথা মনেতে উঠিল
তাকিয়ে দেখি শূন্য ঘর অস্পষ্ট আলো—
তখন আমি আত্নহারায় দেখি উদাস মনে
পড়ে আছে মুখখানি মোর ভাঙা দর্পণে।
Regards,
প্রনব ঘোষ | s.pronabkg@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
প্রনব ঘোষ
তোমায় আমি দেখেছিলেম হঠাৎ
অন্ধ গলির শেষে ভাঙা বাড়ি,
খোলা জানলার ফাঁক দিয়ে আয়নায়
দেখি তোমার পরনে লাল শাড়ি।
আয়নাতে ঐ মুখটা তোমার দেখি
জ্বলজ্বলে রূপ, পটলচেরা আঁখি
মুক্তকেশী চুল গুলি সব বুকের উপরে
মুক্তাদানা জমেছে যেনো রাঙা অধরে!
পড়লো যখন হঠাৎ চোখে চোখ—
লজ্জায় রাঙা হলো যেনো রক্তজবা মুখ
সহসা আমার হার্টবিটটা দ্রুতগামী হলো
মন ছুটিল— পা দু'খানি স্থির তবু ছিলো।
হঠাৎ যখন তোমার কথা মনেতে উঠিল
তাকিয়ে দেখি শূন্য ঘর অস্পষ্ট আলো—
তখন আমি আত্নহারায় দেখি উদাস মনে
পড়ে আছে মুখখানি মোর ভাঙা দর্পণে।
Regards,
প্রনব ঘোষ | s.pronabkg@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
ছড়াঃ সময়ের দর্পণ -----রাসেল আদিত্য
ছড়াঃ সময়ের দর্পণ
-----রাসেল আদিত্য
ইদানিংকালে বাস্তবতা দর্শনে আমি
আশাহত হয়ে আতংকে পতিত হই,
অনাগত আগামীর কালো চোখ রাঙায়
প্রাণপনে খুঁজি আলো তুমি কই?
নিজেকে নিয়ে নেই ভাবনা ভাবি
দেশ আর ভবিষ্যত প্রজন্ম নিয়ে,
ওঁদের জীবন যাপন যোগ্য দেশ আর
প্রকৃত সভ্যতা কি পারবো যেতে দিয়ে?
সভ্য তো আমরা কাগজ-কলমে আর
লজ্জা নিবারনে বস্ত্র পরিধানে সীমাবদ্ধ আজো,
যাপিত জীবনে আমি সাধু আবার আমিই কসাই
খেলছি যেনো যেমন খুশি তেমন সাঁজো।
ব্যস্ত আমরা কেবল নিজেকে নিয়ে
অমানবিকতা আর মিথ্যাই স্বাভাবিকতা,
সম্পর্কগুলো যেনো কাঁচের দেয়াল এখন
সামান্যতেই ভাঙে ভাবেনা সন্তানের কথা।
প্রেম-ভালোবাসার কথা বলবো কি আর
বদলে গেছে সংজ্ঞা, অনুভূতি, ধরন,
বিছানা ভালোবাসা প্রমানের জায়গা
এক কথায় প্রেম মানে সতিত্ব হরণ!
নগ্নতা আর অসভ্যতা নিয়েছে দখল
ভবিষ্যত প্রজন্মের মন মানসিকতার,
দশ-বারো বছরের ছেলেমেয়েরাও জানে
মানে কি আদিম উন্মত্ততার?
অনেক মূল্যের বিনিময়ে স্বাধীনতা অথচ
আমাদের নেইতো দেশপ্রেমের বালাই,
বছরে কেবল চারদিন মোরা বাঙালী সাঁজি
বাকি ৩৬১দিনই ভিনদেশী কালচারে ফালাই।
কোথাও নেই দৃশ্যমান আলোর রেখা
নৈতিকতা -আদর্শ পাঠিয়েছি জাদুঘরে,
আজো বেঁচে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ
এসব দেখে ডুকরে কেঁদে মরে!
নারী জাতির বন্দনাতে সদা সরব ছিলাম
মা-বোন-স্ত্রী-কন্যা সব মায়ারাই নারী,
ওসব এখন কল্পকথা কেবল সময়ের
শ্লোগান"নারী,আমরা সবই পারি"!
বাস্তবিকই পারে তাঁরা আছে বহু নজির
স্বার্থপরতায় আশ্রয় নেয় তাঁরা ছলনা ধোঁকাবাজির,
পরকীয়ার টানে এমনকি সন্তান হন্তারক হয়
এখন নারীরা নেতিবাচক রুপে মিডিয়ায় হয় হাজির।
নারী-পুরুষ সবাই যদি উল্টো পথে চলে
এসব হলে পতনের লক্ষ্মণ ধর্ম সেটাই বলে,
করোনা আজাবেও মোদের হুঁশ হচ্ছেনা কারো
ধেয়ে আসা বিপর্যয় থেকে মুক্তির পথটা বলতে কি কেউ পারো???
Regards,
Rasel Aditta | mujahidulislamrasel660@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
-----রাসেল আদিত্য
ইদানিংকালে বাস্তবতা দর্শনে আমি
আশাহত হয়ে আতংকে পতিত হই,
অনাগত আগামীর কালো চোখ রাঙায়
প্রাণপনে খুঁজি আলো তুমি কই?
নিজেকে নিয়ে নেই ভাবনা ভাবি
দেশ আর ভবিষ্যত প্রজন্ম নিয়ে,
ওঁদের জীবন যাপন যোগ্য দেশ আর
প্রকৃত সভ্যতা কি পারবো যেতে দিয়ে?
সভ্য তো আমরা কাগজ-কলমে আর
লজ্জা নিবারনে বস্ত্র পরিধানে সীমাবদ্ধ আজো,
যাপিত জীবনে আমি সাধু আবার আমিই কসাই
খেলছি যেনো যেমন খুশি তেমন সাঁজো।
ব্যস্ত আমরা কেবল নিজেকে নিয়ে
অমানবিকতা আর মিথ্যাই স্বাভাবিকতা,
সম্পর্কগুলো যেনো কাঁচের দেয়াল এখন
সামান্যতেই ভাঙে ভাবেনা সন্তানের কথা।
প্রেম-ভালোবাসার কথা বলবো কি আর
বদলে গেছে সংজ্ঞা, অনুভূতি, ধরন,
বিছানা ভালোবাসা প্রমানের জায়গা
এক কথায় প্রেম মানে সতিত্ব হরণ!
নগ্নতা আর অসভ্যতা নিয়েছে দখল
ভবিষ্যত প্রজন্মের মন মানসিকতার,
দশ-বারো বছরের ছেলেমেয়েরাও জানে
মানে কি আদিম উন্মত্ততার?
অনেক মূল্যের বিনিময়ে স্বাধীনতা অথচ
আমাদের নেইতো দেশপ্রেমের বালাই,
বছরে কেবল চারদিন মোরা বাঙালী সাঁজি
বাকি ৩৬১দিনই ভিনদেশী কালচারে ফালাই।
কোথাও নেই দৃশ্যমান আলোর রেখা
নৈতিকতা -আদর্শ পাঠিয়েছি জাদুঘরে,
আজো বেঁচে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ
এসব দেখে ডুকরে কেঁদে মরে!
নারী জাতির বন্দনাতে সদা সরব ছিলাম
মা-বোন-স্ত্রী-কন্যা সব মায়ারাই নারী,
ওসব এখন কল্পকথা কেবল সময়ের
শ্লোগান"নারী,আমরা সবই পারি"!
বাস্তবিকই পারে তাঁরা আছে বহু নজির
স্বার্থপরতায় আশ্রয় নেয় তাঁরা ছলনা ধোঁকাবাজির,
পরকীয়ার টানে এমনকি সন্তান হন্তারক হয়
এখন নারীরা নেতিবাচক রুপে মিডিয়ায় হয় হাজির।
নারী-পুরুষ সবাই যদি উল্টো পথে চলে
এসব হলে পতনের লক্ষ্মণ ধর্ম সেটাই বলে,
করোনা আজাবেও মোদের হুঁশ হচ্ছেনা কারো
ধেয়ে আসা বিপর্যয় থেকে মুক্তির পথটা বলতে কি কেউ পারো???
Regards,
Rasel Aditta | mujahidulislamrasel660@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
কাব্যময় বিশ্বপ্রকৃতি ও প্রতিক্রিয়া রচনায়, সৈয়দ জালাল আহমেদ চৌধুরী
কাব্যময় বিশ্বপ্রকৃতি ও প্রতিক্রিয়া
রচনায়, সৈয়দ জালাল আহমেদ চৌধুরী
সবুজে সবুজে মিলামিলি করে
আহা! কতইনা সুন্দর প্রকৃতি।
বাতাস আসিলে গড়াগড়ি করে
আহা! কতইনা মধুর দিবারাতি।
কবিতা লিখতে গিয়ে মনের দরজায় অন্যরকম গদ্যানুভূতি জেগে উঠলো। আর তাহলো, এই
চার লাইন লিখার পর পড়ে ভাবি - আজ আমাদের বিশ্ব প্রকৃতি কেন এত নাজেহাল
অবস্থায় আছে! হ্যাঁ, তার অবশ্যাম্ভাবী কারণগুলো হলো কোথাও না কোথাও বোমাবাজি,
করোনার থাবা, প্রবল ঘূর্ণীঝড়ের থাবা এবং সন্ত্রাসী হামলার কারণে আজ
বিশ্বপ্রকৃতিতে এরূপ অধর্ম প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। তাই আসুন, আমরা সুমহান
স্রষ্টাকে বেশী বেশী করে ডাকি, রীতিমত প্রার্থনা করি, অপছন্দনীয় কর্মের জন্য
স্রষ্টার কাছে ক্ষমা চাই আর দোয়া করি - আল্লাহ যেন এই কাব্যময় বিশ্ব প্রকৃতি
আবার আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন।
Regards,
Syed Jalal Ahmed Chowdhury | syedjalalahmedchowdhury786@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
রচনায়, সৈয়দ জালাল আহমেদ চৌধুরী
সবুজে সবুজে মিলামিলি করে
আহা! কতইনা সুন্দর প্রকৃতি।
বাতাস আসিলে গড়াগড়ি করে
আহা! কতইনা মধুর দিবারাতি।
কবিতা লিখতে গিয়ে মনের দরজায় অন্যরকম গদ্যানুভূতি জেগে উঠলো। আর তাহলো, এই
চার লাইন লিখার পর পড়ে ভাবি - আজ আমাদের বিশ্ব প্রকৃতি কেন এত নাজেহাল
অবস্থায় আছে! হ্যাঁ, তার অবশ্যাম্ভাবী কারণগুলো হলো কোথাও না কোথাও বোমাবাজি,
করোনার থাবা, প্রবল ঘূর্ণীঝড়ের থাবা এবং সন্ত্রাসী হামলার কারণে আজ
বিশ্বপ্রকৃতিতে এরূপ অধর্ম প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। তাই আসুন, আমরা সুমহান
স্রষ্টাকে বেশী বেশী করে ডাকি, রীতিমত প্রার্থনা করি, অপছন্দনীয় কর্মের জন্য
স্রষ্টার কাছে ক্ষমা চাই আর দোয়া করি - আল্লাহ যেন এই কাব্যময় বিশ্ব প্রকৃতি
আবার আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন।
Regards,
Syed Jalal Ahmed Chowdhury | syedjalalahmedchowdhury786@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
বিতর্ক বৃথা - কবিতা [সাহিত্য কণিকা]
বিতর্ক বৃথা...
তোমরা বলছ অবৈধ ভালোবাসা! -- ঠিক না বেঠিক
বিতর্কে যাওয়া বৃথা...
নিখাদ ভুলই তো পৃষ্ঠা উল্টে ইতিহাস ---
নির্বাক চাঁদ প্রমাণ করতে অপারগ,
কিছু কালো দাগে ভাইরাল জোছনাটা
তোমরা বলছ মেয়েটা গর্ভবতী -- ঠিক না বেঠিক
বিতর্কে যাওয়া বৃথা...
অবয়ব দোষে চুলচেরা বিশ্লেষণ
নির্বাক ভ্রূণ প্রমাণ করতে অপারগ,
আজন্ম গায়ে লাওয়ারিশ তকমাটা
তারপর সব দায়দায়িত্ব সেরে...
তোমরা দিয়েছ গ্রহ উপগ্রহে পাড়ি
কি খোঁজ করো নি বলো?
লালগ্রহে প্রাণ স্পন্দন
চাঁদের বুকেতে বরফ ও ঘরবাড়ি--
আজও--
ছেলেটা মেয়েটা লোগো পিঠে নিয়ে ঘোরে ---
সত্তারহিত বৈধ নারী ও পুরুষ
কত কি খুঁজেছ বিশেষ্য বিশেষণে,
নিখোঁজ হয়েছে আস্ত, আস্ত মানুষ।
Regards,
কমলিকাদত্ত | Kamalikadutta82@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
তোমরা বলছ অবৈধ ভালোবাসা! -- ঠিক না বেঠিক
বিতর্কে যাওয়া বৃথা...
নিখাদ ভুলই তো পৃষ্ঠা উল্টে ইতিহাস ---
নির্বাক চাঁদ প্রমাণ করতে অপারগ,
কিছু কালো দাগে ভাইরাল জোছনাটা
তোমরা বলছ মেয়েটা গর্ভবতী -- ঠিক না বেঠিক
বিতর্কে যাওয়া বৃথা...
অবয়ব দোষে চুলচেরা বিশ্লেষণ
নির্বাক ভ্রূণ প্রমাণ করতে অপারগ,
আজন্ম গায়ে লাওয়ারিশ তকমাটা
তারপর সব দায়দায়িত্ব সেরে...
তোমরা দিয়েছ গ্রহ উপগ্রহে পাড়ি
কি খোঁজ করো নি বলো?
লালগ্রহে প্রাণ স্পন্দন
চাঁদের বুকেতে বরফ ও ঘরবাড়ি--
আজও--
ছেলেটা মেয়েটা লোগো পিঠে নিয়ে ঘোরে ---
সত্তারহিত বৈধ নারী ও পুরুষ
কত কি খুঁজেছ বিশেষ্য বিশেষণে,
নিখোঁজ হয়েছে আস্ত, আস্ত মানুষ।
Regards,
কমলিকাদত্ত | Kamalikadutta82@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
[বিতর্ক বৃথা...
বিতর্ক বৃথা...
তোমরা বলছ অবৈধ ভালোবাসা! -- ঠিক না বেঠিক
বিতর্কে যাওয়া বৃথা...
নিখাদ ভুলই তো পৃষ্ঠা উল্টে ইতিহাস ---
নির্বাক চাঁদ প্রমাণ করতে অপারগ,
কিছু কালো দাগে ভাইরাল জোছনাটা
তোমরা বলছ মেয়েটা গর্ভবতী -- ঠিক না বেঠিক
বিতর্কে যাওয়া বৃথা...
অবয়ব দোষে চুলচেরা বিশ্লেষণ
নির্বাক ভ্রূণ প্রমাণ করতে অপারগ,
আজন্ম গায়ে লাওয়ারিশ তকমাটা
তারপর সব দায়দায়িত্ব সেরে...
তোমরা দিয়েছ গ্রহ উপগ্রহে পাড়ি
কি খোঁজ করো নি বলো?
লালগ্রহে প্রাণ স্পন্দন
চাঁদের বুকেতে বরফ ও ঘরবাড়ি--
আজও--
ছেলেটা মেয়েটা লোগো পিঠে নিয়ে ঘোরে ---
সত্তারহিত বৈধ নারী ও পুরুষ
কত কি খুঁজেছ বিশেষ্য বিশেষণে,
নিখোঁজ হয়েছে আস্ত, আস্ত মানুষ।
Regards,
কমলিকা দত্ত | kamalikadutta82@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
তোমরা বলছ অবৈধ ভালোবাসা! -- ঠিক না বেঠিক
বিতর্কে যাওয়া বৃথা...
নিখাদ ভুলই তো পৃষ্ঠা উল্টে ইতিহাস ---
নির্বাক চাঁদ প্রমাণ করতে অপারগ,
কিছু কালো দাগে ভাইরাল জোছনাটা
তোমরা বলছ মেয়েটা গর্ভবতী -- ঠিক না বেঠিক
বিতর্কে যাওয়া বৃথা...
অবয়ব দোষে চুলচেরা বিশ্লেষণ
নির্বাক ভ্রূণ প্রমাণ করতে অপারগ,
আজন্ম গায়ে লাওয়ারিশ তকমাটা
তারপর সব দায়দায়িত্ব সেরে...
তোমরা দিয়েছ গ্রহ উপগ্রহে পাড়ি
কি খোঁজ করো নি বলো?
লালগ্রহে প্রাণ স্পন্দন
চাঁদের বুকেতে বরফ ও ঘরবাড়ি--
আজও--
ছেলেটা মেয়েটা লোগো পিঠে নিয়ে ঘোরে ---
সত্তারহিত বৈধ নারী ও পুরুষ
কত কি খুঁজেছ বিশেষ্য বিশেষণে,
নিখোঁজ হয়েছে আস্ত, আস্ত মানুষ।
Regards,
কমলিকা দত্ত | kamalikadutta82@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
পদ্য কবিতা কবিতার নামঃ আমাদের দেশ কবির নামঃ স্বপন হালদার
তারিখঃ ১২/০৫/২০২১ইং
বিভাগঃ পদ্য কবিতা
কবিতার নামঃ আমাদের দেশ
কবির নামঃ স্বপন হালদার
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
সবুজঘেরা শ্যামল বন,
উদাস করে আমার মন।
সকালবেলা পূবাকাশে,
আগুনরাঙা সূর্য হাসে।
ঘুম ভেঙে যায় পাখির ডাকে,
মনে পড়ে বাংলা মাকে।
নায়ের মাঝি তুলে পাল,
শক্ত হাতে ধরে হাল।
কন্ঠে তাদের মধুর গান,
শুনলে সবার জুড়ায় প্রাণ।
পুকুর নদী খাল বিল,
মাছে ভরা হাওর ঝিল।
ফসল তোলে কৃষকভাই
খুশির যেন সীমা নাই।
বারো মাসে তেরো পাবন,
মনে আনে খুশির প্লাবন।
ছয়টি ঋতুর এই যে দশ,
এই আমাদের বাংলাদেশ।
এই আমাদের জন্মভূমি -
এমন দেশটি বিশ্বমাঝে
পাবে নাকো কোথাও তুমি।
""""""""""""""""""""""""''"""""""""""""""""""
Regards,
স্বপন হালদার | swapanhal714@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
বিভাগঃ পদ্য কবিতা
কবিতার নামঃ আমাদের দেশ
কবির নামঃ স্বপন হালদার
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
সবুজঘেরা শ্যামল বন,
উদাস করে আমার মন।
সকালবেলা পূবাকাশে,
আগুনরাঙা সূর্য হাসে।
ঘুম ভেঙে যায় পাখির ডাকে,
মনে পড়ে বাংলা মাকে।
নায়ের মাঝি তুলে পাল,
শক্ত হাতে ধরে হাল।
কন্ঠে তাদের মধুর গান,
শুনলে সবার জুড়ায় প্রাণ।
পুকুর নদী খাল বিল,
মাছে ভরা হাওর ঝিল।
ফসল তোলে কৃষকভাই
খুশির যেন সীমা নাই।
বারো মাসে তেরো পাবন,
মনে আনে খুশির প্লাবন।
ছয়টি ঋতুর এই যে দশ,
এই আমাদের বাংলাদেশ।
এই আমাদের জন্মভূমি -
এমন দেশটি বিশ্বমাঝে
পাবে নাকো কোথাও তুমি।
""""""""""""""""""""""""''"""""""""""""""""""
Regards,
স্বপন হালদার | swapanhal714@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
জ্ঞানের বই
(জ্ঞানের বই)
ক্লাসের বই বরিয়া হইতে হবে জয়ী
যদি নাই পারো পড়িতে বই
তবে কি হইবে পরিয়া বই।
ঘাটিয়া দেখিতে হইবে লাইন
পড়িয়া বুঝিতে হইবে জ্ঞান ।
যদি নাই পারো তবে
কি হইবে এই জীবনের মানে।
ব্যর্থ জীবন ছাড়া পাশে থাকবে না কোনো বন্ধুর মালা ,
থাকবে না কোনো আলো
লাগবে না আর ভালো ।
লাগবে না আর ভাগ্যের জোড়া
তাই পড়িতে হইবে বই,
জ্ঞানীগুণী হইয়া করিতে হইবে জয়ী ।
যদি নাই পারো তবে
কি হইবে পরিহার কবিতার ছন্দে ।
ছন্দ মেলায় উঠবো বেলায়
পড়বো আরো গল্প ।
বাংলা জেনে জীবন টাকে
করব আরো ধন্য ।
- মোঃ ইয়াসিন
জেলা রংপুর উপজেলা কাউনিয়া ডাকঘর ভাইয়ের হাট
Regards,
মোঃ ইয়াসিন | Publisher@alibaba.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
ক্লাসের বই বরিয়া হইতে হবে জয়ী
যদি নাই পারো পড়িতে বই
তবে কি হইবে পরিয়া বই।
ঘাটিয়া দেখিতে হইবে লাইন
পড়িয়া বুঝিতে হইবে জ্ঞান ।
যদি নাই পারো তবে
কি হইবে এই জীবনের মানে।
ব্যর্থ জীবন ছাড়া পাশে থাকবে না কোনো বন্ধুর মালা ,
থাকবে না কোনো আলো
লাগবে না আর ভালো ।
লাগবে না আর ভাগ্যের জোড়া
তাই পড়িতে হইবে বই,
জ্ঞানীগুণী হইয়া করিতে হইবে জয়ী ।
যদি নাই পারো তবে
কি হইবে পরিহার কবিতার ছন্দে ।
ছন্দ মেলায় উঠবো বেলায়
পড়বো আরো গল্প ।
বাংলা জেনে জীবন টাকে
করব আরো ধন্য ।
- মোঃ ইয়াসিন
জেলা রংপুর উপজেলা কাউনিয়া ডাকঘর ভাইয়ের হাট
Regards,
মোঃ ইয়াসিন | Publisher@alibaba.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
স্বপ্নে ভাসা --প্রতিভা দে।
স্বপ্নে ভাসা
--প্রতিভা দে।৯/২/২১//
স্বপ্ন ভাসে মেঘেরা সব
আকাশ জুড়ে ছুটে দিগন্তে,
তারারা সব রত্ন খোচে
আকাশ যেন ভাসে স্বপ্নে,
পাখিরা সব উড়ে যায়
যেন সাজে আপন মনে,
মেঘরা যখন বৃষ্টি হয়ে নামে
স্বপ্ন গলে মাটির পরে,
নদী তখন উথাল পাতাল
জীবন বয়ে নিয়ে যাওয়ার তাল,
সাগর গুনে স্বপ্ন দেখার প্রহর
মিলনের দিন গুনার,
বলছে যেন মিলতে পারি
রত্ন লুকিয়ে রাখার,
যত্ন করে ভালোবাসার ।
Regards,
Prativa Mayee Dey | deyprativa0@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
--প্রতিভা দে।৯/২/২১//
স্বপ্ন ভাসে মেঘেরা সব
আকাশ জুড়ে ছুটে দিগন্তে,
তারারা সব রত্ন খোচে
আকাশ যেন ভাসে স্বপ্নে,
পাখিরা সব উড়ে যায়
যেন সাজে আপন মনে,
মেঘরা যখন বৃষ্টি হয়ে নামে
স্বপ্ন গলে মাটির পরে,
নদী তখন উথাল পাতাল
জীবন বয়ে নিয়ে যাওয়ার তাল,
সাগর গুনে স্বপ্ন দেখার প্রহর
মিলনের দিন গুনার,
বলছে যেন মিলতে পারি
রত্ন লুকিয়ে রাখার,
যত্ন করে ভালোবাসার ।
Regards,
Prativa Mayee Dey | deyprativa0@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
প্রিয় আমার মা
মীর নাদিম ফয়সাল
বাবা উঠো,পড়তে বসো,
মা,এখন!
উঠ লক্ষী,প্রভাত হয়েছে,
তুমি বড় হবা,
মানুষের মত মানুষ হবা!
খেয়ে নেও,ক্ষুধা পেটে পড়া কী সয়!
এই নে বাবা,
তোকে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে,
সবার উপকার করতে হবে।
স্নান করেছিস,করে নে,
আমার লক্ষী ছেলে।
ভরদুপুর হয়েছে আজ,
চল মা,খেয়ে নেই একসাথে।
বেলা ফুরোচ্ছে,ঘুমোতে আয়।
বিকেল বেলা খেলাধুলা,
খেলেছিস তুই ছেলেবেলায়;
সন্ধ্যা হয়েছে পড়তে বসো,
বড়ো হতে হবে বাবার মত।
রাত পোহালো,পড়তে খেতে এস,
ঘুমোতে হবে সময় মত।
মা,তুমি শ্রেষ্ঠ মা;
বিধাতার কাছে বিশেষ আরজি,
তোমাকে নিয়ে আমাদের স্বপ্ন;
রাত ফুরোচ্ছে বাবা যেতে হবে,
সময় মত পাঠশালাতে।
Regards,
মীর নাদিম ফয়সাল আহমেদ | nadimfaisal18@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
মীর নাদিম ফয়সাল
বাবা উঠো,পড়তে বসো,
মা,এখন!
উঠ লক্ষী,প্রভাত হয়েছে,
তুমি বড় হবা,
মানুষের মত মানুষ হবা!
খেয়ে নেও,ক্ষুধা পেটে পড়া কী সয়!
এই নে বাবা,
তোকে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে,
সবার উপকার করতে হবে।
স্নান করেছিস,করে নে,
আমার লক্ষী ছেলে।
ভরদুপুর হয়েছে আজ,
চল মা,খেয়ে নেই একসাথে।
বেলা ফুরোচ্ছে,ঘুমোতে আয়।
বিকেল বেলা খেলাধুলা,
খেলেছিস তুই ছেলেবেলায়;
সন্ধ্যা হয়েছে পড়তে বসো,
বড়ো হতে হবে বাবার মত।
রাত পোহালো,পড়তে খেতে এস,
ঘুমোতে হবে সময় মত।
মা,তুমি শ্রেষ্ঠ মা;
বিধাতার কাছে বিশেষ আরজি,
তোমাকে নিয়ে আমাদের স্বপ্ন;
রাত ফুরোচ্ছে বাবা যেতে হবে,
সময় মত পাঠশালাতে।
Regards,
মীর নাদিম ফয়সাল আহমেদ | nadimfaisal18@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
আবার এসো বন্ধু
শামীম আহমেদ
আবার এসোও বন্ধু,
যখন আমার কেউ থাকবে না!
তুমি এসো যখন
একলা আমার সময় কাটতে চাইবে না!
এসো দুপুর বেলা
পুকুর পাড়ে করবো খেলা।
এসো নিশীথ রাতে
যখন আমার পাশে কেউ ঘুমাবে না।
এসো গোধূলি বেলা
খোলা আকাশের নিঁচে
ঝোপঝাড়ে নিঃসীম প্রান্তে করবো খেলা।
এসো তুমি প্রভাত বেলা,
যখন আমি করবো ব্যায়াম;
তুমি এলোকেশে খাবে সচ্ছল হাওয়া!
আবার হবে তোমাকে পাওয়া।।
Regards,
শামীম আহমেদ | ahmedsammim@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
শামীম আহমেদ
আবার এসোও বন্ধু,
যখন আমার কেউ থাকবে না!
তুমি এসো যখন
একলা আমার সময় কাটতে চাইবে না!
এসো দুপুর বেলা
পুকুর পাড়ে করবো খেলা।
এসো নিশীথ রাতে
যখন আমার পাশে কেউ ঘুমাবে না।
এসো গোধূলি বেলা
খোলা আকাশের নিঁচে
ঝোপঝাড়ে নিঃসীম প্রান্তে করবো খেলা।
এসো তুমি প্রভাত বেলা,
যখন আমি করবো ব্যায়াম;
তুমি এলোকেশে খাবে সচ্ছল হাওয়া!
আবার হবে তোমাকে পাওয়া।।
Regards,
শামীম আহমেদ | ahmedsammim@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
গল্প : অসভ্যতা ও সভ্যতা
গল্পকার : সৈয়দ জালাল আহমেদ চৌধুরী
''বড়লোকদের মধ্যে যারা সভ্য এদের উপরে আর কেউ যেতে পারেনা আর ছোট লোকদের মধ্যে
যারা অসভ্য ওদের নীচে আর কেউ নামতে পারেনা।''
বড়সাহেবের মুখে এতবড় কথা শুনে এলাকার মেম্বার থ হয়ে গেলো। আমতা আমতা করে বললো,
বড় সাহেব তার মানে আপনি আমাকে অপমান করছেন।
-না। অপমানবোধ যার অধিকারেই পড়েনা তার আবার কিসের অপমান! আরে, তুমিতো এলাকার
কিছু মুর্খলোকের মেম্বার। তবুও ভাল জানতাম, যদি আমার সামনে ধরা না পড়তে। আর
কখনও আমার সামনে সোজা হয়ে দাঁড়াবার নিষ্ফল আবেদন করোনা।
-শুধু শুধু আমায় কেন অপবাদ দিচ্ছেন। আপনার গোয়ালের গরু আমার লোক চুরি করেনি।
তবে যারা চুরি করেছে, তাদের নাম আমি জানি। তাদের আমি খুব ভাল করে চিনি। কিন্তু
দু:খিত, তাদের নাম কখনও আপনাকে জানাতে আমি বাধ্য নই।
-তার মানে চোরের মায়ের বড় গলা। তোমার মতো লম্পটদের মূর্খরা কেন যে ভোট দেয়,
আমার মাথায় ঢুকেনা। মানুষ সবগুলো কেন যে এতমূর্খ হয় ভেড়ার দলের মতো, আমার বোধে
কাজ করেনা।
-ভুল করছেন বড়সাহেব। বিদেশে থাকেন। বড় চাকুরী করেন। বাণিজ্যও করেন। সত্য। দেশে
জমিদারী আছে সত্য। মানি। কিন্তু মানুষ চিনতে আপনারা ভুল করেন।
-আচ্ছা, হা-হা-হা। অনেকদিন হাসিনি । তো তোমার যোগ্যতা আছে বটে। কারণ আমাকে
হাসাতে পেরেছো। হাসাতে পারার যোগ্যতা অর্জন করেছো।
-আমি আপনাকে হাসাইনি। আপনি এলাকায় যখন হাঁটেন হাতে থাকে আপনার একটি লাঠি। লাঠি
দিযে সব নাড়াচাড়া করেন, লাঠির উপরই আপনার আক্কেল আর সব বিশ্বাস। আর আমার হাতে
কোন লাঠি থাকেনা। ধূলি-বালির উপর আমার পা পড়ে। মাটির উপর আমার সমস্থ ভর ও
বিশ্বাস। ধূলোবালিতে মাখা মাটির মানুষের সাথে আমি একত্রে বাস করি।
-আচ্ছা। আর আমি বাতাসের উপর হাঁটি। ও, আমাকে জ্ঞান দেয়া হচ্ছে, তাইনা?
-না আমি আপনাকে অপমান করার জন্য বলিনি। আমাকে এবং দেশের মাটিতে মাখা
মানুষগুলোকে দয়া করে মূর্খ বলবেন না। আমার ইগোতে লাগে। কারণ ওরা নীরিহ হতে
পারে, ওরাও আমাদের মতো মানুষ। মূর্খ নয়।এটা আমাদের ভুল ধারণা। দয়া করে একথাটি
উইথড্র করুন।
-আচ্ছা। চুরি করেছোতো সকলে মিলে। এবার দয়া করে গরুগুলো ফেরত দাও।তারপর না হয়
উইথড্র করবো।
-ভুল করছেন। আপনি যেমনি সন্মানিত জমিদার, আমিও তেমনি গরীব মেম্বার। আপনি
জমিদারী হাওলাতে থাকেন আর আমি এলাকার লোকের সাথে মিলেমিশে গরীবি হাওলাতে থাকি।
রেসিও হিসাব করলে আমরা দুজন সমানভাবে যার যার অবস্থানে সন্মানিত।
- তা ঠিক বলেছো। তুমি যেহেতু এলাকার মেম্বার। আমার কাছে না হও, মূর্খগুলোর
কাছেতো তুমি বেশ সন্মানিত। সেইদৃষ্টিকোন থেকে তোমাকে জানাই একটি মূর্খ ধন্যবাদ
।
- বড়সাহেব, ধন্যবাদ দেয়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করছি। শুনুন বড়সাহেব,
আপনাকে ইচ্ছে করলে ফেরত দিতে পারতাম মূর্খ শব্দটা - মূর্খ জমিদার বলে। ছোটবেলা
থেকে টাকাপয়সার ভিতরে মানুষ হওয়ার সুযোগ পাইনি বটে, তবে মসজিদে মক্তবে স্কুলে
ভার্সিটিতে গিয়েছি, আদর্শের ভিতরে মানুষ হয়েছি। তাই শুনে রাখুন, আপনার মুখে যা
সভ্যতা, আমার মুখদিযে বের হলে লোকে বলবে অসভ্যতা।
-যার মুখে যেটা বেমানান সে বলবে কেমন করে?
-না বড়সাহেব, আদর্শ দিয়ে মানুষ হয়েছি, আদর্শের আয়নায় আমি সব দেখতে পাই যা আপনি
অন্ধকারে কিছুই দেখতে পান না।
-তোমার মুন্ডুপাত করে দিলে আমি শান্তি পেতাম। কিন্তু মূর্খের দল তোমার সাথে
দলবদ্ধ বলে কিছুই করলাম না।
-হা-হা-হা, আমি তো আপনার শত্র নই। আপনার দুই-চারটা গরু এনে দিতে পারি। তবে
ডাকাতের দলে আমি নিহত হবো। আপনি যদি চান আমি অপারেশন শুরু করে দিতে পারি। কারণ
আপনি জমিদার হলেও আমার এলাকার একজন নিরীহ সন্মানিত বাসিন্দা।
বড়সাহেব চিন্তিতে হয়ে পড়লেন। একজন সৎ মেম্বার এর সাথে মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার
কারণে রাগের বশবর্তী হয়ে অনেক বাক্য বিনিময় করলেন। এখন কি করবেন ঠিক বুঝে উঠতে
পারছেন না। ডাকাতের দল এর কোন বিশ্বাস নেই। কোথাকার পানি কোথা গিয়ে গড়ায়? তিনি
কপাল থেকে দু'চার ফোঁটা ঘাম ঝাড়লেন।
আকাশের কোণ থেকে কালো মেঘের ভেলা তেড়িয়ে ছুটে আসছে। বাতাসের স্বাভাবিকতা নষ্ট
হয়ে অস্বাভাবিক দূরন্ত হযে উঠেছে। স্যোঁ স্যোঁ শব্দে ঘরের প্রতিটি দরজা-জানালা
নড়ছে, বাড়ি খাচ্ছে আর চিৎকার করছে – জমিদার এর মাথার উপর যেন আজ আকাশটা ভেঙ্গে
পড়বে। তাড়াতাড়ি বাসায় ঢুকে দরজা-জানালা বন্ধ করলেই যেন বাঁচে।
বিপদে পেলে জমিদার এর আল্লাহভীতি বেড়ে যায়। বিপদ কেটে গেলে মানুষের সাথে অহরহ
গন্ডগোল পাঁকাতে মজা পায়। জামিদার এখন তা হাড়ে হাড়ে উপলদ্ধি করছে। কারণ বয়স
হয়েছে। শোধরানো দরকার।
বাপরে, আকাশের যে কি অবস্থা! আর দেরী না করে জমিদার মেম্বারের মুখের পানে
তাকালো। মেম্বারের মুখে ভয়ের কোন ছাপ দেখতে পেলনা। জমিদারের মনে আরও ভয় বেড়ে
গেলো। আকাশ থেকে ঠাডা যে ভাবে পড়ছে, যেন তার মাথার উপর পড়বে – মাথা ও দেহটা
যেন এক্ষুণি খন্ড-বিখন্ড হয়ে যাবে। তারপর তার কঠিন মৃত্যু হবে।
আফসোস! কবরের প্রস্তুতি ভাল করে নেয়া হয়নি। জমিদার হুতাশ মনে পকেটে তবছি আছে
কিনা হাতদিয়ে নেড়ে দেখে নিল – তারপর মাথার টুপি ঘুরিয়ে ঠিকঠাক করলো - তারপর
একহাতে চাবির তোড়া ধরে আর অন্যহাতে শক্ত করে লাঠির উপর ভরদিয়ে দাঁড়িয়ে বললো,
মেম্বার আমি জানি তুমি এইকাজ করতে পারনা। আমার সন্দেহটা আসলে তোমার উপর না।
তোমার এলাকার উপর। আমার অনেক আছে।আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছে। দুইচারটা গরুর
জন্য তুমি প্রাণ দেবে এ আমি চাইনা। তোমার বউবাচ্চা আছে, যাও তাদের কোলে ফিরে
যাও।আল্লাহাফেজ।
মেম্বারও ব্যাপারটি বুঝতে পারলো। তারপর মনে মনে পরিস্থিতির কথা ভাবতে ভাবতে
হাঁটা শুরু করে দিল। ঝড়-বৃষ্টির বাড়ন্ত গতি দেখে বাতাসের গতিতে ভিজে ভিজে
বাড়ির দিকে ছুটতে লাগলো।
--সমাপ্ত--
Regards,
Syed Jalal Ahmed Chy | chowdhurysyedjalalahmed@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
গল্পকার : সৈয়দ জালাল আহমেদ চৌধুরী
''বড়লোকদের মধ্যে যারা সভ্য এদের উপরে আর কেউ যেতে পারেনা আর ছোট লোকদের মধ্যে
যারা অসভ্য ওদের নীচে আর কেউ নামতে পারেনা।''
বড়সাহেবের মুখে এতবড় কথা শুনে এলাকার মেম্বার থ হয়ে গেলো। আমতা আমতা করে বললো,
বড় সাহেব তার মানে আপনি আমাকে অপমান করছেন।
-না। অপমানবোধ যার অধিকারেই পড়েনা তার আবার কিসের অপমান! আরে, তুমিতো এলাকার
কিছু মুর্খলোকের মেম্বার। তবুও ভাল জানতাম, যদি আমার সামনে ধরা না পড়তে। আর
কখনও আমার সামনে সোজা হয়ে দাঁড়াবার নিষ্ফল আবেদন করোনা।
-শুধু শুধু আমায় কেন অপবাদ দিচ্ছেন। আপনার গোয়ালের গরু আমার লোক চুরি করেনি।
তবে যারা চুরি করেছে, তাদের নাম আমি জানি। তাদের আমি খুব ভাল করে চিনি। কিন্তু
দু:খিত, তাদের নাম কখনও আপনাকে জানাতে আমি বাধ্য নই।
-তার মানে চোরের মায়ের বড় গলা। তোমার মতো লম্পটদের মূর্খরা কেন যে ভোট দেয়,
আমার মাথায় ঢুকেনা। মানুষ সবগুলো কেন যে এতমূর্খ হয় ভেড়ার দলের মতো, আমার বোধে
কাজ করেনা।
-ভুল করছেন বড়সাহেব। বিদেশে থাকেন। বড় চাকুরী করেন। বাণিজ্যও করেন। সত্য। দেশে
জমিদারী আছে সত্য। মানি। কিন্তু মানুষ চিনতে আপনারা ভুল করেন।
-আচ্ছা, হা-হা-হা। অনেকদিন হাসিনি । তো তোমার যোগ্যতা আছে বটে। কারণ আমাকে
হাসাতে পেরেছো। হাসাতে পারার যোগ্যতা অর্জন করেছো।
-আমি আপনাকে হাসাইনি। আপনি এলাকায় যখন হাঁটেন হাতে থাকে আপনার একটি লাঠি। লাঠি
দিযে সব নাড়াচাড়া করেন, লাঠির উপরই আপনার আক্কেল আর সব বিশ্বাস। আর আমার হাতে
কোন লাঠি থাকেনা। ধূলি-বালির উপর আমার পা পড়ে। মাটির উপর আমার সমস্থ ভর ও
বিশ্বাস। ধূলোবালিতে মাখা মাটির মানুষের সাথে আমি একত্রে বাস করি।
-আচ্ছা। আর আমি বাতাসের উপর হাঁটি। ও, আমাকে জ্ঞান দেয়া হচ্ছে, তাইনা?
-না আমি আপনাকে অপমান করার জন্য বলিনি। আমাকে এবং দেশের মাটিতে মাখা
মানুষগুলোকে দয়া করে মূর্খ বলবেন না। আমার ইগোতে লাগে। কারণ ওরা নীরিহ হতে
পারে, ওরাও আমাদের মতো মানুষ। মূর্খ নয়।এটা আমাদের ভুল ধারণা। দয়া করে একথাটি
উইথড্র করুন।
-আচ্ছা। চুরি করেছোতো সকলে মিলে। এবার দয়া করে গরুগুলো ফেরত দাও।তারপর না হয়
উইথড্র করবো।
-ভুল করছেন। আপনি যেমনি সন্মানিত জমিদার, আমিও তেমনি গরীব মেম্বার। আপনি
জমিদারী হাওলাতে থাকেন আর আমি এলাকার লোকের সাথে মিলেমিশে গরীবি হাওলাতে থাকি।
রেসিও হিসাব করলে আমরা দুজন সমানভাবে যার যার অবস্থানে সন্মানিত।
- তা ঠিক বলেছো। তুমি যেহেতু এলাকার মেম্বার। আমার কাছে না হও, মূর্খগুলোর
কাছেতো তুমি বেশ সন্মানিত। সেইদৃষ্টিকোন থেকে তোমাকে জানাই একটি মূর্খ ধন্যবাদ
।
- বড়সাহেব, ধন্যবাদ দেয়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করছি। শুনুন বড়সাহেব,
আপনাকে ইচ্ছে করলে ফেরত দিতে পারতাম মূর্খ শব্দটা - মূর্খ জমিদার বলে। ছোটবেলা
থেকে টাকাপয়সার ভিতরে মানুষ হওয়ার সুযোগ পাইনি বটে, তবে মসজিদে মক্তবে স্কুলে
ভার্সিটিতে গিয়েছি, আদর্শের ভিতরে মানুষ হয়েছি। তাই শুনে রাখুন, আপনার মুখে যা
সভ্যতা, আমার মুখদিযে বের হলে লোকে বলবে অসভ্যতা।
-যার মুখে যেটা বেমানান সে বলবে কেমন করে?
-না বড়সাহেব, আদর্শ দিয়ে মানুষ হয়েছি, আদর্শের আয়নায় আমি সব দেখতে পাই যা আপনি
অন্ধকারে কিছুই দেখতে পান না।
-তোমার মুন্ডুপাত করে দিলে আমি শান্তি পেতাম। কিন্তু মূর্খের দল তোমার সাথে
দলবদ্ধ বলে কিছুই করলাম না।
-হা-হা-হা, আমি তো আপনার শত্র নই। আপনার দুই-চারটা গরু এনে দিতে পারি। তবে
ডাকাতের দলে আমি নিহত হবো। আপনি যদি চান আমি অপারেশন শুরু করে দিতে পারি। কারণ
আপনি জমিদার হলেও আমার এলাকার একজন নিরীহ সন্মানিত বাসিন্দা।
বড়সাহেব চিন্তিতে হয়ে পড়লেন। একজন সৎ মেম্বার এর সাথে মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার
কারণে রাগের বশবর্তী হয়ে অনেক বাক্য বিনিময় করলেন। এখন কি করবেন ঠিক বুঝে উঠতে
পারছেন না। ডাকাতের দল এর কোন বিশ্বাস নেই। কোথাকার পানি কোথা গিয়ে গড়ায়? তিনি
কপাল থেকে দু'চার ফোঁটা ঘাম ঝাড়লেন।
আকাশের কোণ থেকে কালো মেঘের ভেলা তেড়িয়ে ছুটে আসছে। বাতাসের স্বাভাবিকতা নষ্ট
হয়ে অস্বাভাবিক দূরন্ত হযে উঠেছে। স্যোঁ স্যোঁ শব্দে ঘরের প্রতিটি দরজা-জানালা
নড়ছে, বাড়ি খাচ্ছে আর চিৎকার করছে – জমিদার এর মাথার উপর যেন আজ আকাশটা ভেঙ্গে
পড়বে। তাড়াতাড়ি বাসায় ঢুকে দরজা-জানালা বন্ধ করলেই যেন বাঁচে।
বিপদে পেলে জমিদার এর আল্লাহভীতি বেড়ে যায়। বিপদ কেটে গেলে মানুষের সাথে অহরহ
গন্ডগোল পাঁকাতে মজা পায়। জামিদার এখন তা হাড়ে হাড়ে উপলদ্ধি করছে। কারণ বয়স
হয়েছে। শোধরানো দরকার।
বাপরে, আকাশের যে কি অবস্থা! আর দেরী না করে জমিদার মেম্বারের মুখের পানে
তাকালো। মেম্বারের মুখে ভয়ের কোন ছাপ দেখতে পেলনা। জমিদারের মনে আরও ভয় বেড়ে
গেলো। আকাশ থেকে ঠাডা যে ভাবে পড়ছে, যেন তার মাথার উপর পড়বে – মাথা ও দেহটা
যেন এক্ষুণি খন্ড-বিখন্ড হয়ে যাবে। তারপর তার কঠিন মৃত্যু হবে।
আফসোস! কবরের প্রস্তুতি ভাল করে নেয়া হয়নি। জমিদার হুতাশ মনে পকেটে তবছি আছে
কিনা হাতদিয়ে নেড়ে দেখে নিল – তারপর মাথার টুপি ঘুরিয়ে ঠিকঠাক করলো - তারপর
একহাতে চাবির তোড়া ধরে আর অন্যহাতে শক্ত করে লাঠির উপর ভরদিয়ে দাঁড়িয়ে বললো,
মেম্বার আমি জানি তুমি এইকাজ করতে পারনা। আমার সন্দেহটা আসলে তোমার উপর না।
তোমার এলাকার উপর। আমার অনেক আছে।আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছে। দুইচারটা গরুর
জন্য তুমি প্রাণ দেবে এ আমি চাইনা। তোমার বউবাচ্চা আছে, যাও তাদের কোলে ফিরে
যাও।আল্লাহাফেজ।
মেম্বারও ব্যাপারটি বুঝতে পারলো। তারপর মনে মনে পরিস্থিতির কথা ভাবতে ভাবতে
হাঁটা শুরু করে দিল। ঝড়-বৃষ্টির বাড়ন্ত গতি দেখে বাতাসের গতিতে ভিজে ভিজে
বাড়ির দিকে ছুটতে লাগলো।
--সমাপ্ত--
Regards,
Syed Jalal Ahmed Chy | chowdhurysyedjalalahmed@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
পড় কী আমার কবিতা ?
আশরাফুল মুহাম্মদ
"এই তুমি ! পড়ছো কী বসে আমার কবিতা ?
লাগছে বলো কতটুকু ভালো পড়তে তোমার কথা । "
মুখেই তার জ্বলছে হাসি
সে আবডালে বলছে মোরে ভালোবাসি ।
বুঝেছি তার মনের ভাষা
ভালোবাসা ।
একটু পরে কবিতাটি স্পর্শ করে
বলে দিলো তার উত্তরে
" পড়ছি তোমার কলমের যাদু
লাগছে যে তা ভীষণ মধু,
কোন ভাষায় বলবো তোমায়
শব্দগুলো বারবার হারায় । "
অদৃষ্টিতে দেখি তাকে শুনি কথা চারদিকে তার
দেখা হয়না আগের মতো প্রতিবার
যখন পড়ে,
প্রশ্ন করি কবিতায় তারে
" আজো তোমার মনে পড়ে
তোমার মন কি এখনও খুঁজে মোরে । "
অশ্রুভেজা চোখে বলে কবিতার-ই সাথে কথা
" আমার বুকে বইছে একটু আলো স্নিগ্ধতা
সেই আলোর মাঝে তুমি আর তোমার কবিতা
বাকিটাতে মিশে গেছে কালো ব্যর্থতা । "
আকাশ দেশে হারাই আমি
কবিতায় করি যত শত পাগলামি ।
লিখি শুধু
কিন্তু লেখায় থাকে না সেই মিষ্টি মধু ।
মনটা ভরে নিয়ে আছে একগাদা জ্বালা
সাদা নয় সে ভীষণ কালা ।
কালো মনে লিখি তাকে
" কী করে তুমি ভুলে গেলে এই আমাকে ? "
পড়ে পড়ে করে পড়ে না
এই কবিতা,
দেখতে নারি তার কান্না আর চোখের জল
বুঝে গেছি ছিলাম না তার সম্বল ।
Regards,
আশরাফুল মুহাম্মদ | ashrafulmd20020402@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
আশরাফুল মুহাম্মদ
"এই তুমি ! পড়ছো কী বসে আমার কবিতা ?
লাগছে বলো কতটুকু ভালো পড়তে তোমার কথা । "
মুখেই তার জ্বলছে হাসি
সে আবডালে বলছে মোরে ভালোবাসি ।
বুঝেছি তার মনের ভাষা
ভালোবাসা ।
একটু পরে কবিতাটি স্পর্শ করে
বলে দিলো তার উত্তরে
" পড়ছি তোমার কলমের যাদু
লাগছে যে তা ভীষণ মধু,
কোন ভাষায় বলবো তোমায়
শব্দগুলো বারবার হারায় । "
অদৃষ্টিতে দেখি তাকে শুনি কথা চারদিকে তার
দেখা হয়না আগের মতো প্রতিবার
যখন পড়ে,
প্রশ্ন করি কবিতায় তারে
" আজো তোমার মনে পড়ে
তোমার মন কি এখনও খুঁজে মোরে । "
অশ্রুভেজা চোখে বলে কবিতার-ই সাথে কথা
" আমার বুকে বইছে একটু আলো স্নিগ্ধতা
সেই আলোর মাঝে তুমি আর তোমার কবিতা
বাকিটাতে মিশে গেছে কালো ব্যর্থতা । "
আকাশ দেশে হারাই আমি
কবিতায় করি যত শত পাগলামি ।
লিখি শুধু
কিন্তু লেখায় থাকে না সেই মিষ্টি মধু ।
মনটা ভরে নিয়ে আছে একগাদা জ্বালা
সাদা নয় সে ভীষণ কালা ।
কালো মনে লিখি তাকে
" কী করে তুমি ভুলে গেলে এই আমাকে ? "
পড়ে পড়ে করে পড়ে না
এই কবিতা,
দেখতে নারি তার কান্না আর চোখের জল
বুঝে গেছি ছিলাম না তার সম্বল ।
Regards,
আশরাফুল মুহাম্মদ | ashrafulmd20020402@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
কবিতা
নির্যাতিত
নির্যাতিত হচ্ছে নারী,নির্যাতিত মন
নির্যাতনের কবলে শিশু,কিশোর- কিশোরী
সমাজ পুরোটা এখন !
ঘুমিয়ে আছে বিবেক,বুদ্ধি
আইন-আদালত ,
ঘুমিয়ে আছে সুশীল সমাজ,
জাগ্রত রং মহল ।
বিবেক কাউকে দেয় না হানা,
নিরীহ মানুষের জীবন দোটানা ।
চাইলেও অনেকে করতে পারে না,
জীবন যুদ্ধে লড়তে পারে না ।
মুখ বুজে সইতে হয় কত না জখম,
স্তব্ধতায় লুটিয়ে পড়ে মানুষের সদ্-গুণ !
Regards,
রোজিনা রোজি | rojinaroji217@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
নির্যাতিত
নির্যাতিত হচ্ছে নারী,নির্যাতিত মন
নির্যাতনের কবলে শিশু,কিশোর- কিশোরী
সমাজ পুরোটা এখন !
ঘুমিয়ে আছে বিবেক,বুদ্ধি
আইন-আদালত ,
ঘুমিয়ে আছে সুশীল সমাজ,
জাগ্রত রং মহল ।
বিবেক কাউকে দেয় না হানা,
নিরীহ মানুষের জীবন দোটানা ।
চাইলেও অনেকে করতে পারে না,
জীবন যুদ্ধে লড়তে পারে না ।
মুখ বুজে সইতে হয় কত না জখম,
স্তব্ধতায় লুটিয়ে পড়ে মানুষের সদ্-গুণ !
Regards,
রোজিনা রোজি | rojinaroji217@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
কবিতা
কথা
-মেহেদী সুমন
সব কথা ফুরিয়ে গেলে
আমরা আবার নতুন টানি,
কথার মাঝে হাসি
তবে কথার মাঝেই কাঁদি।
কথার মাঝে হারায় যা
মন দিয়ে তা খুঁজি।
Regards,
মেহেদী সুমন | mehedisumon20bd@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
কথা
-মেহেদী সুমন
সব কথা ফুরিয়ে গেলে
আমরা আবার নতুন টানি,
কথার মাঝে হাসি
তবে কথার মাঝেই কাঁদি।
কথার মাঝে হারায় যা
মন দিয়ে তা খুঁজি।
Regards,
মেহেদী সুমন | mehedisumon20bd@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
কবিতা
চিরদিনের
ড.মহীতোষ গায়েন
--------------
একদিন সব বিবাদের মীমাংসা হবে,
সব রাগ জল হবে একদিন-
জলপরী এসে বলবে:'বেহেস্তে যাবে?'
একদিন জিন্দাপির এসে বলবে:
যত পার পাপ করে নাও
আমিতো আছি।
আমি তো আছি,সব বাহাদুর বলে
আমিই সব,আমিতো আছি,
আমি মানে তো সর্বনাশা ঘূর্ণিপাক।
তমসাবৃত বেহেস্তে সব চালবাজরা
ফূর্তি করে,রাজা এবং প্রজার টাকায়
রাজা মানে তো প্রজার শুধু রক্তশোষা
শোষণ! দেখ চারিদিকে হচ্ছে অবিরত
এক শিয়াল ডাকলে পরে
সব শিয়ালের হুঙ্কখ হুয়া।
হুঙ্কাহুয়া ডাকা মানেই বেজায় বিপাক
বেজায় বিপাক হচ্ছে বলেই
ছল চাতুরী, বিচ্ছিরি সব।
----------------------
ড.মহীতোষ গায়েন, অধ্যাপক, সিটি কলেজ,১০২/১রাজা রাম মোহন সরণি,কলকাতা-৯
৯০ দশকের কবি।৪টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত।চান্দ্রভাষ ও নতুন বাংলা পুরষ্কার
প্রাপ্ত। এছাড়া কবিতার জন্যে বহু সম্মাননা লাভ। গবেষক ও প্রাবন্ধিক।
ইমেল-g.mahitosh@yahoo.com
ফোন-০৭৭৯৭৫৫১৪০৫
Regards,
ড.মহীতোষ গায়েন | g.mahitosh68@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
চিরদিনের
ড.মহীতোষ গায়েন
--------------
একদিন সব বিবাদের মীমাংসা হবে,
সব রাগ জল হবে একদিন-
জলপরী এসে বলবে:'বেহেস্তে যাবে?'
একদিন জিন্দাপির এসে বলবে:
যত পার পাপ করে নাও
আমিতো আছি।
আমি তো আছি,সব বাহাদুর বলে
আমিই সব,আমিতো আছি,
আমি মানে তো সর্বনাশা ঘূর্ণিপাক।
তমসাবৃত বেহেস্তে সব চালবাজরা
ফূর্তি করে,রাজা এবং প্রজার টাকায়
রাজা মানে তো প্রজার শুধু রক্তশোষা
শোষণ! দেখ চারিদিকে হচ্ছে অবিরত
এক শিয়াল ডাকলে পরে
সব শিয়ালের হুঙ্কখ হুয়া।
হুঙ্কাহুয়া ডাকা মানেই বেজায় বিপাক
বেজায় বিপাক হচ্ছে বলেই
ছল চাতুরী, বিচ্ছিরি সব।
----------------------
ড.মহীতোষ গায়েন, অধ্যাপক, সিটি কলেজ,১০২/১রাজা রাম মোহন সরণি,কলকাতা-৯
৯০ দশকের কবি।৪টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত।চান্দ্রভাষ ও নতুন বাংলা পুরষ্কার
প্রাপ্ত। এছাড়া কবিতার জন্যে বহু সম্মাননা লাভ। গবেষক ও প্রাবন্ধিক।
ইমেল-g.mahitosh@yahoo.com
ফোন-০৭৭৯৭৫৫১৪০৫
Regards,
ড.মহীতোষ গায়েন | g.mahitosh68@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
কবিতা :: স্মরণ
কবি :: রঞ্জন ভট্টাচার্য
স্মরণ
রঞ্জন ভট্টাচার্য, ব্যারাকপুর।
তারিখ :: ২২শে শ্রাবন
তোমার চরণে আশ্রিত আমি
হে মহাপ্রাণ অন্তর্যামী
বিধির লেখায়
শ্রাবণ ধারায়
বারে বারে এসো তুমি ।
মহীরুহ তুমি এ পীঠভূমে
তোমার চরণ দিকে-দিকে চুমে
তোমার স্পর্শে
মনের হর্ষে
নিশিদিন তব নমি
*"*""""""""""""""""""""""""""""""""*"*
Regards,
রঞ্জন ভট্টাচার্য, ব্যারাকপুর | bhattacharya.ranjan@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
কবি :: রঞ্জন ভট্টাচার্য
স্মরণ
রঞ্জন ভট্টাচার্য, ব্যারাকপুর।
তারিখ :: ২২শে শ্রাবন
তোমার চরণে আশ্রিত আমি
হে মহাপ্রাণ অন্তর্যামী
বিধির লেখায়
শ্রাবণ ধারায়
বারে বারে এসো তুমি ।
মহীরুহ তুমি এ পীঠভূমে
তোমার চরণ দিকে-দিকে চুমে
তোমার স্পর্শে
মনের হর্ষে
নিশিদিন তব নমি
*"*""""""""""""""""""""""""""""""""*"*
Regards,
রঞ্জন ভট্টাচার্য, ব্যারাকপুর | bhattacharya.ranjan@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
।।
বিষয় - পত্রসাহিত্য
পত্র নং - এক
শিরোনাম - বিষাদে সুখানুভব
লেখায় - প্রভাত মণ্ডল
[ইংরেজি ২০২০ সালে এসেও মানুষ জাত-পাত ধর্মের বেড়াজালে আবদ্ধ।ব্যস্ত পৃথিবী
জুড়ে ভালোবাসা নামক অকৃত্রিম অনুভূতি লুপ্ত হতে বসেছে।এখন ভালোবাসা শুধু যেন
পন্য, শারীরিক সৌন্দর্যের বিলাস আর যৌনতায় পরিপূর্ণ।তবুও কিছু ভালোবাসা আছে
যা আজও অমলিন, নিষ্পাপ।তবুও সমাজ আর পরিবারের চাপে পড়ে এই ভালোবাসা পূর্ণতা
পায় না।বড় হয়ে ওঠে জাত,ধর্ম,শারীরিক গঠন,রঙ,সৌন্দর্যবোধ সর্বপরি অর্থ।এ
পত্রখানি সেই অপূর্ণ থেকে যাওয়া এক প্রেমিক-প্রেমিকার জীবনের শেষ পর্যায়ের
ব্যাথাতুর সুখানুভূতি।পত্রটি এমনভাবে লিখলাম যা প্রেমিক কিংবা প্রমিকা উভয়ের
ক্ষেত্রেই বাস্তবে ঘটে থাকে।]
প্রিয় প্রভাত/প্রভাতী,
অনেকটা দিন পেরিয়ে এসেছি,অনেকটা পথ,কয়েকটা বছর।তুমি আজ লক্ষ
আলোকবর্ষ দূরে।কোন অভিযোগ নেই আমার তোমাকে ঘিরে।তবু এই চিঠি লেখা।নাইবা
পৌঁছালো তোমার কাছে।এ চিঠি লেখা শেষ হলে কাগজের নৌকা বানিয়ে বৃষ্টির জলে
ভাসিয়ে দেব।হ্যাঁ সেই বৃষ্টি, যা রোজ আমার দু-চোখ থেকে ঝরে পড়ে চোখের কোন
বেয়ে,বুক ভাসিয়ে দেয়।তবুও কোন অভিযোগ নেই, কেন জান?আমি তো অচেনা পথিক তোমার
চলার পথে,আমি তো দুদিনের অতিথি তোমার হৃদয় সংসারে, আমি তো ভেসে যাওয়া খড়কুটো
তোমার বিস্তীর্ণ নদীবক্ষে।
জান!প্রতিটা দিন সেই কাকভোরে উঠে শিউলি তলায় দাঁড়িয়ে পূবাকাশে তাকিয়ে
থাকি।ঝরে যাওয়া শিউলির গন্ধ হৃদয়ে প্রশান্তি আনে।মাধবীলতার মালা গাঁথি
রোজ,তুমি আসবে বলে।এখানেই তো দাঁড়িয়ে চোখে চোখ আর হাতে হাত রেখে শেষ দেখার
দিনে তুমি বলেছিলে -
চলোনা হারিয়ে যায় ওই সূর্যের দেশে,জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
যেখানে সমাজ আমাদের পোড়াবে না,বলবেনা নির্লজ্জ বেহায়া; তোমার পরিবারও করবেনা
জাত বিচার।শুধু!শুধু ছুঁয়ে যাব মন দুজনে দুজনার।একটা পবিত্র ভালোবাসা।নিখিল
বিশ্ব জুড়ে লেখা হবে নাম,হবে ভালোবাসারই জয়গান।
আজও নিস্তব্ধ দুপুরে কিংবা মন খারাপের গোধূলি বেলায়, শুধু কানে
বাজে তোমার ঝংকার তোলা হাসি।যেন পাহাড় থেকে ঝরনার জল কলকল তানে প্রবাহিত হচ্ছে।
যেন কোন কিশোরীর পায়ের নুপুর রিনিঝিনি শব্দ তুলছে বাতাসে।অসীম দিগন্ত জুড়ে সে
কি আলোক উদ্ভাস চারিদিকে!চোখ জুড়িয়ে যায়।ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নামে।
হ্যাঁ, আজ জীবন সন্ধ্যা নেমেছে।সকাল পেরিয়ে দুপুর,দুপুর পেরিয়ে
বিকাল,আজ বিকাল পেরিয়ে সন্ধ্যা।মাধবীলতার সেই মালাটাও শুকিয়ে গেছে,ঝরা শিউলি
বাতাসে উড়ে গেছে বহুদূর।সুদীর্ঘ পথ পেরিয়েও আজ শুধু তোমার জন্য অপেক্ষা।যদি
একবার দেখা হত,তোমার হাতে হাত আর চোখে চোখ রেখে বলতাম - সূর্য নয় চলো চিতার
আগুনে পুড়ি একসাথে।আমাদের ছাই উড়ে যাক সমগ্ৰ পৃথিবীর বুকে।লেখা হোক নাম এক
অদৃশ্য অক্ষরে।শুধু একসাথে বলি ---
আমাদের দেখা হবে পৃথিবীর ওই পারে
আমাদের দেখা হবে জাত পাত শেষে,
আমাদের কথা হবে চুপিচুপি কানে কানে
আমাদের ভালোবাসা অক্ষয় হবে।
ইতি,
প্রভাত মণ্ডল
আংরাইল,উত্তর ২৪
পরগনা
তারিখ -- ২৮/০৭/২০২০
____________________________
Regards,
প্রভাত মণ্ডল (Probhat Mondal) | probhatmondal00@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
বিষয় - পত্রসাহিত্য
পত্র নং - এক
শিরোনাম - বিষাদে সুখানুভব
লেখায় - প্রভাত মণ্ডল
[ইংরেজি ২০২০ সালে এসেও মানুষ জাত-পাত ধর্মের বেড়াজালে আবদ্ধ।ব্যস্ত পৃথিবী
জুড়ে ভালোবাসা নামক অকৃত্রিম অনুভূতি লুপ্ত হতে বসেছে।এখন ভালোবাসা শুধু যেন
পন্য, শারীরিক সৌন্দর্যের বিলাস আর যৌনতায় পরিপূর্ণ।তবুও কিছু ভালোবাসা আছে
যা আজও অমলিন, নিষ্পাপ।তবুও সমাজ আর পরিবারের চাপে পড়ে এই ভালোবাসা পূর্ণতা
পায় না।বড় হয়ে ওঠে জাত,ধর্ম,শারীরিক গঠন,রঙ,সৌন্দর্যবোধ সর্বপরি অর্থ।এ
পত্রখানি সেই অপূর্ণ থেকে যাওয়া এক প্রেমিক-প্রেমিকার জীবনের শেষ পর্যায়ের
ব্যাথাতুর সুখানুভূতি।পত্রটি এমনভাবে লিখলাম যা প্রেমিক কিংবা প্রমিকা উভয়ের
ক্ষেত্রেই বাস্তবে ঘটে থাকে।]
প্রিয় প্রভাত/প্রভাতী,
অনেকটা দিন পেরিয়ে এসেছি,অনেকটা পথ,কয়েকটা বছর।তুমি আজ লক্ষ
আলোকবর্ষ দূরে।কোন অভিযোগ নেই আমার তোমাকে ঘিরে।তবু এই চিঠি লেখা।নাইবা
পৌঁছালো তোমার কাছে।এ চিঠি লেখা শেষ হলে কাগজের নৌকা বানিয়ে বৃষ্টির জলে
ভাসিয়ে দেব।হ্যাঁ সেই বৃষ্টি, যা রোজ আমার দু-চোখ থেকে ঝরে পড়ে চোখের কোন
বেয়ে,বুক ভাসিয়ে দেয়।তবুও কোন অভিযোগ নেই, কেন জান?আমি তো অচেনা পথিক তোমার
চলার পথে,আমি তো দুদিনের অতিথি তোমার হৃদয় সংসারে, আমি তো ভেসে যাওয়া খড়কুটো
তোমার বিস্তীর্ণ নদীবক্ষে।
জান!প্রতিটা দিন সেই কাকভোরে উঠে শিউলি তলায় দাঁড়িয়ে পূবাকাশে তাকিয়ে
থাকি।ঝরে যাওয়া শিউলির গন্ধ হৃদয়ে প্রশান্তি আনে।মাধবীলতার মালা গাঁথি
রোজ,তুমি আসবে বলে।এখানেই তো দাঁড়িয়ে চোখে চোখ আর হাতে হাত রেখে শেষ দেখার
দিনে তুমি বলেছিলে -
চলোনা হারিয়ে যায় ওই সূর্যের দেশে,জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
যেখানে সমাজ আমাদের পোড়াবে না,বলবেনা নির্লজ্জ বেহায়া; তোমার পরিবারও করবেনা
জাত বিচার।শুধু!শুধু ছুঁয়ে যাব মন দুজনে দুজনার।একটা পবিত্র ভালোবাসা।নিখিল
বিশ্ব জুড়ে লেখা হবে নাম,হবে ভালোবাসারই জয়গান।
আজও নিস্তব্ধ দুপুরে কিংবা মন খারাপের গোধূলি বেলায়, শুধু কানে
বাজে তোমার ঝংকার তোলা হাসি।যেন পাহাড় থেকে ঝরনার জল কলকল তানে প্রবাহিত হচ্ছে।
যেন কোন কিশোরীর পায়ের নুপুর রিনিঝিনি শব্দ তুলছে বাতাসে।অসীম দিগন্ত জুড়ে সে
কি আলোক উদ্ভাস চারিদিকে!চোখ জুড়িয়ে যায়।ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নামে।
হ্যাঁ, আজ জীবন সন্ধ্যা নেমেছে।সকাল পেরিয়ে দুপুর,দুপুর পেরিয়ে
বিকাল,আজ বিকাল পেরিয়ে সন্ধ্যা।মাধবীলতার সেই মালাটাও শুকিয়ে গেছে,ঝরা শিউলি
বাতাসে উড়ে গেছে বহুদূর।সুদীর্ঘ পথ পেরিয়েও আজ শুধু তোমার জন্য অপেক্ষা।যদি
একবার দেখা হত,তোমার হাতে হাত আর চোখে চোখ রেখে বলতাম - সূর্য নয় চলো চিতার
আগুনে পুড়ি একসাথে।আমাদের ছাই উড়ে যাক সমগ্ৰ পৃথিবীর বুকে।লেখা হোক নাম এক
অদৃশ্য অক্ষরে।শুধু একসাথে বলি ---
আমাদের দেখা হবে পৃথিবীর ওই পারে
আমাদের দেখা হবে জাত পাত শেষে,
আমাদের কথা হবে চুপিচুপি কানে কানে
আমাদের ভালোবাসা অক্ষয় হবে।
ইতি,
প্রভাত মণ্ডল
আংরাইল,উত্তর ২৪
পরগনা
তারিখ -- ২৮/০৭/২০২০
____________________________
Regards,
প্রভাত মণ্ডল (Probhat Mondal) | probhatmondal00@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
সান্ত্বনা
সান্ত্বনা
চিত্ত-কুঁড়ি-হাসনাহেনা মৃত্যু-সাঁঝে ফুটল গো!
জীবন-বেড়ার আড়াল ছাপি বুকের সুবাস টুটল গো!
এই তো কারার প্রাকার টুটে
বন্দি এল বাইরে ছুটে,
তাই তো নিখিল আকুল-হৃদয় শ্মশান-মাঝে জুটল গো!
ভবন-ভাঙা আলোর শিখায় ভুবন রেঙে উঠল গো।
২
স্ব-রাজ দলের চিত্তকমল লুটল বিশ্বরাজের পায়,
দলের চিত্ত উঠল ফুটে শতদলের শ্বেত আভায়।
রূপের কুমার আজকে দোলে
অপরূপের শিশ-মহলে,
মৃত্যু-বাসুদেবের কোলে কারার কেশব ওই গো যায়,
অনাগত বৃন্দাবনে মা যশোদা শাঁখ বাজায়!
৩
আজকে রাতে যে ঘুমুল, কালকে প্রাতে জাগবে সে।
এই বিদায়ের অস্ত-আঁধার উদয়-উষায় রাঙবে রে!
শোকের নিশির শিশির ঝরে,
ফলবে ফসল ঘরে-ঘরে,
আবার শীতের রিক্ত শাখায় লাগবে ফুলেল রাগ এসে।
যে মা সাঁঝে ঘুম পাড়াল, চুম দিয়ে ঘুম ভাঙবে সে।
৪
না ঝরলে তাঁর প্রাণ-সাগরে মৃত্যু-রাতের হিম-কণা
জীবন-শুক্তি ব্যর্থ হত, মুক্তি-মুক্তা ফলত না।
নিখিল-আঁখির ঝিনুক-মাঝে
অশ্রু-মানিক ঝলত না যে!
রোদের উনুন না নিবিলে চাঁদের সুধা গলত না।
গগন-লোকে আকাশ-বধূর সন্ধ্যা-প্রদীপ জ্বলত না।
৫
মরা বাঁশে বাজবে বাঁশি, কাটুক না আজ কুঠার তায়,
এই বেণুতেই ব্রজের বাঁশি হয়তো বাজবে এই হেথায়।
হয়তো এবার মিলন-রাসে
বংশীধারী আসবে পাশে
চিত্ত-চিতার ছাই মেখে শিব সৃষ্টি-বিষাণ ওই বাজায়।
জন্ম নেবে মেহেদি-ঈশা ধরার বিপুল এই ব্যথায়।
৬
কর্মে যদি বিরাম না রয়, শান্তি তবে আসত না!
ফলবে ফসল – নইলে নিখিল নয়ন-নীরে ভাসত না।
নেইকো দেহের খোসার মায়া,
বীজ আনে তাই তরুর ছায়া,
আবার যদি না জন্মাত, মৃত্যুতে সে হাসত না।
আসবে আবার – নইলে ধরায় এমন ভালো বাসত না!
হুগলি
১৬ই আষাঢ় ১৩৩২
Regards,
Publisher@alibaba.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
সান্ত্বনা
চিত্ত-কুঁড়ি-হাসনাহেনা মৃত্যু-সাঁঝে ফুটল গো!
জীবন-বেড়ার আড়াল ছাপি বুকের সুবাস টুটল গো!
এই তো কারার প্রাকার টুটে
বন্দি এল বাইরে ছুটে,
তাই তো নিখিল আকুল-হৃদয় শ্মশান-মাঝে জুটল গো!
ভবন-ভাঙা আলোর শিখায় ভুবন রেঙে উঠল গো।
২
স্ব-রাজ দলের চিত্তকমল লুটল বিশ্বরাজের পায়,
দলের চিত্ত উঠল ফুটে শতদলের শ্বেত আভায়।
রূপের কুমার আজকে দোলে
অপরূপের শিশ-মহলে,
মৃত্যু-বাসুদেবের কোলে কারার কেশব ওই গো যায়,
অনাগত বৃন্দাবনে মা যশোদা শাঁখ বাজায়!
৩
আজকে রাতে যে ঘুমুল, কালকে প্রাতে জাগবে সে।
এই বিদায়ের অস্ত-আঁধার উদয়-উষায় রাঙবে রে!
শোকের নিশির শিশির ঝরে,
ফলবে ফসল ঘরে-ঘরে,
আবার শীতের রিক্ত শাখায় লাগবে ফুলেল রাগ এসে।
যে মা সাঁঝে ঘুম পাড়াল, চুম দিয়ে ঘুম ভাঙবে সে।
৪
না ঝরলে তাঁর প্রাণ-সাগরে মৃত্যু-রাতের হিম-কণা
জীবন-শুক্তি ব্যর্থ হত, মুক্তি-মুক্তা ফলত না।
নিখিল-আঁখির ঝিনুক-মাঝে
অশ্রু-মানিক ঝলত না যে!
রোদের উনুন না নিবিলে চাঁদের সুধা গলত না।
গগন-লোকে আকাশ-বধূর সন্ধ্যা-প্রদীপ জ্বলত না।
৫
মরা বাঁশে বাজবে বাঁশি, কাটুক না আজ কুঠার তায়,
এই বেণুতেই ব্রজের বাঁশি হয়তো বাজবে এই হেথায়।
হয়তো এবার মিলন-রাসে
বংশীধারী আসবে পাশে
চিত্ত-চিতার ছাই মেখে শিব সৃষ্টি-বিষাণ ওই বাজায়।
জন্ম নেবে মেহেদি-ঈশা ধরার বিপুল এই ব্যথায়।
৬
কর্মে যদি বিরাম না রয়, শান্তি তবে আসত না!
ফলবে ফসল – নইলে নিখিল নয়ন-নীরে ভাসত না।
নেইকো দেহের খোসার মায়া,
বীজ আনে তাই তরুর ছায়া,
আবার যদি না জন্মাত, মৃত্যুতে সে হাসত না।
আসবে আবার – নইলে ধরায় এমন ভালো বাসত না!
হুগলি
১৬ই আষাঢ় ১৩৩২
Regards,
Publisher@alibaba.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
ধূমকেতু
কাজী নজরুল ইসলাম
আমি যুগে যুগে আসি, আসিয়াছি পুন মহাবিপ্লব হেতু এই স্রষ্টার শনি মহাকাল
ধূমকেতু! সাত সাতশো নরক-জ্বালা জলে মম ললাটে, মম ধূম-কুণ্ডুলি করেছে শিবের
ত্রিনয়ন ঘর ঘোলাটে! আমি অশিব তিক্ত অভিশাপ, আমি স্রষ্টার বুকে সৃষ্টি-পাপের
অনুতাপ-তাপ-হাহাকার– আর মর্তে সাহারা-গোবি-ছাপ, আমি অশিব তিক্ত অভিশাপ! আমি
সর্বনাশের ঝাণ্ডা উড়ায়ে বোঁও বোঁও ঘুরি শূন্যে, আমি বিষ-ধূম-বাণ হানি একা ঘিরে
ভগবান-অভিমুন্যে। শোঁও শন-নন-নন-শন-নন-নন শাঁই শাঁই, ঘুর্ পাক্ খাই, ধাই পাঁই
পাঁই মম পুচ্ছে জড়ায়ে সৃষ্টি; করি উল্কা-অশনি-বৃষ্টি,– আমি একটা বিশ্ব
গ্রাসিয়াছি, পারি গ্রাসিতে এখনো ত্রিশটি। আমি অপঘাত দুর্দৈব রে আমি সৃষ্টির
অনাসৃষ্টি! আমি আপনার বিষ-জ্বালা-মদ-পিয়া মোচড় খাইয়া খাইয়া জোর বুঁদ হয়ে আমি
চলেছি ধাইয়া ভাইয়া! শুনি মম বিষাক্ত 'রিরিরিরি'-নাদ শোনায় দ্বিরেফ-গুঞ্জন সম
বিশ্ব-ঘোরার প্রণব-নিনাদ! ধূর্জটি-শিখ করাল পুচ্ছে দশ অবতারে বেঁধে ঝ্যাঁটা
করে ঘুরাই উচ্চে, ঘুরাই– আমি অগ্নি-কেতন উড়াই!– আমি যুগে যুগে আসি, আসিয়াছি
পুন মহাবিপ্লব হেতু এই স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু! ঐ বামন বিধি সে আমারে
ধরিতে বাড়ায়েছিল রে হাত মম অগ্নি-দাহনে জ্বলে পুড়ে তাই ঠুঁটো সে জগন্নাথ! আমি
জানি জানি ঐ স্রষ্টার ফাঁকি, সৃষ্টির ঐ চাতুরী, তাই বিধি ও নিয়মে লাথি মেরে,
ঠুকি বিধাতার বুকে হাতুড়ি। আমি জানি জানি ঐ ভুয়ো ঈশ্বর দিয়ে যা হয়নি হবে তাও!
তাই বিপ্লব আনি বিদ্রোহ করি, নেচে নেচে দিই গোঁফে তাও! তোর নিযুত নরকে ফুঁ
দিয়ে নিবাই, মৃত্যুর মুখে থুথু দি! আর যে যত রাগে রে তারে তত কাল্-আগুনের
কাতুকুতু দি। মম তূরীয় লোকের তির্যক্ গতি তূর্য গাজন বাজায় মম বিষ নিশ্বাসে
মারীভয় হানে অরাজক যত রাজায়! কচি শিশু-রসনায় ধানি-লঙ্কার পোড়া ঝাল আর বন্ধ
কারায় গন্ধক ধোঁয়া, এসিড, পটাশ, মোন্ছাল, আর কাঁচা কলিজায় পচা ঘা'র সম
সৃষ্টিরে আমি দাহ করি আর স্রষ্টারে আমি চুষে খাই! পেলে বাহান্ন-শও জাহান্নমেও
আধা চুমুকে সে শুষে যাই! আমি যুগে যুগে আসি আসিয়াছি পুন মহাবিপ্লব হেতু– এই
স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু! আমি শি শি শি প্রলয়-শিশ্ দিয়ে ঘুরি কৃতঘ্নী ঐ
বিশ্বমাতার শোকাগ্নি, আমি ত্রিভুবন তার পোড়ায়ে মারিয়া আমিই করিব মুখাগ্নি! তাই
আমি ঘোর তিক্ত সুখে রে, একপাক ঘুরে বোঁও করে ফের দু'পাক নি! কৃতঘ্নী আমি
কৃতঘ্নী ঐ বিশ্বমাতার শোকাগ্নি! পঞ্জর মম খর্পরে জ্বলে নিদারুণ যেই বৈশ্বানর–
শোন্ রে মর, শোন্ অমর!– সে যে তোদের ঐ বিশ্বপিতার চিতা! এ চিতাগ্নিতে জগদীশ্বর
পুড়ে ছাই হবে, হে সৃষ্টি জানো কি তা? কি বলো? কি বলো? ফের বলো ভাই আমি
শয়তান-মিতা! হো হো ভগবানে আমি পোড়াব বলিয়া জ্বালায়েছি বুকে চিতা! ছোট শন শন শন
ঘর ঘর সাঁই সাঁই! ছোট পাঁই পাঁই! তুই অভিশাপ তুই শয়তান তোর অনন্তকাল পরমাই!
ওরে ভয় নাই তোর মার নাই!! তুই প্রলয়ঙ্কর ধূমকেতু, তুই উগ্র ক্ষিপ্ত
তেজ-মরীচিকা ন'স্ অমরার ঘুম-সেতু তুই ভৈরব ভয় ধূমকেতু! আমি যুগে যুগে আসি
আসিয়াছি পুন মহাবিপ্লব হেতু এই স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু ! ঐ ঈশ্বর-শির
উল্লজ্ঘিতে আমি আগুনের সিঁড়ি, আমি বসিব বলিয়া পেতেছে ভবানী ব্রহ্মার বুকে
পিঁড়ি ! খ্যাপা মহেশের বিক্ষিপ্ত পিনাক, দেবরাজ-দম্ভোলি লোকে বলে মোরে, শুনে
হাসি আমি আর নাচি বব-বম্ বলি ! এই শিখায় আমার নিযুত ত্রিশূল বাশুলি বজ্র-ছড়ি
ওরে ছড়ানো রয়েছে, কত যায় গড়াগড়ি ! মহা সিংহাসনে সে কাঁপিছে বিশ্ব-সম্রাট
নিরবধি, তার ললাট তপ্ত অভিশাপ-ছাপ এঁকে দিই আমি যদি ! তাই টিটকিরি দিয়ে হাহা
হেসে উঠি, আমি বাজাই আকাশে তালি দিয়া 'তাতা-উর্-তাক্' আর সোঁও সোঁও করে প্যাঁচ
দিয়ে খাই চিলে-ঘুড়ি সম ঘুরপাক! মম নিশাস আভাসে অগ্নি-গিরির বুক ফেটে ওঠে
ঘুৎকার আর পুচ্ছে আমার কোটি নাগ-শিশু উদ্গারে বিষ-ফুৎকার! কাল বাঘিনী যেমন
ধরিয়া শিকার তখনি রক্ত শোষে না রে তার, দৃষ্টি-সীমায় রাখিয়া তাহারে
উগ্রচণ্ড-সুখে পুচ্ছ সাপটি খেলা করে আর শিকার মরে সে ধুঁকে! তেমনি করিয়া
ভগবানে আমি দৃষ্টি-সীমায় রাখি দিবাযামী ঘিরিয়া ঘিরিয়া খেলিতেছি খেলা, হাসি
পিশাচের হাসি এই অগ্নি-বাঘিনী আমি যে সর্বনাশী! আজ রক্ত-মাতাল উল্লাসে মাতি
রে– মম পুচ্ছে ঠিকরে দশগুণ ভাতি, রক্ত রুদ্র উল্লাসে মাতি রে! ভগবান? সে তো
হাতের শিকার!– মুখে ফেনা উঠে মরে! ভয়ে কাঁপিছে, কখন পড়ি গিয়া তার আহত
বুকের 'পরে! অথবা যেন রে অসহায় এক শিশুরে ঘিরিয়া অজগর কাল-কেউটে সে কোন ফিরিয়া
ফিরিয়া চায়, আর ঘোরে শন্ শন্ শন্, ভয়-বিহ্বল শিশু তার মাঝে কাঁপে রে যেমন–
তেমনি করিয়া ভগবানে ঘিরে ধূমকেতু-কালনাগ অভিশাপ ছুটে চলেছি রে, আর সাপে-ঘেরা
অসহায় শিশু সম বিধাতা তাদের কাঁপিছে রুদ্র ঘূর্ণির মাঝে মম! আজিও ব্যথিত
সৃষ্টির বুকে ভগবান কাঁদে ত্রাসে, স্রষ্টার চেয়ে সৃষ্টি পাছে বা বড় হয়ে তারে
গ্রাসে!

Regards,
Publisher@alibaba.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
কাজী নজরুল ইসলাম
আমি যুগে যুগে আসি, আসিয়াছি পুন মহাবিপ্লব হেতু এই স্রষ্টার শনি মহাকাল
ধূমকেতু! সাত সাতশো নরক-জ্বালা জলে মম ললাটে, মম ধূম-কুণ্ডুলি করেছে শিবের
ত্রিনয়ন ঘর ঘোলাটে! আমি অশিব তিক্ত অভিশাপ, আমি স্রষ্টার বুকে সৃষ্টি-পাপের
অনুতাপ-তাপ-হাহাকার– আর মর্তে সাহারা-গোবি-ছাপ, আমি অশিব তিক্ত অভিশাপ! আমি
সর্বনাশের ঝাণ্ডা উড়ায়ে বোঁও বোঁও ঘুরি শূন্যে, আমি বিষ-ধূম-বাণ হানি একা ঘিরে
ভগবান-অভিমুন্যে। শোঁও শন-নন-নন-শন-নন-নন শাঁই শাঁই, ঘুর্ পাক্ খাই, ধাই পাঁই
পাঁই মম পুচ্ছে জড়ায়ে সৃষ্টি; করি উল্কা-অশনি-বৃষ্টি,– আমি একটা বিশ্ব
গ্রাসিয়াছি, পারি গ্রাসিতে এখনো ত্রিশটি। আমি অপঘাত দুর্দৈব রে আমি সৃষ্টির
অনাসৃষ্টি! আমি আপনার বিষ-জ্বালা-মদ-পিয়া মোচড় খাইয়া খাইয়া জোর বুঁদ হয়ে আমি
চলেছি ধাইয়া ভাইয়া! শুনি মম বিষাক্ত 'রিরিরিরি'-নাদ শোনায় দ্বিরেফ-গুঞ্জন সম
বিশ্ব-ঘোরার প্রণব-নিনাদ! ধূর্জটি-শিখ করাল পুচ্ছে দশ অবতারে বেঁধে ঝ্যাঁটা
করে ঘুরাই উচ্চে, ঘুরাই– আমি অগ্নি-কেতন উড়াই!– আমি যুগে যুগে আসি, আসিয়াছি
পুন মহাবিপ্লব হেতু এই স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু! ঐ বামন বিধি সে আমারে
ধরিতে বাড়ায়েছিল রে হাত মম অগ্নি-দাহনে জ্বলে পুড়ে তাই ঠুঁটো সে জগন্নাথ! আমি
জানি জানি ঐ স্রষ্টার ফাঁকি, সৃষ্টির ঐ চাতুরী, তাই বিধি ও নিয়মে লাথি মেরে,
ঠুকি বিধাতার বুকে হাতুড়ি। আমি জানি জানি ঐ ভুয়ো ঈশ্বর দিয়ে যা হয়নি হবে তাও!
তাই বিপ্লব আনি বিদ্রোহ করি, নেচে নেচে দিই গোঁফে তাও! তোর নিযুত নরকে ফুঁ
দিয়ে নিবাই, মৃত্যুর মুখে থুথু দি! আর যে যত রাগে রে তারে তত কাল্-আগুনের
কাতুকুতু দি। মম তূরীয় লোকের তির্যক্ গতি তূর্য গাজন বাজায় মম বিষ নিশ্বাসে
মারীভয় হানে অরাজক যত রাজায়! কচি শিশু-রসনায় ধানি-লঙ্কার পোড়া ঝাল আর বন্ধ
কারায় গন্ধক ধোঁয়া, এসিড, পটাশ, মোন্ছাল, আর কাঁচা কলিজায় পচা ঘা'র সম
সৃষ্টিরে আমি দাহ করি আর স্রষ্টারে আমি চুষে খাই! পেলে বাহান্ন-শও জাহান্নমেও
আধা চুমুকে সে শুষে যাই! আমি যুগে যুগে আসি আসিয়াছি পুন মহাবিপ্লব হেতু– এই
স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু! আমি শি শি শি প্রলয়-শিশ্ দিয়ে ঘুরি কৃতঘ্নী ঐ
বিশ্বমাতার শোকাগ্নি, আমি ত্রিভুবন তার পোড়ায়ে মারিয়া আমিই করিব মুখাগ্নি! তাই
আমি ঘোর তিক্ত সুখে রে, একপাক ঘুরে বোঁও করে ফের দু'পাক নি! কৃতঘ্নী আমি
কৃতঘ্নী ঐ বিশ্বমাতার শোকাগ্নি! পঞ্জর মম খর্পরে জ্বলে নিদারুণ যেই বৈশ্বানর–
শোন্ রে মর, শোন্ অমর!– সে যে তোদের ঐ বিশ্বপিতার চিতা! এ চিতাগ্নিতে জগদীশ্বর
পুড়ে ছাই হবে, হে সৃষ্টি জানো কি তা? কি বলো? কি বলো? ফের বলো ভাই আমি
শয়তান-মিতা! হো হো ভগবানে আমি পোড়াব বলিয়া জ্বালায়েছি বুকে চিতা! ছোট শন শন শন
ঘর ঘর সাঁই সাঁই! ছোট পাঁই পাঁই! তুই অভিশাপ তুই শয়তান তোর অনন্তকাল পরমাই!
ওরে ভয় নাই তোর মার নাই!! তুই প্রলয়ঙ্কর ধূমকেতু, তুই উগ্র ক্ষিপ্ত
তেজ-মরীচিকা ন'স্ অমরার ঘুম-সেতু তুই ভৈরব ভয় ধূমকেতু! আমি যুগে যুগে আসি
আসিয়াছি পুন মহাবিপ্লব হেতু এই স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু ! ঐ ঈশ্বর-শির
উল্লজ্ঘিতে আমি আগুনের সিঁড়ি, আমি বসিব বলিয়া পেতেছে ভবানী ব্রহ্মার বুকে
পিঁড়ি ! খ্যাপা মহেশের বিক্ষিপ্ত পিনাক, দেবরাজ-দম্ভোলি লোকে বলে মোরে, শুনে
হাসি আমি আর নাচি বব-বম্ বলি ! এই শিখায় আমার নিযুত ত্রিশূল বাশুলি বজ্র-ছড়ি
ওরে ছড়ানো রয়েছে, কত যায় গড়াগড়ি ! মহা সিংহাসনে সে কাঁপিছে বিশ্ব-সম্রাট
নিরবধি, তার ললাট তপ্ত অভিশাপ-ছাপ এঁকে দিই আমি যদি ! তাই টিটকিরি দিয়ে হাহা
হেসে উঠি, আমি বাজাই আকাশে তালি দিয়া 'তাতা-উর্-তাক্' আর সোঁও সোঁও করে প্যাঁচ
দিয়ে খাই চিলে-ঘুড়ি সম ঘুরপাক! মম নিশাস আভাসে অগ্নি-গিরির বুক ফেটে ওঠে
ঘুৎকার আর পুচ্ছে আমার কোটি নাগ-শিশু উদ্গারে বিষ-ফুৎকার! কাল বাঘিনী যেমন
ধরিয়া শিকার তখনি রক্ত শোষে না রে তার, দৃষ্টি-সীমায় রাখিয়া তাহারে
উগ্রচণ্ড-সুখে পুচ্ছ সাপটি খেলা করে আর শিকার মরে সে ধুঁকে! তেমনি করিয়া
ভগবানে আমি দৃষ্টি-সীমায় রাখি দিবাযামী ঘিরিয়া ঘিরিয়া খেলিতেছি খেলা, হাসি
পিশাচের হাসি এই অগ্নি-বাঘিনী আমি যে সর্বনাশী! আজ রক্ত-মাতাল উল্লাসে মাতি
রে– মম পুচ্ছে ঠিকরে দশগুণ ভাতি, রক্ত রুদ্র উল্লাসে মাতি রে! ভগবান? সে তো
হাতের শিকার!– মুখে ফেনা উঠে মরে! ভয়ে কাঁপিছে, কখন পড়ি গিয়া তার আহত
বুকের 'পরে! অথবা যেন রে অসহায় এক শিশুরে ঘিরিয়া অজগর কাল-কেউটে সে কোন ফিরিয়া
ফিরিয়া চায়, আর ঘোরে শন্ শন্ শন্, ভয়-বিহ্বল শিশু তার মাঝে কাঁপে রে যেমন–
তেমনি করিয়া ভগবানে ঘিরে ধূমকেতু-কালনাগ অভিশাপ ছুটে চলেছি রে, আর সাপে-ঘেরা
অসহায় শিশু সম বিধাতা তাদের কাঁপিছে রুদ্র ঘূর্ণির মাঝে মম! আজিও ব্যথিত
সৃষ্টির বুকে ভগবান কাঁদে ত্রাসে, স্রষ্টার চেয়ে সৃষ্টি পাছে বা বড় হয়ে তারে
গ্রাসে!

Regards,
Publisher@alibaba.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
Subscribe to:
Posts (Atom)