বাংলা ম্যাগাজিন ব্লগ। আপনার লেখা গল্প কিংবা কবিতাটি পোস্ট করুন এখানে। ●Name চিহ্নিত বক্সে আপনার সম্পূর্ণ নাম দিন । ● Email চিহ্নিত বক্সে আপনার ইমেইল এড্রেস দিন । ●মেসেজ বক্সে লেখার শিরোনাম, লেখকের নামসহ আপনার লিখাটি দিন । Send বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথেই পোস্টটি ওয়েবসাইট এ পাবলিশ হয়ে যাবে।
আপনার লেখা গল্প কিংবা কবিতাটি পোস্ট করুন এখানে। মেসেজ বক্সে লেখার শিরোনাম, লেখকের নামসহ লিখা দিন।
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
তারিঃ০৪-১০-২০২০ ইং
**********************
অপলক চেয়ে থাকো উঁচু করে আঁখি
ডানা মেলে দাও হৃদয়ের যত পাখি!
উত্তাল হয়ে গেল তরঙ্গ, জলকলস্বর
মুহূর্তে ব্যাকুল হয়ে গেল,দেহ- অন্তর
গভীরে ভালোবাসা জাগল ধীরে ধীরে
নিস্তরঙ্গ তটিনীর জনশূন্য তীরে
এখন পিপাসা প্রাণে অযুত শুন্যতায়
যদি একটু জল দিতে ভালোবাসার মুর্ছনায়
সেইক্ষণে সঙ্গী হতাম নিরব নির্জন
তুমি হতে স্বর্গীয় প্রথম চুম্বন
দেহ অন্তরে উঠত বাজি পুলক শিরহণ তখনি
পৃথিবী জেনে যেত ভালোবাসার অমর ধ্বনি।
অমৃতের রোমাঞ্চলোক উঠত শিহরি
আজ কেন চক্ষে এল অশ্রুজল ভরি ?
অপলক চেয়ে থাকো উঁচু করে আঁখি
ডানা মেলে দাও হৃদয়ের যত পাখি!
---------------------------------
Regards,
মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা | aminulahasan372@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
তুমি তাকালেই কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
কলমেঃ মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
স্থানঃ রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
তারিখঃ ১১-০৯-২০২২ ইং
**************************
তুমি তাকালেই কেমন যেন হয়ে যাই!
শিরা উপশিরা গুলোর কম্পন শুনতে পাই।
শিহরিত হয়ে উঠি কি এক বৃথা রোদনে
নেচে উঠে রোমাঞ্চিত মন বিপ্লবী উদ্ধোধনে।
কিন্তু কোথায় যেন জোয়ারে দোলে প্লাবন
তীব্র বেগ রক্তিম পথ গহিন অনুধাবন।
তবু প্রবল উচ্ছাস এ মনের সিংহাসন-
যদি হতে এ রাজ্যের পুলক-শিরহণ !
তুমি তাকালেই কেমন যেন হয়ে যাই!
আর নাহি আপনাকে খোঁজে পাই----
---------------------------------
Regards,
মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা | aminulahasan372@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
বীরাঙ্গনা বলছি! আহবাব হাসনাত লাবিব।
আহবাব হাসনাত লাবিব।
এই বাড়িটা পিতৃহারা ফেলে দীর্ঘশ্বাস,
এই বাড়িটা অশ্রুলেখা রক্তাক্ত মাস।
এই বাড়িতে রয়েছে দেখো স্মৃতি অবিরাম,
এই বাড়িতে কোণায় কোণায় বঙ্গবন্ধুর নাম।
এই বাড়িতে উঠেছিল সূর্যহীন ভোর,
এই বাড়িতে বাজে শুনো জয় বাংলার স্বর।
এই বাড়িতে শহিদ হয় ইতিহাসের ভারি লাশ,
এই বাড়িতে দেশের স্বপ্ন হয় সর্বনাশ।
এই বাড়িতে পাবে দেখো আমার কন্ঠ স্বর,
এই বাড়িতে আছে দেখো শেখ মুজিবুর।
এই বাড়িতে পাবে দেখো আমার অশ্রুজল,
এই বাড়িটা চিরকাল প্রেরণা অবিচল।
এই বাড়িটা আমার কাছে রক্তাক্ত হিমালয়!
এই বাড়িটা আমার কাছে আমার পরিচয়।
Regards,
AHBAB HASNAT LABIB | ahbabhasnat07@email.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
দর্পণ প্রনব ঘোষ
প্রনব ঘোষ
তোমায় আমি দেখেছিলেম হঠাৎ
অন্ধ গলির শেষে ভাঙা বাড়ি,
খোলা জানলার ফাঁক দিয়ে আয়নায়
দেখি তোমার পরনে লাল শাড়ি।
আয়নাতে ঐ মুখটা তোমার দেখি
জ্বলজ্বলে রূপ, পটলচেরা আঁখি
মুক্তকেশী চুল গুলি সব বুকের উপরে
মুক্তাদানা জমেছে যেনো রাঙা অধরে!
পড়লো যখন হঠাৎ চোখে চোখ—
লজ্জায় রাঙা হলো যেনো রক্তজবা মুখ
সহসা আমার হার্টবিটটা দ্রুতগামী হলো
মন ছুটিল— পা দু'খানি স্থির তবু ছিলো।
হঠাৎ যখন তোমার কথা মনেতে উঠিল
তাকিয়ে দেখি শূন্য ঘর অস্পষ্ট আলো—
তখন আমি আত্নহারায় দেখি উদাস মনে
পড়ে আছে মুখখানি মোর ভাঙা দর্পণে।
Regards,
প্রনব ঘোষ | s.pronabkg@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
ছড়াঃ সময়ের দর্পণ -----রাসেল আদিত্য
-----রাসেল আদিত্য
ইদানিংকালে বাস্তবতা দর্শনে আমি
আশাহত হয়ে আতংকে পতিত হই,
অনাগত আগামীর কালো চোখ রাঙায়
প্রাণপনে খুঁজি আলো তুমি কই?
নিজেকে নিয়ে নেই ভাবনা ভাবি
দেশ আর ভবিষ্যত প্রজন্ম নিয়ে,
ওঁদের জীবন যাপন যোগ্য দেশ আর
প্রকৃত সভ্যতা কি পারবো যেতে দিয়ে?
সভ্য তো আমরা কাগজ-কলমে আর
লজ্জা নিবারনে বস্ত্র পরিধানে সীমাবদ্ধ আজো,
যাপিত জীবনে আমি সাধু আবার আমিই কসাই
খেলছি যেনো যেমন খুশি তেমন সাঁজো।
ব্যস্ত আমরা কেবল নিজেকে নিয়ে
অমানবিকতা আর মিথ্যাই স্বাভাবিকতা,
সম্পর্কগুলো যেনো কাঁচের দেয়াল এখন
সামান্যতেই ভাঙে ভাবেনা সন্তানের কথা।
প্রেম-ভালোবাসার কথা বলবো কি আর
বদলে গেছে সংজ্ঞা, অনুভূতি, ধরন,
বিছানা ভালোবাসা প্রমানের জায়গা
এক কথায় প্রেম মানে সতিত্ব হরণ!
নগ্নতা আর অসভ্যতা নিয়েছে দখল
ভবিষ্যত প্রজন্মের মন মানসিকতার,
দশ-বারো বছরের ছেলেমেয়েরাও জানে
মানে কি আদিম উন্মত্ততার?
অনেক মূল্যের বিনিময়ে স্বাধীনতা অথচ
আমাদের নেইতো দেশপ্রেমের বালাই,
বছরে কেবল চারদিন মোরা বাঙালী সাঁজি
বাকি ৩৬১দিনই ভিনদেশী কালচারে ফালাই।
কোথাও নেই দৃশ্যমান আলোর রেখা
নৈতিকতা -আদর্শ পাঠিয়েছি জাদুঘরে,
আজো বেঁচে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ
এসব দেখে ডুকরে কেঁদে মরে!
নারী জাতির বন্দনাতে সদা সরব ছিলাম
মা-বোন-স্ত্রী-কন্যা সব মায়ারাই নারী,
ওসব এখন কল্পকথা কেবল সময়ের
শ্লোগান"নারী,আমরা সবই পারি"!
বাস্তবিকই পারে তাঁরা আছে বহু নজির
স্বার্থপরতায় আশ্রয় নেয় তাঁরা ছলনা ধোঁকাবাজির,
পরকীয়ার টানে এমনকি সন্তান হন্তারক হয়
এখন নারীরা নেতিবাচক রুপে মিডিয়ায় হয় হাজির।
নারী-পুরুষ সবাই যদি উল্টো পথে চলে
এসব হলে পতনের লক্ষ্মণ ধর্ম সেটাই বলে,
করোনা আজাবেও মোদের হুঁশ হচ্ছেনা কারো
ধেয়ে আসা বিপর্যয় থেকে মুক্তির পথটা বলতে কি কেউ পারো???
Regards,
Rasel Aditta | mujahidulislamrasel660@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
কাব্যময় বিশ্বপ্রকৃতি ও প্রতিক্রিয়া রচনায়, সৈয়দ জালাল আহমেদ চৌধুরী
রচনায়, সৈয়দ জালাল আহমেদ চৌধুরী
সবুজে সবুজে মিলামিলি করে
আহা! কতইনা সুন্দর প্রকৃতি।
বাতাস আসিলে গড়াগড়ি করে
আহা! কতইনা মধুর দিবারাতি।
কবিতা লিখতে গিয়ে মনের দরজায় অন্যরকম গদ্যানুভূতি জেগে উঠলো। আর তাহলো, এই
চার লাইন লিখার পর পড়ে ভাবি - আজ আমাদের বিশ্ব প্রকৃতি কেন এত নাজেহাল
অবস্থায় আছে! হ্যাঁ, তার অবশ্যাম্ভাবী কারণগুলো হলো কোথাও না কোথাও বোমাবাজি,
করোনার থাবা, প্রবল ঘূর্ণীঝড়ের থাবা এবং সন্ত্রাসী হামলার কারণে আজ
বিশ্বপ্রকৃতিতে এরূপ অধর্ম প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। তাই আসুন, আমরা সুমহান
স্রষ্টাকে বেশী বেশী করে ডাকি, রীতিমত প্রার্থনা করি, অপছন্দনীয় কর্মের জন্য
স্রষ্টার কাছে ক্ষমা চাই আর দোয়া করি - আল্লাহ যেন এই কাব্যময় বিশ্ব প্রকৃতি
আবার আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন।
Regards,
Syed Jalal Ahmed Chowdhury | syedjalalahmedchowdhury786@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
বিতর্ক বৃথা - কবিতা [সাহিত্য কণিকা]
তোমরা বলছ অবৈধ ভালোবাসা! -- ঠিক না বেঠিক
বিতর্কে যাওয়া বৃথা...
নিখাদ ভুলই তো পৃষ্ঠা উল্টে ইতিহাস ---
নির্বাক চাঁদ প্রমাণ করতে অপারগ,
কিছু কালো দাগে ভাইরাল জোছনাটা
তোমরা বলছ মেয়েটা গর্ভবতী -- ঠিক না বেঠিক
বিতর্কে যাওয়া বৃথা...
অবয়ব দোষে চুলচেরা বিশ্লেষণ
নির্বাক ভ্রূণ প্রমাণ করতে অপারগ,
আজন্ম গায়ে লাওয়ারিশ তকমাটা
তারপর সব দায়দায়িত্ব সেরে...
তোমরা দিয়েছ গ্রহ উপগ্রহে পাড়ি
কি খোঁজ করো নি বলো?
লালগ্রহে প্রাণ স্পন্দন
চাঁদের বুকেতে বরফ ও ঘরবাড়ি--
আজও--
ছেলেটা মেয়েটা লোগো পিঠে নিয়ে ঘোরে ---
সত্তারহিত বৈধ নারী ও পুরুষ
কত কি খুঁজেছ বিশেষ্য বিশেষণে,
নিখোঁজ হয়েছে আস্ত, আস্ত মানুষ।
Regards,
কমলিকাদত্ত | Kamalikadutta82@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
[বিতর্ক বৃথা...
তোমরা বলছ অবৈধ ভালোবাসা! -- ঠিক না বেঠিক
বিতর্কে যাওয়া বৃথা...
নিখাদ ভুলই তো পৃষ্ঠা উল্টে ইতিহাস ---
নির্বাক চাঁদ প্রমাণ করতে অপারগ,
কিছু কালো দাগে ভাইরাল জোছনাটা
তোমরা বলছ মেয়েটা গর্ভবতী -- ঠিক না বেঠিক
বিতর্কে যাওয়া বৃথা...
অবয়ব দোষে চুলচেরা বিশ্লেষণ
নির্বাক ভ্রূণ প্রমাণ করতে অপারগ,
আজন্ম গায়ে লাওয়ারিশ তকমাটা
তারপর সব দায়দায়িত্ব সেরে...
তোমরা দিয়েছ গ্রহ উপগ্রহে পাড়ি
কি খোঁজ করো নি বলো?
লালগ্রহে প্রাণ স্পন্দন
চাঁদের বুকেতে বরফ ও ঘরবাড়ি--
আজও--
ছেলেটা মেয়েটা লোগো পিঠে নিয়ে ঘোরে ---
সত্তারহিত বৈধ নারী ও পুরুষ
কত কি খুঁজেছ বিশেষ্য বিশেষণে,
নিখোঁজ হয়েছে আস্ত, আস্ত মানুষ।
Regards,
কমলিকা দত্ত | kamalikadutta82@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
পদ্য কবিতা কবিতার নামঃ আমাদের দেশ কবির নামঃ স্বপন হালদার
বিভাগঃ পদ্য কবিতা
কবিতার নামঃ আমাদের দেশ
কবির নামঃ স্বপন হালদার
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
সবুজঘেরা শ্যামল বন,
উদাস করে আমার মন।
সকালবেলা পূবাকাশে,
আগুনরাঙা সূর্য হাসে।
ঘুম ভেঙে যায় পাখির ডাকে,
মনে পড়ে বাংলা মাকে।
নায়ের মাঝি তুলে পাল,
শক্ত হাতে ধরে হাল।
কন্ঠে তাদের মধুর গান,
শুনলে সবার জুড়ায় প্রাণ।
পুকুর নদী খাল বিল,
মাছে ভরা হাওর ঝিল।
ফসল তোলে কৃষকভাই
খুশির যেন সীমা নাই।
বারো মাসে তেরো পাবন,
মনে আনে খুশির প্লাবন।
ছয়টি ঋতুর এই যে দশ,
এই আমাদের বাংলাদেশ।
এই আমাদের জন্মভূমি -
এমন দেশটি বিশ্বমাঝে
পাবে নাকো কোথাও তুমি।
""""""""""""""""""""""""''"""""""""""""""""""
Regards,
স্বপন হালদার | swapanhal714@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
জ্ঞানের বই
ক্লাসের বই বরিয়া হইতে হবে জয়ী
যদি নাই পারো পড়িতে বই
তবে কি হইবে পরিয়া বই।
ঘাটিয়া দেখিতে হইবে লাইন
পড়িয়া বুঝিতে হইবে জ্ঞান ।
যদি নাই পারো তবে
কি হইবে এই জীবনের মানে।
ব্যর্থ জীবন ছাড়া পাশে থাকবে না কোনো বন্ধুর মালা ,
থাকবে না কোনো আলো
লাগবে না আর ভালো ।
লাগবে না আর ভাগ্যের জোড়া
তাই পড়িতে হইবে বই,
জ্ঞানীগুণী হইয়া করিতে হইবে জয়ী ।
যদি নাই পারো তবে
কি হইবে পরিহার কবিতার ছন্দে ।
ছন্দ মেলায় উঠবো বেলায়
পড়বো আরো গল্প ।
বাংলা জেনে জীবন টাকে
করব আরো ধন্য ।
- মোঃ ইয়াসিন
জেলা রংপুর উপজেলা কাউনিয়া ডাকঘর ভাইয়ের হাট
Regards,
মোঃ ইয়াসিন | Publisher@alibaba.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
স্বপ্নে ভাসা --প্রতিভা দে।
--প্রতিভা দে।৯/২/২১//
স্বপ্ন ভাসে মেঘেরা সব
আকাশ জুড়ে ছুটে দিগন্তে,
তারারা সব রত্ন খোচে
আকাশ যেন ভাসে স্বপ্নে,
পাখিরা সব উড়ে যায়
যেন সাজে আপন মনে,
মেঘরা যখন বৃষ্টি হয়ে নামে
স্বপ্ন গলে মাটির পরে,
নদী তখন উথাল পাতাল
জীবন বয়ে নিয়ে যাওয়ার তাল,
সাগর গুনে স্বপ্ন দেখার প্রহর
মিলনের দিন গুনার,
বলছে যেন মিলতে পারি
রত্ন লুকিয়ে রাখার,
যত্ন করে ভালোবাসার ।
Regards,
Prativa Mayee Dey | deyprativa0@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
মীর নাদিম ফয়সাল
বাবা উঠো,পড়তে বসো,
মা,এখন!
উঠ লক্ষী,প্রভাত হয়েছে,
তুমি বড় হবা,
মানুষের মত মানুষ হবা!
খেয়ে নেও,ক্ষুধা পেটে পড়া কী সয়!
এই নে বাবা,
তোকে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে,
সবার উপকার করতে হবে।
স্নান করেছিস,করে নে,
আমার লক্ষী ছেলে।
ভরদুপুর হয়েছে আজ,
চল মা,খেয়ে নেই একসাথে।
বেলা ফুরোচ্ছে,ঘুমোতে আয়।
বিকেল বেলা খেলাধুলা,
খেলেছিস তুই ছেলেবেলায়;
সন্ধ্যা হয়েছে পড়তে বসো,
বড়ো হতে হবে বাবার মত।
রাত পোহালো,পড়তে খেতে এস,
ঘুমোতে হবে সময় মত।
মা,তুমি শ্রেষ্ঠ মা;
বিধাতার কাছে বিশেষ আরজি,
তোমাকে নিয়ে আমাদের স্বপ্ন;
রাত ফুরোচ্ছে বাবা যেতে হবে,
সময় মত পাঠশালাতে।
Regards,
মীর নাদিম ফয়সাল আহমেদ | nadimfaisal18@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
শামীম আহমেদ
আবার এসোও বন্ধু,
যখন আমার কেউ থাকবে না!
তুমি এসো যখন
একলা আমার সময় কাটতে চাইবে না!
এসো দুপুর বেলা
পুকুর পাড়ে করবো খেলা।
এসো নিশীথ রাতে
যখন আমার পাশে কেউ ঘুমাবে না।
এসো গোধূলি বেলা
খোলা আকাশের নিঁচে
ঝোপঝাড়ে নিঃসীম প্রান্তে করবো খেলা।
এসো তুমি প্রভাত বেলা,
যখন আমি করবো ব্যায়াম;
তুমি এলোকেশে খাবে সচ্ছল হাওয়া!
আবার হবে তোমাকে পাওয়া।।
Regards,
শামীম আহমেদ | ahmedsammim@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
গল্পকার : সৈয়দ জালাল আহমেদ চৌধুরী
''বড়লোকদের মধ্যে যারা সভ্য এদের উপরে আর কেউ যেতে পারেনা আর ছোট লোকদের মধ্যে
যারা অসভ্য ওদের নীচে আর কেউ নামতে পারেনা।''
বড়সাহেবের মুখে এতবড় কথা শুনে এলাকার মেম্বার থ হয়ে গেলো। আমতা আমতা করে বললো,
বড় সাহেব তার মানে আপনি আমাকে অপমান করছেন।
-না। অপমানবোধ যার অধিকারেই পড়েনা তার আবার কিসের অপমান! আরে, তুমিতো এলাকার
কিছু মুর্খলোকের মেম্বার। তবুও ভাল জানতাম, যদি আমার সামনে ধরা না পড়তে। আর
কখনও আমার সামনে সোজা হয়ে দাঁড়াবার নিষ্ফল আবেদন করোনা।
-শুধু শুধু আমায় কেন অপবাদ দিচ্ছেন। আপনার গোয়ালের গরু আমার লোক চুরি করেনি।
তবে যারা চুরি করেছে, তাদের নাম আমি জানি। তাদের আমি খুব ভাল করে চিনি। কিন্তু
দু:খিত, তাদের নাম কখনও আপনাকে জানাতে আমি বাধ্য নই।
-তার মানে চোরের মায়ের বড় গলা। তোমার মতো লম্পটদের মূর্খরা কেন যে ভোট দেয়,
আমার মাথায় ঢুকেনা। মানুষ সবগুলো কেন যে এতমূর্খ হয় ভেড়ার দলের মতো, আমার বোধে
কাজ করেনা।
-ভুল করছেন বড়সাহেব। বিদেশে থাকেন। বড় চাকুরী করেন। বাণিজ্যও করেন। সত্য। দেশে
জমিদারী আছে সত্য। মানি। কিন্তু মানুষ চিনতে আপনারা ভুল করেন।
-আচ্ছা, হা-হা-হা। অনেকদিন হাসিনি । তো তোমার যোগ্যতা আছে বটে। কারণ আমাকে
হাসাতে পেরেছো। হাসাতে পারার যোগ্যতা অর্জন করেছো।
-আমি আপনাকে হাসাইনি। আপনি এলাকায় যখন হাঁটেন হাতে থাকে আপনার একটি লাঠি। লাঠি
দিযে সব নাড়াচাড়া করেন, লাঠির উপরই আপনার আক্কেল আর সব বিশ্বাস। আর আমার হাতে
কোন লাঠি থাকেনা। ধূলি-বালির উপর আমার পা পড়ে। মাটির উপর আমার সমস্থ ভর ও
বিশ্বাস। ধূলোবালিতে মাখা মাটির মানুষের সাথে আমি একত্রে বাস করি।
-আচ্ছা। আর আমি বাতাসের উপর হাঁটি। ও, আমাকে জ্ঞান দেয়া হচ্ছে, তাইনা?
-না আমি আপনাকে অপমান করার জন্য বলিনি। আমাকে এবং দেশের মাটিতে মাখা
মানুষগুলোকে দয়া করে মূর্খ বলবেন না। আমার ইগোতে লাগে। কারণ ওরা নীরিহ হতে
পারে, ওরাও আমাদের মতো মানুষ। মূর্খ নয়।এটা আমাদের ভুল ধারণা। দয়া করে একথাটি
উইথড্র করুন।
-আচ্ছা। চুরি করেছোতো সকলে মিলে। এবার দয়া করে গরুগুলো ফেরত দাও।তারপর না হয়
উইথড্র করবো।
-ভুল করছেন। আপনি যেমনি সন্মানিত জমিদার, আমিও তেমনি গরীব মেম্বার। আপনি
জমিদারী হাওলাতে থাকেন আর আমি এলাকার লোকের সাথে মিলেমিশে গরীবি হাওলাতে থাকি।
রেসিও হিসাব করলে আমরা দুজন সমানভাবে যার যার অবস্থানে সন্মানিত।
- তা ঠিক বলেছো। তুমি যেহেতু এলাকার মেম্বার। আমার কাছে না হও, মূর্খগুলোর
কাছেতো তুমি বেশ সন্মানিত। সেইদৃষ্টিকোন থেকে তোমাকে জানাই একটি মূর্খ ধন্যবাদ
।
- বড়সাহেব, ধন্যবাদ দেয়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করছি। শুনুন বড়সাহেব,
আপনাকে ইচ্ছে করলে ফেরত দিতে পারতাম মূর্খ শব্দটা - মূর্খ জমিদার বলে। ছোটবেলা
থেকে টাকাপয়সার ভিতরে মানুষ হওয়ার সুযোগ পাইনি বটে, তবে মসজিদে মক্তবে স্কুলে
ভার্সিটিতে গিয়েছি, আদর্শের ভিতরে মানুষ হয়েছি। তাই শুনে রাখুন, আপনার মুখে যা
সভ্যতা, আমার মুখদিযে বের হলে লোকে বলবে অসভ্যতা।
-যার মুখে যেটা বেমানান সে বলবে কেমন করে?
-না বড়সাহেব, আদর্শ দিয়ে মানুষ হয়েছি, আদর্শের আয়নায় আমি সব দেখতে পাই যা আপনি
অন্ধকারে কিছুই দেখতে পান না।
-তোমার মুন্ডুপাত করে দিলে আমি শান্তি পেতাম। কিন্তু মূর্খের দল তোমার সাথে
দলবদ্ধ বলে কিছুই করলাম না।
-হা-হা-হা, আমি তো আপনার শত্র নই। আপনার দুই-চারটা গরু এনে দিতে পারি। তবে
ডাকাতের দলে আমি নিহত হবো। আপনি যদি চান আমি অপারেশন শুরু করে দিতে পারি। কারণ
আপনি জমিদার হলেও আমার এলাকার একজন নিরীহ সন্মানিত বাসিন্দা।
বড়সাহেব চিন্তিতে হয়ে পড়লেন। একজন সৎ মেম্বার এর সাথে মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার
কারণে রাগের বশবর্তী হয়ে অনেক বাক্য বিনিময় করলেন। এখন কি করবেন ঠিক বুঝে উঠতে
পারছেন না। ডাকাতের দল এর কোন বিশ্বাস নেই। কোথাকার পানি কোথা গিয়ে গড়ায়? তিনি
কপাল থেকে দু'চার ফোঁটা ঘাম ঝাড়লেন।
আকাশের কোণ থেকে কালো মেঘের ভেলা তেড়িয়ে ছুটে আসছে। বাতাসের স্বাভাবিকতা নষ্ট
হয়ে অস্বাভাবিক দূরন্ত হযে উঠেছে। স্যোঁ স্যোঁ শব্দে ঘরের প্রতিটি দরজা-জানালা
নড়ছে, বাড়ি খাচ্ছে আর চিৎকার করছে – জমিদার এর মাথার উপর যেন আজ আকাশটা ভেঙ্গে
পড়বে। তাড়াতাড়ি বাসায় ঢুকে দরজা-জানালা বন্ধ করলেই যেন বাঁচে।
বিপদে পেলে জমিদার এর আল্লাহভীতি বেড়ে যায়। বিপদ কেটে গেলে মানুষের সাথে অহরহ
গন্ডগোল পাঁকাতে মজা পায়। জামিদার এখন তা হাড়ে হাড়ে উপলদ্ধি করছে। কারণ বয়স
হয়েছে। শোধরানো দরকার।
বাপরে, আকাশের যে কি অবস্থা! আর দেরী না করে জমিদার মেম্বারের মুখের পানে
তাকালো। মেম্বারের মুখে ভয়ের কোন ছাপ দেখতে পেলনা। জমিদারের মনে আরও ভয় বেড়ে
গেলো। আকাশ থেকে ঠাডা যে ভাবে পড়ছে, যেন তার মাথার উপর পড়বে – মাথা ও দেহটা
যেন এক্ষুণি খন্ড-বিখন্ড হয়ে যাবে। তারপর তার কঠিন মৃত্যু হবে।
আফসোস! কবরের প্রস্তুতি ভাল করে নেয়া হয়নি। জমিদার হুতাশ মনে পকেটে তবছি আছে
কিনা হাতদিয়ে নেড়ে দেখে নিল – তারপর মাথার টুপি ঘুরিয়ে ঠিকঠাক করলো - তারপর
একহাতে চাবির তোড়া ধরে আর অন্যহাতে শক্ত করে লাঠির উপর ভরদিয়ে দাঁড়িয়ে বললো,
মেম্বার আমি জানি তুমি এইকাজ করতে পারনা। আমার সন্দেহটা আসলে তোমার উপর না।
তোমার এলাকার উপর। আমার অনেক আছে।আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছে। দুইচারটা গরুর
জন্য তুমি প্রাণ দেবে এ আমি চাইনা। তোমার বউবাচ্চা আছে, যাও তাদের কোলে ফিরে
যাও।আল্লাহাফেজ।
মেম্বারও ব্যাপারটি বুঝতে পারলো। তারপর মনে মনে পরিস্থিতির কথা ভাবতে ভাবতে
হাঁটা শুরু করে দিল। ঝড়-বৃষ্টির বাড়ন্ত গতি দেখে বাতাসের গতিতে ভিজে ভিজে
বাড়ির দিকে ছুটতে লাগলো।
--সমাপ্ত--
Regards,
Syed Jalal Ahmed Chy | chowdhurysyedjalalahmed@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
আশরাফুল মুহাম্মদ
"এই তুমি ! পড়ছো কী বসে আমার কবিতা ?
লাগছে বলো কতটুকু ভালো পড়তে তোমার কথা । "
মুখেই তার জ্বলছে হাসি
সে আবডালে বলছে মোরে ভালোবাসি ।
বুঝেছি তার মনের ভাষা
ভালোবাসা ।
একটু পরে কবিতাটি স্পর্শ করে
বলে দিলো তার উত্তরে
" পড়ছি তোমার কলমের যাদু
লাগছে যে তা ভীষণ মধু,
কোন ভাষায় বলবো তোমায়
শব্দগুলো বারবার হারায় । "
অদৃষ্টিতে দেখি তাকে শুনি কথা চারদিকে তার
দেখা হয়না আগের মতো প্রতিবার
যখন পড়ে,
প্রশ্ন করি কবিতায় তারে
" আজো তোমার মনে পড়ে
তোমার মন কি এখনও খুঁজে মোরে । "
অশ্রুভেজা চোখে বলে কবিতার-ই সাথে কথা
" আমার বুকে বইছে একটু আলো স্নিগ্ধতা
সেই আলোর মাঝে তুমি আর তোমার কবিতা
বাকিটাতে মিশে গেছে কালো ব্যর্থতা । "
আকাশ দেশে হারাই আমি
কবিতায় করি যত শত পাগলামি ।
লিখি শুধু
কিন্তু লেখায় থাকে না সেই মিষ্টি মধু ।
মনটা ভরে নিয়ে আছে একগাদা জ্বালা
সাদা নয় সে ভীষণ কালা ।
কালো মনে লিখি তাকে
" কী করে তুমি ভুলে গেলে এই আমাকে ? "
পড়ে পড়ে করে পড়ে না
এই কবিতা,
দেখতে নারি তার কান্না আর চোখের জল
বুঝে গেছি ছিলাম না তার সম্বল ।
Regards,
আশরাফুল মুহাম্মদ | ashrafulmd20020402@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
নির্যাতিত
নির্যাতিত হচ্ছে নারী,নির্যাতিত মন
নির্যাতনের কবলে শিশু,কিশোর- কিশোরী
সমাজ পুরোটা এখন !
ঘুমিয়ে আছে বিবেক,বুদ্ধি
আইন-আদালত ,
ঘুমিয়ে আছে সুশীল সমাজ,
জাগ্রত রং মহল ।
বিবেক কাউকে দেয় না হানা,
নিরীহ মানুষের জীবন দোটানা ।
চাইলেও অনেকে করতে পারে না,
জীবন যুদ্ধে লড়তে পারে না ।
মুখ বুজে সইতে হয় কত না জখম,
স্তব্ধতায় লুটিয়ে পড়ে মানুষের সদ্-গুণ !
Regards,
রোজিনা রোজি | rojinaroji217@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
কথা
-মেহেদী সুমন
সব কথা ফুরিয়ে গেলে
আমরা আবার নতুন টানি,
কথার মাঝে হাসি
তবে কথার মাঝেই কাঁদি।
কথার মাঝে হারায় যা
মন দিয়ে তা খুঁজি।
Regards,
মেহেদী সুমন | mehedisumon20bd@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
চিরদিনের
ড.মহীতোষ গায়েন
--------------
একদিন সব বিবাদের মীমাংসা হবে,
সব রাগ জল হবে একদিন-
জলপরী এসে বলবে:'বেহেস্তে যাবে?'
একদিন জিন্দাপির এসে বলবে:
যত পার পাপ করে নাও
আমিতো আছি।
আমি তো আছি,সব বাহাদুর বলে
আমিই সব,আমিতো আছি,
আমি মানে তো সর্বনাশা ঘূর্ণিপাক।
তমসাবৃত বেহেস্তে সব চালবাজরা
ফূর্তি করে,রাজা এবং প্রজার টাকায়
রাজা মানে তো প্রজার শুধু রক্তশোষা
শোষণ! দেখ চারিদিকে হচ্ছে অবিরত
এক শিয়াল ডাকলে পরে
সব শিয়ালের হুঙ্কখ হুয়া।
হুঙ্কাহুয়া ডাকা মানেই বেজায় বিপাক
বেজায় বিপাক হচ্ছে বলেই
ছল চাতুরী, বিচ্ছিরি সব।
----------------------
ড.মহীতোষ গায়েন, অধ্যাপক, সিটি কলেজ,১০২/১রাজা রাম মোহন সরণি,কলকাতা-৯
৯০ দশকের কবি।৪টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত।চান্দ্রভাষ ও নতুন বাংলা পুরষ্কার
প্রাপ্ত। এছাড়া কবিতার জন্যে বহু সম্মাননা লাভ। গবেষক ও প্রাবন্ধিক।
ইমেল-g.mahitosh@yahoo.com
ফোন-০৭৭৯৭৫৫১৪০৫
Regards,
ড.মহীতোষ গায়েন | g.mahitosh68@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
কবি :: রঞ্জন ভট্টাচার্য
স্মরণ
রঞ্জন ভট্টাচার্য, ব্যারাকপুর।
তারিখ :: ২২শে শ্রাবন
তোমার চরণে আশ্রিত আমি
হে মহাপ্রাণ অন্তর্যামী
বিধির লেখায়
শ্রাবণ ধারায়
বারে বারে এসো তুমি ।
মহীরুহ তুমি এ পীঠভূমে
তোমার চরণ দিকে-দিকে চুমে
তোমার স্পর্শে
মনের হর্ষে
নিশিদিন তব নমি
*"*""""""""""""""""""""""""""""""""*"*
Regards,
রঞ্জন ভট্টাচার্য, ব্যারাকপুর | bhattacharya.ranjan@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
বিষয় - পত্রসাহিত্য
পত্র নং - এক
শিরোনাম - বিষাদে সুখানুভব
লেখায় - প্রভাত মণ্ডল
[ইংরেজি ২০২০ সালে এসেও মানুষ জাত-পাত ধর্মের বেড়াজালে আবদ্ধ।ব্যস্ত পৃথিবী
জুড়ে ভালোবাসা নামক অকৃত্রিম অনুভূতি লুপ্ত হতে বসেছে।এখন ভালোবাসা শুধু যেন
পন্য, শারীরিক সৌন্দর্যের বিলাস আর যৌনতায় পরিপূর্ণ।তবুও কিছু ভালোবাসা আছে
যা আজও অমলিন, নিষ্পাপ।তবুও সমাজ আর পরিবারের চাপে পড়ে এই ভালোবাসা পূর্ণতা
পায় না।বড় হয়ে ওঠে জাত,ধর্ম,শারীরিক গঠন,রঙ,সৌন্দর্যবোধ সর্বপরি অর্থ।এ
পত্রখানি সেই অপূর্ণ থেকে যাওয়া এক প্রেমিক-প্রেমিকার জীবনের শেষ পর্যায়ের
ব্যাথাতুর সুখানুভূতি।পত্রটি এমনভাবে লিখলাম যা প্রেমিক কিংবা প্রমিকা উভয়ের
ক্ষেত্রেই বাস্তবে ঘটে থাকে।]
প্রিয় প্রভাত/প্রভাতী,
অনেকটা দিন পেরিয়ে এসেছি,অনেকটা পথ,কয়েকটা বছর।তুমি আজ লক্ষ
আলোকবর্ষ দূরে।কোন অভিযোগ নেই আমার তোমাকে ঘিরে।তবু এই চিঠি লেখা।নাইবা
পৌঁছালো তোমার কাছে।এ চিঠি লেখা শেষ হলে কাগজের নৌকা বানিয়ে বৃষ্টির জলে
ভাসিয়ে দেব।হ্যাঁ সেই বৃষ্টি, যা রোজ আমার দু-চোখ থেকে ঝরে পড়ে চোখের কোন
বেয়ে,বুক ভাসিয়ে দেয়।তবুও কোন অভিযোগ নেই, কেন জান?আমি তো অচেনা পথিক তোমার
চলার পথে,আমি তো দুদিনের অতিথি তোমার হৃদয় সংসারে, আমি তো ভেসে যাওয়া খড়কুটো
তোমার বিস্তীর্ণ নদীবক্ষে।
জান!প্রতিটা দিন সেই কাকভোরে উঠে শিউলি তলায় দাঁড়িয়ে পূবাকাশে তাকিয়ে
থাকি।ঝরে যাওয়া শিউলির গন্ধ হৃদয়ে প্রশান্তি আনে।মাধবীলতার মালা গাঁথি
রোজ,তুমি আসবে বলে।এখানেই তো দাঁড়িয়ে চোখে চোখ আর হাতে হাত রেখে শেষ দেখার
দিনে তুমি বলেছিলে -
চলোনা হারিয়ে যায় ওই সূর্যের দেশে,জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
যেখানে সমাজ আমাদের পোড়াবে না,বলবেনা নির্লজ্জ বেহায়া; তোমার পরিবারও করবেনা
জাত বিচার।শুধু!শুধু ছুঁয়ে যাব মন দুজনে দুজনার।একটা পবিত্র ভালোবাসা।নিখিল
বিশ্ব জুড়ে লেখা হবে নাম,হবে ভালোবাসারই জয়গান।
আজও নিস্তব্ধ দুপুরে কিংবা মন খারাপের গোধূলি বেলায়, শুধু কানে
বাজে তোমার ঝংকার তোলা হাসি।যেন পাহাড় থেকে ঝরনার জল কলকল তানে প্রবাহিত হচ্ছে।
যেন কোন কিশোরীর পায়ের নুপুর রিনিঝিনি শব্দ তুলছে বাতাসে।অসীম দিগন্ত জুড়ে সে
কি আলোক উদ্ভাস চারিদিকে!চোখ জুড়িয়ে যায়।ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নামে।
হ্যাঁ, আজ জীবন সন্ধ্যা নেমেছে।সকাল পেরিয়ে দুপুর,দুপুর পেরিয়ে
বিকাল,আজ বিকাল পেরিয়ে সন্ধ্যা।মাধবীলতার সেই মালাটাও শুকিয়ে গেছে,ঝরা শিউলি
বাতাসে উড়ে গেছে বহুদূর।সুদীর্ঘ পথ পেরিয়েও আজ শুধু তোমার জন্য অপেক্ষা।যদি
একবার দেখা হত,তোমার হাতে হাত আর চোখে চোখ রেখে বলতাম - সূর্য নয় চলো চিতার
আগুনে পুড়ি একসাথে।আমাদের ছাই উড়ে যাক সমগ্ৰ পৃথিবীর বুকে।লেখা হোক নাম এক
অদৃশ্য অক্ষরে।শুধু একসাথে বলি ---
আমাদের দেখা হবে পৃথিবীর ওই পারে
আমাদের দেখা হবে জাত পাত শেষে,
আমাদের কথা হবে চুপিচুপি কানে কানে
আমাদের ভালোবাসা অক্ষয় হবে।
ইতি,
প্রভাত মণ্ডল
আংরাইল,উত্তর ২৪
পরগনা
তারিখ -- ২৮/০৭/২০২০
____________________________
Regards,
প্রভাত মণ্ডল (Probhat Mondal) | probhatmondal00@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
সান্ত্বনা
চিত্ত-কুঁড়ি-হাসনাহেনা মৃত্যু-সাঁঝে ফুটল গো!
জীবন-বেড়ার আড়াল ছাপি বুকের সুবাস টুটল গো!
এই তো কারার প্রাকার টুটে
বন্দি এল বাইরে ছুটে,
তাই তো নিখিল আকুল-হৃদয় শ্মশান-মাঝে জুটল গো!
ভবন-ভাঙা আলোর শিখায় ভুবন রেঙে উঠল গো।
২
স্ব-রাজ দলের চিত্তকমল লুটল বিশ্বরাজের পায়,
দলের চিত্ত উঠল ফুটে শতদলের শ্বেত আভায়।
রূপের কুমার আজকে দোলে
অপরূপের শিশ-মহলে,
মৃত্যু-বাসুদেবের কোলে কারার কেশব ওই গো যায়,
অনাগত বৃন্দাবনে মা যশোদা শাঁখ বাজায়!
৩
আজকে রাতে যে ঘুমুল, কালকে প্রাতে জাগবে সে।
এই বিদায়ের অস্ত-আঁধার উদয়-উষায় রাঙবে রে!
শোকের নিশির শিশির ঝরে,
ফলবে ফসল ঘরে-ঘরে,
আবার শীতের রিক্ত শাখায় লাগবে ফুলেল রাগ এসে।
যে মা সাঁঝে ঘুম পাড়াল, চুম দিয়ে ঘুম ভাঙবে সে।
৪
না ঝরলে তাঁর প্রাণ-সাগরে মৃত্যু-রাতের হিম-কণা
জীবন-শুক্তি ব্যর্থ হত, মুক্তি-মুক্তা ফলত না।
নিখিল-আঁখির ঝিনুক-মাঝে
অশ্রু-মানিক ঝলত না যে!
রোদের উনুন না নিবিলে চাঁদের সুধা গলত না।
গগন-লোকে আকাশ-বধূর সন্ধ্যা-প্রদীপ জ্বলত না।
৫
মরা বাঁশে বাজবে বাঁশি, কাটুক না আজ কুঠার তায়,
এই বেণুতেই ব্রজের বাঁশি হয়তো বাজবে এই হেথায়।
হয়তো এবার মিলন-রাসে
বংশীধারী আসবে পাশে
চিত্ত-চিতার ছাই মেখে শিব সৃষ্টি-বিষাণ ওই বাজায়।
জন্ম নেবে মেহেদি-ঈশা ধরার বিপুল এই ব্যথায়।
৬
কর্মে যদি বিরাম না রয়, শান্তি তবে আসত না!
ফলবে ফসল – নইলে নিখিল নয়ন-নীরে ভাসত না।
নেইকো দেহের খোসার মায়া,
বীজ আনে তাই তরুর ছায়া,
আবার যদি না জন্মাত, মৃত্যুতে সে হাসত না।
আসবে আবার – নইলে ধরায় এমন ভালো বাসত না!
হুগলি
১৬ই আষাঢ় ১৩৩২
Regards,
Publisher@alibaba.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
কাজী নজরুল ইসলাম
আমি যুগে যুগে আসি, আসিয়াছি পুন মহাবিপ্লব হেতু এই স্রষ্টার শনি মহাকাল
ধূমকেতু! সাত সাতশো নরক-জ্বালা জলে মম ললাটে, মম ধূম-কুণ্ডুলি করেছে শিবের
ত্রিনয়ন ঘর ঘোলাটে! আমি অশিব তিক্ত অভিশাপ, আমি স্রষ্টার বুকে সৃষ্টি-পাপের
অনুতাপ-তাপ-হাহাকার– আর মর্তে সাহারা-গোবি-ছাপ, আমি অশিব তিক্ত অভিশাপ! আমি
সর্বনাশের ঝাণ্ডা উড়ায়ে বোঁও বোঁও ঘুরি শূন্যে, আমি বিষ-ধূম-বাণ হানি একা ঘিরে
ভগবান-অভিমুন্যে। শোঁও শন-নন-নন-শন-নন-নন শাঁই শাঁই, ঘুর্ পাক্ খাই, ধাই পাঁই
পাঁই মম পুচ্ছে জড়ায়ে সৃষ্টি; করি উল্কা-অশনি-বৃষ্টি,– আমি একটা বিশ্ব
গ্রাসিয়াছি, পারি গ্রাসিতে এখনো ত্রিশটি। আমি অপঘাত দুর্দৈব রে আমি সৃষ্টির
অনাসৃষ্টি! আমি আপনার বিষ-জ্বালা-মদ-পিয়া মোচড় খাইয়া খাইয়া জোর বুঁদ হয়ে আমি
চলেছি ধাইয়া ভাইয়া! শুনি মম বিষাক্ত 'রিরিরিরি'-নাদ শোনায় দ্বিরেফ-গুঞ্জন সম
বিশ্ব-ঘোরার প্রণব-নিনাদ! ধূর্জটি-শিখ করাল পুচ্ছে দশ অবতারে বেঁধে ঝ্যাঁটা
করে ঘুরাই উচ্চে, ঘুরাই– আমি অগ্নি-কেতন উড়াই!– আমি যুগে যুগে আসি, আসিয়াছি
পুন মহাবিপ্লব হেতু এই স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু! ঐ বামন বিধি সে আমারে
ধরিতে বাড়ায়েছিল রে হাত মম অগ্নি-দাহনে জ্বলে পুড়ে তাই ঠুঁটো সে জগন্নাথ! আমি
জানি জানি ঐ স্রষ্টার ফাঁকি, সৃষ্টির ঐ চাতুরী, তাই বিধি ও নিয়মে লাথি মেরে,
ঠুকি বিধাতার বুকে হাতুড়ি। আমি জানি জানি ঐ ভুয়ো ঈশ্বর দিয়ে যা হয়নি হবে তাও!
তাই বিপ্লব আনি বিদ্রোহ করি, নেচে নেচে দিই গোঁফে তাও! তোর নিযুত নরকে ফুঁ
দিয়ে নিবাই, মৃত্যুর মুখে থুথু দি! আর যে যত রাগে রে তারে তত কাল্-আগুনের
কাতুকুতু দি। মম তূরীয় লোকের তির্যক্ গতি তূর্য গাজন বাজায় মম বিষ নিশ্বাসে
মারীভয় হানে অরাজক যত রাজায়! কচি শিশু-রসনায় ধানি-লঙ্কার পোড়া ঝাল আর বন্ধ
কারায় গন্ধক ধোঁয়া, এসিড, পটাশ, মোন্ছাল, আর কাঁচা কলিজায় পচা ঘা'র সম
সৃষ্টিরে আমি দাহ করি আর স্রষ্টারে আমি চুষে খাই! পেলে বাহান্ন-শও জাহান্নমেও
আধা চুমুকে সে শুষে যাই! আমি যুগে যুগে আসি আসিয়াছি পুন মহাবিপ্লব হেতু– এই
স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু! আমি শি শি শি প্রলয়-শিশ্ দিয়ে ঘুরি কৃতঘ্নী ঐ
বিশ্বমাতার শোকাগ্নি, আমি ত্রিভুবন তার পোড়ায়ে মারিয়া আমিই করিব মুখাগ্নি! তাই
আমি ঘোর তিক্ত সুখে রে, একপাক ঘুরে বোঁও করে ফের দু'পাক নি! কৃতঘ্নী আমি
কৃতঘ্নী ঐ বিশ্বমাতার শোকাগ্নি! পঞ্জর মম খর্পরে জ্বলে নিদারুণ যেই বৈশ্বানর–
শোন্ রে মর, শোন্ অমর!– সে যে তোদের ঐ বিশ্বপিতার চিতা! এ চিতাগ্নিতে জগদীশ্বর
পুড়ে ছাই হবে, হে সৃষ্টি জানো কি তা? কি বলো? কি বলো? ফের বলো ভাই আমি
শয়তান-মিতা! হো হো ভগবানে আমি পোড়াব বলিয়া জ্বালায়েছি বুকে চিতা! ছোট শন শন শন
ঘর ঘর সাঁই সাঁই! ছোট পাঁই পাঁই! তুই অভিশাপ তুই শয়তান তোর অনন্তকাল পরমাই!
ওরে ভয় নাই তোর মার নাই!! তুই প্রলয়ঙ্কর ধূমকেতু, তুই উগ্র ক্ষিপ্ত
তেজ-মরীচিকা ন'স্ অমরার ঘুম-সেতু তুই ভৈরব ভয় ধূমকেতু! আমি যুগে যুগে আসি
আসিয়াছি পুন মহাবিপ্লব হেতু এই স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু ! ঐ ঈশ্বর-শির
উল্লজ্ঘিতে আমি আগুনের সিঁড়ি, আমি বসিব বলিয়া পেতেছে ভবানী ব্রহ্মার বুকে
পিঁড়ি ! খ্যাপা মহেশের বিক্ষিপ্ত পিনাক, দেবরাজ-দম্ভোলি লোকে বলে মোরে, শুনে
হাসি আমি আর নাচি বব-বম্ বলি ! এই শিখায় আমার নিযুত ত্রিশূল বাশুলি বজ্র-ছড়ি
ওরে ছড়ানো রয়েছে, কত যায় গড়াগড়ি ! মহা সিংহাসনে সে কাঁপিছে বিশ্ব-সম্রাট
নিরবধি, তার ললাট তপ্ত অভিশাপ-ছাপ এঁকে দিই আমি যদি ! তাই টিটকিরি দিয়ে হাহা
হেসে উঠি, আমি বাজাই আকাশে তালি দিয়া 'তাতা-উর্-তাক্' আর সোঁও সোঁও করে প্যাঁচ
দিয়ে খাই চিলে-ঘুড়ি সম ঘুরপাক! মম নিশাস আভাসে অগ্নি-গিরির বুক ফেটে ওঠে
ঘুৎকার আর পুচ্ছে আমার কোটি নাগ-শিশু উদ্গারে বিষ-ফুৎকার! কাল বাঘিনী যেমন
ধরিয়া শিকার তখনি রক্ত শোষে না রে তার, দৃষ্টি-সীমায় রাখিয়া তাহারে
উগ্রচণ্ড-সুখে পুচ্ছ সাপটি খেলা করে আর শিকার মরে সে ধুঁকে! তেমনি করিয়া
ভগবানে আমি দৃষ্টি-সীমায় রাখি দিবাযামী ঘিরিয়া ঘিরিয়া খেলিতেছি খেলা, হাসি
পিশাচের হাসি এই অগ্নি-বাঘিনী আমি যে সর্বনাশী! আজ রক্ত-মাতাল উল্লাসে মাতি
রে– মম পুচ্ছে ঠিকরে দশগুণ ভাতি, রক্ত রুদ্র উল্লাসে মাতি রে! ভগবান? সে তো
হাতের শিকার!– মুখে ফেনা উঠে মরে! ভয়ে কাঁপিছে, কখন পড়ি গিয়া তার আহত
বুকের 'পরে! অথবা যেন রে অসহায় এক শিশুরে ঘিরিয়া অজগর কাল-কেউটে সে কোন ফিরিয়া
ফিরিয়া চায়, আর ঘোরে শন্ শন্ শন্, ভয়-বিহ্বল শিশু তার মাঝে কাঁপে রে যেমন–
তেমনি করিয়া ভগবানে ঘিরে ধূমকেতু-কালনাগ অভিশাপ ছুটে চলেছি রে, আর সাপে-ঘেরা
অসহায় শিশু সম বিধাতা তাদের কাঁপিছে রুদ্র ঘূর্ণির মাঝে মম! আজিও ব্যথিত
সৃষ্টির বুকে ভগবান কাঁদে ত্রাসে, স্রষ্টার চেয়ে সৃষ্টি পাছে বা বড় হয়ে তারে
গ্রাসে!

Regards,
Publisher@alibaba.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com
[সাহিত্য কণিকা] New message received.
আরিফ ইবনে আবুল কালাম
ছেলের বাবা ঘটক নিয়ে
কনে দেখতে যায়,
আড়চোখে'তে কনের দিকে
মুচকি হেসে চায়।
ঘটক বলে রান্নাবাড়া
অনেক ভালো পারে,
ছেলের বাবা কথার ছলে
প্রশ্ন করে তারে।
একটু হেঁটে দেখাও তো মা
কেমন করে চলো,
তোতলা কিনা জানার লাগি
একটি গান বলো।
সব কিছু সে যাচাই করে
বলে ঘটক ভাই,
এই মেয়ের সমতুল্য
কোনো পাত্রী নাই।
দিন তারিখ ধার্য করে
তাঁদের বলে দাও,
জলদি করে বেহান হতে
অনুমতিটা নাও।
Regards,
আরিফ ইবনে আবুল কালাম | arifgarf92@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com
রোজাভা বিপ্লব
রাষ্ট্রবিহীন জনগোষ্ঠী হিসেবে কাশ্মীরি,ফিলিস্তিনি, রোহিঙ্গাদের নাম উচ্চারিত হলেও কুর্দি জনগোষ্ঠী তেমন মনোযোগ পায়নি বিশ্বের।মধ্যপ্রাচ্যের এই জাতিগোষ্ঠীর রয়েছে নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি,তারা সেখানকার চতুর্থ বৃহৎ আদিবাসী।
আয়তনে ৩ লক্ষ বর্গ কিলোমিটারের কুর্দিস্তানে রয়েছে আড়াই থেকে তিন কোটি কুর্দির বাস।কিন্ত ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর নিজস্ব দেশ নেই তাদের স্বপ্নভুমি কুর্দিস্তান চার ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে।তুরস্ক, ইরাক,ইরান ও সিরিয়ায় এই চারদেশেই রয়েছে কুর্দিস্তানের অংশ। এছাড়া আর্মেনিয়ায় রয়েছে স্বল্পসংখ্যক কুর্দির বসবাস।
কুর্দিস্তানের জাতীয় পতাকা কুর্দিস্তানের জাতীয় পতাকা
কুর্দিস্তানের মানচিত্র
উত্তর পূর্ব সিরিয়া বা রোজাভা
সিরিয়ার উত্তর পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত কুর্দিস্তানের পশ্চিম অংশ যেটাকে কুর্দি ভাষায় রোজাভা বলা হয়।আফ্রিন,জাযিরা,ইউফ্রেটিস,রাক্কা,কোবানে,দেইর ইজ-জুর এবং মানবিজ অঞ্চলগুলো নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত রোজাভা গঠিত।
২০১২ সালে সিরিয়া গৃহযুদ্ধের প্রাক্কালে এক অভূতপূর্ব রাজনৈতিক বিপ্লবের মাধ্যমে রোজাভার পথচলা শুরু হয়।নিকট ইতিহাসে এমন বিপ্লব স্পেনিশ গৃহযুদ্ধের সময় হয়েছিলো ১৯৩০ সালের শেষ দিকে একদল এনার্কিস্ট বিপ্লবীর দ্বারা । জর্জ অরওয়েল সে বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেন।
রোজাভা বিপ্লবে রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে ফ্রন্টলাইনার হিসেবে নারীরা রয়েছেন।মুল সিরিয়ান গৃহযুদ্ধের সাথে সরাসরি জড়িত না হলেও রোজাভাকে ভয়ংকর আত্মঘাতী বোমা হামলা মোকাবেলা করতে হয়।
ইরাকের কুর্দিশ আঞ্চলিক সরকার (KRG) এবং তুরস্ক সরকারের অসহযোগীতার কারণে বিদেশি সাংবাদিকদের রোজাভায় প্রবেশ কষ্টসাধ্য ফলে এখানকার দারুণ নারীবাদী বিপ্লবের খবর বিশ্বমিডিয়ার আলোচনায় আসছে না।এছাড়া তুরস্ক সরকার রোজাভাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে যেটা সেখানকার রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন পার্টি (PYD) এর বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা বলা যায়।
PYD এর সামরিক শাখার নাম পিপল'স প্রটেকশন ইউনিট (YPG),এবং উইমেন্স প্রটেকশন ইউনিট (YPJ) নারীদের দ্বারা গঠিত আত্নরক্ষামুলক নারী উইং।
উইমেন্স প্রটেকশন ইউনিট এর যোদ্ধারা
প্রশাসনিকভাবে রোজাভা সেক্যুলার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।যেটা এনার্কিজম এবং উদারনৈতিক সমাজতান্ত্রিক আদর্শ দ্বারা অনুপ্রানিত। রাষ্ট্রীয়ভাবে রোজাভা নারী-পুরুষের সমতা,ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, বহুত্ববাদী সমাজ,ধর্মীয় সহিষ্ণুতা,রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, পরিবেশের সুরক্ষা এসব বিষয়ে প্রতিশ্রুতিশীল।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রোজাভার রাজনৈতিক সৌন্দর্য, আঞ্চলিক অধিবেশনে ননকুর্দিশ বিশেষকরে আরব,সিরিয়ান,তুর্কি,অ্যাসেরিয় সবাই কুর্দিদের মতোই সমান সুযোগ পায় মত প্রকাশের ক্ষেত্রে।
রোজাভা'র স্থানীয় সরকার পরিচালিত হয় গ্রামবাসীর দ্বারা, তারা নিজেদের স্বাস্থ্য, চাকরি, সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গুলো নিজেরাই নেন পাশাপাশি বাল্যবিবাহ, ধর্মীয় কুসংস্কার রোধে কাজ করেন। স্থানীয়ভাবে কোন সিদ্ধান্ত নিতে ঐক্যমত না হলে গ্রামবাসীর প্রতিনিধিগণ আঞ্চলিক অধিবেশনে যোগ দেন। সেখানে তারা গ্রামের প্রতিনিধি হিসেবে গ্রামবাসীর নিকট দায়বদ্ধ থাকেন এবং তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করেন।
তুরস্কের রোজাভা আগ্রাসন এবং পিকেকে
আবদুল্যাহ ওকালান যিনি একজন কুর্দি নেতা ১৯৭৮ সালে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (PKK) গঠন করেন।মার্মারা সাগরের একটা দ্বীপে তিনি তুর্কি সরকারের নিকট বন্দি ছিলেন। বন্দিজীবনে তিনি এনার্কিস্ট লেখক মারি বুকচিনের আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে কুর্দিদের জন্য একটা স্বাধীন এনার্কিস্ট রাস্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখেন।যার ফলাফল হিসেবে PKK এর আত্মপ্রকাশ হয়।
ছবি : আবদুল্লাহ ওকালান
প্রতিষ্ঠার ছ’বছর পর PKK তুর্কি সরকারের সাথে সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হয় ফলে ৪০ হাজার বেসামরিক লোক নিহত এবং এক লক্ষ কুর্দি বাস্তুচ্যুত হয়।
১৯৯০ এর দিকে PKK স্বাধীন রাষ্ট্রের পরিবর্তে স্বায়ত্তশাসনের জন্য রাজনৈতিকও সাংস্কৃতিক আন্দোলন ডাক দেয়।পাশাপাশি সশস্ত্র সংগ্রামও অব্যাহত রাখে।
২০১৩ সালে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় PKK
কিন্তু ২০১৫ সালের জুলাইয়ে যুদ্ধবিরতি অকার্যকর হয়ে পড়ে যখন সিরিয়া সীমান্তের সুরুকে শহরে এক ভয়াবহ আত্নঘাতী বোমা হামলায় ৩৩ জন তরুন এক্টিভিস্ট নিহত হন,এই ঘটনায় ISIS কে দায়ী করা হয়।
ঐ ঘটনার পর তুরস্ক, ISIS এবং YPG মধ্যকার ত্রিমুখী সংঘাত শুরু হয়। ফলে কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
আগস্ট ২০১৬, এসময় এরদোয়ান সরকার উত্তর সিরিয়া অভিমুখে ব্যাপক সেনাবাহিনী ও সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক নিয়ে অগ্রসর হয় এবং তুর্কি আর্মি জোরপূর্বক জারাব্লুস শহর দখল করে নেয়।
ফলে রোজাভার YPG নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স (SDF) পিছু হটে আফ্রিন শহরের কুর্দি ঘাঁটিতে আশ্রয় নেয়।
এরপর ২০১৮ পুনরায় তুর্কি আর্মি আফ্রিন আক্রমণ করে সেখান থেকে YPG কে উৎখাত করে ব্যাপক ধ্বংশযজ্ঞ চালায় ফলে প্রচুর বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারান।
সিরিয়া গৃহযুদ্ধের ফলে উত্থিত নতুন স্টেট রোজাভা ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য দৃষ্টান্ত হবে যদি সেখানে শান্তি বজায় থাকে এবং যে আদর্শকে ধারণ করে এর জন্ম হয়েছে সেটার যথাযথ প্রয়োগ করতে পারে।
Reference: BBC,VICE, WIKIPEDIA
নেকড়েরা স্বয়ং এখন মেষপালকের বেশে #দেবাশিস বসু
#নেকড়েরা স্বয়ং এখন মেষপালকের বেশে
#দেবাশিস বসু
#০৪/০৫/২০২০
যুদ্ধ শেষ
নেকড়েরা স্বয়ং এখন মেষপালকের বেশে
যুদ্ধ শেষ
বিধ্বস্ত সৈনিক এখন ঘর গোছাতে ব্যস্ত
ঘর গোছাতে ব্যস্ত
সেই সব সেনানী
যারা শস্ত্রের যোগান দেবে বলেছিল
ঘর গোছাতে ব্যস্ত
আত্মসমর্পণকারী শত্রুসেনাদল
কারণ
নেকড়েরা স্বয়ং এখন মেষপালকের বেশে
দু' চারটে যৌবন গলে গেছে
আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে গলে পড়া
সোনালী রোদ্দুরের মতো
আঙ্গুলের ডগায়
এখনো পোস্টারের কালির স্পষ্ট দাগ
কিউবিকলের একটা ন্যাপথিলিনও
চিরকালের মতো আলাদা করতে পারিনি
শুধু অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝ
আর বেড়েছে বারুদ বাষ্প
কোনো বিপ্লব হয়নি
খালি ভিড় বাড়ানো সারিবদ্ধ গড্ডলের দল
আভূমি কুর্ণিশ করেছে গিলোটিনে
যুদ্ধ শেষ
নেকড়েরা স্বয়ং এখন মেষপালকের বেশে
মনে আছে মালবিকা,
এক মুখ যে দাঁড়ি
তোমায় বুর্জোয়া কলেজ ছাড়িয়েছিল
বলেছিল,'পোতাশ্রয়ের জাহাজ হবার জন্য তোমার জন্ম নয়'
কিংবা গা শিরশির করা রাতে
গ্রুপ মিটিংয়ের সুযোগ নিয়ে
যারা চেয়েছিল অর্ধেক শরীর
কাফকা কামু পাস্তেরনাক থেকে
চেকভ দস্তয়েভস্কি হয়ে
যে পথ শেষ হয়েছিল
নেরুদা নাজিম হিকমতের কারাগারে
যুদ্ধ শেষ
নেকড়েরা স্বয়ং এখন মেষপালকের বেশে
মনে আছে মালবিকা,
সেই জঙ্গলে অন্ধকার রাত সহস্র মশার কামড়ে
সাপ আর জোঁকেদের নিজস্ব বাসরে
মোমবাতির আলোয় নিষিদ্ধ বই
অথবা মুড়িবাদামের গ্রুপ মিটিংয়ের স্মৃতি
মনে পড়ে
শাড়ীর ভেতর লুকোনো পোস্টারের বান্ডিল
বৎসরান্তে বাড়ি ফেরা
মধ্যরাতে
এক ঝাঁক কুকুরের ডাক সঙ্গী করে
মায়ের সন্ত্রস্ত মুখ
আর মুঠোভর্তি লক্ষ্মীর নাড়ু
বেডরুম থেকে ভেসে আসা চাপা গজরানি
আর ঘুনধরা খাটে
পাশ ফিরে শোয়ার ক্যাঁচকোঁচ শব্দ
মনে পড়ে,
যেবার তুমি হাঁফাতে হাঁফাতে এসেছিলে
ভাঙা শিবমন্দিরের বটগাছের আড়ালে ,
অন্ধকারে শরীর লুকিয়ে
মহাকালের কালো রথ
পাশ দিয়ে ছুটে গিয়েছিল সশব্দে ,
সঙ্গে নিয়ে এক রাশ নাক-জ্বালানো ধুলো
বোতাম খুলে শুনেছিলাম ,
তোমার গোলাপী বুকে হাপরের শব্দ
পাঁজরের ওপরে স্পষ্ট ঘষার দাগ,
শিরাগুলো নীল হয়ে আছে ।
মালবিকা ,
এখন যুদ্ধ শেষ
সৈনিকেরা
যার যার নিজস্ব নিরাপদ আশ্রয়ে
নেকড়েরা স্বয়ং এখন মেষপালকের বেশে
দুঃখ কোরো না মালবিকা ,
কোনো সারমেয়
বিষাক্ত করবেনা তোমার সমাধিস্তম্ভ
এখন শুয়ে থাকো,তবে ঘুমিয়ে পড়ো না
তোমার গর্ভে এখনো আছে যে দেবশিশু
সেই বেজন্মারাই জন্ম দেবে
হয়তো নতুন বিপ্লব
হয়তো সেই মে ডের দিনে
আবার শহীদস্তম্ভ উপড়ে জেগে উঠবে তুমি
নতুন তুমি আর তোমার সবুজ পৃথিবী
Regards,
দেবাশিস বসু | debasisbasuroy1@gmail.com
Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com