আপনার লেখা গল্প কিংবা কবিতাটি পোস্ট করুন এখানে। মেসেজ বক্সে লেখার শিরোনাম, লেখকের নামসহ লিখা দিন।

Name

Email *

Message *

কবিতা "অবুঝ পৃথিবী" কলমে - অমিতাভ মুখার্জী ২৮/০৬/২০১৯

কবিতা
"অবুঝ পৃথিবী"
কলমে - অমিতাভ মুখার্জী
২৮/০৬/২০১৯

পৃথিবীর বুকে মেতে যায় নির্মম মানুষেরা ।
ফালাফালা করে দেয় তার জঠর
বোমের আঘাতে !
কেঁদে ককিয়ে ওঠে যন্ত্রনায়
ফ্যালফ্যাল চেয়ে সহ্য করে
অবুঝ পৃথিবী...|
মাটির পাঁচ ফুটের নীচে
হাত বাড়ায় নগ্ন অলিন্দে
পৃথিবীর গোপন অঙ্গে
উঠে আসে নগ্ন কঙ্কাল
হাড়গড় থেকে ওঠে
আদিম পোকামাকড়
তাদের গায়ে হাত বোলায়
অবুঝ পৃথিবী ...|
ইতিহাস গড়ে সেইজনেরা ।
পৃথিবীর বুক খোঁড়ে ধারালো অস্ত্রে
নগ্নকায় হাত চালিয়ে তুলে আনে
প্রসবিত মৃত সন্তানের কাঠামো,
সাজিয়ে রাখে মিথ্যে আনন্দে
কাটা ছেঁড়া দেহে শুয়ে থাকে
অবুঝ পৃথিবী |
গোপন বুকের ভেতর হ'তে
উঠে আসে অমূল্য রতন ।
মানুষেরা যুদ্ধে মাতে মিথ্যে অধিকারে
নীল রক্তে ভেসে যায় পৃথিবীর দেহ ।
পিছলে যায় সত্যের পথ
হারিয়ে যায় আসল দেহ ।
জ্বলে উঠে নকল দেহের দর্প,
চোখের জলে ভাসে
অবুঝ পৃথিবী ...।
পৃথিবীর সৈনিকেরা যুদ্ধ করে
তাঁদের বাবা-মা, স্ত্রী, ছেলে-মেয়েকে
তুচ্ছ করে এগিয়ে আসে পৃথিবীকে বাঁচাবে বলে।
কিন্তু, কেউ হারে কেউ জিতে যায়
শত শত মৃতদেহ বুকে নিয়ে জেগে থাকে
অবুঝ পৃথিবী |
সেইসব সৈনিকদের মনে রাখেনা কেউ
পচতে থাকে তাদের স্মৃতি
অশান্ত জলের ঢেউ-এ
ভেসে যায় অজানা গহনে
তাদের পচা মৃতদেহ গুলো
ছিঁড়ে খায় পৃথিবীর হায়নারা
তারা বেঁচে থাকবে বলে,
ওদের কষ থেকে গড়িয়ে পড়ে রক্ত
হারগোড় গুলো শব্দ করে চিবোয়
চিবিয়ে চিবিয়ে ধুলো করে
সেই ধুলোয় শুয়ে থাকে
অবুঝ পৃথিবী ...।
আপন মনে খেলা করে প্রকৃতি
পৃথিবীর আদিম সন্তান এরা
ভারসাম্য থাকে ওদের হাসিখুশিতে
মনের সুখ সাচ্ছন্দ্যের আদরে
বাড়তে থাকে পৃথিবীর আয়ু
ওদের প্রশ্বাসে নিশ্বাস হয় বাতাস
ওদের অঙ্গে ঘর বাঁধে পৃথিবীর পাখিরা
শাবক থেকে পাখি হয় ওদের দোলনায় দুলে |
কাল বৈশাখীর কপট ঝড়ে আগলে রাখে তাদের
তবুও বাঁচে না -
আসে নির্মম রক্ত চোসা দল
তাদের হাতে থাকে নিষ্ঠুর কুঠার
কোপে কোপে জ্বলে ওঠে অট্টহাসি
কাটা অঙ্গ হতে ঝরে পড়ে রস রক্ত হয়ে|
পৃথিবীর বুকের অতলে ফোঁটা ফোঁটা রক্তের চিন্হ নিয়ে
একটা সকালের দিনগোনে
অবুঝ পৃথিবী ...।
মাটি জল বাতাসে বেড়ে ওঠে মাটির দেহ
রূপসী বাংলা সেজে ওঠে আবার অপরুপা হয়ে |
বাংলার কৃষক ভরিয়ে তোলে সবুজ খেত
গাছের পাখি জাগিয়ে তোলে
সবুজ পাতা আর সুপ্ত কুঁড়িদের |
পুবের সূর্য মেঘের সাথে লুকোচুরি খেলতে খেলতে
হটাত নেমে আসে কালবৈশাখী -
এসব কে ভেঙ্গে খান খান করে মাটি চিরে জেগে ওঠে
জঞ্জাল ভর্তি এক মানুষ...
দাপিয়ে বেড়ায় সমস্ত পৃথিবী
তার চোখে থাকে কামাগ্নি আর মুখে বিনয়ের ভাব ।
কলুষ চামড়া ঢাকা থাকে দামী
কাপড়-পাঞ্জাবির আবরণে
চোখে চশমা আর হাতে মন্ত্রপূত তাবিজ
কোনো অসত সাংবাদিকের বিজ্ঞাপনে
কলুষ খোলস থেকে বেরিয়ে পড়ে
এই বিনয়ের অবতার
মোটা টাকার বিনিময়ে ..,
সে অনায়াসে মুখের ভেল্কিতে
ধরতে পারে বেকার দল
মিথ্যা প্রতিশ্রুতির বন্ন্যায় ভাসিয়ে দিতে পারে
তাদের কুলহারা খরকুটোর মতো., তেমনি -
চোখের আগুনে পোড়াতে পারে নারীদেহ |
নারীযোনি হতে অনায়াসে বের করে
ছুঁড়ে দিতে পারে তাকে রাস্তায় বেজম্মার ভিড়ে...।
তারপর - চরচর করে বারে লাইন,
ওই বেজম্মার মা-গুলো সব গিয়ে
জড়ো হয় বেশ্যালয়ে |
রাতজাগা নিশাচরের মতো জেগে থাকে
অবুঝ পৃথিবী ...।
তার পড়ে ওই বেজম্মাগুলোকে
রাস্তা থেকে তুলে এনে একটা
পরিচয় দেয় তাদের -
কুখ্যাত অখ্যাত অমুক - তমুক
ওরা বেঁচে থাকে পায়ের তলায়
আর নেতাগুলো সব ওদের
ধেইয়ে দেয় অসামাজিক কাজে
বাম ডান সমস্ত দিক ...
নিজেদের গদি মজবুত করে
ওদের জীবনটাকে বাজি রেখে |
খুন জখম নারিধর্ষণ চুরি ডাকাতি
অপহরণ শেষে অনুশোচনায়
ভুগতে থাকে বেজম্মার বাচ্চাগুলো |
উলঙ্গ দেহে খুঁড়তে থাকে-
খুঁজতে থাকে সত্যিকার পরিচয়
ক্লান্ত অবসন্ন দেহে জেগে থাকে
তাদের নকল কাঠামোটা |
স্যাঁতস্যাঁতে অথচ নির্মম ।
একটা কালো কুতকুতে মেঘ
ওদের জীবনটাকে গ্রাস করে নেই
একটা বজ্রাঘাতের মতো পড়ে থাকে
কোনো ডাস্টবিনের ধরে
নেতার প্রয়োজন মিটে গেলে ।
পৃথিবীর পরিচিত শকুনেরা ওই
পরিচয়হীন বেজম্মার লাশগুলোকে
ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায় ; রক্তের স্বাদ
টকটকে জিভে তুলে টলতে থাকে
অবুঝ পৃথিবী ...।
সারা পৃথিবীতে লড়াই
বেঁচে থাকা আর অধিকারের লড়াই,
দুটোর সংগা এক হলেও
রক্ত ঝরে বুক থেকে পেটে।
অদৃশ্য অধিকারের গদী টলতে থাকে
আসন্ন পরিবর্তনের ঝড়ে ।
ক্ষুধার জন্তুটা রোষে ওঠে!
অকিঞ্চন উদরে, ঝরতে থাকে রক্ত |
জঠর থেকে ঠেলতে থাকে ভ্রুণটা |
সাদা কালো মানুষেরা কখনো
অপেক্ষা করে পরিবর্তন ।
আর্তনাদে চির ধরে সারা দেহে ,
দুর্ভিক্ষ উদরে ধুঁকতে থাকে
অবুঝ পৃথিবী ...।
অন্যদিকে আছে ধর্মের হাট-বাজার
সেখানে কেনাবেচা হয় ধর্ম নিয়ে
এ যেন এক জান্তব তান্তব
মন্দির-মসজিদগুলো সব
শিং বেঁকিয়ে গুঁতিয়ে বেড়ায়;
অধর্মচারীরা জালবোনে হাটে বেচবে বলে |
বণিকরা জাহাজ ভাসায় গভীর সমুদ্রে
আমদানি রপ্তানি হয়; নরম কে কঠিন করে
বাতাসে উড়ে অধর্মের অর্থ |
মাঝ দরিয়ায় অতলে নামে পৃথিবীর ডুবুরীরা
অতল থেকে তুলে আনে মনিমানিক্য; সোনালী মাছ ।
দেশের নিজস্ব রত্নরাজি চলে যায়
অপর দেশে কালো অর্থের বিনিময়ে |
সোনালী মাছ বন্দী থাকে
মনোরঞ্জনের কাঁচের জারে
নগ্নকায় পৃথিবীর দেহ ঢাকতে চায় অন্যজনে ।
স্বছ বস্ত্রের আবরণ উড়ে যায়
অধর্মের কালো বাতাসে
নগ্নকায় মাথা হেঁট
অবুঝ পৃথিবী ...।
থেমে যায় কবির কলম
ভেসে ওঠে সাদা পাতায় বৈশাখী সন্ধ্যা
বধুর শাঁখে কেঁপে ওঠে
কবির নরম হৃদয়
ডেকে যায় সন্ধ্যাপেঁচা
ঘরে ফেরে শুয়োরের বাচ্চা
কচুর গোঁড় গিলে;
ঘরে আসে মা লক্ষী |
পূর্নিমার চাঁদ কলঙ্কের মায়া কাটিয়ে
নেমে আসে সোনার বাংলায় |
এই সোনার বাংলার আনাচে কানাচে
তারাই ঘুরে বেড়ায়
নির্জনতার খোলসে ভরা থাকে
তাদের নির্মম কলুষতা
চুরি ডাকাতির অন্ধ কারাগারে কিম্বা
ধর্ষিতা রমনীর আঁচলে
বন্দী থাকে তাদের ঠিকানা ;
মদের বোতলে নাচে উন্মত্ত হিংস্রতা
ললাট রেখায় ফুটে ওঠে লোভের আগুন
সমাজে ওরাই কেউকেটা
ওরাই সমাজের হত্তা-কত্তা বিধাতা
রাজার পাশের আসনে থাকে
ওদের অগাধ অধিকার |
নৈতিক নিয়মে ছড়ি ঘরে
আমার - তোমার - তাহাদের মাথায় ।
ধেয়ে আসে জলের স্রোত
সত্যের আঁকি বুঁকি নির্মম প্রত্যুষ
হারিয়ে যায় গহন মিথ্যার অন্তরালে
কালো অন্ধকার নামে ঢেকে যায়প্রত্যুষ |
চারিদিকে শুধু অন্ধকার আরঅন্ধকার
সেই ঘন অন্ধকারে তুমি আমি সব্বাই অন্ধ
এক চিলতে আলো খুঁজি প্রত্যুষের
বন্যার স্রোতের মতো অন্ধকার কব্জা করেছে মানুষদের
যারা কালো চুরি করে তারাই আজপ্রত্যুষের শত্রু
কারণ...আলোর মুখোশে ভেসে যাবে তার আসল রূপ
ধুয়ে যাবে কালোর স্পর্শ
তুমি বা সে আমি বা আমরা সবাই
আলোর অপর বিশ্বাসী বলেই |
সমস্ত পৃথিবী ছেয়ে গেছে উগ্রপন্থীতে
বেসামাল আইনকানুন...প্রাণ ওস্ঠাগত হৃদকম্পন...!
তারই মাঝে রাজায় রাজায় কোলাকুলি
বেড়ে গেছে বিশৃঙ্খলা...বেজে গেছে রণ দামামা....।
কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে মুন্ডু .. মাংস .. হারগোর
শিরা..অস্তি..পেট..হৃদয়ের নরম মানবিকতা
স্থুল হয়ে গেছে বুদ্ধিজীবির বুদ্ধিমত্তা
লোপ পেয়েছে শিক্ষা দীক্ষা মানব জীবনের শ্রেষ্ঠত্ব।
তাইত একদল করে মিছিল একদল লোটে ক্ষমতা-
বাকিরা থাকে গোপনে তাদের হাতে থাকে
সত্যের চাবিকাঠি..নতুন দ্বারের অপেক্ষায় |
হাড় জিরজিরে বুকে থাকে গনগনে বিপ্লবী আগুন ।
পৃথিবীর পাদদেশে সৃষ্টি করতে চায়
নব জাগরণের উভুত্থান |
পৃথিবী গড়ছে ..গড়ছে সেই মানব মানবী বহুযুগ আগে...
শুরুতে যারা জন্মেছিল..ভেঙ্গে
আবার নতুন করে গড়তে বসেছে
অবুঝ পৃথিবী ...।
----------------------------------------------
©️ অমিতাভ মুখার্জী। পঃবঃ। ভারত।

Regards,
অমিতাভ মুখার্জী | mamitava1969@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

একটু ভালবাসা চাবো - কবিতা

একটু ভালবাসা চাবো
---------------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
*************************
একটু ভালবাসা দেওয়া যাবে?
বহুদিন হলো শুন্যতা কাটে না বুকের!

শুধু একটু ভালবাসা চাবো
এর বেশী অন্য কিছু চবো না, কখনো চাবো না
হৃদয়ের এই উচ্ছসিত দাবি খুব বেশী উতালা উম্মাদ
যেখানে শুধু তুমি, শুধু তুমি
অন্য কিছু চাবো না,
ভালবেসে এমন কি অপরাধ করেছি !

এতোটা কাছে না এলেও কিংবা রোমান্টিক না হলেও ক্ষতি নেই
অভিমান নেই যৌবিক শুন্যতায়,
হৃদয়ের রঙ আর তুলি দিয়ে
শুধু এঁকে নাও-আমাকে এঁকে নাও
প্রাণের গভীরে মেতে উঠবো প্রেমের উচ্ছাসে ।

পৃথিবীর সব হেরে যাবে, প্রাণের স্পন্দন থেমে যাবে,
শুধু ভালবাসাটা জেগে রবে হৃদয় থেকে হৃদয়ে
প্রেমহীন প্রাণ খরায় পীড়িত খাঁ খাঁ
চাষাবাদহীন পতিত জমি

শুধু একটু ভালবাসা চাবো
এর বেশী অন্য কিছু চবো না, কখনো চাবো না ।
-------------------------------------------26-06-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

অপেক্ষায় আছি - কবিতা

অপেক্ষায় আছি
-------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
*********************************
এক অনুভূতির ব্যকুলতা বুকে নিয়ে বসে আছি
শুন্যতার দিকে প্রাণ,শুন্যতার দিকে স্পন্দিত প্রবাহ-
এক অস্থিরতা নিয়ে ছুটে চলেছি নশ্বর ভাঁজে ভাঁজে
কেউ ফিরে দেখেনি অগ্নি শিখা, এই জ্বলন্ত ঊনুন।
প্রেমকে খোঁজেছি, অবিরত খোঁজেছি অদৃশ্য অনুভবে

কখনো খুলেনি কেউ প্রাণের অবরুদ্ধ কপাট
এক অহংকারী সিংহাসন হতে তেড়ে এসেছে নিষ্ঠুর চাবুক!
এই প্রাণ রক্তাক্ত করেছে বার বার,ক্ষত বিক্ষত করেছে নিভৃতে
প্রেমের আকাশে জেগে উঠেছে বিরহের চাঁদ-
সব কোলাহল স্তব্দ হয়ে গেছে চঞ্চল রক্ত প্রবাহে
তবু কেউ ফিরে দেখেনি-

অনুভূতির উচ্ছাসে কত ডেকেছি- কেউ শুনেনি—
এক অবুঝ পাগলামী বুকে নিয়ে বসে আছি একা, বড় একা..
হৃদয়ের পাখিরা অতি দ্রুতই ভুলে যাচ্ছে
অভিজাত প্রেমের ঠিকানা,
এই হৃদয় প্রাণহীন মূর্তির মতন নির্বিকার !
তবু প্রেম তাকিয়ে আছে…

শুধু তোমার দিকেই প্রাণ, অপেক্ষায় আছি-
-------------------------------------------25-06-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

শুধু তোমাকে পাই না - কবিতা

শুধু তোমাকে পাই না
-----------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
**********************************
আজো আমি রন্ধে রন্ধে দূর্নীতির মহাযজ্ঞ দেখি
আজো আমি চৌদিকে সিন্ডিকেটের স্পর্দা দেখি,
বঞ্চিচের আহাজারি শুনি আজো আমি জনতার ভেতরে
এ বিজয় কি ভুলে গেছে সেই মুক্তি যুদ্ধে পাওয়া লাল সবুজের অঙ্গিকার?
গণতন্ত্রে স্বৈরতন্ত্রের অঙ্গুলি দেখি
চেতনায় লেগে আছে এখনো বিদ্রোহীদের কালো ছায়া ।
অথচ এই মায়ের সন্তানেরা পিতার ডাক শুনে সেইদিন গর্জে উঠেছিল,তাজা বুককে রঞ্চিত
করেছিল হাসিমুখে
একটু মুক্তির জন্যে-

আজ সন্তানেরা ভুলেগেছে সেইসব লক্ষ শহীদের রক্তের দাম !
তারা আজ পুজে নিয়েছে প্রেমহীন প্রাণ! খুঁজে নিয়েছে আপন স্বার্থের মহারাজ্য ।
অনৈতিক অমানিশায় বিনিদ্র রজনী জেগে আছে পথভ্রষ্ট প্রাণ
এ যেন মীরজাফরের সহোদর কেউ!
স্বাধীনতা আজও পরাধীনতার খোলসে আবদ্ধ!
বিজয়ের উৎসব থেমে গেছে সীমাহীন দুর্নীতির অন্ধকার গহবরে-

কবিতা ভুলে গেছে আধুনিক কবি
পাঠক ভুলে গেছে সেইসব কবিতা
হৃদয়ের সাহিত্য আজ শূন্যতায় ভরপুর
একি তবে লক্ষ শহীদের রক্তে রচিত কোন মহাকাব্য নয় ?

আমি তো দেখি এখনো প্রতিটি লাইনে লাইনে লেগে আছে রক্তের দাগ !
তুমি কি দেখ ?
কেউ যেন লুটে নিচ্ছে তোমার কবিতা, গল্প, সাহিত্য , উপন্যাস কিংবা ঐতিহ্যের
ইতিহাস!
আর কত ঘুমাবে? জেগে উঠ হে লাল সবুজের প্রাণ !
লক্ষ শহীদের রক্তে আমি দেখি প্রবাহিত বিজয়ের তরী
লক্ষ মায়ের চিৎকারে শুনি বঞ্চিত প্রাণের মুক্তির ধ্বনি !

শুধু তোমাকে পাই না !
কবির রচিত কবিতার শিরোনামে কিংবা লক্ষ শহীদের রঞ্জিত মহাকাব্যে ।
-------------------------------------------23-06-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

হেরে যাওয়া মানে শেষ কথা নয় --------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা ।

হেরে যাওয়া মানে শেষ কথা নয়
--------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা ।
****************************
হেরে যাওয়া মানে শেষ কথা নয়-অপমান নয়
হেরে যাওয়া মানে নয় শির নত করা সমর দূর্গ্
হেরে গেলে আরো নব কিছূ সূচনা হয়ে যাবে
না পাওয়ার শূন্যতা জুড়ে

হয়তো কোনো শূন্যতা কখনো কখনো
ইস্পিত স্বপ্নকে উতলা করে তুলে হৃদয়ের গভীরে
জেগে ওঠায় সুপ্ত কণিকাগুলো
আর বজ্র কন্ঠে বলে-
পরাজয়-ই- বিজয়ের প্রতীক !

বিরহ- ব্যদনা, পারাজয়- র্ব্যথতা পৃথিবীর আঘাত সমুদর
আগামী বিজয়ের অদম্য শক্তি, অপ্রতিরোধ্য বাহাদুর ।
ঠিক যেন ঝরে যাওয়া পুস্পের ঘ্রাণ বকুলের সৌরভ
সুবাস আর সমীরণের অদৃশ্য বন্ধন!
তবুও কি হেরে যাওয়া মানে শেষ ?
না না কখনো না-

হেরে যাওয়া মানেই আগামী দূর্গ্ম বিজয়ের গর্জ্ন ।
সাহসীদের প্রাণে সেই সুর-ই- বাজে
যেখানে এক বিজয়ের পতাকা উড়ে যুদ্ধের প্রতিটি মুহূর্তে
এই সুন্দর পৃথিবীর বুকে-
অদম্য স্পৃহাই বেঁচে থাকে যুগ থেকে যুগান্তরে ।

হেরে যাওয়া মানে শেষ কথা নয়-অপমান নয়
হেরে যাওয়া মানে নয় শির নত করা সমর দূর্গ্ ।

--------------------------------------------------18-06-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

এই প্রাণ ছেনে ছেনে অনুভব করেছি -----------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।

এই প্রাণ ছেনে ছেনে অনুভব করেছি
-----------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
********************************
কখনো পারিনি বলতে,কখনো পারিনি তোমাকে
এই প্রাণ ছেনে ছেনে অনুভব করেছি প্রেম,
এক হৃদয়ের আহবানে নিভৃতে খুঁজেছি আমার তুমিকে
তবুও পারিনি, আজো পারিনি বলতে তোমাকে ।

অনুভূতির কপাট খুলে কতো প্রহর গুনেছি মর্তলোকে
একটু এলেই আমি পেয়ে যেতাম তোমাকে, হয়তো তুমিও!
এক অদৃশ্য স্পর্শের ব্যাকুলতা এখনো পুড়াচ্ছে আমাকে
তুমি কি তার লেলিহান শিখা দেখতে পাও ?

এক প্রেমের তীব্রতম গভীর উল্লাসে
তোমার কবিতাকে,তোমার স্পন্দিত কাব্যকে হৃদয়ে গেঁথেছি, অতি বিস্ময়ে পড়েছি-
কখনো পারিনি বলতে, কখনো পারিনি তোমাকে
এই প্রাণ ছেনে ছেনে অনুভব করেছি- শুধু তোমাকে!

আজ তুমি দূর দিগন্ত পেরিয়ে,তবুও আছো
খুব গভীরেই আছো, সেই আগের মতোই আছো অনুভূতির প্রতিটি প্রবাহে প্রবাহে…..
এই অদৃশ্য তুমি যেন আলিঙ্গনের প্রতিটি মুহূর্ত্, প্রণয়ের প্রতিটি্ উৎসব।

এই প্রাণ ছেনে ছেনে অনুভব করেছি- শুধু তোমাকে!
---------------------------------------------17-06-2019,
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

শুধু প্রেমের হৃদয়টা খুলে দাও ----------------------------------মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা ।

শুধু প্রেমের হৃদয়টা খুলে দাও
----------------------------------মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা ।
***************************
চোখ মেলালেই ধূঁয়াশা নেমে আসে প্রাণে
অথচ কতইনা সবুজে ঘেরা মায়ের আঁচল ।
মুক্তির নিশানা খোঁজে পাই না কোনদিন,
এক অন্ধকারে ডুবে আছে স্বপ্নিল ।

একটু তাকালেই মাদকের অগ্রাসন দেখি যুবক হতে যুবকে
তরুণীও এখন সেই তরীর মাস্তুল
তারুণ্য ভুলেগেছে পথ, ভুলেগেছে যৌবনের পরিচয়
দেশ জুড়ে ফোটে আছে ভয়ঙ্কর মাদক পুস্প!

রাষ্ট্র কিংবা পরিবার ওঠো যদি জেগে তারুণ্যের অমানিশায়-
বাড়াও যদি হাত প্রকাশ্যে সামাজিক আন্দোলনে
যুবক যুবতী ফিরবেই পথ চিনে চিনে…
পথ ভুলে যাবে না কখনো তোমারই সন্তান-

অলি গলি তাকালেই দেখি গাঁজা ইয়াবা ফেনসিডিল-
তারুণ্যের হাতে হাতে যৌবন বিনাশী অস্র
পর্দার আড়ালে কেউ যেন তুলে দিচ্ছে এইসব!
কিন্তু ওরা বুঝে না
থাকবে না কখনো থাকবে না নিবেদিত তরুদল।

হাত বাড়ালেই মুঠো ভরে যায় ভয়ঙ্কর মাদক দ্রব্যে!
অথচ এক যুদ্ধে পাওয়া আমাদের মাতৃভূমি-
মাদকের অগ্রাসন হতে মুক্তি চাই-
আসলে বাঁধাটা কোথায়?
শুধু প্রেমের হৃদয়টা খুলে দাও এই বঙ্গে তুমি!
--------------------------------------------16-06-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

বিজয়ের ভেতরে ফণা তুলে আছে
--------------------------------------কবি মোঃ
আমিনুল এহছান মোল্লা
******************************
এক মুক্তির পতাকা হাতে নিয়ে বসে আছি।
বৈষম্যের দিকে চোখ, বৈষম্য স্বাধীনতার ভেতরেও
এক যুদ্ধের ঐতিহ্য হাতে নিয়ে বসে আছি।
রঞ্জিত বিজয়ের উৎসব,স্বাধীনতার উল্লাস ।
স্বার্থ্পর পাখিদের ঝাঁক লাল সবুজের অন্তরালে
বিজয়ের গর্বিত সুবাস ছড়ায় না আর এখন।

বাক যুদ্ধের যানজটে জাতি অবরুদ্ধ বহুকাল,
মুক্তির উৎসব যেন থেমে গেছে দূর্নীতির গ্রাসে গ্রাসে
সম্মুখে শুধু নেশা আর নেশা- কেউ নেই !
এক মুক্তির পতাকা হাতে নিয়ে বসে আছি ভারাক্রান্ত মনে…
পরাজয়ের সবচিহ্নগুলো অতি দ্রুতই ধেয়ে আসছে
জাতির শিরা-উপশিরায়,
বিবেকবান চেতনারা সব নির্বিকার ।
মিথ্যেরা জেগে উঠেছে মুক্তি যুদ্ধের প্রতিটি লাইনে লাইনে
আর অর্জ্নগুলো একে একে খসে পড়ছে…

তবুও বিজয়ের দিকে চোখ, অপেক্ষায় আছি-
এক দৃঢ় শপথের পাশেই পাবো জাতির প্রত্যাশিত মুক্তি
অশুরের বিষাক্ত অঙ্গগুলো খোঁজে নিবে চোরাপথ-
এই বুকে হাত রেখে স্বপ্ন দেখাচ্ছে প্রত্যয়ী সৈনিকেরা
যে চেতনার নীচে মুক্তি যুদ্ধ,লাল সূর্য্, সবুজ আঁচল।

অটুট থাকুক প্রাণে প্রাণে দেশ প্রেম- চকচকে,
ধ্যান জ্ঞানে উতলা হউক লাল সবুজ পতাকা শুধু ।

এক মুক্তির পতাকা হাতে নিয়ে বসে আছি,তবু অন্ধকার!
বিজয়ের ভেতরে ফণা তুলে আছে এক বিষাক্ত বিষধর !
দূর্নীতি! দূর্নীতি! দূর্নীতি!
-----------------------------------------------------------15-06-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর


Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

তুমি এই চেয়ারের অযোগ্য
----------------------------- কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
***********************
তোমার দিকে তাকালে কেন বাক রুদ্ধ হয়ে আসে ভাষা!
মনে জাগে সেইসব অত্যাচারী অশুরের কথা,
যে তোমাকে এতো মর্যাদা দিয়েছে,এতো ক্ষমতা দিয়েছে
সেইখানে বসেই প্রতিনিয়ত করছো অপমান,কেড়ে নিচ্ছো মর্যাদা
নিষ্ঠুর কালি ছুড়ে দিচ্ছো বঞ্চিত মানুষের দিকে
আহা সেই চেয়ারের কি উত্তাপ!
টের পাও কি ?

টের পাও কি? বঞ্চিত মানুষের সেই সব কালোরাত,
নাকি সেইখানে বসে ঘাতক চিলের মতো ছোবল মেরে চলেছো প্রকাশ্যে গোপনে!
যখন তোমার সম্মুখে শত বঞ্চিতের দুঃখ এসে
অসহায় এর মতো দাঁড়াতো -
তুমি কি চেয়ারের মর্যাদা রেখেছো?
আমি তো দেখেছি অশ্রু নয়নে ভেসে যেতে সেইসব বঞ্চিতের বুক !

যে চেয়ার তোমাকে এতো মযার্দা কিংবা ক্ষমতা দিয়ে গেলো ভরপুর!
তুমি কি তার মর্যাদা রক্ষা করেছো? নাকি লুণ্ঠন করেছো মনুষ্যত্ত্বের সভ্যতা!

তোমাকে দেখলেই বুক কেঁপে উঠে অনৈতিক অত্যাচারে
অথচ তুমিই অঙ্গিকার করেছিলে, তুমি এই চেয়ারের মর্যাদা রাখবে-
এইখানে বসে শোনাবে সেইসব ন্যায্য বিচারের কথা
বলেছিলে ঘুষ নিবে না,অযথা হয়রানি করবে না, ক্ষমতার দাপট দেখাবে না
অধিকার বঞ্চিত করবে না-
আজ সেখানে রক্ত চক্ষু, অনৈতিক ক্ষমতার দাপট,কোটি মানুষের অধিকার হারা শোক!

তোমার দিকে তাকালে কেন ভয় জেগে উঠে প্রাণে প্রাণে!
টের পাও কি ? অনৈতিক দাপটে উত্তাপ জল-স্থল,
আজ বঞ্চিতের অধিকার অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়ে-
ঘৃণা করে, তোমাকে ঘৃণা করে, প্রচন্ড ঘৃণা করে-
তুমি এই চেয়ারের অযোগ্য-
----------------------------------------------------15-06-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর






,

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

আজ আমি অবাক! তুমিও পারলে?
--------------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
*****************************
কথা ছিলো, সততা আর বিশ্বাসে অটুট থাকবে অতন্ত্র প্রহরীর মতো
আজ তুমি অঘাত ব্শ্বিাসের ছায়া তলে ঘাতকের রক্ত ছিটালে
সিন্দুকের শরীরে লাগালে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ!
নিষ্ঠুরভাবে ছিনে নিলে রাজার গচ্ছিত ধন
চিরবিশ্বাসের মর্যাকে করলে দেউলিয়া-

মোহের এই নিষ্ঠুর দুষ্টেরা আজ অপমানের ঢেউ তুলেছে পাড়ায় পাড়ায়-
কোথাও পালানোর পথ নেই-
অথচ তুমিই একদিন সততার মুকুট পড়ে এসেছিল রাজার রাজ্যে-
সেইদিন রাজা তোমার বিশ্বস্থ হাতেই তুলেদিয়েছিল
গুপ্ত ধনের সেই রক্ষিত চাবি-

কথা ছিলো, রক্তের বিনিময়ে আগলে রাখবে রাজার গচ্ছিত ধন-
যে সততা, যে বিশ্বাস নিয়ে তোমাকে করেছিল সিন্দুকের প্রহরী
তার কপাটেই লাগালে কলঙ্কের দাগ
রাজা আজ ব্যাথিত তোমার নিষ্ঠুর আঘাতে আঘাতে
তুমি এক মূর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে আছো সীমানা তার ।

কথা ছিলো, তুমি ব্শ্বিাস ঘাতক হবে না, তুমি মোহের উর্ধ্বে রবে ।
অথচ তুমি হেরে গেলে, আমাদেরকেও নতশির করলে-
বিশ্বাসের জমিনে বুপন করে গেলে বিশ্বাস ঘাতকের বীজ
আজ আমি অবাক! তুমিও পারলে?
---------------------------------------------13-06-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

চোখ দু'টো ছিলো
-----------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা
**********************************
চোখ দু'টো ছিলো বিখ্যাত কবির মতো রচিত কবিতার শস্যক্ষেত,
পলকে পলকে প্রাণের কথাগুলো রচিত হচ্ছিল পাতায় পাতায়
লেন্সগুলো ঝলকে ঝলকে তুলছিল স্পন্দনের প্রতিটি রক্ত কণিকা
কর্নিয়া, আইরিস, রেটিনা, অ্যাকোয়াস হিউমার, ভিট্রিয়াস হিউমার, অপটিক নার্ভগুলো
ছন্দে ছন্দে বুঁনেছিল অনুভবের বিখ্যাত কবিতা-

কবি কাল্পনিক ভ্রমনে-
শুধু দেখছিল আর এঁকে যাচ্ছিল হৃদয়ের ফ্রেমে সেই তোমাকে !
আর শিরোনামে লেখেছিল সেই অমর কবিতা
আমি তোমাকে ভালবাসি।

চোখ দু'টো ছিলো কবির কবিতার অনুপম শব্দের বিন্যাস,হৃদয়ের শ্রেষ্ঠতম ভাষা
সেই ভাষা ধরে আজো আমি ছুটে চলেছি—
আজো আমি খোঁজে চলেছি সেই কবিতার সন্ধানে-
কবি তো হলাম, কিন্তু কবিতা কোথায় ?
কেউ কি জানো?
আমি তো জানি সেই চোখের ভাষায় লুকায়ে আছে আমার কবিতা !
হয়তো কোনদিন আবৃতি হবে না আর-
তবু তুমি হৃদয়ের কবিতা ।

চোখ দু'টো ছিলো ঠিক যেন সেই কবিতার মতো-
যাকে আমি শর্ত্হীন ভালবেসেছি-
তবু কেন আজ সেই চোখের ভাষা এতো মলিন শীর্ণ্ আর ক্ষীন ?
-----------------------------------------------12-06-2019,রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর


Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

শুধু বুঝনা, শুধু তুমি বুঝ না
---------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা ।
************************
এতোদিন অপেক্ষায় থেকে থেকে শুধু চলেছি একাই,
অবুঝ প্রেমর স্পন্দিত প্রবাহে জেগে উঠেছে সফেন
দৃষ্টিহীন সীমানার প্রাচীরে ।

প্রেম পাইনি হৃদয়ের তরঙ্গে,
তবু প্রাণের কপাট খুলে রেখেছি অধীর আগ্রহে তোমার পথ চেয়ে
এই নির্দ্য় খেলা আর কতোকাল আর কতোটা জীবন!
ফুল শয্যায় না ফুটুক, ফুটুক তোমার প্রতিটি স্পন্দনে
কিছুটাতো প্রেম চাই, হৃদয়ের গহিন হতে চাই ।

হয়তো বহুকাল, হয়তো বহুকাল- হয়তো মৃত্যুঅবদি !
শুধু তুমি! শুধু তুমি!
তবে কেন তুমিহীনা এই আমি?
তুমিই তো এই হৃদয়ে নিভৃতে এসে প্রতিটি মুহূর্তে জাগো
হয়তো এইভাবেই প্রাণের স্পর্শিত মন্দিরে জ্বালাবে প্রেমের প্রদীপ!
প্রাণের কাছে প্রেম কি তবে শুধুই অপেক্ষাময়?

হয়তো হবে, না হলে কেন এতো ব্যাকুল প্রাণে ছুটেছি তোমার সন্ধানে-
এতো অধরা, তবু তুমি জেগে উঠ বুকের বুননে,
এই প্রাণ জানে, প্রতিটা স্পন্দনে স্পন্দনে কতোটা রক্ত ক্ষরন!
কতোটা হিসেবহীন যন্ত্রনা ধেয়ে আসে অনুভবের শাখে শাখে!

শুধু বুঝনা, শুধু তুমি বুঝ না-
আমি তো জানি, আমি তোমাকে কতটুকু ভালবাসি ।
---------------------------------------------12-06-2019,
রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

চৌদিকে খুলে গিয়েছে
-----------------------------------কবি মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
***************************
খোঁজে ফিরি হারিয়ে-দরিয়ার অকূল অন্ধকার!
কোথাও নেই হারিয়ে গেছে মানুষের স্পন্দিত পিঞ্জর!
এই হৃদয়ে দেখিনা প্রেমের স্রোত রক্তিম জল,
তবে কেন তুমি শ্রেষ্ঠ হলে এই নশ্বর নিখিল ?
বৈষম্যের রক্তে রক্তে রাঙ্গালে বুক,
অসত্যে অসত্যে কেড়ে নিলে পৃথিবীর সুখ-
কোন মোহ পথ ভুলালো? ছিন্ন হল তোমার অন্তঃবল
জেগেছে প্রাণে কোন অশুরের স্পর্শ্, কোন সে দুষ্টের দল?
মোহের প্রতিযোগীতা স্পন্দিত প্রাণে করছে ঘা!
অথচ অন্ধকারে খোঁজে ফিরি মুক্তির কমল- পা !
বাহ্যিকে বাহ্যিকে চাই শান্তির বাসন্তী হাওয়া
খোঁজিনা না কভূ আপনার ভিতরে আলোর পরশন
চৌদিকে খুলে গিয়েছে ভ্রান্ত মোহের নষ্ট মন-প্রাণ।
--------------------------------------রাওনাট,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

স্মৃতি
.........নাসরিন জাহান মাধুরী

স্মৃতির ক্যাসেট প্লেয়ারে বেজে যায়
সাগর,কণিকা আর কিশোরেরা--
বইয়ের তাকে ধুলোপড়া বিচিত্রা, সন্ধানী
দেশ,সানন্দা,চিত্রালী আর পূর্বাণী ---
বারান্দার টব গুলো সেজে ওঠে লিলি
মে ফ্লাওয়ার আরো কতোসবে-
উঠোনে মায়ের বাগানে আজো ফোটে বেলি, হাস্নুহেনা গোলাপ।
ঘরের চাল বেয়ে তরতরিয়ে বেয়ে ওঠে বাগান বিলাস।
ভেলভেটে মোড়ানো ঈদ কার্ড!
কত যত্নে লিখে যাই ঈদের শুভেচ্ছা--
হাওয়াই মঠাই ফেরিওয়ালার হাকডাক --
ডেকে যায় চানাচুরওয়ালা শেষ বিকেলের আলোয়।
হঠাৎ সম্বিত ফিরে পেয়ে তাকিয়ে দেখি--
স্মৃতির মধুর অতীত আমায় এ কোন বর্তমানে নিয়ে এলো!

Regards,
নাসরিন জাহান মাধুরী | n.jahanripon@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

পরোক্ষ বন্ধু
সাঈদুর রহমান লিটন
০৩/০৬/১৯
**********************
চাকচিক্যময় জীবন
স্বপ্ন দেখার মতো উপাখ্যান
এগিয়ে চলছে বিশ্ব
থেমে গেছে জীবনের উল্লাস
হাসি কান্না একাকার।

নির্বিচার বৃক্ষ ছেদন
সুখ স্বপ্ন ছেদন আর বেঁচে থাকার
অবলম্বন, জেনে বুঝেই
বাঁচার আনন্দে অথবা লোভে।

সাময়িক সুখ, অসুখের রূপ
কেবা বুঝে ভবিষ্যৎ মরুভূমি মরুচর
যন্ত্রের ভরে চলছে জীবন।

একটি গাছ হাজারো জীবন
অক্সিজেনের গুদাম ঘর,
পরোক্ষ বন্ধু, ভালবেসে যাওয়া
জীবন্ত উদার হৃদয়।

একটি চারা রোপণ একজন
শিশু জন্ম দেওয়ার আনন্দ,
ভিতর থেকেই আসে,
আর একটি বাগান বুক ভরে
আসে সুখের উল্লাসে।

পাতায় পাতায় পল্লবিত হয়
প্রকৃতির রূপ। বদলায় ক্ষণে ক্ষণে
জীবনে হিসেব নিকেস। অবারিত সবুজ ভূমি হাতছানি দিয়ে আহবান করে সুস্থ জীবনের।

মানুষ নিরুপায়, উজার করতেই হবে
নচেৎ শান্তি নাই, ডিজিটাল জীবন
প্রকৃত জীবনের পরিপন্থী।
বিশ্ব এগিয়ে চলছে, ক্রমে ক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির খেয়াল খুশি।

Regards,
সাঈদুর রহমান লিটন | highschool108821@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
https://sahityokonika.blogspot.com

[সাহিত্য কণিকা] New message received.

আনন্দ ছড়িয়ে দাও
------------------------------------মোঃ আমিনুল এহছান মোল্লা।
***************************
ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দাও এ দেহ প্রাণ
যে অমৃতকে খোঁজ তুমি এই নশ্বর ভুবন।
সে অন্তরে জেগে উঠাও চির প্রেমের রবি
যেখানে ন্যায্যতা হবে প্রতিটি প্রাণের বিশ্বছবি।
ধরণীর ভাঁজে থাকবে না কভূ বৈষম্যের প্রাচীর
আনন্দ ছড়িয়ে দাও, ছড়িয়ে দাও ‍তুমি বিস্তর-
এই উৎসবকে কর চির অম্মান , চির অবিন্শ্বর-
-------------------------------------------------2-6-06-2019 ।

Regards,
aminul | aminulahasan372@gmail.com

Note: This email was sent via the Contact Form gadget on
http://sahityokonika.blogspot.com